Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৫ মে ২০২২

তথ্যবিবরণী ০৫ মে ২০২২

Handout                                                                                                                        Number : 1819

 

Press Statement of Ministry of Foreign Affairs

Regarding Misrepresentation of Bangladesh Government’s Arrangement of Learning Facilities for the Rohingya Children

 

Dhaka, 5 May 2022:

 

The Government of Bangladesh places great importance on ensuring access to education for all especially for girls and in a similar vein, Government is facilitating learning activities for the Rohingya children inside the camps. However, it is of deep concern that disinformation is being propagated about the learning facilities for the Forcibly Displaced Myanmar Nationals (FDMN)/Rohingya children when Government of Bangladesh is working with the UN agencies to gradually bring learning facilities under Myanmar Curriculum, streamline the volunteer teacher’s engagement and adopting policies for their capacity building. Reports of closure of learning facilities, barring teachers or students to attend there are false and fabricated.   

 

The Government of Bangladesh has arranged learning scopes for the Rohingya children inside the camps through around 5617 learning facilities all of which are in operation and neither Education Sector Operators in Rohingya Camps nor UNICEF (lead agency for education) raised any concern about closing any learning facility.

 

The FDMN children study under the UNICEF and BRAC developed curriculum called ‘Learning Competency Framework and Approach (LCFA)’ in the Camps completely free of charge. Since the end of last year, a pilot project, called Myanmar Curriculum Pilot (MCP), has been rolled out in Rohingya Camps which follows Myanmar Curriculum and is conducted primarily in Myanmar language. It would gradually replace the LCFA. UNICEF is the lead agency to roll out the Myanmar Curriculum inside the camps free of charge in the learning centers in a phased manner for grades one to twelve.

 

Government bodies with the support of the UN agencies are arranging learning in accordance with Myanmar curriculum which would allow every participant to continue to be exposed to their culture, mother tongue, and national identity. It would facilitate reintegration in their ancestral society in Rakhine State smoothly upon their voluntary return.

 

Besides, students in need of special help like the disabled, or adolescent girls who face difficulties attending learning centers because of the conservative mindset of their families, can attend alternate learning facilities described as community-based learning centers. Learning in those centers can also take place exceptionally in the event of medical emergencies, or natural disasters.  

 

Rohingya volunteer teachers are conducting teaching and additional volunteers are being engaged and being trained to teach the Myanmar curriculum. Host community representatives may be recruited for subjects that cannot be taught by Rohingya volunteers under Myanmar Curriculum. The Government of Bangladesh and the UN is finalizing a policy to further streamline the volunteer teachers' engagement and make it more fruitful.

 

As the Myanmar curriculum rolls out at different grades, efforts should continue to ensure a standard curriculum is taught to all students, and to ensure education is provided to Rohingya refugees free of charge and no disparity is created among FDMN children in the name of education. To ensure that the Government of Bangladesh discourages operation of any private coaching centers or Moktobs inside the camps where learning activities are conducted in exchange of money, does not necessarily follow the Myanmar Curriculum or is even suspected to spread ideologies with ulterior motives. Dropout rates in the established learning centers are increasing due to the unexpected operation of those coaching centers. Promotion of such coaching centers would turn learning into a business commodity.

 

Following the covid-19 related global health advisories, the learning centers were suspended in the highly congested Rohingya camps and were reopened as pre-covid conditions as the corona virus situation improved. Now all the educational facilities are running on a regular basis like other educational institutions of Bangladesh. Besides, schools and offices remain closed on weekends and national holidays globally. Covid-19 induced suspensions and enjoying holidays on weekends or government holidays, suspension of unauthorised business ventures in the name of education should not be treated as effort to impede learning facilities for Rohingya children.

 

Bangladesh Government appreciates the international community's cooperation to facilitate early, sustainable, and voluntary repatriation of the Rohingya to their ancestral land in Rakhine State of Myanmar and it is also the expectation of the Rohingya. Prolonged presence of a huge number of persecuted people entails serious ramification on the economy, environment, security, and socio-political stability of Bangladesh and beyond.  Bangladesh considers continuation of learning under Myanmar Curriculum as an effort to keep the children engaged in productive and capacity building activities which would work as incentive for their early voluntary repatriation. 

 

#

Mainul/Rahat/Enayet/Sanjib/Kanai/2022/ 2100 Hours.

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ১৮১৭  

 

নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্ট

                                       

                                                                                      

ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে) :

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক সংগীতের ভাষায় সারা বিশ্বের সাইবার জগৎকে নিরাপদ করতে চাই উল্লেখ করে বলেছেন, আগামী বছর ইউএনডিপি-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড প্রবর্তন করা হবে ।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় ৬ মে নিউইয়র্ক ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে অনুষ্ঠেয় ‘গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্ট’ উপলক্ষ্যে নিউইয়র্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ।

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে স্বাধীনতা যুদ্ধকালে পন্ডিত রবিশঙ্কর ও জর্জ হ্যারিসনের অনন্য উদ্যোগের স্মরণে গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। 

 

এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীণ চাহিদার ৯০ শতাংশ মোবাইল ফোন দেশেই উৎপাদনের পর তা বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ল্যাপটপ তৈরি করছে ওয়ালটন। এখন মেইড ইন বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে একটি জনপ্রিয় নাম। অথচ একসময় এই ধরনের ইলেকট্রনিক্স বা ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন বা রপ্তানিতো পরের কথা আমদানি করে ব্যবহার করা সম্ভব হতো না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। শুধু তাই নয়, দারিদ্র্য ও দুর্নীতির লজ্জাবোধের জায়গা থেকে বাংলাদেশ এখন সম্মানজনক অবস্থানে এসেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 

কনসার্ট বাস্তবায়নকারী সংস্থা হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলর মনিরুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল আলম রুহুল, অপরাজিতা হক, এটুআই নীতি উপদেষ্টা আনির চৌধুরী, ডিজিটাল নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক খায়রুল আমিন, তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজাউল মাকসুদ জাহেদী প্রমুখ।

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ৬ মে ঐতিহাসিক ম্যাডিসন স্কয়ারে অনুষ্ঠিত হবে গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্ট। এরই মধ্যে ৪ হাজারের মতো টিকিট বিক্রয় হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, কনসার্ট থেকে অর্জিত আয় সাইবার নিরাপত্তায় ইউএনডিপির তহবিলে দেয়া হবে। 

 

 

#

 

শহিদুল/রাহাত/সঞ্জীব/কানাই/২০২২/ ২০০৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ১৮১৮ 

 

দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় শেখ হাসিনার বিকল্প নেই

                                                                    - পরিবেশমন্ত্রী

                                                                          

বড়লেখা (মৌলভীবাজার), ২২ বৈশাখ (৫ মে) :

 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী দিন-রাত কাজ করে চলেছেন। এলক্ষ্যে কৃষকদের উন্নয়নে সরকার সার, বীজ ও কৃষি উপকরণ বাবদ প্রতি বছর প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। কৃষক ভাইয়েরা যাতে ফসলের ন্যায্যমূল্য পান তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

মন্ত্রী আজ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষক লীগের বড়লেখা উপজেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, চাষাবাদের পাশাপাশি পরিবেশের উন্নয়নে কৃষকদের ভূমিকা পালন করতে হবে। এজন্য দেশের আনাচে-কানাচে পতিত জমিতে বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। খাল-বিল, নদী-নালা, জলাভূমির সুরক্ষা করতে হবে। ভূ-গর্ভস্থ পানির পরিবর্তে ভূপৃষ্ঠের পানি ব্যবহার করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের পানির চাহিদা মেটাতে সরকার অবৈধভাবে খাল দখলকারীদের উচ্ছেদ করে পুনঃখননের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বড়লেখা উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার জেলা কৃষক লীগের সভাপতি জমসেদ মিয়া। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য এডভোকেট শামীমা আক্তার খানম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের প্রশাসক মিছবাহুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ জোহরা আলাউদ্দিন, বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ এবং পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মোঃ কামরান চৌধুরী।


#

 

দীপংকর/রাহাত/সঞ্জীব/কানাই/২০২২/১৮৩৫ ঘণ্টা

 তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ১৮১৬

 

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সরকার গৃহীত কর্মসূচি

 

ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে):

আগামী ২৫ বৈশাখ ১৪২৯/৮ মে ২০২২ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী । জাতীয় পর্যায়ে কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। গত ১৮ এপ্রিল সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

 এ বছর জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান হবে রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে। আগামী ৮ মে দুপুর ২.৩০ টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কবির চিত্রশিল্প প্রদর্শনী এবং কবির ওপর নির্মিত ডকুমেন্টারির মাসব্যাপী প্রচারের ব্যবস্থা করবে। ঢাকাসহ কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার শিলাইদহ, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, নওগাঁর পতিসর এবং খুলনার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় কবিগুরুর ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হবে। এ উপলক্ষ্যে রবীন্দ্রমেলা, রবীন্দ্র বিষয়ক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে স্থানীয় প্রশাসন।

এবার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মানবতার সংকট ও রবীন্দ্রনাথ’। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমি কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণিকা ও পোস্টার মুদ্রণ করবে। বাংলা একাডেমিসহ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল দপ্তর ও সংস্থাসমূহ এ উপলক্ষ্যে বিশেষ আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। এছাড়া কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালকের তত্ত্বাবধানে ঢাকার রবীন্দ্র সরোবরে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।

এছাড়া ঢাকাসহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি উদ্‌যাপন করা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহ যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে দিবসটি উদ্‌যাপন করবে। যে সকল জেলায় জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হবে না, সে সকল জেলার জেলা প্রশাসকগণ স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও সুধীজনের সহযোগিতায় কমিটি গঠন করে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদ্‌যাপন করবে। জাতীয় পর্যায়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানমালা বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বেসরকারি বেতার ও টেলিভিশন চ্যানেলসমূহ ব্যাপকভাবে সম্প্রচার করবে।

কবিগুরুর ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে কবির স্মৃতিবিজড়িত জেলাসমূহসহ সকল জেলায় বিশ্বকবির ছবি, কবিতা, পরিচিতি ও চিত্রকর্ম প্রদর্শন এবং বিভিন্ন সড়ক দ্বীপসমূহে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার ও ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন এবং আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হবে।

#

ফয়সল/রাহাত/এনায়েত/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/১৮১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ১৮১৫ 

আরএসএফ প্রতিবেদন বিদ্বেষপ্রসূত, আপত্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য

                                               -- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

চট্টগ্রাম, ২২ বৈশাখ (৫ মে):

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (ফ্রেঞ্চ-স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স বর্ডারস বা আরএসএফ) এর বিশ্ব সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, তাদের প্রতিবেদন বিদ্বেষপ্রসূত, আপত্তিকর এবং অগ্রহণযোগ্য। 

আজ মন্ত্রী তার চট্টগ্রামের দেওয়ানজী পুকুর পাড়ের বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে এ বিষয়ে তাদের প্রশ্নের জবাবে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানান। 

          ‘প্যারিসভিত্তিক সংস্থা আরএসএফ সবসময় বাংলাদেশের প্রতি বিদ্বেষপ্রসূত’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা গতবছর এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে প্রচণ্ড আপত্তিকর মন্তব্য ছিল। তারা বাংলাদেশের গণমাধ্যম নিয়েও অসত্য, ভুল এবং মনগড়া রিপোর্ট করে। সেটার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বৃহত্তর সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো যেমন প্রতিবাদ জানিয়েছিল, একইভাবে প্যারিস প্রবাসী কয়েকজন বাংলাদেশি ফ্রান্সের আইনজীবীর মাধ্যমে আরএসএফ এর বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ দিয়েছিল।’

‘সেই আইনি নোটিশে বলা ছিল, তারা কোনো দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের ব্যাপারে এরকম মন্তব্য করতে পারে না, ফ্রান্সের আইনেই সেটি বলা আছে, অর্থাৎ তারা ফ্রান্সের আইন লঙ্ঘন করে সেটা করেছে’ জানিয়ে ড. হাছান বলেন, সুতরাং তারা এখন যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এটিও কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, এটি আপত্তিকর এবং বিদ্বেষপ্রসূত। 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ক্রমাগতভাবে বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে সেই সমস্ত সূত্র থেকে আরএসএফ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে এবং নিজেরাও বাংলাদেশের প্রতি বিদ্বেষপ্রসূত হয়ে যে রিপোর্ট দেয় সেটির কোনো মূল্য নেই। গতবছর বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নসহ (বিএফইউজে) সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন তাদের সেই প্রতিবেদন ও মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানিয়েছিল, বিবৃতি দিয়েছিল।’ 

সেই একই সংগঠন যখন আবারো বাংলাদেশের গণমাধ্যম নিয়ে কথা বলে, তখন স্বাভাবিকভাবেই ধরে নিতে হবে তারা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়েই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে  ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে, বলেন মন্ত্রী।

ডিজিটাল বা সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়েও আরএসএফ কথা বলেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ডিজিটাল বিষয়টি যখন ছিল না তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টিও ছিল না। যখন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে ডিজিটাল বিষয়টি এসেছে, তখন গণমানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশ আইন করেছে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এই আইন হয়েছে এবং হচ্ছে। সিঙ্গাপুর, ভারত, পাকিস্তান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে, বাংলাদেশেও হয়েছে। 

‘এই আইন সব মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য এবং এই আইনের সুযোগ গ্রহণ করে অনেক সাংবাদিকও তাদের মানহানিকর বিষয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে এবং সাংবাদিক হোক, সাধারণ মানুষ হোক কারো বিরুদ্ধে এই আইনের অপব্যবহার হওয়া উচিত নয়, সে নিয়ে আমরা সতর্ক আছি’, বলেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন নিয়ে বাংলাদেশে যে ধারাগুলো নিয়ে অনেক আলোচনা হয়, কেউ কেউ সমালোচনাও করেন, অথচ, ভারত পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশে যে আইনগুলো হয়েছে, সেখানেও অনুরূপ ধারাগুলো সন্নিবেশিত আছে। 

মন্ত্রী বলেন, ‘এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন ফ্রেইমওয়ার্ক ল’ করছে, যেটার অধীনে বিভিন্ন দেশে পদক্ষেপ নেয়া হবে, আইন করা হবে। ফ্রান্সেও একই ধরনের আইন আছে। সুতরাং আরএসএফ আগে থেকেই যেহেতু বাংলাদেশের প্রতি বিদ্বেষপ্রসূত সেজন্যই তারা বাংলাদেশকে কয়েক ধাপ নামিয়ে দিয়েছে। আমরা এটি সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করছি।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য ‘দেশে গণতন্ত্র নেই, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ বিভিন্ন কারণে মানুষের মন ভালো নেই, তাই দেশের মানুষ ভালোভাবে ঈদ করতে পারেনি’ এ বিষয়ে মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, করোনা মহামারির পর এবার যেভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলাদেশের মানুষ ঈদ করেছে সেটি অভাবনীয়। শুধু তাই নয়, এবছর দেশের মানুষ যেভাবে কেনাকাটা করেছে, সমস্ত ব্যবসায়ীরা প্রচণ্ড খুশি এবং দেশের অর্থনীতি চাঙা হয়েছে। এবার দেশে ঈদযাত্রা অনেকটা ভোগান্তিহীন ছিল। মানুষের মধ্যে এখনো খুশির বন্যা বয়ে যাচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল সাহেব সম্ভবত অন্য গ্রহে বসবাস করেন অথবা তার মাথার মধ্যে অন্য দেশ ঘুরপাক খায় বলে তিনি এধরনের কথা বলছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এজন্য আমার মনে হয় মির্জা ফখরুল সাহেবের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা দরকার। কারণ  বয়স হলে অনেক ধরনের আবোল তাবোল কথা মানুষ বলে। তাদের ডাক্তারদের সংগঠন ড্যাব তার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থের কিছু পরীক্ষা করতে পারে।’

 

#

আকরাম/রাহাত/এনায়েত/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/১৭৫০ঘণ্টা

Handout                                                                                                                                      Number : 1814

 

Emergency Medical Supplies to Sri Lanka

 

Dhaka, 05 May:

 

            In a spirit of friendship and good neighborly relations as envisioned by Prime Minister Sheikh Hasina, Bangladesh has decided to send a significant quantity of medical supplies, worth 20 crores Bangladesh Taka to Sri Lanka as a goodwill gesture. To this effect, a ceremony of token hand over of the medicines was held today at the State Guest House Padma in Dhaka. 

 

            Foreign Minister Dr. A.K. Abdul Momen and Health Minister Mr. Zahid Maleque handed over few boxes of medicine as a token to the Sri Lankan High Commissioner to Bangladesh Prof. Sudharshan D.S. Seneviratne. The event was also attended by Foreign Secretary Ambassador Mr. Masud Bin Momen. 

 

Member of Parliament and President of Bangladesh Association of Pharmaceuticals Industries (BAPI) Mr. Nazmul Hassan, also graced the ceremony.

 

In his short remarks, Foreign Minister, Dr. Momen termed the offer of medicine, as the expression of solidarity and friendship between Bangladesh and Sri Lanka, at a time when two countries are celebrating 50 years of diplomatic relations. He added that under the able leadership of Prime Minister Sheikh Hasina, Bangladesh never hesitates to extend assistance to any nation in difficulties, in particular, to its neighbors for ensuring shared peace and prosperity in the South Asian region. He assured that Bangladesh stands ready to support Sri Lanka in all possible ways.

 

The Sri Lankan High Commissioner, while making his remarks expressed gratitude of the government of Sri Lanka to Prime Minister Sheikh Hasina and the government of Bangladesh for this friendly gesture of supplying medicine for the people of Sri Lanka. He noted that Sri Lanka values the friendly relationship with Bangladesh and committed to further strengthening it in the coming days. He termed the gifting of the medicines, was another demonstration that the trajectory of the bilateral relations was moving in the right direction. 

 

Both EDCL and BAPI have contributed medicine of BD taka 10 crores each. The medicine is expected to reach Sri Lanka within few days. Earlier, Bangladesh supported Sri Lanka by providing $ 200 million through currency swapping arrangement.

 

#

Mohsin Reza/Parikshit/Rabi/ Lovely/2022/ Hours.

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                      নম্বর : ১৮১৩ 

 

‍‍‍ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত

- ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

                                                                                      

ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে) :

 

          আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ মোকাবিলায় প্রস্তুতি আছে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, আমাদের সেই ক্যাপাসিটি আছে এবং প্রস্তুতি আছে। আশা করি আমরা সুষ্ঠুভাবে এটি মোকাবিলা করতে পারব।

 

          প্রতিমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড়পূর্ব প্রস্তুতি সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। 

 

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারত মহাসাগরের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের কাছে একটি সাইক্লোনিক সিস্টেম ডেভেলপ করেছে। যা ৯ মের মধ্যে হয়তো লঘুচাপে রূপান্তরিত হবে, যাকে আমরা ‘লো প্রেসার’ বলি। এরপর ধীরে ধীরে এটা সুস্পষ্ট লঘুচাপ বা লো প্রেসারের রূপ ধারণ করতে পারে। এরপর ১১ মের দিকে নিম্নচাপে রূপান্তরিত হয়ে নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তর হওয়ার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। যদি ঘূর্ণিঝড় হয় তাহলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হবে অশনি।

 

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ একটি ঘূর্ণিঝড়প্রবণ দেশ, আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে, পূর্বে ঝড়ে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। যার জন্য আমরা আজকে প্রাথমিক সভা ডেকেছি।

 

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিটা স্টেপে আমাদের প্রস্তুতি কি, কাদের সংযুক্ত করব, কাদের দায়িত্ব দেবো, কোথায় কীভাবে নির্দেশনা দেবো সেগুলো আমরা আজ ঠিক করেছি। পরবর্তীতে যদি সতর্ক সংকেত দেওয়া হয় তাহলে আমরা একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে নির্দেশনাগুলো মাঠ পর্যায়ে দিয়ে দিবো।

 

          ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি আছে কি না এ বিষয়ে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সিপিপি ভলান্টিয়ারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা উপকূলীয় অঞ্চলে কাজ করছে, আমাদের যে এসওডি আছে সে অনুযায়ী কখন কী করতে হবে জানিয়ে দিয়েছি। সবাই আমরা এখন অ্যালার্ট। পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

          এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসানসহ মন্ত্রণালয় এবং পিপিপি'র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন ।

#

 

সেলিম/পরীক্ষিৎ/রবি/লাভলী/২০২২/১৬২৪  ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                      নম্বর : ১৮১২ 

 

ঢাকায় ফেরা স্বচ্ছন্দ করতে দৌলতদিয়াঘাট ব‍্যবহার করতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান

                                                                                      

ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে) :

 

          নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এবারের ঈদযাত্রা খুব ভালভাবেই করতে পেরেছি। স্বচ্ছন্দের সাথে ঈদের সময়ে মানুষ বাড়ি যেতে পেরেছে। সারাদেশে আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। সরকারের পদক্ষেপের কারণে মানুষ ভালোমত ঈদ করতে পেরেছে।

 

আজ মন্ত্রণালয়ে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

 

          নৌপথে ঢাকা ফেরাটাও স্বচ্ছন্দ হবে বলে প্রতিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। ফেরার পথে ফেরিরুটে দৌলতদিয়াঘাট ব‍্যবহার করার আহ্বান জানান তিনি। কালবৈশাখী ঝড়সহ অন‍্যান‍্য ঝড় জলোচ্ছ্বাসে আবহাওয়ার সিগন‍্যাল মেনে চলার জন্য তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ করেন।


          এর আগে প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
 

#


জাহাঙ্গীর/পরীক্ষিৎ/রবি/লাভলী/২০২২/১৬৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                      নম্বর : ১৮১১

 

কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে জেলেদের জন্য ৯৯৮ টন চাল বরাদ্দ

                                                                                     

ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে) :

 

          ২০২১-২২ অর্থবছরে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে ২৪ হাজার ৯৫৩ টি জেলে পরিবারের জন্য ৯৯৮ দশমিক ১২ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করেছে সরকার। সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় কাপ্তাই হ্রদ তীরবর্তী রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার ১০টি উপজেলার জেলেদের জন্য এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এর আওতায় প্রতিটি জেলে পরিবারকে মাসিক ২০ কেজি হারে মে-জুন দুই মাসের জন্য মোট ৪০ কেজি ভিজিএফের চাল প্রদান করা হবে।

 

          সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরি আদেশ জারী করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ভিজিএফের চাল ১০ জুনের মধ্যে উত্তোলন ও জেলেদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। কেবলমাত্র কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত ও কার্ডধারী জেলেদের মধ্যে এ চাল বিতরণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

          ভিজিএফ বরাদ্দপ্রাপ্ত ১০টি উপজেলা হলো রাঙ্গামাটি জেলার সদর, লংগদু, বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর, কাপ্তাই, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল এবং খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি ও দীঘিনালা।

 

          উল্লেখ্য, কার্প ও অন্যান্য দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছর মে থেকে জুলাই মাস কাপ্তাই হ্রদে সকল ধরণের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। এ বছর ইতোমধ্যে ১ মে থেকে তিন মাসের জন্য এ হ্রদের সকল প্রকার মাছ আহরণ, বাজারজাতকরণ ও পরিবহণ নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় জেলা প্রশাসন। মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে কাপ্তাই হ্রদে নৌ পুলিশ অভিযান পরিচালনা করবে।

 

#

 

ইফতেখার/পরীক্ষিৎ/রবি/লাভলী/২০২২/১৫৪০ ঘণ্টা

 

2022-05-05-15-16-06d7d9de02911357a6ceb4a6f560b7f3.doc