Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৫ এপ্রিল ২০২৩

তথ্যবিবরণী ২৫ এপ্রিল ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর: ১৫৭৬

 

শেখ হাসিনা গরিব দুঃখী মেহনতি মানুষের নির্ভরযোগ্য ঠিকানা

                                              -- পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী

 

শরীয়তপুর, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল): 

পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরিব দুঃখী মেহনতি মানুষের নির্ভরযোগ্য ঠিকানা। প্রতিটি মানুষের একটি স্বপ্নের বাড়ি থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে অনেক ভূমিহীন ও গৃহহীন রয়েছে। সেইসব অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের স্বপ্ন পূরণ করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জমিসহ ঘর করে দিচ্ছেন। এটা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা।

পবিত্র ঈদুলফিতর উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আজ শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা ও সখিপুর থানার সকল আশ্রয়ণ প্রকল্পে নিজ অর্থায়নে ঈদ উপহার প্রদানকালে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

উপমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি দেশের গণমানুষের জন্য রাজনীতি। আমাদের নেত্রী দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের, হকার, শ্রমিক, কৃষকদের যাতে কষ্ট না হয়, সেজন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তিনি আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশে গরিব-মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। আর বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতি হচ্ছে ক্ষমতার জন্য। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে দেশের সম্পদ লুট করে, অর্থ পাচার করে। আর ক্ষমতায় না থাকলে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের সংকটে, যে কোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকেন।

আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, দেশের মানুষের ভোটে বিএনপির আস্থা নেই। বিএনপি'র আস্থা শুধু বিদেশিদের ওপর। তারা সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে ব্যস্ত। জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপি বিদেশিদের কাছে নালিশ জানাতে এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করতে ব্যস্ত। কারণ, তারা (বিএনপি) আন্দোলন সংগ্রাম করে ক্ষমতায় আসেনি , তারা বন্দুকের নল ঠেকিয়ে, ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছিল। তিনি বলেন, দেশের মানুষ বিএনপিকে আর ক্ষমতায় আনবে না। জনগণ দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় আনবে।

এসময় উপমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ কমিটির সদস্য জহির সিকদার, ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, নওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ জাকির হোসেন মুন্সী ও নশাসন ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন তালুকদার।

#

 

গিয়াস/রাহাত/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৯৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৫৭৫

 

এসএসসি পরীক্ষার কারণে ২৬ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত

সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে

                                                     -- শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :

 

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী ৩০ এপ্রিল সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নকলমুক্তভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে ২৩ মে পর্যন্ত দেশের সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

 

মন্ত্রী আজ রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের কনফারেন্স রুমে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন  শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ কামাল হোসেন,  মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান প্রমুখ।

 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ২৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭০ জন এবং ছাত্রী ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪০৫ জন। এছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ লাখ ৯৫ হাজার ১২১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৩ জন এবং ছাত্রী ১ লাখ ৫১ হাজার ১২৮ জন।

 

শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে পরীক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ হাজার ২৯৫ জন। এর মধ্যে ছাত্রী বেড়েছে ৩৮ হাজার ৬০৯ জন। এ ছাড়া মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি। ২০২৩ সালের সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হবে।

 

সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল হতে ২৩ মে ২০২৩ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৪ মে শুরু হয়ে ৩০ মে শেষ হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল ২০২৩ হতে ২৫ মে ২০২৩ এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৭ মে ২০২৩ শুরু হয়ে ৩ জুন ২০২৩ শেষ হবে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ এপ্রিল থেকে ২৩ মে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৫ মে শুরু হয়ে ৪ জুন শেষ হবে।

 

এসময় অভিভাবকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। অভিভাবকদের অনুরোধ জানাচ্ছি গুজবে কান দেবেন না। কেউ গুজব সৃষ্টি করার চেষ্টা করবেন না।

 

#

 

খায়ের/রাহাত/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/১৮২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ১৫৭৪

  

 

রাজধানীতে প্রাকৃতিক গ্যাসের গন্ধ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ব্যাখ্যা

 

 

ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :

গতকাল রাজধানীর রামপুরা, বাড্ডা, বনশ্রী, বেইলি রোডসহ কয়েকটি এলাকায় গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তিতাস গ্যাসের ১৪টি ইমার্জেন্সি টিম এ সকল এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে এবং জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ প্রদান করে। একই সাথে যে সমস্ত ডিস্ট্রিক্ট রেগুলেটিং স্টেশনের মাধ্যমে ঢাকায় গ্যাস সরবরাহ করা হয়ে থাকে, সে সকল স্টেশন থেকে গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেয়া হয়। ফলে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদুলফিতরের ছুটিতে শিল্প-কারখানা বন্ধ থাকাসহ স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় গ্যাসের ব্যবহার হ্রাস পাওয়ায় গ্যাস সরবরাহ লাইনে চাপ কিছুটা বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে গ্যাসের সরবরাহ লাইনে চাপ স্বাভাবিক রয়েছে এবং গ্যাসের সরবরাহ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হয়ে নির্বিঘ্নে গ্যাস ও গ্যাসের চুলা ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

#

আসলাম/রাহাত/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৮১৫ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর: ১৫৭৩

 

বিএনপি তো রাষ্ট্র নিয়েই হতাশ

        -- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

 

ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল): 

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘বিএনপি তো রাষ্ট্র নিয়েই হতাশ। ফলে তারা যে, রাষ্ট্রপতি নিয়েও হতাশা ব্যক্ত করেছে সেটিও অস্বাভাবিক নয়।’ আজ সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের ‘নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে কোনো প্রত্যাশা নেই’ বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব তো রাষ্ট্র নিয়েই হতাশ। না হয় উনি কি বলতে পারেন “পাকিস্তানই ভালো ছিল”। এ কথা বলার মধ্য দিয়ে এটিই তো প্রকাশ পায় যে, তিনি রাষ্ট্র নিয়েই হতাশ। যারা রাষ্ট্র নিয়ে হতাশ তারা রাষ্ট্রপতি নিয়েও হতাশা ব্যক্ত করবে এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু বিদায়ি রাষ্ট্রপতি যেমন ভালো মানুষ ছিলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতিও একজন ভালো মানুষ। এবং আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি একজন বিচক্ষণ, প্রাজ্ঞ ও বুদ্ধিমান মানুষ, সংকটে তিনি গুরুত্বপূর্ণ পালন করেছেন। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রেও রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হিসেবে, অভিভাবক হিসেবে তিনি অতীতের মতোই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সুচারুভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।’

 

একই সাথে মন্ত্রী বলেন, ‘সোমবার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চর্চার ইতিহাসে একটি নতুন পালক যুক্ত হয়েছে। একজন রাষ্ট্রপতি পরপর দু’বার দায়িত্ব পালন করে সসম্মানে বর্ণাঢ্যভাবে বিদায় নিয়েছেন এবং আরেকজন রাষ্ট্রপতি শপথ গ্রহণ করেছেন। মর্যাদার সাথে শান্তিপূর্ণ ও বর্ণাঢ্যভাবে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব হস্তান্তর গণতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চার ইতিহাসে একটি নতুন মাইলফলক যুক্ত করেছে।’

 

এ সময় সাংবাদিকরা সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল এসোসিয়েশন অভ জেনোসাইড স্কলারস (আইএজিএস) যে বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিচালিত গণহত্যার স্বীকৃতি দিয়েছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যে গণহত্যা হয়েছে সেটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আমাদের দেশে ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ মানুষ শহিদ হয়েছে। রুয়ান্ডাসহ অন্যান্য যে সব গণহত্যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে, সে সব জায়গায় এতো মানুষ মৃত্যুবরণ করে নাই। আমাদের সরকার এ নিয়ে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে এই ঘোষণাটা অত্যন্ত সহায়ক হবে।

 

পুনর্মুদ্রিত ‘শ্বেতপত্র ১৯৭১’ মোড়ক উন্মোচন

 

এ দিন সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের আগে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর পুনর্মুদ্রিত ‘পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ৫ই আগস্ট ১৯৭১ সালে প্রকাশিত পূর্ব পাকিস্তানের সংকট সম্পর্কে শ্বেতপত্র’ প্রকাশনাটির মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়া, পরিচালক মোহাম্মদ আলী সরকার প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

চলমান পাতা/২

--০২--

 

মন্ত্রী বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা, যেটি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস জানার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক। স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে, হচ্ছে। বিভ্রান্তি দূর করতেও এই প্রকাশনাটি সহায়ক।’

 

হাছান মাহ্‌মুদ উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘শ্বেতপত্রের তৃতীয় অধ্যায়ে মুক্তিযুদ্ধকে পূর্ব পাকিস্তানের সন্ত্রাস হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ৭ মার্চ সম্পর্কে লেখা হয়েছে, শেখ মুজিবুর রহমান একটি প্রতিদ্বন্দ্বী সরকার চালাবার কথা ঘোষণা করেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে কয়েকটি নির্দেশনা জারি করেন।’

 

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নির্দেশেই যে পূর্ব বাংলায় স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালিত হচ্ছিল সেটি এখানে পরিস্ফুটিত হয়েছে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ভারত বলতো না সবসময় হিন্দুস্থান বলতো। এখানে হিন্দুস্থানের অর্থাৎ ভারতের ভূমিকা নিয়েও একটি অধ্যায় আছে। লেখক, বাগ্মী, সাংবাদিক সবার কাছে বইটি পৌঁছানো প্রয়োজন।’

 

পঙ্কজ ভট্টাচার্য রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন

                            -- শহীদ মিনারে তথ্যমন্ত্রী

 

লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে থাকা আজীবন সংগ্রামী রাজনীতিবিদ, যিনি পদ-পদবির পেছনে ছোটেননি, রাজনীতিকে ব্রত হিসেবেই নিয়েছিলেন, সেই মানুষটি পঙ্কজ ভট্টাচার্য। আজ রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্যের মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ সাংবাদিকদেরকে এ কথা বলেন।

 

সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, পঙ্কজ ভট্টাচার্য ভাষা সংগ্রাম থেকে মুক্তিযুদ্ধ, সব গণআন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন, স্বাধীনতার পরও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। তার মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে যেমন শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তেমনি তার জীবন ও রাজনৈতিক জীবন থেকে আমাদের অনেক শেখার রয়েছে।

 

হাছান মাহ্‌মুদ এ সময় পঙ্কজ ভট্টাচার্যের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও তার শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

 

                                                      # 

 

আকরাম/রাহাত/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/১৮০০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ১৫৭২

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ৯৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।              

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪৬ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৫ হাজার ৬১২ জন।

 

#

 

সুলতানা/রাহাত/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৮০৫ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৫৭১

 

জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য একটি বড় ঝুঁকি

                                                              -- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) : 

 

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য একটি বড় ঝুঁকি। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাবসমূহ এশিয়ার দেশগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসমূহকে ক্রমাবনতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ চীনের শানসি (Shaanxi) প্রদেশের জিয়ান (Xi'an) সিটিতে ‘Alliance for Cultural Heritage in Asia’ (ACHA) বা ‘সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিষয়ক এশীয় জোট’-এর প্রতিষ্ঠা সমাবেশের দ্বিতীয় অধিবেশনে পর্যবেক্ষক দেশের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁর বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো- উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা বৃদ্ধি, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং জলাবদ্ধতা ইত্যাদি। এসব বিষয় ছাড়াও শিল্পায়ন, নগরায়ন, উন্নত প্রযুক্তি ও দক্ষতার অভাব বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাসমূহের ব্যবস্থাপনার জন্য বড় হুমকি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য আমরা ইউনেস্কো ঢাকা অফিস ও ইউএনডিপি’র সহযোগিতায় বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী স্থানসমূহের জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধিতে জাতিসংঘের গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ)-এর জন্য একটি ধারণাপত্র প্রস্তুত করছি যেটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

কে এম খালিদ বলেন, ACHA বা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিষয়ক এশীয় জোট-এর এ প্রতিষ্ঠাতা সমাবেশ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ে সত্যিই একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। তিনি বলেন, আমরা যদি আমাদের অর্জিত অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে এ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রতিনিধিত্ব করতে পারি, সেক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই একটি অভিন্ন লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবো আর তা হলো- আমাদের সাংস্কৃতিক ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ।

 

অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন China Academy of Cultural Heritage এর পরিচালক ও ACHA-এর এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি জেনারেল Li Liusan। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চীনের সংস্কৃতি ও পর্যটন বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার এবং চীনের ‘জাতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রশাসন’ এর প্রশাসক Li Qun। এতে ACHA-এর বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্র, নন-মেম্বার স্টেট (অসদস্য রাষ্ট্র) ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তৃতা করেন।

 

উল্লেখ্য, এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বিষয়ক সহযোগিতার জন্য একটি আন্তঃসরকারি ব্যবস্থা হিসাবে ACHA-কে একীভূত করার জন্য চীন ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত শানসি প্রদেশের জিয়ান সিটিতে ACHA প্রতিষ্ঠা সমাবেশ-এর আয়োজন করেছে, যেখানে এশিয়ার ২০টি দেশের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্য কর্তৃপক্ষ থেকে মন্ত্রী পর্যায়ের কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি এবং প্রাসঙ্গিক প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞসহ প্রায় ১০০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন।

 

#

 

ফয়সল/রাহাত/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/১৮২০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ১৫৭০

  

 

নৌপরিবহন  প্রতিমন্ত্রীর সাথে  বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধির সাক্ষাৎ

 

ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :

বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বিশেষ করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন স্থলবন্দরের অটোমেশন, ডিজিটালাইজেশন, অবকাঠামো উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ নৌপথের উন্নয়ন এবং চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনালের উন্নয়নে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সাথে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে বিশ্বব্যাংক-এর সাউথ এশিয়া ট্রান্সপোর্ট সেক্টরের প্র্যাকটিস ম্যানেজার Shomik Raj Mehndiratta   বিদায়ি সাক্ষাৎকালে এ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

প্রতিমন্ত্রী বিশ্বব্যাংক-এর ট্রান্সপোর্ট সেক্টরের আওতায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বেনাপোল, বুড়িমারী ও ভোমরা স্থলবন্দরগুলোর অটোমেশন, ডিজিটালাইজেশন ও অবকাঠামো উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ নৌপথের উন্নয়ন এবং চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনালের উন্নয়নে সহযোগিতার জন্য বিশ্বব্যাংককে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে  বিভিন্ন সমস্যা যৌথভাবে সমাধান করেছি। বিশ্বব্যাংকের ট্রান্সপোর্ট সেক্টরের সর্বাত্মক সহযোগিতা পেয়েছি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সবগুলো স্থলবন্দর অটোমেশন করার নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সেলক্ষ্যে কাজ করছি। এক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যংকের সহযোগিতা কামনা করেন।

এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. রফিকুল ইসলাম খান, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশন্স অফিসার এরিক নোরা, প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর দিলশাদ দোসানি, ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট বিকেএম আশরাফুল ইসলাম ও নুসরাত নাহিদ ববি উপস্থিত ছিলেন।

#

জাহাঙ্গীর/রাহাত/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৭৫৫ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                          নম্বর : ১৫৬৯

‘এক বিশ্ব এক স্বাস্থ্য’ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লী গেলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠেয় ‘এক বিশ্ব এক স্বাস্থ্য’ সম্মেলনে যোগ দিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ ঢাকা ত্যাগ করেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্যসেবাকে একীভূত স্বাস্থ্যসেবায় নিয়ে আসতে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আগামী ২৬ থেকে ২৮ এপ্রিল এই সম্মেলনের আয়োজন করছে।

সম্মেলনে উদ্দেশ্য বিশ্বব্যাপী সমমান সম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বিশ্ব অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করা। সম্মেলনে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, সার্কভুক্ত দেশসমূহসহ বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রায় ৫০০ জন প্রতিনিধি অংশ নেবেন। ভারতের বিখ্যাত হাসপাতালসমূহ, স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত সংস্থাসমূহ এবং বিখ্যাত চিকিৎসকদের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রদর্শনীর পাশাপাশি আলোচনা সভা, আঞ্চলিক ফোরাম, বিটুবি মিটিং থাকবে এই সম্মেলনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।

#

মাইদুল/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/আসমা/২০২৩/১৩৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                 নম্বর : ১৫৬৮

কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২৬ এপ্রিল কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী  উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্যস্বাধীন দেশের তৃণমূল পর্যায়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণা প্রবর্তন করেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরেই দেশের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে তৎকালীন মহকুমা ও থানা পর্যায়ে স্বাস্থ্য অবকাঠামো গড়ে তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।

আওয়ামী লীগ সরকারের ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদের শুরুতেই আমরা দেশব্যাপী প্রতি ৬ হাজার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য একটি করে মোট ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। সেই আলোকে ২০০০ সালের ২৬ এপ্রিল জাতির পিতার জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী ইউনিয়নে আমি দেশের সর্বপ্রথম ‘গিমাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক’ প্রতিষ্ঠা করে এর শুভ সূচনা করি এবং ২০০১ সালের মধ্যেই আমরা ১০ হাজার ৭ শ’ ২৩টি অবকাঠামো স্থাপনপূর্বক প্রায় ৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম চালু করি ৷

বিএনপি-জামাত জোট সরকার ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে আমরা আবার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের কাজ শুরু করি। সেবাগ্রহীতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি সেবার পরিধি সম্প্রসারিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে ৫ শতাংশের পরিবর্তে বর্তমানে ৮ শতাংশ জমিতে চার কক্ষবিশিষ্ট নতুন নকশার ভিত্তিতে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত মোট ১৪ হাজার ২২৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৫-২০১৬ থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৮১১টি নতুন নকশার কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ২০২২ সালে ৭৭১ জন নতুন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডার (সিএইচসিপি) নিয়োগসহ এ পর্যন্ত মোট ১৪ হাজার ৪৩৮ জন সিএইচসিপি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 

কমিউনিটি ক্লিনিকের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি সরকার ও জনগণের সম্মিলিত অংশীদারিত্বের একটি সফল কার্যক্রম; যার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা এবং স্থায়িত্বের লক্ষ্যে আমাদের সরকার ‘কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন’ জাতীয় সংসদে পাস করেছে।

কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ইপিআই টিকা ও কোভিড ভ্যাকসিন প্রদানসহ সারাদেশের প্রান্তিক জনগণের স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টিসেবা প্রদানের জন্য বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ঔষধ এবং স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমান অর্থবছরে ঔষধ ও স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী বাবদ বাৎসরিক বরাদ্দ বৃদ্ধি করে ২৪১ কোটি থেকে ২৫০ কোটি টাকায় উন্নীত করেছি। কর্মরত সকল সিএইচসিপিকে বিনামূল্যে সেবা সহজ করার জন্য ল্যাপটপ ও মডেম দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সকল কমিউনিটি ক্লিনিক হতে ডিজিটালি অনলাইন রিপোর্টিং করা হচ্ছে। সেবা সহজিকরণের জন্য মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ারের মাধ্যমে সিসি কর্মএলাকায় অবস্থানরত খানার প্রত্যেক সদস্যের ডিজিটালি হেলথ ডাটা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১১ লাখ গ্রামীণ জনগণকে হেলথ আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছে। ১০৭টি উপজেলায় এ কার্যক্রম চলমান। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে হেলথ আইডি কার্ড প্রদান করা হবে। আমাদের সরকারের এই পদক্ষেপসমূহ গ্রহণের ফলে স্বাস্থ্যখাতে অর্জিত ব্যাপক সাফল্য আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে। স্বাস্থ্যখাতে আমাদের সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ এমডিজি পুরস্কার, সাউথ-সাউথ পুরস্কার, গ্যাভি পুরস্কার ও ভ্যাক্সিন হিরো পুরস্কারের মতো অনেক সম্মানজনক আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছি।

আমি বিশ্বাস করি, স্মার্ট কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে কমিউনিটি ক্লিনিকের সাফল্য জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে অভাবনীয় সম্মান বয়ে আনবে। দেশের স্বাস্থ্যখাতের সকল ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০৪১ সালের মধ্যেই আমরা বাংলাদেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তুলব, ইনশাল্লাহ।

আমি কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। 

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

শাহানা/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/সিরাজ/মাহমুদা/আসমা/২০২৩/১২০০ ঘণ্টা

 

Handout                                                                      Number : 1567

Bangladesh Genocide of 1971 recognized by IASG resolution

Dhaka, 25 April :

The International Association of Genocide Scholars (IASG) has adopted yesterday a resolution entitled “Resolution to Declare the Crimes Committed during the 1971 Bangladesh Liberation War as Genocide, Crimes Against Humanity and War Crimes”. The IASG, founded in 1994, is a global, interdisciplinary, non-partisan organization that seeks to undertake further research and teaching about the nature, causes, and consequences of genocide; and to advance policy studies on genocide prevention. Several formal resolutions have so far been adopted by the IASG with the view to recognize the genocides occurred in various parts of the world. The Association holds biennial conferences and co-publishes the scholarly journal named “Genocide Studies and Prevention”.

The IASG resolution is an important recognition, in the international arena, of the atrocities committed during the Bangladesh Genocide of 1971. The Government of Bangladesh has been making continuous efforts to achieve international recognition of the Genocide that occurred against the mass people during the great War of Liberation in 1971. Thus, the adoption of the resolution is an important stepping stone towards receiving the due recognition from the wider international community. The Government of Bangladesh is determined to persist its relentless endeavor for getting more and more international recognition of Bangladesh Genocide of 1971 in the days ahead.

#

Mohsin/Mehedi/Parikshit/Siraj/Asma/2023/1140 hours

 

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ১৫৬৬

বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২৬ এপ্রিল ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : 

“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ২৬ এপ্রিল ২০২৩ ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস’ উদ্‌যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।

জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় মেধার বিকল্প নেই। সৃজনশীলতা ও মেধার বিকাশে নারীর ভূমিকা অগ্রগণ্য। তাই, দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘Women and IP: Accelerating innovation and creativity’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে মেধাসম্পদের যথাযথ ব্যবহারের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ১৪ বছরে নানমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। বাংলাদেশ পেটেন্ট আইন-২০২২ ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদে পাশ হয়েছে। জাতীয় উদ্ভাবন ও মেধাসম্পদ নীতিমালা-২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা ট্রেডমার্ক আইন-২০০৯ সংশোধন করে ট্রেডমার্ক (সংশোধন) আইন-২০১৫ পাশ করেছি। এছাড়া ট্রেডমার্ক বিধিমালা-২০১৫, ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন-২০১৩ ও ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) বিধিমালা-২০১৫ পাশ হয়েছে। জামদানি, বাংলাদেশ ইলিশ, ঢাকাই মসলিনসহ মোট ১১টি পণ্য ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে। বগুড়ার দই, বাংলাদেশের শীতলপাটি, শেরপুরের তুলশীমালা ধান, চাপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা ও চাপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের জন্য জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া ১৯টি পণ্য নিবন্ধনের জ

2023-04-25-14-40-b1fe6264e971d4410891b51345b6c15c.docx