তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫১২
প্রাণিসম্পদ খাতে প্রত্যক্ষভাবে ২০ শতাংশ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে
--- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী
সাভার, ২৪ মাঘ (৬ ফেব্রুয়ারি) :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতের অব্যাহত প্রচেষ্টায় এ খাতে প্রত্যক্ষভাবে ২০ শতাংশ এবং পরোক্ষভাবে ৫০ শতাংশ লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। গবেষণালব্ধ অভিজ্ঞতায় নতুন-নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি দেশি জাতের গরু, ছাগল, ভেড়া প্রভৃতির মৌলিক মান উন্নয়ন করা হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট দেশের আবহাওয়ার সাথে মিল রেখে ব্রয়লার মুরগি, টার্কি এবং হাঁসের জাত উদ্ভাবন ও সংরক্ষণ, খাদ্যপ্রযুক্তি, ভ্যালু এডিশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ডিম, মাংস ও দুধ প্রক্রিয়াজাত করা এবং সংরক্ষণসহ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তিনি পশুপাখির রোগ প্রতিরোধের জন্য উন্নতমানের ভ্যাক্সিন এবং দেশেই পর্যাপ্ত ভ্যাক্সিন উৎপাদনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার কথাও তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) আয়োজিত “ঊীঢ়বৎরবহপব ঝযধৎরহম ড়হ জবংবধৎপয অপযরবাসবহঃ ড়ভ ঝপধাবহমরহম (উবংযর) চড়ঁষঃৎু ঈড়হংবৎাধঃরড়হ ধহফ উবাবষড়ঢ়সবহঃ চৎড়লবপঃ” শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান। এতে আরো বক্তৃতা করেন, মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ রইছউল আলম ম-ল, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, সদ্য সমাপ্ত দেশি মুরগি সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শাকিলা ফারুক।
বক্তারা বলেন, মেধাবী জাতি গড়তে হলে প্রাণিজ আমিষের বিকল্প নেই এবং এ জন্য গবেষণা কার্যক্রমকে আরো জোরদার করতে হবে। পোল্ট্রি খাতের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে গবেষণাধর্মী কর্মসূচি হাতে নেওয়া প্রয়োজন। ইতিমধ্যে বিএলআরআই উদ্ভাবিত বেশকিছু প্রযুক্তি প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, যা মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণও করা হচ্ছে বলে কর্মশালায় জানানো হয়। বিএলআরআই কতৃক উন্নয়নকৃত দেশি মুরগীর জাত ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, স্বল্প জায়গায় অধিক নিরাপদ আমিষের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অঞ্চলভিত্তিক সমস্যা নিরুপণ করে গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার শিক্ষক, বিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
#
শাহ আলম/মাহমুদ/ফারহানা/পারভেজ/সেলিম/২০১৯/২২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫১১
২০১৭ ও ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান
জুরি বোর্ড গঠিত
ঢাকা, ২৪ মাঘ (৬ ফেব্রুয়ারি) :
সরকার ২০১৭ ও ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদানের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলো মূল্যায়ন করে পুরস্কার প্রাপকদের নাম সুপারিশ করার জন্য জুরি বোর্ড গঠন করেছে।
১৩ সদস্য বিশিষ্ট ২০১৭ ও ২০১৮ সালের জুরি বোর্ডে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র) সভাপতি হিসেবে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সদস্য-সচিব হিসেবে এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (চলচ্চিত্র) ও বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ২০১৮ সালের জুরি বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অভ্ টেলিভিশন ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফির চেয়ারম্যান, চলচ্চিত্র অভিনেতা ড. এনামুল হক, সংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, গীতিকার ও সংগীত পরিচালক হাসান মতিউর রহমান, অভিনেত্রী রওশন আরা রোজিনা, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র গ্রাহক সংস্থার যুগ্ম-মহাসচিব তপন আহমেদ। ২০১৭ সালের জুরি বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অভ্ টেলিভিশন ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিউল আলম ভূঁইয়া, একুশে টেলিভিশনের সাংবাদিক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল আহসান বুলবুল, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী কোহিনুর আক্তার সুচন্দা, চলচ্চিত্র অভিনেতা ও প্রযোজক এম এ আলমগীর, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চিত্রগ্রাহক পংকজ পালিত ও সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম।
পুরস্কার প্রদানের জন্য বিবেচিত ২৮টি ক্ষেত্র হচ্ছে- আজীবন সম্মাননা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ স¦ল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ প্রামান্য চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খল চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী কৌতুক চরিত্রে, শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী, শিশু শিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক, শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক, শ্রেষ্ঠ গায়ক, শ্রেষ্ঠ গায়িকা, শ্রেষ্ঠ গীতিকার, শ্রেষ্ঠ সুরকার, শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার, শ্রেষ্ঠ চিত্র নাট্যকার, শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা, শ্রেষ্ঠ সম্পাদক, শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা এবং শ্রেষ্ঠ মেক আপম্যান।
#
সাইফুল/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০১৯/২০২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫১০
গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণে কাজ করছে সরকার
--- এলজিআরডি মন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ মাঘ (৬ ফেব্রুয়ারি) :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের যাত্রায় গ্রামে উদ্যোক্তা তৈরি ও আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে এবং আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণে কাজ করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার তৃণমূল পর্যায়ে ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তির যে বিস্তার করেছে তার সুবিধা নিয়ে আরো সুযোগ সৃষ্টি করলে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ সহজতর হবে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ সিরডাপ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড), কুমিল্লা এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অভ্ আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট (বিআইআইডি)-এর যৌথ উদ্যোগে ‘আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তরুণ উদ্যোক্তা সৃজন’ বিষয়ক সূচনা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোঃ কামাল উদ্দিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড), কুমিল্লার মহাপরিচালক ড. এম মিজানুর রহমান, বিআইআইডি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শহীদ উদ্দিন আকবর উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী গ্রামের বিশেষ করে ১৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সী যুবক-যুবতীগণের নিকট থেকে উদ্ভাবনী ব্যবসার ধারণা ও প্রস্তাবসমূহ পরীক্ষা করে তা বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ^াস দেন। উদ্যোক্তা তৈরির এ উদ্যোগ সফল করতে মোবাইলসহ তথ্যপ্রযুক্তির অন্যান্য উপকরণসমূহ সহজলভ্য করার উপরও জোর দেন। যথাযথ পরিকল্পনা নিয়ে যুবদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া গেলে তারা যেমন নিজেদের কর্মসংস্থান নিজেরাই করতে পারবে তেমনি গ্রামীণ অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগের প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য মেধা ও প্রযুক্তি ভিত্তিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। তরুণদের চাকুরিমুখী না করে কর্মসংস্থানের জন্য উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। তিনি সব উপজেলায় একটি করে ডিজিটাল সেন্টার চালু করতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন।
কর্মশালায় সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি ছাড়াও বিপুল সংখ্যক যুব অংশগ্রহণ করেন। বার্ড ও বিআইআইডি’র যৌথ উদ্যোগে আইসিটি এপ্লিকেশন ব্যবহার করে ব্যবসা প্রোটোটাইপিং, আইসিটি সলিউশন, মনিটরিং, কোচিং ও মেন্টরিং এর উপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।
#
হাসান/মাহমুদ/এনায়েত/পারভেজ/জয়নুল/২০১৯/২১১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫০৯
রেল জনগণের আস্থার বাহনে পরিণত হয়েছে
--- রেলপথ মন্ত্রী
ঠাকুরগাঁও, ২৪ মাঘ (৬ ফেব্রুয়ারি) :
রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, এক সময়ের অবহেলিত রেল আজ জনগণের আস্থার বাহনে পরিণত হয়েছে। নিরাপদ, আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী বাহন হওয়ায় মানুষ রেলকে তাদের প্রথম পছন্দ হিসেবে গ্রহণ করছে।
রেলপথ মন্ত্রী আজ ঠাকুরগাঁও রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, সরকার রেলকে গুরত্ব দিয়ে এর সেবাকে জনগণের কাছাকাছি নেওয়ার চেষ্টা করছে। ১৯৬৫ সালের পূর্বে বাংলাদেশের সাথে ভারতের যে সব সংযোগ ছিল পরবর্তীতে বন্ধ হয়ে যায় সেগুলো পুনরায় চালুর উদ্যেগ নেওয়া হচ্ছে। পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে ভুটান, নেপালের সাথে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। ফলে দেশগুলোর মধ্যে যাতায়াতসহ পণ্য আমদানি রপ্তানি সহজ হবে। ফলে সংশ্লিষ্ট সকল দেশ উপকার পাবে। খুলনা-মংলা রেললাইন চালু হলে এ অঞ্চলের সাথে বাণিজ্যিক প্রসার ঘটবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনকালে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন স্টেশনগুলোকে আধুনিকায়নের কাজ দ্রুত শুরু করা হবে। স্টেশনগুলোকে যাত্রীবান্ধব করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বাথরুমসহ স্টেশনের যাবতীয় সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে। নতুন আসা কোচগুলোতে পরিবেশবান্ধব টয়লেটের ব্যবস্থা করা হবে ।
রেলপথ মন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, রেলের উন্নয়নে নতুন অনেক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে। এক সময়ের অবহেলিত রেল আজ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। টিকেট কালোবাজারি রোধে এনআইডি নম্বর ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) সৈয়দ শহিদুল হক, প্রধান প্রকৌশলী (পশ্চিম) মোঃ আফজাল হোসেন, এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
শরিফুল/মাহমুদ/ফারহানা/পারভেজ/জয়নুল/২০১৯/২০৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫০৮
তামাক নিরুৎসাহিত করতে সরবরাহ কমানোর নির্দেশ স¦াস্থ্যমন্ত্রীর
ঢাকা, ২৪ মাঘ (৬ ফেব্রুয়ারি) :
তামাক ব্যবহার ও ধূমপান ত্যাগ করার লক্ষ্যে তথ্য বাতায়ন ‘কুইট লাইন’ দ্রুত চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বেচ্ছায় ধূমপান বা তামাক ত্যাগকে উৎসাহিত করতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানের জন্য ‘কুইট লাইন’ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। পাশাপাশি দেশে ধূমপান ও তামাকজাত পণ্যকে নিরুৎসাহিত করতে সমন্বিতভাবে চাহিদা ও সরবরাহ কমানোর উদ্যোগ নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে যৌথভাবে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
আজ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ‘তামাকের ওপর আরোপিত সারচার্জ ব্যবস্থাপনা’ সংক্রান্ত কমিটির প্রথম সভায় সভাপতিত্বকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন। সভায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসানসহ স্বাস্থ্য, অর্থ, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, শিক্ষা, কৃষি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিপ্রায় অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার রোডম্যাপ এবং ২০১৯ -২৩ সাল মেয়াদী কর্মপরিকল্পনার খসড়া ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণয়ন করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, তামাক ও ধূমপান অনেক অসংক্রামক রোগের অন্যতম কারণ। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনিজনিত রোগসহ নানাবিধ রোগ তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের কারণে জটিল রূপ নেয়। সরকার অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে যে সব কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে সেগুলোকে সফল করতে হলে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমানোর ওপর জোর পদক্ষেপ নিতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি ধূমপান ও তামাক বিরোধী প্রচার কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি সচিবালয়কে সম্পূর্ণরূপে ধূমপানমুক্ত করতে এর অভ্যন্তরে ধূমপান ও তামাকজাত পণ্য বিক্রয় বন্ধের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
তামাকের ওপর আরোপিত সারচার্জ থেকে কিছু অংশ তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত গরীব রোগীদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে ব্যয় করা যায় কি না তা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করে কার্যকরি উপায় বের করার জন্য কমিটির সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স¦াস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনের বাস্তবায়নে স্টেক হোল্ডারদের প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করতে হবে। এই আইনের কঠোর প্রয়োগে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস জরুরি।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে হলে এগুলোর ওপর উচ্চ কর ধার্য করতে হবে। পাশাপাশি গণমাধ্যমে তামাকের ক্ষতিকর দিকসমূহের প্রচার কার্যক্রম বাড়ানোর ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ও অন্যান্য উৎস হতে আহরিত অর্থ খাতওয়ারী বিভাজন অনুমোদন করা হয়।
#
পরীক্ষিৎ/মাহমুদ/এনায়েত/পারভেজ/জয়নুল/২০১৯/২০৫০ঘণ্টা
Handout Number : 507
Poland’s Deputy Minister meets Foreign Minister
Dhaka, February 6 :
Poland’s First Deputy Minister of Energy Grzegorz Tobiszowski met Foreign Minister Dr. A. K. Abdul Momen at the latter’s office today.
Recalling the support of Poland in our Liberation War in 1971, Foreign Minister Dr. Momen expressed gratitude to the Polish people and stressed on further enhancing the existing bilateral relations between the two time-tested friendly countries in the days ahead. He thanked the Polish government for extending support for the Rohingya crisis and urged the Polish government to continue its support for ensuring safe and dignified return of Rohingya from Bangladesh to Myanmar.
On trade issues, he mentioned that in addition to RMG, considering the quality and price the Polish government may import our pharmaceuticals in large scale for the benefit of the two peoples. The Deputy Minister assured to convey this message to the appropriate authorities in Poland.
Mentioning the investment-friendly environment of Bangladesh, Foreign Minister Dr. Momen invited the Polish investment in Bangladesh in the sector like- Energy, leather and footwear, agro-processing, food processing and packaging etc. He also urged the Polish government to recruit Bangladeshi semi-skilled and skilled workers and professionals in the sectors like health care, construction, agriculture, industries and tourism to fulfill labour shortage in Poland. He also asked to consider of easing visa issuance process for Bangladeshi businessmen, visitors and students. Putting emphasis on the cooperation in Blue Economy, the Foreign Minister suggested that the two countries may explore the possible areas of cooperation in the promising blue economy sector.
The Polish Deputy Minister of Energy noted the existing friendly relations between the two countries and stressed on enhancing cooperation particularly in the sectors including science and technology, industry, trade and commerce etc. He stated that the Polish side is interested to sign MoU/Agreement on cooperation in those fields to strengthen the existing bilateral relations. He also informed the Polish government is ready to consider investment of US$ one billion in Bangladesh mainly in mining sectors including coal mining.
Apart from bilateral issues, views on regional and international issues of mutual concern were exchanged during the meeting. Both sides agreed to maintain cooperation in different multilateral platforms.
#
Marzuk/Mahmud/Parvez/Salim/2019/1900 Hrs
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫০৬
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সারা দেশে সার্বিকভাবে উন্নয়নের একটা কর্মযজ্ঞ চলছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ সকল ক্ষেত্রে সরকার সমানভাবে কাজ করছে। পাশাপাশি সাহিত্য শিল্পকলায়ও সমান গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা গ্যালারিতে আর্টহক নামক এক প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে চার দিনব্যাপী চিত্রকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘এক সময় আমরা চোরাগলির পথে ঘুরেছি। আমরা এখন সামনে এগোতে চাই। নতুন প্রজন্ম যাতে একুশ শতকের জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিক্ষা ও শিল্পকলার আধুনিক পৃথিবীর সাথে সংযোগ স্থাপন করে তাল মিলিয়ে চলতে পারে সে পথে যেতে চাই।’ তিনি ইতিহাস শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘আমাদের পরিচয় আমরা বাঙালি এবং বাঙালি হিসেবেই যেন আমাদের পরিচয় প্রতিষ্ঠা পায়।’
অনুষ্ঠানে হলিক্রস কলেজের সাবেক শিক্ষক জুলেখা মান্নান ও প্রদর্শনীর উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাইয়ান মাহবুব বক্তৃতা করেন। প্রদর্শনীতে নতুন প্রজন্মসহ দেশের প্রথিতযশা চিত্র শিল্পীর চিত্রকর্ম স্থান পায়।
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫০৫
আজ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহারের সাথে তাঁর অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইউএন উইমেনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ঝযড়শড় ওংযরশধধি.
সাক্ষাতের সময় ওংযরশধধি বলেন, বাংলাদেশ সরকারকে এই বৎসর সিএসডব্লিউ (কমিশন অন দা স্টেটাস অভ্ উইমেন), বেইজিং প্লাস-২৫, সিডো এবং এসডিজি বাস্তবয়ন অগ্রগতি রিপোর্ট প্রদান করতে হবে। এই সকল রিপোর্ট প্রণয়নে টেকনিক্যাল সহযোগিতা করতে চায় ইউএন উইমেন বাংলাদেশ। তিনি বলেন, রিপোর্ট প্রণয়ন করার ক্ষেত্রে জেন্ডার সংশ্লিষ্ট তথ্য উপাত্ত পাওয়া অনেক সময় খুবই কঠিন হয়। এ সকল তথ্য উপাত্ত সংরক্ষণের জন্য একটি ডেটাবেইজ তৈরি করা জরুরি। এই জন্যে জেন্ডার স্টাটিসটিকস প্রজেক্ট প্রণয়নে (জিএসপি) সহায়তার করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
এ সময় সচিব কামরুন নাহার বলেন, ইউএন উইমেন বাংলাদেশ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বেশ কিছু প্রকল্পে আর্থিক ও টেকনিক্যাল সহযোগিতা করছে যা খুবই প্রশংসনীয়। তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইউএন ইউমেনের পারস্পরিক সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।