তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৪৩৭
দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে অভ্যন্তরীণ নৌপথকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে
– নৌপরিবহন উপদেষ্টা
ঢাকা, ৮ মাঘ (২২ জানুয়ারি):
বাংলাদেশ কাটার সাকশন ড্রেজার্স অ্যাসোসিয়েশন, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশন এবং রিভার এন্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার কর্তৃক আয়োজিত ‘নৌপরিবহণ ও নাব্যতা: চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেছেন, নদীর নাব্যতা রক্ষায় শুধু সরকার নয় ব্যবহারকারীদের এগিয়ে আসতে হবে। অভ্যন্তরীণ নৌপথকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আমাদের নদীসমূহের নাব্যতা রক্ষা করতে হবে।
তিনি গতকাল রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা আরো বলেন, নদী শাসনের নামে নদীকে সংকুচিত করে ফেলা হয়েছে। ড্রেজিং ব্যবস্থা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। নদীপথে যাতায়াত এবং পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নদীবন্দর চালু রাখতে হলে ড্রেজিং করতে হবে। সেক্ষেত্রে জনসাধারণের সুবিধার কথা চিন্তা করে ড্রেজিং করা হবে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ করে ভোলা ও বরিশাল জেলার নদীবন্দর এবং লঞ্চঘাটগুলো চালু রাখার জন্য বেশ কিছু নদীপথ ড্রেজিং করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে তিনি অপরিকল্পিত সেতু নির্মাণ এবং নদীতে বাঁধ দেওয়াকে পলি জমে যাওয়ায় কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ আরো উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বিআইডব্লিটিএ এর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু এসময় উপস্থিত ছিল।
#
মালেক/শাহিদা/ফাতেমা/রমজান/সুবর্ণা/সাঈদা/আসমা/২০২৫/১১৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৪৩৬
দেশের নদীগুলোকে আমাদের বাঁচাতে হবে
- পানি সম্পদ উপদেষ্টা
ঢাকা, ৮ মাঘ (২২ জানুয়ারি):
পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, নদীগুলোকে আমাদের বাঁচাতে হবে।
উপদেষ্টা গতকাল রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে ‘নৌপরিবহন ও নাব্যতাঃ চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধান নদীগুলো প্রতিবেশী দেশ থেকে এসেছে। নদী যখন প্রবাহ হারিয়ে ফেলে তখন আমরা বলি যে নদীটি মরে গেছে। একটা নদীতে যখন প্রবাহ থাকে তখন সে মাছের জন্ম দেয়, প্রাণের জন্ম দেয়, তার জীবন আছে বলেই সে জীবনের জন্ম দেয়। মৃত সত্তা তো কখনো জীবন দিতে পারে না। নদীর প্রতি অবিচার করাটা আসলে জীবনের প্রতি অবিচার করা হয়। যেহেতু নদী মানুষের পানির চাহিদা মেটায়, সেচের চাহিদা মেটায় সেহেতু নদীর প্রতি সকল সময়ে নজর রাখতে হবে সরকারকে। নদী শেষ মানে নদীর একটি অর্থনৈতিক কর্মকান্ড আছে সেটাও শেষ হয়ে যায়।
উপদেষ্টা আরো বলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প শুরুর সাথে সাথে মনিটরিং করার জন্য একটা কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটিতে যে এলাকায় কাজ হচ্ছে, ঐ এলাকার ডিসি বা ইউএনও থাকবে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা থাকবেন, একজন ছাত্র প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার একজন উপকারভোগী। ওখানে কোন জটিলতা হলে তাৎক্ষণিক জানাবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। এভাবে আমরা আমাদের কাজগুলোতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করব।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। এছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, বিআইডব্লিটিএ এর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা’র) যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রসুল এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
মামুন/শাহিদা/ফাতেমা/রমজান/সুবর্ণা/সাঈদা/মানসুরা/২০২৫/৯৩০ ঘন্টা