তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮১৯
সৃজনশীল কর্মের মাধ্যমে ধর্মের অপব্যবহারকারী দুর্বৃত্তদের প্রতিরোধ করতে হবে
-- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ৬ আশ্বিন (২১ সেপ্টেম্বর) :
সৃজনশীল কর্মের মাধ্যমে ধর্মের অপব্যবহারকারী দুর্বৃত্তদের প্রতিরোধ করতে সংস্কৃতিকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে সরকারি অনুদানে নির্মিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘দ্য লক্ষণ দাস সার্কাস’ এর প্রিমিয়ার শো উদ্বোধন উপলক্ষ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
মন্ত্রী বলেন, সরকারবিরোধী পাকিস্তানপ্রেমী মৌলবাদীরা পাকিস্তান আমলে ধর্ম গেল গেল বলে ২৩ বছর যে ধুয়া তুলেছিল, সে গোষ্ঠীর একটি অংশ এখনো সক্রিয় রয়ে গেছে। তাদের জবাব দেয়ার অন্যতম মোক্ষম হাতিয়ার হতে পারে সার্কাস, নাটক, চলচ্চিত্রসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড।
এ সময় স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, চিত্তবিনোদনের জন্য খুব জনপ্রিয় মাধ্যম ছিলো সার্কাস। আজ থেকে প্রায় ৭০ বছর আগে আমি চতুর্থ শ্রেণিতে থাকাকালীন প্রথম সার্কাস দেখি। তারপর প্রতিবছর নিয়মিত সার্কাস দেখতাম। তখন গাজীপুরে রথযাত্রা উপলক্ষ্যে নিয়মিত সার্কাস প্রদর্শন করা হতো। কিন্তু কালের পরিক্রমায় সে সার্কাস আজ অনেকটাই হারিয়ে গেছে।
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, চলচ্চিত্র যদিও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন, তথাপি সংস্কৃতির উপাদান হিসাবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান দেয়া শুরু করেছে। অনুদানের পরিমাণও তুলনামূলক বেশি। ইতোমধ্যে জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে নিয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুদানে প্রামাণ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে।
স্মৃতিচারণ করে কে এম খালিদ বলেন, আমাদের ছোটবেলায় কমলা সার্কাসের খুব নামডাক ছিল। সার্কাস শিল্পীদের বিভিন্ন ধরনের কসরত, তারের উপর দিয়ে হেঁটে যাওয়া, হাতি, বাঘ দেখে খুব আনন্দ উপভোগ করতাম। পরবর্তীতে মৌলবাদীদের উৎপাতে সার্কাস অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, সার্কাস নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রটি হতে পারে এ শিল্পকে পুনরুজ্জীবনের একটি প্রধান অস্ত্র। মহান সার্কাস শিল্পী লক্ষণ দাসের জীবনকাহিনী নিয়ে মূলত: প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মিত হয়েছে। লক্ষণ দাস মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেন। কিন্তু পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী শুধু তাকেই হত্যা করেনি, বুলেটের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত করে তার আদরের হাতিটাকেও।
খ্যাতিমান নাট্যজন অনন্ত হীরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা মানজারে হাসীন মুরাদ। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহিন ইসলাম, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মোঃ নিজামুল কবীর ও সূর্য দীঘল বাড়ি খ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মসিহ উদ্দিন শাকের। অনুভূতি ব্যক্ত করেন ‘দ্য লক্ষণ দাস সার্কাস’ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের প্রযোজক ও পরিচালক ঝুমুর আসমা জুঁই। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী।
#
মারুফ/রফিক/এনায়েত/রফিকুল/মাহমুদ/সেলিম/২০২২/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮১৮
প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে শিক্ষককে এরেস্ট করতে হলো যা খুবই দুঃখজনক ও লজ্জার
-- শিক্ষা সচিব
ঢাকা, ৬ আশ্বিন (২১ সেপ্টেম্বর) :
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আবু বকর ছিদ্দীক বলেছেন, ‘আমরা একটা কঠিন সময়ের মধ্যে আছি। তিনজন শিক্ষক জেলে একজন পলাতক। আমরা কাকে বিশ্বাস করবো? দুর্ভাগ্য এসব শিক্ষকদের গ্রেপ্তার না করে পারিনি।’ দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় কেন্দ্র সচিবসহ তিন শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়।
আজ রাজধানীর রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ অডিটোরিয়ামে জাতীয় শুদ্ধাচার বাস্তবায়ন কৌশল পরিকল্পা কার্যক্রম বাস্তবায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অংশীজনের সঙ্গে দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব এ কথা বলেন।
সচিব বলেন, ‘আমরা একটা কঠিন সময়ের মধ্যে আছি। আজ শুদ্ধাচার নিয়ে কথা বলছি। প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গেছে। পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে। দুর্ভাগ্য আমাদের শিক্ষককে গ্রেপ্তার না করে পারিনি। এই লজ্জা নিয়ে আমরা আজ এখানে কর্মশালা করছি। তিনজন শিক্ষক জেলে একজন শিক্ষক পলাতক। আমি কার ওপর বিশ্বাস করবো। প্রশ্নপ্রত্র আনা নেওয়ার দায়িত্ব যার ওপর দিলাম শুনলাম উনি বেশভুসায় ইসলামিক মানুষ। কোথায় বিশ্বাস করবো? ছাত্ররা কী শিখবে? শিক্ষকদের তো আমরা শাসন করতে পারি না। আমাদের একটা জাগরণ দরকার, রেঁনেসা দরকার।’
আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, ‘সুশাসনের জন্য কথা বলছি। ফকির লালন বহুদিন আগে বলে গেছেন-‘সত্য কাজে কেউ নয় রাজি’। এটাই আমাদের সমস্যা। শুদ্ধাচার হলো- গুড গভর্নেন্সের একটি টুল। আমরা যদি সুশাসন নিশ্চিত করতে চাই, তাহলে নিজেদের আচরণ শুদ্ধ হতে হবে । এর বাইরে শুদ্ধাচারের কিছু নেই।’
অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ বেলায়েত হোসেন তালুকদার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
#
খায়ের/রফিক/এনায়েত/সঞ্জীব/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮১৭
থানচির দুর্গম এলাকা রেমাক্রীতে ১৩০০ সোলার প্যানেল বিতরণ করলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী
থানচি, (বান্দরবান), ৬ আশ্বিন (২১ সেপ্টেম্বর) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকার বিদ্যুৎ সেবা থেকে বঞ্চিত মানুষের দিকটি বিশেষ বিবেচনায় রেখেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেমাক্রীর ১ হাজার ৩ শ ২৭টি পরিবারকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে লক্ষাধিক টাকার সোলার প্যানেল সিস্টেমের বিদ্যুৎ সরঞ্জাম উপহার দিয়েছেন। শুধু তাই না সরঞ্জামগুলো স্থাপনের জন্য প্রত্যেককে নগদ টাকাও উপহার দিয়েছেন।
আজ বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রী বাজারে ‘পার্বত্য চট্টগামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ-২য় পর্যায়’ প্রকল্পের সহায়তায় সরবরাহকৃত ১ হাজার ৩২৭টি পরিবারের মাঝে সোলার হোম সিস্টেম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বীর বাহাদুর বলেন, দুর্গম ও প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে গ্রিডলাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছানো অত্যন্ত দুস্কর ও ব্যয়বহুল। এসব এলাকায় আলো ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা প্রক্রিয়ার একমাত্র মাধ্যম ছিলো কেরোসিন বাতি বা ডিজেল জেনারেটর। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকার রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় প্রত্যন্ত দুর্গম এলাকার সুবিধাবঞ্চিত পরিবারকে আলোকিত করতে বিনামূল্যে সোলার প্যানেল বিতরণ ও স্থাপন করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ১০ হাজার ৮৯০ টি পরিবারকে সোলার হোম সিস্টেম এবং ২ হাজার ৮১৪টি সোলার কমিউনিটি সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎবঞ্চিত পাড়া কেন্দ্র, দুর্গম এলাকার স্টুডেন্ট হোস্টেল, অনাথ আশ্রম কেন্দ্র, এতিমখানাগুলোতে বিতরণ ও স্থাপন করা হয়েছে। মন্ত্রী পাহাড়িদের আশ্বস্ত করে বলেন, সমতল ও পাহাড়ি অঞ্চলের দুর্গম এলাকায় প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবেন।
পরে মন্ত্রী উপকারভোগীদের মাঝে বিদ্যুৎ সরঞ্জাম বিতরণ করেন। প্রতিটি সোলার প্যানেল থেকে উপকারভোগীরা ১০০ ওয়াট পিক আওয়ার বিদ্যুৎ সোলার প্যানেল সরঞ্জামগুলোর মাধ্যমে ৪টি এলইডি বাল্ব, ১টি সিলিং ফ্যান, ১টি টিভি, ১টি চার্জ কন্ট্রোলার চালানো যাবে। এর আগে মন্ত্রী রেমাক্রী ইউনিয়নে অস্থায়ী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।
এসময় পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (বাস্তবায়ন) মোঃ হারুনুর রশিদ, বান্দরবান পুলিশ সুপার মোঃ তারিকুল ইসলাম, থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আবুল মনসুর, থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইহ্লা মং উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজুয়ান/রফিক/সঞ্জীব/মোশারফ/মাহমুদ/আরাফাত/শামীম/২০২২/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮১৬
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাথে জাইকার নবনিযুক্ত প্রধান প্রতিনিধির সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৬ আশ্বিন (২১ সেপ্টেম্বর) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে আজ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে সাক্ষাৎ করেছেন জাইকার নবনিযুক্ত প্রধান প্রতিনিধি Tomohide Ichiguchi। এসময় তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে জাইকার নবনিযুক্ত প্রধান প্রতিনিধিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, জাইকা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। তিনি বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটকে জাইকার সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই। এছাড়া বিতরণ ও সঞ্চালন খাতেও প্রচুর কাজ করার সুযোগ রয়েছে। পদ্মা সেতুর বদৌলতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে দ্রুত উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। এ অঞ্চলে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সঞ্চালন এবং বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিকায়নেও জাইকা কাজ করতে পারে। এ সময় তিনি চাহিদার ভিত্তিতে লোড পরিগণনার পদ্ধতি এবং প্রয়োজনীয় বিদ্যুতায়নের উৎস নিয়েও স্টাডি করার জন্য জাইকাকে অনুরোধ করেন। সমন্বিত
মহা-পরিকল্পনা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বায়ুবিদ্যুৎ, বিদ্যুৎ ব্যবহারের প্যাটার্ন পরিবর্তন, শিল্পে জ্বালানির চাহিদা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের আধুনিকায়ন, মহেশখালির ভূমি উন্নয়ন, গ্যাস পাইপলাইন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে এসময় আলোচনা হয়। জাইকার নবনিযুক্ত প্রধান প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশ আমার পুরাতন কর্মস্থল। বাংলাদেশের উন্নয়ন গতির সাথেই জাইকার গতি থাকবে। বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের উন্নয়নে জাইকা কাজ করবে।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে জাইকার বিদায়ি প্রধান প্রতিনিধি Yoho Hayakawa উপস্থিত ছিলেন।
#
আসলাম/পাশা/এনায়েত/মোশারফ/মাহমুদ/আরাফাত/শামীম/২০২২/১৭৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮১৫
তৃণমূল জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু স্থানীয় সরকার পরিষদ
-আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ
বরিশাল, ৬ আশ্বিন (২১ সেপ্টেম্বর) :
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। তৃণমূল জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা তথা সকল প্রত্যাশার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু স্থানীয় সরকার পরিষদ। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দলমতের ঊর্ধ্বে ওঠে জনস্বার্থকে সর্বাগ্রে স্থান দিতে হবে। নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দিতে হলে জনপ্রতিনিধিদের সকল প্রকার লোভ-লালসা ত্যাগ করে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশালে আগৈলঝাড়া উপজেলার সেরালে জনপ্রতিনিধি, সমাজকর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সুষম উন্নয়ন নীতিতে বিশ্বাসী। আগৈলঝাড়া উপজেলাসহ বরিশালের প্রতিটি উপজেলায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, বনায়ন, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোখাতে রেকর্ড পরিমাণ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুফল যাতে তৃণমূলের মানুষ উপভোগ করতে পারে, সেজন্য স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, বর্তমান সরকার দেশে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের ‘রূপকল্প ২০২১’ এর সফল বাস্তবায়ন এবং অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সরকারের সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করতে হবে। তিনি বরিশালের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়নে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন।
#
আহসান/পাশা/সঞ্জীব/মোশারফ/মাহমুদ/আরাফাত/শামীম/২০২২/১৭৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩৮১৪
গত এক যুগে চাষের মাধ্যমে দেশীয় মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৪ গুণ
-- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ৬ আশ্বিন (২১ সেপ্টেম্বর)
গত এক যুগে চাষের মাধ্যমে দেশীয় মাছের উৎপাদন ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) এর বোর্ড অভ্ গভর্নরসের ৪১তম সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণার মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৩৭ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছের প্রজনন কৌশল ও চাষাবাদ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। যার মধ্যে গত এক বছরে ১১ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। দেশীয় মাছ সংরক্ষণে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে লাইভ জিন ব্যাংক। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গবেষণা কার্যক্রম অতীতের তুলনায় জোরদার করা হয়েছে। গত ১২ বছরে চাষের মাধ্যমে দেশীয় মাছের উৎপাদন ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৬৭ হাজার মেট্রিক টন থেকে ২ দশমিক ৬ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণালব্ধ ফলাফলের ভিত্তিতে মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও সরকারের বাস্তবমুখী কার্যক্রম গ্রহণের কারণে দেশে ইলিশের বিস্তৃতি ও উৎপাদন বেড়েছে। গত ১২ বছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে ৮৫ শতাংশ । পাশাপাশি বড় আকারের ইলিশের প্রাপ্যতা আগের তুলনায় ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইলিশ সংরক্ষণ ও সহনশীল আহরণ নিয়েও গবেষণা চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মৎস্য উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্যের মূলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট। এ খাতের সমৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবিরাম প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতা রয়েছে। এ খাতে সরকারের বিভিন্ন রকম অনুদান ও বরাদ্দ রয়েছে।
বিএফআরআই এর বোর্ড অভ গভর্নরসের সদস্য ও সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, বোর্ড সদস্য ও পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য এ কে এম ফজলুল হক, বোর্ড সদস্য সচিব ও বিএফআরআই এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, বোর্ড সদস্য ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বোর্ড সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মিয়া সাঈদ হাসান, বিএফআরআই এর পরিচালক (গবেষণা ও পরিকল্পনা) ড. মোঃ খলিলুর রহমান এবং পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ড. মোঃ আনিছুর রহমান সভায় অংশগ্রহণ করেন।
#
ইফতেখার/পাশা/রাহাত/সঞ্জীব/মাহমুদ/আরাফাত/লিখন ২০২২/১৮৩৭ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৮১৩
শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা-২০২২ উপলক্ষ্যে বৌদ্ধ বিহারসমূহে অর্থ সহায়তা বিতরণের সিদ্ধান্ত
-ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ আশ্বিন (২১ সেপ্টেম্বর) :
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদুল হক খান আজ বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ৯৮ তম বোর্ড সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় আসন্ন শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা-২০২২ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল হতে প্রাপ্ত ২ কোটি টাকা সারা দেশের বৌদ্ধ বিহারে উৎসব পালনের নিমিত্তে অগ্রাধিকারভিত্তিতে বিতরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এসময় প্যাগোডাভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রকল্পের ৩য় পর্যায় অনুমোদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় জানানো হয়, নেপালের লুম্বিনিতে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে প্রস্তাবিত বাংলাদেশ প্যাগোডা ও কৃষ্টি কালচারাল কমপ্লেক্স প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে মূল্যায়ন কমিটিতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের মাধ্যমে গৃহীত সার্বিক কার্যক্রমসমূহের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয় এবং সার্বিক কার্যক্রম আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদেরকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।
সভায় বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান আরমা দত্ত এমপি, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আবদুল আউয়াল হাওলাদার, ভাইস-চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া, ট্রাস্টি মিথুন রশ্মি বড়ুয়া, ববিতা বড়ুয়া, রূপনা চাকমা, হ্লা থোয়াই হ্লী মার্মা, রঞ্জন বড়ুয়া, জয়সেন তঞ্চঙ্গ্যা, জ্যোতিষ সিংহ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুনীম হাসান, উপসচিব (উন্নয়ন) মোঃ সাখাওয়াত হোসেন এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব জয়দত্ত বড়ুয়া অংশগ্রহণ করেন।
#
আনোয়ার/পাশা/মোশারফ/মাহমুদ/আরাফাত/শামীম/২০২২/১৬৩৫ঘণ্টা
Handout Number : 3810
Prime Minister’s Message on the occasion of the International Day of Peace
Dhaka, 21 September :
Prime Minister Sheikh Hasina has given the following Message on the occasion of the International Day of Peace:
“On the solemn occasion of the International Day of Peace, on behalf of the Government and the peace loving people of Bangladesh, I join the international community in renewing our unwavering commitment to peace and security all around the world.
This year's theme 'End racism. Build peace' stresses the importance of fighting against all kinds of racism, racial discrimination, and xenophobia, and promoting peace through tolerance, inclusion, unity, and respect for diversity. Bangladesh proudly identifies itself as a land of diversity and harmony. Our Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman firmly believed in equal rights and social justice as the cornerstone for building a peaceful world. Following his legacy, We, as a nation, have always stood firm to realize equal rights and treatment of people irrespective of their race, religion, caste, and gender. Communal harmony, democracy, peace, and development are, therefore, the core of our government policies and programs in the country.
This is indeed an occasion to renew and redeem our pledge to ensure a stable and peaceful world, as envisioned by the UN Charter. In an increasingly interconnected world, the absence of peace anywhere is a threat to peace all over. We have witnessed how the recent conflicts have plunged the world into collective uncertainty and how innocent people all around the world are suffering amidst growing food insecurity, drought, and economic crisis. It is, therefore, of paramount importance to understand what afflicts our people, especially our women and youths, and to try to feel their needs and aspirations with empathy. A democratic, inclusive and participatory environment is absolutely critical for peace to prevail in any society. At the same time, there needs to be sustained investment in peace, tolerance, and harmony by promoting quality and transformative education and a sound cultural orientation.
Today, as we observe this auspicious day, we recollect how atrocities and human rights violations fueled by racial discrimination, xenophobia, and hate speech forced more than one million Rohingyas to flee their homeland and take shelter in Bangladesh. As the crisis entered its sixth year, the international community may take it as an example to address the root causes behind conflicts and highlight the importance of the elimination of racism for sustainable peace.
Let us reaffirm our commitment to foster respect for equality and diversity in societies and circulate the message of peace by taking collective measures against racism, xenophobia, Islamophobia, and intolerance. Let us join hands to promote national and international peace by strengthening partnerships, respecting the principles of the UN Charter, implementing a culture of dialogue, denouncing violence, and resolving all problems peacefully.
Joi Bangla, Joi Bangabandhu
May Bangladesh Live Forever."
#
Owadud/Anasuya/Mehedi/Masum/2022/1255 hours