Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৬ মে ২০২১

তথ্যবিবরণী ২৬ মে ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                       নম্বর : ২৪৭৮

চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত

ঢাকা, ১২ জ্যৈষ্ঠ (২৬ মে) :

            চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন প্রান্তিক ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে বিভিন্ন সরকারি অর্থ সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা, ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ নগদ সহায়তা, ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা প্রভৃতি কর্মসূচির আওতায় গরিব, অসহায়, দুস্থ, দিনমজুরসহ হতদরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

            চট্টগ্রাম জেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১১ কোটি ৪৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৩ হাজার ৮৭৫টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ৫ কোটি ২৪ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার সুফল ভোগ করেছে ৫ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৫ জন প্রান্তিক, কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮ কোটি ২৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫০ টাকা যার পুরোটাই এ পর্যন্ত ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩১টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৬৫ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৭ হাজার ৬২৫টি প্রান্তিক পরিবারের মাঝে ৬১ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ চট্টগ্রাম জেলায় বরাদ্দকৃত ১৫ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ২৩৩টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় এ পর্যন্ত ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২ হাজার ৬০৫টি পরিবার।

            কক্সবাজার জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৪ কোটি ১২ লাখ ৪৫ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ২ কোটি ১৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ৪৩ হাজার ৩৫৭ টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৭ কোটি ৮৬ লাখ ২৭ হাজার ১৫০ টাকার পুরোটাই বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭২৭টি প্রান্তিক পরিবার ও ৮ লাখ ৬ হাজার ৫৭৪ জন মানুষ। তাছাড়া এ জেলায় ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ পেয়েছে আরো ১ হাজার ৩৬৮টি পরিবার। জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৮ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১ হাজার ৫২২টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৮ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৩১৩টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

            রাঙ্গামাটি জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ৩১ হাজার ৬০০ পরিবার ও ১ লাখ ২৩ হাজার ২৪০ জন প্রান্তিক কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জেলায় বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪১ লাখ ৭৫ হাজার ৯০০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে ৩১ হাজার ৫০২টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ১০ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার বিতরণ প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু হবে।

            খাগড়াছড়ি জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা (জিআর ক্যাশ) খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৩৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২২ হাজার ৯০০টি কর্মহীন পরিবারের মাঝে ১ কোটি ১৫ লাখ ৬ হাজার ৮০৫ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪৯ লাখ ২৫ হাজার ১৫০ টাকার পুরোটাই ৩৩ হাজার ২৬৭ টি দুস্থ অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৬০০টি পরিবার।

            বান্দরবান জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ১৭ হাজার ৪১৪টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে জেলাটিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৮৬ হাজার ৯০০ টাকা যার পুরোটাই এ যাবৎ ৫৯ হাজার ৮২টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৭ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৭ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে ১৩২টি পরিবার। তাছাড়া জেলাটিতে ১ হাজার ৪২৮টি অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ হাজার ৪২৮ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

চলমান পাতা -২

         - ২ -

            লক্ষ্মীপুর জেলায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার গৃহীত মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে ১ কোটি ৯১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার মধ্যে অদ্যাবধি ৩২ হাজার ৪৯৭টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৮৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় ভিজিএফ সহায়তা (নগদ) অর্থ খাতে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে ৭৫ হাজার ৫৯ টি দুস্থ, অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ২৯৫ জন প্রান্তিক মানুষ। এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৯ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৫ লাখ টাকা বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ লক্ষ্মীপুর জেলায় ১৩ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যা শীঘ্র বিতরণ করা হবে।

            নোয়াখালী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৬০০ প্রান্তিক অসহায় পরিবারের মাঝে ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫০ টাকা যার পুরোটাই অদ্যাবধি ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৫০টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৬১৫টি পরিবার। জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৯ লাখ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে ১ হাজার ৮০০ টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৯ লাখ টাকা ইতোমধ্যে ১ হাজার ৮০০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

            ফেনী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৬৪ লাখ ১৫ হাজার টাকার মধ্যে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা ২৩ হাজার ৮০০ টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৬৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার পুরোটাই ৩৬ হাজার ৮০০টি প্রান্তিক হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ফেনী জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৬ লাখ টাকা ইতোমধ্যে ৬০০ দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ জেলায় বরাদ্দকৃত ৬ লাখ টাকার বিতরণ প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু হবে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৬০০টি পরিবার।

            কুমিল্লা জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১১ কোটি ৩০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৫ কোটি ৫৪ লাখ ২২ হাজার ৫০০ টাকা ১ লাখ ৮ হাজার ৭৪৮টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৮ কোটি ৬০ লাখ ১৩ হাজার টাকার পুরোটাই ১ লাখ ৯১ হাজার ১৪০টি প্রান্তিক অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৪২ লাখ টাকার মধ্যে ইতোমধ্যে ৩২ লাখ ৬০ হাজার টাকা ৬ লাখ ৫১৮টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ১৭ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৪০৮টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। কুমিল্লা জেলায় শুকনো খাবার বাবদ বরাদ্দকৃত ১০০০ প্যাকেটের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৫৪ প্যাকেট ১৫৪ দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২৯৫৮টি পরিবার।

            চাঁদপুর জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে ৫ কোটি ১৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে যার মধ্যে এ পর্যন্ত ৫ কোটি ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ১ লাখ ২০৯টি প্রান্তিক দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৪ কোটি ৫৫ লাখ ৫১ হাজার ২৫০ টাকা ১ লাখ ১ হাজার ২২৫ টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় খাতে ৮ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় খাতে আরো ৮ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১৫টি পরিবার।

            ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৮৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে ২ কোটি ৮৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ৫৮ হাজার ৭৪৬টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৬ কোটি ১১ লাখ ১৯ হাজার ৯০০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮২২টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২৩০টি পরিবার। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৯ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৭৫৪টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ৬ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৯ লাখ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ১৭০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ২ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

            উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট জেলা তথ্য অফিসারদের মাধ্যমে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস হতে প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে এসব জানা গেছে।

#

ফয়সল/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২২০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ২৪৭৭

 

শান্তি ও সম্প্রীতির মাধ্যমে সমাজ গঠন ছিল গৌতম বুদ্ধের পরম লক্ষ্য

                                                                 ---ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১২ জ্যৈষ্ঠ (২৬ মে) :

          ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, লোভ, মোহ, হিংসা-দ্বেষ, লালসাকে অতিক্রম করে গৌতম বুদ্ধ সারা জীবন মানুষের কল্যাণে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় অহিংসা, সাম্য, মৈত্রী ও করুণার বাণী প্রচার করেছেন। শান্তি ও সম্প্রীতির মাধ্যমে আদর্শ ও সুশীল সমাজ গঠন ছিল তাঁর পরম লক্ষ্য। বিশ্বমানবতার কল্যাণ সাধন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও হিংসায় উন্মত্ত পাশবিক শক্তিকে দমন করার জন্য আজকের পৃথিবীতে বুদ্ধের শিক্ষা একান্ত প্রয়োজন।

          প্রতিমন্ত্রী আজ আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার, মেরুল বাড্ডা, ঢাকায়  শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা-২০২১ উদ্‌যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমান কাল থেকে এদেশে সকল ধর্মের মানুষ মুক্ত পরিবেশে নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে প্রতিপালন করে আসছে। আমরা বিশ্বাস করি, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’। হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা বৈষম্যহীন সমাজ বির্নিমাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীগণও যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সমানভাবে অংশগ্রহণ করে আসছেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সাল হতে “প্যাগোডাভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রকল্প” এর আওতায় ২০১৭ সাল পর্যন্ত মোট ১০০টি শিক্ষা কেন্দ্রে ৬ হাজার বৌদ্ধ শিশুকে শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ‘প্যাগোডা ভিত্তিক প্রাক-প্রাথিমিক ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রকল্প’ ২য় পর্যায়ে  ১২টি জেলার ৬২টি উপজেলায় ৩০০টি শিক্ষাকেন্দ্রের মাধ্যমে ২০ হাজার বৌদ্ধ শিশুকে প্রাক-প্রাথমিক ও ধর্মীয় এবং নৈতিকতা শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। ৩০০ জন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মহিলা ও পুরুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।

          আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার,  মেরুল বাড্ডা, ঢাকা এর অধ্যক্ষ ধর্মমিত্র মহাথেরোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন,  প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া,  গুলশান জোনের ডিসি সুদীপ চক্রবর্তী,  ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর কাউন্সিলর মাসুম গনি তাপস, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন এর সভাপতি দিবেন্দু বিকাশ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া প্রমুখ। 

 

#

 

আনোয়ার/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২২০৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ২৪৭৬

 

ঢাকা বিভাগে মানবিক সহায়তার ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত

 

ঢাকা, ১২ জ্যৈষ্ঠ (২৬ মে) :

        করোনা ভাইরাস মহামারির প্রেক্ষিতে মানবিক সহায়তা হিসেবে সরকারের পক্ষ হতে দেশব্যাপী ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

 

          গতকাল ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

 

          ঢাকা  জেলায়  ২ কোটি ১১  লাখ ৩২ হাজার ৬০০ টাকা  নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৫ কোটি ৭০ লাখ ৮৫ হাজার ৬৫০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। 

 

          মাদারীপুর  জেলায়  ১ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৩ কোটি ৪২ লাখ ১২ হাজার ৬০০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। 

 

          রাজবাড়ী জেলায়  ১ কোটি ২৪ লাখ ২৯ হাজার ৭টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৫৮হাজার ৮০০ টাকা এবং শিশু খাদ্য ১ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। 

 

          নরসিংদী  জেলায় ১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৯ হাজার ৫৫০ টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৬কোটি ১৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫৫০ টাকা  আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। 

 

          গোপালগঞ্জ জেলায় ২ কোটি ৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৪কোটি  ২১ লাখ ৩ হাজার ৩৫০ টাকা, ৩ লাখ টাকার গোখাদ্য, ৫ লাখ টাকার শিশু খাদ্য  নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

 

          টাংগাইল জেলায় ৩ কোটি ৪৯ লাখ ১৮হাজার ৬০০ টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ১২ কোটি  ২ হাজার ৮৫০ টাকা, ৫ লাখ ১০ হজ টাকার  শিশু খাদ্য, ৩৩৩ কলের মাধ্যমে ২ লাখ ৮২ হাজার ৫ শত টাকা আর্থিক সহায়তা হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে। 

 

          মুন্সিগঞ্জ জেলায় ১ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ২ কোটি ৮০ লাখ ৪১ হাজার ৭৫০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। 

 

          ফরিদপুর  জেলায় ১ কোটি ৯২ লাখ  টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে  ৫৫ লাখ ৫৬ হাজার ৯০০ টাকা, শিশু খাদ্য ৪ লাখ টাকা এবং গোখাদ্য ৪ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। 

 

          সংশ্লিষ্ট  জেলার  জেলা তথ্য অফিসসমূহ ঢাকা বিভাগীয়  তথ্য অফিসের মাধ্যমে  এসব তথ্য জানিয়েছে।

#

 

আনোয়ার/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২১৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ২৪৭৫

 

করোনায় সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিমানের সম্পদের

সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে

                            ---পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১২ জ্যৈষ্ঠ (২৬ মে) :  

 

          বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী  বলেছেন, কোভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে উদ্ভাবনী, বহুমাত্রিক ও গতিশীল কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। কোর বিজনেসের পাশাপাশি নন-কোর বিজনেসের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। বিমানের সকল সম্পদের সর্বোচ্চ ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতাকে সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে।

 

          আজ সাভারের গণক বাড়িতে অবস্থিত বিমান পোল্ট্রি কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বিমান পোল্ট্রি কমপ্লেক্সের বিভিন্ন শাখা ঘুরে দেখেন ও পোল্ট্রি কমপ্লেক্সের উৎপাদন বৃদ্ধি ও উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণ উন্নয়নকল্পে কর্মকর্তাদেরকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

 

          এর আগে প্রতিমন্ত্রী মহাখালীতে অবস্থিত বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের হোটেল অবকাশ ও ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যথাযথ মান বজায় রেখে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন।

 

          পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব
মোঃ মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ হান্নান মিয়া, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডঃ আবু সালেহ মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল ।

#

তানভীর/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২১৪২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                            নম্বর : ২৪৭৪

ন্যাশনাল ওয়াটার গ্রিড লাইন চালুর পরিকল্পনা করছে সরকার

                                                -- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকা, ১২ জ্যৈষ্ঠ (২৬ মে) :

            স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, উপকূলীয় অঞ্চলসহ সারা দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহে ‘ন্যাশনাল ওয়াটার গ্রিড লাইন’ চালুর পরিকল্পনা করছে সরকার।

            মন্ত্রী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘The Regional Centre on Urban Water Management’-RCUWM এ বাংলাদেশের পক্ষে গভর্নিং বোর্ড মিটিং-২০২১ এ সংযুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন। এ সময় আঞ্চলিক পানি সমস্যা সমাধানে ‘আন্তঃসীমান্ত ওয়াটার গ্রিড লাইন’ চালু করার জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী। উল্লেখ্য, পানি সেক্টরের উন্নয়নে সদস্য দেশসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি, গবেষণা এবং কৌশল বিনিময়ের উদ্দেশ্যে ২০০২ সালে UNESCO এর তত্ত্বাবধানে RCUWM গঠন করা হয়।

            মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের পানি লবণাক্ত হওয়া ছাড়াও দেশের কিছু কিছু এলাকায় নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহ একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘ন্যাশনাল ওয়াটার গ্রিড লাইন’ তৈরির মাধ্যমে জোন এবং সাব-জোন করে পানি সরবরাহ করতে পারলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ জন্য মন্ত্রী ‘The Regional Centre on Urban Water Management’- RCUWM থেকে তথ্য-প্রযুক্তিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা কামনা করেন।

            আন্তঃসীমান্ত ওয়াটার গ্রিড লাইন চালুর প্রসঙ্গে RCUWM গভর্নিং বোর্ডর সদস্য মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, এই অঞ্চলের অনেক দেশে পানি প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত রয়েছে। আবার কিছু দেশের প্রয়োজনের তুলনায় পানির স্বল্পতা রয়েছে। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সমন্বয়ের মাধ্যমে সকল দেশের পানির সমস্যা সমাধান করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ এবং আন্তঃসীমান্ত ওয়াটার গ্রিড নির্মাণ সংক্রান্ত ধারণাটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে RCUWM সদস্য দেশসমূহের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রস্তাব করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে রাশিয়া, রোমানিয়া এবং গ্রীসের উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, ইউরোপের দেশগুলোতে এ ধরনের কানেক্টিভিটি থাকলে আমাদের এই অঞ্চলে কেন থাকবে না। এই অঞ্চলের মানুষের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহে আঞ্চলিক সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই।

            মোঃ তাজুল ইসলাম পানি এবং স্যানিটেশন সেক্টরে বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্জন বিশেষ করে বাংলাদেশে সুপেয় পানির কাভারেজ, ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার, স্যানিটেশন সংক্রান্ত পদক্ষেপসমূহ গভর্নিং বোর্ড সভায় উপস্থাপন করলে উপস্থিত সকলে প্রশংসা করেন।

            বাংলাদেশ নদীমাতৃক এবং হিমালয় কোষের ডাউনস্ট্রিমে থাকায় পানির খুব একটা সমস্যা নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান বাংলাদেশে ৯৮ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানির আওতায় এসেছে। এছাড়া, ৫০ শতাংশের উপরে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার হচ্ছে।

            ইরানের জ্বালানি মন্ত্রীর সভাপতিত্বে ইরাক, মিশর, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, জার্মানি এবং তুরস্কসহ ১৮টি দেশের পানি সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, UNESCO, UNDP, FAO, WMO, IWA, IsDB সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বেশ কয়েকটি পর্যবেক্ষণ সংস্থা বোর্ড সভায় অংশগ্রহণ করে।

#

হায়দার/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২১০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ২৪৭৩

ইউরোপে পুনরায় পান রপ্তানি শুরু

অন্যান্য কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির কাজ চলছে

                                          -- কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ১২ জ্যৈষ্ঠ (২৬ মে) :

          নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে সাড়ে ছয় বছর পর ইউরোপে পুনরায় পান রপ্তানি শুরু হয়েছে। আজ কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক ঢাকার শ্যামপুরে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে ‘ইউরোপে নিরাপদ ও মানসম্পন্ন পান রপ্তানি’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। প্রথম চালানে আজ রপ্তানি হচ্ছে এক মেট্রিক টন পান।

          অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, সরকারের নিরলস উদ্যোগের ফলে ইউরোপে পান রপ্তানি আবার শুরু হয়েছে। এটি খুবই আশার কথা। ভবিষ্যতে পান রপ্তানি যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে কৃষি মন্ত্রণালয় উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে।

          কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ফ্রুটস ভেজিটেবলস অ্যান্ড এলাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিএফভিএপিইএ) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

          মন্ত্রী আরো বলেন, কৃষিপণ্যের রপ্তানির সম্ভাবনা অনেক। সে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ইউরোপসহ উন্নত দেশে  অন্যান্য কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে উদ্যোগ অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে দেশে উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা (গ্যাপ) বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। সারাদেশে সমন্বিত বালাইব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিষমুক্ত শাকসবজি উৎপাদন হচ্ছে। অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব থেকে সনদ দেয়া শুরু হয়েছে। এছাড়া, ভ্যাকুয়াম হিট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ চলছে। ফলে, আমরা আশা করছি, দেশের রপ্তানি বৃদ্ধিতে কৃষিপণ্য বিরাট ভূমিকা রাখবে ও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। এছাড়া, কৃষকও লাভবান হবে।

          উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পানে ক্ষতিকর সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির কারণে ২০১৪  সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ থেকে সাময়িকভাবে পান রপ্তানির ওপর ইইউ  নিষেধাজ্ঞা জারি করে।  যা ধাপে ধাপে ২০২০ পর্যন্ত বর্ধিত করে। এবং ইইউ পান রপ্তানিতে কতিপয় শর্ত আরোপ করে। পান সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া মুক্ত হতে হবে, উৎপাদন হতে শিপমেন্ট পর্যন্ত উত্তম কৃষি চর্চা (গ্যাপ), গুড হাইজিন প্র্যাকটিসেস (জিএইচপি), গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিসেস (জিএমপি) অনুসরণ করত হবে, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অ্যাক্রিডিটেড ল্যাব হতে সালমোন্যালা ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সার্টিফিকেট প্রভৃতি প্রদান করতে হবে।

          ইইউ আরোপিত শর্তপূরণে বাংলাদেশ অনেকগুলো ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আরোপিত শর্ত পূরণ করতে পারায় গত ১৫ এপ্রিল ২০২১ সালে পান রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। যার ফলে আজকে পান রপ্তানি আবার শুরু হলো।

          নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে ২০১২-১৩ সালে ১৮ হাজার ৭৮০ টন ও ২০১৩-১৪ সালে ১৩ হাজার ২৫০ টন পান রপ্তানি হয়। যার মূল্য যথাক্রমে ৩৮ মিলিয়ন ও ৩০ মিলিয়ন ইউএস ডলার।

          অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো: জাফর উদ্দীন ও বিএফভিএপিইএ এর সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহ।

#

কামরুল/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২০১৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ২৪৭২

এফটিএ স্বাক্ষরের মাধ্যমে টেকসই বাণিজ্য সুবিধা সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ কাজ করছে

                                                                                                                    -- বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১২ জ্যৈষ্ঠ (২৬ মে) :

          বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বন্ধু রাষ্ট্র। মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির অনেক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। এফটিএ এর মতো বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সাথে টেকসই বাণিজ্য সুবিধা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মালয়েশিয়ার সাথে এফটিএ স্বাক্ষরের জন্য বাংলাদেশ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকগুলোর কাজ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। পৃথিবীর অনেক দেশ এ ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। মালয়েশিয়া এখানে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের নীতিমালা সহজ করা হয়েছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।

          মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া এফটিএ : চ্যালেঞ্জেস এন্ড অপারচুনিটি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায়  প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

          বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে এগিয়ে যাবার জন্য বাংলাদেশ বাণিজ্য সহজীকরণের সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ সৃষ্টি করতে বাংলাদেশ কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের সাথে মালয়েশিয়ার বাইলেটেরাল ট্রেড এগ্রিমেন্ট, ১৯৮৩ সালে মেরিটাইম ট্রান্সপোর্ট এগ্রিমেন্ট, ১৯৯২ সালে ইকোনমিক এন্ড টেকনিকেল কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট এবং ১৯৯৪ সালে এভোয়েডেন্স অভ্ ডাবল টেক্সেশন এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করে।

          বিএমসিসিআই এর প্রেসিডেন্ট রাকিব মোহাম্মদ ফখরুল (রকি) এর সভাপতিত্বে এবং সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিষয়ের ওপর কী-নোট উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড টেরিফ কমিশনের সদস্য ড. মোস্তফা আবীদ খান। আলোচনা সভার গেস্ট অভ্ অনার বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশি

2021-05-26-16-16-ae5fdce207a8eb06216da06b5c8a4c43.docx