তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৯১
উন্নয়নের যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র
- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই):
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, উন্নয়নের যাত্রাকে বাধাগ্রস্ত এবং বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে পিছিয়ে রাখার জন্য ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র।
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী একটি চক্র এবং তার দোসররা একসাথে হয়ে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে তারা চায় দেশকে পিছিয়ে দিতে এবং মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করতে। কিন্তু এদেশের দেশপ্রেমিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীসহ সাধারণ মানুষ তা সফল হতে দেননি।
মন্ত্রী আজ সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ডেমরা রোডে ভস্মীভূত হানিফ উড়াল সেতুর টোল প্লাজা, ৬৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ক্ষতিগ্রস্ত কার্যালয়, চট্টগ্রাম রোডে ভস্মীভূত হানিফ উড়াল সেতুর ক্ষতিগ্রস্ত টোল প্লাজা এবং তৎসংলগ্ন সংরক্ষিত আসনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ক্ষতিগ্রস্ত কার্যালয় এবং ধলপুরস্থ ঢাদসিক'র যান্ত্রিক বিভাগে ভস্মীভূত ৩টি ডাম্পট্রাকসহ ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, কী দোষ করেছিলো মেট্রোরেল স্টেশন, কী দোষ করেছিলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজা, কী দোষ ছিল সিটি কর্পোরেশনের আবর্জনা পরিষ্কারের যানবাহনের? মেট্রোরেলে প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ মানুষ যাতায়াত করে। সে মেট্রোরেল স্টেশনে আজ ভাঙচুর করা হয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোলপ্লাজায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের আবর্জনা পরিবহন গাড়ি প্রতিদিন ময়লা পরিষ্কার করে ঢাকা মহানগরীর মানুষকে স্বস্তিকর জীবন দিচ্ছে, সে আবর্জনা পরিবহনকারী ডাম্প ট্রাকগুলো আগুন দিয়ে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। এতেই বুঝা যায়, এরা দেশের শত্রু, এরা দেশের অগ্রগতি সহ্য করতে পারে না।
চলমান নাশকতায় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ক্ষতির পরিমাণ এবং এ থেকে উত্তরণের উপায় জানতে চাওয়া এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, চলমান সহিংসতায় ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০ কোটি টাকা অনুমেয় হলেও সামগ্রিকভাবে এই ক্ষতির পরিমাণ অনেক। নাশকতায় দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণে মন্ত্রণালয় এবং সিটি কর্পোরেশন যুগপৎভাবে কাজ করবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশনের মেয়রসহ সকল কাউন্সিলরগণ ঐক্যবদ্ধ।
পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান-সহ স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
#
পবন/সায়েম/শফি/মোশারফ/শামীম/২০২৪/২০৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৯০
ক্ষতিগ্রস্ত বিআরটিএ ভবন পরিদর্শনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই):
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক কোটা সংস্কার আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের দেশব্যাপী চালানো তাণ্ডবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রাজধানীর বনানী বিমানবন্দর সড়কে অবস্থিত বিআরটিএ ভবন আজ পরিদর্শন করেছেন।
মন্ত্রী বিআরটিএ ভবনে প্রবেশের পর বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ঘুরে দেখেন এবং হতবাক হয়ে যান। সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান, বীর বিক্রম-সহ বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাগণ ও বিআরটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, যারা দেশে তাণ্ডব চালিয়েছে, তারা কখনো ছাত্র হতে পারে না। তারা ছিল বিএনপি-জামায়াত রাজাকারের দল। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি। তাদের কার্যকলাপে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনের নামের যে ঘটনা, ১৯৭১ সালের হুবহু মিল রয়েছে। এই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই দুষ্কৃতকারীরা বিআরটিএ ভবনে প্রবেশ করে ভাঙচুর করে এবং আগুন জ্বালিয়ে দেয়। তারা ভবন থেকে সরকারি সম্পত্তি লুট করে। দুষ্কৃতকারীরা যানবাহন ও মোটরবাইক ভাঙচুর, বিভিন্ন শেড ও কক্ষ তছনছ করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।
#
এনায়েত/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৪/১৯১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৮৯
শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বিএনপি-জামায়াত ভিন্নপথে পরিচালিত করেছে
--- ধর্মমন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই):
ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশেই ছিল সরকার। কিন্তু শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ভিন্নপথে পরিচালিত করেছে বিএনপি-জামায়াত।
আজ রাজধানীর শ্রী শ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরে কমপ্লিট শাটডাউন আন্দোলন চলাকালীন দেশব্যাপী অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতায় নিহতদের আত্মার মঙ্গল ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে আয়োজিত বিশেষ প্রার্থনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা এনেছেন বঙ্গবন্ধু। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। দীর্ঘ একুশ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিলো না। এ সময়ে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসের রাজনীতি চালু করেছিল। তারা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ লালন করেছে, পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। ২০১৪ সালেও তারা দেশে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য তৈরি করে মানুষ হত্যা করেছে। তারাই এবারো আগুনসন্ত্রাস করেছে-সরকারি স্থাপনায় আগুন দিয়েছে, লুটপাট করেছে। তিনি বিএনপি-জামায়াতকে অপশক্তি হিসেবে উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সোচ্চার থাকার অনুরোধ জানান।
এ বিশেষ প্রার্থনায় সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের প্রধান উপদেষ্টা খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান ও মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. বীরেন শিকদার, ধর্ম সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি আবু কাওছার মোল্লাসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরে কমপ্লিট শাটডাউন আন্দোলন চলাকালীন দেশজুড়ে অগ্নিসন্ত্রাস ও নাশকতায় নিহতদের আত্মার মঙ্গল এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
#
আবুবকর/সায়েম/শফি/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৮৮
প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনাই দুঃখজনক এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে বিচার করা হবে
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ক্ষতি পাঁচ কোটি টাকা
ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই):
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান বলেছেন, সম্প্রতি দেশে ঘটে যাওয়া সহিংসতায় প্রাণহানিতে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয় এবং দুঃখজনক। কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আজ সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও মোবাইল ভেটেরিনারি হাসপাতাল ভাঙচুরের ফলে আনুমানিক ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া রংপুর জেলা ও বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অফিসে ভাঙচুরের ফলে সর্বমোট প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী বলেন, সাভারে এমনভাবে ভাঙচুর করা হয়েছে চোখে না দেখলে এগুলো বিশ্বাস করা যায় না। দেখে মনে হয়েছে এসব স্থাপনার সাথেই যেন যুদ্ধ করা হয়েছে। সাভার প্রাণিসম্পদ অফিসে ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের টিভি, ফ্রিজ, এসিসহ সকল আসবাবপত্র ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনার পরদিন দুজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে দেখতে গেলে তাদেরকেও শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয় বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে এবং এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জনের কাছ থেকে লুটকৃত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
দুষ্কৃতকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় জানা গেছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক পরিচয় আর যাই হোক তারা কোনো স্কুল-কলেজের ছাত্র না। স্কুল-কলেজের নিয়মিত ছাত্র হিসেবে তাদের কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। তবে যারা বিটিভি ভবন, মেট্রোরেল, টোল প্লাজা, ডিজাস্টার ভবন, সেতুভবনে আগুন দিয়ে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়েছে, তাদের মতই কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে তিনি এসময় মন্তব্য করেন।
সহিংসতায় প্রাণের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যে কোন প্রাণের ক্ষয়ক্ষতি অপূরণীয় এবং দুঃখজনক। আমরা প্রতিটি মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চাই। আমাদের সরকার ও সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আন্তরিকভাবে এটি চান। সাভারে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক ভাঙচুর করায় সেবা প্রদান করা ব্যাহত হবে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত এটি চালু করা সম্ভব না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত ব্যাহত হবে।
সহিংসতায় খামারিদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে একটি কমিটি তৈরি করে দেয়া হবে। সেই কমিটি এটি নির্ণয় করে প্রতিবেদন দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে প্রাণিজ পণ্য যেমন: দুধ, ডিম, মাছ, মাংস পরিবহন ও বিপণনের জন্য খামারিদের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
#
নাজমুল/সায়েম/শফি/মোশারফ/রেজাউল/২০২৪/১৮৫২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৮৭
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন প্যারামাউন্ট লিডার; তিনি আমাদের একমাত্র অবলম্বন
--- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই):
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খলিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন প্যারামাউন্ট লিডার। তার মতো নেতৃত্বের গুণাবলি এ মুহূর্তে পৃথিবীর কোনো মানুষের নেই। তিনি আমাদের একমাত্র অবলম্বন। এ অবলম্বনটাকে ভেঙে দেয়া দুষ্কৃতকারীদের লক্ষ্য ছিল। কারণ তাকে নামিয়ে দিতে পারলে বাংলাদেশকে নামিয়ে দেয়া যাবে। তিনি বলেন, ডেভেলপমেন্ট কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের লক্ষ্য খুবই কাছাকাছি। আমাদের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আরএডিপি ২০২৩-২৪ বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপি পর্যালোচনা বৈঠকে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। তিনি প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান করেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা যখন ছোট ছিলাম; তখন জেনেছি বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ ছিল। তখন দরিদ্রতা কেমন বুঝিনি। এখন দরিদ্রতা জয় করেছি। ভিক্ষার ঝুলি, বঞ্চনা ও লাঞ্ছনার কথা শুনতে হয় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দরিদ্রতাকে জয় করেছি। এ বিজয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা রয়েছে। আমরা এখন গর্ব করে আমাদের সক্ষমতার কথা বলছি। পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে মর্যাদার জায়গা পৌঁছে গিয়েছিলাম। সমুদ্র, নদী সবখানে সক্ষমতায় পৌঁছে গিয়েছিলাম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ছাত্রত্বের সময় তারুণ্যে ভরপুর; বাধা না মানার সময়। ছাত্ররা তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করবে। বাহবা দেয়া উচিত। সরকার-ছাত্র আলোচনা যখন সমঝোতার পর্যায়ে; তখন হঠাৎ করে পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে চলে গেল। আতঙ্ক শুরু হলো। যেমন ২০০১-০৬ সালে এমপি, কর্মকর্তা, বিচারক, সাংবাদিক, শিক্ষকদের হত্যা করা হয়েছে। সর্বশেষ বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। দেশের আইন অবরুদ্ধ করে দেয়া হয়েছিল। ২০০৯, ২০১০, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালের সহিংসতার রূপ একই ধরনের।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার-ছাত্র সমঝোতা চলছে, স্বস্তির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, ঠিক সে সময়ে অতর্কিত হামলা। প্রথম দিনে ছাত্ররা আন্দোলনে ছিল। পরে তারা আন্দোলনের অংশ হয়নি- ছাত্ররা বলেছে। সেসময় সহিংসতা বন্ধে দেশবাসীকে আহ্বান জানানো উচিত। দেখলাম নোবেল লরিয়েট স্বনামধন্য ড. ইউনূস দেশবাসীকে শান্তির জন্য আহ্বান জানালেন না। রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙে দেয়ার জন্য তিনি জাতিসংঘসহ অন্যান্য জায়গায় আহ্বান জানান। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের মূলভিত্তি। এটাকে বাদ দিয়ে চলতে পারি না। অপরাধীকে অপরাধী বলা কি অন্যায়? অপরাধীদের চিহ্নিত করব না! ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে যে জায়গায় নিয়ে গেছেন সেটাকে মাটিতে নামিয়ে আনাই তাদের লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপিতে ৩৩টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৬,৮৩৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। অন্যান্য প্রকল্পের কাজ চলমান।
এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল-সহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
জাহাঙ্গীর/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৮৬
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। এ সময় ১৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৯৯ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৮ হাজার ৯১১ জন।
#
দাউদ/সায়েম/শফি/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৮৫
উন্নয়ন কাজে মনিটরিং জোরদার করার নির্দেশ গণপূর্তমন্ত্রীর
ঢাকা, ১৩ শ্রাবণ (২৮ জুলাই):
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও এর অধীন সকল দপ্তর ও সংস্থার উন্নয়নমূলক কার্যক্রম মনিটরিং জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
মন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে মাসিক এডিপি (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ নির্দেশনা দেন। তিনি উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে পরিদর্শন প্রতিবেদন আবশ্যিকভাবে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করতে বলেন।
এছাড়া যথাসময়ে দপ্তর ও সংস্থার অনুকূলে অর্থছাড় এবং যাদের গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে সেসব দপ্তর ও সংস্থার গবেষণাখাতে অর্থবরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন। সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে মানসম্মত দেশীয় পণ্য বিশেষ করে লিফটসহ দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সামগ্রী ক্রয়ের জন্য তিনি নির্দেশ প্রদান করেন। সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে প্রচলিত আর্থিক বিধিবিধান বিশেষ করে পিপিআর ২০০৮ ও ফিন্যান্সিয়াল বুলস যেন যথাযথভাবে মেনে চলা হয় সে ব্যাপারে তিনি সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য মোট ৬০৮১.৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। ৩০ জুন ২০২৪ খ্রি. পর্যন্ত সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন হয়েছে ৯৫.৭৬ শতাংশ যা গতবছর একই সময়ে ছিলো ৮৮.৭৬ শতাংশ। এক্ষেত্রে এবছর জাতীয় অগ্রগতি ৮০ শতাংশ।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নবীরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ শামীম আখতার, রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমান সরকার, হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আশরাফুল আলম, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিয়াউল হকসহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও এর অধীন সকল দপ্তর ও সংস্থার প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজাউল/সায়েম/শফি/মোশারফ/শামীম/২০২৪/১৭২০ঘণ্টা
Handout Number : 284
The Head of Delegation Retreat Program in Azerbaijan
Environment Minister urged to establish operational path for
the loss and damage fund in COP29
Shamakhi (Azerbaijan), 28 July :
The Minister of Environment, Forest and Climate Change Saber Hossain Chowdhury urged all Parties to establish an operational path for the loss and damage fund to ensure timely disbursement of funds. He also asked to take decisive actions, emphasizing on the necessity of finalizing the new climate finance goal, and on completing the Article 6 carbon market rules.
Environment Minister said these yesterday while delivering a speech at the closing session of the two-day ‘Head of Delegation Retreat Program’ held in Shamakhi, Azerbaijan. Minister Saber Chowdhury was invited by the COP29 Azerbaijan Presidency designate, Minister Mukhtar Babayev, to represent the Least Developed Countries (LDCs) at his place.
Environment Minister said climate change is an existential challenge, not just a threat. The severe and widespread impacts is already being felt across various LDCs. He stressed that these adverse effects are only the beginning of a much longer list of challenges.
Saber Hossain Chowdhury noted the world is not aligned with the 1.5-degree Celsius temperature goal. He also called for the alignment of the next Nationally Determined Contributions (NDCs) with the 1.5-degree Celsius goal, stressing the importance of building trust among nations through clear support mechanisms for NDC implementation.
Looking ahead to the next COP29 in Baku, he remarked, the next COP29 in Baku will be a litmus test for the COP process, and there is no option of failing. Minister Saber Chowdhury's speech resonated with the urgency and collaborative spirit needed to tackle climate change effectively.
#
Dipankar/Fatema/Robi/Ail/Asma/2024/1140 hours
Z_¨weeiYx b¤^i: ২৮৩
আজারবাইজানে হেড অব ডেলিগেশন রিট্রিট প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত
যথাসময়ে লস এন্ড ড্যামেজ ফান্ড বিতরণ নিশ্চিতের উপায় বের করতে হবে
-পরিবেশমন্ত্রী
শামাখি, আজারবাইজান, ২৮ জুলাই:
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মেটাতে যথাসময়ে লস এন্ড ড্যামেজ ফান্ড বিতরণ নিশ্চিত করতে সকল দেশকে কপ২৯ এর ফান্ড কার্যকর করার উপায় বের করতে হবে। তিনি নতুন জলবায়ু অর্থায়ন লক্ষ্য চূড়ান্ত করার, আর্টিকেল ৬ কার্বন মার্কেটের নিয়মগুলি সম্পন্ন করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
মন্ত্রী গতকাল আজারবাইজানে শামাখিতে, অনুষ্ঠিত দু'দিনের হেড অব ডেলিগেশন রিট্রিট প্রোগ্রামের সমাপনী অধিবেশনে বক্তৃতা দেয়ার সময় এসব কথা বলেন। মন্ত্রী চৌধুরীকে স্বল্পোন্নত দেশগুলির (এলডিসি) প্রতিনিধিত্ব করার জন্য কপ২৯ আজারবাইজান প্রেসিডেন্সি মনোনীত মন্ত্রী মুখতার বাবায়েভ এলডিসি দেশগুলোর পক্ষে বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন কেবল একটি হুমকি নয় বরং একটি মানুষের অস্তিত্বগত চ্যালেঞ্জ। বিভিন্ন স্বল্পোন্নত দেশে ইতোমধ্যে অনুভূত গুরুতর এবং বিস্তৃত প্রভাবগুলির ওপর জোর দিয়ে বলেন যে এই প্রতিকূল প্রভাবগুলি অনেক দীর্ঘতর চ্যালেঞ্জের শুধুমাত্র শুরু।
মন্ত্রী উল্লেখ করেন যে বিশ্ব ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তিনি পরবর্তী জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদানগুলিকে (এনডিসি) ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার আহ্বান জানান এবং এনডিসি বাস্তবায়নের জন্য স্পষ্ট সহায়তা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশগুলোর মধ্যে বিশ্বাস গড়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাকুতে অনুষ্ঠিতব্য আগামী কপ২৯ COP প্রক্রিয়ার জন্য একটি পরীক্ষা যেখানে ব্যর্থতার কোন সুযোগ নেই।
#
দীপংকর/ফাতেমা/সিরাজ/সাজ্জাদ/মাসুম/২০২৪/১০০০ ঘণ্টা