তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৮১
আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সাথে ভারতের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৪ঠা শ্রাবণ (১৯শে জুলাই):
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে আজ তার দপ্তরে বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা (ঐধৎংয ঠধৎফযধহ ঝযৎরহমষধ) সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রস্তুতে বাংলাদেশ ও ভারতের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সমন্বয়ে ফ্রেম ওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট করা এবং জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের আওতায় নিয়মিত বৈঠকের মাধ্যমে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে তথ্যপ্রযুক্তির টেকসই বিস্তারে কাজ করার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত একমত পোষণ করেন।
এছাড়াও ই-কমার্স, সাইবার নিরাপত্তা, গবেষণা, মানবসম্পদ উন্নয়ন, আইটিইএস, শিক্ষাসহ তথ্যপ্রযুক্তির সামগ্রিক বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়েও উক্ত বৈঠকে আলোচনা হয়। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ভারতের ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির মাধ্যমে বিশ্বদরবারে ভারতের সুসংহত অবস্থানে তারুণ্যের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রাকে উল্লেখযোগ্য অভিহিত করে বাংলাদেশের তারুণ্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ভারত সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে ভবিষ্যতেও নতুন নতুন দ্বার উন্মোচনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারত বাংলাদেশের পরিক্ষিত বন্ধু এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ভারতের সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরো জোরদার হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচবি শ্যাম সুন্দর সকিদার, বাংলাদশে হাইটকে র্পাক অথরটি’ির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বগেম এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বভিাগরে অতরিক্তি সচবি সুশান্ত কুমার সাহা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
নাছের/আফরাজ/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৯৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৮০
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন অনুষ্ঠান বেতারে সরাসরি সম্প্রচার
ঢাকা, ৪ঠা শ্রাবণ (১৯শে জুলাই):
আগামীকাল সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৬ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ বেতার ঢাকা কেন্দ্র বিটিসিএল লাইনের মাধ্যমে ঢাকা-ক ৬৯৩ কিলোহার্জে, এফএম ১০৩.২ মেগাহার্জে সরাসরি সম্প্রচার করবে।
অনুষ্ঠানটি প্রচারকালে ঢাকা-ক এর পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠান ঢাকা-গ ১১৭০ কিলোহার্জ ও এফএম ১০৬.০ মেগাহার্জে প্রচার হবে।
উক্ত অনুষ্ঠান প্রচারকালীন সকল সংবাদ, আজান, জাতীয় অনুষ্ঠান ও আবহাওয়াবার্তা ঢাকা-খ ৬৩০ কিলোহার্জে, এফএম ১০৪ মেগাহার্জে ও ক্ষুদ্র তরঙ্গ ৪৭৫০ কিলোহার্জে প্রচার হবে।
অনুষ্ঠানটি চলাকালীন সংসদ অধিবেশন কার্যক্রম চালু থাকলে সংসদ অধিবেশনের কার্যক্রম ঢাকা-ক এর পূর্বনির্ধারিত অনুষ্ঠান ঢাকা-গ ১১৭০ কিলোহার্জে প্রচার হবে।
#
সালাউদ্দিন/আফরাজ/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৬/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৭৯
চলচ্চিত্র অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ গ্রনে'র মোড়ক উন্মোচন করলেন তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ঠা শ্রাবণ (১৯শে জুলাই):
মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, যাদুকরী শিল্পমাধ্যম চলচ্চিত্র সমাজ থেকে জঙ্গিবাদ, অনাচার, কুসংস্কার দূর করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। সেইসাথে দেশে গণতন্ত্র, সাম্য, শানিত্ম-সমৃদ্ধি, সুশাসন ও দেশীয় সংস্কৃতিকে উজ্জীবিত রাখতেও মানুষকে প্রেরণা যোগাবে চলচ্চিত্র।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর দারম্নস সালামে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের শেখ রাসেল মিলনায়তনে ‘চলচ্চিত্র অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ’ গ্রনে'র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিিিটউট থেকে প্রকাশিত চলচ্চিত্র নির্মাণের নানা দিক নিয়ে একুশটি অধ্যায়সংবলিত এ গ্রন'টি সম্পাদনা করেছেন ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ বলেন, রাষ্ট্রীয় কোনো ইনস্টিটিটিউট প্রকাশিত বাংলা ভাষায় চলচ্চিত্র বিষয়ক প্রথম পূর্ণাঙ্গ এ বইটি আমাদের চলচ্চিত্র অঙ্গনের দীর্ঘদিনের একটি অভাব পূরণ করেছে। চলচ্চিত্র সমগ্র জাতিকে নাড়া দিতে সক্ষম উলেস্নখ করে তথ্যসচিব বলেন, জঙ্গিবাদ রম্নখতে চলচ্চিত্র আমাদের তরম্নণ সমাজকে উদ্বুদ্ধ করবে।
চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের উপসি'তিতে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন চলচ্চিত্র গবেষক ড. সাজেদুল আউয়াল, ফরিদুর রহমান ও মোহাম্মদ হোসেন জেমী।
#
আকরাম/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৭৮
ভূমিহীনদের ভূমি প্রদানে গুরম্নত্বারোপ ভূমিমন্ত্রীর
ঢাকা, ৪ঠা শ্রাবণ (১৯শে জুলাই):
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, ভূমিহীনদের ভূমি প্রদান ও ভূমি আধুনিকায়নে অধিক গুরম্নত্ব দিতে হবে। সারাদেশের উপজেলা ও ইউনিয়নের জীর্ণ ভূমি অফিসগুলোর নতুন ভবন নির্মাণ কাজ দ্রম্নত সম্পন্ন করতে তিনি সংশিস্নষ্টদের নির্দেশ দেন।
ভূমিমন্ত্রী আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকড়্গে গৃহীত প্রকল্পসমূহের বাসত্মবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় জানানো হয়, ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি রেকর্ড, জরিপ ও সংরড়্গণ প্রকল্পের আওতায় মে ২০১৬ পর্যনত্ম ৬৮ লাখ ৭৭ হজার ৬৮টি খতিয়ানের ডাটা এন্ট্রি কাজ সম্পন্ন হয়েছে যা মোট বরাদ্দের শতকরা ৯৯ দশমিক ০৪ ভাগ। কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী এটুআই প্রকল্প হতে প্রাপ্ত নতুন সফটওয়ারের মাধ্যমে ৫৫টি জেলায় ডাটা এন্ট্রির কাজ শুরম্ন করা হবে। ডাটা এন্ট্রি কার্যক্রম গ্রহণের লড়্গ্যে সকল জেলায় প্রয়োজনীয় হার্ডওয়ার সরবরাহ করা হয়েছে। জামালপুরে ২২টি, বরগুনার আমতলীতে ৫টি ও রাজশাহীর মোহনপুরে ৯টি মৌজার ডিজিটাল জরিপ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গত ৩ মে যশোরের মনিরামপুরে ইউনিয়ন ভূমি অফিস, সাব রেজিস্ট্রার অফিস ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের মধ্যে সংযোগ স'াপনের জন্য সফটওয়ারটি উদ্বোধন করা হয়।
সভায় আরো জানানো হয়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) তে অনত্মর্ভুক্ত প্রকল্পওয়ারি ১০টি প্রকল্পের জন্য ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বরাদ্দ রয়েছে ২৪৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ভূমি সচিব মেছবাহ উল আলম, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ আবদুল আহাদ এবং সংশিস্নষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তা উপসি'ত ছিলেন।
#
রেজুয়ান/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৮৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৭৭
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স'ায়ী কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ৪ঠা শ্রাবণ (১৯শে জুলাই):
দশম জাতীয় সংসদের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স'ায়ী কমিটির ১৪তম বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন (রিমি) এর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, কাজী কেরামত আলী, সাগুফতা ইয়াসমিন, মনোরঞ্জন শীল গোপাল, পংকজ নাথ এবং জেবুন্নেছা আফরোজ অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও এর অধীন অধিদপ্তর ও সংস'ার কর্মকর্তা-কর্মচারীর শূন্য পদের তথ্য উপস'াপন এবং শূন্য পদসমূহ পূরণে গৃহীত পদড়্গেপ সম্পর্কে আলোচনা হয়।
কমিটি প্রত্যেক উপজেলায় লাইব্রেরিতে প্রেরিত অর্থ কোন কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে তার একটি প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিস্বাড়্গরে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের সুপারিশ করে। তরম্নণ প্রজন্মের মধ্যে দেশের মর্যাদা সুরড়্গা ও দেশপ্রেমবোধ জাগ্রত করার লড়্গ্যে বই পড়ার সংস্কৃতি চর্চায় তাদেরকে উদ্বুদ্ধকরণের জন্য সংশিস্নষ্টদের কার্যক্রম গ্রহণেরও সুপারিশ রাখা হয়।
বৈঠকে উলেস্নখ করা হয়, পর্যটকদের আকৃষ্ট করার লড়্গ্যে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীন ৪৫১টি স'াপনা সংরড়্গণ ও উন্নয়নকল্পে আরো অর্থ বরাদ্দের পাশাপাশি এ খাতে টিকিট বিক্রি বাবদ প্রাপ্ত আয় যাতে নিজস্ব ডিপার্টমেন্টের সংরড়্গণ ও মেরামত কাজে ব্যয় করা যায় সে ব্যাপারে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পড়্গ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পত্র দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
বৈঠকে আরো উলেস্নখ করা হয়, উপজেলায় একই চত্বরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং গণগ্রন'াগার ভবন নির্মাণের মাধ্যমে উপজেলা সংস্কৃতি কেন্দ্র স'াপনের লড়্গ্যে প্রকল্প গ্রহণের পদড়্গেপ নেয়া হয়েছে। ৬০ শতাংশ করে জমি চাওয়া হয়েছে। ডিপিপি তৈরির কাজ শুরম্ন হয়েছে।
বৈঠকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশিস্নষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপসি'ত ছিলেন।
#
সাব্বির/আফরাজ/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৭৬
বিআরডিবি’র ৪৬তম বোর্ডসভা অনুষ্ঠিত
-- এলজিআরডি মন্ত্রী
ঢাকা, ৪ঠা শ্রাবণ (১৯শে জুলাই):
স্থানীয় সরকার, পল্লিউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, গ্রামীণ অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচির বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি সঠিকভাবে পরিচালনার মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ পল্লিউন্নয়ন বোর্ড নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচির সুফলকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে কার্যকরী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বিআরডিবি’র বোর্ড সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ পল্লিউন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি)-এর ৪৬তম বোর্ড সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অন্যান্যের মধ্যে এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা, পল্লিউন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব ড. প্রশান্ত কুমার রায়সহ বোর্ডের সদস্য ও কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিআরডিবি’র বিগত বছরসমূহের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
#
শহিদুল/আফরাজ/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৬/১৮৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৭৫
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়
৯৮ শতাংশ এডিপি বাসত্মবায়ন
ঢাকা, ৪ঠা শ্রাবণ (১৯শে জুলাই):
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক বলেছেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ৯৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ বাসত্মবায়ন হয়েছে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত এডিপিভুক্ত মোট ১৫টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ছিল ১৫৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১৫৪ কোটি ৫১ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যমানের কাজ সম্পাদিত হয়েছে।
বস্ত্র ও পাট সচিব এম এ কাদের সরকারের সভাপতিত্বে এডিপি বাসত্মবায়নের অগ্রগতি সংক্রানত্ম পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প পরিচালকদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সঠিকভাবে প্রকল্প বাসত্মবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি প্রকল্প বাসত্মবায়নে যাতে কোনো অনিয়ম ও দুর্নীতি না হয়, সেদিকে সংশিস্নষ্ট কর্মকর্তাদের সজাগ থাকতে হবে।
সভায় বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, বস্ত্র ও পাট খাতের উন্নয়নে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সকল দফতর বা সংস'া প্রধানকে চাহিদাভিত্তিক প্রকল্প প্রণয়ন করতে হবে। এসব প্রকল্পের আওতায় আধুনিক ও উৎকৃষ্টমানের যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে হবে। এছাড়া নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করে রেশম, তাঁত ও পাট শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
সভায় জানানো হয়, এডিপিভুক্ত ১৫টি প্রকল্পের মধ্যে বস্ত্র পরিদপ্তর ১০টি, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড তিনটি, বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড একটি, পাট অধিদপ্তর একটি প্রকল্প বাসত্মবায়ন করছে। এছাড়া বাংলদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন নিজস্ব অর্থায়নে একটি প্রকল্প বাসত্মবায়ন করছে। পাশাপাশি দেশের চাহিদামাফিক বস্ত্র প্রকৌশলী ও বস্ত্র প্রযুক্তিবিদ তৈরির ওপর গুরম্নত্বারোপ এবং বিদেশ নির্ভরতা কমানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রকল্প পরিচালক এবং প্রকল্প বাসত্মবায়নে সংশিস্নষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ সভায় উপসি'ত ছিলেন।
#
সৈকত/আফরাজ/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৭৪
শ্রমিকদের কল্যাণে প্রভিডেন্ট ফান্ড খোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার
-- শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ঠা শ্রাবণ (১৯শে জুলাই):
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক (চুন্নু) বলেছেন, সরকার শ্রমিকদের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ড খোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কোন শ্রমিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে এক’শ টাকা জমা করলে তার ফান্ডে সরকারও একশত টাকা দেবে। নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে যে টাকা জমা হবে তার সাথে সরকার শ্রমিক কল্যাণ ফান্ড থেকে আরো দু’লাখ টাকা যোগ করে শ্রমিককে প্রদান করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীতে বিয়াম মিলনায়তনে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন (আইটিইউসি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টার আয়োজিত ইউনিটি কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিল্প খাতের উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণ উভয় ক্ষেত্রেই শ্রমিক ফেডারেশনগুলোর মধ্যে ঐক্য গুরুত্বপূর্ণ। শ্রমিক সংগঠনগুলোর মধ্যে ঐক্যে প্রধান বাধা হচ্ছে মানসিকতা এবং তাদের নিজেদের মধ্যকার স্বার্থান্বেষী চক্র। তিনি বলেন, শ্রমিক সংগঠনগুলোকে নিজেদের স্বার্থ যেমন দেখতে হবে, তেমনি শিল্প খাতের উন্নয়নের বিষয় তথা দেশের স্বার্থও মাথায় রাখতে হবে।
বর্তমান সরকারকে শ্রমিকবান্ধব সরকার উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নয়নে সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমিক কল্যাণ ফান্ডে বর্তমান জমার পরিমাণ ১৫৭ কোটি টাকা। এখান থেকে শ্রমিকদের দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু, স্থায়ী পঙ্গুত্বসহ দুরারোগ্য ব্যাধি, সন্তানসম্ভবা নারী শ্রমিকদের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। শীঘ্রই এ খাত থেকে শ্রমিকদের মেধাবী সন্তান যারা এসএসসি, এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে কিংবা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত তাদের সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা পর্যন্ত শিক্ষা সহায়তা প্রদান করা হবে। শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণে আইনি সহায়তার বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে প্রতিমন্ত্রী আশ্বাস প্রদান করেন।
দুই দিনব্যাপী কনফারেন্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আইটিইউসি-এপি এর সাধারণ সম্পাদক নরিইউকি সুজুকি (ঘড়ৎরুঁশর ঝুঁঁশর) এবং জেটিইউসি-রেঙ্গো এর ইন্টারন্যাশনাল এফেয়ার ডিপার্টমেন্টের নির্বাহী পরিচালক শয়া ইয়োশদা (ঝযড়ুধ ণড়ংযরফধ) বক্তৃতা করেন।
কনফারেন্সে একশন প্ল্যান এবং আগামী ২ বছরের জন্য রোডম্যাপ ও সুপারিশমালা উপস্থাপন করা হবে এবং এগুলো চূড়ান্ত করা হবে। কনফারেন্সে ছয়টি শ্রমিক সংগঠন অংশগ্রহণ করেছে।
#
আকতারুল/আফরাজ/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৬/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৭৩
সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ৪ঠা শ্রাবণ (১৯শে জুলাই):
দশম জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৫২তম বৈঠক আজ সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। কমিটির সদস্য মো. আব্দুস শহীদ, মোহাম্মদ আমানউল্লাহ, পঞ্চানন বিশ্বাস, মো. আফসারুল আমীন, বেগম রেবেকা মমিন, মইন উদ্দীন খান বাদল, একেএম মাঈদুল ইসলাম এবং মো. রুস্তম আলী ফরাজী বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতাধীন সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ঋণ পুনঃতফসিল ও সুদ কার্যক্রমের ২০০৯-১০ অর্থবছরের হিসেবের ওপর বাংলাদেশের মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিবেদন, ২০১০-১১ এর অনিষ্পন্ন ২২টি অডিট আপত্তির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে বিষয়গুলো দ্রুত নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অমান্য করে যে সকল ব্যাংক কর্মকর্তা ঋণ পুনঃ তফসিল করার সাথে জড়িত তাদেরকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ, ঋণগ্রহীতার জমাকৃত অর্থ ব্যাংকের হিসেবে নগদায়ন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তত্ত্বাবধান জোরদার এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান যাতে অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে পুনরায় ঋণ গ্রহণ না করতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অন্যান্য ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বিষয়টি অবহিত করার সুপারিশ করা হয়।
এছাড়াও উত্থাপিত অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে কমিটি দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, দায়েরকৃত মামলার তদারকি জোরদারকরণ এবং অনধিক ৬০ দিন, ৩ মাস এবং ৬ মাসের মধ্যে বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করে অডিট অফিসের মাধ্যমে কমিটিকে বিষয়গুলো অবহিত করার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সিএন্ডএজি মাসুদ আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরসহ অডিট অফিস, সোনালী ব্যাংক এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
হুদা/আফরাজ/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৮১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৭২
বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে
-- শিল্পমন্ত্রী
নাইরোবি, ১৯শে জুলাই:
বাংলাদেশ সব সময় বহিঃবাণিজ্য ও বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করছে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, জাতীয় অর্থনীতির ভিত্তি শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ বিনিয়োগবান্ধব নীতি গ্রহণ করেছে। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সরকার দেশীয় উদ্যোক্তাদের মতো বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরও সমান ইনসেনটিভ দিচ্ছে। বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে বিদেশি বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সুরক্ষার পাশাপাশি অর্জিত মুনাফা নিজ দেশে স্থানান্তরের সুযোগ রয়েছে বলে তিনি জানান।
শিল্পমন্ত্রী গতকাল ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম বা বিশ্ব বিনিয়োগ সম্মেলন-২০১৬ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন। নাইরোবির কেনিয়া ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা (টযঁৎঁ কবহুধঃঃধ), জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন (ইধহ কর-সড়ড়হ), জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা (টঘঈঞঅউ) এর মহাসচিব ড. মুখিসা কিটুই (উৎ. গঁশযরংধ করঃুঁর) সহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, বিনিয়োগকারী, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে। সমুদ্র ও আকাশ পথে সহজে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিশ্রমী জনবল, প্রাকৃতিক গ্যাস, মিঠা পানি, উর্বর জমি, অনুকূল আবহাওয়া ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বাংলাদেশকে বিনিয়োগের উৎকৃষ্ট স্থানে পরিণত করেছে। দেশের প্রায় ১৬ কোটি ভোক্তা এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশে বিনিয়োগের ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। অর্থনৈতিক মন্দার মাঝেও ৬ শতাংশেরও বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রেখে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের মিরাকল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রচুর অর্থনৈতিক সহায়তা দরকার। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বর্তমানে ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হলেও এসডিজি অর্জনে বছরে ৩ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলোর সহায়তার পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যেও আন্তঃবিনিয়োগ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক প্রযুক্তি এবং কারিগরি সহায়তা জোরদার করতে হবে। এ লক্ষ্যে তিনি আংকটাডের কার্যকর ভূমিকা কামনা করেন।
#
জলিল/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৭৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৭১
দেশ ২০১৯ সাল নাগাদ মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংস¤পূর্ণ হবে
-- মৎস্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৪ঠা শ্রাবণ (১৯শে জুলাই):
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৬ উপলক্ষে মৎস্যমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক আজ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সরকারের প্রচেষ্টায় মৎস্যখাতের উন্নয়ন যেভাবে হচ্ছে, এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০১৮-২০১৯ সাল নাগাদ দেশ মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংস¤পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হবে। তিনি মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাটকা ও পোনা মাছের অবাধ নিধন বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মৎস্য উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের স্থান বর্তমানে ৪র্থ এবং জাতীয় জিডিপির ৩ দশমিক ৬৫ ভাগই আসে এই মৎস্য খাত থেকে। আর দেশের মোট কৃষিজ আয়ের ২৩ দশমিক ৮১ শতাংশই মৎস্য খাতের অবদান। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যে প্রাণিজ আমিষের ৬০ ভাগই যোগান দেয় মাছ এবং ১১ শতাংশের অধিক মানুষ এই সেক্টরে জড়িত। মন্ত্রী মৎস্যখাতে জড়িতদের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ প্রসঙ্গে জানান, প্রধানমন্ত্রীর ২০১০ সালের ঘোষণা অনুযায়ী জেলেদের পরিচয়পত্র প্রদানের অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ জেলের নিবন্ধন এবং ১৩ লাখ ৩০ হাজার জেলের পরিচয়পত্র নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়াও ৪৮৭ জন নিহত জেলের পরিবারকে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার অনুদান দেয়া হয়েছে।
মৎস্যমন্ত্রী ঐতিহাসিক সমুদ্রবিজয়ের ফলে বঙ্গোপসাগরে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা অঙ্গীভূত হবার কথা উল্লেখ করে বলেন, সমুদ্রের মৎস্য স¤পদের উন্নয়নে সরকার ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি অত্যাধুনিক গবেষণা ও জরিপ জাহাজ সংগ্রহ করেছে। তিনি মৎস্য খাতের উন্নয়নে সাংবাদিকসহ সংশ্লি¬ষ্ট সবাইকে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
মৎস্যভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদসম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান, অতিরিক্ত সচিব মো. আনিসুর রহমান, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ আরিফ আজাদ এবং মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
শাহআলম/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৭০
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সাড়ে ৯ হাজার একাডেমিক ভবন নির্মাণ করেছে
-- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ৪ঠা শ্রাবণ (১৯শে জুলাই):
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সারাদেশে বাস্তবায়নাধীন ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম সততা ও নিষ্ঠার সাথে তদারকির জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে (ইইডি) নবনিযুক্ত ৩২ জন সহকারী প্রকৌশলীর চাকরিতে যোগদান উপলক্ষে রাজধানীর আব্দুল গনি রোডে অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।
ইইডি’র প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মো. হানজালা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রী বলেন, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, উপবৃত্তি, টিউশন ফি মওকুফ, বিদ্যালয়ে দুপুরের খাবার সরবরাহ, দরিদ্র পরিবারসমূহকে বিভিন্ন ভাতা প্রদানসহ সরকারের বিভিন্ন শিক্ষামুখী কর্মসূচির ফলে সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অতিরিক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাসরুমের সংস্থান করতে সারাদেশে ব্যাপক শিক্ষা অবকাঠামো নির্মাণ কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে।
জনাব নাহিদ বলেন, ২০০৯ সাল থেকে দেশে সাড়ে ৯ হাজার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ করেছে ইইডি। ইইডি’র তত্ত্বাবধানে ২ হাজার ৬৫৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলেছে। এছাড়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্প্রসারণেও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করছে ইইডি।
মন্ত্রী বলেন, সরকার ফ্যাসিলিটিজ বিভাগকে কাজের পরিধি ও জনবল বৃদ্ধি করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে উন্নীত করেছে। এ বিভাগের দুর্নাম দূর করে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে নিবেদিতপ্রাণে দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি নবনিযুক্ত প্রকৌশলীসহ অধিদপ্তরের সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
#
সাইফুল্লাহ/আফরাজ/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৬/১৭৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর :২২৬৯
মৎস্য সপ্তাহ-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার
ঢাকা, ৪ শ্রাবণ (১৯ জুলাই):
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৬ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান আগামীকাল ২০ জুলাই বুধবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তন, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ বেতার ঢাকা কেন্দ্র বিটিসিএল লাইনের মাধ্যমে ঢাকা-ক, ৬৯৩ কিলোহার্জ, এফ.এম ১০৩.২ মেগাহার্জ-এ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
#
আবদুল হক/মোবাস্বেরা/খাদীজা/গিয়াস/রফিকুল/শামীম/২০১৬/১৫৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২২৬৮
বাণিজ্য সক্ষমতায় ডব্লিউটিও’র সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান তোফায়েলের
নাইবোরি, ৪ঠা শ্রাবণ (১৯ই জুলাই):
নাইরোবিতে সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ডব্লিউটিও’র মহাপরিচালক রোবার্তো আজেভেডো-এর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বলেছেন, বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল। সম্ভাবনাময় জনসম্পদকে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করে জনশক্তিতে রূপান্তর করা সম্ভব। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বা ডব্লিউটিও বর্তমানে বাংলাদেশকে যে সহযোগিতা প্রদান করছে, তা অপর্যাপ্