তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪২৪
দেশীয় উপকরণে শিল্প স্থাপনে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার
-- শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ৩০ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর) :
দেশীয় উপকরণ ব্যবহার করে শিল্প স্থাপনে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৬তে হারবাল ওষুধ ও পণ্য উৎপাদনকারী শিল্পকে অগ্রাধিকার শিল্পখাতের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে ইতোমধ্যে দেশে ভেষজ ওষুধ ও পণ্য উৎপাদনের ৪ শতাধিক শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব কারখানা থেকে প্রতিবছর ৩শ’ ৩০ কোটি টাকার পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। এসব পণ্য যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে বলে তিনি জানান।
শিল্পমন্ত্রী আজ নিরাপদ স্বাস্থ্য বিষয়ক তিন দিনব্যাপী‘ হেলথ এন্ড ফিটনেস-২০১৭’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান। রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন সিকদার এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী ভেষজ পণ্য ও ওষুধের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে বিশ্ববাজারে ৭১ দশমিক ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের হারবাল পণ্যের চাহিদা রয়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও এ চাহিদায় কোনো ধরনের ভাটা পড়েনি। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৫০ সাল নাগাদ এর পরিমাণ দাঁড়াবে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে। বাংলাদেশের প্রায় ৫০০ প্রজাতির ঔষধি উদ্ভিদ চাষ হয় উল্লেখ করে তিনি রপ্তানির সুযোগ কাজে লাগাতে এ ধরনের উদ্ভিদভিত্তিক শিল্পকারখানা গড়ে তোলার তাগিদ দেন। কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনে বর্তমান সরকার পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রণোদনার নীতি গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে এ শিল্পখাতে কর রেয়াতসহ বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এ প্রদর্শণীতে চীন, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান, কোরিয়া ও বাংলাদেশের ৪১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ৮৭টি স্টলে শরীরচর্চার আধুনিক উপকরণ ও হারবাল পণ্যসামগ্রী প্রদর্শিত হচ্ছে। এ প্রদর্শনী নাগরিক সমাজের মাঝে শারীরিক সুস্থতা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
#
জলিল/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪২৩
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৩০ অগ্রহায়ণ (১৪ ডিসেম্বর) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে আজ বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত রি সং হাইয়ন (জর ঝড়হম ঐুড়হ) সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর অফিসকক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় তাঁরা পারস্পারিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে যে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে, তাতে দক্ষিণ কোরিয়ার অংশগ্রহণ কম। বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, টার্মিনাল স্থাপন, কয়লা বা কঠিন শিলা উত্তোলনে দক্ষিণ কোরিয়ার বাংলাদেশে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে এ খাতে ২১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। আরো বিরাট অংকের বিনিয়োগের প্রয়োজন। দক্ষিণ কোরিয়া এ বিনিয়োগের অংশীদার হতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে সহযোগিতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। পারস্পারিক সহযোগিতা উভয় দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।
#
আসলাম/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪২০
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪১৯
জাতিকে মেধাশূন্য করতেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল
- স্পিকার
পীরগঞ্জ, ৩০ অগ্রাহয়ণ (১৪ ডিসেম্বর) :
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতিকে মেধাশূন্য করার হীb চক্রান্ত চরিতার্থ করতে বিজয়ের ঠিক আগ মুহূর্তে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাতির সূর্যসন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার আলবদরেরা। সেইসব বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের জাতি শ্রদ্ধাভরে চিরদিন স্মরণ করবে।
স্পিকার আজ তার নির্বাচনী এলাকা পীরগঞ্জ শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০১৭’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে একথা বলেন।
স্পিকার বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ
২৩ বছরের লড়াই-সংগ্রামের ফসল স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ও ৭ মার্চের দিক নির্দেশনামূলক ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে জাতি, ধর্ম, বর্ণনির্বিশেষে সকলস্তরের মুক্তিকামী জনতা সেদিন মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল আর বিজয়ী বীরের বেশে তাঁরা ঘরে ফিরেছিল।
ড. শিরীন বলেন, শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের ইতিহাস ও স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তরুণ প্রজন্মকে জানাতে হবে। স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দেশের জন্য জাতির পিতার সংগ্রামের ইতিহাস, ৩০ লাখ শহিদদের আত্মত্যাগ, ২ লাখ মা বোনের ত্যাগের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। তিনি নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে দেশ গড়তে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য World Heritage হিসেবে ইউনেস্কোর International Memory of the World Register এ অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় দেশ ও জাতি গর্বিত। শিক্ষার্থীদেরকে তিনি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বারবার শোনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ৭ মার্চের বাণীর মর্ম অনুধাবন করতে এবং একই সাথে তা ধারণ করতে হবে ।
জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদ্দুজ্জামান, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম, শাহাদাত হোসেন বকুল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড এর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং সর্বস্তরের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। পরে শহিদ বুদ্ধিজীবিদের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
#
তারিক/অনসূয়া/শহিদ/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১৬০০ ঘণ্টা