তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮১৪
বাংলাদেশের নৌপথকে পৃথিবীর সাথে যুক্ত করতে চাই
--- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে):
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের নৌপথকে পৃথিবীর সাথে যুক্ত করতে চাই। নৌপথ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে; নৌপথের অনেক সম্ভাবনা আছে। নৌপথের আরো উন্নয়নে প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় যেন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, কুচক্রীমহল পদ্মা সেতুর স্বপ্নের প্রকল্প নিয়ে মহাপরিকল্পনা নিয়েছিল। তারা ব্যর্থ হয়েছে। বিশ্বব্যাংক ও দাতা সংস্থাগুলো দেখেছে বাংলাদেশ অর্থের অপচয় করে না। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্বব্যাংকও আমাদের সাথে আছে। বিশ্বব্যাংক-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে বিশ্বব্যাংক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের সদর দফতরে আমন্ত্রণ জানিয়ে সম্মানিত করার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশ্বব্যাংক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ছয়টি প্রকল্পের নির্মাণ ও উন্নয়ন সংক্রান্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব বলেন। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি নুসরাত নাহিদ ববি।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চুক্তিপত্রগুলোতে স্বাক্ষর করেন বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষে প্রকল্প পরিচালক মো. আয়ুব আলী। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কন্সট্রাকশন লিমিটেডের প্রতিনিধি মুকিতুর রহমান, এনডিই লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান রায়হান মুস্তাফিজ এবং দায়েং (Daeyang) ইন্ডাস্ট্রিয়াল কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে জি হো ইউম (Ji-Ho-Youm)।
অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সহজতর করার লক্ষ্যে আধুনিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে গৃহীত প্রকল্পগুলো হলো-অবকাঠামোসহ দু’টি জেনারেল কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ, তিনটি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও একটি ডেক এন্ড ইঞ্জিন পার্সোনেল ট্রেনিং সেন্টার (ডিইপিটিসি) এর উন্নয়ন। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে প্রায় ৮৩০ কোটি টাকা। জেনারেল কার্গো টার্মিনাল দু’টি হলো- ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জস্থ পানগাঁও এবং ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার আশুগঞ্জ। প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল তিনটি হলো- চাঁদপুর, বরিশাল ও ঢাকার শ্মশানঘাট। এর মধ্যে শ্মশানঘাট টার্মিনালটি নতুনভাবে নির্মিত হচ্ছে। ডিইপিটিসিটি নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত। প্রকল্পগুলোর কাজ এবছরের জুনে শুরু হয়ে ২০২৫ এর মে মাসে শেষ হবে।
অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ অঞ্চলের নৌ-করিডোরের সক্ষমতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন এবং একে টেকসই খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌপথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ সংক্রান্ত প্রকল্পের আওতায় উক্ত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হবে।
#
জাহাঙ্গীর/পাশা/রাহাত/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/২৩০০ঘণ্টা
Handout Number : 1813
Bangladesh will remain vocal about the human
rights and dignity of migrants and refugees
--- Foreign Secretary
Dhaka, 16 May 2023:
A dialogue on “The Role and Contribution of Intergovernmental Dialogues in Promoting Safe, Orderly and Regular Migration: Examples from the Budapest and Colombo Processes” was convened by the Ministry of Foreign Affairs today at the Foreign Service Academy.
Foreign Secretary Masud Bin Momen; Senior Secretary, Ministry of Expatriates’ Welfare and Overseas Employment Dr. Munirus Saleheen and Secretary General of Bangladesh Parliamentarians’ Caucus on Migration and Development Mahjabeen Khaled spoke in the dialogue. Dr. Michael Spindelegger, Director General, International Centre for Migration Policy Development (ICMPD) delivered keynote speech at the event.
In his statement, Foreign Secretary said that Bangladesh would always remain vocal about the human rights and dignity of migrants and refugees, and issues like high migration costs and migrant workers’ exploitations. He also stated that Bangladesh will remain open to working together with all destination countries to eliminate unethical practices in the recruitment processes and pave the way for skilled migration. He further added that the Government of Bangladesh has undertaken a series of forward-looking initiatives under the leadership of Prime Minister for skilled migration.
During the dialogue, the Senior Secretary of Ministry of Expatriates’ Welfare and Overseas Employment emphasized on continuous, effective intergovernmental dialogues, cooperation and engagements for safe, orderly, regular and responsible migration. In the keynote speech, the Director General of ICMPD emphasized the importance of regional and cross-regional migration through legal pathways and called upon a paradigm shift towards migration perspectives from both the source and destination countries. Mahjabeen Khaled highlighted the perspectives of parliamentarians towards the overall migration management and governance.
After the dialogue, the visiting Director General of ICMPD called on the Foreign Secretary and discussed about how to manage the migration issues effectively. The ICMPD Director General is on a two-day visit to Bangladesh.
#
Mohsin/Pasha/Rahat/Mosharaf/Rafiq/Joynul/2023/2215hour
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮১২
সেন্টমার্টিনে ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের পাশে বিজিবি
ঢাকা, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে):
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন।
বিজিবি মহাপরিচালক আজ টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর অধীনস্থ সেন্টমার্টিন বিওপি পরিদর্শন করেন এবং সেখানে ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত সেন্টমার্টিনের ৮০০ জন অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। পরে বিজিবি মহাপরিচালক সেন্টমার্টিন বিওপিতে দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য সকল স্তরের বিজিবি সদস্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এসময় বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, কক্সবাজার রিজিয়নের কমান্ডার, টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ বিজিবি’র অন্যান্য কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় কক্সবাজার জেলা ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পর থেকেই বিজিবি সদস্যগণ উপকূলীয় অঞ্চলে মাইকিং করে এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুর্যোগের আগাম বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড়কবলিত এলাকার জনসাধারণকে সাইক্লোন শেল্টার বা নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে বিজিবি প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করেছে।
#
শরিফুল/পাশা/রাহাত/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/২২০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮১১
করোনায় শিক্ষার ক্ষতির পাশাপাশি সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে
--- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে):
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বৈশ্বিক অতিমারি করোনার কারণে সারা বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদেরও ক্ষতি হয়েছে। শিক্ষায় এর প্রভাব পড়েছে। তবে লার্নিং লস বা গ্যাপ পূরণে সময় লাগবে। একটি বা দুটি শিক্ষাবর্ষে তা পূরণ হবে তেমন নয়। করোনাকালে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে আমরা ৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থীকে লেখাপড়ায় যুক্ত করতে পেরেছি। অতিমারির কারণে আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজেরা চেষ্টা করে শেখার যোগ্যতা অর্জন করেছে। প্রযুক্তি ব্যবহার শিখেছে। অনেক সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে ‘লার্নিং লস’ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই গবেষণা কাজ সম্পন্ন করা হয়। গবেষণা কাজে ১৮ হাজার ৮৩৮ জন প্রাথমিক শিক্ষার্থীর ওপর অভীক্ষা পরিচালিত হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ মিলিয়ে বাজেট শতকরা তিন ভাগের কাছাকাছি। এটাকে বাড়াতে হবে। টাকার অংকে হলে ২০০৭ সালে বিএনপি-জামায়াত আমলের শেষ বছরে আমাদের সারা দেশের বাজেট ছিল ৬০ হাজার কোটি টাকা। এখন আমাদের শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নে বাজেট প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা। সেই অর্থে বিনিয়োগ অনেক বেশি। তিনি বলেন, বিনিয়োগ টাকার অংকে কত হচ্ছে তার চেয়েও বড় বিষয় হচ্ছে শুধু শিক্ষা এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ সেটাই শুধু শিক্ষায় নয়; খাদ্য, পুষ্টি, বিদ্যুৎ, আইসিটি ও যোগাযোগে যে বিনিয়োগ হচ্ছে, এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নানান রকম প্রভাব শিক্ষার ওপর আছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাজেটে টাকা বাড়বে, এখন ভালো একটি শিক্ষাক্রম হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ ও তাদের উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। আমরা এখন যেসব কাজ করছি সেগুলো শেষ হলে বাজেট বাড়বে। শিক্ষায় একটি মেগা প্রজেক্ট হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা এখন চাইছি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় অনেক বেশি ক্লাব গঠন করতে। যেমন দাবা ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব, ডিবেটিং ক্লাব ইত্যাদি। খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড হবে। এখন রোবোটিক ক্লাব হচ্ছে, আমাদের শিক্ষার্থীরা ভালো করছে, তাদের আর একটু এগিয়ে দিতে হবে। এছাড়া শিক্ষকদের সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তা যত ভালো করতে পারবো, আমরা তত এগিয়ে যেতে পারবো।
অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদনের ওপর মতামত দেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণস¦াক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহমদ প্রমুখ। স¦াগত বক্তব্য রাখেন এবং বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য (প্রাথমিক) ড. এ কে এম রেজাউল হাসান।
#
খায়ের/পাশা/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/২২২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮১০
শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে সরকার
--- শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে):
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সকল খাতের শিশুশ্রম নিরসনে সরকার অবশ্যই সফল হবে। এজন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নে সকল প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর হোটেল রেডিসনে ইউনিসেফ এর সহযোগিতায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত শিশুশ্রম নিরসনে প্রণীত জাতীয় কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি পর্যালোচনা শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী শিশুশ্রম নিরসনে সফল হতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, দপ্তর, অধিদপ্তর, ইউনিসেফসহ আন্তর্জাতিক অন্যান্য সংস্থাসমূহকে আরো আন্তরিকতার সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি চলমান ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ের অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, সকল খাতের শিশুশ্রম নিরসনে আগামীতে এ প্রকল্পের আওতা বাড়ানো হবে। ২০৩০ সালের আগেই সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিশুশ্রমমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করা হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী প্রজন্মের জন্য শিশুশ্রমমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ দিয়ে যেতে চাই।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ এহছানে এলাহী। সভাপতির বক্তৃতায় শ্রম সচিব বলেন, শিশুশ্রম নিরসনে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সাথে জাতীয় কমিটি, বিভাগীয়, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে কমিটি কাজ করছে। শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় কমিটি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর-সংস্থার মধ্যে জোরালো মনিটরিং দরকার। সবাই মিলে শিশুশ্রম নিরসন কার্যক্রমকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে।
কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে শ্রম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ তৌফিকুল আরিফ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি এমা ব্রিগহাম বক্তৃতা করেন। শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় এ কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর
উপ-প্রতিনিধি নাটালি ন্যাককলি। এসময় শিশুশ্রম নিরসনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনার আলোকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।
#
আকতারুল/পাশা/রাহাত/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/২১২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮০৮
পার্বত্য অঞ্চলে সোলার প্যানেল বিতরণে অনিয়ম
দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ পার্বত্য মন্ত্রীর
ঢাকা, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে) :
পার্বত্য অঞ্চলে সোলার প্যানেল বিতরণে অবৈধভাবে অর্থ প্রদানকারী ও গ্রহণকারী উভয়কে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের কিছু এলাকায় সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল সরবরাহের তালিকা প্রস্তুত করার সময় অবৈধ উপায়ে অর্থ বিনিময় হয়েছে। তিনি বলেন, যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য দুর্গম এলাকাবাসীর মাঝে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সোলার প্যানেল সিস্টেম বিতরণের নির্দেশ দিয়েছেন সেখানে সোলার প্যানেল বিতরণে কোনো প্রকার দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না।
আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত প্রকল্পের কাজ অবশ্যই দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি প্রকল্প কাজের গুণগতমান অক্ষুণ্ন রেখে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করারও তাগিদ দেন। এছাড়া পার্বত্য অঞ্চলের বরাদ্দকৃত প্রকল্পের সার্বিক স্কিম ও উন্নয়ন কাজ যথাসময়ের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে করার জন্য পার্বত্য জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী। তিনি বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যেই গৃহীত স্কিমসমূহের কাজ সম্পন্ন করা এবং ব্যয় বৃদ্ধি বা বকেয়া থাকার প্রবণতা বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। মন্ত্রী যত্রতত্র প্রকল্প গ্রহণ না করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ভূমির জোনভিত্তিক পরিকল্পিত উপায়ে প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
সভায় আগামী ৩০ জুন ২০২৩ তারিখের মধ্যে পার্বত্য অঞ্চলের ৪২ হাজার ৫০০ পরিবারের মাঝে সোলার প্যানেল বিতরণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানানো হয়। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত প্রকল্পের সংখ্যা ১৬টি ও উন্নয়ন সহায়তা ৩টি। এ সকল প্রকল্পের চলতি অর্থবছরের মোট বরাদ্দের ৪১ দশমিক ৪১ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হামিদা বেগমের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী, পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম ও প্রদীপ কুমার মহোত্তম, যুগ্মসচিব (উন্নয়ন) মো. হুজুর আলী, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ ও সদস্য মো. জসীম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজুয়ান/পাশা/রাহাত/রফিকুল/রেজাউল/২০২৩/২১১৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮০৭
শেখ হাসিনার চিন্তা-ভাবনা ও সকল সিদ্ধান্তই স্মার্ট
--বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তা-চেতনা এবং গৃহীত সকল সিদ্ধান্তই স্মার্ট। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে দেশের সকল নাগরিকের চিন্তা-ভাবনাও স্মার্ট হতে হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪২তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে ‘শেখ হাসিনার ভাবনায় স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা করোনা মহাসংকটে টিকা ক্রয়ের জন্য অগ্রিম টাকা প্রদান করে সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। খাদ্য সংকট এড়াতে এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে সেজন্য ফসল উৎপাদনের আহ্বান জানিয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা ও স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণসহ যেসকল নির্দেশনা প্রদান করেছেন বা করছেন এবং সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন তা একজন স্মার্ট প্রধানমন্ত্রীর পক্ষেই সম্ভব।
টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পঞ্চগড়সহ সীমান্তবর্তী এলাকায় চা চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়। বর্তমানে উত্তরবঙ্গে যে চা উৎপাদিত হচ্ছে তা দেশের ১৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ করছে এবং দিন দিন তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা তাঁর স্মার্টনেস এবং সুদূরপ্রসারী চিন্তার ফসল। প্রধানমন্ত্রীর চিন্তা-চেতনার কারণেই বিশ্বের এখন ১০টি গ্রিন ফ্যাক্টরির ৭টি এবং শীর্ষ একশটি সবুজ শিল্প প্রকল্পের মধ্যে ৪৮টি বাংলাদেশে রয়েছে।
মন্ত্রী আরো জানান, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হবে। এরপর ব্যবসা-বাণিজ্যে সুবিধা পেলেও কিছু চ্যালেঞ্জ আসবে। এসকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, বাজারে তেল ও চিনির দাম নির্ধারণ করে দেয়া হলেও কিছু অসৎ ব্যবসায়ী বেশি দামে বিক্রয় করছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে টিপু মুনশি বলেন, পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র কৃষি মন্ত্রণালয় দিয়ে থাকে। কৃষকরা যাতে ন্যায্য মূল্য পায় সেজন্য পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে না। কৃষি মন্ত্রণালয় বাজার পর্যবেক্ষণ করছে। যদি দাম না কমে তাহলে তারা ভারত থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার (বাপ্পি) এবং দৈনিক বাংলা ও নিউজ বাংলা২৪ এর পরিচালক মোঃ আফিজুর রহমান।
#
হায়দার/পাশা/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/রেজাউল/২০২৩/২০০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৮০৯
শ্রম আইন সংশোধনে জোরালোভাবে কাজ করছে সরকার
-- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে):
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকার যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন করার জন্য জোরালোভাবে কাজ করছে। তিনি বলেন, আইন সংশোধন একটি জটিল প্রক্রিয়া, বিশেষ করে শ্রম আইন যা ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যম ঘটে থাকে। তাই এই আইন সংশোধনে যুক্তিসঙ্গত সময়ের প্রয়োজন।
আজ রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে শ্রম আইন সংশোধন বিষয়ক টেকনিক্যাল নোট ও গ্লোবাল গুড প্র্যাকটিস নিয়ে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা সভার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেক শ্রমিকের কাজের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রম মান এবং মৌলিক নীতি ও অধিকার অনুযায়ী শ্রম খাতকে উন্নত করার জন্য সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা নিয়ে কোনো অস্পষ্টতা নেই। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আইএলও গভর্নিং বডিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে বাংলাদেশের শ্রমের মান উন্নয়নে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা প্রতিবারই গভর্নিং বডির কাছে তুলে ধরা হয়েছে বলে তিনি জানান ।
শ্রম বিষয়ক আইনি কাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে আনিসুল হক আরো বলেন, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে এবং ইপিজেড শ্রম বিধিমালা জারি করা হয়েছে। শ্রম বিধিমালা সংশোধনের প্রথম রাউন্ডে বিশেষজ্ঞ কমিটির বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। আগামীতেও তাদের পর্যবেক্ষণ বিবেচনায় নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, শ্রম সচিব মোঃ এহছানে এলাহী, আইএলও-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর তোমো পুটিআইনেন, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরদাশির কবির, এনসিসিডব্লিউই-এর সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
#
রেজাউল/পাশা/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/লিখন/২০২৩/২০১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৮০৬
বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ-নেপাল যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির ৫ম সভা অনুষ্ঠিত
পটুয়াখালী, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে):
আজ বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-নেপাল যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির ৫ম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পটুয়াখালীর পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রশাসনিক ভবনে আয়োজিত সভায় দু’দেশের বিদ্যুৎ খাতে অধিকতর সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির সভায় বাংলাদেশের পক্ষে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান এবং নেপালের পক্ষে বিদ্যুৎ, পানি সম্পদ ও সেচ সচিব দীনেশ কুমার ঘিমির নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
স্টিয়ারিং কমিটির সভায় বাংলাদেশ ও নেপালের যৌথ বিনিয়োগে নেপালে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, ভারতের উপর দিয়ে বর্তমান আন্তঃসংযোগ গ্রিড লাইন ব্যবহার করে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি এবং নতুন সঞ্চালন লাইন নির্মাণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। নতুন সঞ্চালন লাইনের অংশবিশেষ ভারতের ভূখণ্ডের মধ্যে নির্মিত হবে বিধায় বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ত্রিপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টি নির্ধারণ হবে বলে সভায় মতপ্রকাশ করা হয়।
এছাড়া নেপালে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে সরাসরি বিদ্যুৎ সংযোগের লক্ষ্যে আন্তঃদেশীয় ডেডিকেটেড সঞ্চালন লাইন নির্মাণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা নিয়েও পর্যালোচনা হয়। পাশাপাশি নেপালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের বিষয়টিও সভায় আলোচিত হয়।
ভারতের জিএমআর গ্রুপ কর্তৃক নেপালে বাস্তবায়িতব্য ৯০০ মেগাওয়াট আপার কার্নালী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে সভায় আলোচনা করা হয়।
সভায় বাংলাদেশ ও নেপালে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্প্রসারণের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও দক্ষতা বিনিময়ে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়। এছাড়া সভায় বাংলাদেশের সোলার হোম সিস্টেম কার্যক্রম ও নেট মিটারিং কার্যক্রমের অভিজ্ঞতাও তুলে ধরা হয়।
জেএসসি সভায় বিদ্যুৎ খাতে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং কার্যক্রম গ্রহণের বিষয়ে উভয় দেশ সম্মতি প্রকাশ করে। এসময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিপিএমআই’র প্রশিক্ষণ সক্ষমতার বিবরণ তুলে ধরা হয়। দ্বিপাক্ষিক সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ এবং বাংলাদেশ-ভারত ও নেপালের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক সমঝোতার বিষয়েও আলোচনা করা হয়।
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-নেপাল জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির পরবর্তী সভা আগামী নভেম্বর মাসে নেপালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
#
আসলাম/পাশা/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/লিখন/২০২৩/১৮২১ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৮০৫
বিদেশ থেকে ফোনেই মিলছে ভূমিসেবা
ঢাকা, ২ জ্যৈষ্ঠ (১৬ মে):
প্রবাসী বাংলাদেশিরা এখন চার ধরনের ভূমিসেবা বিদেশ থেকেই গ্রহণ করছেন। এসব ভূমি সেবার মধ্যে রয়েছে ‘নাগরিক ভূমিসেবা ২৪/৭’ (কাস্টমার কেয়ার), খতিয়ান/নামজারি খতিয়ানের সত্যায়িত কপি, মৌজা ম্যাপের সত্যায়িত কপি এবং ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান।
বিদেশ থেকে ভূমিসেবা হটলাইন ১৬১২২-এর লং-কোড +৮৮০ ৯৬১২-৩১৬১২২ এ ফোন করে ২৪ ঘণ্টার যেকোনো সময় কিংবা ফেসবুকে (www.facebook.com/land.gov.bd) মেসেজ কিংবা কমেন্ট করে প্রবাসীরা এখন ভূমি বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর জানতে পারছেন এবং বিবিধ অভিযোগ দিতে পারছেন।
এছাড়া, উপরের একই নম্বরে ফোন করে কিংবা স্মার্ট ভূমিসেবা পোর্টালে (www.land.gov.bd) গিয়ে খতিয়ান/নামজারি খতিয়ানের সত্যায়িত কপি ও মৌজা ম্যাপের সত্যায়িত কপির জন্য প্রবাসীরা আবেদন করলে বাংলাদেশের ডাক বিভাগ বিদেশে প্রবাসীদের সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় এসব পৌঁছে দিচ্ছে। একইভাবে ফোন করে কিংবা পোর্টালে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে বিদেশ থেকে ভূমি উন্নয়ন করও দিচ্ছেন প্রবাসীরা।
পর্যায়ক্রমে প্রবাসীদের আরো কিছু ভূমিসেবার আওতায় নিয়ে আসা হবে, এর মধ্যে অন্যতম নামজারি কার্যক্রম সম্পন্ন করা এবং অনলাইনে বিবিধ মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণ করার সুবিধা।
#
নায়িয়ান/পাশা/রাহাত/রফিকুল/লিখন/২০২৩/১৯৩৮ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৮০৪
চিত্রনায়ক ফারুক সিনেমায় দেশপ্রেমের পথ দেখিয়েছেন
&nbs