Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৯ জুন ২০১৭

তথ্যবিবরণী 19 June 2017

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৬৬৫

মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার মূল কাজ শিক্ষকদের
                                      -- শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন) :
    শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, নতুন প্রজন্মকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার মূল কাজ শিক্ষকদের। তাই শিক্ষকরা সমাজে সবচেয়ে অনুকরণীয়। 
    তিনি আজ রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অভ্্ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি)-এর কাউন্সিল হলে  স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) আয়োজিত ‘নৈতিক শিক্ষা ও জাতীয় উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের নিবেদিতপ্রাণ হয়ে শিক্ষাদান করে নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন পরিপূর্ণ মানুষ সৃষ্টি করতে হবে। সব ধরনের অনৈতিক কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে। তিনি বলেন, আমরা শিক্ষকদের মান-মর্যাদা বাড়াতে চাই। একইসাথে শিক্ষকদেরকেরও তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। তিনি বাংলাদেশের বর্তমান সার্বিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দক্ষ নতুন প্রজন্ম গড়ে তোলার আহ্বান জানান শিক্ষকদের।
    অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ আলমগীর, স্বাশিপের সভাপতি প্রফেসর ডঃ আব্দুল মান্নান চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজু বক্তব্য রাখেন।

#

আফরাজ/মাহমুদ/আলী/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৭/২০৩২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৬৬৪

৩১৫টি মডেল বিদ্যালয় প্রকল্পের বই বিতরণ

ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন) :
    দেশের ৩১৫টি উপজেলা সদরে নির্বাচিত বেসরকারি বিদ্যালয়সমূহকে মডেল বিদ্যালয়ে রূপান্তর প্রকল্পের আওতায় এ বিদ্যালয়সমূহের লাইব্রেরির জন্য বই বিতরণ করা হয়েছে। 
    আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ৩১৫টি মডেল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের হাতে এ বই হস্তান্তর করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রতিটি বিদ্যালয়ের লাইব্রেরির জন্য ৪৩৬টি করে বই দেয়া হয়। 
    এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাঠ্যপুস্তকের পাশপাশি শিক্ষার্থীদেরকে অন্যান্য বিষয়েও জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এ জন্য তাদেরকে পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও বই পড়তে হবে। ছাত্রছাত্রীদের মানসিক বিকাশে বই পড়া খুবই জরুরি।  তিনি বলেন, প্রত্যক উপজেলায় একটি করে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে মডেল বিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৩১২টি বিদ্যালয়ে ৩ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হয়েছে এবং মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমসহ আধুনিক সরঞ্জামাদি ও আসবাবপত্র সরবরাহ করা হয়েছে । এ প্রকল্পে ৫২২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রত্যেক বিদ্যালয়ের জন্য ১ লাখ ২৮ হাজার টাকার বই সরবরাহ করা হচ্ছে।
    শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদেরই প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষকের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই শিক্ষকদের নিবেদিতপ্রাণ হয়ে শিক্ষাদান করে নৈতিক মূল্যবোধসম্পন্ন পরিপূর্ণ মানুষ সৃষ্টি করতে হবে। অনৈতিক কাজ থেকে দূরে থেকে নিজেদের মূল্যবোধসম্পন্ন দায়িত্বশীল মানুষ হিসেবে শিক্ষার্থীদের নিকট অনুকরণীয় হয়ে উঠতে হবে। 
    মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন  এবং প্রকল্প পরিচালক কে এম রফিকুল ইসলাম বক্তৃতা করেন। 
#

আফরাজ/মাহমুদ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৭/১৮৩৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ১৬৬৩
 
শক্তিশালী আমলাতন্ত্র অপরিহার্য
           ---জনপ্রশাসন মন্ত্রী

ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন) :

সরকারি কর্মচারীগণ সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের অংশীদার। দেশকে উন্নয়নের কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে একটি শক্তিশালী আমলাতন্ত্র অপরিহার্য। 

জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাথে দপ্তর/সংস্থাসমূহের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান ও দপ্তর/সংস্থাসমূহের প্রধানগণ নিজ নিজ দপ্তরের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক। 

মন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মচারীদের সামাজিক দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করতে হবে। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখি তা বাস্তবায়নের জন্য সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করে যেতে হবে। 

প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সরকারের কাজকে আরো গতিশীল করবে। 

#
মাসুম/মাহমুদ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৭/১৭০৬ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৬৬২

বিটিসিএলের প্রায় তিন হাজার একশত টেলিফোন ও ইন্টারনেট সার্ভিস বিকল

ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন) :      
    ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং ওয়াসা কতৃক খিলগাঁও চৌরাস্তা, বনশ্রী, গোড়ান ও নন্দীপাড়া, খিলগাঁও বি-ব্লক, কাকরাইল, শান্তিনগর, ফকিরাপুল, সিদ্বেশ্বরী, মগবাজার ও সায়েদাবাদ এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজে রাস্তা খনন করায় বিটিসিএলের ভূ-গর্ভস্থ ক্যাবল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রায় তিন হাজার একশত টেলিফোন বিকল ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। 
    ওয়াসার ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পের কাজে রাস্তা খনন করায় খিলগাঁও চৌরাস্তা এলাকায় ৫০টি, বনশ্রী এলাকায় ৬৫টি, গোড়ান ও নন্দীপাড়া এলাকায় ২১০টি, খিলগাঁও বি-ব্লক এলকায় ১৫০ টি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর ড্রেনেজ নির্মাণ প্রকল্প এর কাজে রাস্তা খনন করায় কাকরাইল এলাকায় ৭৬০টি, শান্তিনগর এলাকায় ৬৮০টি, ফকিরাপুল এলাকায় ৪৮০টি সিদ্বেশ্বরী এলাকায় ৩শ’টি, মগবাজার এলাকায় ২৯৫টি এবং সায়েদাবাদ এলাকায় ১২২টি টেলিফোন ও ইন্টারনেট বিকল রয়েছে। সংযোগসমূহ পর্যায়ক্রমে চালু করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
    বিটিসিএলের এখতিয়ার বহির্ভূত কারণে সম্মানিত গ্রাহকবৃন্দের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।
#
মোরশেদ/অনসূয়া/সুবর্ণা/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৫০০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১৬৬১

হালাল শিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব 
                                                                    -শিল্পমন্ত্রী 
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন) :     
অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পাশাপাশি হালাল খাদ্য ও পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, হালাল শিল্প বিশ্বব্যাপী একটি উদীয়মান শিল্পখাত। নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্বব্যাপী হালাল খাদ্য ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ হালাল খাদ্য ও পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে বিশ্ববাজারে রপ্তানি বাড়াতে পারে। 
শিল্পমন্ত্রী ১৮ জুন ঢাকায় ‘বাংলাদেশ হালাল এক্সপো-২০১৭’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। 
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের সাবেক পরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল বক্তব্য রাখেন। 
তিনি বলেন, হালাল শিল্প এখন বিশ্ব ইসলামিক অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গে পরিণত হয়েছে। ২০১৪ সালে বিশ্বে হালাল শিল্পের পরিমাণ ছিল ৭শ’ ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে প্রতিবছর হালাল খাদ্য ও পণ্যের চাহিদা ১০.৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। ২০১৯ সাল নাগাদ বিশ্বে হালাল শিল্পের পরিমাণ ৩.৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। হালাল খাদ্যের মত বিশ্বে হালাল পর্যটন শিল্পখাতও দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্ব পর্যটন শিল্পখাতের শতকরা ১১.৬ ভাগ হালাল পর্যটন শিল্পের আওতাভূক্ত। ২০১৯ সাল নাগাদ এ শিল্প ২শ’ ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীতে হালাল সনদপ্রাপ্ত ১৬টি খাদ্য ও পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। 
#
জলিল/অনসূয়া/নুসরাত/শামীম/২০১৭/১৫০০ ঘণ্টা 

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৬৫৯ 
  বেগম সুফিয়া কামালের জন্মদিন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন) :

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেগম সুফিয়া কামালের জন্মদিন উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : 
    “বাংলাদেশের প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং নারীমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম অগ্রদূত বেগম সুফিয়া কামালের ১০৬ তম জন্মদিন উপলক্ষে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। এই মহীয়সী নারী ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন।     
    সুফিয়া কামাল ছিলেন একদিকে আবহমান বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি, মমতাময়ী মা, অন্যদিকে বাংলার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তাঁর আপোষহীন এবং দৃপ্ত পদচারণা। 
    নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার চিন্তাধারা কবি সুফিয়া কামালের জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছিল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা হোস্টেলকে ‘রোকয়ো হল’ নামকরণের দাবী জানান। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকার রবীন্দ্রসঙ্গীত নিষিদ্ধ করলে এর প্রতিবাদে আন্দোলন করেন। শিশু সংগঠন কচিকাঁচার মেলা’র তিনি প্রতিষ্ঠাতা।
    বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামসহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তাঁর প্রত্যক্ষ উপস্থিতি তাঁকে জনগণের ‘জননী সাহসিকা’ উপাধিতে অভিষিক্ত করেছে।
    সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পচাঁত্তরের পনেরই আগস্টে নিমর্মভাবে হত্যা করে যখন এদেশের ইতিহাস বিবৃতির পালা শুরু হয়, তখনও তাঁর সোচ্চার ভূমিকা বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের গণতান্ত্রিক শক্তিকে নতুন প্রেরণা যুগিয়েছিল।
    সাহিত্যে তাঁর সৃজনশীলতা ছিল অবিস্মরণীয়। শিশুতোষ রচনা ছাড়াও দেশ, প্রকৃতি, গণতন্ত্র, সমাজ সংস্কার এবং নারীমুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর লেখনী আজও পাঠককে আলোড়িত ও অনুপ্রাণিত করে।
    আমি বেগম সুফিয়া কামালের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/শহিদ/সুবর্ণা/আসমা/২০১৭/১০৩৫ ঘণ্টা 

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৬৫৮ 

কবি সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৫ আষাঢ় (১৯ জুন ) :     
         রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২০ জুন কবি সুফিয়া কামালের ১০৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
    “নারী জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ কবি সুফিয়া কামালের ১০৬ তম জন্মবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
    সুফিয়া কামালের জন্ম ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদের এক অভিজাত পরিবারে। তৎকালে বাঙালি মুসলমান নারীদের লেখাপড়ার সুযোগ একেবারে সীমিত থাকলেও তিনি নিজ চেষ্টায় লেখাপড়া শেখেন এবং ছোটবেলা থেকেই কবিতাচর্চা শুরু করেন। সুললিত ভাষায় ও ব্যঞ্জনাময় ছন্দে তাঁর কবিতায় ফুটে উঠত সাধারণ মানুষের সুখ-দু:খ ও সমাজের সার্বিক চিত্র। নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়ার সাথে সুফিয়া কামালের সাক্ষাৎ ঘটে ১৯১৮ সালে কলকাতায়। বেগম রোকেয়া ছিলেন তাঁর অনুপ্রেরণার উৎস। কবির প্রথম কবিতা ‘বাসন্তী’ প্রকাশিত হয় সওগাত পত্রিকায় ১৯২৬ সালে। প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সাঁঝের মায়া’ ১৯৩৮ সালে প্রকাশিত হলে রবীন্দ্রনাথ এ কাব্য পড়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ কাব্যের ভূমিকা লিখেন কাজী নজরুল ইসলাম। সুদীর্ঘকাল ধরে তিনি সাহিত্যচর্চা, সমাজসেবা ও নারী কল্যাণমূলক নানা কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন।
    কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন বাংলাদেশের নারী সমাজের এক উজ্জ্বল ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি নারী সমাজকে কুসংস্কার আর অবরোধের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। দেশের সকল প্রগতিশীল আন্দোলন সংগ্রামে তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। নারীদের সংগঠিত করে মানবতা, অসাম্প্রদায়িকতা, দেশাত্মবোধ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে তিনি ছিলেন সর্বদা সচেষ্ট। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নারী-পুরুষের সমতাপূর্ণ একটি মানবিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছিল সুফিয়া কামালের জীবনব্যাপী সংগ্রামের প্রধান লক্ষ্য। 
    কবি সুফিয়া কামাল রচিত সাহিত্যকর্ম নতুন প্রজন্মকে গভীর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করে। কবির জীবন ও আদর্শ এবং তাঁর অমর সাহিত্যকর্ম নতুন প্রজন্মের প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে। 
    আমি এ মহীয়সী নারীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।  
    খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/অনসূয়া/শহিদ/সুবর্ণা/শামীম/২০১৭/১০৩০ ঘণ্টা 
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না

Todays handout (4).docx