তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৫১
পৃথিবীর ইতিহাসে আগস্ট মাসের মতো এত রক্ত আর কোনা মাসে ঝরেনি
-- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ ভাদ্র (৩১ আগস্ট) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, পৃথিবীর ইতিহাসে যত রক্ত ঝরেছে, আগস্ট মাসের মতো এত রক্ত আর কোনো মাসে ঝরেনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ঘাতকরা ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট মহান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে শোকাবহ আগস্ট উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ‘শোক থেকে শক্তির অভ্যুদয়, স্বপ্নপূরণের দৃঢ় প্রত্যয়’ শীর্ষক মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর।
প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারের ওপর যতগুলো হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল বা হত্যাকাণ্ডের চেষ্টায় আক্রমণ চালানো হয়েছিল তার প্রতিটিতে জড়িত ছিল জিয়াউর রহমানের পরিবার। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ'র তত্ত্বাবধানে জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ ষড়যন্ত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। আবার খালেদা জিয়ার ন্যস্ত প্রশাসনের উপস্থিতিতে তার পুত্র তারেক জিয়ার নির্দেশে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ১৯ বার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালার রহমতে ও জনগণের দোয়ায় তিনি প্রতিবারই রক্ষা পেয়েছেন।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সংস্কৃতি সচিব মোঃ আবুল মনসুর বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা কোনো আকস্মিক ঘটনা ছিল না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ তেইশ বছরের আন্দোলন-সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি লাভ করে বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। সচিব বলেন, বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ড বা বঙ্গভূমি কোনোদিনই এদেশের কোনো মাটির সন্তান দ্বারা পরিচালিত বা শাসিত হয়নি। বঙ্গবন্ধুই এ মাটির প্রথম সন্তান যিনি এ ভূখণ্ডে স্বাধীনতা এনে দিয়ে দেশ পরিচালনা করার দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অন্যতম প্রধান কারিগর সোনার মানুষ। আর সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়েই সে সোনার মানুষ গড়া সম্ভব।
প্রতিমন্ত্রী পরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কফি হাউজ সংলগ্ন উন্মুক্ত মঞ্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত মাসব্যাপী ‘শ্রাবণের শোকগাঁথা’ শিরোনামে আবৃত্তি ও আলোচনার বিশেষ আয়োজনের সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
#
ফয়সল/রফিক/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২১৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৫০
যুক্ত স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু
-- শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ ভাদ্র (৩১ আগস্ট) :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘যুক্ত স্বাধীন বাংলা’র স্বপ্ন দেখেছিলেন। যে সময় ধর্মের ভিত্তিতে পাকিস্তান আলাদা হয়ে যাচ্ছে, তখন বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন, এই স্বাধীনতা বাঙালির জীবনের প্রকৃত স্বাধীনতা নয়, তিনি গোড়াতেই তা বুঝেছিলেন।
আজ ঢাকা কলেজ আয়োজিত স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় মন্ত্রী এ কথা জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশভাগের ঠিক আগে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক গুরু হোসেন শহীদ সোওরাওয়ার্দী ও শরত বোসের সঙ্গে মিলে একটি যুক্ত স্বাধীন বাংলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু ধরেই নিয়েছিলেন এই এলাকার বাংলা ভাষাভাষীর মানুষদের নিয়ে একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু যখন একেবারেই ধর্মের ভিত্তিতে দুইভাগ হয়ে ভারত এবং পাকিস্তান হলো, সেই আন্দোলনে তিনি যুক্ত ছিলেন বটে কিন্তু স্বাধীন বাংলার যে প্রস্তাব তিনি করেছিলেন, নানান কারণে তা সম্ভব হয়নি। সেটি হলে এই উপমহাদেশের সমাজচিত্রটা অন্য রকম হতে পারতো।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে সময় ধর্মের ভিত্তিতে পাকিস্তান আলাদা হয়ে যাচ্ছে, তখন বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন, এই স্বাধীনতা বাঙালির জীবনের প্রকৃত স্বাধীনতা নয়, সে কারণে গোড়াতেই তিনি বাঙালির স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য সচেষ্ট হলেন। ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একটি যুব সংগঠন করলেন-গণতান্ত্রিক যুবলীগ। তার কয়েক মাস পরেই ১৯৪৮ সালের জানুয়ারিতে ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ করলেন। কারণ, তিনি পাকিস্তান কাঠামোর মধ্যে পূর্ব বাংলা তথা বাঙালির প্রাণের যে অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে না, তা গোড়াতেই অনুধাবন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন-বাঙালিকে তাদের নিজের অধিকার নিজেদেরই প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সম্প্রতি নারীর পোশাক নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শালীনতার প্রশ্ন তোলার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, বার বার প্রশ্ন তোলে আমি বাঙালি না মুসলমান, এ প্রশ্নের মীমাংসা তো আগেই হয়ে গেছে। আমি বাঙালিও, আমি মুসলমানও। কিংবা আমি বাঙালি, আমি খ্রিষ্টান, কিংবা আমি বাঙালি এবং আমি হিন্দু, কিংবা আমি বাঙালি আমি বৌদ্ধ, আমার ধর্ম আমার জাতীয় পরিচয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিছু নয়। তারপরও বার বার কেনও এই প্রশ্নগুলোকে টেনে আনা হয়? আমার সংস্কৃতিকে কেনও ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়? আমাদের স্মৃতিকে কেনও মুছে ফেলবার চেষ্টা করা হয়? আবহমান কালের যে সংস্কৃতি কেনও নানান প্রশ্নে জর্জরিত করা হয়? নানানভাবে শালীনতার প্রশ্ন তোলা হয়, শালীনতা কি শুধু নারীর পোশাকের মধ্যে সীমাবদ্ধ? শালীনতা শুধু পোশাকে নয়, পোশাক, আচার-আচরণ, কথা কাজ, দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তার মধ্যে শালীনতা দরকার। শালীনতা শুধু নারীর নয় পুরুষ ও প্রত্যেকটি মানুষের জন্য প্রযোজ্য। শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে, সজাগ থাকতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, এই বাংলায় হাজার হাজার বছরের ঐতিহ্য রয়েছে, ইতিহাস ও সংস্কৃতি রয়েছে। আমাদের সমৃদ্ধ ভাষা রয়েছে। এই ঢাকার অদূরে ওয়ারি বটেশ্বরে অন্তত আড়াই হাজার বছর আগেই এই ভূখণ্ডের মানুষ একটি পরিকল্পিত নগর জীবন-যাপন করতো। আমি সেই সভ্যতার অংশ। সব সমাজের এত সমৃদ্ধ অতীত থাকে না। পৃথিবীর অনেক ধনী দেশ আছে যাদের তিনশ’ বছর আগে গেলেও সমৃদ্ধ ইতিহাস নেই, যেটুকু আছে সেটুকু শোষণের। এই ভূখণ্ডে অনেক ধরনের, ভাষার মানুষ এসেছে, অনেক সংস্কৃতির মানুষ এসেছে। সবাইকে নিয়ে আমরা একটা শান্তি ও সম্প্রীতির সমাজ তৈরি করেছিলাম। আমরা সেই ঐতিহ্যকে কেন ভুলে যাবো?
#
খায়ের/রফিক/সঞ্জীব/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২০২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৪৯
বিএনপিনেত্রী ও তাদের মহাসচিবেরই শিষ্টাচার শেখা প্রয়োজন
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ ভাদ্র (৩১ আগস্ট) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, বিএনপিনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তাদের মহাসচিব এবং তার দলের শিষ্টাচার শেখার প্রয়োজন রয়েছে।
আজ রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত ‘শোকাবহ ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বেগম জিয়াকে বিদেশ পাঠানো নিয়ে কিছু কথা বলেছেন, সে প্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুল সাহেব শিষ্টাচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমি ফখরুল সাহেবকে অনুরোধ জানাই, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র আরাফাত রহমান কোকো মৃত্যুবরণ করার পর তার দরজায় গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন, ২০ মিনিট পরেও যখন দরজা খোলেননি এটা কোন ধরনের শিষ্টাচার।’
‘শুধু তাই নয়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন তাকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানালেন যে আপনি আসুন আপনার সাথে আমরা আলাপ করি। তখন বিএনপিনেত্রী যে ভাষায় কথা বললেন সেটি কোন ধরনের শিষ্টাচার’ প্রশ্ন রেখে ড. হাছান বলেন, ‘দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী আহত হলেন আর সংসদে দাঁড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়া বললেন উনাকে কে মারবেন, গ্রেনেড তো উনারাই নিয়ে গিয়েছেন ভ্যানিটি ব্যাগে করে -এটা কোন ধরনের শিষ্টাচার। শিষ্টাচার আমাদের শেখাবেন না। শিষ্টাচার আপনাদের শেখার প্রয়োজন রয়েছে, আপনার নেত্রীরও শেখার প্রয়োজন রয়েছে। শিষ্টাচার আপনাদের শেখা দরকার, বেগম খালেদা জিয়া, তার মহাসচিব এবং তার দলের শিষ্টাচার শেখার প্রয়োজন রয়েছে।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন তারা ক্ষমতায় থাকলে সেটা দেখাতো না। গ্রেনেড মেরে হত্যার অপচেষ্টা করার পর মারতে পারে নাই এরপরও যারা উপহাস করে, তারা কি ক্ষমতা থাকলে আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন সেটা দেখাতো!’
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ক’ দিন পরে পরে বিএনপি নেতারা বলে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ না নিলে তার জীবন সংকটাপন্ন। এগুলো বলার পর দেখা যায় বেগম জিয়া ভালো হয়ে ফেরত যায়। বেশি কথা বলতে চাই না, আমাকে আমার নেত্রী শিষ্টাচার শিখিয়েছেন, আমার পরিবারও শিষ্টাচার শিখিয়েছে। কিন্তু কারো জীবন যখন সংকটাপন্ন হয় তখন কি কেউ সেজেগুজে হাসপাতালে যায়! এটির জবাব মির্জা ফখরুল সাহেব নিশ্চয় দেবেন।’
‘১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড দু’টি একইসূত্রে গাঁথা’ উল্লেখ করে সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিল জিয়াউর রহমান। আর ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের অন্যতম কুশীলব হচ্ছে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তার পুত্র তারেক জিয়া। সুতরাং দু’টি হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা।’
চলমান পাতা/২
পাতা/২
প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধন নিয়ে সাংবাদিকদের আলোচনার প্রেক্ষিতে এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রেস কাউন্সিলের সদস্য সবাই সাংবাদিক এবং প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধন করার প্রস্তাব প্রেস কাউন্সিলেরই। যারা এ নিয়ে কথা বলছেন তারাও এই সংশোধন প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন। সংশোধনীতে শুধু প্রেস কাউন্সিলের ক্ষমতা বাড়িয়ে জরিমানা করার ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে, এর বাইরে কিছু নয়। ইংল্যান্ডে প্রেস কাউন্সিল কত জরিমানা করবে তার কোনো সীমা বেধে দেয়া নেই। যত অর্থ সমীচীন তত জরিমানা করতে পারে। আমাদের প্রেস কাউন্সিলকে তার চেয়ে অনেক কম ক্ষমতা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ইংল্যান্ডের মতো তো নয়ই, ভারতের প্রেস কাউন্সিলের মতোও নয়, তার চেয়ে অনেক কম সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানা করার ক্ষমতার কথা বলা হয়েছে। এটি নিয়ে কোনো দ্বন্দ্ব হওয়ার সুযোগ নেই, এটি মন্ত্রণালয় করেনি। সংবাদপত্র মালিক পক্ষ, সাংবাদিক, সাংবাদিক সংগঠনের প্রতিনিধি সবাই মিলেই এটি করবে। এটি নিয়ে যেভাবে অপপ্রচারের চেষ্টা করা হয়েছে সেটি সমীচীন নয়।’
ওয়েজবোর্ড নিয়ে মামলা আছে, মামলাটা ‘ভেকেট’ করা হলে ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকতা দূর হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখাকে দায়িত্ব দিয়েছি, আপনারা যোগাযোগ রাখবেন তাহলে এটা দ্রুত হবে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের-ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের-বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, ডিইউজে’র সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম প্রমুখ।
#
আকরাম/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/রফিকুল/সেলিম/২০২২/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৪৮
শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হবে
--- পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ ভাদ্র (৩১ আগস্ট) :
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করছে সরকার। শোকের মাসে শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ শরীয়তপুরের নড়িয়ায় উপজেলা ও পৌরসভা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শামীম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নছিল তার। তাই আমাদের সবার দায়িত্ব হবে জ্ঞান-গরিমায় সমৃদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজকে সম্পূর্ণ করে বাংলাদেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা। তাহলেই শোকের মাসে আমরা চিরঞ্জীব এই মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে পারবো।
এনামুল হক শামীম বলেন, দেশবিরোধী বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র চলছে, চলবে। তারা জন্মলগ্ন থেকেই ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে আসছে। বিএনপি মূলত রাজপথের আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার গ্লানি ঢাকতেই মাঝে মাঝে ফাঁকা আওয়াজ দেয়। এতে লাভ হবে না, বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টার মাইন্ড জিয়াউর রহমান ও যুদ্ধাপরাধী রাজাকার আলবদরের গাড়িতে পতাকা তুলে দেয় খালেদা জিয়ার দল বিএনপি আর কোনো দিন ক্ষমতায় আসবে না। এদেশের জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তাই আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের রায় নিয়ে আবারও ক্ষমতায় আসবে।
নড়িয়া উপজেলা সৈনিক লীগের সভাপতি দবির সিকদার আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মাল, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম চুন্নু ও দপ্তর সম্পাদক মাস্টার শাহআলম সভায় বক্তব্য রাখেন।
#
গিয়াস/পাশা/সঞ্জীব/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/২০০৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৪৭
নদীগর্ভে বিলীন স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব
ঢাকা, ১৬ ভাদ্র (৩১ আগস্ট) :
নদীগর্ভে বিলীন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার অবকাঠামোবিহীন তিন থোপা রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ধালিপাটাধোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও শিখন পদ্ধতি নিয়ে ঢাকা থেকে অনলাইনে আজ মতবিনিময় করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান।
গণশিক্ষা সচিব শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং নদী ভাঙনের ফলে নিদারুণ দুর্দশায় পতিত এলাকাবাসীর প্রতি তার সহানুভূতি প্রকাশ করে ভাঙন রোধ ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যালয়ের নতুন অবকাঠামো নির্মাণের আশ্বাস দেন।
তিনি শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক ও গাণিতিক বিষয়ের দক্ষতা যাচাই করেন এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মানোন্নয়ন ও মানসিক উত্তরণে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাদের মাঝে সচিবকে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং তাদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা প্রদানে এরকম কার্যক্রম অব্যাহত রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
#
তুহিন/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৪৬
সুন্দরবন সুরক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার
--- পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ ভাদ্র (৩১ আগস্ট) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সুন্দরবন সুরক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। সুন্দরবন ও এর বাঘ সংরক্ষণে একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সুন্দরবনের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য টহল জলযান ক্রয়সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। গৃহীত প্রকল্পসমূহ সুন্দরবন ও বাঘ সংরক্ষণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।
আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)
-এর জুলাই ২০২২ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশ ও বন উন্নয়নে গৃহীত প্রকল্পসমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য পরিবেশমন্ত্রী এ সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, অর্থবছরের শুরু থেকেই সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। প্রথম থেকেই গুরুত্বসহকারে কার্যক্রম সম্পাদনের মাধ্যমে বছর শেষে প্রকল্পের অগ্রগতি শতভাগ অর্জনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
সভায় উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, মোঃ মিজানুল হক চৌধুরী, মোঃ মনিরুজ্জামান ও সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমির হোসাইন চৌধুরীসহ দফতর প্রধানগণ ও বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকরা আলোচনায় অংশ নেন। সভায় সকলে চলমান প্রকল্পগুলো যথাসময়ে যথানিয়মে সম্পন্ন করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
#
দীপংকর/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/২০০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৪৫
এটকো’র ‘বাংলাদেশ ও চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু’ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ১৬ ভাদ্র (৩১ আগস্ট) :
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ ও চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু’ আলোচনা সভা করেছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন এসোসিয়েশন অভ্ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-এটকো। আজ রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে এটকো প্রেসিডেন্ট অঞ্জন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
আমির হোসেন আমু সভায় গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় পাকিস্তানি প্রেতাত্মার সাথে নয়, স্বাধীনতার পক্ষের সাথে থাকুন। কারণ ’৭১-এর রাজাকার, ১৫ আগস্টের খুনিচক্র, ২১ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারী ও পেট্রোলবোমা সন্ত্রাসীরাই সেই পাকিস্তানের অত্যাচারী শাসকদের প্রেতাত্মা। এরা কখনো বাংলাদেশের উন্নয়ন চায়নি এবং চায় না।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ’১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড কেবল হত্যাকাণ্ডই নয়, এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন। রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করার জন্য পৃথিবীর কোথাও গত কয়েক দশকে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। যেখানে ঘটেছে, জাতিগত সংঘাতের কারণে ঘটেছে। অবরোধের নামে মানুষকে ১শ’ দিন ঘরের মধ্যে অবরোধ করে রাখা সেটাও তো মানবাধিকার লঙ্ঘন। জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা নিষ্কণ্ঠক রাখতে যারা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার তাদের পরিবার আজকে ডুকরে ডুকরে কাঁদছে। এটি কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়!’
গণমাধ্যম মানুষকে সঠিক চিন্তা করার ক্ষেত্রে, সমাজকে সঠিকখাতে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে, সমাজকে সঠিক তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে, সার্বিকভাবে দেশ গঠন করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আজকে আপনাদেরকে অনুরোধ জানাবো, এই ধারাবাহিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথাগুলো দয়া করে আপনারা উপস্থাপন করবেন।’
সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ড. গোলাম রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরফুদ্দিন আহমেদ, এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিনসহ এটকোর পরিচালকবৃন্দ তাদের আলোচনায় বাঙালি, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিতে মতামত তুলে ধরেন।
#
আকরাম/পাশা/রফিক/সঞ্জীব/রফিকুল/সেলিম/২০২২/১৯৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৪৪
জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পেলেন শিশুবিশেষজ্ঞ প্রফেসর এম কিউ কে তালুকদার
ঢাকা, ১৬ ভাদ্র (৩১ আগস্ট) :
‘বাংলাদেশ জাতীয় অধ্যাপক (নিয়োগ, শর্তাবলি ও সুবিধাদি) সিদ্ধান্তমালা-১৯৮১’ অনুযায়ী সেন্ট্রাল ফর উইমেন এন্ড হেলথ (সিডব্লিউসিএইচ) এর চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিশুবিশেষজ্ঞ প্রফেসর এম কিউ কে তালুকদারকে নিয়োগের তারিখ থেকে ৫ বছরের জন্য নিম্নোক্ত শর্তে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হলো।
তিনি কোনো গবেষণা সংস্থা বা শিক্ষায়তনের সাথে সংশ্লিষ্ট থেকে নিজের পছন্দমত ক্ষেত্রে গবেষণামূলক কাজ করতে পারবেন এবং যেক্ষেত্রে তিনি কাজ করবেন তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগকে অবহিত করবেন; তিনি যে শিক্ষা/গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত থাকবেন সেই প্রতিষ্ঠানের নিকট তাঁর শিক্ষা/গবেষণামূলক কাজের বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করবেন, সেই প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যানকে তাঁর কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত রাখবেন।
জাতীয় অধ্যাপক পদে কর্মরত থাকাকালীন তিনি জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ এর গ্রেড-১ অনুযায়ী বেতন-ভাতাদি ও অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্য হবেন; তিনি স্বীয় পদে অধিষ্ঠিত থাকাকালীন অন্য কোনো বেতনভুক্ত চাকরি করতে পারবেন না।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
#
ফরহাদ/পাশা/সঞ্জীব/রফিকুল/সেলিম/২০২২/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৪৩
বিএনপি রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করতে চাইলে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে
--- কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ ভাদ্র (৩১ আগস্ট) :
বিএনপি আন্দোলনের নামে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করলে তা যে কোনো মূল্যে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নের স্বার্থে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। কিন্তু বিএনপি জামায়াত দেশে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। তারা চাচ্ছে ’৭৫ এর মতো একটা পরিস্থিতি তৈরি হোক; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যাতে হত্যা করতে পারে সেরকম পরিবেশ সৃষ্টি হোক। কিন্তু তাদেরকে এটি করতে দেয়া হবে না। তাদের সকল ষড়যন্ত্র মূলোৎপাটন করা হবে।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অভ্ নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অভ্ নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল শাখা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তার জেলে থাকার কথা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়া ও বদান্যতায় খালেদা জিয়া জেলের পরিবর্তে বাসায় আরাম-আয়েশে আছেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান জড়িত। জিয়া সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়েই নিষ্ঠুরতম ও বর্বরোচিত এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত হয়েছিল। আগামী প্রজন্মের জানার জন্য ইতিহাসে এ বিষয়টি লিপিবদ্ধ হওয়া উচিত। যাতে আগামী প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা জানতে পারে জিয়া কীভাবে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল।
স্বাচিপ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অভ্ নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল শাখার সভাপতি ডা. জহিরুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাচিপ সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অভ্ নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ, যুগ্ম পরিচালক ডা. বদরুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
#
কামরুল/পাশা/সঞ্জীব/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৫৪২
একটি ষড়যন্ত্রে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে
--- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ ভাদ্র (৩১ আগস্ট) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ১৯৭৫ সালের একটি ষড়যন্ত্রে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত করা হয়েছিল। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। খুনিদের পুরস্কৃত করা হয়েছিল। আইনের শাসনকে ধ্বংস করা হয়েছিল। জিয়াউর রহমান ও এরশাদ ২১ বছর এদেশকে অন্ধকারে রেখেছিল।
আজ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার সমিতি এ সভার আয়োজন করে।
আই