তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৯৫৭
পার্বত্য এলাকায় দৃশ্যমান উন্নয়ন হচ্ছে
-- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী
বান্দরবান, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর):
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, বর্তমান সরকার পার্বত্য এলাকার মানুষের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক, এ সরকারের সময়ে পার্বত্য এলাকায় দৃশ্যমান টেকসই উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, যোগাযোগ অবকাঠামো ও নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনের ফলে মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।
আজ বান্দরবান সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, যখনই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে তখনেই পার্বত্য চট্টগ্রামে আনাচে-কানাছে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। বর্তমান সরকার দেশের অন্যান্য এলাকার মতো রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মন্দির, গির্জা, বৌদ্ধবিহার, সড়ক যোগাযোগ এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন করে জনগণের ভাগ্যের চাকা সচল করেছে। তিনি এ সময় আগামীতেও এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ১০ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে বান্দরবান সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের ৭ম তলা একাডেমিক-কাম-ওয়ার্কশপ ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মন্ত্রী।
এ সময় বান্দরবান পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল কুদ্দুস ফরাজি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বিজক চাকমা, টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ নূরুল হাকিমসহ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
নাছির/সাহেলা/রাহাত/রফিকুল/সেলিম/২০২১/১৯২৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৯৫৬
বন্ধুত্বের মৈত্রী বন্ধনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে হবে
--মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর):
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বন্ধুত্বের মৈত্রী বন্ধনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে হবে। বন্ধুত্বের বন্ধনের মাঝে কোনো ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ আলাদা বিভাজন করা যায় না। নিজেকে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের পরিচয়ে পরিচিত না করে মানুষের পরিচয়ে পরিচিত করতে হবে। মৈত্রীর বন্ধন যেন ধর্মীয় চিন্তা-চেতনায় পৃথক না হয়ে যায়।
আজ রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-এর কাউন্সিল হলে আস্থা-৯৩ ফাউন্ডেশন আয়োজিত দিনব্যাপী বন্ধু উৎসব ২০২১ এর উদ্বোধন এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আস্থা-৯৩ ফাউন্ডেশনের সভাপতি টি এইচ এম জাহাঙ্গীর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, বন্ধুত্বের উচ্ছ্বাসের মধ্যে দেশাত্মবোধ, দুর্নীতিবিরোধী মানসিকতা, নৈতিকতা এবং মূল্যবোধকে জাগ্রত করে রাখতে হবে। যে মানুষের ভেতরে স্বচ্ছতা নেই, একাগ্রতা নেই, নিষ্ঠা নেই, অধ্যবসায় নেই, সে মানুষের জীবন সফল হতে পারে না।
মন্ত্রী আরো বলেন, চিত্তের বিত্তবানরাই আসল ধনী। বাইরের প্রাচুর্য, অর্থ, দালান-কোঠা দিয়ে কোনোদিন আসল ধনী হওয়া যায় না। মানুষের মধ্যে দুটি প্রবৃত্তি কাজ করে। তার একটি মনুষ্যত্ব, অপরটি হচ্ছে পশুত্ব। সমাজের উন্নয়নের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য মনুষ্যত্বকে জাগ্রত করতে হবে।
#
ইফতেখার/সাহেলা/রাহাত/মোশারফ/শামীম/২০২১/১৯০৪ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৯৫৫
সবাইকে শপথ নিয়ে প্রকৃতি ও পরিবেশ সুরক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে
---পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বিজয়ের ৫০ বছর পেরোনোর এই শুভলগ্নে সবাইকে শপথ করতে হবে দেশকে ভালোবাসার, এগিয়ে আসতে হবে প্রকৃতি ও পরিবেশ সুরক্ষায়। প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে কার্যক্রম শুরু করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার তা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ কাজ করছে।
ঢাকায় চ্যানেল আই চত্বরে “প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন-চ্যানেল আই প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক-২০২০" প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, ক্ষুদ্রপ্রাণী হতে শুরু করে আমাদের মতো মানুষ, প্রকৃতিতে প্রত্যেকেরই আছে যার যার ভূমিকা। আমাদের সেগুলো জানতে হবে। সবাইকে জানাতে হবে। তবেই আমরা বাংলাদেশকে দেখতে পাব সুখী, সুন্দর এবং সোনার বাংলাদেশ হিসেবে। তিনি বলেন, এবারের ‘প্রকৃতি সংরক্ষণ পদক' পেলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মনোয়ার হোসেন। তিনি তাঁর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় দেখিয়েছেন, যে ছোট্ট একটি প্রজাপতি প্রকৃতিতে কত বড় ভূমিকা রাখে। শুধু প্রজাপতি নয়, মৌমাছি বা ফড়িংয়ের মতো বিভিন্ন কীটপতঙ্গ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অনেক অবদান রাখছে।
প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আশরাফ উদ্দিন এবং প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী।
#
দীপংকর/সাহেলা/এনায়েত/রফিকুল/শামীম/২০২১/২২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৯৫৪
অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে সবাইকে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে
---শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর):
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে জাতিকে হয়তো আর রক্ত দিতে হবে না, লক্ষ্য বাস্তবায়নে সবাইকে শুধু যার যার জায়গা থেকে নিজের দায়িত্বটি সঠিকভাবে পালন করতে হবে।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের এলামনাই এসোসিয়েশনের সিলভার জুবিলি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশ এমন একটা সময়ে এসে পৌঁছেছে, যখন দেশের জন্য সবারই কিছু না কিছু করণীয় আছে। দেশের ব্র্যান্ডিং সবাইকে করতে হবে। সারা বিশ্বে দেশটি কী পরিচয়ে পরিচিত হবে, তা নির্ভর করবে সবাই কাজটা কতটা এগিয়ে নিতে পারছে তার ওপর।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পূর্বসূরিরা স্বদেশি আন্দোলন করেছেন, মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে রক্ত দিয়েছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন। দেশের স্বাধীনতার জন্য অনেক রক্ত দিতে হয়েছে, মা-বোনকে অসংখ্য নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য সামরিক-বেসামরিক স্বৈরশাসনসহ নানারকম স্বৈরশাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট হতে হয়েছে জাতিকে। গণতন্ত্র আনতে গিয়ে জাতি অনেক রক্ত দিয়েছে।
মন্ত্রী সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ২০২১ সালের অভীষ্ট লক্ষ্যে জাতি পৌঁছতে পেরেছে। কিন্তু ২০৩০ সালের আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি-টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য আমাদের রয়েছে, তা পূরণ করতে হবে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট অর্জন করার জন্য দেশের সামনে সময় রয়েছে মাত্র ১০ বছর। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যেসব অভীষ্ট লক্ষ্য আছে সেগুলো অর্জন করতে এখন প্রয়োজন সততা, আন্তরিকতা, মানবিকতা নিয়ে নিজের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার অভীষ্ট লক্ষ্যে আমরা পৌঁছে যাবো।
প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দীপু মনি বলেন, যারা বিদেশে রয়েছেন, তাদের আচরণ, চলন-বলন, কথা দিয়ে যেন বাংলাদেশকে চেনা যায়। সবাই কোন বাংলাদেশ দেখতে চায়-সেই স্বপ্নটাকে সামনে রেখে কাজ করতে হবে। সবাই যেন কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠতে পারে।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ তালুকদার, সঙ্গীত শিল্পী ফাহিম হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
#
খায়ের/সাহেলা/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/১৯১৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৯৫৩
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৬ হাজার ৩১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৯১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৮০ হাজার ৭৫০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৪৩ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৪৫ হাজার ২৫৯ জন।
#
ইউনুস/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/১৭২৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৯৫২
টেলিভিশনে স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য
সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়া
ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর) :
সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেলসহ সকল ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে নিম্নোক্ত বার্তাটি স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য অনুরোধ করা হলো :
মূলবার্তা :
‘‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ‘বিজয় শোভাযাত্রা’ কর্মসূচি আয়োজন করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। শোভাযাত্রাটি আগামীকাল ১৮ ডিসেম্বর দুপুর ২টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে শুরু করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক ‘বঙ্গবন্ধু ভবন’ প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হবে।”
#
আকরাম/পরীক্ষিৎ/মেহেদী/জুলফিকার/রেজ্জাকুল/মাসুম/২০২১/১৫৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৯৫১
ইতালিসহ বিভিন্ন দেশে মহান বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত
ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর):
ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করা হয়। ইতালিতে কোভিড-১৯ অতিমারীর সংকটময় পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি সশরীরে এবং অনলাইন উভয় মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। ইতালি, সার্বিয়া ও মন্টেনিগ্রোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান সকালে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে নিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এক মিনিট নীরবতা পালন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
দূতাবাসের সম্মেলনকক্ষে বিদেশি অতিথি, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সশরীরে এবং ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব আয়োজন করা হয় । পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রেরিত বাণী পাঠ এবং ‘স্বাধীনতা’ শব্দটি কি করে আমাদের হলো’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা অংশে বাংলাদেশের দু’জন অনারারি কনসালসহ অন্যান্য বিদেশি অতিথিবৃন্দ বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তীতে অভিনন্দন জানান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অভিযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেন। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু এবং সকল শহিদের প্রতি তাদের গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বঙ্গবন্ধু ও শহিদদের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন।
পরে সবাই ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুর সম্মোহনী নেতৃত্বই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের মূল চালিকা শক্তি। ২০২১ সালের বিশেষ তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, ইতিহাসের এই মাহেন্দ্রক্ষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতা ও মহান বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করছে। একই সাথে তিনি উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্যের জন্য বিশ্ব পরিমণ্ডলে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের সেবা কার্যক্রমের মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রবাসীদের আন্তরিক সহযোগিতা ও পরামর্শ কামনা করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দ ও মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং দেশের উত্তরোত্তর উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, প্রবাসী বাংলাদেশিগণ, গণমাধ্যমকর্মীগণ এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়াও, কানাডার অটোয়ায়, পর্তুগালের লিসবন, ইতালির রোম, নাইজেরিয়ার আবুজা ও মেক্সিকো সিটির বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে মহান বিজয় দিবসের ও সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করা হয়।
#
পরীক্ষিৎ/মেহেদী/জুলফিকার/রেজ্জাকুল/শামীম/২০২১/১৫৪৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরনী নম্বর : ৫৯৫০
অ্যাডভোকেট পিসি গুহের মৃত্যুতে আইনমন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর):
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট পরিমল চন্দ্র গুহর (পি.সি.গুহ) মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী আজ শোকবার্তায় বলেন, পিসি গুহ ছিলেন একজন দক্ষ, অভিজ্ঞ ও নির্ভীক আইনজীবী। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীকে হারালো।
শোকবার্তায় মন্ত্রী পিসি গুহের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
#
রেজাউল/পরীক্ষিৎ/মেহেদী/জুলফিকার/রেজ্জাকুল/শামীম/২০২১/১৩০০ ঘণ্টা
Handout Number : 5949
50th Victory Day Celebrated in Washington D C
Washington D.C, December 17 :
The Embassy of Bangladesh in Washington D C has celebrated the 50th Victory Day of Bangladesh with due respect and enthusiasm yesterday. The day’s program started at 5:00 am by joining the live telecast of the oath-taking ceremony administered by the Prime Minister Sheikh Hasina. The Embassy officials also took the oath together with the prime Minister and the whole nation.
Bangladesh Ambassador to the United States M. Shahidul Islam, along with the Bangladeshi diplomats and members of the staff of the Embassy, officially hoisted the national flag of Bangladesh in the Embassy premises. Earlier, the Ambassador placed a floral wreath at the bust of the Father of the Nation, Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman.
The messages on the occasion of the victory day from President Md Abdul Hamid, Prime Minister Sheikh Hasina, Foreign Minister Dr. A.K. Abdul Momen, and State Minister for Foreign Affairs Md Shahriar Alam were read out by the senior officers of the Embassy.
In the second part of the program held in the evening, after playing the national anthems of Bangladesh and the United States, Bangladesh Ambassador and the Guest of Honour, Dean Thompson, US State Department’s Principal Deputy Assistant Secretary in the Bureau of South and Central Asian Affairs, delivered their speeches.
Ambassador M Shahidul Islam, in his welcome remarks, recalled with profound reverence the greatest Bengali of all time and the founding Father of Bangladesh Bangabandhu, Sheikh Mujibur Rahman, who led the entire nation in the emergence of an independent and sovereign Bangladesh. He also paid deep homage to three million martyrs for their supreme sacrifices and two hundred thousand women dishonored during the Liberation War.
“We share the same vision for a free, open, and inclusive Indo-pacific region. The Government of Prime Minister Sheikh Hasina is willing to work closely with the Biden administration by setting aside any differences – if there is any. I believe our countries will be able to strengthen and advance the relationship further in the spirit of friendship and partnership,” Ambassador Shahidul Islam said.
The U.S. State Department’s Principal Deputy Assistant Secretary, Dean Thompson, said, “in the coming year 2022, the USA and Bangladesh will celebrate the 50th anniversary of the establishment of formal diplomatic ties. As we look forward to that important milestone, I am pleased and proud of the progress US-Bangladesh relationship made over the last 50 years.” “A regional leader and an economic force in South Asia, as Bangladesh continues an impressive journey, let us work together to realize many opportunities in the next 50 years our partnership will surely bring,” he also said.
#
Mehedi/Rahat/Mosharaf/Salim/2021/16.00 hours
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৯৪৮
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে মহান বিজয় দিবস ও জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালিত
নিউইয়র্ক, ১৭ ডিসেম্বর :
গতকাল যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালিত হয়।
কোভিড-১৯ এর নতুন ধরণ ‘ওমিক্রণ’ এর প্রেক্ষিতে স্থানীয় নির্দেশনা অনুযায়ী ভার্চুয়ালি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারায় সম্পৃক্ত তরুন বাংলাদেশী-আমেরিকানসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রবাসী বাংলাদেশী নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্ম-উৎসর্গকারী বীর শহীদগণের স্মরণে একমিনিট নিরবতা পালন ও তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতাসহ ১৫ আগস্টের শাহাদৎবরণকারী জাতির পিতার পরিবারের সদস্য, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ ও দুইলাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনসহ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রুপকল্প ২০২১, রুপকল্প ২০৪১ ও ডেল্টা পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এবছর নভেম্বর মাসে স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটেগরি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার জন্য আমরা জাতিসংঘের চুড়ান্ত অনুমোদন লাভ করেছি, যা জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের মর্যাদা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ নেতৃস্থানীয় ভূমিকার কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ এখন শীর্ষ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। ২০৩০ টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন, বিশ্বশান্তি রক্ষা, দারিদ্র্য দূরীকরণ বিষয়ক আলোচনা ও নারীর ক্ষমতায়নসহ বহুপাক্ষিক প্লাটফর্মে বাংলাদেশ নেতৃত্বশীল ভূমিকা রেখে চলেছে।
প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটসহ বাঙালি জাতির চুড়ান্ত বিজয় অর্জনের লক্ষ্যে জাতির পিতার দীর্ঘ সংগ্রামের নানা দিক তুলে ধরেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। জাতির পিতা ও বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের মধ্যে যারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তাদের দেশের ফিরিয়ে বিচারের আওতায় আনতে প্রবাসীদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তান এবং নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশী-আমেরিকান নেতৃবৃন্দ। তাঁরা বাংলাদেশের উন্নয়ন তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্পসমূহের বাস্তবায়নে স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে দেশবাসীকে জাতির পিতার আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বীবিত করার প্রয়াসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক শপথবাক্য পাঠ অনুষ্ঠানের রেকর্ডকৃত অংশ শোনানো হয়।
#
মিশন/মেহেদী/জুলফিকার/রেজ্জাকুল/শামীম/২০২১/১১.৫৩ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৯৪৭
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর):
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ১৮ ডিসেম্বর ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন।
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ দিবস উপলক্ষ্যে আমি অভিবাসী কর্মী, তাদের পরিবারের সদস্যবৃন্দসহ অভিবাসন প্রক্রিয়া ও অভিবাসী কল্যাণের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বছরে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘শতবর্ষে জাতির পিতা সুবর্ণে স্বাধীনতা/অভিবাসনে আনবো মর্যাদা ও নৈতিকতা’- অত্যন্ত অর্থবহ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
আওয়ামী লীগ সরকার অভিবাসন ব্যবস্থায় সুশাসন, গুণগত মানসম্পন্ন বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের কল্যাণ নিশ্চিত করতে বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিদেশে ৫টি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেনটিনিয়াল স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে। এর ফলে অভিবাসীদের সন্তানদের জন্য প্রবাসে শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বৈশ্বিক শ্রম বাজারে কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় অনেক অভিবাসী ইতোমধ্যে দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। আমরা তাদের জন্য স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। এ পর্যন্ত প্রায় ৩ লক্ষ প্রবাসী কমীকে বিশেষ ব্যবস্থায় ‘সুরক্ষা’ অ্যাপসের আওতায় এনে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের মূলকথা ‘No one should left behind’ বাস্তবায়নে আমরা সবাইকে নিয়ে একযোগে কাজ করে যাচ্ছি।
৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আমরা ৫ মিলিয়ন নতুন বৈদেশিক কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। এজন্য উপজেলা পর্যায়ে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনসহ বিশ্ব চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কোর্স চালু, আন্তর্জাতিক সনদায়নের মতো নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের যুবসমাজকে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দক্ষ হতে হবে এবং বিশ্ব শ্রমবাজারে বাংলাদেশের সুনাম সমুন্নত রাখতে হবে।
আমি ‘ আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস- ২০২১’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
সারওয়ার/পরীক্ষিৎ/মেহেদী/জুলফিকার/রেজ্জাকুল/শামীম/২০২১/১১.৪১ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৯৪৬
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২ পৌষ (১৭ ডিসেম্বর):
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ১৮ ডিসেম্বর ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০২১’ উপলক্ষ্যে আমি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত অভিবাসী বাংলাদেশি ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আমরা এ বছরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। এ প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শতবর্ষে জাতির পিতা সুবর্ণে স্বাধীনতা/ অভিবাসনে আনবো মর্যাদা ও নৈতিকতা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
শ্রম-অভিবাসন বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। আমাদের অভিবাসী কর্মীরা দেশের জন্য আয় করছেন বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিটেন্স, অবদান রাখছেন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে। অন্যদিকে, দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে তারা দেশের সুনাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছেন। রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন ও জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের অভিবাসী কর্মীরা বিশেষ অবদান রাখছেন। তারা যাতে যথাযথ প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হয়ে বিদেশে যায়, সেজন্য সরকার দেশে ৬৪টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার ও ৬টি আইএমটি স্থাপন করেছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য দক্ষ কর্মী তৈরির লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণের সুযোগ সম্প্র