তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৪১৬
বিডায় জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২২৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত হয়েছে
ঢাকা, ১৮ কার্তিক (৩ নভেম্বর) :
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-তে জুলাই-সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে মোট ২২৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৮টি শিল্প ইউনিটে স্থানীয় ও ৯টিতে শতভাগ বিদেশি এবং ১৬টিতে যৌথ বিনিয়োগ হয়েছে।
নিবন্ধিত এ সকল প্রতিষ্ঠানে প্রস্তাবিত মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৩১ হাজার ৬শ’ ১০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, যা জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২১ অপেক্ষা ১১ হাজার ১শ’ ৪৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা বা ৫৪ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি। প্রস্তাবিত এই বিনিয়োগের মধ্যে ১৪ হাজার ৫শ’ ৩০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা স্থানীয় এবং ১৭ হাজার ৭৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বিদেশি বিনিয়োগ।
উল্লেখ্য, জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২১ অপেক্ষা স্থানীয় বিনিয়োগ ২১ দশমিক ৮২ শতাংশ কম হলেও বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে ৮০৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। কেমিক্যালস শিল্পখাতে সর্বাধিক স্থানীয় বিনিয়োগ এবং সার্ভিস শিল্পখাতে সর্বাধিক বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে। এ সকল বিনিয়োগের ফলে নতুন করে মোট ৭৪ হাজার ৩২ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
#
জাহিদ/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৪১৫
জলবায়ু কর্মকৌশল প্রণয়নে যুব ও তরুণদের প্রধান ভূমিকা রয়েছে
-- ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ কার্তিক (৩ নভেম্বর) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে সারা বিশ্বে এক ভয়াবহ বাস্তবতা বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের জন্য । কিন্তু এই প্রতিকূলতা আমাদের উদ্ভাবনী টেকসই সমাধানগুলো অন্বেষণ করার জন্য এক বিশেষ দ্বার উন্মোচন করেছে। তাই এগিয়ে যাওয়ার সর্বোত্তম উপায় হলো জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এই দেশের তরুণদের যথাযথ নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা। সবার জন্য অধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য গোটা তরুণ সমাজের নেতৃত্বে উপযুক্ত জলবায়ু কর্মকৌশল প্রণয়নে বাংলাদেশি যুব ও তরুণদের প্রধান ভূমিকা রয়েছে।
আজ ঢাকায় আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ঢাকা ক্লাইমেট টক ২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আমরা বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছি। উদাহরণস্বরূপ খুব সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর পাশাপাশি অপ্রত্যাশিত হারে ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রা বেড়েই চলছে। এই সমস্যার সমাধান সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এসব দুর্যোগ দেশের দরিদ্রদের বেশিরভাগ প্রভাবিত করছে। এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে আমাদের কৃষি খাতে। দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে সম্পদের ক্ষয় ক্ষতি কমাতে আমাদের তরুণ প্রজন্মের কাছে উল্লেখযোগ্য সৃজনশীল সমাধান রয়েছে। বিশেষ করে ভৌগোলিক অবস্থান, ভাষা এবং তার এলাকায় বিদ্যমান জলবায়ু ঝুঁকির প্রকৃতি বিবেচনা করে তরুণরা প্রতিটি সম্প্রদায়ের জন্য একটি উপযুক্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাস ব্যবস্থা উদ্ভাবন করতে পারে। এছাড়াও টেকসই প্রকৃতি-ভিত্তিক জলবায়ু সংকটের সমাধানের জন্য ‘সবুজ উদ্যোক্তা’ হিসাবে বাংলাদেশের পরিবেশ ও জনগোষ্ঠীর জীবনমানের ইতিবাচক পরিবর্তনে নেতৃত্ব প্রদান করতে পারে। প্রয়োজনানুসারে এমন সিস্টেম নিয়ে আসা যেতে পারে যা আবহাওয়ার আরো ভালো পূর্বাভাস দিতে পারে। আমি নিশ্চিত যে তরুণরা এই সমস্যাগুলো মোকাবেলায় ডিজিটাল পদ্ধতি এবং নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে। এভাবেই আমরা দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন চালিয়ে যেতে পারব বলে আশা করি।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আরেকটি বড় সমস্যা হলো দরিদ্র জনগোষ্ঠী। দুর্যোগ তাদের জীবনকে আরো ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রকৃতি-বান্ধব ব্যবসা এবং জীবনধারার জন্য উদ্যোগ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, যাতে ঝুঁকি মোকাবেলায় জনগণ নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে পারে । অভিযোজনের জন্য প্রাথমিক প্রয়োজন হলো সঠিক লোকায়িত জ্ঞান ও বিজ্ঞানসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়নে আমাদের তরুণদের নেতৃত্বের ভূমিকা থাকা। আমাদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় তরুণরাই প্রধান ভূমিকা রাখতে পারে।
#
সেলিম/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০২২/২০২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৪১৪
সবাই মিলে ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে হবে
--- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ কার্তিক (৩ নভেম্বর) :
ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকার ও সিটি কর্পোরেশনগুলো আন্তরিকভাবে কাজ করছে, তবে জনসাধারণের অংশগ্রহণ ও সচেতনতা ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। তাই সবাই মিলে একসাথে ডেঙ্গু মোকাবিলায় কাজ করতে হবে।
আজ রাজধানীর মহাখালীতে ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল’ পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ব্যক্তিগত পর্যায়ে আমাদের আরো সচেতন হতে হবে। এসি, ছাদ বাগান, নতুন স্থাপনা বা কোথাও যেন পানি না জমে এ বিষয়ে ব্যক্তি পর্যায়ে আমাদের সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি জানান, ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতাল’ এখন ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য তৈরি রয়েছে। এ হাসপাতালে ১০৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে এবং আরো ৪০০ শয্যা ডেঙ্গু চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশনসহ মন্ত্রণালয় নিয়মিত তদারকি করছে। মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ-বরাদ্দ, জনবল, অভিযান পরিচালনার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটসহ সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, মানুষকে সচেতন করার জন্য যা যা করণীয় তার সব করতে হবে। পাশাপাশি জনসচেতনতার জন্য টিভিসি প্রদর্শন করা হচ্ছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এটি সকলের জন্য উন্মুক্ত। এখানে করোনা রোগী এবং ডেঙ্গু রোগীদের আলাদা জোনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এই হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেডের ব্যবস্থা আছে বলেও তিনি জানান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ জোবায়দুর রহমান, ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান এবং ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক।
#
রুবেল/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/২০০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৪১৩
জাতীয় চার নেতা জীবন দিয়েছেন কিন্তু আদর্শ হতে বিচ্যুত হননি
--- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ কার্তিক (৩ নভেম্বর) :
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামান ছিলেন বঙ্গবন্ধুর যোগ্য সহকর্মী। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হলে অনেকেই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সাথে আঁতাত করে। জাতীয় চার নেতা জীবন দিয়েছেন কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হতে বিচ্যুত হননি।
আজ জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বঙ্গবন্ধু চেয়ার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, লেখক ও গবেষক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, বিশেষ আলোচক ছিলেন এডিটার্স গিল্ড-এর সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু।
মন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, জাতীয় চার নেতা হত্যা , বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যার চেষ্টা একই সূত্রে গাঁথা। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে হত্যা করার জন্য এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা বুঝতে পেরেছিল বঙ্গবন্ধুর রক্তের কিংবা আদর্শের উত্তরাধিকার বেঁচে থাকলে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আবার তাদেরকে ঘিরে সংগঠিত হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর খুনিরাই চার নেতাকে জেলখানার মতো সুরক্ষিত জায়গাতে হত্যা করে।
অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, জাতীয় চার নেতা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিচল ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালে বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে এ চার নেতা যোগ্য নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে তাদের ওপর স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষোভ বেশি ছিল।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রঞ্জিত কুমার দাস, অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক মোঃ জহুরুল ইসলাম রোহেলসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
#
মারুফ/রাহাত/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৮৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৪১২
‘নগদ’ দেশ ও জনগণের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে
--- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ কার্তিক (৩ নভেম্বর) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) নগদ দেশ ও জাতির কল্যাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। নগদের সাথে অন্যান্য এমএফএসের সার্ভিস চার্জের বিশাল পার্থক্য থাকায় জনগণকে মোট লেনদেনের হিসাবে বছরে হাজার কোটি টাকারও বেশি অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হয়। নগদকে ডাক অধিদপ্তরের সেবা হিসেবে স্বীকৃতি একটি অসাধারণ উদ্যোগ। স্বল্প সার্ভিস চার্জে জনগণকে সেবা দিতে নগদের এই অর্জন ডাক অধিদপ্তরের অর্জন বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি এ সময় নগদকে এমএফএসে জনগণের অর্থ সাশ্রয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী গতকাল ঢাকায় ডাকভবনে ২০২১-২২ অর্থবছরে নগদ সেবা থেকে ডাক অধিদপ্তরের আয়ের অর্থ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মোঃ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ হারুন উর রশীদ, নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভির আহমেদ এবং নগদের প্রধান নির্বাহী সাফায়েত আলম বক্তৃতা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী নগদকে তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবন সমৃদ্ধ একটি এমএফএস উল্লেখ করে বলেন, নগদের ‘কেওয়াইসি’ উদ্ভাবন ছিলো অসাধারণ একটি প্রযুক্তি এবং অন্যরা নগদের পথ অনুসরণ করে কেওয়াইসিতে প্রবেশ করেছে। তিনি বলেন, শুরুতে নগদের উদ্ভাবনী ধারণা দেখে আমরা নগদের অগ্রযাত্রায় ইতিবাচক ভূমিকা রেখে আসছি এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।
পরে ২০২১-২২ অর্থবছরে নগদ সেবা থেকে ডাক অধিদপ্তরের আয়ের অর্থ বাবদ ৪ কোটি ৫০ লাখ ৪৬ হাজার ৬শত ৪৬ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।
#
শেফায়েত/রাহাত/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৯১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর:৪৪১১
কোরিয়া-বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্টিত
ঢাকা, ১৮ কার্তিক (৩ নভেম্বর) :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের সাথে মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে আজ কোরিয়ান জাতীয় সংসদের সাংসদ জুং চু সু (Jung Choun Sook) এর দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে কোরিয়ান সাংসদ জং চু সু করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের নেয়া নানা উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতের অভিজ্ঞতা কোরিয়ায় কাজে লাগাতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী কোরিয়ায় বাংলাদেশের বহু মানুষ কর্মরত রয়েছেন এবং কোরিয়া বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র বলে উল্লেখ করেন। তিনি বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোকে আধুনিক ও উন্নত মানের করতে কোরিয়া সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় মন্ত্রী কোরিয়ায় বাংলাদেশ থেকে নার্স, চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মী প্রেরণে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
#
মাইদুল/রাহাত/রফিকুল/লিখন/২০২২/১৫৫৯ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৪১০
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৮ কার্তিক (৩ নভেম্বর):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৪০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৩ দশমিক ১০ শতাংশ। এ সময় ৪ হাজার ৫১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪২৫ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮১ হাজার ৬৭৩ জন।
#
কবীর/রাহাত/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/১৭৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৪০৯
ডাটা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ গ্রহণে কাজ করছে
--- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ কার্তিক (৩ নভেম্বর) :
ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডাটা নিরাপত্তা অপরিহার্য। দেশের ডাটা দেশের ভেতর সংরক্ষণ অপরিহার্য। ডাটা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ গ্রহণে কাজ করছে, বলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
স্মার্ট ক্লাউড সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর সাথে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকালে তারা ক্লাউড ডাটা সেন্টারের জন্য টাওয়ার শেয়ারিং, ফাইভ-জি সংযোগ, দেশের ডাটা দেশের মধ্যে রাখার প্রয়োজনীয়তা এবং ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের জন্য ক্লাউড সার্ভিসের প্রয়োজনীয়তাসহ এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী দেশের ডাটা দেশের মধ্যে সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, ডাটা হচ্ছে আগামী পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সম্পদ। এই সম্পদের সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার কোনো বিকল্প নেই। ক্লাউড ডাটা সেন্টারের জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ খুবই সময়োপযোগী বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি ডাটা ক্লাউডের মাধ্যমে আইওটি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসছে উল্লেখ করে বলেন, ক্লাউড ডাটা সার্ভিস মোবাইল ফোনের তথ্য, ফটো বা ভিডিও, ই-মেইল, ডিজিটাল কমার্স, ওয়েব হোস্টিং ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের সূচনা করবে। তিনি স্মার্ট সার্ভিস লিমিটেডকে ক্লাউড ডাটা সেন্টার প্রতিষ্ঠায় ফাইভ-জি সংযোগ ও টাওয়ার শেয়ারিংসহ সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস ব্যক্ত করেন। মন্ত্রী এসময় স্মার্ট ক্লাউড সার্ভিস প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দেশের কৃষি ও মৎস্য খাতে আইওটি প্রযুক্তি সম্প্রসারণে সংশ্লিষ্টদের বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
প্রতিনিধিদলের অপর সদস্যরা হলেন সাবেক নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ (অব.), তারেক রফি ভুইয়া এবং মোঃ মইনুল ইসলাম মজুমদার।
#
শেফায়েত/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৯৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর :৪৪০৬
ইসলামপুরের কাঁসা শিল্প বাংলাদেশের ঐতিহ্যের অংশ
-- ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ কার্তিক (৩ নভেম্বর) :
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, ইসলামপুরের কাঁসা শিল্প বাংলাদেশের ঐতিহ্যের অংশ। এই শিল্পের উন্নয়নে সরকারি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ইসলামপুর উপজেলার উত্তর দরিয়াবাদে (কাঁসারী পাড়া) পল্লী-কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সহযোগিতায় ও ইকোসোশাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত ‘কাঁসা শিল্প উন্নয়ন প্রকল্প’ এর পক্ষ হতে উদ্যোক্তাদের মাঝে উপকরণ বিতরণ ও কমন সার্ভিস সেন্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রায় অবলুপ্ত এই শিল্পের উন্নয়নে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিঃসন্দেহে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এর ফলে এই শিল্পের সাথে যুক্ত শিল্পী ও কারিগরদের জীবনমান উন্নত হবে, ব্যবসা সফল হবে এবং ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প টিকে থাকবে। এই কাজে এগিয়ে আসায় ইএসডিও এবং পিকেএসএফ কে ধন্যবাদ জানান তিনি।
ফরিদুল হক খান বলেন, কাঁসার তৈজসপত্র উপহার সামগ্রী হিসেবে প্রচলনের বিষয়ে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আরো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পর্যটন মন্ত্রণালয় ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সরকারি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহকে যুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় ঐতিহ্যবাহী কাঁসা শিল্পের পণ্যসামগ্রীকে দেশে-বিদেশে আরো জনপ্রিয় করে তুলতে এর প্রচার প্রসারে গণমাধ্যম কর্মীদের আহ্বান জানান।
ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মু. তানভীর হাসান রুমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তৃতা করেন ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট এস এম জামাল আব্দুন নাছের, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ইসলামপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আব্দুস ছালাম প্রমুখ।
#
আনোয়ার/রাহাত/রফিকুল/লিখন/২০২২/১৫৫৯ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৪০৫
চকচকে চাল বর্জন করে পুষ্টিগুণসম্পন্ন চাল খাওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
ঢাকা, ১৮ কার্তিক (৩ নভেম্বর) :
জনগণকে চকচকে চাল বর্জন করে পুষ্টিগুণসম্পন্ন চাল খাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। আজ ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশে ফোর্টিফাইড চালের বাণিজ্যিক যাত্রা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা থেকে শুরু করে আরো যে নীতিগুলো আছে তার সবগুলোতেই পুষ্টি নিশ্চিত করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, কৃষি গবেষকেরা উন্নতজাতের জাত উদ্ভাবন করায় দানাদার খাবারসহ মাছ মাংসে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের চাল থেকে আগে প্রয়োজনীয় ভিটামিন পাওয়া যেত। তখন মাছ মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিলাম না। এখন কেন চালে অনুপুষ্টি মিশাতে হচ্ছে তা ভেবে দেখতে হবে।
মানুষ পুষ্টিহীন চকচকে চাল খেতে পছন্দ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এর ফলে মানুষের মাঝে পুষ্টিহীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চকচকে চাল না খেতে সচেতনতা বাড়াতে হবে। চাল চকচকে করতে গিয়ে বছরে প্রায় ১৬ থেকে ১৭ লাখ মেট্রিকটন ঘাটতি হয়। আবার চাল হয়ে যায় পুষ্টিহীন।
মন্ত্রী বলেন, পুষ্টিচাল যাতে সাধারণ মানুষ বাজার থেকে ক্রয় করতে পারে সেজন্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার জন্য বেসরকারিভাবে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও চালকল মালিকদের উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। তাদের উদ্যোগ ও বিনিয়োগ ছাড়া পুষ্টিচাল ভোক্তা পর্যায়ে সহজলভ্য করা সম্ভব হবে না। এসময় তিনি বেসরকারি চাল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও চালকল মালিকদের পুষ্টিচাল উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে উদ্যোগী হওয়ার এবং দাম ভোক্তার নাগালের মধ্যে রাখার আহ্বান জানান।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আতিউর রহমান আতিক, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: শাখাওয়াত হোসেন ও জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বাংলাদেশ এর রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্ট্যাটিভ ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্কেলপেলি বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, পুষ্টি চালে যুক্ত করা হয়েছে আয়রন, জিংক, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি-১, ফলিক এসিড। সাধারণ ভোক্তা পর্যায়ে এই চাল সহজলভ্য করার জন্য আপাতত ৫টি প্রতিষ্ঠান ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিক্রয় কেন্দ্র ও সুপার শপে সরববরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। এরমধ্যে তারা ঢাকা মহানগরের মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, কাওরান বাজার, আগোরা ও স্বপ্ন সুপারশপ, চালডাল ও মেট্রিক্স বাজার অনলাইন মার্কেটসমূহে পরীক্ষামূলক বাজারজাত করেছে।
#
কামাল/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/শাম্মী/মানসুরা/২০২২/১৩৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৪০৪
জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৮ কার্তিক (৩ নভেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ৪ নভেম্বর ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“আজ ৪ নভেম্বর । জাতীয় সংবিধান দিবস। এ উপলক্ষ্যে আমি দেশের সকল নাগরিককে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আজ বাঙালি জাতির এক ঐতিহাসিক দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র ১১ মাসের মধ্যে এদিনে গৃহীত হয়েছিল বাঙালি জাতির অধিকারের দলিল, বহুল আকাঙ্ক্ষিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান।
আওয়ামী লীগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে ১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে। এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মোট ৩১৩ আসনের পূর্ব-পাকিস্তানের ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টিতে এবং প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে মোট ৩১০ আসনের মধ্যে ২৯৮টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীগণকে নির্বাচিত করে। কিন্তু তদানীন্তন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা আওয়ামী লীগের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ না করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির পিতা ঢাকায় রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ২৫ মার্চ কালরাতে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ইতিহাসের নির্মম হত্যাযজ্ঞ শুরু করে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এই ঘোষণা টেলিগ্রাম, টেলিপ্রিন্টার ও তৎকালীন ইপিআর- এর ওয়ারলেসের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এই ঘোষণা প্রচারিত হয়। স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালীন ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল Proclamation of Independence, 1971 ঘোষণা করা হয়; যা অন্তর্বর্তীকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম সংবিধান হিসেবে বিবেচিত। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপরাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামানকে মন্ত্রী করে গঠিত বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। শুরু হয় দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসেন এবং ১১ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে Provisional Constitution of Bangladesh Order, 1972 জারি করেন; যা দ্বিতীয় সংবিধান নামে খ্যাত।
একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ সংবিধান রচনার উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ Constituent Assembly of Bangladesh Order, 1972 জারি করা হয়। উক্ত আদেশের অধীন ১৯৭০ সালের পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের নিয়ে গণপরিষদ গঠিত হয়। গণপরিষদকে সংবিধান প্রণয়নের দায়িত্ব অর্পণ করা হয় ।
১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল গণপরিষদের ১ম অধিবেশনে ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়। ১২ অক্টোবর গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনে খসড়া সংবিধান বিল আকারে গণপরিষদে উত্থাপন করা হয়। ৪ নভেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান গণপরিষদে গৃহীত হয়। গণপরিষদে সংবিধানের ওপর বক্তব্য প্রদানকালে জাতির পিতা বলেন, “জনাব স্পিকার সাহেব, আজই প্রথম সাড়ে সাত কোটি বাঙালি তাদের শাসনতন্ত্র পেতে যাচ্ছে। বাংলার ইতিহাসে বোধ হয় এই প্রথম যে, বাঙালিরা তাদের নিজেদের শাসনতন্ত্র দিচ্ছেন। বোধ হয় না, সত্যিই এটা প্রথম যে, বাংলাদেশের জনগণের প্রতিনিধিরা জনগণের ভোটের মারফতে এসে তাঁদের দেশের জন্য শাসনতন্ত্র দিচ্ছেন”। তিনি আরো বলেন, “এই শাসনতন্ত্রের জন্য কত সংগ্রাম হয়েছে এই দেশে। আজকে, আমার দল যে ওয়াদা করেছিল, তার এক অংশ পালিত হল। এটা জনতার শাসনতন্ত্র। যে কোন ভাল জিনিস না দেখলে, না গ্রহণ করলে, না ব্যবহার করলে হয় না, তার ফল বোঝা যায় না। ভবিষ্যৎ বংশধররা যদি সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবা