তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮১০
করোনা মোকাবিলা করে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে
-- পরিকল্পনা মন্ত্রী
সুনামগঞ্জ, ৬ ফাল্গুন (১৯ ফেব্রুয়ারি) :
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
মন্ত্রী আজ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় রানীগঞ্জ সেতুর নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, একটি বিশেষ মহল দেশের সার্বিক উন্নয়নকে পছন্দ করছেনা। তারা উন্নয়ন নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে সেতুর নির্মাণকাজ পিছিয়ে যাওয়ায় মন্ত্রী ডিসেম্বরের মধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, এ সেতু নির্মিত হলে স্বল্প সময়ে রাজধানীর সাথে সুনামগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ স্হাপন করা সম্ভব হবে।
এ সময় সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
#
শাহেদ/মাসুম/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২৩১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮০৯
মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলের নির্দেশনা
ঢাকা, ৬ ফাল্গুন (১৯ ফেব্রুয়ারি) :
মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সুশৃঙ্খলভাবে উদ্যাপন করার জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা হতে ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা পর্যন্ত জনসাধারণের চলাচল ও সব ধরনের যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নির্দেশনা প্রদান করেছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে প্রবেশের ক্ষেত্রে সকলকে পলাশী ক্রসিং, এসএম হল এবং জগন্নাথ হলের সামনের রাস্তা ব্যবহার করতে হবে। কোনোক্রমেই অন্য কোনো রাস্তা ব্যবহার করে শহিদ মিনারে প্রবেশ করা যাবে না। অপরদিকে, শহিদ মিনার থেকে বের হবার ক্ষেত্রে দোয়েল চত্বরের দিকের রাস্তা অথবা ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তা ব্যবহার করতে হবে।
এ সময় বকশিবাজার হতে জগন্নাথ হল ক্রসিং সড়ক, চাঁনখারপুল হতে রোমানা চত্বর ক্রসিং সড়ক, টিএসসি হতে শিববাড়ী মোড় ক্রসিং ও উপাচার্য ভবন হতে ভাস্কর্য ক্রসিং (ফুলার রোড) বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়, ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা হতে ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা পর্যন্ত রাস্তায় আলপনা অঙ্কনের জন্য কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের আশপাশের রাস্তা বন্ধ থাকবে। এ সময় শিববাড়ী, জগন্নাথ হল ও রোমানা চত্বর ক্রসিংগুলোতে গাড়ি ডাইভারশন দেয়া হবে। ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা হতে ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যত্রতত্র অনুপ্রবেশ বন্ধের লক্ষ্যে নীলক্ষেত, পলাশী মোড়, ফুলার রোড, বকশীবাজার, চাঁনখারপুল, শহিদুল্লাহ হল, দোয়েল চত্বর, জিমনেশিয়াম, রোমানা চত্বর, হাইকোর্ট, টিএসসি, শাহবাগ ইন্টারসেকশনসমূহে রোড ব্লক দিয়ে গাড়ি ডাইভারশন দেয়া হবে। ২১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫টায় সাইন্সল্যাব হতে নিউমার্কেট ক্রসিং, কাঁটাবন ক্রসিং হতে নীলক্ষেত ক্রসিং এবং ফুলবাড়িয়া ক্রসিং হতে চাঁনখারপুল ক্রসিং পর্যন্ত প্রভাতফেরি উপলক্ষে সকল প্রকার যাত্রীবাহী গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।
গাড়ি পার্কিং সংক্রান্ত নির্দেশনা:
১। একুশের প্রথম প্রহরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জিমনেশিয়াম মাঠে ভিআইপি গাড়িসমূহের পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।
২। সাধারণ নাগরিকবৃন্দ নীলক্ষেত-পলাশী, পলাশী-ঢাকেশ্বরী সড়কসমূহে তাদের গাড়ি পার্কিং করতে পারবেন।
সাধারণ নিদের্শনাবলী:
১। বর্তমান করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে কবরস্থান এবং শহিদ মিনারে যারা শ্রদ্ধার্ঘ্য ও পুস্পস্তবক অর্পণ করবেন তাদের মাস্ক পরিধান করা বাধ্যতামূলক।
২। কবরস্থান এবং শহিদ মিনারে যারা শ্রদ্ধার্ঘ্য ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে যাবেন তাদের রাস্তায় বসা বা দাঁড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
৩। সর্বসাধারণের চলাচলের সুবিধার জন্য বর্ণিত রাস্তায় কোনো প্রকার প্যান্ডেল তৈরি করা যাবে না।
৪। শহিদ মিনারে প্রবেশের ক্ষেত্রে আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশী করে সকলকে প্রবেশ করতে হবে। এক্ষেত্রে সকলকে সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করতে হবে।
৫। শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ হতে প্রচারকৃত নিদের্শনা মেনে চলতে হবে।
৬। কোনো ধরনের ব্যাগ সাথে বহন করা যাবে না।
৭। যে কোনো পরিস্থিতিতে পুলিশের সহায়তা প্রয়োজন হলে শহিদ মিনার এলাকায় স্থাপিত অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে।
#
শফিকুল/মাসুম/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮০৮
উন্নত জাতিতে পরিণত হতে শিল্প-সংস্কৃতি লালন করতে হবে
-- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ ফাল্গুন (১৯ ফেব্রুয়ারি) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বাঙালির সংস্কৃতি হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী ও সমৃদ্ধ । আমাদের গৌরবময় মহান মুক্তিযুদ্ধ, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, '৬৬ এর ছয়দফা, '৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান-সহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসকে শিল্পরূপে নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করতে পারে শিল্প-সংস্কৃতি। যে জাতি নিজেদের শিল্প-সংস্কৃতি যত বেশি ধারণ ও লালন করে, সে জাতি তত বেশি উন্নত।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একাডেমির নন্দনমঞ্চে আয়োজিত আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে বিকশিত করার স্বপ্ন নিয়ে ১৯৭৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। কালের পরিক্রমায় তাঁর সেই স্বপ্নের শিল্পকলা একাডেমি আজ সাংস্কৃতিক মনন সৃজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ৬৪ জেলা হতে ৪৯৩ উপজেলায় সম্প্রসারিত হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে সংস্কৃতি চর্চার প্রসারে বর্তমান সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের সকল উপজেলায় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর প্রথম পর্যায়ে একশ’টি উপজেলায় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব মোঃ নওসাদ হোসেন।
#
ফয়সল/মাসুম/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২২২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮০৭
মুক্তিযুদ্ধে অপপ্রচার হলেও মুক্তিযোদ্ধারা বিভ্রান্ত হননি
-- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বিরল (দিনাজপুর), ৬ ফাল্গুন (১৯ ফেব্রুয়ারি) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণার পর মুক্তিযোদ্ধারা জীবনবাজি রেখে দেশকে হানাদারমুক্ত করেছেন। তখনও অনেক অপপ্রচার হলেও মুক্তিযোদ্ধাদের এসব অপপ্রচার বিভ্রান্ত করতে পারেনি। তিনি বলেন, আজকেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তবে, মিথ্যাচার দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে দাবিয়ে রাখা যাবে না।
প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুরের বিরলে নবনির্মিত বিরল কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ করোনাকে জয় করতে সমর্থ হয়েছে। দেশে সবার মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ত্রিশ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময় যে বাংলাদেশ, সে বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন। ২০০৮ সালে তিনি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেবার ঘোষণা দেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করেন। তিনি সেগুলো বাস্তবায়ন করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মাসেতু করব। আজকে পদ্মাসেতু দৃশ্যমান। বাংলাদেশে কোন গভীর সমুদ্র বন্দর ছিলনা, আজকে মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে। পায়রা বন্দর আজকে দৃশ্যমান। মোংলা বন্দরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জাহাজ আসছে। এভাবে সবক্ষেত্রে বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে।
বিরল উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাবের মোঃ শোয়াইবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, বিরল উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগর ও সাধারণ সম্পাদক রমা কান্ত রায়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নবনির্মিত শহিদ মিনারের উদ্বোধন করেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বোচাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ হলরুমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সহযোগিতায় ক্ষুদ্র
নৃ-গোষ্ঠীদের জীবনমান উন্নয়ন শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় শিক্ষা বৃত্তি, শিক্ষা উপকরণ ও বাইসাইকেল বিতরণ করেন। তিনি মতিজাপুরে নবনির্মিত কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সেতাবগঞ্জ পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
#
জাহাঙ্গীর/মাসুম/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২২৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮০৬
বাংলাদেশ কর্তৃক অনুসমর্থনকৃত ‘Framework Agreement on Facilitation of Cross-border Paperless Trade in Asia and the Pacific’ চুক্তিটি আগামীকাল থেকে কার্যকর হবে
ঢাকা, ৬ ফাল্গুন (১৯ ফেব্রুয়ারি) :
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য ব্যবস্থা ত্বরান্বিতকরণের লক্ষ্যে সম্পাদিত ‘The Framework Agreement on Facilitation of Cross- border Paperless Trade in Asia and the Pacific’ আগামীকাল থেকে কার্যকর হবে । UNESCAP এর সহায়তায় ২৫টি দেশের সমন্বিত প্রচেষ্টায় ২০১৬ সনে ESCAP ভুক্ত সদস্য দেশসমূহ Framework চুক্তিটি গ্রহণ করে। কাগজবিহীন ইলেকট্রনিক মাধ্যমে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য সংক্রান্ত ডেটা ও ডকুমেন্ট আদান প্রদান সহজীকরণের লক্ষ্যে এ চুক্তিটি গৃহীত হয়। বর্তমানে ESCAP ভুক্ত ৫৩টি সদস্য দেশ এ চুক্তিতে অংশগ্রহণ করতে পারে। আজারবাইজান, বাংলাদেশ, চীন, ইরান, ফিলিপাইন ইতোমধ্যেই চুক্তিটি কার্যকর করার ক্ষেত্রে অনুসমর্থন করে চুক্তির পক্ষ হয়েছে । এছাড়া আর্মেনিয়া ও কম্বোডিয়া চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ESCAP ভুক্ত অন্যান্য দেশ চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
কোভিড-১৯ এর ফলে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার (আমদানি-রপ্তানি) ক্ষেত্রে সৃষ্ট জটিলতা দূরীকরণে পেপারলেস ট্রেড/ডিজিটাল ট্রেড পদ্ধতি ইতোমধ্যেই সমাদৃত হয়েছে। কোভিডোত্তর বিশ্ব বাণিজ্যে Cross- border Paperless Trade ব্যবস্থা বাণিজ্য সহজীকরণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এছাড়া Cross- border Paperless Trade দেশের বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধি, ই-কমার্স ও ডিজিটাল অর্থনীতি গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
Framework Agreement টি বাস্তবায়নের ফলে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য সম্পাদনের সময় ও ব্যয় হ্রাস পাবে। UNESCAP এর প্রকাশনা হতে জানা যায় যে, WTO Trade Facilitation Agreement ও UNESCAP Cross- border Paperless Trade সমন্বিতভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ বাণিজ্য বাবদ খরচ তেত্রিশ শতাংশ কমিয়ে আনতে পারে যার আর্থিক মূল্য বার্ষিক দশমিক সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার। উন্নয়নশীল দেশ হতে বাংলাদেশের উত্তরণের ফলে সম্ভাব্য বাণিজ্য সংকোচন মোকাবিলায় বাংলাদেশ এ Agreement এর আওতায় কারিগরি সহযোগিতা পেতে পারে। চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে Ease of Doing Business Index এ বাংলাদেশের অবস্থান এগিয়ে যাবে এবং বাংলাদেশ অধিকতর বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে সক্ষম হবে। এছাড়া, সরকারের One Stop Service ও National Single Window Project বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনাও সৃষ্টি হবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় হবে। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার Digital Bangladesh গঠন ও ভিশন ২০৪১ অনুযায়ী উচ্চ আয়ের দেশ (উন্নত বাংলাদেশ) গঠনের স্বপ্ন ত্বরান্বিত হবে।
Cross-border Paperless Trade Agreement টি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সহজ ও নমনীয়। ডিজিটালাইজেশনের যে কোনো পর্যায়ে উন্নত ও উন্নয়নশীল নির্বিশেষে ESCAP ভুক্ত যে কোনো দেশ এ Agreement টিতে যোগ দিতে পারে। Agreement টি কার্যকর করা হলে WTO টিএফএ এবং National Single Window পদ্ধতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহ Cross-border Paperless Trade Agreement এ যোগ দিয়ে বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে। একইসাথে এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহ ই-কমার্স ও ডিজিটাল ইকোনমির ক্ষেত্রে উদ্ভুত চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলা করতে পারবে।
#
বকসী/সাহেলা/রফিকুল/আব্বাস/২০২১/২০৪৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮০৫
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৬ ফাল্গুন (১৯ ফেব্রুয়ারি) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৪ হাজার ২৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪০৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৭৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জন-সহ এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৩৩৭ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৯০ হাজার ৪৬৮ জন।
#
দলিল/সাহেলা/রফিকুল/আব্বাস/২০২১/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮০৪
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কুইজ’ প্রতিযোগিতা
গতকালের বিজয়ীদের তালিকা
ঢাকা, ৬ ফাল্গুন (১৯ ফেব্রুয়ারি) :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত গতকালের অনলাইনভিত্তিক ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কুইজ’ প্রতিযোগিতার স্মার্টফোন বিজয়ী পাঁচজন হলেন : চট্টগ্রামের মো. রায়হান কবির, মৌলভীবাজারের মির্জা রাজু বেগ, চট্টগ্রামের জয় বড়ুয়া, চট্টগ্রামের মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন এবং যশোরের শাহ আলম।
গতকালের কুইজে ৬৯ হাজার ৭৫৫ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছিলেন।
স্মার্টফোন বিজয়ী পাঁচজনসহ ১০০ জিবি মোবাইল ডাটা বিজয়ী ১০০ জনের ছবিযুক্ত নামের তালিকা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির ওয়েবসাইট https://mujib100.gov.bd অথবা https://quiz.priyo.com থেকে জানা যাবে।
#
মোহসিন/শাহ আলম/কামাল/রেজ্জাকুল/শামীম/২০২১/১২৪৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর :৮০৩
একুশে পদক ২০২১ প্রদান উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৬ ফাল্গুন (১৯ ফেব্রুয়ারি) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ‘একুশে পদক ২০২১’ প্রদান উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“আবার এসেছে ফেব্রুয়ারি, ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার মাস। এসেছে মহান ভাষা-আন্দোলনের অমর শহিদস্মরণে একুশে পদক প্রদানের আনন্দঘন মুহুর্ত। একুশ মানেই মাথানত না করা, একুশ মানেই একাত্তরের বিজয়ের দিকে দৃপ্ত পদক্ষেপে দুর্বার অভিযাত্রা, ভাষাভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক স্বাধীনরাষ্ট্র বাংলাদেশ-প্রতিষ্ঠা।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে যে সকল ভাষা শহিদ প্রাণ উৎসর্গ করেছেন, আজ আমি তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি বাংলাভাষার মর্যাদাপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেতৃত্বদানকারী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল ভাষাসৈনিকদের।
একুশের শহিদগণ যেমন জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠসন্তান, তেমনি দেশের বিভিন্নক্ষেত্রের বিশিষ্ট গুণীজনও জাতির গর্ব ও অহংকার। যদিও প্রকৃত গুণীজন পুরস্কার বা সম্মাননার আশায় কাজ করেন না, তবুও পুরস্কার বা সম্মননা জীবনের পথচলায় অনিঃশেষ প্রেরণা যোগায়। একুশের চেতনাকে ধারণ করে দেশের শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির বিকাশ এবং আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে যারা বিভিন্নক্ষেত্রে প্রভূত অবদান রাখছেন, তাঁদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা গৌরবময় একুশে পদক প্রদান করছি। ইতিপূর্বে প্রতিবছর বাংলাদেশের অল্পসংখ্যক বিশিষ্ট ব্যক্তিকে জাতীয়পর্যায়ে তাঁদের নিজ-নিজ ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একুশে পদকে ভূষিত করা হতো এবং পদকপ্রাপ্তদের সম্মানী অর্থের পরিমাণও ছিল যৎসামান্য। আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য ব্যক্তিদের পুরস্কার হিসেবে প্রদত্ত অর্থের পরিমাণ কয়েকদফা বৃদ্ধি করে ২০২০ সালে আমরা চারলাখ টাকায় উন্নীত করেছি। অনুরূপভাবে, আমরা ২০১৮ সাল থেকে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২১-এ উন্নীত করেছি। জাতীয় জীবনে বিভিন্নক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২০ সাল পর্যন্ত ৪৯৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ৩টি প্রতিষ্ঠানকে একুশে পদক প্রদান করা হয়েছে। এবারও আমরা ভাষা-আন্দোলনে ভুমিকা রাখার জন্য মরণোত্তর তিনজন, মুক্তিযুদ্ধে তিনজন, ভাষা-সাহিত্যে তিনজন, শিল্পকলায় সাতজনসহ সাংবাদিকতা-গবেষণা-শিক্ষা-অর্থনীতি ও সমাজসেবায় একজন করে মোট ২১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে এই পদক প্রদানের জন্য মনোনীত করেছি। যারা মরণোত্তর পুরস্কার পাচ্ছেন, তাঁদের আত্মার শান্তি প্রার্থনা করছি, আর যারা আজ পুরস্কার গ্রহণ করছেন তাঁদেরও আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
আমরা যে চেতনায় বলীয়ান হয়ে ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি এবং একই চেতনায় স্বাধীনতা অর্জন করেছি। সেই চেতনা এবং জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে গত ১২ বছরে দেশের আর্থ-সামাজিক খাতের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা ২০২০-২১ সালব্যাপী মুজিববর্ষ উদযাপন করছি। আগামীমাসে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবো। ২০২১-২০৪১ পর্যন্ত ২০ বছর মেয়াদী দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি এবং ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। ইনশাআল্লাহ, অচিরেই আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তবুদ্ধিচর্চার দেশ ‘সোনার বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করবো।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/শাহ আলম/কামাল/রেজ্জাকুল/আরিফ/২০২১/১৪৪৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৮০২
একুশে পদক ২০২১ প্রদান উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৬ ফাল্গুন (১৯ ফেব্রুয়ারি) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ‘একুশে পদক ২০২১’ প্রদান উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি, শিল্প, সমাজ, গণমাধ্যম প্রভৃতি ক্ষেত্রে নিবেদিতপ্রাণ যেসব খ্যাতিমান বিশিষ্ট নাগরিক ‘একুশে পদক ২০২১’ পেয়েছেন তাঁদের আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
মহান ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল। আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি ১৯৪৮ সালে মাতৃভাষার দাবিতে গঠিত ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ এর নেতৃত্ব দেন। আমি ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা আন্দোলনসহ আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের দীর্ঘ সংগ্রামে অমর শহিদদের স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ভাষা-শহিদদের গৌরবদীপ্ত আত্মত্যাগের স্মৃতিবাহী দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও গণমাধ্যমসহ বিভিন্নক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রতিবছর একুশে পদক প্রদান করে আসছে। সম্মাননাপ্রাপ্ত গুণীজনরা জাতির শ্রেষ্ঠসন্তান। তাঁদের সম্মানিত করার মধ্য দিয়ে দেশে মেধা ও মননচর্চার ক্ষেত্র আরো সম্প্রসারিত হবে বলে আমি মনে করি।
বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে এ দেশের ছাত্র ও তরুণসমাজ গুরু্ত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। এক্ষেত্রে তাঁরা দিকনির্দেশনা পেয়েছেন সমাজের বুদ্ধিজীবি ও মুক্তমনা অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে। এ বছর যাঁরা একুশে পদক পেলেন, তাঁরাও সেই চেতনা বর্তমান তরুণপ্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন। আমি তাঁদের সৃষ্টিশীল অবদানের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা নিবেদন করি। আগামীতে এসব আলোকিত গুণীজন নিজ-নিজ কর্মক্ষেত্রে আরো উৎকর্ষের স্বাক্ষর রাখবেন-এ প্রত্যাশা করি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
হাসান/শাহ আলম/কামাল/রেজ্জাকুল/শামীম/২০২১/১১৩৩ ঘণ্টা