Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৬ August ২০২৩

তথ্যবিবরণী ২৬ আগস্ট ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ৬৭৯ 

 

মানবিক বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক চেতনা, অর্থনৈতিক সমতায় বিশ্বাসী ছিলেন

                                                                             ---রাষ্ট্রপতি

ঢাকা, ১১ ভাদ্র (২৬ আগস্ট):

 

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাঙালি ও বাংলাদেশ একে অপরের পরিপূরক এবং অভিন্ন সত্ত্বা। তিনি বলেন, মানবিক বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও অর্থনৈতিক সমতায় বিশ্বাসী ছিলেন।

 

রাষ্ট্রপতি আজ বঙ্গভবনের দরবার হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত অ্যানিমেশন মুভি 'মুজিব ভাই' প্রদর্শন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

 

রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন-কর্ম, ত্যাগ, তিতিক্ষা, সবগুলো মানবীয় গুণাবলির সমন্বয়ে তিনি ছিলেন একজন অনন্য বাঙালি। বাঙ্গালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি ধাপেই বঙ্গবন্ধুর গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিচয় আমরা পাই। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁর আত্মপ্রকাশ হয়েছে একজন অসাম্প্রদায়িক চেতনা  এবং মানবিক গুণাবলির সমন্বয়ে একজন অনন্য মানুষ হিসেবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর চরিত্রের বিভিন্ন নাটকীয়তা, মানবিক গুণাবলি, তাঁর শৈশব ও কৈশোরের মানবিক কর্মকাণ্ড সবকিছুর সমন্বয়ে তিনি ছিলেন এক অনন্য বাঙালি। বঙ্গবন্ধু কতটা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন তাঁর প্রমাণ তিনি কলকাতায় দাঙ্গার সময়ও দিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন।

 

বীর মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর সাথে তাঁর স্মৃতিচারণ করে বলেন, "আমি জাতির পিতাকে নিয়ে গর্ববোধ করি। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল ছয়বার ওনার সান্নিধ্য পাওয়ার - দুইবার স্বাধীনতার পূর্বে আর চারবার স্বাধীনতার পরে।"

 

রাষ্ট্রপতি বলেন, "বঙ্গবন্ধুর সাথে আমার শেষ দেখা হয় ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে।"

 

"বঙ্গবন্ধু আমাকে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) এর পাবনা জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেছিলেন," রাষ্ট্রপতি বলেন।

 

রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, অর্থনৈতিক সমতায় বিশ্বাসী বঙ্গবন্ধু মুজিবকে জানতে হলে বাঙালি ও বাংলাদেশের ইতিহাসকে জানতে হবে। এ সময় আইসিটি বিভাগ নির্মিত 'মুজিব ভাই' অ্যানিমেশন মুভি জাতির পিতার জীবন ও কর্ম এবং আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।

 

রাষ্ট্রপতি 'মুজিব ভাই' অ্যানিমেশন মুভিটি "ডিজিটাল বাংলাদেশ" থেকে "স্মার্ট বাংলাদেশ" এ রূপান্তরের একটি প্রয়াস উল্লেখ করে মুভিটির পরিচালক, প্রযোজক, কলাকুশলীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি আইসিটি বিভাগ তাদের নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন, প্রসার ও ব্যবহারের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু, বাঙালি ও বাংলাদেশের ইতিহাসকে তুলে ধরতে নিরবচ্ছিন্ন প্রয়াস চালাবে এ আশা প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও স্মার্ট দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে এ ধরনের উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

 

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী অধ্যাপক ড. রেবেকা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

 

পরে রাষ্ট্রপতি ও অতিথিবৃন্দ মুভিটি অবলোকন করেন।

 

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির কার্যালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিবগণ, সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ।

 

উল্লেখ্য, অ্যানিমেশন একটি মজাদার ও শক্তিশালী মাধ্যম, যা অবাধে কাহিনী বলার সাথে সাথে কাল্পনিক চিত্রকর্ম, স্পেশাল ইফেক্ট, আলোকায়ন, সংগীত ও কন্ঠস্বর ব্যবহার করে বিষয়বস্তুর সত্যিকারের আত্মপ্রকাশের সুযোগ সৃষ্টি করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অবলম্বনে আইসিটি বিভাগ নির্মিত "মুজিব ভাই" মুভিটিতে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জীবনযাত্রা, সংগ্রাম এবং দেশের মানুষের মধ্যে তাঁর প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা এবং মর্মস্পর্শী প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে।

 

                                                     #

রাহাত/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/২০৩২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ৬৭৮

  

কোন ষড়যন্ত্র ও অপশক্তির কাছে শেখ হাসিনা মাথা নত করতে পারেন না

                                                             -নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

বিরল (দিনাজপুর), ১১ ভাদ্র (২৬ আগস্ট):  

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু’, যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামে একটি রাষ্ট্র হতো না, একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে পরিচয় দিতে পারতাম না; সেই বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একমাত্র বোনকে নিয়ে তিনি বেঁচে আছেন। এত দুঃখ কষ্ট নিয়েও বাংলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। বুকে পাথর চেপে ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।  

প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুরের বিরল উপজেলা মুক্তমঞ্চে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ, বিরল উপজেলা শাখা আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন যেন ব্যর্থ হয়ে না যায়; ৩০ লাখ শহিদের স্বপ্ন যেন ব্যর্থ হয়ে না যায়; মা-বোনদের আত্মত্যাগ যেন ব্যর্থ হয়ে না যায়- সেজন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। তিনি তাঁর বাবা-মা, ভাইদের মতো, পরিবারের অন্যদের মতো জীবন দিতে প্রস্তুত আছেন। কোন ষড়যন্ত্র, কোনো অপশক্তির কাছে শেখ হাসিনা মাথা নত করতে পারেন না। বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার দেশরত্ন শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ করছেন। তাঁর নেতৃত্বে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ বানাবো। সমগ্র বিশ্ব তাকিয়ে দেখবে; বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ শুধু সোনার বাংলা নয় ; উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সেটি বাস্তবায়ন করে বঙ্গবন্ধুর রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানাব, ১৫ই আগস্টের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাব।

বিরল উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াহিদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলা এমপি, সহ-সভাপতি শিরিন নাইস পুনম, রংপুর অঞ্চল মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানা রাজিয়া পান্না ও দিনাজপুর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিকুন নাহার লাবুন।

#

জাহাঙ্গীর/পাশা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৯৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ৬৭৬  

রোহিঙ্গাদের অধিকার ও সম্মানসহ মিয়ানমারে ফেরাই একমাত্র সমাধান

                                                          -- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ১১ ভাদ্র (২৬ আগস্ট):  

রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু একটি মানবিক সমস্যা এবং এর সমাধান হওয়া জরুরি উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, আমরা মনে করি রোহিঙ্গাদের সমস্ত নাগরিক অধিকার দিয়ে, সম্মান বজায় রেখে তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়াই একমাত্র সমাধান।

কিন্তু এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে মিয়ানমারের ওপরে যে চাপ প্রয়োগ করা প্রয়োজন, সেটি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এখানে চীনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একইসাথে ভারতের সাথেও আমরা আলাপ আলোচনা করেছি। তারাও মিয়ানমারকে বোঝানোর চেষ্টা করছে। আশা করছি সমাধান হবে।

আজ রাজধানীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট ভবন মিলনায়তনে ‘গণহত্যা ও বিচার : রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের অবস্থান’ (জেনোসাইড এন্ড জাস্টিস : বাংলাদেশ'স রেসপন্স টু রোহিঙ্গা ক্রাইসিস) সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। ঢাবি'র সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত এ সেমিনার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান।

মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের জোর কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত আছে। আমরা যুদ্ধ-বিগ্রহের মাধ্যমে এর সমাধান চাই না। বিএনপির কাছে হয়তো সমাধানের পথ ভিন্ন, তারা কূটনৈতিক নয়, অন্য সমাধানের কথা চিন্তা করে। কিন্তু আমরা সর্বোতভাবে সবসময় এর সমাধানের জন্য চেষ্টা করে আসছি এবং এর ফলে বিভিন্ন সময়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছে, কিন্তু পরে তাদের ‘কমিটমেন্ট’ রক্ষা করেনি জানিয়ে হাছান বলেন, আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত আছে এবং ক'দিন আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় অগ্রগতি হয়েছে।

রোহিঙ্গা সমস্যার নানা দিক তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, 'এখন দেশে রোহিঙ্গা রিফিউজি ক্যাম্পগুলো জঙ্গিবাদ-মৌলবাদের আস্তানা হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং ধর্মান্ধ ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের সেখান থেকে 'রিক্রুটমেন্টে'র একটি বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে। এতে সেখানকার সামাজিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেমন অবনতি হচ্ছে তেমনি এর সমাধান না হলে তা আমাদের দেশ শুধু নয়, পুরো অঞ্চলের জন্যই হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।'

সেমিনার শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাব দেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বিএনপির সমালোচনার উত্তরে তিনি বলেন, বিএনপি নিজেরাই যখন ক্ষমতায় ছিল, তারা এ সমস্যা ঠিকভাবে সমাধান করতে পারেনি। ১৯৯১ সালে এবং এর আগে ১৯৭৬-৭৭ সালে যখন রোহিঙ্গারা এসেছিল সবাইকে তারা ফেরত পাঠাতে পারেনি। হাজার হাজার রোহিঙ্গা রয়েই গিয়েছিল।

 

 

 

বিএনপির অপর সমালোচনা ‘আওয়ামী লীগই বিদেশিদের কাছে যায় এবং এরপরেও ব্রিকসে জায়গা পায়নি’ এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপিই ক্ষণে ক্ষণে বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়, কিন্তু প্রত্যাখ্যাত হয়ে তাদের সুর পালটে গেছে। আর ব্রিকস সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং ব্রিকসের সদস্য হওয়ার জন্য ৪০টিরও বেশি দেশ আবেদন করেছে, সেখান থেকে ৬টি দেশকে নেওয়া হয়েছে, বাকিদেরও পর্যায়ক্রমে নেওয়া হবে।

হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকা ওয়াশিংটন টাইমসে নিজের নামে নিবন্ধ লিখেছিলেন যাতে বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস না কেনার জন্য, বাংলাদেশকে সহায়তা না করার জন্য। মির্জা ফখরুল সাহেব নিজে কংগ্রেসম্যানদের কাছে দেশের বিরুদ্ধে চিঠি লিখেছিলেন। আবার তারা কয়েকজন কংগ্রেসম্যানের সই জাল করে এখানে বিবৃতি দিয়েছিল, পরে ধরা খেয়েছে।’

‘সিজিএস পরিচালক অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন। ঢাবি'র আইন বিভাগের অধ্যপক ড. জমিলা এ চৌধুরী স্বাগত ভাষণ দেন।

ঢাবি’র সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, বাংলাদেশে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউনাইটেড নেশনস হাইকমিশনার ফর রিফিউজিস)-এর প্রতিনিধি Johannes Van Der Klaauw, নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডোর ইশফাক ইলাহি চৌধুরী, দেশান্তর ও বাস্তুচ্যুতি বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস এন্ড জাস্টিস পরিচালক ড. এম সঞ্জীব হোসেন সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।

#

আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৮২০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর :  ৬৭৫

 

বান্দরবানে বন্যার্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী দিলেন পার্বত্য মন্ত্রী

                                                  

বান্দরবান, ১১ ভাদ্র (২৬ আগস্ট):

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, বান্দরবানে ভয়াবহ বন্যায় সাধারণ মানুষের ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট, কৃষিজমিসহ বহু সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি মানবিক মূল্যবোধের তাগিদে সমাজের প্রতিষ্ঠিত সকল নাগরিককে সাম্প্রতিককালে ঘটে যাওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দুর্গত মানুষের পাশে থেকে সহায়তা করার আহ্বান জানান।

আজ বান্দরবান সদরে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে আয়োজিত সহস্রাধিক বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে পার্বত্য মন্ত্রী দেশের সামর্থ্যবান নাগরিকদের প্রতি এ আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গত মানুষের কথা সবসময় চিন্তা করেন। তিনি পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গত মানুষের সহায়তা প্রদানের জন্য পাশে থাকার জন্য জনপ্রতিনিধি, সরকারি বেসরকারি সংস্থার প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি ত্রাণ ও সহায়তা দুর্গতদের মাঝে দ্রুত পৌঁছে দিতে সংশ্লিষ্টদের সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশবাসীর পাশে ছিলেন, আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন।

বান্দরবান পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার পরিবারকে মাথাপিছু সাড়ে ৭ কেজি চাউল, ১ কেজি মশুর ডাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি চিনি, ৫০০ গ্রাম সুজির প্যাকেট বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিটের পক্ষ থেকে এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

মন্ত্রী দুর্যোগের শুরু থেকে এ যাবৎ বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিটের সদস্যদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেবা প্রদানকারী দেশি-বিদেশি এসব সংস্থা সরকারের ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বন্যা দুর্গত মানুষদের উদ্ধার কার্যক্রম, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহসহ নানা ধরনের সহযোগিতা প্রদান করে আসছে এবং বন্যা পরবর্তী সময়ে দুর্গতদের ত্রাণ সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে।

ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ ফজলুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহআলম, পৌরসভার মেয়র সামশুল ইসলাম, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাস, ক্যাসাপ্রু মারমা, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি বান্দরবান ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রহিম চৌধুরী, সেক্রেটারি অমল কান্তি দাশ, নির্বাহী সদস্য গাব্রিয়েল ত্রিপুরা, মোঃ খলিলুর রহমানসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

#

রেজুয়ান/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৭৫১ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ৬৭৪

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ১১ ভাদ্র (২৬ আগস্ট):  

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ২৪ শতাংশ। এ সময় ৭২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।                     

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৬ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১২ হাজার ৬৯৬ জন।

#

সুলতানা/পাশা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৭১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                      নম্বর : ৬৭৩

দিনাজপুরের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন

                                             -নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

বিরল (দিনাজপুর), ১১ ভাদ্র (২৬ আগস্ট):  

দিনাজপুরে বিআইডব্লিউটিএ’র অফিস ভবন, তুলাই নদীতে রাবার ড্যাম, পুনর্ভবা নদীর তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দিনাজপুরের বিরলের ধর্মপুর, কামদেবপুর থেকে ঢেপা ও পুনর্ভবা নদীর তীরে ২৬ কিলোমিটার বাঁধ  যা ঠাকুরগাঁও পর্যন্ত চলে গেছে, সেটিতে রিভারওয়ে তৈরি করা হবে। ২৬ কিলোমিটার বাঁধের উপর রাস্তা তৈরির জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। এ নদীর পাড় শুধু দিনাজপুর নয়; বাংলাদেশের সবচেয়ে সৌন্দর্যমন্ডিত নদীর পাড় হবে। কারণ এ নদীর পাড়ে ভারতবর্ষের পৃথিবীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রাচীনতম 'কান্তজি মন্দির'  আছে। যে মন্দির দেখার জন্য সমগ্র পৃথিবী থেকে মানুষ আসে। ইতিহাসের অমরস্বাক্ষী 'রাজবাড়ী' আছে। পুনর্ভবা ও ঢেপা নদীর দু'পাড় সুন্দর করে সাজাবো। কান্তজির সেই আগমন যেন দু'পাড়ের মানুষ উপভোগ করতে পারে। সমগ্র পৃথিবীর ইতিহাসবিদ ও দর্শনার্থী তারা স্মরণ করবে-বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসকে সম্মান করতে পারে। বাংলাদেশের মানুষ, দিনাজপুরের মানুষ তাদের প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে, আমরা সেভাবে সাজাতে চাচ্ছি। একইভাবে দিনাজপুরের রামসাগর, সুখ সাগর, আনন্দ সাগরসহ যে প্রাচীনতম পুকুরগুলো আছে সে পুকুরগুলো অপরূপ সাজে সজ্জিত করা হবে যেন দিনাজপুর একটি সুন্দর দর্শনীয় জেলায় পরিণত হয়। দিনাজপুরের লিচু পৃথিবীর বিখ্যাত। চাঁদপুরে 'ইলিশের বাড়ি' করা হয়েছে; দিনাজপুরে ‘লিচু বাড়ি’ করা যায় কিনা সেই পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যারা দেশকে ভালোবাসে, যারা দেশের জন্য কাজ করে, তাদের সামনে অনেক বাধা। তাদের মৃত্যুঝুঁকি নিতে হয়। বঙ্গবন্ধু মৃত্যুঝুঁকি নিয়েছিলেন। "তিনি জানতেন, তাঁর জন্য ফাঁসি অপেক্ষা করছে, তাঁকে হত্যা করতে পারে। বাংলার মানুষের প্রতি তাঁর বিশ্বাস ছিল। তাঁর দুরদর্শিতা ও সাহসিকতার কারণে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। তাঁকে হত্যা করতে পারত, মৃত্যুদণ্ড দিতে পারতো, তিনি কিন্তু ভয় করেন নাই। তিনি সাহস নিয়ে কাজ করেছেন। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে সর্বশেষ। ভারতের ইন্দিরা গান্ধী, শ্রীলংকার বন্ধরনায়েক, ইন্দোনেশিয়ার সুকর্ণকে হত্যা করা হয়েছে‌‌। কারণটা কি? তারা সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করেন নাই। 'মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীরা বলেছিল, আমরা যেভাবে বলবো সেভাবে চলতে হবে। তারা বলেছিল, আমরা জাতীয়তাবাদী নেতা। আমাদের জনগণ যেভাবে বলবে সেভাবে চলবো।' তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকে বাংলাদেশকে অপরূপ সাজে সজ্জিত করেছেন। বাংলাদেশকে তিনি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছেন।  যিনি বাংলাদেশের মানুষের জন্য সফল হয়েছেন- তাঁকে আজকে বার বার টেনে ধরতে চায়, তাকে আটকে ধরতে চায়, তাকে বিভিন্ন ভাবে দাবিয়ে রাখতে চায়। বিশ্বব্যাংক আইএমএফ, বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠী আমেরিকা, ইউরোপ বিভিন্ন শর্ত জুড়ে দিতে চায় যেন শেখ হাসিনাকে কাবু করতে পারে। শেখ হাসিনা কি কাবু হবার লোক ! না তিনি কাবু হবেন না। কারণ তিনি বাংলার মানুষের ভালোবাসায় ঋণী। আমেরিকা বলেন, ইউরোপ বলেন, পশ্চিমা বলেন- কেউ শেখ হাসিনাকে কাবু করতে পারবে না। শেখ হাসিনা বাংলার মানুষকে ভালোবাসেন। শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা করেছেন। শেখ হাসিনা স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার রূপরেখা দিয়েছেন। যারা শেখ হাসিনা কে কাবু করতে চায়-আগামী নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে এ সকল ষড়যন্ত্রের     জবাব দিব।

বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিআইডব্লিউটিএ'র সদস্য (প্রকৌশল) ড. এ কে এম আজাদুর রহমান, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ এবং প্রকল্প পরিচালক মোঃ. সাইদুর রহমান।

রংপুর বিভাগের নদীগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলায় বিআইডব্লিউটিএ'র অফিস ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এজন্য ব্যয় হবে আট কোটি ৮৮ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। তুলাই নদীতে দু’টি রাবারড্যাম, একটি ওয়্যার (পাকা স্ট্রাকচার) ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণে ব্যয় হবে তিন কোটি দু’ লক্ষ টাকা। এছাড়াও পুনর্ভবা নদীর তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। তুলাই নদীর ৬৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নাব্যতা পুনরুদ্ধারের জন্য পাঁচটি লটের মাধ্যমে নভেম্বর ২০২০ হতে খনন কাজ শুরু করা হয় যা ইতোমধ্যে ৯৫% ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। ২৬.২৫ লক্ষ ঘনমিটার খনন করা হয়েছে এবং ব্যয় ৪২.৬১ কোটি টাকা। নদীটি সর্বনিম্ন ২০ মিটার হতে সর্বোচ্চ ৩০ মিটার প্রস্থে এবং ২.০৫ হতে ৩ মিটার গভীরতায় খনন করা হয়েছে। তুলাই নদীর খননকৃত অংশে পানি ধরে রাখতে দু’টি রাবারড্যাম ও একটি ওয়্যার (পাকা স্ট্রাকচার) নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে।

পুনর্ভবা নদীর ৭৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নাব্যতা পুনরুদ্ধারে ১৪৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে সাতটি প্যাকেজের মাধ্যমে ৮৯.১৯ লক্ষ ঘনমিটার খননের লক্ষ্যে ফেব্রুয়ারি ২০২২ হতে খনন কাজ শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬৯.৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪২.২৯ লাখ ঘনমিটার খননের মাধ্যমে পুনর্ভবা নদীর ৪৭.১৩ কিলোমিটার অংশ নাব্য করা হয়েছে। নদীটি সর্বনিম্ন ৮ মিটার হতে সর্বোচ্চ ৯০ মিটার প্রস্থে এবং ১.০৫ হতে ৩.০০ মিটার গভীরতায় খনন করা হচ্ছে। আগামী জুন ২০২৪ এ খনন কাজটি সমাপ্ত হবে বলে আশা করা যায়। পুনর্ভবা নদীর  কাঞ্চন সেতু এলাকায় নদীর দু’পাশে জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।

#

জাহাঙ্গীর/জুলফিকার/কলি/মাসুম/২০২৩/১৪৫৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                   নম্বর : ৬৭২

২০৩০ এজেন্ডা টেকসই উন্নয়নের সহায়ক হিসাবে সংস্কৃতির ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়েছে

   -সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

বারানসী, উত্তর প্রদেশ, ভারত, ১১ ভাদ্র (২৬ আগস্ট): 

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ২০৩০ এজেন্ডা টেকসই উন্নয়নের সহায়ক হিসাবে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে সংস্কৃতির ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশের একটি সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে যা বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলে টেকসই উন্নয়নকে সহজতর ও বেগবান করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।  বাংলাদেশ যেকোনো অবস্থায় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধ্বংস, লুটপাট, জালিয়াতি ও বিকৃতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে দঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কার্যকর সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও প্রচার নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় নীতি ও পেশাদার সক্ষমতা জোরদার করার জন্য আমাদের জি-২০ সহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও পরিবেশগত স্থায়িত্বের মধ্যে সমন্বয় সাধনের বিষয়েও যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করেছে।

প্রতিমন্ত্রী আজ ভারতের উত্তর প্রদেশের বারানসীর হোটেল তাজ গাঙ্গেস এর দরবার হলে জি-২০ এর সংস্কৃতি মন্ত্রীদের সম্মেলনে অতিথি দেশের প্রতিনিধি হিসাবে বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ৫১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত একটি সমৃদ্ধ, ঐতিহ্যবাহী ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির দেশ। আমাদের সংবিধান জাতি, ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় নির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিককে অবাধে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চার অনুমতি প্রদান করে। বাংলাদেশ সরকার সংস্কৃতির সকল শাখার সুরক্ষা ও প্রসারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

কে এম খালিদ বলেন, সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতা সমাজের অব্যাহত বিকাশ নিশ্চিতকরণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সৃজনশীল অর্থনীতি। তিনি বলেন, আমাদের সৃজনশীল অর্থনীতি বিকাশের লক্ষ্যে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা, নেটওয়ার্কিং কার্যক্রম, সহ-অর্থায়ন, সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম ও নেটওয়ার্কগুলোর প্রচার-প্রসারে সর্বাগ্রে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন। তাছাড়া সংগীত, স্থাপত্য, প্রকাশনা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মতো খাতসমূহে দক্ষতা বৃদ্ধি, পেশাদারিকরণ এবং প্রতিভা বিকাশে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। 

তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নাটকীয় পরিবর্তন এনেছে এবং সংস্কৃতিও এর ব্যতিক্রম নয়। তিনি বলেন, আমাদের সমাজকে রূপান্তরিত করার জন্য আমাদের ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রসার ও প্রচার করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে প্রযুক্তিসমূহের সাশ্রয়ী মূল্য এবং সকলের নিকট প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। 

প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি একইসঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অবদানের কথাও স্মরণ করেন যিনি আমাদের স্বাধীনতার জন্য মাত্র ২০-২২ বছর বয়সে সত্যাগ্রহ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তাছাড়া প্রতিমন্ত্রী সফল চন্দ্রাভিযান পরিচালনার জন্য ভারত সরকারকে    অভিনন্দন জানান।

অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তা প্রদান করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বাগত বক্তৃতা করেন ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। 

সম্মেলনে জি-২০ এর ২০টি সদস্য রাষ্ট্র ও আমন্ত্রিত ৯টি অতিথি রাষ্ট্রের সংস্কৃতি মন্ত্রীগণ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

#

ফয়সল/জুলফিকার/কলি/মাসুম/২০২৩/১৪৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ৬৭১

মৃত্যু পরোয়ানাও বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশ

গঠনের পথ থেকে টলাতে পারেনি

        -মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা, ১১ ভাদ্র (২৬ আগস্ট): 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, পাকিস্তানি শাসকদের লোভ, লালসা, হুমকি, চোখ রাঙানি, মৃত্যু পরোয়ানা কোন কিছুই বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠনের পথ থেকে টলাতে পারেনি। ১৯৭২ সালে ৮ জানুয়ারি পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তির পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে প্রাক্কালেও  বিমানবন্দরে জুলফিকার আলী ভূ্ট্রো বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাষ্ট্রপতি হওয়ার প্রস্তাব করে বঙ্গবন্ধুর সম্মতি আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু  বঙ্গবন্ধু তার জনগণের স্বার্থবিরোধী কোন প্রস্তাবই মেনে নিবেন না বলে ভূট্রোকে সাফ জানিয়ে দেন। কোন পরিস্থিতিতেই  বঙ্গবন্ধু আপন নীতি, আদর্শ ও দর্শন থেকে বিচ্যুত হননি।

মন্ত্রী গতকাল ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বেসিস আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন এবং নাট্যকার রেজানুর রহমান বক্তৃতা করেন।

মন্ত্রী ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলন, চৌয়ান্নের যুক্তফ্রন্ট, বাষট্রির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট

2023-08-26-14-59-2dcfff03494d00708d376bab278a8019.docx