তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২২৭
শিক্ষার মানোন্নয়নে তহবিল যোগান দিতে
ইউনেস্কো সদস্যদেশসমূহের প্রতি শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বান
প্যারিস (ফ্রান্স), ৬ নভেম্বর :
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় তহবিল যোগান দিতে ইউনেস্কো সদস্যদেশসমূহের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রী প্যারিসে ইউনেস্কো সদরদপ্তরে শিক্ষাসংক্রান্ত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এ আহ্বান জানান। ইউনেস্কো সাধারণ সম্মেলনের ৩৮তম অধিবেশন উপলক্ষে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
৪ নভেম্বর ইউনেস্কো’র উচ্চ পর্যায়ের এ বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় নিউইয়র্কে জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন শীর্ষ সম্মেলন ২০১৫-তে শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশ্বনেতৃবৃন্দের সম্মতির কথা উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বায়নের এ যুগে আগামী প্রজন্মকে বিশ্বসম্প্রদায়ের সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে মানসম্পন্ন শিক্ষার বিকল্প নেই। তিনি শিক্ষাখাতে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদানের অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত জনসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।
#
সাইফুল্লাহ/মিজান/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২২৬
বাংলাদেশে ধর্ম নিজস¦ আলোয় বাঙালি সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করেছে
---ডেপুটি স্পিকার
নারায়ণগঞ্জ, ২২ কার্তিক (৬ নভেম্বর) :
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে ধর্ম তার নিজস্ব আলোয় বাঙালি সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করেছে।
ডেপুটি স্পিকার আজ নারায়ণগঞ্জ পৌর ওসমানি স্টেডিয়ামে নারায়ণগঞ্জ বৌদ্ধ বিহার আয়োজিত “কঠিন চীবরদান” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। সংসদ সদস্য শামীম ওসমান এবং পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, কঠিন চীবরদানকে বৌদ্ধদের সবচেয়ে পূণ্যময় অনুষ্ঠান বলে বিবেচনা করা হয়। কারণ মহামানব বুদ্ধ বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘকে চীবরদান করার প্রক্রিয়াটিকে সর্বোচ্চ পূণ্য অর্জনের সুযোগ বলে প্রচার করে গেছেন।
তিনি বলেন, বুদ্ধ সত্যের অনুসন্ধানী, জ্ঞানের পূজারী এবং সভ্যতার উন্নয়নের এক আধুনিক চিন্তাবিদ। বিশ্ব সভ্যতার নৃ-তাত্ত্বিক ও সামাজিক বিশ্লেষণে যখন সামাজিক বিশৃঙ্খলা এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামোর দ্বান্দ্বিকতা সবার সামনে ভেসে উঠে, তখন বুদ্ধের আদর্শ ও দর্শন আমাদের সামনে মুক্তির পথ খুলে দিতে পারে।
ডেপুটি স্পিকার ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান ।
#
স¦পন/মিজান/নবী/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৫/২১১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২২৫
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে
-- স্পিকার
পীরগঞ্জ (রংপুর), ২২ কার্তিক (৬ নভেম্বর) :
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
স্পিকার আজ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে রংপুর পল্লিবিদ্যুৎ সমিতি-১ এলাকায় পীরগঞ্জ উপজেলার ২৬১টি গ্রামে ১৪ হাজার ৫শ’ গ্রাহকের নতুন বিদ্যুৎ লাইন সংযোগের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
স্পিকার বলেন, বর্তমান সরকার গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমের ফলে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ হয়েছে এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটেছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রেখে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, তরুণ সমাজ বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। তাদের মেধা ও অভিজ্ঞতার সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য আরো উন্নত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আরো বলেন, রংপুর অঞ্চলের হস্তশিল্প অত্যন্ত উন্নতমানের এবং আন্তর্জাতিক বাজারে সমাদৃত। শীঘ্রই এ অঞ্চলের হস্তশিল্প আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহারুল হক বাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পল্লি বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দিন এবং রংপুরের জেলা প্রশাসক মো. রাহাত আনোয়ার বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া, স্পিকার একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের পল্লিসঞ্চয় ব্যাংকের নতুন ভবন, শাহ আব্দুর রউফ কলেজের নবনির্মিত একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন এবং পীরগঞ্জ আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ভেন্ডাবাড়ী ডিগ্রি কলেজ ও বাজিতপুর আমিনিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এসময় তিনি কৃষি পুনর্বাসনের জন্য কৃষি উপকরণ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে হুইল চেয়ার, চশমা ও হেয়ারিং এইড বিতরণ করেন।
#
শিবলী/মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২২৪
দেশের উন্নয়নে সকলকে একযোগে কাজ করতে ডেপুটি স্পিকারের আহ্বান
ঢাকা, ২২ কার্তিক (৬ নভেম্বর) :
ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার আদর্শকে ধারণ করে দলমত নির্বিশেষে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষের সকলকে দেশের উন্নয়নে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
ডেপুটি স্পিকার আজ রাজধানীর শাহবাগে পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা পরিষদ আয়োজিত ‘স্মরণীয় জাতীয় চার নেতা হত্যায় জাতির করণীয়’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
মুক্তিযোদ্ধা ফুলু সরকারের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মুকুল বোস এবং সাবেক সংসদ সদস্য কৃষিবিদ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বক্তব্য রাখেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি স্বাধীনতাবিরোধীদের সকল চক্রান্ত থেকে দেশকে রক্ষা এবং সকলকে সংযমী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। মানুষ হত্যা ইসলাম ধর্মের কাজ নয়। ধর্মের নামে যারা সন্ত্রাস করছে সমাজ থেকে তাদের নির্মূল এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সমাজের সকলকে সচেতন করার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।
#
এমাদুল/মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৯০০ ঘণ্টা
Handout Number : 3223
Bangladesh Ambassador meets two US Congress members
Washington (US), 6 November:
Bangladesh Ambassador to the United States Mohammad Ziauddin met with Congresswoman Tulsi Gabbard (D-HI), member of the House Foreign Affairs Committee and Congressman David
G Reichert (R-WA), member of the House Committee on Ways and Means at their offices in the Capitol Hill and discussed issues of mutual interests yesterday.
The Ambassador briefed Congresswoman Tulsi Gabbard about the brutal killing of Bangladesh’s founding father Bangabandhu Sheikh Mujibar Rahman with 18 members of his family in 1975, subsequently, indemnity to the killers, rehabilitation and rewarding of the anti-liberation forces, creation of religion based political parties, consecutive military rules and recent arson, killings and violence in Bangladesh.
Ambassador Ziauddin also added that Prime Minister Sheikh Hasina herself is a victim of terrorist acts. Due to her own tragic experience she has a firm mindset against extremism and terrorism. The Ambassador said that Bangladesh shares the same position as the US holds on ISIS and strongly condemns its terrorist activities.
Replying to the Congresswoman, the Ambassador informed that the present government under the leadership of Prime Minister Sheikh Hasina vowed “zero tolerance” against all forms of extremism and terrorism. He said that Bangladesh is working closely with the US, neighbors and other friendly countries to eliminate extremism and terrorism from Bangladesh and beyond.
The present government is persistently working on education and women empowerment to weed-out the cocoon of extremism and terrorism. The Ambassador informed that 85 percent of the RMG workers in Bangladesh are women. These women have stepped out of their homes and are contributing to poverty alleviation, literacy and above all weakening extremism and reinforcing government’s efforts to eliminate extremism. Women are transforming the society into a progressive one, which is a panacea for ridding the country of all forms of extremism and radicalization.
During the meeting with the influential Republican Congressman David Reichert, the Ambassador mentioned that Bangladesh does not enjoy any trade preference with the United States. He informed that the preferential treatments to the trans-pacific partners shall chip away the competitiveness of Bangladeshi products in the US market. Bangladesh apparels are subjected to high tariff in the US as opposed to zero tariffs to almost all other developed countries in the world. This predicts a dire consequence for the export of Bangladeshi RMG to the US and adversely impact Bangladesh’s apparel industry, women empowerment, poverty alleviation and above all, country’s war against extremism. To strengthen Bangladesh’s ongoing fight against extremism, the Ambassador urged that the US government should consider duty-free quota free access of Bangladeshi products to the US market, particularly RMG.
Taking note of the briefings by the Ambassador, Congressman David Reichert said that he will look into the issues. Earlier, Congresswoman Gabbard thanked the Ambassador for the briefing on Bangladesh. Political Counselors Nayem Ahmed and Toufique Hasan of the Embassy accompanied the Ambassador.
#
Mizan/Sanjib/Abbas/2015/1832 Hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২২২
জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২২ কার্তিক (৬ নভেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘আজ ৭ নভেম্বর ২০১৫ দেশে ৪৪তম জাতীয় সমবায় দিবস উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি দেশের সকল সমবায়ীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সমবায় উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন’ যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বর্তমান সরকার দেশে উৎপাদন বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্য অর্জনে সমবায় বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। সমবায়ের গুরুত্ব উপলব্ধি করেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সুদৃঢ় করতে সমবায়কে সাংবিধানিক স¦ীকৃতি দিয়েছিলেন। আমরা জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে সমবায়কে অগ্রাধিকার দিয়েছি।
আমরা রূপকল্প - ২০২১ ও রূপকল্প - ২০৪১ বাস্তবায়নে সমবায়কে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ ও ‘আশ্রয়ণ’সহ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিত করা হচ্ছে। আমরা সহায়-সম্পদহীন মানুষের আবাসন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। আমরা যুগোপযোগী সমবায় সমিতি আইন প্রণয়ন করেছি। উৎপাদক ও ভোক্তা পর্যায়ে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সমবায় বাজার স্থাপন ও কেন্দ্রীয় সমিতি গঠন করা হয়েছে। আমরা সমবায়ভিত্তিক ব্যবসা উন্নয়নে যুবসমাজকে অধিকহারে সম্পৃক্ত করেছি। আমাদের এসকল পদক্ষেপের ফলে দেশে সমবায় আন্দোলন বেগবান হয়েছে।
আমি আশা করি, শুধু চাকুরির প্রত্যাশায় না থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মূলধন একত্রিত করে সমবায় সমিতি গঠনের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে সকলে এগিয়ে আসবেন। এতে উদ্যোক্তাগণ অর্থনৈতিকভাবে নিজেরা লাভবান হবেন। দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। সামাজিক সংহতি গড়ে উঠবে। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। দেশ ও জাতি আরো এগিয়ে যাবে।
সহ¯্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমরা সফল হয়েছি। এ মুহূর্তে সরকারের প্রচেষ্টা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন। টেকসই উন্নয়নকে সুনিশ্চিত করতে হলে সমবায়ের আদর্শ ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে হবে। পণ্য-সামগ্রী উৎপাদন, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বাজারজাতকরণসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকা-ে আরো অবদান রাখার মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে নিবেদিত হতে আমি দেশের সকল সমবায়ী ভাই-বোনকে আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি ৪৪তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
মিনা/মিজান/মোশারফ/সেলিম/২০১৫/১৭০১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২২১
জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২২ কার্তিক (৬ নভেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘সমবায় উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশব্যাপী ৪৪তম জাতীয় সমবায় দিবস উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি দেশের সমবায়ীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
দারিদ্র্য দূরীকরণ, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ পারস্পরিক ঐক্য ও সহমর্মিতা সৃষ্টিতে সমবায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমবায় আন্দোলনের মাধ্যমে সমাজ থেকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বেকারত্ব দূর করে শোষণহীন সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়তে চেয়েছিলেন। এ জন্য তিনি সংবিধানে সমবায় ও সমবায়ী মালিকানাকে বিশেষ গুরুত্ব এবং মর্যাদা দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের সৎ ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিসহ টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। সে পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সমবায় দিবসের প্রতিপাদ্যটি খুবই সময়োপযোগী।
সমবায়ের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পুঁজি একত্রিত করে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির মাধ্যমে গ্রামীণ এবং শহরের নিম্নআয়ের মানুষের কর্মসংস্থান, আয় বৃদ্ধি, উৎপাদনবৃদ্ধিসহ সার্বিক জীবনমান উন্নয়ন সম্ভব। এ লক্ষ্যে সরকার সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচি, একটি বাড়ি একটি খামার, চর জীবিকায়ন কর্মসূচি, কর্মসংস্থান ব্যাংক সৃষ্টিসহ নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ফলে বাংলাদেশ আজ মধ্যমআয়ের দেশে পরিণত হতে চলেছে। আমার বিশ্বাস স্বাধীনতার হীরকজয়ন্তীতে বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। উন্নয়নের এ গতিধারা চলমান রাখার স্বার্থে লাগসই প্রযুক্তি ব্যবহার করে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সমবায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হতে পারে বলে আমি মনে করি।
জাতীয় সমবায় দিবসে একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আমি সমবায়ী ভাই-বোনদেরকে আন্তরিকতা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। সাম্য, ভ্রাতৃত্ব এবং সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সমবায় আন্দোলন তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
আমি জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/মিজান/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৫/১৭০০ ঘণ্টা