Handout Number : 3101
Bangladesh-U S security dialogue held
Dhaka, 2 October :
The 5th round of Bangladesh-United States Security Dialogue was held in Dhaka today. Additional Foreign Secretary Kamrul Ahsan led the Bangladesh delegation comprising representatives of different Ministries and concerned Government organizations. Deputy Assistant Secretary of State William Monahan led the United States delegation that included representatives from the Departments of State and Defense. United States Ambassador to Bangladesh Marcia Bernicat and Embassy officials also attended the dialogue. Bangladesh and the United States have been holding this Dialogue regularly since 2012.
The day-long Dialogue covered a wide range of issues related to security partnership between the two countries including strategic priorities and regional security issues, defense cooperation, civilian security cooperation, UN peacekeeping and counter-terrorism and countering violent extremism. Both sides agreed on the importance of a deeper and stronger partnership in addressing mutual security concerns while upholding the values of human rights and fundamental freedoms.
Bangladesh and the United States recognized the shared threats they face and that countering violent extremist groups, such as ISIS / Da’esh, constitutes a global challenge. The United States delegation appreciated Bangladesh’s policy of ‘zero tolerance’ towards terrorism and violent extremism, and not allowing its territory to be used for terrorist activities against other countries. They also applauded Bangladesh government’s efforts to control terrorist activities in the aftermath of the Holey Artisan attack by involving all relevant agencies, and the launch of a specialised Counter Terrorism and Transnational Crime (CTTC) Unit under Dhaka Metropolitan Police (DMP). The United States delegation also commended Bangladesh for its contribution to international peace and security through participation in the UN peacekeeping operations and also in the Global Peace Operations Initiative, funded by the United States.
The Bangladesh delegation appreciated the United States assistance and support in further improving its disaster preparedness and response capabilities through joint Disaster Response Exercise and Exchange (DREE), construction of 600 multipurpose cyclone shelters in coastal belts, and provision of fast-moving boats to the Bangladesh Coast Guards which has minimized the response time to prevent armed robberies within its maritime boundary. The Bangladesh delegation sought for enhanced United States training, equipment, and logistics support in the areas of counterterrorism and countering violent extremism, disaster management and the UN peacekeeping.
The Dialogue ended with a pledge to work together to build upon the current growing security cooperation between the two countries in the coming years. The 6th round of Security Dialogue will be held in Washington next year.
#
Mozaffor/Afraz/Abbas/Mosharaf/2016/2135 Hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১০০
বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধন
ঢাকা, ১৭ই আশ্বিন (২রা অক্টোবর) :
দেশে ৬৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ২ থেকে ৮ অক্টোবর আয়োজন করা হয়েছে সপ্তাহব্যাপী ‘বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৬’।
আজ ঢাকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে এ উৎসবের উদ্বোধনকালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পের প্রসারের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মাঝে মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করবে এবং একই সাথে এ উৎসব বাংলাদেশের সংস্কৃতি চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকি, মোরশেদুল ইসলাম এবং মানজারে হাসীন মুরাদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী।
উৎসবে ৪৪টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও ৪০টি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
#
সালাউদ্দিন/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/২১০২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৯৯
সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর ক্ষেত্র প্রসারিত হচ্ছে
---স্পিকার
ঢাকা, ১৭ই আশ্বিন (২রা অক্টোবর) :
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকার বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, অসহায় ও দুস্থ ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত করে সমাজের অসহায় ও দরিদ্র জনগণকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাভুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
স্পিকার আজ জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আয়োজনে সংসদভবনের শপথকক্ষে সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্র সম্পর্কে অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন ।
স্পিকার বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত কার্যক্রম একটি অতি সময়োপযোগী কার্যকরী পদক্ষেপ। সংসদ সদস্যগণ নিজ নিজ এলাকায় এ কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারেন। তিনি এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য সংসদ সদস্যদেরকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ক্রমশই সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রমের আওতা ও ক্ষেত্র প্রসারিত হচ্ছে এবং এর ফলে দেশ থেকে দারিদ্র্য দূরীভূত হচ্ছে। তিনি ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে দেশের সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
কর্মশালায় ঘধঃরড়হধষ ঝড়পরধষ ঝবপঁৎরঃু ঝঃৎধঃবমু (ঘঝঝঝ) বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, হুইপ মো. শহীদুজ্জামান সরকার, হুইপ মোছা. মাহাবুব আরা বেগম গিনি এবং উপস্থিত সংসদ সদস্যবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
#
হুদা/আফরাজ/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/২০১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৯৮
দলিত জনগোষ্ঠী করুণার পাত্র নয়
--নৌপরিবহণ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ই আশ্বিন (২রা অক্টোবর) :
নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ক্ষুদ্র ও পিছিয়ে পড়া লোকদের সার্বিক উন্নয়নে সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, দলিত জনগোষ্ঠীর লোকজন করুণার পাত্র নয়, তাদেরও সমাজে ভালভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় সিরডাপ মিলণায়তনে ‘দলিত জনগোষ্ঠীর জীবনযাপন উন্নয়ন বিষয়ক’ জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও খ্রিস্টিয়ান এইডের সহায়তায় রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট কালেক্টিভ (আরডিসি) এবং নাগরিক উদ্যোগ এ কর্মশালার আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, দলিত জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দলিতদের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে ‘কোটা’ ব্যবস্থা রয়েছে। তাদের উন্নয়নে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আরডিসি’র চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেইন, খ্রিস্টিয়ান এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর শাকেব নবী এবং ইইউ প্রতিনিধি ড. আন্না লিক্সি (উৎ. অহহধ খরীর)। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনিরুল ইসলাম খান।
#
জাহাঙ্গীর/আফরাজ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৯৪৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৯৭
উত্তরবঙ্গে সাইলো নির্মাণের সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
ঢাকা, ১৭ই আশ্বিন (২রা অক্টোবর) :
দশম জাতীয় সংসদের খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৭তম বৈঠক আজ জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য খাদ্যমন্ত্রী
মো. কামরুল ইসলাম, খন্দকার আবদুল বাতেন এবং শেখ মো. নূরুল হক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে যেসব জেলা বা স্থানে উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয় এমন স্থানে, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে ভবিষ্যতে সাইলো নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য কমিটি সুপারিশ করে। বৈঠকে দেশের প্রতিটি খাদ্য গুদামে সরকারের ক্রয়কৃত ধান, চাল বা গম যে পরিমাণে গুদামজাত করা হয় তার সুনির্দিষ্ট হিসাবে বাস্তব যাচাই-বাছাই করার পাশাপাশি কোনক্রমেই যাতে নিম্নমানের খাদ্যশস্য গুদামজাত করা না হয়, সে বিষয়ে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে কঠোর মনিটরিং ও নজরদারি অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয়।
কমিটি বিভিন্ন স্থানে কৃষি জমিতে মৎস্য চাষের জন্য পুকুর খননের কারণে কৃষি জমিতে আনুপাতিক হারে ধান চাষে যাতে বিরূপ প্রভাব না পড়ে এবং পারস্পরিক ভারসাম্য বজায় থাকে সেজন্য বিয়ষটি নিয়ে গভীরভাবে স্টাডি করার সুপারিশ করে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম বদরুদ্দোজাসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
রুমা/আফরাজ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৯৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৯৬
বিকেএসপি’র বোর্ড অভ্ গভর্নরসের সভা
ঢাকা, ১৭ই আশ্বিন (২রা অক্টোবর) :
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) বোর্ড অভ্ গভর্নরসের ২৯তম সভা আজ সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার সভাপতিত্ব করেন। যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া কমিটির সদস্য যুব ও ক্রীড়া সচিব কাজী আখতার উদ্দিন আহমদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব সোহরাব হোসাইন ও বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কার্যক্রম আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে বিকেএসপি’র আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহের কার্যক্রম পরিপূর্ণভাবে চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ফলে বিকেএসপি’র আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহের কার্যক্রম কলেজ (এইচএসসি) পর্যায়ে উন্নীত হবে। এছাড়া বিকেএসপি ঢাকাকে সেন্টার অভ্ এক্সিলেন্স হিসেবে প্রস্তুত করতে একটি ঐরময চবৎভড়ৎসধহপব প্রশিক্ষণ সেল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় বিকেএসপিতে প্রচলিত বি-স্পোর্টস (পাস) এর পরিবর্তে বি-স্পোর্টস (সম্মান) কোর্স চালু করার সিদ্ধান্ত হয়।
বিকেএসপি’র সিলেট আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে ৫ বছরের জন্য লিজ প্রদান করা হয়। আগামী ডিসেম্বরে লিজের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় কেন্দ্রটিতে দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
#
শফিকুল/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/১৯২৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৯৪
প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা
ঢাকা, ১৭ই আশ্বিন (২রা অক্টোবর) :
ছাত্র-ছাত্রীদেরকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে পারলে দেশ সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ছাত্রছাত্রীরা ধর্মের ভুল ব্যাখ্যার কারণে যাতে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে না পড়ে সেক্ষেত্রে শিক্ষকদের আরো সতর্ক থাকতে হবে।
নৌপরিবহণ মন্ত্রী ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উপদেষ্টা শাজাহান খান আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে তাঁকে দেয়া প্রদত্ত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি তাদের বার্ষিক সাধারণ সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সমিতির সভাপতি মো. নূরুজ্জামান আনসারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্ল্যাহ সরকার, সিনিয়র সহসভাপতি মাসুদুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মনির ও মহিলা সম্পাদিকা আঞ্জুমান আরা।
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৩৭ হাজার প্রাথমিক স্কুল সরকারিকরণ করে ১ লাখ ৩৬ হাজার শিক্ষককে জাতীয়করণ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪ হাজার স্কুল সরকারিকরণ করে লক্ষাধিক শিক্ষকের চাকুরি জাতীয়করণ করেছেন। শিক্ষকদের সুযোগসুবিধা বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।
#
জাহাঙ্গীর/আফরাজ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৯৫
জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস পালিত
ঢাকা, ১৭ই আশ্বিন (২রা অক্টোবর) :
কারিগরি জ্ঞানে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল গড়ে তোলার মাধ্যমে শিল্প, সেবা, কৃষিসহ সকলখাতে কাক্সিক্ষত পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা সম্ভব। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে যেখানে শতকরা ৬০ থেকে ৭০ ভাগ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশে এর পরিমাণ ১০ শতাংশের নিচে। এর পরিমাণ বাড়াতে হলে, দেশে প্রতিবছর যে বিশ লাখ শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরি হচ্ছে, তাদের পাঠ্যক্রমে সৃজনশীলতা, কর্মমুখী ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে ‘টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীলতা অপরিহার্য (ঐরমযবৎ চৎড়ফঁপঃরারঃু ভড়ৎ ঝঁংঃধরহধনষব এৎড়ঃিয)’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা আজ একথা বলেন। রাজধানীর এফবিসিসিআই মিলনায়তনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এবং ফেডারেশন অভ্ বাংলাদেশ চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এতে প্রধান অতিথি ছিলেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, শিল্প কারখানায় উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হলে গবেষণা ও উন্নয়ন (আর অ্যান্ড ডি) খাতে ব্যয় বাড়াতে হবে। এ লক্ষ্যে শিল্প কারখানায় মালিক সমিতির উদ্যোগে ক্লাস্টারভিত্তিক আর অ্যান্ড ডি সেন্টার গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনে পৃষ্ঠপোষকতা জোরদার করতে হবে। বৈশ্বিক সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবন সূচকে বাংলাদেশ এখনও অনেক নিচে অবস্থান করছে বলে তারা উল্লেখ করেন। তারা শিল্প কারখানায় উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সফল কারখানার পদ্ধতি অনুসরণের তাগিদ দেন। একই সাথে তারা উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষার আধুনিকায়ন, আচরণগত পরিবর্তন, আবেগীয় দক্ষতা বৃদ্ধি, কমপ্লায়েন্স এবং মানবাধিকার ইস্যুগুলোর প্রতি গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য মেধাশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সরকার মেধাসম্পদের উৎকর্ষতা সাধনে কারিগরি জ্ঞানসমৃদ্ধ শিক্ষার প্রসার এবং গবেষণা ও উন্নয়নখাতের বিকাশে কাজ করছে। প্রতি উপজেলায় একটি করে কারিগরি স্কুল ও মহাবিদ্যালয় গড়ে তোলার কাজ চলছে বলে তিনি জানান। তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শুধু সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল তৈরি না করে কারিগরি জ্ঞানে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কৃষিখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে তিনি হালকা-পাতলা, ক্ষিপ্র ও শক্ত (ঝষরস, ঝসধৎঃ ্ ঐধৎফু) কৃষি যন্ত্রপাতি উৎপাদন ও আমদানির পরামর্শ দেন।
টেকসই উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতা শীর্ষক আলোচনাসভা
পরে মতিঝিলের এনপিও সম্মেলনকক্ষে ‘টেকসই উন্নয়ন ও উৎপাদনশীলতা’ শীর্ষক এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এনপিও’র পরিচালক অজিত কুমার পালের সঞ্চালনায় এতে শিল্প উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, ব্যাংকার, প্রযুক্তিবিদসহ উৎপাদনশীলতার সাথে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানে তারা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বা এসডিজি অর্জনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, তথ্যপ্রযুক্তি, হাসপাতাল ও প্রক্রিয়াজাতকরণ খাদ্য শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন।
বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা
এর আগে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে। এটি রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাব ও পল্টন মোড় ঘুরে দৈনিক বাংলা হয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ে এসে শেষ হয়।
#
জলিল/আফরাজ/সেলিম/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/১৯০৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৯৩
দুর্যোগ-পরবর্তী মৃতদেহ ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা প্রকাশ
ঢাকা, ১৭ই আশ্বিন (২রা অক্টোবর) :
দুর্যোগ-পরবর্তী মৃতদেহ ব্যবস্থাপনা একটি স্পর্শকাতর বিষয়। এ বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য সরকার দুর্যোগ-পরবর্তী মৃতদেহ ব্যবস্থাপনা নির্দেশিকা প্রণয়ন করেছে। আজ রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এটি প্রকাশ করা হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম এর মোড়ক উন্মোচন করেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আইসিআরসি ঢাকার হেড অভ্ ডেলিগেশন ইখতিয়ার আসলানভ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কামরুল হাসান নির্দেশিকার উপর উপস্থাপনা প্রদান করেন।
দুর্যোগে নিহত ব্যক্তির মর্যাদাপূর্ণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে, মৃতদেহের পরিচয় উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে, লাশের সম্মানজনক ব্যবস্থাপনা, সৎকার ও মৃত ব্যক্তির পরিবারের দুর্ভোগ লাঘবে এ নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। নির্দেশিকায় মৃতদেহ উদ্ধার থেকে শুরু করে সৎকার, পরিবারের কাছে হস্তান্তর, ফরেনসিক রিপোর্ট তৈরি ও সংরক্ষণ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। এতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাঠামো, মৃতদেহ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত আইন-কানুন, আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সমন্বয় করা হয়েছে। এতে মৃত ব্যক্তির যথাযথ ডাটাবেজ তেরি ও ফরেনসিক রিপোর্ট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য নির্দেশনা রয়েছে।
মোড়ক উন্মোচনকালে মন্ত্রী বলেন, দুর্যোগে যেকোন ব্যক্তির মৃত্যুই অনাকাক্সিক্ষত ও কষ্টদায়ক ঘটনা। মৃতদেহের সম্মানজনক ব্যবস্থাপনা না হলে পরিবার পরিজনদের কাছে তা আরও বেদনাদায়ক হয়ে উঠে। মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকার নির্ধারণ করার জন্যও মৃতদেহের সুষ্ঠু চিহ্নিতকরণ একান্ত আবশ্যক। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু বড় ধরনের দুর্যোগে অনেক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। তাদের লাশের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করতে গিয়ে একটি আধুনিক ও সময়োপযোগী মৃতদেহ ব্যবস্থাপনা গাইডলাইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা হয়। তাছাড়া বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। এর জন্য একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গাইডলাইন থাকা জরুরি। এ উপলব্ধি থেকে সরকার বিভিন্ন দেশের গাইডলাইন ও নির্দেশিকা, জাতিসংঘের গাইডলাইন ও আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির গাইডলাইন অনুসরণ করেছে। তিনি বলেন, এ গাইডলাইনে প্রস্তাবিত সকল ধরনের প্রস্তুতি সরকার গ্রহণ করবে। মন্ত্রী আরো বলেন, এর মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।
আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি এ গাইডলাইন প্রণয়নে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে।
#
ওমর/আফরাজ/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৮৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৯২
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে অনিয়ম করলে কঠিন শাস্তি
---খাদ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ই আশ্বিন (২রা অক্টোবর) :
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দেশের ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণের তালিকা প্রণয়নে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম বলেছেন, ডিলারসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাদেরকে থানায় এবং দুদকে মামলাসহ কঠিন শাস্তি প্রদান করা হবে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর খাদ্যভবনে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ডিসি ফুড) ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের (আরসি ফুড) সঙ্গে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বিষয়ে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এটি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি নিজস্ব কর্মসূচি, যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৭ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারীতে উদ্বোধন করেছেন। এখানে কোনো ধরনের অনিয়ম এবং দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। তিনি বলেন, তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রেও শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি বা রাজনৈতিক বিবেচেনায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা তৈরির কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক অবদানের কারণে প্রধানমন্ত্রীকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। তাঁর এই অর্জনকে আমাদের ধরে রাখতে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বাস্তবায়িত সব কর্মসূচির মধ্যে সবচেয়ে সফল কর্মসূচি হিসেবে এটাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এই কর্মসূচি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন ও সফল করার জন্য গণামাধ্যমকেও ইতিবাচক হতে হবে।
এসময় খাদ্য সচিব এসএম বদরুদ্দোজা, খাদ্য বিভাগের মহাপরিচালক মো. বদরুল হাসান, বিভিন্ন জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
#
সুমন/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/১৯০১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৯০
২০৩০ সালের পূর্বেই স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে
---এলজিআরডি মন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ই আশ্বিন (২রা অক্টোবর) :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (ঝউএ) অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই দেশের সকলের জন্য উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এসডিজি অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের সকলের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। স্যানিটেশন ব্যবস্থার কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে জনগণের সচেতনতা বাড়ানো অপরিহার্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী আজ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মিলনায়তনে ‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস অক্টোবর-২০১৬’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা ও স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসরিন আক্তার।
মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাক্সিক্ষত উন্নয়ন করতে হলে সর্বাগ্রে সবার জন্য স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা দরকার। স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নের মূল লক্ষ্য হলো স্বাস্থ্যের উন্নয়ন। শারীরিক, সামাজিক, আর্থিক সকল ক্ষেত্রেই স্যানিটেশনের প্রভাব ব্যাপক। স্যানিটেশন বিযয়টি আপাত দৃষ্টিতে খুব সাধারণ মনে হলেও শতভাগ স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়টি খুব সহজ নয়। সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যকর পরিবেশই হলো সার্বিক স্যানিটেশন, যা নিশ্চিত করা আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জও বটে।
মন্ত্রী আরো বলেন, এদেশে ২০০৩ সালে যেখানে দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৩৩ ভাগ স্যানিটারি ল্যাট্রিন ব্যবহারে অভ্যস্ত ছিল সেখানে বর্তমানে শতকরা ৯৯ ভাগ জনসংখ্যা তা ব্যবহার করে যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। অগ্রগতির এ হার বলে দেয় স্যানিটেশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন প্রশংসার দাবিদার। জাতীয় স্যানিটেশন অভিযানের এ সাফল্য সবার জন্য উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আন্দোলনের অনুপ্রেরণা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তিনি ‘উন্নত স্যানিটেশন, সুস্থ জীবন’-এবারের এ প্রতিপাদ্যকে সার্থক করে তুলতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে স্যানিটেশন কভারেজ শতকরা প্রায় ৯৯ ভাগ। এটি দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সন্তোষজনক পর্যায়ে। এটি বর্তমান সরকারের স্যানিটেশন সম্পর্কিত উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ও কর্মকৌশলের জন্য সম্ভব হয়েছে।
এর আগে মন্ত্রী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর চত্বরে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল উন্মোচন করেন।
#
শহিদুল/আফরাজ/আব্বাস/২০১৬/ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৮৯
নারী-শিশু নির্যাতন বন্ধে ভূমিকা রাখলে পুরস্কার
- মেহের আফরোজ চুমকি
ঢাকা, ১৭ই আশ্বিন (২রা অক্টোবর) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে সাফল্যজনক ভূমিকা রাখলে স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করবে সরকার।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম ও সেভ দ্য চিলড্রেনের যৌথ আয়োজনে ‘নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জ্যোতির্ময় দত্ত, সেভ দ্য চিলড্রেনের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্যারন হাউসার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়িত নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মাল্টি-সেক্টরাল প্রোগ্রাম শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক
ড. আবুল হোসেনসহ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত প্রতিনিধিবৃন্দ।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাল্যবিবাহ বন্ধসহ নারী নির্যাতন ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে জনপ্রতিনিধিরা ভূমিকা রাখতে পারেন। সদিচ্ছা থাকলেই তা সম্ভব।
#
খায়ের/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/১৭৩৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৮৭
এফএও’র মিনিস্টেরিয়াল মিটিংয়ে যোগ
দিতে ইতালি গেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ই আশ্বিন (২রা অক্টোবর) :
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ৩রা অক্টোবর ইতালির রোমে অনুষ্ঠিতব্য ‘চতুর্থ মিনিস্টেরিয়াল মিটিং অন এগ্রিকালচারাল কমোডিটি মার্কেটস এন্ড প্রাইস এ্যাট এফএও’-এ যোগদানের জন্য আজ ঢাকা ত্যাগ করেছেন। এফএও’র মহাপরিচালক জোসে গ্রাজিয়ানো দা সিলভা (ঔড়ংব এৎধুরধহড় ফধ ঝরষাধ)’র আমন্ত্রণে মন্ত্রী এ মিটিংয়ে যোগ দিচ্ছেন।
এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ’লং-টার্ম কমোডিটি প্রাইস ট্রেন্ডস এন্ড সাসটেইনেবল এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট’।
বিশে^ কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য বহুমুখীকরণে চ্যালেঞ্জ অনেক। এসডিজি-২০৩০ অনুযায়ী দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নিরসনে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে বাংলাদেশ। কৃষিপণ্য উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদনের চাহিদা পূরণ করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এসব বিষয়ের ওপর আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হবে এ সম্মেলনে। এসডিজি ২০৩০ অর্জনের ক্ষেত্রে খাদ্য নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ মিটিংয়ে খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষিপণ্য উৎপাদন, বিপণন এবং মূল্য স্থিতিশীলতা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
মন্ত্রী ৭ অক্টোবর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
#
বকসী/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/১৭৪৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৮৮
সাফল্যের স্বীকৃতি কাজে উদ্যম যোগায়
----