Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৬ জুন ২০২১

তথ্যবিবরণী ২৬ জুন ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ২৯৬২

শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০ এর সমাপনী অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :

          যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ এর জাতীয় পর্যায়ের সমাপনী আজ ঢাকায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শেখ কামাল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।

          স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে যোগদান করেন। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এছাড়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম সরকার এবং যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মহাপরিচালক
মোঃ আজাহারুল ইসলাম খান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

          অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এ উৎসাহব্যঞ্জক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তরুণদের স্বীকৃতি ভবিষ্যতে দেশের সমৃদ্ধির জন্য কাজ করতে তাদের বিশেষ উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যোগাবে।

          পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বিশ্বব্যাপী তরুণ এবং তরুণ স্বেচ্ছাসেবীরাই ছিলো করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রথমদিকের সৈনিক। তারা ত্রাণসামগ্রী বিতরণ থেকে শুরু করে ফসল কেটেছে, জরুরি মেডিকেল সেবা প্রদানে সহযোগিতা করেছে।         

          যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, চলমান করোনা সংকট মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও বিশ্বের যুবারা আর্তমানবতার সেবায় যে অবদান রেখেছেন তার স্বীকৃতি দিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ‘ঢাকা ওআইসি ইয়্যুথ ক্যাপিটাল ২০২০’-এর অধীনে প্রথমবারের মতো ‘শেখ হাসিনা ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। এর মাধ্যমে তরুণদের ১০টি ক্যাটেগরিতে একক ও দলীয়ভাবে মোট ১০০ জনকে পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান করা হবে।        

#

আরিফ/মাসুম/সঞ্জীব/শামীম/২০২১/২১১৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ২৯৬১

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :

 

 ‌                  স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৯ হাজার ২৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪ হাজার ৩৩৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ৮৩ হাজার ১৩৮ জন। 

 

          গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ জন-সহ এ পর্যন্ত ১৪ হাজার ৫৩ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।

 

          করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৮৫৪ জন।

 

#

 

দলিল/মাসুম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২০১৬ ঘণ্টা    

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ২৯৬০

 

কর্ণফুলীর পাড় লিজ দিয়ে শিল্প-কারখানা নির্মাণ করা যাবে না

                                             ---স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

 

চট্টগ্রাম, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :

 

            স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দর থেকে মহানগরী পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীর পাড় লিজ দিয়ে কোনো ধরনের শিল্প কল-কারখানা নির্মাণ করতে দেয়া হবে না। চট্টগ্রামকে দেশের অর্থনীতির প্রাণ উল্লেখ করে তিনি জানান, এই শহরকে নিয়ে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই ।

            আজ চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন, কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, দখল ও দূষণ রোধে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

            মন্ত্রী বলেন, নদীর পাড়ে এসব অবকাঠামো নির্মাণ করা হলে নদী দখল ও দূষণ বাড়বে। পরিবেশ এবং কর্ণফুলী নদীর স্বকীয়তা ও সৌন্দর্য নষ্ট হবে, যা কোনো অবস্থাতেই করতে দেয়া হবে না। কারণ এই নদীর সাথে চট্টগ্রাম বন্দর ও দেশের অর্থনীতির স্বার্থ জড়িত। কর্ণফুলী নদীর দখল ও দূষণের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন তিনি।

            মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে তা শিগগিরই শেষ হবে। আর কাজ শেষ হলে নগরবাসী এর সুফল পাবে। প্রকল্পে কোনো ত্রুটি থাকলে সেটি খতিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান।

            চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার জন্য নালা-নর্দমা ভরাট, খালে ময়লা আবর্জনা ফেলা এবং মানুষের অসচেতনতা দায়ী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যারা এ সমস্ত খাল ও জলাশয় দখল করে অবকাঠামো নির্মাণ করেছেন তাদেরকে সেসব সরিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি সতর্ক করেন। তিনি নগরবাসীকে এ ব্যাপারে আরও বেশি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। চট্টগ্রামে পাহাড় কাটা বন্ধ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নিতে বলেন।

            সেবা সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, অহেতুক কেউ কারো ওপর দোষারোপ করার মাধ্যমে সরকারের অর্জন ম্লান করার অধিকার কারো নেই। তিনি সেবা সংস্থারগুলোর সমন্বয়ের মাধ্যমে নগরীর জলাবদ্ধতাসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

            মন্ত্রী আরো বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর সার্বিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহে অনেক প্রকল্প  চলমান আছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রাম শহর অত্যাধুনিক শহরে রূপান্তরিত হবে।

            সভায় চট্টগ্রামে চলমান প্রকল্প পর্যবেক্ষণ, জলাবদ্ধতা নিরসন এবং অন্যান্য সমস্যা সমাধান এবং নগরীকে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন শহরে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে বিভাগীয় কমিশনারকে সভাপতি এবং মেয়র ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে উপদেষ্টা করে মন্ত্রী একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দেন।

            বিভাগীয় কমিশনার মোঃ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম, ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ, সিডিএ'র চেয়ারম্যান জহিরুল আলমসহ বিভিন্ন সেবাসংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেন।

#

হায়দার/মাসুম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২০৪০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ২৯৫৯

 

খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার

                                              ---কৃষিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :  

 

          কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দারিদ্র্যবিমোচন ও খাদ্য নিরাপত্তায় সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। দরিদ্র, গরিব ও দুঃস্থ মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনিতে আনতে ৬৫টিরও বেশি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ৫০ লাখ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। ফলে করোনাকালেও দেশের মানুষের খাদ্য সংকট হয়নি।

 

          আজ রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) 'প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষায় প্রস্তাবিত বাজেট' নিয়ে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি  এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

 

          মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রবৃদ্ধিকে ধরতে  পাকিস্তানের আরো কমপক্ষে ১২ বছর সময় লাগবে। এছাড়া, শিক্ষা, মাতৃমৃত্যু হ্রাস, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ ভারত থেকে এগিয়ে রয়েছে। দারিদ্র্যমোচন ও উন্নয়নে বাংলাদেশের এ সাফল্য সারা পৃথিবীতেই প্রশংসিত হচ্ছে। তিনি  আরো বলেন, সরকার ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে দারিদ্র্য ১২ শতাংশে নামিয়ে আনতে কাজ করছে। 

 

          মন্ত্রী আরো বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট খুবই যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত। এবারের বাজেটে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিন প্রদানে নিশ্চিয়তাসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। এছাড়া সরকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশকে অগ্রাধিকার দিয়েছে যাতে স্থানীয় পর্যায়ে উদ্যোক্তা তৈরি হয় এবং গ্রামীণ মানুষের কর্মসংস্থান করা যায়। কৃষি আধুনিকীকরণ ও কৃষকদের জীবনমান উন্নয়ন সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। এক্ষেত্রে সরকার নানামুখী ভুর্তকি দিচ্ছে। করোনার প্রকোপ  বৃদ্ধি না পেলে প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নে কোন সমস্যা হবে না বলেও জানান মন্ত্রী।

 

          অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সরকারি দল হিসেবে ওয়ার্ল্ড  ইউনিভার্সিটি অভ্ বাংলাদেশ ও বিরোধী দল হিসেবে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অভ্ বাংলাদেশকে পরাজিত করে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি চ্যাম্পিয়ন হয়।

 

 

#

কামরুল/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৮৫৫ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ২৯৫৮

 

শিক্ষাই জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চাবিকাঠি

                 ---প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :

 

          প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, শিক্ষাই জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চাবিকাঠি এবং দক্ষ মানব-সম্পদ উন্নয়নের ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত। এ সত্যকে উপলব্ধি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৩৬ হাজার ১৬৫টি বিদ্যালয় ও ১লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন শিক্ষককে জাতীয়করণ করেন। এর ধারাবাহিকতায় তাঁরই সুযোগ্য কন্যা  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকসহ ২৬ হাজার ১৯৩ টি বেসরকারি বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন। 

 

          প্রতিমন্ত্রী আজ শেরেবাংলা নগরে এলজিইডি ভবনে রিচিং আউট -অভ্ -স্কুল চিলড্রেন (রস্ক) ফেইজ-২ এর অর্জনসমূহের পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 

 

          স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবদুর রশিদ খানের  সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন  প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রতন চন্দ্র পন্ডিত এবং রস্ক প্রকল্প পরিচালক মোঃ মাহবুব হাসান শাহীন। এলজিইডি ও ডিপিই যৌথভাবে  এ পর্যালোচনার সভার আয়োজন করে। 

 

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার  প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে  বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণসহ শিক্ষকদের নানাবিধ প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে। শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ও শারীরিক পুষ্টিমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকায় অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে  উচ্চ পুষ্টিমান সমৃদ্ধ বিস্কুটসহ রান্না করা খাবার  পরিবেশন করে যাচ্ছে। ঝরেপড়া রোধ ও অতিদরিদ্র পরিবারের সন্তান যারা প্রাথমিক শিক্ষাচক্র সম্পন্ন করতে পারেনি, সেসব  শিশুদের জন্য শিক্ষার দ্বিতীয় সুযোগ  সৃষ্টি ও কারিগরি শিক্ষা প্রদান করেছে রস্ক প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্যোক্তার সৃষ্টি হবে যারা নিজেদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাসহ অন্যের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

 

          প্রতিমন্ত্রী আরো  বলেন, চলমান কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি সত্ত্বেও প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের পাঠচর্চা ও পাঠে মনোযোগী রাখার উদ্দেশ্যে  সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের মাধ্যমে 'ঘরে বসে শিখি' পাঠদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে এবং পাশাপাশি বাংলাদেশ বেতার ও দেশের সকল কমিউনিটি রেডিও এর মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে জুম ও গুগল মিটের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাসও শুরু হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের ঘরে ঘরে ওয়ার্কশিট পৌঁছে দেওয়ার কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। 

 

#

রবীন্দ্রনাথ/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৮৩০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                                    নম্বর : ২৯৫৭

 

দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গবেষণা অপরিহার্য

                     ---মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :

 

            দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় গবেষণা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

 

            আজ রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) বাস্তবায়নাধীন পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের ইনসেপশন, অগ্রগতি ও পর্যালোচনা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। 

 

            এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে প্রাণিসম্পদ খাতের ব্যাপক ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। এ খাতের বর্তমান অবস্থাকে ছাড়িয়ে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পোল্ট্রি খাতের উন্নয়ন জোরদার করার জন্য গবেষণাকে সম্প্রসারিত করতে হবে, আরো গভীরে যেতে হবে। বিজ্ঞানী ও গবেষকদের মেধাকে আরো বিকশিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি খাতে গবেষণায় জোর দেওয়ার কথা বলেন। গতানুগতিকতার বাইরে যখনই গবেষণায় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তখনই সারাদেশে পোল্ট্রি খাত বিকশিত হয়েছে। এতে পুষ্টি চাহিদা পূরণের মাধ্যমে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে, গড় আয়ু বেড়েছে, মাতৃমৃত্যু কমেছে, শিশু মৃত্যু কমেছে। এমনকি করোনায় সৃষ্ট বেকাররা পোল্ট্রি খাতে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করে তাদের বেকারত্ব দূর করছে, উদ্যোক্তা হচ্ছে। এতে গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে।

 

            প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার স্বপ্ন ও সাধনাকে বাস্তবায়নে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাধারণ দূরদৃষ্টি ছিল। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু প্রাণিসম্পদ খাতকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তাঁর দৃষ্টি অত্যন্ত পরিকল্পিত ও বিজ্ঞানসম্মত ছিল। তাঁর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মাংস, দুধ, ডিম সংক্রান্ত খাতকে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পসহ এ খাতের সকল প্রকল্পকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।

 

            বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিলের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ তৌফিকুল আরিফ এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ শেখ আজিজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য ও প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ সাজেদুল করিম সরকার। মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিএলআরআই ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাক্তন ও বর্তমান কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীগণ এবং পোল্ট্রি খাতের বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

 

            উল্লেখ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। জুলাই ২০১৯ থেকে জুন ২০২৪ মেয়াদে ১২৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পটি রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ি, বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি, যশোর জেলার সদর উপজেলা, ফরিদপুর জেলার ভাংগা এবং নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

 

#

ইফতেখার/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৮২৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ২৯৫৬

 

দারিদ্র্য বিমোচনে  সরকার অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করছে

                                        ---প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য

 

ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :

 

            দারিদ্র্য বিমোচনে সরকার  অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য।

 

            আজ রাজধানীর নিজ সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে  যুক্ত হয়ে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বাপার্ড)-এ অনুষ্ঠিত  দারিদ্র্য বিমোচনে বাপার্ড : সম্ভাবনা ও করণীয় শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।

 

            প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’  উপলক্ষ্যে ভূমিহীন এবং গৃহহীন ৯ লাখ পরিবারের স্বপ্ন পূরণ হবে। ইতোমধ্যে লক্ষাধিক পরিবারকে জমির মালিকানাসহ বাড়ি হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উদ্যোগ গ্রহণ করে  বিশ্বের সামনে  মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন , যা নজিরবিহীন। দারিদ্র্য বিমোচনে এটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

 

            প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, জাতির পিতার পূণ্যভূমি এই গোপালগঞ্জ। তিনি বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন আত্মপরিচয় দিয়ে গেছেন। অর্থনৈতিক মুক্তির জন‍্য  আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তাঁর ইচ্ছা ছিল বাঙালি জাতি  মর্যাদার সঙ্গে সারা পৃথিবীতে বিচরণ করবে। জাতির পিতার সেই স্বপ্নসাধ পূরণে রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

 

            সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে যত উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে তার মূল লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্য বিমোচন। গবেষণা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কর্মী গড়ে তোলার পাশাপাশি দারিদ্র্য দূরীকরণে বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য বিমোচন  ও পল্লী  উন্নয়ন একাডেমি  (বাপার্ড) উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব‍্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।

 

            বাপার্ডের মহাপরিচালক শেখ মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় সেমিনারে অন‍্যান‍্যের মধ‍্যে বক্তব্য দেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোঃ রেজাউল আহসান, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সভাপতি শেখ কবির হোসেন এবং  বিআরডিবির মহাপরিচালক সুপ্রিয় কুমার কুন্ডু।

 

#

আহসান/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৮০১ ঘণ্টা 

Handout                                                                                                          Number: 2955

A seminar on Bangabandhu and Bangladesh in Abuja

Abuja (Nigeria) , 26 June

            Bangladesh High Commission in Nigeria marked the Birth Centenary of the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, by holding a seminar on ‘ Bangabandhu and Bangladesh: Vision for Peace and Development’ in Baze University, Abuja on 24 June 2021.  The seminar focused on Bangabandhu’s historic and visionary role  for the emergence of Bangladesh and its constitution, while delving into his peace centric agenda for development.

 

            Vice Chancellor of Baze University of Abuja Professor Dr. Tahir Mamman, High Commissioner of Bangladesh to Nigeria Masudur Rahman and Registrar of Baze University Dr. Mani Ibrahim Ahmad were the discussants in the seminar while Faculty heads about 100 students and Bangladesh community were present.   

Bangladesh High Commissioner paid rich tribute to the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman and highlighted  his  visionary and charismatic leadership of Bangabandhu in achieving independence of the country. He also delved into the details, focusing on the significant movements from 1947 to 1971 until Bangladesh became Independent, as well as the guiding principles of Constitution of Bangladesh. The High Commissioner highlighted the glorious moment of the Birth Centenary of the Father of the Nation coinciding with the 50th Anniversary of Independence of Bangladesh.

Mr. Rahman mentioned that Bangabandhu was not only the architect of Independence of Bangladesh but also a strong voice for the oppressed and peace-loving people of Africa and beyond. He added that ‘Friendship to all, malice towards none’ was the masterstroke of Bangabandhu’s foreign policy. He also gave an elaborate presentation of the socio-economic transformation Bangladesh made under the able leadership of Prime Minister Sheikh Hasina on the way to realising the self-reliant ‘Golden Bengal’ as dreamed by Bangabandhu. Highlighting the strong fiscal policy, stable macro-economic policy, steady economic growth and ongoing mega development projects of the country, the High Commissioner apprised that Bangladesh’s development journey is a glowing example in Asia during the COVID pandemic. While touching briefly on Bangladesh-Nigeria bilateral relations, Mr. Rahman expressed hope to elevate the two way relations to a new height. 

In his speech, Professor Dr. Tahir Mamman extended heartiest congratulations to Bangladesh on the occasion of ‘Mujib Year’ and ‘the Golden Jubilee of Independence’, while informing that Baze University would continue to collaborate with Bangladesh High Commission in Abuja to celebrate these two events. He praised the role of Bangabandhu in historic and visionary leadership to lead Bangladesh in its Liberation War to victory, while focusing on Bangabandhu's role and contributions to peace and development worldwide including in Africa. He expressed hope that Nigeria would strive to deepen collaboration with Bangladesh in a wide areas of mutual interest including education.

#

Shah Alam/Rezzakul/Masum/2021/1314 Our

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ২৯৫৪

উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের

সম্পৃক্ত করতে হবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :

            ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের সম্পৃক্ত করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে না পারলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব হবে না। দক্ষ প্রোগ্রামার তৈরি করতে পারলে দেশে এবং দেশের বাইরে কর্মসংস্থানের অভাব হবে না।  এই লক্ষ্যে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে ডিজিটাল শিক্ষাপ্রদানে বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কম্পিউটার বিজ্ঞানশিক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

            মন্ত্রী শুক্রবার ঢাকার অতীশ দীপংকর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘কোভিডকালে চাকুরির সুযোগ এবং আইটি খাতের চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।  

            মোস্তাফা জব্বার বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স, আইওটি, ব্লকচেইনসহ আগামীদিনের প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে চলার জন্য ডিজিটাল দক্ষতা তৈরি করা অপরিহার্য। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আমরা ৬শত ৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রোগ্রামিংসহ ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাপ্রদানের একটি উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছি। দেশীয় মোবাইল কারখানা থেকে ৫জি মোবাইল উৎপাদন হচ্ছে এবং বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। দেশের শতকরা সত্তর ভাগ মোবাইলের চাহিদা স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মোবাইল থেকে মেটানো সম্ভব হচ্ছে। দেশে ৬শত ডিজিটাল সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় কোভিডকালে ঘরে বসে অফিস আদালত পরিচালনা থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামের শিশুটিও অনলাইনে পড়ালেখা করতে পারছে। হাওর, দ্বীপ ও প্রত্যন্তচরসহ দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইভারের মাধ্যমে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়ার কাজ     সমাপ্ত প্রায় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

            অতীশ দীপংকর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান মোঃ লিয়াকত আলী সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাসিম আক্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হাফিজ মোঃ হাসান বাবু, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোঃ নাসির উদ্দিন এবং স্যামসন আরএন্ডডি এর নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আসাদ বক্তৃতা করেন।

#

শেফায়েত/শাহ আলম/রেজ্জাকুল/মাসুম/২০২১/১৩১৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ২৯৫২

‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৪’ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ১২ আষাঢ় (২৬ জুন) :  

            “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২৭ জুন ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৪’ প্রদান উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:

            কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৪’ প্রদান উপলক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। যাঁরা এ পুরস্কার পাচ্ছেন তাদেরও আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তির মধ্যে হওয়ায় অনুষ্ঠানটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।

            সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীনের পর কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছিলেন। জাতির পিতা ২৫ বিঘা পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফসহ উন্নত কৃষি উপকরণ সরবরাহের মাধ্যমে কৃষিবিপ্লবের সূচনা করেছিলেন। ফলে কৃষিপণ্য উৎপাদনে অভূতপূর্ব সাফল্য আসে। জাতির পিতার নির্দেশে ১৯৭৩ সালে ‘বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার’ প্রবর্তন করা হয়। পরবর্তীতে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ট্রাস্ট আইন, ২০১৬’ প্রবর্তনের মাধ্যমে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার’-কে আইনগত ভিত্তি প্রদান করা হয়েছে।

            আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই কৃষিখাতকে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে আসছে। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে   সরকার-গঠনের পর কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন ধারাবাহিকতাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সর্বপ্রথম ‘নতুন জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি, ১৯৯৬’ প্রণয়ন করে। এ নীতির ভিত্তিতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের ফলে কৃষিতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয় এবং অতীতের খাদ্যঘাটতি মোকাবিলা করে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে।

            বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির কারণে কৃষিতে অর্জিত সাফল্য বাংলাদেশকে বিশ্বের  রোল-মডেলে উন্নীত করেছে। বিগত ১২ বছরে দানাদার খাদ্যশস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে ৩১%, যার পরিমাণ ১০২ লাখ মে.টন। এছাড়া সবজি, ডাল, পেঁয়াজ, আলু এবং তৈলবীজের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে ৫৩৪%, ৪৪৩%, ২৪৮%, ৯৬% ও ৭৫%। এ সময়ে বিভিন্ন ফসলের ৬৫৬টি উন্নত/উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। সারের মূল্য কমিয়ে ডিএপি প্রতিকেজি ৯০ টাকা হতে ১৬ টাকা, টিএসপি ৮০ টাকা থেকে ২২ টাকা, এমওপি ৭০ টাকা থেকে ১৫ টাকা এবং ইউরিয়া ২০ টাকা হতে ১৬ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। বিভিন্ন ফসলের বীজ সরবরাহ করা হয়েছে ১৪ লাখ ১ হাজার ৫৮২ মে. টন। বিভিন্নখাতে উন্নয়ন-সহায়তা প্রদান করা হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন-প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রায় ৭০ হাজার কৃষিয

2021-06-26-15-34-a1f0aa13d58ba54caab3dc7c60a791d8.docx