তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৮৪
৭ মার্চের ভাষণের আবেদন চিরন্তন
---স্পিকার
ঢাকা, ২৭ অগ্রহায়ণ (১১ ডিসেম্বর) :
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ৭ মার্চের ভাষণের আবেদন চিরন্তন-এ ভাষণের বাণী ম্লান হয় না, বারবারই শোনার উদ্রেক করে। এ ভাষণ অন্যায়-বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে জেগে ওঠার অনুপ্রেরণা যোগায়।
তিনি আজ ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আনন্দ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর ওহঃবৎহধঃরড়হধষ গবসড়ৎু ড়ভ ঃযব ডড়ৎষফ জবমরংঃবৎ এ অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় দেশ ও জাতি গর্বিত। এ স্বীকৃতি বিশ্বের বুকে আরো গৌরবের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে নিঃসন্দেহে আমাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ভাষণটি সংরক্ষণের ফলে বিশ্বের নিপীড়িত-নির্যাতিত সকল মানুষ এ থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সাহস ও প্রেরণা খুঁজে পাবে।
স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু অধিকার বঞ্চিত মানুষদেরকে ধারণ করতে পেরেছিলেন বলেই এক আঙ্গুলের ইশারায় দিক হারা জাতি খুঁজে পেয়েছিল নতুন ঠিকানা। সকল প্রতিকূলতা পেরিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে উদ্বুদ্ধ হয়ে ছিনিয়ে এনেছিলেন লাল সূর্যের স্বাধীন পতাকা। তিনি নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ ধারণ করে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
স্পিকার বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ যেমন আমাদের অহংকার তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জন্য গৌরবের। এ প্রসঙ্গে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাদার অভ্ হিউম্যানিটি খেতাবে ভূষিত হওয়া ও পিপলস এন্ড পলিটিক্সের ঘোষিত সততা ও কর্মক্ষম প্রধানমন্ত্রীর তালিকায় স্থান করে নেওয়ার বিষয়টি তিনি উল্লেখ করেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেবেকা মমিন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম এডভোকেট এমপি, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেন, শিশু ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম, বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
#
তারিক/নাইচ/শেফায়েত/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/২০২৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৮১
প্রথমবারের মতো উদ্যাপিত হবে
জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস
ঢাকা, ২৭ অগ্রহায়ণ (১১ ডিসেম্বর) :
প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী উদ্যাপিত হবে “জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস (ঘধঃরড়হধষ ওঈঞ উধু)” ২০১৭। এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে সাতটায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে উদযাপন শুরু হবে। পরে সকাল আটটায় র্যালি, বিকাল তিনটায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রের হল অভ্ ফেমে আলোচনাসভা ও ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পুরস্কার ২০১৭’ প্রদান এবং সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল চত্বরে ‘কনসার্ট ফর আইসিটি’ আয়োজন করা হবে। সকাল আটটায় র্যালিটি শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ হবে। র্যালির উদ্বোধন করবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী এবং ঢাবি’র উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান র্যালিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ এবং স্বাগত বক্তব্য রাখবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী। সন্ধ্যায় কনসার্টে সংগীত পরিবেশন করবেন জনপ্রিয় ব্যান্ড সংগীত শিল্পী জেমস, গান বাংলার কৌশিক হোসনে তাপস এবং শেখ কামালের গড়া সংগীত সংগঠন ‘স্পন্দন’ এর শিল্পীগণ।
এছাড়াও দিবসটি উদ্যাপনে আইসিটি ডিভিশনের উদ্যোগে ও ইয়াং বাংলার আয়োজনে অনলাইন প্রোগ্রামিং কনটেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) এর সহযোগিতায় সারাদেশের ৪১টি জেলার ১২৩টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে বিকাল তিনটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত অনলাইন প্রোগ্রামিং কনটেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ল্যাব থেকে ৩টি দলে ১৫জন শিক্ষার্থী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। পাশাপাশি দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রসারে বিভিন্ন অনুষঙ্গে অবদান রাখায় ১২টি ক্যাটাগরিতে মোট ১৫ জনকে ‘ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড ২০১৭’ এ ভূষিত করা হবে।
#
নাছের/নাইচ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/২০১২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৭৯
পায়রা বন্দরের মূল চ্যানেলে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের জন্য যৌথ কোম্পানি গঠন
২০২০ সালের মধ্যে দু’টি টার্মিনাল চালু হবে
---নৌপরিবহন মন্ত্রী
ঢাকা, ২৭ অগ্রহায়ণ (১১ ডিসেম্বর) :
পায়রা বন্দরের মূল চ্যানেলে ক্যাপিটাল ও রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিংয়ের কাজ বাস্তবায়ন করবে যৌথ কোম্পানি। এ লক্ষ্যে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি ‘জান ডি নুল’ (ঔধহ উব ঘঁষ) একটি যৌথ কোম্পানি গঠন করবে।
আজ রাজধানীর এক হোটেলে যৌথ কোম্পানি গঠন সংক্রান্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর জাহাঙ্গীর আলম এবং জান ডি নুলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জান পিটার ডি নুল (ঔধহ চরঃবৎ উব ঘঁষ)। চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মাহবুবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ আবদুস সামাদ, দিল্লীস্থ বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত জান লুইক্স (ঔধহ খুঁশী)।
৩৬ দশদিক ৫ নটিকেল মাইল চ্যানেলের প্রথম পর্যায়ে টার্নিং বেসিনে ৯ মিটার এবং টার্মিনাল এলাকায় ১১মিটার গভীরতায় ড্রেজিংয়ের জন্য প্রাক্কলিত প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩২ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ইউরো। সার্বিকভাবে চ্যানেলের প্রশস্ততা হবে টার্নিং বেসিনে ১২৫ মিটার এবং টার্মিনাল এলাকায় ৪০০ মিটার। প্রথম পর্যায়ের ড্রেজিং শেষে ১১ মিটার গভীরতার জাহাজ মূল বন্দরে প্রবেশে সক্ষম হবে। ভবিষ্যতে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্যায়ে ১২ মিটার এবং তৃতীয় পর্যায়ে ১৪ মিটার গভীরতার জাহাজ মূল বন্দরে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হবে।
কোম্পানি গঠনের শেয়ার হবে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ৫১ শতাংশ এবং ঔধহ উব ঘঁষ এর ৪৯ শতাংশ। প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর। প্রাক্কলিত ইক্যুইটি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ ৫৪ দশমিক ৩১ মিলিয়ন ইউরো, জে ডি এন
৫২ দশমিক ১৮মিলিয়ন ইউরো।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলায় লালুয়া ইউনিয়নে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর হিসেবে পায়রা বন্দরের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট পায়রা বন্দরের বহিঃনোঙ্গর থেকে পণ্য খালাসের মাধ্যমে বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
শাজাহান খান বলেন, পায়রা বন্দরের বাণিজ্যিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ১৯টি কম্পোনেন্টের সব কয়টির উন্নয়ন কার্যক্রম একই সাথে গ্রহণ করা জরুরি। এলক্ষ্যে ড্রেজিং কার্যক্রম সম্পন্ন হলে পায়রা বন্দর সংশিষ্ট সকল প্রকল্পের উন্নয়ন কার্যক্রম বেগবান হবে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ড্রেজিং কোম্পানি ঔধহ উব ঘঁষ এর মাধ্যমে ড্রেজিং কার্যক্রম গ্রহণ করা হলে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা তৈরি করবে।
#
জাহাঙ্গীর/নাইচ/শেফায়েত/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৯২২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৭৭
সরকার পার্বত্য শান্তি চুক্তির পূর্ণবাস্তবায়নে আন্তরিক
ড. গওহর রিজভী
ঢাকা, ২৭ অগ্রহায়ণ (১১ ডিসেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘ দু’যুগের সশস্ত্র সংঘাত নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরই এ চুক্তির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়। বর্তমান সরকার এ চুক্তির পূর্ণবাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। ২০১৮ সালের মধ্যে এ চুক্তির পূর্ণবাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আজ আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস ২০১৭ উদ্যাপন উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দিনব্যাপী ‘পার্বত্য অঞ্চলের ঝুঁকি: জলবায়ু, ক্ষুধা, অভিবাসন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়: গড়ঁহঃধরহং ঁহফবৎ ঢ়ৎবংংঁৎব: পষরসধঃব, যঁহমবৎ, সরমৎধঃরড়হ. উপদেষ্টা আরো বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বরাদ্দকৃত বাজেট সমন্বিতভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ব্যয় করার প্রক্রিয়া চলছে। সাথে সাথে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিনির্মাণে কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ এগিয়ে চলছে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, সংসদ সদস্য ফিরোজা বিগম চিনু এবং সাবেক সচিব কাজী গোলাম রহমান। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসআইডি-সিএইচটি প্রজেক্ট-এর চিফ টেকটিক্যাল স্পেশালিস্ট রাম শর্মা।
এছাড়া পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবন-সংস্কৃতি, পোশাক-পরিচ্ছদ, ইতিহাস-ঐতিহ্য বিষয়ক তথ্যাদি সমতলের মানুষের মাঝে পরিচয় করিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকায় ৭-১১ ডিসেম্বর ৫ দিনব্যাপী পার্বত্য মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় দেশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য ৯২ টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের শিল্পীদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
#
জুলফিকার/নাইচ/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৬৫১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৭৬
সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের শ্বশুরের মৃত্যুতে এলজিআরডি মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ২৭ অগ্রহায়ণ (১১ ডিসেম্বর) :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানকের শ্বশুর সৈয়দ আতাহার উদ্দিন (৯৫) গতরাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ........ রাজিউন)।
এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক এবং পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মাফরুহা সুলতানা সৈয়দ আতাহার উদ্দিনের মৃত্যুতে পৃথকভাবে গভীর শোকপ্রকাশ করেন।
আজ এক শোকবাণীতে মন্ত্রী বলেন, সৈয়দ আতাহার উদ্দিনের মৃত্যুতে বরিশালবাসী একজন সৎ, নিঃস্বার্থ ও দেশপ্রেমিক সমাজসেবীকে হারালো। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
#
জাকির/তৌহিদুল/জসীম/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১৪০৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৭৫
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে
স্বীকৃতি লাভ করায় মিলানে আনন্দ শোভাযাত্রা
মিলান, ১১ ডিসেম্বর) :
ইউনেস্কোর ‘ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অভ্ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে’ অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের অসামান্য অর্জনকে উদ্যাপনের লক্ষ্যে ইতালির মিলানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে ১০ ডিসেম্বর এক আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।
আনন্দ শোভাযাত্রার শুরুতে কনসাল জেনারেল রেজিনা আহমেদ এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনান। অতঃপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শন করা হয়। মহাকাব্যিক এ ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করায় কনসাল জেনারেল ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ স্বীকৃতি অসামান্য, এ অর্জন গৌরবের ও আনন্দের।
কনসাল জেনারেল রেজিনা আহমেদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এ আনন্দ শোভাযাত্রায় কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী, তাদের পরিবারের সদস্যরা ও মিলানে বসবাসরত সকল শ্রেণিপেশার প্রচুরসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি নারীপুরুষ ও শিশুকিশোর স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের ছবি সংবলিত ফেস্টুন, রঙবেরঙের বেলুন হাতে অংশগ্রহণকারীদের আনন্দ উচ্ছ্বাসে মুখরিত এ শোভাযাত্রা মিলান শহরের প্রাণকেন্দ্র করসো-ভেনেজিয়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় সানবাবিলাতে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ইতালিয়ানও অংশগ্রহণ করেন।
#
তৌহিদুল/জসীম/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৩৩৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৭৪
নিউইয়র্কে মহান বিজয় দিবস প্রীতি টেবিল টেনিস টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত
নিউইয়র্ক, ১১ ডিসেম্বর :
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের যৌথ উদ্যোগে ১০ ডিসেম্বর এক প্রীতি টেবিল টেনিস টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন ও নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. শামীম আহসান টুর্নামেন্টটি উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে স্থায়ী প্রতিনিধি ও কনসাল জেনারেল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে যুব সম্প্রদায়কে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। উভয় বক্তাই ইনডোর ও আউটডোর ক্রীড়ার উন্নয়নে ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহীত ব্যাপক পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন।
টুর্নামেন্টটিতে একক প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ২৯ জন এবং দ্বৈত প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ১০টি টিম। লটারির মাধ্যমে প্রতিযোগী নির্বাচনের পর নকআউট ভিত্তিতে খেলা শুরু হয়।
মিশনের উপস্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম, ডিফেন্স অ্যাডভাইজর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খান ফিরোজ আহমেদ, ইকোনমিক মিনিস্টার ইকবাল আব্দুল্লাহ্ হারুন ও নিউইয়র্কে বসবাসরত জাতীয় টেবিল টেনিস দলের সাবেক খেলোয়াড় মোকাররাম আহমেদ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
তৌহিদুল/জসীম/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১২৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৭৩
রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোর তৎপরতা প্রয়োজন
- মাসুদ বিন মোমেন
নিউইয়র্ক, ১১ ডিসেম্বর :
রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোর তৎপরতা, সহযোগিতা ও পর্যবেক্ষণ একান্তভাবে প্রয়োজন এবং তা করতে হবে অসহায় রোহিঙ্গাদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন আজ জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ‘জাতিসংঘের মানবিক পরিস্থিতিতে এবং দুর্যোগে ত্রাণ সহায়তাসহ বিশেষ আর্থিক সহায়তা শক্তিশালীকরণ ও সমন্বয়’ বিষয়ক এক সভায় একথা বলেন।
মিয়ানমার সমস্যার সমাধানে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সাথে সরলবিশ্বাসে অব্যাহতভাবে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বলেন, বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিকভাবে কেবল রোহিঙ্গাদের নিজভূমিতে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কাজ করতে পারে কিন্তু সংশ্লিষ্ট বহুবিধ বিষয় ও অমীমাংসিত প্রশ্নগুলো মিয়ানমারকেই সমাধান করতে হবে।
রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে সম্পদের বাড়তি যে প্রয়োজনীয়তা ও চাপের কথা সংশ্লিষ্ট মানবিক সাহায্য সংস্থাসমূহ জানিয়েছেন তা মোকাবিলায় সাড়া দিতে রাষ্ট্রদূত দাতা দেশ ও সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান যাতে এই গুরুদায়িত্ব ও বোঝা সবাই মিলে ভাগ করে নেয়া যায়।
জাতিসংঘ রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবিলায় মানবিক সহায়তারক্ষেত্রে এ পর্যন্ত বিভিন্ন উৎস থেকে যে সকল মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে তার জন্য রাষ্ট্রদূত মাসুদ সংশ্লিষ্ট সকলকে সাধুবাদ জানান। #
তৌহিদুল/জসীম/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১২৪৫ ঘণ্টা