Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ নভেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী ১৮ নভেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ৪৫৯৮

 

জনগণ আবারো আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করবেন

                                                              -- পানিসম্পদ উপমন্ত্রী

 

শরীয়তপুর, ৩ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর) :

 

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, বিএনপির এখন একটাই লক্ষ্য বাংলাদেশকে পিছনের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ গত ১৪ বছরে বিশ্বে যে উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে, তা তারা মেনে নিতে পারছে না। তাই বলছেন, ‘টেক ব্যক বাংলাদেশ’। তাদের টেক ব্যাক মানে হাওয়া ভবনে ফিরে যাওয়া, দেশকে দুর্নীতে টানা চ্যাম্পিয়ন করা। কিন্তু দেশের জনগণ আর পিছনে ফিরে যেতে চায় না। তারা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায়। সে কারণেই আগামী নির্বাচনে  দেশের জনগণ আবারও আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবেন।

 

আজ শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার তারাবুনিয়া ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের নতুন ভবনের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আওয়ামী লীগ যে উন্নয়ন করেছে সেগুলো মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে। আর বিএনপি যে মিথ্যাচার করছে তার বিরুদ্ধে সত্যটা তুলে ধরতে হবে। সত্যটা দেশবাসীকে মনে করিয়ে দিতে হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়ে সাজাপ্রাপ্ত এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মানি লন্ডারিংয়ে সাজাপ্রাপ্ত। বিএনপি নেত্রীর আরেক পুত্র কোকোর পাচারকৃত টাকা ফেরত আনা হয়েছে। তারা আপাদতমস্তক দুর্নীতিবাজ। বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসলে দেশকে আবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানাবে। এটা দেশবাসী মেনে নেবে না।

 

অনুষ্ঠানে সখিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মোল্যা, জেলা পরিষদ সদস্য এম এ কাইয়ুম, সখিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন, সখিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকার, আনোয়ার হোসেন বালা, আলী আকবর পাইক, জিতু মিয়া বেপারী প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

 

#

 

গিয়াস/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২০৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ৪৫৯৭

 

মানামায় বাংলাদেশ ও বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত

 

ঢাকা, ৩ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর) :

          বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল লতিফ বিন রশিদ আল-জায়ানির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আজ বাহরাইনের মানামায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস, বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ নজরুল ইসলাম এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বাহরাইন সফর করছেন।

 

          বৈঠকে বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাহরাইন সফরের জন্য ধন্যবাদ জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাহরাইনে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশিকে কর্মসংস্থানের জন্য বাহরাইন সরকারকে ধন্যবাদ জানান। ড. মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্পর্কে বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন। তিনি বাংলাদেশ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি পেশার জনবলসহ আরো দক্ষ ও আধা-দক্ষ কর্মী নিয়োগের জন্য বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দূতাবাস ভবন নির্মাণের জন্য জমি বিনিময়ের বিষয়েও আলোচনা করেন। এছাড়া মানামায় বাংলাদেশ কমিউনিটি স্কুলের জন্য বাহরাইন সরকারের সহযোগিতার জন্য ড. মোমেন বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তর্জাতিক ফোরামে একে অপরের প্রার্থীদের পারস্পরিক সমর্থনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন। উভয় মন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারির কারণে আটকে পড়া প্রবাসী, তাদের পরিবারের সদস্য এবং পর্যটকদের জন্য ভিসা সহজ করাসহ বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও পর্যটনে সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

 

          পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাহরাইন সফরকালে ১৮-১৯ নভেম্বর ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য মানামা সংলাপেও যোগ দেবেন।

#

 

মোহসিন/মোশারফ/সেলিম/২০২২/ঘণ্টা

Handout                                                                                  Namber: 4596

Bilateral meeting between Foreign Minister of Bangladesh

and Foreign Minister of Bahrain held in Manama

 

Dhaka, 18 November 2022:

Bilateral meeting between Foreign Minister Dr. A K Abdul Momen and Foreign Minister of Bahrain Dr. Abdullatiff bin Rashid Al-Zayani held in Manama, Bahrain today. Foreign Minister Dr. Momen led the delegation of Bangladesh. Secretary (East) of the Ministry of Foreign Affairs of Bangladesh Ambassador Mashfee Binte Shams, Ambassador of Bangladesh to Bahrain Md Nazrul Islam and other concerned officials attended the meeting as delegation members. It is notable that, at the invitation of Foreign Minister of Bahrain, Foreign Minister of Bangladesh Dr. A K Abdul Momen is visiting Bahrain.

Foreign Minister of Bahrain thanked Dr. Momen for his visit to Bahrain. Foreign Minister Dr. Momen thanked the Government of Bahrain for hosting a large number of Bangladeshi expatriates living in Bahrain. He briefed Bahrain Foreign Minister about socio economic development in Bangladesh under the leadership of Prime Minister Sheikh Hasina. He requested Bahrain Foreign Minister for recruiting more skilled/semi skilled workers including IT professionals from Bangladesh. They discussed about mutual exchange of land for construction of Embassy  chancery buildings. Foreign Minister thanked his counterpart for the cooperation of Bahrain government for Bangladesh community school in Manama.

Bahrain Foreign Minister appreciates Bangladesh government for mutual support for each other candidates in international forums. They discussed for strengthening cooperation in trade, investment, economy, culture and tourism including easing visa for stranded expatriate due to COVID-19 pandemic, their family members and for visitors. Foreign Minister Dr. Momen invited Bahrain

Foreign Minister to visit Bangladesh. The Minister gladly accepted the invitation to visit Bangladesh in near future. Foreign Minister Dr. Momen will also attend Manama dialogue on 18-19 November 2022.

#

Reza/Rahat/Mosharaf/Likhon/2022/hours2008 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৪৫৯৫

 

বিএনপির উস্কানিতেও আমরা সংযত, বিশৃঙ্খলা রুখবে জনগণ

                                            ---তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

চট্টগ্রাম, ৩ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর) :

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, বিএনপির উস্কানিমূলক বক্তব্যের পরও আমাদের দলকে সংযত আচরণ করার জন্য আমরা নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু ঢাকা শহর কিংবা দেশের অন্য কোনো জায়গায় বিশৃঙ্খলা করলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে।

 

মন্ত্রী বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা বিএনপি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে। শেখ হেলাল এমপি’র জনসভায় হামলা করে বেশ কয়েকজন মানুষকে হত্যা করেছিল তারা, আহসান উল্লাহ মাস্টার, ড. এস এম কিবরিয়া এবং সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভাসহ আমাদের সভা-সমাবেশের ওপর বারবার বিএনপি বোমা ও গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে। কিন্তু আমরা যখন ক্ষমতায় বিএনপির সমাবেশে একটি পটকাও ফোটে নাই। তারা যাতে সুন্দরভাবে সমাবেশ করতে পারে সেই ব্যবস্থাই সরকার সবসময় নিয়েছে।’

 

আজ ‘৫৭তম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’ উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসের জারুলতলায় আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘হেফাজতের মতো বিএনপিকে দমন করা যাবে না’ এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

ড. হাছান আরো বলেন, ‘আমরা বিএনপিকে কখনো দমন করার নীতি অবলম্বন করিনি। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন আমাদেরকে কোনো সমাবেশ করতে দেয়া হতো না। আমাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুইপাশে কাঁটাতারের বেড়া থাকতো। সেই বেড়ার বাইরে আমরা যেতে পারতাম না।’

 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের স্নাতকোত্তর ড. হাছান বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপ্তি এবং সুনাম নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের ওপর। শুধু পাঠদান ও ডিগ্রি প্রদানই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হচ্ছে জ্ঞানের চর্চা করা এবং সেই জ্ঞানের চর্চার সাথে বিশ্বাঙ্গনের যোগসূত্র ঘটনো।

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ছড়িয়ে দিতে হলে যা করা প্রয়োজন তার মধ্যে একটি হলো- বাৎসরিক ক্যালেন্ডার করে এখানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার-সিম্পোজিয়াম আয়োজন। আরেকটি হলো, একটি মানসম্মত জার্নালের নিয়মিত প্রকাশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের  গবেষণালব্ধ নিবন্ধ সেখানে ছাপা এবং তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া, তাহলে সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব এবং মর্যাদা বাড়াবে। বিশ্বাঙ্গনের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংযোগ হবে। আর অবকাঠামোগত উন্নয়নই সব নয়, উন্নত পাঠদান, বহুমাত্রিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক চর্চার উন্নয়নের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন নির্ভর করে।

চলমান পাতা-২

 

পাতা-২

 

 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃতির চর্চা আরো বাড়ানো প্রয়োজন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি এখানে আসার সময় একটি ছোট্ট মানববন্ধন দেখেছি- চারুকলা ডিপার্টমেন্টকে এখানে ফিরিয়ে আনার জন্য। চারুকলা ডিপার্টমেন্টকে একেবারে এই ক্যাম্পাস থেকে সবকিছু গুটিয়ে শহরে পাঠিয়ে দেয়া একটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল, এটি আমার ব্যক্তিগত অভিমত। আমি উপাচার্যের সাথে আলাপ করেছি অন্তত মাস্টার্স ডিপার্টমেন্টটা আপাতত ক্যাম্পাসে আসতে পারে।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবি বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে, চবি এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবদুল করিম, সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফ্ফর আহমদ, চাকসুর সাবেক ভিপি মাজহারুল হক শাহ ও নাজিম উদ্দিন বিশেষ অতিথি ও প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া স্বাগত বক্তার বক্তব্য রাখেন।

 

এ দিন ড. হাছান মাহ্‌মুদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সোহরাওয়ার্দী হলে যে কক্ষে থাকতেন সেখানে অবস্থানরত বর্তমান শিক্ষার্থীদের সাথে কিছু সময় কাটান।

 

 

#

আকরাম/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/১৯৪৭ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ৪৫৯৪

 

বাংলাদেশ-ফিলিপিন্স দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন

 

ম্যানিলা, ৩ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর) :

বাংলাদেশ-ফিলিপিন্স দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপনের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ম্যানিলাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও ফিলিপিন্স বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে ‘বাংলাদেশ-ফিলিপিন্স সম্পর্কের ৫০বছর: অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাসমূহ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করেছে। গতকাল ফিলিপিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়ান সেন্টারের জিটি-টয়োটা অডিটোরিয়ামে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এ সেমিনারে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভিডিওবার্তা প্রদর্শিত হয় । সেমিনারে ক্যাম্পাস উপাচার্য অধ্যাপক ফিদেল নেমেঙ্গো তার স্বাগত বক্তৃতায় ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যানিলায় সংক্ষিপ্ত সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের শক্ত ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দু’টি দেশ হিসেবে সামাজিক, অর্থনৈতিক, নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ফিলিপিন্স এবং বাংলাদেশের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। দু’দেশের মধ্যকার পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো গভীর হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রদূত এফ এম বোরহান উদ্দিন তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অভিযাত্রা, ভবিষ্যৎ রূপকল্প ও অনন্য সাফল্যসমূহ তুলে ধরেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অব্যবহিত পরেই ফিলিপিন্স সরকার ও জনগণের দেয়া সমর্থনের কথাও তিনি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন । তিনি বাংলাদেশ-ফিলিপিন্সের মধ্যে কৃষি, ঔষধ, শিক্ষা, আইসিটি, ট্যুরিজম এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহুমুখী সহযোগিতা সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোকপাত করেন।

ফিলিপাইন পররাষ্ট্র দপ্তরের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান মারিয়া আনা লিলিয়া তাঁর বক্তব্যে বলেন, ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশ-ফিলিপিন্সের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। তিনি বাংলাদেশ-ফিলিপিন্স মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তিতে দু’দেশের সম্পর্ক ভবিষ্যতে নতুন উচ্চতায় উন্নীতকরণে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এশিয়ান সেন্টারের ডিন অধ্যাপক হেনেলিতো সেভেলিয়া। অধ্যাপক হেনেলিতো বাংলাদেশ-ফিলিপিন্সের সম্পর্কের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিলিমান ক্যাম্পাস উপাচার্য অধ্যাপক ফিদেল নেমেজো, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মা তেরেসা পায়ঙ্গায়ং, এশিয়ান সেন্টারের ডিন অধ্যাপক হেনেলিতো সেভেলিয়া, ফিলিপাইন পররাষ্ট্র দপ্তরের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান মারিয়া আনা লিলিয়া, ডিপ্লোম্যাটিক কোরের ডিন ও কূটনীতিকবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদবৃন্দ, মিডিয়াকর্মী এবং শিক্ষার্থীরা সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।

#

সায়মা/রাহাত/রফিকুল/শামীম/২০২২/১৮৫০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ৪৫৯৩

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ৩ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর) :

 

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৯ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ। এ সময় ২ হাজার ৮৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।    

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মৃত্যুবরণ করেনি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৩০ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮৪ হাজার ৪৮৬ জন।

 

 

কবীর/রাহাত/রফিকুল/শামীম/২০২২/১৬৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৪৫৯২

 

গারো, চাকমা, মারমা, বাঙালিসহ সকল সম্প্রদায়ের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার

                                                                          - কৃষিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ৩ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর) :

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গারো, হাজং, চাকমা, মারমা, বাঙালিসহ সকল জাতি, ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকারে বিশ্বাসী এবং সকলের সমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে। সরকার সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি স্থাপন করেছে। কিন্তু একটি গোষ্ঠী, কিছু সন্ত্রাসী, জঙ্গিরা এই সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য নষ্ট করতে চায়। এদের বিরুদ্ধে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। 

আজ রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল ও কলেজ প্রাঙ্গণে ঢাকা ওয়ানগালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ঢাকায় বসবাসরত গারো সম্প্রদায় এ ওয়ানগালা বা নবান্ন উৎসবের আয়োজন করে। 

গারোসহ সকল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে সরকার খুবই আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় যেভাবে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছিল, তেমনি এখন সবাই মিলে দেশটাকে গড়ে তুলতে হবে যাতে সারা বিশ্বে আমরা গর্বিত জাতি হিসেবে পরিচয় দিতে পারি।

এ সময় সরকার আদিবাসীদের ওপর বন বিভাগের মিথ্যা মামলার হয়রানি বন্ধ করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মধুপুরে বিগত ১৪ বছরে একজন গারোও বন বিভাগের মামলায় গ্রেফতার হয়নি। যাদের বিরুদ্ধে ১৬টি, ১৭টি এমনকি প্রায় শতাধিক মামলা আছে, তাদেরকেও গ্রেফতার করতে দেয়া হয়নি। এটি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ।

#

কামরুল/রাহাত/রফিকুল/শামীম/২০২২/১৬৫০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ৪৫৯১

ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির আওতায় ক্যাশলেস সোসাইটি আমাদের লক্ষ্য

                                                                 -টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ৩ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর) :

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্র্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ক্যাশলেস সোসাইটি আমাদের লক্ষ্য। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে সুপারশপ থেকে শুরু করে সবজি বিক্রেতাকেও পেমেন্ট করা সম্ভব। তিনি দেশের প্রতিটি মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক সেবার আওতায় আনার মাধ্যমে জনগণের জীবনমান আরো সহজতর করতে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী গতকাল ঢাকায়  হোটেল র‌্যাডিসনে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে ‘নগদ’এবং ‘নগদ ইসলামিক’ অ্যাকাউন্টে অর্থযোগ  কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী নগদ ও ইসলামী ব্যাংকের মধ্যে এডমানি কর্মসূচিকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দেয়ার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, কয়েক দশক আগেও কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির এই দেশটিতে শিক্ষার হার ছিল খুবই সামান্য, আধুনিক জীবন যাপন ছিল অকল্পনীয়, উদ্ভাবন কী মানুষ জানত না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি পৃথিবীকে চমকে দিয়েছে। করোনাকালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি না থাকলে জনগণের জীবনমান কী হতো তা কল্পনাও করা যেত না।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো: খলিলুর রহমান, ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল মওলা, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: হারুন উর রশীদ, ইসলামী ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মনিম হাসান, নগদ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভির মিশুক প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

#

 শেফায়েত/ মেহেদী/জুলফিকার/রবি/ইমা/২০২২/১৫১০ ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                                                             নম্বর : ৪৫৯০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী 

ঢাকা, ৩ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর):

            প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ১৯ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন উদযাপন উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : 

“প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৫৩তম সমাবর্তন উদযাপন করছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্নাতক ছাত্র-ছাত্রী, তাঁদের পিতা-মাতা, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, সম্মানিত শিক্ষকমণ্ডলী এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত ভেঙ্গে এ উপমহাদেশে যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়, সেই রাষ্ট্রটি বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ আবাসভূমি ছিল না- এ সত্যটি সবার আগে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৎকালীন তরুণ ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি সবার আগে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন এবং কালক্রমে হয়ে উঠেন বাঙালি জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, বাঙালি ইতিহাসের মহানায়ক ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। তাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত বহু আন্দোলনের সাক্ষী হয়ে আছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। ’৫২ এর জাতির ভাষাভিত্তিক স্বাতন্ত্র্য চেতনা রক্ষার ভাষা আন্দোলন, জাতির পিতা ঘোষিত ’৬৬ এর ছয় দফার ভিত্তিতে স্বায়ত্বশাসন আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ছিলেন সম্মুখ সারির যোদ্ধা। জাতির পিতার আহ্বানে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তাঁদের অনেকে শহিদ হয়েছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন, অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক সত্তার বিকাশ ও দেশের গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীগণ অগ্রভাগে থেকে অব্যাহতভাবে নেতৃত্ব প্রদান করে আসছেন। প্রতিষ্ঠার পর হতে আজ পর্যন্ত অনন্য দক্ষতায় মনন ও মানবিকতায় অভূতপূর্ব সংশ্লেষ ঘটিয়ে এই মহীরূহ বিদ্যায়তন সমগ্র দেশকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে পরিপুষ্ট করে চলেছে। জাতির পিতার দূরদর্শী নির্দেশনায় ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন গঠন করা হয়, যার মূল বার্তা ছিলো- বিশ্ববিদ্যালয়ে চিন্তার স্বাধীনতা ও মুক্ত-বুদ্ধিচর্চার পরিবেশ সৃষ্টি করা।

আওয়ামী লীগ সরকার সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এর সার্বিক উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সরকারের বিগত প্রায় ১৪ বছরে গৃহীত বিভিন্ন সময়োপযোগী উদ্যোগের ফলে শিক্ষাখাতে প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। উচ্চশিক্ষার সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। করোনাভাইরাসের প্রভাব কাটিয়ে শিক্ষার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে আমরা প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছি। আমরা বিশ্বায়ন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিজ্ঞান, তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এবং শিক্ষা কার্যক্রমে আইসিটি এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমাদের সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসিক সংকট নিরসনে বিভিন্ন হল ও ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া, ২০০৯ সাল থেকে অদ্যবধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে ১৭টি নতুন বিভাগ, ৩টি ইনস্টিটিউট ও ২২টি গবেষণা কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

অধিকতর উন্নত গবেষণার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতে যে কোন সংকট উত্তরণে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা-গবেষণা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিসহ জ্ঞানের সকল শাখায় এগিয়ে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে আশা করি, জ্ঞান ও আলোর পথের অভিযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নতুন দিগন্ত তৈরি করুক।

দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের নিবিড় চর্চা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ও জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনবদ্য অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমি বিশ্বাস করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের অর্জিত জ্ঞান, মেধা-মনন ও সৃজনশীলতা প্রয়োগ করে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।

আমি গৌরবদীপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তনের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

           জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

জাহিদ/মেহেদী/জুলফিকার/রবি/মাসুম/২০২২/১০০০ ঘণ্টা

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ৪৫৮৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন উদযাপন উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ৩ অগ্রহায়ণ (১৮ নভেম্বর) : 

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ১৯ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন উদযাপন উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

          “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন উপলক্ষ্যে আমি নবীন গ্র্যাজুয়েট, অভিভাবক, শিক্ষকমণ্ডলীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। 

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯২১ সালে মুক্তবুদ্ধি চর্চার প্রতিশ্রুতি নিয়ে এই বিদ্যাপীঠের যে অগ্রযাত্রা সূচিত হয়েছিল, নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজও সেই মূলধারা বিকাশমান রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ শিক্ষায়তন থেকেই দেশের সাধারণ মানুষের মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মূলত বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। মহান মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র-শিক্ষক নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমি সেসব বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ, বিজ্ঞানমনস্ক ও মানবিকবোধসম্পন্ন জাতি গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান-প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আরো কার্যকর ও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে – এ আমার প্রত্যাশা। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে জাতির প্রত্যাশা অনেক। এবারের সমাবর্তনের মধ্য দিয়ে যারা নতুন করে কর্মজীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছ আমি আশা করি, তোমরা দেশপ্রেম, মানবিক মূল্যবোধ ও সৃজনশীলতা দিয়ে নিষ্ঠা ও সততার সাথে দেশের কল্যাণে কাজ করে যাবে। আজকের এই মহামারি ও যুদ্ধ জর্জরিত পৃথিবীতে মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন তরুণ প্রজন্মের একান্ত প্রয়োজন। সম্প্রীতি, পরমতসহিষ্ণুতা, সকল প্রকার সংকীর্ণতামুক্ত উদার জীবনচেতনা এবং সাংস্কৃতিক বহুতে ঐক্যসন্ধানী মানুষের সংখ্যা যত বৃদ্ধি পাবে, ততই বাংলাদেশ তথা গোটা বিশ্বে প্রশান্তময় পরিস্থিতি বিরাজ করবে। আমি আশা করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন গ্র্যাজুয়েট ও গবেষকবৃন্দ সমৃদ্ধ দেশ ও পৃথিবী গড়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। একইসঙ্গে সমাবর্তনের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও তার একাডেমিক উৎকর্ষ সাধনে ধারাবাহিক সাফল্য বজায় রাখবে। আমি নবীন গ্র্যাজুয়েটদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন সফল হোক - এ কামনা করি। 

 

          জয় বাংলা।     

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

                        &nb

2022-11-18-15-43-98e0ba2ac8eda6c0d67bdb9202626ca6.docx