তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭১৯
রিজিয়ন কমান্ডারস্ বিজিবি এবং ফ্রন্টিয়ার আইজি বিএসএফ পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন সমাপ্ত
ঢাকা, ২৮ জুন (১১ জুন) :
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর রিজিয়ন কমান্ডারস্ (চট্টগ্রাম, সরাইল ও কক্সবাজার রিজিয়ন এবং ময়মনসিংহ সেক্টর) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর ফ্রন্টিয়ার ইন্সপেক্টরস জেনারেল (ত্রিপুরা, মিজোরাম ও কাচার, মেঘালয় এবং গৌহাটি ফ্রন্টিয়ার) পর্যায়ে ৫ দিনব্যাপী (০৭-১১ জুন ২০২১) সীমান্ত সম্মেলন বিজিবি'র দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়ন, রিজিয়ন সদর দপ্তর, চট্টগ্রামের ব্যবস্থাপনায় ভিডিও টেলিকনফারেন্স (ভিটিসি) এর মাধ্যমে আজ সমাপ্ত হয়েছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তানভীর গনি চৌধুরী (Brigadier General Tanveer Gani Chowdhury), রিজিয়ন কমান্ডার, দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়ন, রিজিয়ন সদর দপ্তর, চট্টগ্রাম এর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। অপরদিকে, বিএসএফ ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল শ্রী সুশান্ত কুমার নাথ, আইপিএস এর নেতৃত্বে ৭ সদস্যের ভারতের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ছাড়াও স্বরাষ্ট্র এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ প্রতিনিধিত্ব করেন।
সম্মেলনের শুরুতে বিজিবি প্রতিনিধিদলের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তানভীর গনি চৌধুরী দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে সীমান্ত সংক্রান্ত সকল সমস্যা সমাধানে উভয় বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বিএসএফ প্রতিনিধিদলের প্রধানও একই কথার পুনরাবৃত্তি করে সীমান্ত সমস্যা সমাধান ও সম্পর্ক উন্নয়নে এ ধরনের সীমান্ত সম্মেলনের প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। পরে সম্মেলনের আলোচ্যসূচি অনুযায়ী সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা, গুলি, আহত ও আক্রমণ, বাংলাদেশি নাগরিকদের অপহরণ, আটক ও গ্রেফতার, বিএসএফ কর্তৃক সীমান্ত লঙ্ঘন, অবৈধ অতিক্রম ও অনুপ্রবেশ, ভারতীয় অপরাধী, চোরাকারবারী ও দুষ্কৃতকারীদের দ্বারা বিজিবি সদস্যদের ওপর আক্রমণ সম্পর্কিত ইস্যু, মাদক, নেশা জাতীয় দ্রব্য, মদ, অস্ত্র ও গোলাবারুদ ইত্যাদি চোরাচালান রোধ, নারী-শিশু পাচার প্রতিরোধ, ভারত কর্তৃক আন্তর্জাতিক সীমান্তে ১৫০ গজের মধ্যে নির্মাণ ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এবং সীমান্ত চুক্তির সঠিক অনুসরণসহ পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির বিষয়াদি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। উভয় পক্ষই বিরাজমান পারস্পরিক সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধির জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
#
শরিফুল/সাহেলা/সঞ্জীব/শামীম/২০২১/২০৩৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭১৮
বাংলাদেশের আকাশে আজ কোথাও পবিত্র জিলক্বদ মাসের চাঁদ দেখা যায়নি
আগামী ১৩ জুন থেকে পবিত্র জিলক্বদ মাস গণনা শুরু
ঢাকা), ২৮ জ্যৈষ্ঠ (১১ জুন) :
বাংলাদেশের আকাশে আজ কোথাও ১৪৪২ হিজরি সনের পবিত্র জিলক্বদ মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামীকাল পবিত্র শাওয়াল মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগামী ১৩ জুন থেকে পবিত্র জিলক্বদ মাস গণনা করা হবে।
আজ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আলতাফ হোসেন চৌধুরী।
সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মোঃ মুশফিকুর রহমান (অতিরিক্ত সচিব), বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসক আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ (অতিরিক্ত সচিব), তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মোঃ ছাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান তথ্য অফিসার মোঃ শাহেনূর মিয়া, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের পিএসও আবু মোহাম্মদ, ঢাকা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মোঃ সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহঃ আছাদুর রহমান, মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মোঃ আলমগীর রহমান, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুহিউদ্দীন কাশেম, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নেয়ামতুল্লা ও চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
#
শারমীন/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২০২৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭১৭
মানুষকে আশাবাদী করুন, জানান অদম্য পথচলার কথা -সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৮ জুন (১১ জুন) :
দেশের মানুষের সামনে জাতির অদম্য পথচলা তুলে ধরে আশাবাদী করে তোলার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ।
রাষ্ট্রের স্বচ্ছ্বতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার প্রয়াসের পাশাপাশি মানুষকে আশাবাদী করে তোলার জন্যও সাংবাদিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, ঝড়-বন্যা-জলোচ্ছ্বাস যার নিত্যসঙ্গী, সেই বাংলাদেশ করোনা মহামারির মধ্যেও অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, মাথাপিছু আয়ে অনেক আগে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে আজ ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে -এই অদম্য পথচলার কথা মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে হবে, তাহলেই মানুষ আশাবাদী হবে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর বিজয়নগরে পল্টন টাওয়ারে ইআরএফ মিলনায়তনে সচিবালয়ের সংবাদসংগ্রহের দায়িত্বে নিয়োজিত গণমাধ্যম সদস্যদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম- বিএসআরএফ এর দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সকল কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহ্মুদ এসময় দিনটি সম্পর্কে উল্লেখ করে বলেন, 'দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর জনগণের আন্দোলনের মুখে ২০০৮ সালের ১১ জুন জননেত্রী শেখ হাসিনা এদিন মুক্তিলাভ করেন। এদিনটি প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস।'
প্রধানমন্ত্রীকে গণমাধ্যমবান্ধব হিসেবে বর্ণনা করে ড. হাছান বলেন, আশাহীন মানুষ যেমন এগুতে পারে না, আশাহীন সমাজও তাই। গণমাধ্যম অবশ্যই সমাজের অসংগতি তুলে ধরবে, সেইসাথে জানাবে সাফল্য, উন্নয়ন, অগ্রগতির কথাও।
আমরা দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছুতে চাই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একসময় আমরা ধনী ছিলাম, যখন বিশ্ব অর্থনীতি কৃষিনির্ভর ছিলো। বছরে তিনটি ফসল কম দেশেই হয়। এরপর বিশ্ব অর্থনীতি শিল্পনির্ভর হয়ে গেলে আমাদের থেকে কাঁচামাল নিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে শিল্পোন্নত দেশগুলো আমাদের কাছেই শিল্পপণ্য বিক্রি শুরু করে আর তারা অনেক এগিয়ে যায়। আমরা এই দৃশ্যপট পাল্টে দিতে চাই, আবারো হতে চাই সমৃদ্ধ দেশ। আর সেজন্য প্রয়োজন সাংবাদিকসমাজসহ সবার একযোগে কাজ করা।
বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদের সঞ্চালনায় সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম, শ্যামল সরকারসহ বিএসআরএফ এর সাবেক নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা সভায় অংশ নেন। আগামী ১৩ জুন সংগঠনের পরবর্তী নির্বাচনের তারিখ ধার্য হয়েছে।
#
আকরাম/সাহেলা/সঞ্জীব/শামীম/২০২১/১৯৪২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭১৬
শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস
-তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২৮ জুন (১১ জুন) :
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, '২০০৮ সালের ১১ জুন জননেত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস। গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের মাধ্যমে গণতন্ত্রের পায়ে শেকল পরানো হয়েছিল। আর এই দিন জনগণের দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করে আমরা সেই অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকেই মুক্ত করেছিলাম।'
আজ রাজধানীর কলাবাগান মাঠে স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত ১১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন।
শেখ হাসিনার মুক্তির সেই আন্দোলনের পথ ধরে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে ধস নামানো বিজয়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেছিলেন এবং সেই ধারাবাহিকতায় জনগণ পরপর তিনবার রায় দিয়ে আওয়ামী লীগকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে, জননেত্রী শেখ হাসিনা চারবার দেশের প্রধানমন্ত্রীত্বের আসন অলংকৃত করেছেন, উল্লেখ করেন ড. হাছান।
কারামুক্তি দিবসের তাৎপর্যের গভীরতা ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, সেদিন জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে মুক্ত করে পরপর দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়ার ফলেই আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহ্মুদ বলেন, 'সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দাঁড়িয়ে আমাদের বড় সার্থকতা এখানেই যে, আজ পাকিস্তান আমাদের উন্নতি দেখে হা-হুতাশ করে। সমস্ত সূচকে আমরা তাদেরকে অনেক আগেই পেছনে ফেলেছি। তাদের প্রধানমন্ত্রী যখন পাকিস্তানকে ১০ বছরের মধ্যে সুইডেন বানানোর কথা বলে, তাদের জনগণ বলে- সুইডেন লাগবে না, ১০ বছরের মধ্যে আমাদেরকে বাংলাদেশের অবস্থানে নিয়ে যান।'
ভারতকেও সামাজিক, মানবিক সূচকে ছাড়িয়ে আমরা তাদেরকে এখন মাথাপিছু আয়েও ছাড়িয়ে গেছি উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ভারত শুধু আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থনই দেয়নি, তাদের মানুষ আমাদের সাথে রক্তও ঝরিয়েছে। আমাদের এই উন্নতিতে ভারতে আলোচনার ঝড়, তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
'বাংলাদেশের এই অভূতপূর্ব উন্নতিতে ভারতে আলোচনার ঝড়, পাকিস্তানের হা-হুতাশ, জাতিসংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বব্যাপী দেশগুলোর প্রশংসা হলেও দেশের টিভিতে যারা রাত বারোটার পর টক শো'তে বিশেষজ্ঞ হিসেবে পর্দা ফাটান, তাদের মুখে আর বিএনপির মুখে কোনো প্রশংসা শুনতে পাওয়া যায় না' বলেন তথ্যমন্ত্রী।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় সংগঠনের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ সভায় বক্তব্য রাখেন। সভাশেষে প্রধানমন্ত্রী, দেশ ও বিশ্বের কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করা হয়। পরে সেখানে মন্ত্রী একটি করোনা প্রতিরোধসামগ্রী সরবরাহ বুথ উদ্বোধন করেন।
#
আকরাম/সাহেলা/সঞ্জীব/শামীম/২০২১/১৯২৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭১৫
করোনা মহামারিকালেও দেশের উন্নয়ন অব্যাহত আছে
-- পরিবেশমন্ত্রী
বড়লেখা (মৌলভীবাজার), ২৮ জ্যৈষ্ঠ (১১ জুন) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত মহামারিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উন্নয়ন কার্যক্রম স্থবির হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত আছে। কিছু কার্যক্রমে বিধিনিষেধ থাকলেও জনগণের স্বার্থে বিশেষ ব্যবস্থায় মেগাপ্রজেক্টসহ উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
আজ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ ত্রিমোহনী-দোহালিয়া জামে মসজিদ সড়কের উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নকালে এর গুণগতমান বজায় রাখতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বর্তমানে সরকারি কাজে মনিটরিং ও সুপারভিশন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এসময় তিনি উপস্থিত ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যথাসময়ে, যথানিয়মে গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্দেশনা প্রদান করেন।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আজিম উদ্দিন সরদার ও বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী।
#
দীপংকর/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৮৩৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭১৪
ডিজিটাল বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে মেধাবী তরুণরা
---আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৮ জ্যৈষ্ঠ (১১ জুন) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেছেন, শুধু ডিজিটাল বাংলাদেশ নয়, ডিজিটাল বিশ্বের নেতৃত্ব দেবে আমাদের মেধাবী তরুণরা। তাদের সুযোগ্য করে গড়ে তুলতে চাইলে এবং আমরা তাদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ডিজিটাল বিশ্বের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই; তাহলে ঠিক আবশ্যিক ভাবেই তাদের কম্পিউটারের ভাষা প্রোগ্রামিং শেখাতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ জুম প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে ‘ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা (এনএইচএসপিসি)২০২১’ এর জাতীয় পর্বের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
‘জানুক সবাই দেখাও তুমি’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রোগ্রামিং করার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে অনলাইনে আয়োজিত হয় এ বছরের আয়োজন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্ম মেধাবী । তাদের মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলেই বাংলাদেশের মাটিতেই স্যাটেলাইট তৈরি ও উৎক্ষেপণ করার সক্ষমতা অর্জন সম্ভব হবে। এছাড়া তাদের মেধা-যোগ্যতা ও পরিশ্রম দিয়ে নিজেদের স্বপ্নগুলো পূরণ করবে। আমরা যদি তাদের প্রোগ্রামিং শেখাতে না পরি, তাহলে তাদের বড় স্বপ্ন পূরণের সুযোগটা করে দিতে পারবো না।
প্রতিমন্ত্রী তরুণদের স্বপ্ন পূরণে সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বলেন, ভবিষ্যৎ দক্ষতানির্ভর প্রযুক্তির ভাষা প্রোগ্রামিং জানা থাকলে পৃথিবীর সব ভাষাতেই যোগাযোগ করা যাবে। এছাড়া কিছুদিন পর যখন ড্রাইভারলেস গাড়িগুলো চলবে তখন এগুলো চালানোর জন্য প্রোগ্রামিং জানতে হবে। তিনি আরো বলেন, বুয়েটের সহযোগিতায় ৯ ধরণের ভাষা শেখার জন্য আমরা ‘ভাষাগুরু’ নামে একটি সফটওয়্যার তৈরি করেছি। এখন ভাষা না শিখেও কেউ যদি সফটওয়্যার তৈরি করতে পারেন, আপনার কছে যদি সেই অ্যাপ্লিকেশন থাকে তাহলে স্প্যানিশ বা আরবি না শিখেও যদি প্রযুক্তি ভাষা শেখা যায়, তাহলে পৃথিবীর সব ভাষাতেই যোগাযোগ করা যাবে। আর এই লক্ষ্য বাস্তবায়নেই আগামী বছরেই প্রাথমিকে প্রোগ্রামিং শিক্ষার পাঠ্যবই যুক্ত করা হচ্ছে বলেও জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪১ সালের রূপকল্প শুধু শ্রমনির্ভর অর্থনীতি দিয়ে বাস্তবায়ন করা যাবে না। শ্রমনির্ভর অর্থনীতির পাশাপাশি মেধাকে সঠিকভাবে বেশি করে কাজে লাগাতে হবে, তাহলেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করা যাবে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ ।
দেশের সকল জেলা এবং ৪৪৪ উপজেলা থেকে ১১ হাজার ৬৯৩ জন শিক্ষার্থী চার ঘণ্টাব্যাপী এ প্রোগ্রামিং এবং কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। যাদের মধ্যে ৩ হাজার ৯৫ জন শিক্ষার্থীই ছিল মেয়ে।
পরে প্রতিমন্ত্রী প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।
#
শহিদুল/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/২০৩৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭১৩
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২৮ জ্যৈষ্ঠ (১১ জুন) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৮ হাজার ৫৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ৪৫৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮ লাখ ২২ হাজার ৮৪৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ জন-সহ এ পর্যন্ত ১৩ হাজার ৩২ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯১৬ জন।
#
দলিল/সাহেলা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২১/১৭৫২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭১২
সমন্বিত পরিকল্পনাই নিশ্চিত করবে টেকসই উন্নয়ন
-বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৮ জ্যৈষ্ঠ (১১ জুন) :
বাপেক্স ২০২০ সালে শাহবাজপুর-৩, শ্রীকাইল-৪, ফেঞ্চুগঞ্জ-৪ ও তিতাস-৭ নং কূপে সফলভাবে ওয়ার্কওভার কার্যক্রম সম্পাদন এবং গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে । বাপেক্স ২০২০ সালেই শ্রীকাইল ইস্ট-১ নং কূপে অনুসন্ধান করে সম্ভাব্য ৫০ বিসিএফ উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদ এবং সিলেট-৯ নং কূপে সম্ভাব্য ৩৫ বিসিএফ গ্যাস উৎপাদনের সম্ভাবনার হিসাব জানিয়েছে। জকিগঞ্জ-১ নং কূপটিতে ২,৯৮২ মিটার গভীরতা পর্যন্ত খননশেষে ২৮৭২-২৮৮৪ মিটার গভীরতায় পারফোরেশন সম্পন্ন করে কূপ পরীক্ষণ (ডিএসটি) কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ CRI albd web Team এর উদ্যোগে আয়োজিত “সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তার বাজেট” শীর্ষক ওয়েবিনারে আজ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সাশ্রয়ী ব্যবহারে প্রি-পেইড মিটার কার্যকরী অবদান রাখবে। দেশীয় জ্বালানি ব্যবহারে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নেয়া দরকার। ১০ বছর যে জ্বালানি ব্যবহৃত হতো তা কীভাবে ১৫ বছর করা যেতে পারে, তা নিয়ে এখনি চিন্তা-ভাবনা করা উচিৎ। বাপেক্সকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রণোদনা-প্রদান অব্যাহত রয়েছে। আগামীদিনে বিদ্যুৎ-উৎপাদনের অন্যতম প্রধান উৎস হতে পারে নারায়নযোগ্য জ্বালানি। বায়ুবিদ্যুৎ, ওশান রিনিউবল এনার্জি, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, সৌরবিদ্যুৎ ইত্যাদি আগামীর জ্বালানি মিশ্রণে ব্যাপক অবদান রাখবে।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, ২০০৯-১০ অর্থবছরে বিদ্যুৎখাতে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ছিল ২৬৪৪.২৬ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে এ খাতে ২৬১১৮.৭৬ কোটি টাকা (নিজস্ব অর্থায়্নসহ) বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিতরণসংশ্লিষ্ট ৩১টি, সঞ্চালনসংশ্লিষ্ট ১৮টি, উৎপাদনসংশ্লিষ্ট ১৭টি, কারিগরি ৬টি ও নিজস্ব অর্থায়নে ২টি প্রকল্পের অনুকূলে এই ২৬,১১৮.৭৬ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগে ২০২১-২২ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ১৭টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। উক্ত প্রকল্পসমূহের অনুকূলে ২৮৫১.৪৭ কোটি টাকা (নিজস্ব অর্থায়্নসহ) বরাদ্দ রয়েছে।
২০৪১ সালে সমৃদ্ধ বাংলাদেশকে সামনে রেখে বিদ্যুৎব্যবস্থা ও ব্যবস্থাপনায় ই আর পি, স্ক্যাডা, স্মার্ট গ্রীড, স্মার্ট প্রিপেইড মিটার, ভূগর্ভস্থ ক্যাবল-ব্যবস্থা, ভূগর্ভস্থ উপকেন্দ্র এবং জি আই ট্রান্সফরমার সংযোজনের উদ্যোগ চলমান। বিগ ডাটার সাথে ইন্টারনেট অব থিংকস সম্পৃক্ত করে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবেলায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাত প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনলাইন ওয়েবিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান অরুণ কর্মকার, এনার্জি এন্ড পাওয়ার ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ হোসাইন ও ডেইলি অবজারভারের বিশেষ প্রতিনিধি শাহনাজ বেগম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসেকা আয়েশা খান, এমপি, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম তামিম ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ডঃ সেলিম মাহমুদ ও বক্তব্য রাখেন।
#
আসলাম/শাহ আলম/মেহেদী/রেজ্জাকুল/মাসুম/২০২১/১৫০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭১১
কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রশংসা করলো ইউএনডিপি ও আইওএম
ঢাকা, ২৮ জ্যৈষ্ঠ (১১ জুন) :
কোভিড-১৯ সফলভাবে মোকাবিলা করায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করলো জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
আজ ইউএনডিপি'র আয়োজনে "ইনক্লুডিং মাইগ্রেন্টস এন্ড কমিউনিকেশনস ইন দ্য সোসিও-ইকোনোমিক রিকভারি: এক্সপেরিয়েন্স ফ্রম দ্য আইওএম-ইউএনডিপি পার্টনারশিপ অন দ্য কোভিড-১৯" শীর্ষক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ প্রশংসা করা হয়।
বাংলাদেশ সরকার গতবছর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ুগঠিত অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি বিষয়ক জাতীয় কৌশলপত্র প্রণয়ন করেছে এবং তদনুযায়ী কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্তকরণ চলমান রয়েছে। ইউএনডিপি’র প্রতিনিধি David Khoudour বাংলাদেশ সরকারের এই কৌশলপত্রের ভুয়সী প্রশংসা করেন । আইওএম'র মহাপরিচালক Antonio Vitorino কুড়িগ্রাম জেলায় কোভিড-১৯ এর সময়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের গন্তব্য-নির্ধারণে যে পদ্ধতির পাইলটিং করা হয়েছে তার প্রশংসা করেন । তিনি এ পদ্ধতি অন্যান্য স্থানেও বাস্তবায়ন করতে মতামত ব্যক্ত করেন । আইওএম এবং ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে পাইলটকৃত এ বাস্তুচ্যুতি ট্র্যাকিং পদ্ধতি বাস্তুচ্যুত মানুষের গতিবিধি এবং তাদের প্রয়োজন নিরূপণ করতে সহায়ক হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন ।
বাংলাদেশ থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মোঃ মোহসীন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপসমূহ উপস্থাপনকালে বলেন, বাংলাদেশ সরকার নগদটাকা ও খাবার-সরবরাহের মাধ্যমে সাতকোটি মানুষকে মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে। মানুষের জীবন-জীবিকার সহায়তার জন্য ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা প্রদান করেছে। সরকার ৮ লাখ ৮৪ হাজার দুর্যোগসহনীয় ঘরনির্মাণপূর্বক বাস্তুচ্যুত এবং গৃহহীন মানুষের পূনর্বাসনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
ত্রাণ সচিব আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসকল্পে সরকারের গৃহীত নানামুখী উদ্যোগে বাংলাদেশ বিগত দশকে উন্নয়নের সুবিধা অর্জন করতে পেরেছে এবং জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি প্রায় ৭.৫ শতাংশ ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। কোভিড বৈশ্বিক মহামারির সময়ে গত অর্থবছরেও বাংলাদেশ ৫.২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছে ।
ইউএনডিপি প্রধান Achim Steiner এবং আইওএম মহাপরিচালক Antonio Vitorino ছাড়াও কিরগিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট Rosa Otunbaeva এবং ইউএনডিপির লেসোথো’র আবাসিক প্রতিনিধি Betty Wabunoha ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন ।
#
সেলিম/শাহ আলম/মেহেদী/রেজ্জাকুল/মাসুম/২০২১/১২০০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭০৯
বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৮ জ্যৈষ্ঠ (১১ জুন) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ১২ জুন বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ বছর বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের আহ্বান, শিশুশ্রমের অবসান’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। জাতিসংঘ ২০২১ সালকে ‘আন্তর্জাতিক শিশুশ্রম নিরসন বছর’ হিসেবে ঘোষণা করায় এ বছরের ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ উদযাপন বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
শিশুশ্রম একটি জাতীয় সমস্যা। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হলে শিশুর সার্বিক কল্যাণ নিশ্চত করে তাদের সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। আর সেজন্যই শিশুশ্রম নির্মূল করে বাধ্যতামূলক শিক্ষাপ্রদানের মাধ্যমে শিশুর যথাযথ বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ এ বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছে। তাই শিশুদের সার্বিক বিকাশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণ করার এখনই সময়। সরকার এসডিজি-বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম-নিরসন এবং ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে সকল ধরনের শিশুশ্রম হতে মুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। সরকার শিশুশ্রম-নিরসনে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অঙ্গীকারবদ্ধ।
বাংলাদেশ জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমবিষয়ক আইএলও-কনভেনশন অনুসমর্থনকারী দেশ। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিবিষয়ক এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য শিশুশ্রম-ন