Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ মে ২০২৪

তথ্যবিবরণী ৬ মে ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৪৫৪৬

 

সরকার বিনিয়োগকারীদের সকল সুবিধা নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর

                                                               ---পরিবেশমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৩ বৈশাখ (৬ মে):  

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকার বিনিয়োগকারীদের সকল সুবিধা নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর। সরকার বাংলাদেশের জনসম্পদকে জনশক্তিতে রূপান্তর, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নসহ বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে জোর দিয়েছে। বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পর্যটন, তৈরি পোশাকশিল্প, পাটজাত ও চামড়াজাত শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ সম্ভাবনা রয়েছে।

 

গতকাল বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, দুবাইয়ের আয়োজনে দুবাইয়ের একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা: পরিপ্রেক্ষিত তথ্যপ্রযুক্তির রূপান্তর ও উদ্ভূত সমস্যা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের করণীতির সাম্প্রতিক নির্দেশনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান, বিশাল কনজিউমার পপুলেশন, সহজলভ্য শ্রমিকপ্রাপ্তি সুবিধা -এসব কারণে এখানে বিনিয়োগ অনেক বেশি লাভজনক। সংযুক্ত আমিরাত সরকার, আমিরাতের ব্যবসায়ী, অন্যান্য দেশের ব্যবসায়ী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

 

বাংলাদেশ কনস্যুলেট, দুবাইয়ের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ আবু জাফর। কী নোট পেপার উপস্থাপন করেন ডি টেমপিট লিমিটেডের সহপ্রতিষ্ঠাতা মোহসেনা খানম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট, দুবাইয়ের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর আশীষ কুমার সরকার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে হুয়ায়ে টেক’র সিইও শাহরিয়ার পাভেল। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, আমিরাতের ব্যবসায়ী, সাংবাদিকবৃন্দ, ভারত, শ্রীলংকাসহ অন্যান্য দেশের ব্যবসায়ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনার বিভিন্ন ক্ষেত্র তথা নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পর্যটন, তৈরি পোশাকশিল্প, পাটজাত ও চামড়াজাত শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি খাত, কৃষিপ্রযুক্তি খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রভূত সম্ভাবনার বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।

 

                                                  #

 

দীপংকর/শফি/মোশারফ/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/২২০২ ঘন্টা 

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৪৫৪৫

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে হবে                             

                                        ---সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ বৈশাখ (৬ মে):  

 

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি বলেছেন, প্রতিটি স্থাপনায় প্রতিবন্ধীদের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে হবে। তারা যেন যানবাহন, রাস্তা ঘাট, হাট-বাজারসহ সকল প্রতিষ্ঠানে অবাধে প্রবেশ করতে পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

মন্ত্রী আজ রাজধানীর আগারগাঁওস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে ‘১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে সোসাইটি ফর দি ওয়েলফেয়ার অভ্ অটিস্টিক চিলড্রেন (সোয়াক) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।

সোয়াকের চেয়ারপারসন সুবর্ণা চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার ও এফবিসিসিআই’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ আমিন হেলালি।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কন্যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক সায়েমা ওয়াজেদ বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক সচেতনতা তৈরিতে অগ্রদূতের ভূমিকা রেখেছেন। তিনি অটিজম ও স্নায়ু বিকাশ জনিত সমস্যা বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন হিসেবে এ বিষয়ে সচেতনতা ও নীতি তৈরিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশে এনডিডি ও অটিজম বিষয়ে আজ মানুষের মাঝে যে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে এটি সিংহভাগ কৃতিত্ব তার। আজ বাংলাদেশের সাধারণ পরিবারগুলোর মাঝে অটিজম সচেতনতা তৈরি হচ্ছে এবং তারা তাদের সন্তানের প্রতিবন্ধিতা শনাক্ত করতে সক্ষম হচ্ছেন। ‌ প্রশিক্ষণ ও চিকিৎসা সেবা নিয়ে সরকার তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। তবে আমাদের যেতে হবে আরো বহুদূর।

ডা. দীপু মনি আরো বলেন, অটিজম বিষয়ক সচেতনতা তৈরি ও তাদের জীবন প্রণালীর সঠিক ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ চিকিৎসা সহায়তা পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সরকার, নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন ২০১৩, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩, নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্ট বিধিমালা ২০১৫, প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা বিধিমালা ২০১৫, বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিলিং আইন ২০১৮ এবং প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা, ২০১৯ প্রণয়ন করেছেন। এই আইন এবং বিধিমালা প্রণয়ন এবং সেই সম্পর্কিত কার্যক্রম থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার রক্ষায় কতটা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গৌরবময় অধ্যায় হিসেবে লেখা থাকবে।

এনডিডি সুরক্ষা ট্রাস্টের আওতায়, চলতি অর্থবছরে ২০২৩-২৪ দেশের ১৪ টি স্থানে প্রকল্প হিসেবে ১৪ টি অটিজম ও এনডিডি সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশের আটটি বিভাগে আটটি চিকিৎসা, শিক্ষা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও মন্ত্রী জানান।

                                               #

 

জাকির/শফি/মোশারফ/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/২০২৭ ঘন্টা 

Handout                                                                                                               Number : 4544

To prevent re-fires in Sundarbans drone monitoring continues and

a committee formed for assessment of biodiversity loss due to fires

Dhaka, 6 May: 

            The forest workers put out the scattered small fire and smokes in all the places through team-based own fire fighting equipment in Amurbunia patrol post under Chandpai range under Sundarban East Forest Division, Bagerhat.  Although the fire is completely under control, the forest department is now constantly monitoring it through drones. Smoke from the fire was detected three times today by drone monitoring and quickly extinguished. The area of ​​the fire was 7.9 acres, out of which 5 acres were damaged.

            In the case of forest fires, the fire also remains deep in the soil in the roots of the trees, which can then re-ignite or smoke after a few hours.  Therefore, to avoid any kind of accident, from today till the next three days, the patrol team of the forest department will be responsible for fire monitoring and extinguishing any new fire at any place.

            Currently, along with the forest department, fire service and police force members are on duty at the spot.  The fire service team will also be present at the spot tomorrow.  Coast Guard, Navy and Air Force personnel left the scene as the fire was brought under control.  Environment, Forest and Climate Change Minister Saber Hossain Chowdhury, Secretary Dr.  Farhina Ahmed and Chief Conservator of Forests Md. Amir Hossain Chowdhury are supervising and coordinating the fire fighting activities of Sundarbans round the clock.

            On the other hand, the Forest Department has formed a committee to assess the loss of biodiversity in the wake of the Sundarban fire. Under the signature of Md. Amir Hossain Chowdhury, Chief Conservator of Forest Department, this committee has been formed with Mihir Kumar Doe, Conservator of Forests of Khulna Region, as Chairman and Divisional Forest Officer of Khulna Management Planning Department as Member-Secretary.  Other members of the committee are representatives of the Department of Environment; Divisional Forest Officer, Bagerhat, Sundarban East Forest Division; Dr. S. M Feroz, Professor of Forestry and Wood Technology discipline of Khulna University; Dr. Swapan Kumar Sarker, Mangrove Ecologist of Aranyak Foundation and Professor of Shahjalal University of Science and Technology, Sylhet and representative of Wildlife Conservation Society.

            The committee has been asked to submit a detailed report within the next 10 working days assessing the damage to forest resources and biodiversity and making recommendations about the next steps to be taken.

#

Dipankar Bar /Shafi/Mosharaf/Joynul/2024/2000 hour

তথ্যববিরণী                                                                                               নম্বর : ৪৫৪৩

সুন্দরবনে পুনঃঅগ্নিকাণ্ড রোধে ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং

এবং অগ্নিকাণ্ডে জীববৈচিত্র্যে ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন

ঢাকা, ২৩ বৈশাখ (৬ মে):

          সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ, বাগেরহাট এর আওতাধীন চাঁদপাই রেঞ্জের অন্তর্গত আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির নিয়ন্ত্রণাধীন বনাঞ্চলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর যে সকল স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে ছোট পরিসরে আগুন ও ধোঁয়া দেখা যাচ্ছিল গতকাল সারা রাত বন কর্মীগণ দলভিত্তিক নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং ইকুপমেন্টের মাধ্যমে সব স্থানের আগুনই নিভিয়ে ফেলেছেন। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বন বিভাগের পক্ষ থেকে এখন ড্রোনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে। ড্রোন দ্বারা মনিটরিং এর মাধ্যমে আজ তিনবার আগুনের ধোঁয়া শনাক্ত করে তা দ্রুত নিভিয়ে ফেলা হয়েছে।

          বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন বর্গকিলোমিটার এলাকার অগ্নিকাণ্ডের কথা বলা হলেও প্রকৃত পক্ষে অগ্নিকাণ্ডের ব্যপ্তি ছিলো ৭ দশমিক ৯ একর যার মধ্যে ৫ একর এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

          বনের আগুনের ক্ষেত্রে মাটির গভীরে গাছের শিকড়ের মধ্যেও আগুন থেকে যায়, যা পরবর্তীতে কয়েক ঘণ্টা পরে পুনরায় আগুনের বা ধোঁয়ার সূত্রপাত ঘটাতে পারে। সেজন্য যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে আজ থেকে আগামী তিন দিন পর্যন্ত ঘটনাস্থলে বন বিভাগের টহল দল আগুন মনিটরিং এবং কোনো স্থানে নতুন কোনো আগুনের সূত্রপাত ঘটলে তা নিভিয়ে ফেলার জন্য দায়িত্বরত থাকবেন।

          বর্তমানে ঘটনাস্থলে বন বিভাগের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যগণ দায়িত্বরত আছেন। ফায়ার সার্ভিসের টিম আগামীকালও ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকবেন। আগুন নিয়ন্ত্রিত হয়ে যাওয়ায় কোস্টগার্ড, নৌ-বাহিনী এবং বিমান বাহিনীর সদস্যগণ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী সুন্দরবনের আগুন নির্বাপণ কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিকভাবে তদারকি ও সমন্বয় করছেন।

          অপরদিকে, সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের প্রেক্ষিতে জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের লক্ষ্যে কমিটি গঠন করেছে বন অধিদপ্তর। বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরীর স্বাক্ষরে খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো-কে সভাপতি এবং খুলনার ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে সদস্য-সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যগণ হলেন পরিবেশ অধিদপ্তর এর প্রতিনিধি; সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ, বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা; খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. এস এম ফিরোজ; আরণ্যক ফাউন্ডেশনের ম্যানগ্রোভ ইকোলজিস্ট এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের প্রফেসর ড. স্বপন কুমার সরকার এবং ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটি এর প্রতিনিধি।

          কমিটিকে আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের প্রেক্ষিতে বনজসম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ প্রণয়ন পূর্বক বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

#

দীপংকর/পাশা/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২০১০ঘণ্টা

তথ্যববিরণী                                                                                                  নম্বর : ৪৫৪২

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাথে সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

ঢাকা, ২৩ বৈশাখ (৬ মে):

          বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে আজ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার ডেরেক ল (Derek Loh) সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। 

          প্রতিমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ¦ালানি খাতে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রযুক্তির ব্যবহার উত্তরোত্তর বাড়ছে। সার্বিকভাবে বাংলাদেশ অটোমেশনের দিকে যাচ্ছে। যা বিনিয়োগের সুযোগ বাড়াচ্ছে। আগামী ৫ বছরে প্রযুক্তি খাতে ৫০ থেকে ৬০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে।

          হাইকমিশনার সিঙ্গাপুরের আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনাকালে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ¦ালানি নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় পারমাণবিক বিদ্যুৎ, বায়ু বিদ্যুৎ, সৌর বিদ্যুৎ, ক্লিন এনার্জি, সৌর বিদ্যুতের মূল্য, স্মার্ট গ্রিড, ডাটা সেন্টার, এলপিজি ও এলএনজি টার্মিনাল, স্টোরেজ সিস্টেম, রিফাইনারি, অটোমেশন, বিদ্যুৎ আমদানি ও রপ্তানি নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা হয়।

          আলোচনাকালে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকাস্থ সিঙ্গাপুর হাইকমিশনের চার্জ দ্য এফেয়ার্স শীলা পিল্লাই     (Sheela Pillai) উপস্থিত ছিলেন।

#

আসলাম/পাশা/শফি/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০১০ঘণ্টা

  

তথ্যববিরণী                                                                                                          নম্বর : ৪৫৪১

আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা স্বাধীনতাবিরোধীদের নীলনকশার অংশ

                                                               --- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ বৈশাখ (৬ মে):

          মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, অসম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আহসানউল্লাহ মাস্টারের অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ করবে।

          মন্ত্রী আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে বরেণ্য রাজনীতিবিদ শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। আহসানউল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

          মন্ত্রী বলেন, আহসানউল্লাহ মাস্টার একাধারে বীর মুক্তিযোদ্ধা, জাতীয় শ্রমিক নেতা, সাবেক এমপি, বরেণ্য রাজনীতিবিদ। তাই স্বাধীনতাবিরোধীদের নীল নকশায় আহসানউল্লাহ মাস্টারকে হত্যা করা হয়।

          মন্ত্রী বলেন, ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর, ২০০৪ এর ২১ আগস্ট এবং আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা। আহসানউল্লাহ মাস্টারের মতো নিবেদিতপ্রাণ নেতা যারা ছিলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা বিভিন্ন সময় তাদের হত্যা করেছে। প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে হত্যা করতে এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। আহসানউল্লাহ মাস্টারের হত্যার রায় বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে অচিরেই জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

          শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল বাতেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে দ্য ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, শ্রমিক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতাউর রহমান বক্ততা করেন।

#

এনায়েত/পাশা/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৯০০ঘণ্টা

 

তথ্যববিরণী                                                                                                  নম্বর : ৪৫৪০

তথ্য কমিশনের শুনানি অনুষ্ঠিত : অভিযোগ নিষ্পত্তি

ঢাকা, ২৩ বৈশাখ (৬ মে):

          তথ্য কমিশন বাংলাদেশে আজ তথ্য অধিকার আইনের আওতায় ৫টি অভিযোগের শুনানি করে ৪টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করে।

          তথ্য কমিশন বাংলাদেশ এর প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক, তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক এবং তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি শুনানি গ্রহণ করেন।

          আজ তথ্য কমিশন বাংলাদেশের জনসংযোগ কর্মকর্তা লিটন কুমার প্রামাণিক এ তথ্য জানিয়েছেন।

#

লিটন/পাশা/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৮১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৪৫৩৯

বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের ‘সাধারণ চিকিৎসা অনুদান’ সেবার অনলাইন সফটওয়্যার চালুকরণ

ঢাকা, ২৩ বৈশাখ (৬ মে) :  

        বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের সাধারণ চিকিৎসা অনুদানের ফরম-০১ সংশোধনপূর্বক যুগোপযোগীকরণ এবং ‘সাধারণ চিকিৎসা অনুদান’ এর আবেদন অনলাইনে গ্রহণের ব্যবস্থা চালু করার বিষয় ৩৭তম বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের সভায় অনুমোদন করা হয়েছে। পরে বিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ফরমটি কার্যকর করা হয়।

          স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের কাজের গতিশীলতা ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধি, নাগরিক সেবা প্রদান প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজিকরণের উদ্দেশ্যে সাধারণ চিকিৎসা অনুদানের অনলাইন সফটওয়্যার উন্নয়ন করে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর ডাটা সেন্টারে হোস্টিং করা হয়েছে।

বোর্ডের ‘সাধারণ চিকিৎসা অনুদান’ সেবার অনলাইন সফটওয়্যার চালুর বিষয়ে নির্দেশনাসমূহ হলো- (ক) বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে সাধারণ চিকিৎসা অনুদানের আবেদন প্রচলিত নিয়মের পরিবর্তে চলতি বছরের
১ জুন থেকে অনলাইনে URL: https://eservice.bkkb.gov.bd/general ব্যবহার করে আবেদন দাখিল করতে হবে। অনলাইনে দাখিলকৃত আবেদন ফরম ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসমূহ আবেদনের হার্ডকপি প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করতে হবে। (খ) প্রাথমিক পর্যায়ে পাইলট প্রক্রিয়া হিসেবে প্রধান কার্যালয়ের অধিক্ষেত্রে অবস্থিত অর্থাৎ শুধু ঢাকা মহানগরের সকল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ প্রদত্ত লিংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। পরবর্তীতে এ কার্যক্রম বিভাগীয় পর্যায়ে চালু করা হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সম্প্রতি এ তথ্য জানানো হয়েছে।

#

আবদুল্লাহ/সিরাজ/রবি/সাজ্জাদ/শামীম/২০২৪/১৫৫৫ ঘন্টা  

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ৪৫৩৮

‘বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের ‘জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসা অনুদান’

সেবার অনলাইন সফটওয়্যার চালুকরণ

বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসা অনুদানের আবেদন  ফরম-০৮ সংশোধনপূর্বক যুগোপযোগীকরণ এবং জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসা অনুদানের Online Application System চালু করার বিষয় ৩৭তম বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড সভায় অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে। পরে বিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ফরমটি কার্যকর করা হয়।

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের কাজের গতিশীলতা ও উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধি, নাগরিক সেবা প্রদান প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজিকরণের উদ্দেশ্যে জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসা অনুদানের অনলাইন সফটওয়্যার উন্নয়ন করে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর ডাটা সেন্টারে হোস্টিং করা হয়েছে।

জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসা অনুদানের আবেদন প্রচলিত নিয়মের পরিবর্তে চলতি বছরের ২মে থেকে URL:https//eservice.bkkb.gov.bd ব্যবহার করে অনলাইনে আবেদন দাখিল করতে হবে। অনলাইনে দাখিলকৃত আবেদন ফরম ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনের হার্ড কপি মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড, ঢাকা বরাবরে প্রেরণ করতে হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে।

#

আবদুল্লাহ/সিরাজ/রবি/সুবর্ণা/সাজ্জাদ/মাসুম/২০২৪/১৫১০ ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর: ৪৫৩৭

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম

পরিচালনা বন্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম শুরু

ঢাকা, ২৩ বৈশাখ (৬ মে) :  

অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল প্রদর্শন ও লাইসেন্সবিহীন বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা বন্ধে কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। 

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সভাপতিত্বে ২ এপ্রিল ২০২৪ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সংক্রান্ত দশটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। 

সিদ্ধান্তগুলো হলো-

১) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর অধীনে অনুমোদিত সেবা প্রদানকারীগণই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দেশি ও বিদেশি চ্যানেলসমূহ গ্রাহকের নিকট বিতরণ করতে পারবে;

 ২) ক্লিনফিড ছাড়া বিদেশি চ্যানেল কিংবা অননুমোদিত কোনো চ্যানেল ডাউনলিংক, সম্প্রচার, সঞ্চালন বা বিতরণ করা যাবে না;

 ৩) সেট-টপ বক্স অবৈধভাবে আমদানি ও বাজারজাত করা যাবে না;

৪) টিভি চ্যানেল স্ট্রিমিং এর অ্যাপসসমূহ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে প্রচারণা করা কিংবা এ ধরনের অ্যাপস সেট-টপ-বক্সে ই’নস্টল করে বিক্রি করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। এর বিরুদ্ধে বিটিআরসি’র আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;

 ৫) বাংলাদেশের নিরাপত্তার স্বার্থে, সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির স্বার্থে বিদেশে অর্থ পাচার রোধে এবং দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে যেকোনো অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে;

 ৬) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী নির্ধারিত আবেদনপত্রের ভিত্তিতে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত অন্য কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে ডাউনলিংক, বিপণন, সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না। এছাড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় হতে বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান ক্লিনফিড সম্প্রচারের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছে বিধায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্লিনফিড ব্যতিত বিদেশি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না;

 ৭) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী, কোনো ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী সরকার অনুমোদিত চ্যানেল ব্যতীত নিজস্ব কোনো অনুষ্ঠান যথা: ভিডিও, ভিসিডি, ডিভিডি এর মাধ্যমে অথবা অন্য কোনো উপায়ে কোনো চ্যানেল বাংলাদেশে বিপণন, সঞ্চালন ও সম্প্রচার করতে পারবে না। আইন অমান্য করে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দেশি বা বিদেশি টিভি চ্যানেলের ফিড বা নিজস্ব কোনো চ্যানেল সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না;

 ৮) ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন, ২০০৬ এর ৪(১) ধারা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হয়ে কোনো ব্যক্তি, ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারী হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। তাই লাইসেন্সধারী ডিস্ট্রিবিউটর বা সেবাপ্রদানকারীগণ ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিভি চ্যানেল বা অনুষ্ঠান সঞ্চালন বা সম্প্রচার করতে পারবে না;

৯) অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরগণ এই সিদ্ধান্তসমূহ তাদের বিদেশি টিভি চ্যানেল সম্প্রচারকারীদের লিখিতভাবে অবহিত করবে;

 ১০) আইন/নীতিমালা বহির্ভূত, অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রচার কাজে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে ২ মে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের চিঠি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

#

ইফতেখার/সিরাজ/রবি/সুবর্ণা/সাজ্জাদ/কলি/মাসুম/২০২৪/১৩১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ৪৫৩৬

বীর মুক্তিযোদ্ধা আহ্‌সান উল্লাহ মাস্টারের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ২৩ বৈশাখ (৬ মে) :  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বীর মুক্তিযোদ্ধা আহ্‌সান উল্লাহ মাস্টারের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত জনপ্রিয় শ্রমিক নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহ্‌সান উল্লাহ মাস্টারের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই । 

শহিদ আহ্‌সান উল্লাহ মাস্টার (গাজীপুর-২, গাজীপুর সদর-টঙ্গী) আসন হতে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই জননেতা ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য। তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস)-এর চেয়ারম্যান এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আজীবন মানবসেবায় নিয়োজিত এই ভাওয়াল বীর তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে শিক্ষক হিসেবেই পরিচয় দিতে ভালোবাসতেন, তিনি আমৃত্যু তাঁর নিজের প্রতিষ্ঠিত নোয়াগাঁও এমএ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৯২ সালে উপজেলা পরিষদ বিলোপের পর উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির আহবায়ক হিসেবে উপজেলা পরিষদের পক্ষে মামলা করেন ও দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে তিনি গ্রেফতার হন এবং কারাবরণ করেন। 

শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের সংগ্রামী জননেতা আহ্‌সান উল্লাহ মাস্টারের স্বপ্ন ছিল মাদক-সন্ত্রাস মুক্ত টঙ্গী-গাজীপুর গড়ার। কালে কালে তিনি হয়ে উঠেন জঙ্গি-সন্ত্রাসের মদদদাতা বিএনপি-জামাত জোট সরকারের পথের কাঁটা। হাওয়া ভবনের প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতাদের নিশ্চিহ্ন করার নীল-নকশা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিএনপি-জামাত মদদপুষ্ট একদল সন্ত্রাসী ২০০৪ সালের ৭ মে নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আহ্‌সান উল্লাহ মাস্টারকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করে। একজন প্রিয় শিক্ষককে সন্ত্রাসীদের গুলি থেকে বাঁচাতে বুক পেতে দিয়েছিলো ছাত্র ওমর ফরুক রতন, সেও মৃত্যুবরণ করে। শুধু তাই নয়, আহসান উল্লাহ মাস্টার নিহত হওয়ার পর শোকার্ত, বিক্ষুব্ধ, প্রতিবাদী জনতার ওপর গুলি চালিয়ে আরো দু'জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করে কিন্তু জোট সরকারের পুলিশ, সন্ত্রাসীদের না ধরে উল্টো গ্রেফতার করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের হাজারো নেতা-কর্মীকে। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের বাহিনী এই হত্যাকাণ্ডের প্রধান সাক্ষীকেও বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে হত

2024-05-06-16-09-144835ff959390a867f7a32b9797d4c3.docx