Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৪ মার্চ ২০১৮

তথ্যবিবরণী 24/3/2018

তথ্যবিবরণী                                                                  নম্বর : ৯৫৪
 
কোরআন ও হাদিস মানব জাতির পথচলার দিশারি
                 ---পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
 
বান্দরবান, ১০ চৈত্র (২৪ মার্চ) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, কোরআন হলো আল্লাহ প্রেরিত পবিত্র বাণী ও হাদিস তার বাস্তবায়ন - যা মানব জাতির পথচলার দিশারি হয়ে দেশ ও জাতির মঙ্গলে একটি সংবিধান হিসেবে কাজ করে। আজ বান্দরবানে চট্টগ্রাম বিভাগ ওয়ারি তাহফিজুল কোরআন প্রচার সংস্থার উদ্যোগে ৬ষ্ঠ বার্ষিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
 
এসময় তিনি আরো বলেন, ধর্ম যার যার রাষ্ট্র আমাদের সবার। কোরআন ও হাদিস অনুসারে সকলের কাজ করা প্রয়োজন।  তাহলে সমাজ ও দেশে শান্তি তথা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধন আরো গভীর হবে।
 
তাহফিজুল কোরআন প্রচার সংস্থা বান্দরবানের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুস সোবহান এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য মোঃ শফিকুর রহমান, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মোজ্জামের হক বাহাদুর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ, রেড় ক্রিসেন্ট বান্দরবানের সেক্রেটারি একেএম জাহঙ্গীরসহ কোরআন হাদিসের প্রতিযোগী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি।
 
আলোচনাসভা শেষে কোরআন প্রতিযোগিতা ২০১৮ তে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
 
#
জুলফিকার/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                 নম্বর :  ৯৫৩
 
 
শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ীদের প্রতি অর্থমন্ত্রীর আহ্বান
 
ঢাকা, ১০ চৈত্র (২৪ মার্চ ) :
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে শিক্ষাকে ব্যবসা হিসেবে না দেখতেও অনুরোধ জানান তিনি। তিনি আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনী-২০১৮ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
 
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং সভাপতিত্ব করেন সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সভাপতি সোহেল আহমেদ চৌধুরী। 
 
শিক্ষা খাত অগ্রাধিকার  খাত উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী  বলেন, সরকার শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। মন্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে আগামী বাজেটে বিশেষ তহবিল দেয়া হবে বলে জানান।
 
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোঃ আখতারউজ্জামান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন এবং এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট এ কে আজাদ প্রমুখ। 
 
#
 
 
শাহেদ/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০০০ ঘন্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ৯৫২
 
এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণে বার্ড ও আরডিএ সহায়ক ভূমিকা রেখেছে
                                                    ---প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁ
 
ঢাকা, ১০ চৈত্র (২৪ মার্চ) :
পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ), বগুড়া ও বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড), কুমিল্লা বর্তমান সরকারের টেকসই উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়নে গ্রাম বাংলার আর্থসামাজিক ও কৃষি উন্নয়নে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠান দু’টো জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও পরিবেশ সংরক্ষণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়নে সময়োপযোগী উদ্ভাবনী কর্মকা-সমূহ দিয়ে সফল অবদান রাখছে। এসব কর্মযজ্ঞ এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে বাংলাদেশকে উত্তরণে নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। 
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, আরডিএ ও বার্ড কর্তৃক এলডিসি স্ট্যাটাস হতে বাংলাদেশ উত্তরণে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত উন্নয়নের গতি ধারায় বাংলাদেশ-প্রত্যাশা, প্রাপ্তি ও সম্ভাবনা বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব তথ্য তুলে ধরেন। 
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ওএস সিদ্দিকা খানমের সভাপতিত্বে সেমিনারে আলোচক ছিলেন বিআরডিবি মহাপরিচালক মউদুদ-উর-রশীদ সফদার, বার্ড মহাপরিচালক ড. এম মিজানুর রহমান, আরডিএ মহাপরিচালক এম এ মতিন, পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম খান ও বার্ড পরিচালক
মোঃ মিজানুর রহমান। 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন পরিষদের উন্নয়ন বিষয়ক কমিটি সম্প্রতি বাংলাদেশের দারিদ্র্য হ্রাস ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি দেখিয়ে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যোগ্যতা নিশ্চিত করেছে। এলডিসি থেকে উত্তরণে মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে বাংলাদেশ কাক্সিক্ষত মানদ-ে উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন  পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, বার্ড ও আরডিএ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশে রূপান্তরে গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও কর্মসূচি দিয়ে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। 
 
#
আহসান/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৮/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                 নম্বর :  ৯৫১
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশে সাবিনা ইয়াসমিন ও ববিতা
ঢাকা, ১০ চৈত্র (২৪ মার্চ ) :
কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন ও প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ববিতা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষা ও সার্বিক সহায়তায় তাদের অটল মনোভাব পুনর্ব্যক্ত করেছেন। 
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শিশুকল্যাণ সংস্থা ডিসট্রেসড চিলড্রেন এন্ড ইনফ্যান্টস ইন্টারন্যাশনাল (ডিসিআই)’র উদ্যোগে এবং বাংলাদেশের রাইটস এন্ড সাইট ফর চিলড্রেন (আরএসসি)’র সহায়তায় গতকাল ২৩ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত ‘কনসার্ট ফর চিলড্রেন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিদ্বয়ের বক্তৃতায় এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তারা। 
‘আমরা একত্রিতভাবে আমাদের দেশকে বদলে দিতে পারি, প্রয়োজন শুধু আমাদের সদিচ্ছা’, বলেন কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। সংগীত পরিবেশনের সময় তিনি তার সেদিনের সকল গান সুবিধাবঞ্চিত  শিশুদের জন্য উৎসর্গ করেন। 
চিত্রনায়িকা ববিতা বলেন, ‘সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যাণ ও উন্নয়নে আমি সবসময় ভেবেছি। আজ আমার আগ্রহকে বাস্তবে রূপ দিতে পেরে আমি আনন্দিত।’
কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন ও অভিনেত্রী ববিতা এসময় শিশুকল্যাণে ডিসিআই’র ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, তারা উভয়েই সংস্থাটির শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করছেন। 
আয়োজক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ড. এহসান হক বলেন, ‘দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অন্ধত্ব চিকিৎসা ও এতিম শিশুদের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে ডিসিআই-আরএসসি। সকল শিশুর  সমান শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, মানবিক অধিকার ও শিশুশ্রমমুক্ত পৃথিবীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের কাজে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।’
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এদিন নিজ নির্বাচনি এলাকায় সফরে থাকার কারণে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না পারলেও আয়োজকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। 
যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ডিসিআই’র ‘জার্নি ফর চাইল্ড রাইটস এন্ড সাইট’ কর্মসূচির আওতায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাহায্যার্থে আয়োজিত এ সংগীতানুষ্ঠানে  সাবিনা ইয়াসমিনের পাশাপাশি ডিসিআই সান চাইল্ড মিউজিক গ্রুপ, বেনুকা ললিতকলা একাডেমি সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করে। 
#
আকরাম/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯০০ ঘন্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                 নম্বর :  ৯৫০
 
 
                           স্বতন্ত্র সৃজনশীলতাই আগামীতে সারাবিশ্বে নেতৃত্ব দেবে
                                                                   -- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
 
ঢাকা, ১০ চৈত্র (২৪ মার্চ ) :
 
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, স্বতন্ত্র সৃজনশীলতাই আগামীতে সারাবিশ্বে নেতৃত্ব দেবে। ইনোভেটিভ চিন্তা-ভাবনা প্রসারে ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে নিজেদেরকেই উদ্যোগী হতে হবে। বিপুল সম্ভাবনার বিশাল দুয়ার উন্মুক্ত। নিজেকে বিকশিত করার প্রচুর সুযোগ। যুগের চাহিদা অনুসারে নিজেকে শুধু তৈরি করতে হবে। 
 
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় লেকশোর হোটেলে ইয়ুথ লিডারশিপ কনক্লেভ এর ফিউচার অভ্ অনট্রাপ্রানারশীপ শীর্ষক সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যুগের চাহিদার সাথে আধুনিক হতে হবে। তরুণ ও মেধাবীরাই আগামীর বিশ্ব গড়বে। ঝুঁকি না নিলে বড় কিছু হওয়া যায় না। কোন ব্যবসার ভবিষ্যৎ ভালো, তা বিবেচনা ও বিশ্লেষণ করে ঝুঁকি নেয়া যেতে পারে। যুগোপযোগী প্রযুক্তি, তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত, ডিজিটাল স্মৃতি, জায়গার সুষ্ঠু ব্যবহার ও ভবিষ্যতে কোথায় থাকতে চাই, এগুলো বিবেচনা করে ঝুঁকি নিলেও সাফল্য আসার সম্ভাবনা বেশি।
 
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কনফিডেন্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমরান করিম, সামিট গ্রুপের পরিচালক আজেজা কান ও র‌্যাংগস গ্রুপের পরিচালক সোহানা রউফ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
 
#
 
 
আসলাম/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮৩০ ঘন্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                      নম্বর : ৯৪৯
 
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার নায়ককে দেশে ফিরিয়ে
 দিতে ব্রিটিশ সরকারের প্রতি আইনমন্ত্রীর অনুরোধ
ঢাকা, ১০ চৈত্র (২৪ মার্চ) :
আইন, বিচার  ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক অনতিবিলম্বে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও হত্যাকারীদের নায়ক সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান এবং যুদ্ধাপরাধী ট্রাইবুনালে সাজাপ্রাপ্ত মঈনুদ্দিনকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য ব্রিটিশ সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশের কোর্ট যে রায় দিয়েছে সে রায় কার্যকর করা আমাদের দায়িত্ব। 
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বনানী মাঠে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিএনপি ও জামাত কতৃর্ক হামলা, ভাঙচুর, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির অবমাননা এবং হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে তারেক জিয়া গ্রেফতার না হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্দন ও প্রতিবাদ সমাবেশ এবং বাংলাদেশস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনে স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
আইনমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্য গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় প্রতীক এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সারাবিশ্বে তাদের একটি অবদান ছিল আমরা দেখতে চাই যে সমস্ত দুষ্কৃতকারী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীরা লন্ডনস্থ  বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা কর্মচারীগণের ওপর হামলা ও দূতাবাস ভাঙচুর এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির অবমাননা করেছে তাদের বিচারের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি দিয়ে এ ব্যবস্থার সুরাহা করা হোক। তিনি বলেন, তারা (ব্রিটিশ সরকার) যদি শাস্তি দিতে না পারেন তাহলে তাদেরকে আমাদের হাতে তুলে দিক আমরা সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে তাদের সাজার ব্যবস্থা করবো। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে সিলেটে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর যে হামলা হয়েছিল আমরা তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে তাদের শাস্তি দিতে সর্মথ হয়েছি।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, লন্ডনস্থ  বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলা এবং জাতির পিতার ছবির অবমাননা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর হামলা। একটি দেশের দূতাবাস রক্ষার দায়িত্ব সে দেশের সরকারের, যুক্তরাজ্যের ব্যর্থতার জন্য আজকের এ প্রতিবাদ সমাবেশ। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে এ হামলার মদদদাতাদের গ্রেফতার এবং গ্রেফতার পরবর্তী শাস্তি কার্যকর করা হয় নাই। একটি দূতাবাসে হামলা এবং জাতির পিতার ছবি অবমাননা এত সহজে মেনে নেয়ার কোন কারণ নেই। বাঙালিরা জাতির পিতার অবমাননাকে মেনে নেয় নাই বলেই আজ তারা রাজপথে নেমে এসেছে।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে দেশের বিশিষ্ট শিল্পী কলাকুশলী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কৃষিবিদ, বুদ্ধিজীবী, মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্রসহ আপামর জনগণ অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বাংলাদেশস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
#
এনায়েত/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৮/১৮১৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৯৪৮
 
তরুণ প্রজন্মকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী করে তৈরি করতে হবে
   ---মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ১০ চৈত্র (২৪ মার্চ) :
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ‘ক্রাশপ্রোগ্রামের’ মাধ্যমে তরুণসমাজকে  উপযোগী করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। আমরা তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করেছি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্বদানকারী দেশ হিসেবে আমাদের নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ২০২০ সালে সারা পৃথিবী ৫জি-তে প্রবেশ করবে। এ থেকে  বাংলাদেশকে পিছিয়ে থাকতে দেয়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক কিছু অর্জন করেছে। আমাদের এই অর্জন ধরে রাখতে পারলে ২০২১ সালের বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের, ২০৩০ সালে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এবং ২০৪১ সালে বিশে^র উন্নত দেশের  কাতারে শামিল হবে বাংলাদেশ। লক্ষ্য অর্জনের যাত্রা শুরু হয়েছে। আমাদের এই অগ্রযাত্রা বেগবান করতে তরুণ সমাজকে উপযুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে সক্ষম করে গড়ে তুলতে হবে। 
মন্ত্রী আজ ঢাকার গুলশানে এক হোটেলে জেসিআই বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ইয়থ ইন ন্যাশন বিল্ডিং’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বেসিস পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জেসিআই প্রেসিডেন্ট মার্ক ব্রিয়ান লিম,  ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ফায়েজ আতিকুল ইসলাম, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির এবং এসএসএল ওয়্যারলেস কর্মকর্তা আশিষ চক্রবর্তী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছরে আমরা অনেক এগিয়েছি, সামনের চ্যালেঞ্জ অনেক কঠিন। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন প্রযুক্তি নিয়ে যারা কাজ করছে তাদের জন্য সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। কেবল সরকার নয়, সরকারের সাথে দেশের জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসার জন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।
মোস্তাফা জব্বার তরুণ উদ্ভাবকদের উদ্ভাবন বিকাশে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি বর্ণনা দিয়ে বলেন, আইসিটি বিভাগ প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত ৫টি প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। পাশাপাশি  বিআইটিএম ১৬ হাজার জনের প্রশিক্ষণ প্রদান শেষ করেছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ২৩ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ প্রদানে সক্ষম হবে। সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করলে একবিংশ শতাব্দির উপযোগী জনশক্তি গড়ে তুলতে বাংলাদেশ সক্ষম হবে। তিনি আইসিটি বিষয়ক প্রকল্পসমূহ আরো কার্যকর ও ফলপ্রসূ করে ঢেলে সাজানোর প্রয়োনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, প্রযুক্তি পৃথিবীকে একটি স্তর থেকে নতুন একটি স্তরে নিয়ে যাবে। কাজেই আমাদেরকে দেখতে হবে প্রচলিত শিক্ষা আসন্ন নতুন স্তরে  উপনীত পৃথিবীর জন্য কিংবা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী শিক্ষা কি না । বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ৪ জি যুগে প্রবেশ করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ৫জি সর্বত্র যুক্ত হতে চলেছে। ৫জি পৃথিবীতে আমূল পরিবর্তন ঘটাবে। চলতি জুন মাসে বাংলাদেশ ৫জি ট্রায়েল দেখবে বলে মন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
#
 
শেফায়েত/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৮/১৮০৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                               নম্বর : ৯৪৭
 
কমডেকা সমাবেশ চাঁদপুরের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে
                                     --ত্রাণমন্ত্রী  
 
হাইমচর (চাঁদপুর), ১০ চৈত্র ( ২৪ মার্চ ) :
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার আলগী দুর্গাপুর ইউনিয়নের চরভাঙ্গা গ্রাম। মেঘনাপাড়ে নিরিবিলি এক মনকাড়া জনপদ। এখানেই স্কাউটের জাতীয় সমাবেশ কমডেকা অনুষ্ঠিত হবে। স্কাউটদের কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টে সম্পৃক্ত করতেই এ ধরনের সমাবেশের আয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১ এপ্রিল এ সমাবেশের উদ্বোধন করবেন। হাইমচরের মেঘনা পাড়ের এ সমাবেশে দেশ বিদেশের প্রায় ৭ হাজার স্কাউট অংশগ্রহণ করবেন।  কমডেকা সমাবেশ বিভিন্ন দেশে হয়ে থাকে। এবছর সমাবেশটি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম আজ সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেন। স্কাউটের জাতীয় কমিশনার এবং জনপ্রশাসন সচিব ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ্ কামাল, অতিরিক্ত সচিব মোঃ মোহসীন, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ওচমান পাটোয়ারী, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, চাঁদপুরের হাইমচর একটি অনুন্নত এলাকা। অথচ মেঘনাপাড়ের এ এলাকায় পর্যটনের বিশেষ সুযোগ রয়েছে। স্কাউটের দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিদের আগমনের ফলে এ এলাকা দেশ-বিদেশে বিশেষ পরিচিতি লাভ করবে, প্রশাসনের নজর পড়বে। তিনি বলেন, প্রধামন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ইতোমধ্যে এখানে প্রশাসনের কেন্দ্রীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ এলাকা পরিদর্শন করে মুগ্ধ হয়েছেন। তারা এলাকাটিকে পর্যটনের সম্ভাবনাময় বলে উল্লেখ করেছেন। এ এলাকা ঘিরে ইতোমধ্যে নতুন রাস্তাঘাট নির্মাণ ও পাকাকরণ, বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হয়ে গেছে। স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে ব্যাপক কর্মসংস্থান ও প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। মেঘনার ভাঙন থেকে এ এলাকা রক্ষার জন্য বেড়িবাঁধ তৈরি হচ্ছে। নতুন লঞ্চঘাট নির্মিত হচ্ছে। স্কাউটদের জন্য প্রায় ১ হাজার ২০০ তাবু নির্মাণ করা হয়েছে। উন্নতমানের খাদ্য, স্বাস্থ্য, পয়:নিস্কাশন, নিরাপত্তা, জরুরি অবস্থা মোকাবিলাসহ প্রত্যেকটি বিষয় সতর্কতার সাথে নিরীক্ষা করা হচ্ছে। দেশি-বিদেশি অতিথিদের আন্তর্জাতিকমানের সেবা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ত্রাণমন্ত্রী।
 
#
ওমর/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৮/১৭৪০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৯৪৬ 

২৬ মার্চ সারাদেশে ও বিদেশে একযোগে জাতীয় সংগীত পরিবেশন কর্মসূচি 

ঢাকা, ১০ চৈত্র (২৪ মার্চ) :
আগামী ২৬ মার্চ সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জাতীয় শিশু কিশোর সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সারাদেশে ও বিদেশে একযোগে শুদ্ধসুরে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হবে। সবাইকে স¦ স¦ অবস্থানে থেকে এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
কর্মসূচি সফল করতে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব
 (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উদ্যোগে এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় শুদ্ধসুরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সংগীত চর্চাকে অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে গত ২০ জানুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ দেশব্যাপী প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে দলগত জাতীয় সংগীত পরিবেশন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। এ প্রতিযোগিতায় ৬৪টি জেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ ও মাদ্রাসার ৬২ লাখ ৫২ হাজার ৩৫৩ জন ছাত্র, ৬৩ লাখ ৭০ হাজার ২৯৫ জন ছাত্রী, মোট ১ কোটি ২৬ লাখ ২২ হাজার ৬৪৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
গত ১৫ মার্চ জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দলকে আগামী ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার প্রদান করবেন। 
#

মিজান/সেলিম/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৮/১৬৫২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ৯৪৪ 
 
গণহত্যা দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১০ চৈত্র ( ২৪ মার্চ ) :
 
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন: 
 
“আজ ২৫ মার্চ, জাতীয় গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এইদিনে বাঙালির মুক্তি আন্দোলন স্তব্ধ করতে নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ঢাকাসহ সারাদেশে চালানো হয় গণহত্যা। শহিদ হন ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অগণিত মানুষ। ২৫ মার্চের গণহত্যা শুধু বাংলাদেশেরই নয়, বিশ্বমানবতার ইতিহাসেও একটি কালো অধ্যায়। 
আজকের এ দিনে আমি পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যাঁর নেতৃত্বে দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের মহান স্বাধীনতা। আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি ২৫ মার্চ কালরাতে নিহত সকল শহিদকে। আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থকসহ সকলস্তরের জনগণকে, যাঁদের অসামান্য অবদান ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীনতা। 
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে বাংলার মাটিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, তা ছিল বিংশ শতাব্দীর নৃশংসতম গণহত্যা। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে অভিযানটি পরিচালনার মাধ্যমে তারা বাঙালি পুলিশ, ইপিআর এবং ছাত্রজনতার প্রতিরোধকে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার আগেই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান, যার পথ ধরে শুরু হয় বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের মহান স্বাধীনতা।
মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারের মাধ্যমে আমরা কিছুটা হলেও সে কলঙ্কমোচন করতে সক্ষম হয়েছি। আমি মনে করি জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের মধ্য দিয়ে কালরাতের গণহত্যা ও আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম জানতে পারবে স্বাধীনতার  প্রকৃত ইতিহাস। 
ত্রিশ লক্ষ শহিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি এই স্বাধীনতা। হত্যা নিপীড়ন করে বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি। বাঙালি জাতির এ বীরত্বগাথা আগামী দিনে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগাবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় অংশ নিতে আমি দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।  
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক”।
#
 
আজাদ/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/১৭০১ ঘন্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ৯৪৫
গণহত্যা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১০ চৈত্র ( ২৪ মার্চ ) :
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন: 
 
‘‘১৯৪৭ সালের দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানিরা বাঙালিদের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ শুরু করে। অর্থনৈতিক শোষণ ছাড়াও তারা আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির উপর আঘাত হানে। উর্দুকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার উদ্যোগ নেয়। পাকিস্তানিদের এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম রুখে দাঁড়ান। তাঁর নেতৃত্বে শুরু হয় বাঙালির স¦াধিকার আন্দোলনের সংগ্রাম। বাঙালিদের উপর নেমে আসে অত্যাচার এবং নির্যাতন। ৫২’র ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ৬-দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান এবং ৭০’র সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ের পথ ধরে বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম যৌক্তিক পরিণতির দিকে ধাবিত হয়।  
 
আগরতলা মামলা দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। কিন্তু বাঙালিরা দমবার পাত্র নন। তাঁরা গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করে আনেন। আইয়ুব খানের পতন হয়। ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা দখল করে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি  দেয়।
 
১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব বাংলার ১৬৯ আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। ইয়াহিয়া খান আর জুলফিকার আলী ভুট্টো মিলে ষড়যন্ত্র শুরু করে বাঙালিদের ক্ষমতা হস্তান্তর না করার। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। ৭ মার্চ তৎকালীন  রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা স¦াধীনতার ডাক দিয়ে তিনি ঘোষণা করেন, ‘‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স¦াধীনতার সংগ্রাম’’। ইয়াহিয়া খান আলোচনার নামে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। পাকিস্তান থেকে সৈন্য নিয়ে আসে পূর্ব বাংলায়। ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইট-এর আদেশ দিয়ে গোপনে পাকিস্তানে চলে যায় ইয়াহিয়া খান।
 
২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর আধুনিক মারণাস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ঢাকাসহ দেশের প্রধান প্রধান শহর ও বন্দরে হত্যা করা হয় হাজার হাজার নিরীহ মানুষ।  সেই রাত  থেকে পরবর্তী নয় মাস পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দোসর-রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনীর সদস্যরা-সারাদেশে নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ চালায়। হত্যা করে প্রায় ৩০ লাখ মানুষকে। এত কম সময় ও স¦ল্প পরিসরে এত বিপুলসংখ্যক মানুষ হত্যার নজির বিশ্বে আর নেই। শুধু মানুষ হত্যা নয়, একইসঙ্গে ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি করা হয়। লাখ লাখ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট করা হয়। বাড়িঘর  থেকে বিতাড়িত করা হয় প্রায় এক  কোটি মানুষকে।
 
গ্রেফতারের পূর্ব মুহূর্তে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স¦াধীনতার ঘোষণা  দেন। তৎকালীন ইপিআর ওয়ারলেসসহ,  টেলিপ্রিন্টার-টেলিগ্রাফের মাধ্যমে এ ঘোষণা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে।
 
পাকিস্তানি বাহিনী এবং তার দোসরদের  সেই নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ শুরুর দিন ২৫ মার্চকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত  নেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালের ২০ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে একই বছরের ১১ মার্চ মহান জাতীয় সংসদে এদিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
 
১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যা বিশ্বের জঘন্যতম গণহত্যাগুলোর অন্যতম। বিদেশি পত্রিকায় প্রকাশিত অসংখ্য  প্রতিবেদন, দূতাবাসগুলোর বার্তা  এবং পরবর্তীকালে  দেশি-বিদেশি  লেখক-ইতিহাসবিদদের রচনায় গণহত্যার বিষয়টি স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে।
 
১৯৭১ সালের ১৩ জুন সানডে টাইমস পত্রিকায় অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের ‘জেনোসাইড’ শিরোনামে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সে সময় ঢাকায় মার্কিন কনসাল  জেনারেল হিসেবে কর্মরত ছিলেন আর্চার ব্লাড।  তিনি  যেসব টেলিগ্রাম পাঠিয়েছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে  সেখানে বাংলাদেশের ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বা ‘নির্বাচিত গণহত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করেন।  হোয়াইট হাউসে প্রেরিত বার্তার উপর ভিত্তি করে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে অধ্যাপক গ্যারি বাস-এর গ্রন্থ ইষড়ড়ফ ঞবষবমৎধস : ঘরীড়হ, করংংরহমবৎ ধহফ ধ ঋড়ৎমড়ঃঃবহ এবহড়পরফব. সেই গ্রন্থেও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সংঘটিত ঘটনাকে  জেনোসাইড বা গণহত্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। গিনিস বুক অভ্ রেকর্ড-এ বাংলাদেশের ১৯৭১ এর হত্যাযজ্ঞকে বিংশ শতাব্দীর ৫টি গণহত্যার মধ্যে অন্যতম গণহত্যা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
 
বঙ্গবন্ধু সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধসমূহ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩ প্রণয়ন করেছিলেন।  সেই আইনের আওতায় অনেকের বিচার সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু পরবর্
Todays handout (8).docx