তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৭৯
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তোফায়েল
মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ করুণ
ঢাকা, ২১ কার্তিক (৫ নভেম্বর) :
অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত জার্মান- অস্ট্রেলিয়ান এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল কনফারেন্সে যোগদানরত বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সরকার অমানবিক আচরণ করছে। রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে এবং তাদের হত্যা, ধর্ষণসহ নানাভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। ফলে রোহিঙ্গারা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গার সংখ্যা পূর্বেরসহ এখন প্রায় ১০ লাখ। এ বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য বড় সমস্যা। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের একান্তই মানবিক কারণে বাংলাদেশে সাময়িক আশ্রয় প্রদান করেছেন। তাদের বাসস্থান, খাদ্য, চিকিৎসাসহ যথাসম্ভব সবধরনের মানবিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এদের দ্রুত মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। নানা কৌশলে মিয়ানমার সরকার বিষয়টিকে বিলম্বিত করছে। অস্ট্রেলিয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের উপর চাপ বৃদ্ধিসহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বাংলাদেশ আশা করে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ৫ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহরে ক্রাউন টুওয়ার্স হোটেলে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশোপ (ঔঁষরব ইরংযড়ঢ়)-এর সাথে একান্ত বৈঠকের সময় এসব কথা বলেন। তিনি এ সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এ সংক্রান্ত একটি পত্র হস্তান্তর করেন।
মন্ত্রী অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির উজ্জ¦ল সম্ভাবনা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে, সেজন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রতি বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় এয়ার কার্গো চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন বিমানবন্দরের নিরাপত্তা অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক ভালো। অস্ট্রেলিয়া কার্গো উড়োজাহাজ চলাচল চালু করতে পারে। বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা দূর করে উভয় দেশের বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধি করলে আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে বাণিজ্য ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
#
বকসি/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৯৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৭৮
৩৩তম জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিক প্রতিযোগিতা উদ্বোধন করলেন তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২১ কার্তিক (৫ নভেম্বর) :
জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিক প্রতিযোগিতার ৩৩তম আসর উদ্বোধন করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। রোববার সকাল ৯টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, অ্যাথলেটদের কুচকাওয়াজ ও মশাল প্রজ¦লনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশন আয়োজিত দু’দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতার পর্দা উন্মোচিত হলো। বিভিন্ন জেলা ও বিকেএসপি’র মোট ৪৩টি দলের ৩৫১ জন প্রতিযোগী এতে অংশ নিচ্ছেন।
কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণশেষে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু উদ্বোধন বক্তব্যে বলেন, জঙ্গি, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়তে শরীরচর্চা ও ক্রীড়াশৈলী বিশেষ ভূমিকা রাখে। বিশ্রাম ও বিনোদনকে মানবাধিকারের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অ্যাথলেটিকস সুস্থ জীবন গড়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিনোদনের মন্ত্র।
ক্রীড়াবিদদের দেশের প্রতিনিধি হিসেবে বর্ণনা করে মন্ত্রী বলেন, তাদের বুকে থাকে দেশপ্রেম, অসীম সাহস, পরাজয়ে নির্ভীকতা আর জয়ের একাগ্র সাধনা। আর চর্চা ও পরিশ্রমের মাধ্যমেই একজন ক্রীড়াবিদ তার নৈপুণ্যের শিখরে পৌঁছান।
হাসানুল হক ইনু এসময় ১৯৬৫ সালে এ স্টেডিয়ামে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান দলের ক্রীড়াবিদ হিসেবে সফল অংশগ্রহণের স্মৃতিচারণ করেন। আয়োজক সংস্থার সভাপতি এ এস এম আলী কবীর ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু এসময় বক্তৃতা করেন।
এ বছরের জাতীয় জুনিয়র অ্যাথলেটিক প্রতিযোগিতায় ১৮ থেকে ১৯ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের জন্য ২০টি ও ১৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী বালক-বালিকাদের জন্য ১৩টিসহ মোট ৩৩টি ইভেন্টে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একশত, দুইশত, আটশত মিটার দৌড়, রিলেরেস, উচ্চ ও দীর্ঘ লাফ, শর্টপুট ও জ্যাভেলিন নিক্ষেপসহ আকর্ষণীয় ইভেন্টে অংশ নিচ্ছে প্রতিযোগীরা।
#
আকরাম/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৭৩
সরকার দক্ষতার সাথে রোহিঙ্গা সংকট সামাল দিয়েছে
-- সেতু মন্ত্রী
কক্সবাজার, ২১ কার্তিক (৫ নভেম্বর) :
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী প্রায় সাড়ে ছয় লাখ মিয়ানমারের নাগরিকের আগমনের প্রেক্ষিতে যে সংকট তৈরি হয়েছে তার ব্যবস্থাপনায় ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা সরকার দক্ষতার সাথে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিয়েছে। সরকার কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এ সংকটের সমাধান চায়। এরই মধ্যে মিয়ানমার সরকারের ওপর নানামুখী চাপ তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সৃষ্টি করেছে মিয়ানমার সরকার, তাদেরকেই এর সমাধান করতে হবে।
মন্ত্রী আজ ক´বাজারের একটি হোটেলে, বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার ইউনিট সোলার প্যানেল গ্রহণকালে এসব কথা বলেন। এ সময় আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী এমপি উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে উখিয়া ও টেকনাফের জনগণ যে ত্যাগ স্বীকার করেছে তা সহিষ্ণুতা ও সহনশীলতার এক উজ্জ¦ল দৃষ্টান্ত।
এর পরে মন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির পক্ষে উখিয়ার কুতুপালং ২নং ক্যাম্পে একুশ হাজার এবং বালুখালী ক্যাম্পে কুড়ি হাজার রোহিঙ্গার মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি ও জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, আশিক উল্যাহ রফিক এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি ও এ কে এম এনামুল হক শামীম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন, ইকবাল হোসেন অপু, আনোয়ার হোসেন ও গোলাম রব্বানী চিনুসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
নাছের/সেলিম/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৮৫৫ঘণ্টা