তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৪১
২৫ মার্চের গণহত্যার বিচার করতে শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দরকার
-- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :
’৭১ এর ২৫ মার্চের গণহত্যার বিচার করতে শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দরকার বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে ’৭১ এর ২৫ মার্চ গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, ’৭১ এর ২৫ মার্চের গণহত্যার বিচার যদি চাইতে হয়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যদি চাইতে হয় তাহলে রাষ্ট্রক্ষমতায় স্বাধীনতাবিরোধীরা যেন ভুলেও না আসতে পারে। শেখ হাসিনা ছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দুঃসাহস অনেকেই করতো না। শেখ হাসিনা আমাদের জন্য আশীর্বাদ। শেখ হাসিনা না থাকলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হতো না, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত হতো না, মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাণসঞ্চারী স্লোগান জয় বাংলা রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন মাধ্যমে সকলে বলতো না।
মন্ত্রী আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিকে আবার পরাজিত করতে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় দরকার। তিনি ছাড়া দুঃসাহসী কান্ডারি আর দ্বিতীয় কেউ আসবে না। ২৫ মার্চের গণহত্যার বিচারে সরকার পর্যায়ক্রমে চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ২৫ মার্চের গণহত্যার বিচারের জন্য প্রত্যেকের সচেতনতাবোধ জাগ্রত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পূর্বের বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পরের বাংলাদেশ, যুদ্ধাপরাধের সময়ের ঘটনা নতুন প্রজন্মকে বোঝাতে হবে।
মন্ত্রী আরো যোগ করেন, ভুলে যাওয়া যাবে না আমাদের ওপর নির্বিচারে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ঝাঁপিয়ে পড়ার বর্বরোচিত ঘটনার কথা। এটাও ভুলে যাওয়া যাবে না ১৯৭১ সালে দেশের একটি পক্ষ স্বাধীনতা চেয়েছে, আরেকটি পক্ষ চায়নি। পৃথিবীর কোনো দেশে পরাজিত শক্তি ফিরে দাঁড়াতে পারেনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য বাংলাদেশেই স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে। দেশে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ২৬ বছর স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি রাষ্ট্র শাসন করেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে তারা এ প্রতিষ্ঠা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.), বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিল, অধ্যাপক ফজলে আলী প্রমুখ।
#
ইফতেখার/পাশা/সঞ্জীব/মোশারফ/শামীম/২০২৩/১৯৫৫ঘণ্টা
Handout Number : 1240
Genocide Day observed in New Delhi
New Delhi, 25 March :
The Bangladesh High Commission in New Delhi observed the ‘Genocide Day’ with due veneration and solemnity today. The day was observed to commemorate one of the brutal, barbaric and heinous massacres of human history carried out by the then Pakistani occupation forces on the unarmed and innocent Bangalees on the dark night of 25 March 1971 under the so-called ‘Operation Searchlight’.
On the occasion of the day, a discussion programme was organized at the Bangabandhu Hall of the High Commission. At the beginning, a moment of silence was observed to pay tribute to the memory of the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman and the martyrs who made supreme sacrificeduring the great Liberation War, including those who were mercilessly killed on the night of 25 March 1971.
The messages issued by the President and Prime Minister on the occasion of the day were read out by the Mission officials. A documentary film on the 1971 genocide was also screened.
In his remarks, High Commissioner of Bangladesh to India Md. Mustafizur Rahman highlighted the background of the Genocide Day and said that although the day is observed nationally, it has international significance and relevance. He said, ‘In addition to remembering the victims of genocide in various countries of the world, including Bangladesh, the scope and significance of this day is far-reaching, particularly in ensuring the end of genocide from the world and the justice of the perpetrators.’
After the discussion session, a special prayer was offered for the salvation of the souls of the Father of the Nation, martyrs of 25 March 1971 and others who played a historical role in all stages of movements for freedom and Liberation War of Bangladesh as well as well as for the peace, progress and prosperity of the country under the leadership of Prime Minister Sheikh Hasina.
Officials and employees from the Bangladesh High Commission and expatriate Bangladeshis were present at the event.
#
Shaban/Pasha/Sanjib/Mosaraf/Rezaul/2023/2005 hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৩৯
কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে পালিত হলো গণহত্যা দিবস
কলকাতা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন, কলকাতায় পালিত হয়েছে গণহত্যা দিবস। বাংলাদেশ গ্যালারিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে গণহত্যা দিবস হিসেবে নির্মিত দুটো তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস সকল কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনান যাথক্রমে কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম এবং কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) তুষিতা চাকমা। অনুষ্ঠানে গণহত্যা দিবস নিয়ে আলোচনা করেন মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান সিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান এবং প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন।
সমাপনী বক্তব্যে উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, ১৯৭১-এর ২৫ মার্চ বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে গণহত্যা শুরু করেছিল, যা পরবর্তী নয় মাস চলেছিল, তা ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ গণহত্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহিদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের স্বাধীনতা।
আন্দালিব ইলিয়াস আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১-এ বাংলাদেশে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের এ উদ্যোগ নিশ্চয়ই সফল হবে। একই সঙ্গে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকার কথা তুলে ধরে উপ-হাইকমিশনার বিশ্বে যে কোনো গণহত্যার বিরূদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন উপ-হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম।
সবশেষে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
#
রঞ্জন/পাশা/সঞ্জীব/মোশারফ/শামীম/২০২৩/১৯১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৩৮
একাত্তরে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে
-- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। তবে বিষয়টি সহজ নয়, কারণ অনেক শক্তিশালী রাষ্ট্র ওই সময়ে পাকিস্তানকে সহায়তা দিয়েছিল। বাংলাদেশ এ বিষয়ে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
আজ রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর যৌথভাবে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ তথ্য জানান।
সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এশিয়া জাস্টিস এন্ড রাইটস - এর প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার প্যাট্রিক বারজার্স । অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান এমপি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক ।
মন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে এতো সংক্ষিপ্ততম সময়ের মধ্যে এতো বেশি সংখ্যক লোককে হত্যা করার নজির নেই। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেনোসাইডের সেই নৃশংসতার নজির সৃষ্টি করেছে। হত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ, উৎখাত, উৎপীড়নসহ একটি জাতিকে বিপন্ন করার সকল চেষ্টাই তারা করেছে। স্বাধীনতার পর ৫২ বছর অতিক্রান্ত হলেও এই নৃশংসতার ঘটনাকে জেনোসাইড হিসেবে জাতিসংঘ আজো স্বীকৃতি দেয়নি’।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘জাতীয়ভাবে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। স্বীকৃতি না পেলেও আমদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিশ্ববাসীর শুভবুদ্ধির উদয় হোক ।’
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের পক্ষে অনেক রাষ্ট্র সমর্থন দিয়েছিল। আর এখন সেই রাষ্ট্রগুলো পৃথিবীব্যাপী গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জোরালোভাবে চেষ্টা করে। সেই রাষ্ট্রগুলো বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ চাইলেও বা না চাইলেও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলে। বিশ্বে বিবাদমান একাধিক রাষ্ট্র সে সময় গণহত্যার পক্ষে ছিল।’ তিনি বলেন, ‘আজ আমরা তাকিয়ে থাকব গণহত্যা দিবসে তারা কী বলছে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা এশিয়ান জাস্টিস অ্যান্ড রাইটস এর প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিক বারজার্স বলেন, এই গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে হবে। যারা এর পেছনে দায়ী তাদের সাজা দিতে হবে। আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সত্য উন্মোচন করে তুলে ধরতে হবে। তিনি আরো বলেন, অনেকেই এটাকে রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে ফেলেছে। এতে গণহত্যা হওয়ার যে বিষয়গুলো থাকে তা পূরণ করা যায়নি। তাই স্বীকৃতি লাভে এত সময় পার হয়ে যাচ্ছে।
#
মারুফ/পাশা/সঞ্জীব/মোশারফ/শামীম/২০২৩/১৮৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৩৭
২১ বছর জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ারা যে গণহত্যাকে
ভুলিয়ে দিয়েছিল সেটিকে বিশ্বে তুলে ধরতে হবে
--নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
দিনাজপুর, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে নিরীহ বাঙালির ওপর গণহত্যা চালিয়েছিল; সে এক বিভীষিকাময় হত্যাকাণ্ড। বাংলাকে বিরাণভূমি বানাতে অসংখ্য গণহত্যা সংঘটিত করেছিল। কিন্তু তারা পারেনি। নির্বিচারে গণহত্যার খবর শুনে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ বাংলাদেশকে স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেন। বীর বাঙালি বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে স্বাধীনতাকে ধরে রাখার জন্য দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয়ী হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এত বড় গণহত্যা সেটি কিন্তু আমরা আন্তর্জাতিক পরিণ্ডলে তুলে ধরতে পারিনি। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ২১ বছর জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়ারা যে গণহত্যাকে ভুলিয়ে দিয়েছিল সেটিকে আবার সমগ্র বিশ্বে তুলে ধরতে হবে। মানবতার বিরুদ্ধে এত বড় অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল-পৃথিবী যেন স্বীকৃতি দেয়; জাতিসংঘ যেন স্বীকৃতি দেয়। সেজন্য সকলকে আরো সোচ্চার হতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস’ এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলতাফুজ্জামান মিতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমদাদ সরকার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত করেছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে নতুন প্রজন্ম সামনের দিকে পথ চলছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করেছি; ৭১এর অপরাধীদের বিচার করেছি। বঙ্গবন্ধুর করা স্বল্পোন্নত দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের গ্রাজুয়েশনের অপেক্ষায় আছি। উন্নত দেশের টার্গেট নির্ধারণ করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলার মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেছি। বাংলাদেশের অর্থনীতি সমগ্র পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এখন বাংলাদেশে কোন ড. ইউনুস তৈরি হবার সম্ভাবনা নাই। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দরিদ্রতাকে জয় করেছি। যে দরিদ্রতাকে বিক্রি করে ড. ইউনুসরা নোবেল শান্তি পুরস্কার নিয়ে এসেছে। এখন বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়াকে নিয়ে গবেষণা করতে হবে। দারিদ্রতাকে নিয়ে নয়। বাংলাদেশ এখন সোনার বাংলা হয়েছে। সোনার বাংলা বিনির্মাণের মাধ্যমে গণহত্যার শিকার মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদ ও বঙ্গবন্ধুর রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরেছি।
#
জাহাঙ্গীর/পাশা/সঞ্জীব/মোশারফ/শামীম/২০২৩/১৭৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৩৬
রমজানের পবিত্রতাও নষ্ট করতে চায় বিএনপি
--তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :
‘বিএনপি রমজানের পবিত্রতাও নষ্ট করতে চায়’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকরা পবিত্র রমজান মাসে বিএনপির নানা রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণার বিষয় তুলে ধরলে মন্ত্রী বলেন, 'অতীতে আমরা কখনই পবিত্র রমজান মাসে আন্দোলনের ঘোষণা দেখি নাই। কারণ সবাই রমজানের পবিত্রতা বজায় রেখে রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে বিরত থাকে। রমজানে ইফতার পার্টি হয়, সেখানে কথাবার্তা হয় এবং অন্যান্য কর্মসূচি হয়। বিএনপির কর্মসূচি দেখে মনে হচ্ছে তারা রমজানের পবিত্রতাটাও নষ্ট করতে চায়।'
মন্ত্রী হাছান বলেন, 'বিএনপি রমজানেও মানুষকে স্বস্তি দিতে চায় না। রমজানের পবিত্রতা নষ্ট করতে চায় এবং একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা তারা করছে, যেটি অনভিপ্রেত।'
দেশে খাদ্যপণ্যের মজুত যথেষ্টের চেয়েও বেশি, দাম বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিক কারণ নেই
এ সময় রমজানে দেশে পণ্যের যথেষ্ট মজুত থাকার পরেও যারা দাম বাড়াচ্ছে, তাদেরকে গণবিরোধী আখ্যা দিয়ে সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ বলেন, 'দুঃখজনক হলেও সত্য যে রমজান কিংবা কোনো উৎসব-পার্বণ আসলে আমাদের দেশের কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা করার জন্য পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশে রমজানকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমদানিনির্ভর পণ্য থেকে শুরু করে উৎপাদননির্ভর পণ্যসহ সমস্ত পণ্যের সরবরাহ যাতে ঠিক থাকে সে ব্যবস্থা করেছেন। ফলে খাদ্যপণ্যের মজুত এখন শুধু যথেষ্টই নয় বরং প্রয়োজনের চেয়ে বেশি। এবং রমজানে দাম বৃদ্ধির কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।'
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, 'আমাদের খাদ্যনীতিতে বলা আছে, দেশে যদি ১০ লাখ টন খাদ্যপণ্য মজুত থাকে তাহলে সেটি নিরাপদ। কিন্তু বর্তমানে বিশ লাখ টনের চেয়ে বেশি খাদ্যশস্য চাল, গম এবং ভোগ্যপণ্যের যথেষ্ট মজুত রয়েছে, কোনো কোনো পণ্য রমজানের চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত মজুত রয়েছে।'
'এরপরেও দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, মজুতদাররা এই রমজানের সুযোগ নিয়ে পণ্যের মূল্য বাড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে' উল্লেখ করে হুঁশিয়ারি দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'এটি যারা করবে তারা আসলে গণবিরোধী কাজে লিপ্ত হবে। এদের বিরুদ্ধে সরকার ইতোমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে এবং প্রয়োজনে শাস্তির বিধান রাখা হবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা ইতোমধ্যে সক্রিয় হয়েছে এটা আপনারা দেখেছেন। বাজার মনিটর করা হচ্ছে। এটি খুব সহসা উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত করা হবে। এ ব্যাপারে জনগণকেও সতর্ক থাকার জন্য আহ্বান জানাবো।'
'ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব প্রেক্ষাপটে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও আমাদের দেশে ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোর মতো কখনো পণ্যের সংকট তৈরি হয়নি' উল্লেখ করে গণমাধ্যমকেও এক্ষেত্রে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, 'যাতে কেউ এই ধরনের সংকট তৈরি করতে না পারে এবং অতিরিক্ত মুনাফা করতে যেন পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিতে না পারে, এ ক্ষেত্রে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে রিপোর্টিং করাসহ গণমাধ্যমও ভূমিকা রাখতে পারে।'
#
আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/মোশারফ/রেজাউল/২০২৩/১৭২৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৩৫
জেদ্দায় গণহত্যা দিবস পালিত
জেদ্দা, ২৫ মার্চ ২০২৩ :
বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, জেদ্দার উদ্যোগে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে বাঙালি মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসের ভয়াল ‘গণহত্যা দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই তরজমাসহ পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ একাত্তরে নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণহত্যায় নিহত শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। অতঃপর ২৫ মার্চ ১৯৭১ তারিখে গণহত্যার শিকার হওয়া শহিদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
অনুষ্ঠানে গণহত্যা দিবসের ওপর তৈরিকৃত বিশেষ ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে জেদ্দাস্থ বাংলাদেশের বিভিন্ন কমিউনিটির সদস্যগণ বক্তব্য প্রদান করেন। দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বক্তব্য পেশ করেন। বক্তব্যে তিনি গণহত্যা দিবসের তাৎপর্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের প্রতিটি উল্লেখযোগ্য ঘটনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা বিস্তারিত তুলে ধরেন। যে সমস্ত কথিত বুদ্ধিজীবী ও লেখক বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে জাতির পিতার অবদানকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করেন তিনি তাদের প্রতি ঘৃণা জানান। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাধারণ নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে তাঁর নেতৃত্বে দেশের উল্লেখযোগ্য কিছু অর্জন যেমন- পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেল প্রভৃতির কথা উল্লেখ করে বিদেশিদের মধ্যে এগুলো তুলে ধরার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি প্রধানমন্ত্রীর অসাধারণ নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার জন্য প্রবাসীদের প্রতি অনুরোধ জানান। উল্লেখ্য, দিবসটি উপলক্ষ্যে কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে কনস্যুলেটে আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এক মিনিটের জন্য প্রতীকী ব্লাক-আউট পালন করা হবে।
অনুষ্ঠানে কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-ছাত্র, স্থানীয় বাংলাদেশি সাংবাদিকবৃন্দ, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ জেদ্দা প্রবাসী অনেক বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।
#
মাহাদি/পাশা/সঞ্জীব/মোশারফ/রেজাউল/২০২৩/১৬৫৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৩৪
সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন সম্ভব হবে
-- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অর্ধশতাব্দী অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে অদ্যাবধি একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন সম্ভব হয়নি। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগসহ সকলের সম্মিলিত ও সমন্বিত প্রয়াসে একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন সম্ভব হবে। এ স্বীকৃতি অর্জনে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংগঠন। তাঁর উদ্যোগে ২০১৭ সাল থেকে জাতীয়ভাবে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বসনিয়া, রুয়ান্ডা, মিয়ানমারসহ বেশ কয়েকটি দেশে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনসহ কয়েকটি পরাশক্তি দেশের পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান করার কারণে একাত্তরের (তখন) গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলেনি। তবে আমরা আশা করছি, দ্রুতই একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলবে। তিনি বলেন, একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিষয়ে যেসব বই ও প্রকাশনা বের হয়েছে সেগুলোকে বাংলা একাডেমির মাধ্যমে ইংরেজিসহ আরো কয়েকটি ভাষায় অনুবাদের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বেসরকারিভাবে সম্প্রীতি বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারিভাবে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের নেতৃত্বে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প 'গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র' দেশব্যাপী গণহত্যা বিষয়ক জরিপ কার্যক্রমের মাধ্যমে গণহত্যার প্রমাণক ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৩৪টি জেলায় সাড়ে চার হাজার বধ্যভূমিসহ ১৭ হাজার ২৮৬টি গণহত্যা, গণকবর চিহ্নিত হয়েছে যাতে প্রতীয়মান হয় যে একাত্তরের গণহত্যার প্রকৃত সংখ্যাটি ৩০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে এবং এর মাধ্যমে গণহত্যার সংখ্যাতাত্ত্বিক বিতর্কের অবসান ঘটবে।
‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ এর আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা সাবেক সচিব মুসা সাদিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দারসহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বসনিয়া, আর্মেনিয়া, রুয়ান্ডা, মিয়ানমারসহ বেশ কয়েকটি দেশে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আদালতে এসব গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বক্তারা অনুরূপভাবে একাত্তরের গণহত্যার দ্রুত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানান।
#
ফয়সল/পাশা/সঞ্জীব/মোশারফ/রেজাউল/২০২৩/১৬৩২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৩৩
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১১ চৈত্র (২৫ মার্চ) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ২৬ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ৫১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪৫ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ জন।
#
সুলতানা/পাশা/সঞ্জীব/মোশারফ/রেজাউল/২০২৩/১৬১৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৩২
টরোন্টোতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপিত
টরোন্টো (কানাডা), ২৫ মার্চ :
কানাডার, টরোন্টোতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে আজ যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়। দিবসের শুরুতেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি,, প্রধানমন্ত্রী,,পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শুনানো হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে অংশ হিসেবে ২১ মার্চ টরোন্টোতে বিদেশি কূটনীতিক,,অন্টারিও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা,, টরোন্টোতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি,,সাংবাদিক এবং ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
#
জুলফিকার/রবি/সাঈদা/মাসুম/২০২৩/১০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২৩১
নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিতে হবে
-পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিউইয়র্ক, ২৫ মার্চ :
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী ৭৮ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পানি পরিষেবা এবং ৫১ শতাংশে স্বাস্থ্যবিধি পরিষেবা বিদ্যমান ছিল। একই বছরে ৭৮০ মিলিয়ন লোকের স্যানিটেশন পরিষেবা ছিল না। এ লক্ষ্যে সকলের জন্য নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
গতকাল জাতিসংঘ সদরদপ্তরে হাঙ্গেরি ও ফিলিপাইন কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত ‘Water, Sanitation and Hygiene in Healthcare Facilities: Lesson Learned and the Way Forward’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী দেশের সব মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলো তুলে ধরেন। জাতীয় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন কৌশলপত্র-২০২১ তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৯৮ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানির সুবিধা পায়, ৮০ শতাংশের বেশি মানুষকে উন্নত স্যানিটেশন সুবিধা এবং প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষকে হাইজিন সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, স্যানিটেশন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এই অসামান্য অগ্রগতি অনেক উন্নয়নশীল দেশে অনুসরণ করা হচ্ছে।
এছাড়া, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘Revitalizing Social Protection Policies for Creating More Accessibility to Drinking Water’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। পরে মন্ত্রী মালয়েশিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী নিক নাজমি নিক আহমেদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
#
জুলফিকার/রবি/সাঈদা/মাসুম/২০২৩/১০৩০ ঘণ্টা
Not to publish before 5 PM
Handout Number : 1228