তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭২৮
ব্রিটিশরাই প্রথম এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে
- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ অগ্রহায়ণ (১৯ নভেম্বর) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, হাজার বছর ধরে এদেশে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, গোত্রের লোক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস ও সহাবস্থান করে আসছিলো। কেন না, অসাম্প্রদায়িকতাই ছিলো হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী ও সমৃদ্ধ বাঙালি সংস্কৃতির মূলমন্ত্র। সে সময় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের লোকমুখে রচিত হয় ও ছড়িয়ে পড়ে মৈমনসিংহ-গীতিকার বিভিন্ন জনপ্রিয় পালাগুলো। সে পালাগুলোর কাহিনী বিশ্লেষণে তখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যথার্থতা প্রতীয়মান হয়। পরবর্তীতে ব্রিটিশরা এদেশের শাসনভার লাভ করে। তারাই প্রথম এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্য ও বিশ্বের ২৩টি ভাষায় অনূদিত মৈমনসিংহ গীতিকার প্রকাশনার শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে 'নৈবদ্য থিয়েটার' এর সহযোগিতায় 'বিশ্ব লোক সংস্কৃতি কেন্দ্র' আয়োজিত আলোচনা সভা ও পালাগান অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। প্রধান অতিথি বলেন, বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে ভিত্তি করে বাংলাদেশ নামক জাতিরাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে। পৃথিবীর ৩৫ কোটি বাংলা ভাষাভাষীর রাজধানী আমাদের মাতৃভূমি এ প্রিয় বাংলাদেশ। এটা আমাদের সৌভাগ্য যে বাংলাদেশই আজ সারাবিশ্বে বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, আমাদের মৈমনসিংহ-গীতিকার মূল ভাবাদর্শের দিকে নজর দিতে হবে। এটি বিশ্বসাহিত্যে অসাধারণ জায়গা দখল করে নিতে পারে। সেজন্য এটিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা গ্রহণ একান্ত আবশ্যক।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত ২১ বছর সময়কালে এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আবারও বিনষ্ট হয় এবং এদেশের ভাগ্যাকাশে নেমে আসে অমানিশার ঘোর অন্ধকার। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় যা অব্যাহত রয়েছে।
বিশ্ব লোক সংস্কৃতি কেন্দ্রের পরিচালক রাশেদুল হাসান শেলী'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হিসাবে বক্তব্য রাখেন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) এর চেয়ারম্যান ও সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আবদুস সামাদ, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, বিশিষ্ট লোক গবেষক অধ্যাপক আফজালুর রহমান ভূঁইয়া, আচার্য দীনেশ চন্দ্র সেন রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক দেবকন্যা সেন, বিশিষ্ট বাউল সাধক ও সংগীত শিল্পী শফি মণ্ডল এবং বিশিষ্ট লোক সংগীত শিল্পী কুদ্দুছ বয়াতি।
অনুষ্ঠানে মৈমনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে 'মলুয়ার পালা' পরিবেশিত হয়।
#
ফয়সল/সায়েম/রফিকুল/শামীম/২০২৩/২১১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭২৭
দেশের উন্নয়ন দর্শনের মূল কারিগর বঙ্গবন্ধু
--- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ অগ্রহায়ণ (১৯ নভেম্বর) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের উন্নয়ন দর্শনের মূল কারিগর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ২৯তম অধিবেশনে প্রথম বাংলায় ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু। সেই ভাষণে বঙ্গবন্ধু বিশ্বের সকল নেতৃত্বের প্রতি সকল সম্পদ, কারিগরি জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সবার জন্য সঠিক ও সমান ব্যবহার এবং প্রয়োগের মাধ্যমে মানবিক বিশ্ব প্রতিষ্ঠা করার ওপর আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, সেই দর্শন অনুসরণ করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে দক্ষ মানবসম্পদ, সবার জন্য সুলভমূল্যে ইন্টারনেট, প্রযুক্তিনির্ভর সরকারি সেবা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়া এবং আইসিটি শিল্পের বিকাশ ঘটানো এ ৪টি মূল লক্ষ্যকে সামনে রেখে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।
প্রতিমন্ত্রী আজ আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি (আইডিয়া) ফ্লোরে এটুআই এর উদ্যোগে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অংশীজনদের সাথে প্রয়োজনীয় উপদেশ, পরামর্শ, সুপারিশ, লিখিত ও মৌখিক প্রস্তাব প্রদান শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, এসপায়ার টু ইনোভেট প্রকল্পের পরিচালক মোঃ মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ ডিসেম্বর ২০২২ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজ এ ৪টি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দেন। স্মার্ট বাংলাদেশের এ ৪টি পিলার নির্ধারণ করে দিয়েছেন আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
পলক আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে তা এ চারটি স্তম্ভের কথা চিন্তা করলেই বোঝা যায় উল্লেখ করে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে একজন স্মার্ট নাগরিক হবে বুদ্ধিদীপ্ত, দক্ষ, উদ্ভাবনী, সৃজনশীল, প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক চেতনাসম্পন্ন দেশপ্রেমিক এবং সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী মানসিকতা সম্পন্ন। স্মার্ট অর্থনীতি হবে ক্যাশলেস, সার্কুলার, উদ্যোক্তামুখী, গবেষণা ও উদ্ভাবননির্ভর এবং জ্ঞানভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। স্মার্ট সরকার হবে নাগরিককেন্দ্রিক, আরো বেশি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক। স্মার্ট সরকার ব্যবস্থায় সকল ধরনের সেবা প্রদান ও কার্যসম্পাদন করা হবে কাগজবিহীন, ডেটানির্ভর, আন্তঃসংযুক্ত, আন্তঃচালিত, সমন্বিত এবং স্বয়ংক্রিয় অর্থাৎ যখন যেখানে দরকার, সেখানেই থাকবে সরকার এবং স্মার্ট সমাজব্যবস্থা হবে সকল ধরনের বৈষম্যবিহীন, অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক। তিনি আরো বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ ও সহনশীল, সমাজ হবে উন্নত, নিরাপদ ও টেকসই।
পরে প্রতিমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে উপস্থিত অংশীজনদের প্রয়োজনীয় উপদেশ, পরামর্শ, সুপারিশ, লিখিত ও মৌখিক প্রস্তাব প্রদানের আহ্বান জানান।
#
শহিদুল/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭২৬
রিয়াল টাইম বায়ুমান ইন্ডেক্স প্রচার কার্যক্রম চালু করলো সরকার
ঢাকা, ৪ অগ্রহায়ণ (১৯ নভেম্বর) :
দেশের বায়ুমানের অবস্থা পরিবীক্ষণের লক্ষ্যে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য বিভাগীয় ও শিল্পঘন শহরগুলোতে ১৬টি কন্টিনিউয়াস এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং সিস্টেম (CAMS) হতে পরিবীক্ষণ ডেটা রিয়াল টাইম অটোমেশন পদ্ধতিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রচার কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
আজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ২য় সভার শুরুতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) মোঃ মিজানুর রহমান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও দপ্তর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর পরিচালিত সারা বাংলাদেশে ১৬টি CAMS-এর মাধ্যমে প্রাপ্ত বায়ুমান মনিটরিং উপাত্তসমূহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরাসরি অনলাইনে বিশ্লেষণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং AQI হিসাবে ক্যালকুলেট করে পরিবেশ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এ অটোমেশন সিস্টেমটি বাস্তবায়নের ফলে সকলে রিয়াল টাইম এয়ার কোয়ালিটি এর মাধ্যমে বায়ুদূষণ মাত্রার স্বাস্থ্যগত প্রভাব তাৎক্ষণিক জানতে পারবে এবং বায়ুমানের অবস্থা খারাপ হলে যথাযথ পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণসহ সময়মতো বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ সম্ভব হবে।
এ সকল ক্যামসসমূহ সার্বক্ষণিকভাবে বায়ুতে বিদ্যমান পিএম ১০, পিএম ২.৫, ওজোন, সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেনের অক্সাইড ও কার্বন মনোঅক্সাইড ৬টি বায়ুদূষক সার্বক্ষণিক পরিবীক্ষণ করে ডেটাসমূহ এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স হিসাবে ক্যালকুলেট করে প্রকাশ করা হবে। মানুষের ওপর বায়ুদূষণের স্বাস্থ্যগত প্রভাব বিবেচনায় অছও-এর মান নিম্নরূপ ক্যাটেগরিতে চিহ্নিত করা হয়। AQI -এর মান ০-৫০ হলে বায়ুমানের অবস্থা ভালো, ৫১- ১০০ হলে মোটামুটি, ১০১-১৫০ হলে সংবেদনশীল মানুষের জন্য ক্ষতিকর, ১৫১-২০০ হলে অস্বাস্থ্যকর, ২০১-৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০০ এর উপরে হলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা, আগারগাঁও, ফার্মগেটের বার্ক, দারুসসালাম; সাভার, গাজীপুর; নারায়ণগঞ্জ; ময়মনসিংহ, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, সিলেট; কুমিল্লা, রংপুর, টেলিভিশন কেন্দ্র, চট্টগ্রাম; রাজশাহী,বরিশাল; খুলনা ও নরসিংদীতে স্থাপিত মোট ১৬টি CAMS -এর সংগৃহীত বায়ুমান মনিটরিং উপাত্তসমূহকে এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স- AQI হিসেবে রিয়াল টাইম অটোমেশন করা হয়েছে।
সভায় রিয়াল টাইম বায়ুমান ইন্ডেক্সের উদ্বোধন ছাড়াও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। রাজউক, গণপূর্ত অধিদপ্তর, সড়ক বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ উন্নয়ন কাজের সাথে জড়িত সরকারের দপ্তরগুলোকে নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে। চিকিৎসা বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলার ক্ষেত্রেও যাতে বায়ুদূষণ না হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।
#
দীপংকর/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৯৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭২৫
সমাজের জন্য অনুসন্ধানী রিপোর্টিং প্রয়োজন : ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং পুরস্কারে তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ অগ্রহায়ণ (১৯ নভেম্বর) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, মানুষ যে দিকে তাকায় না, সমাজ যেটি নিয়ে ভাবে না, দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি যে দিকে কাজ করে না, সে ক্ষেত্রে বিশেষ রিপোর্টিং দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি খুলে দেয় এবং সমাজকেও ভাবায়। এমন অনেক রিপোর্ট পত্রিকার পাতা এবং টেলিভিশনে প্রচারের ফলে সমাজের তৃতীয় নয়ন উন্মোচিত হয়। দেশ ও সমাজের জন্য এ ধরনের অনুসন্ধানী রিপোর্টিং খুবই দরকার।
আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত বেস্ট রিপোর্টিং এওয়ার্ড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সিনিয়র সাংবাদিক শাহজাহান সরদার, আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জালাল আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। পুরস্কার জুরি বোর্ডের সদস্য জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনোয়ার হোসেন, মোস্তফা কামাল মজুমদার এবং ডিআরইউ সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘যারা এ রকম অনুসন্ধানী রিপোর্ট করেন তাদের অনেক সময় অনেক হুমকির মুখে পড়তে হয়। এখনতো এমন একটি সময় এসেছে যে, অনেকেই নিজের ব্যবসার পাহারাদার হিসেবে পত্রিকা বের করে, টেলিভিশন খোলে। আমি তথ্যমন্ত্রী হিসেবে বলছি, সেখানে থেকে কাজ করা অনেক কঠিন হয়। কিন্তু অনেক সাংবাদিক ঝুঁকি নিয়েই কাজ করে। তারা অনেক সময় রিপোর্ট নিয়ে আসে কিন্তু সম্পাদক সেটি সংবাদপত্রে ছাপায় না, এ রকম ঘটনাও আছে।’
সাংবাদিকদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি যখন এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলাম না, তখনও রিপোর্টার্স ইউনিটির সাথে আমার সম্পর্ক ছিল, ভবিষ্যতেও যে পরিস্থিতিতেই থাকি না কেন আমি আপনাদের পাশে থাকব। আমার ছোটবেলার অনেক বন্ধু সাংবাদিক, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক। আমি এই সাংবাদিক বন্ধুদের কাছ থেকে জানি যে, সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে কত প্রতিবন্ধকতা এবং যারা সাংবাদিকতায় ঢোকে তারা অনেক মেধাবী। আমার যতটুকু সুযোগ এবং সামর্থ্য থাকবে সবসময় আপনাদের সাথে থাকব।’
অনুষ্ঠানে ১৯ ক্যাটেগরিতে ২০জন সাংবাদিককে পুরস্কৃত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে দৈনিক সমকালের আবু সালেহ রনি, শিক্ষা বিষয়ে ডেইলি নিউ এইজের শাহীন আক্তার, অপরাধ বিষয়ে ঢাকা পোস্টের আদনান রহমান, তথ্য বিষয়ে দৈনিক জনকণ্ঠের রহিম শেখ, রাজনীতি বিষয়ে জাগো নিউজের জাহাঙ্গীর আলম, ক্রীড়া বিষয়ে দৈনিক কালের কণ্ঠের রাহেনুর ইসলাম, স্বাস্থ্য বিষয়ে দৈনিক যুগান্তরের হক ফারুক আহমেদ, সেবাখাতে দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের ফয়সাল খান, কৃষি বিষয়ে চ্যানেল আই অনলাইনের আরেফিন তানজীব, আর্থিক খাতে দৈনিক কালবেলার মোহাম্মদ ইউসুফ (ইউসুফ আরেফিন), বৈদেশিক বিষয়ে দৈনিক সমকালের আবুযর আনছার উদ্দীন আহাম্মদ (রাজীব আহাম্মদ), নারী বিষয়ে দৈনিক ভোরের কাগজের বর্ণা মণি, বিদ্যুৎ বিষয়ে শেয়ার বিজের ইসমাইল আলী, সুশাসন বিষয়ে দৈনিক প্রথম আলোর আরিফুর রহমান, পোশাক খাতে সারাবাংলা ডটনেটের এমদাদুল হক তুহিন, সামগ্রিক অর্থনীতি বিষয়ে ফিনানসিয়াল এক্সপ্রেসের দৌলত আক্তার মালা, অর্থনীতিতে ফিনানসিয়াল এক্সপ্রেসের জসিম উদ্দিন হারুন, কৃষি বিষয়ে যুগ্মভাবে চ্যানেল২৪ এর মাকসুদ উন নবী ও মাছরাঙ্গা টিভির আবু জাহেদ মুহ. সেলিম, নারী-শিশু বিষয়ে চ্যানেল ২৪ এর মাসউদুর রহমানের হাতে ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং সম্মাননা তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।
#
আকরাম/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৮২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭২৪
দল না করে, ত্যাগ-তিতিক্ষা ছাড়া মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ নেই
- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ৪ অগ্রহায়ণ (১৯ নভেম্বর) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘আমাদের দল আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে দল না করে মনোনয়ন পাওয়ার কোনো সুযোগ নাই। অবশ্যই তার দলীয় ত্যাগ-তিতিক্ষা থাকতে হবে, দীর্ঘ ধারাবাহিকতা ও জনপ্রিয়তা থাকতে হবে। এর বাইরে কারো মনোনয়ন পাওয়ার কোনো সুযোগ নাই।’
আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতার দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদ।
আওয়ামী লীগ থেকে অনেক নেতা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দল নির্বাচনি এলাকাগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে জরিপ চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি নির্বাচনি এলাকায় বহু নেতা এমপি হওয়ার যোগ্যতা রাখে। সে জন্য প্রত্যেকটি নির্বাচনি এলাকাতে অনেক নেতা নমিনেশন নেওয়াটা খুবই স্বাভাবিক, এটি অস্বাভাবিক কোনো কিছু নয়, সবসময় এটি হয়ে এসেছে। কিন্তু কোনো হাইব্রিডের মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ নাই। দল সবাই করতে পারে। দল অনেক সময় এটিও বিবেচনা করে যে, দীর্ঘ ধারাবাহিকতা না থাকলেও জনপ্রিয়তা আছে। কিন্তু দল না করে মনোনয়ন পাওয়ার কোনো সুযোগ আওয়ামী লীগে নাই।’
নিজের নির্বাচনি প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমার ইলেকশন শুধু ইলেকশন আসলে না, আমি সারা বছর ইলেকশন করি, প্রতি সপ্তাহেই নির্বাচনি এলাকাতে যাই, চট্টগ্রামে যাই, সারা বছর মানুষের সাথে থাকি। ইলেকশন উপলক্ষ্যে যে ঝাঁপিয়ে পড়া সেটি আমার ক্ষেত্রে নয়। আমি সারা বছর দল-মত নির্বিশেষে মানুষের সাথে থাকি। কারণ আমি ভাবি যে, আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলাম, যখন এমপি হয়ে গেছি তখন সব মানুষের। এবারও দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, আশা করি যে, আমি যেভাবে দল-মত নির্বিশেষে মানুষের পাশে থেকেছি, মানুষও দল-মত নির্বিশেষে ভোটের সময় আমার পাশে থাকবে।’
নির্বাচনি কাজে তরুণদের অংশগ্রহণ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান বলেন, ‘আমাদের স্লোগানই হচ্ছে- তারুণ্যই শক্তি, তারুণ্যই সমৃদ্ধি। তরুণদের ওপর নির্ভর করেই দেশ এগিয়ে যাবে। সুতরাং তরুণরা আমাদের নির্বাচনি মেনিফেস্টো বলুন, নির্বাচনি কর্মকাণ্ড বলুন, সব কিছুতেই তরুণদের প্রাধান্য থাকবে।’
নির্বাচনে বিএনপি আসবে কি না এ প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘ইলেকশনের ট্রেন চলা শুরু হয়ে গেছে। এখন ট্রেনে যদি কেউ উঠতে না পারে তাহলে তো করার কিছু নাই। গতবার বিএনপি ইলেকশনের ট্রেনের পাদানিতে উঠেছিল, তার আগেরবার ইলেকশনের ট্রেন মিস করেছিল। আজকে সারা দেশে মানুষের মধ্যে যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে এতেই প্রমাণিত হয় কেউ নির্বাচন বর্জন করলেও জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করবে।’
#
আকরাম/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৮২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭২৩
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৪ অগ্রহায়ণ (১৯ নভেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৯৩ শতাংশ। এ সময় ৪৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৭২২ জন।
#
সুলতানা/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৬৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭২২
দেশের উন্নয়ন দর্শনের মূল কারিগর বঙ্গবন্ধু
-আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ অগ্রহায়ণ (১৯ নভেম্বর) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের উন্নয়ন দর্শনের মূল কারিগর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ২৯তম অধিবেশনে প্রথম বাংলায় ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু। সেই ভাষণে বঙ্গবন্ধু বিশ্বের সকল নেতৃত্বের প্রতি সকল সম্পদ, কারিগরি জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সবার জন্য সঠিক ও সমান ব্যবহার এবং প্রয়োগের মাধ্যমে মানবিক বিশ্ব প্রতিষ্ঠা করার ওপর আহ্বান জানিয়েছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সেই দর্শন অনুসরণ করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে দক্ষ মানবসম্পদ, সবার জন্য সুলভমূ্ল্যে ইন্টারনেট, প্রযুক্তিনির্ভর সরকারি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া এবং আইসিটি শিল্পের বিকাশ ঘটানো-এ ৪টি মূল লক্ষ্যেকে সামনে রেখে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।
প্রতিমন্ত্রী আজ আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি (আইডিয়া) ফ্লোরে এটুআই এর উদ্যোগে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অংশীজনদের সাথে প্রয়োজনীয় উপদেশ, পরামর্শ, সুপারিশ, লিখিত ও মৌখিক প্রস্তাব প্রদান শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, এসপায়ার টু ইনোভেট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া।
#
শহিদুল/জামান/সাঈদা/শামীম/২০২৩/১৫৫৩ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭২১
কবি বেগম সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৪ অগ্রহায়ণ (১৯ নভেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল কবি বেগম সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল এবং নারীমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ কবি বেগম সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি বেগম সুফিয়া কামালের সাহিত্যে সৃজনশীলতা ছিল অবিস্মরণীয়। শিশুতোষ রচনা ছাড়াও দেশ, প্রকৃতি, গণতন্ত্র, সমাজ সংস্কার এবং নারীমুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর লেখনী আজও পাঠককে আলোড়িত ও অনুপ্রাণিত করে।
নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার চিন্তাধারা কবি সুফিয়া কামালের জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছিল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা হোস্টেলকে ‘রোকেয়া হল’ নামকরণের দাবি জানান। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকার রবীন্দ্র সংগীত নিষিদ্ধ করলে এর প্রতিবাদে গঠিত আন্দোলনে কবি যোগ দেন। বেগম সুফিয়া কামাল শিশু সংগঠন ‘কচি-কাঁচার মেলা’ প্রতিষ্ঠা করেন। আওয়ামী লীগ সরকার ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ে তাঁর নামে ছাত্রী হল নির্মাণ করেছে।
সুফিয়া কামাল ছিলেন একদিকে আবহমান বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি, মমতাময়ী মা, অন্যদিকে বাংলার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তাঁর আপোষহীন এবং দৃপ্ত পদচারণা। বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামসহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তাঁর প্রত্যক্ষ উপস্থিতি তাঁকে জনগণের ‘জননী সাহসিকা’ উপাধিতে অভিষিক্ত করেছে। কবি বেগম সুফিয়া কামাল যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা যুগে যুগে বাঙালি নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পঁচাত্তরের পনেরই আগস্টে নির্মমভাবে হত্যা করে যখন এদেশের ইতিহিাস বিকৃতির পালা শরু হয়, তখনও তাঁর সোচ্চার ভূমিকা বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের গণতান্ত্রিক শক্তিকে নতুন প্রেরণা যুগিয়েছিল।
আমি আশা করি, কবি বেগম সুফিয়া কামালের জীবনী চর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে।
কবির ভাষায়-
“তোমাদের ঘরে আলোর অভাব কভু নাহি হবে আর
আকাশ-আলোক বাঁধি আনি দূর করিবে অন্ধকার।
শস্য-শ্যামল এই মাটি মা’র অঙ্গ পুষ্ট করে
আনিবে অটুট স্বাস্থ্য, সবল দেহ-মন ঘরে ঘরে।”
আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নুরএলাহি/জামান/সাঈদা/আসমা/২০২৩/১০৩০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭২০
কবি সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৪ অগ্রহায়ণ (১৯ নভেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল কবি সুফিয়া কামালের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও নারীমুক্তি আন্দোলনের অগ্রদূত কবি সুফিয়া কামালের ২৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
নারী আন্দোলনের পথিকৃৎ কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে এক অকুতোভয় যোদ্ধা। ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তখন বাঙালি মুসলমান নারীদের লেখাপড়ার সুযোগ একেবারে সীমিত থাকলেও তিনি নিজ চেষ্টায় লেখাপড়া শিখেন এবং ছোটবেলা থেকেই কবিতাচর্চা শুরু করেন। সুললিত ভাষায় ও ব্যঞ্জনাময় ছন্দে তাঁর কবিতায় ফুটে উঠতো সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ ও সমাজের সার্বিক চিত্র। নারী সমাজকে অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। মহান ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার, মুক্তিযুদ্ধসহ গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলনে তিনি আমৃত্যু সক্রিয় ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, সুফিয়া কামাল ছিলেন তার অন্যতম উদ্যোক্তা।
কবি সুফিয়া কামাল সমাজের শিক্ষা ও অধিকার বঞ্চিত নারীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন শুরু করেছিলেন। নারী পুরুষের সমতা নিশ্চিত এবং সবার জন্য নিপীড়নহীন মানবিক মর্যাদাপূর্ণ জীবন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি গড়ে তোলেন ‘বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ’। বিভিন্ন গণতান্ত্রিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে অবদানের জন্য তাঁকে ‘জননী সাহসিকা’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
কবি সুফিয়া কামাল তাঁর কাব্য প্রতিভা ও কর্মের গুণে আমাদের মাঝে চিরকাল বেঁচে থাকবেন। মহীয়সী এ নারীর জীবনাদর্শ ও সাহিত্যকর্ম একটি বৈষম্যহীন ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমি কবি সুফিয়া কামালের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশে চিরজীবী হোক।”
#
রাহাত/জামান/সাঈদা/আসমা/২০২৩/১০৩০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭১৯
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমরানের পরিচয়পত্র পেশ
ওয়াশিংটন ডিসি, ১9 নভেম্বর:
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো ফ্রান্সিসকো পেট্রো উরেগোর কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। ইমরান একই সাথে কলম্বিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সম্প্রতি কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটায় প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ইমরান কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর এই পরিচয়পত্র পেশ করেন।
অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রান্সিসকো জে কোয় জি এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে পরিচয়পত্র পেশকালে রাষ্ট্রদূত তার কাছে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধ