Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ মে ২০১৬

তথ্যবিবরণী ২৭/০৫/২০১৬

তথ্যবিবরণী                                                                                নম্বর : ১৭৭২

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বখাটে কর্তৃক স্কুলছাত্রী নিহত ও আহত হওয়ায় শিক্ষামন্ত্রীর ক্ষোভ

ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) :

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলায় আজ বখাটের হামলায় স্কুলছাত্রী কণিকা রাণী ঘোষ নিহত এবং মরিয়ম খাতুন, তারিন তাহরিন ও তানজিলা খাতুন মারাত্মক আহত হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বখাটের কঠোর শাস্তি দাবি করেন এবং আরো কেউ যুক্ত আছে কিনা তা খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন।

শিক্ষামন্ত্রী ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথে রাজশাহীর আঞ্চলিক মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অফিসের উপ-পরিচালক শারমিন চৌধুরীকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। শারমিন চৌধুরী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সার্বিক খোঁজখবর নেন, নিহত কণিকার পরিবারের পাশে দাঁড়ান এবং আহত তিন স্কুলছাত্রীকে জরুরি চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেলে প্রেরণ করেন। মন্ত্রী রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসকদ্বয়ের সাথেও কথা বলেন। তিনি সমাজের সর্বস্তরের জনগণের প্রতি ছাত্রীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতসহ চলাচল নিরাপদ করতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

#
ঢালী/মাহমুদ/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/২০৫৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ১৭৭১

৩০ জুলাইয়ের মধ্যে পিপি-জিপিদের বকেয়া ভাতা পরিশোধ করা হবে
                                                               -- আইনমন্ত্রী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২৭ মে (১৩ জ্যৈষ্ঠ): 
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও গভর্নমেন্ট পিস্নডার (জিপি)-দের বকেয়া ভাতাদি পরিশোধ করা হবে এবং পরে তাঁদের এ ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সুপ্রিমকোর্ট বিচারকদের মর্যাদা দেয়ার জন্যই এটা করা হয়েছে। কোনো সামরিক আইন বা প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের কলমের খোঁচায় কোনো বিচারপতির চাকুরি যাবে এরকম যেন বাংলাদেশে না হয় সেটা করার জন্যই  ষোড়শ সংশোধনী করা হয়েছিল। তিনি বলেন, আমি মনে করি এটা নিয়ে যে বিতর্ক চলছে তা গণতন্ত্রকে আরো সুদৃঢ় করবে, সমৃদ্ধ করবে। 
        মন্ত্রী গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আদালত অঙ্গনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা, স্বাধীন বিচার ব্যবস'ার সুফল জনগণের মাঝে পৌঁছে দেয়া এবং মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের ভূমিকা অত্যনত্ম গুরম্নত্বপূর্ণ। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বেঞ্চ ও বারের সুসম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়েও তিনি গুরম্নত্বারোপ করেন।
আইনজীবীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সামাজিক বিভিন্ন অপরাধের  বিষয়েও আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। কারণ আপনারা আইনজীবী হতে পারেন কিন' সমাজেরই একজন। বিচার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সামাজিক সম্পর্ক উন্নয়ন খুবই দরকার। সেখানেও আপনাদের অবদান রাখতে হবে। তিনি বলেন, যেখানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠত হয় সেখানে গণতন্ত্রের দ্রম্নত বিকাশ ঘটে। তাই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আপনাদের ভূমিকা রাখতে হবে। বর্তমানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেই, দীর্ঘ ৪৪ বছর পর আজ আমরা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হতে দেখছি এবং আনত্মর্জাতিক মান বজায় রেখে আইনের খুঁটিনাটি প্রক্রিয়া শেষ করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে তাদের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের  মাধ্যমে ’৭৫ পরবর্তী ঈঁষঃঁৎব ড়ভ ওসঢ়ঁহরঃু বা বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি।
    অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স'ায়ী কমিটির সভাপতি  র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সমাজ সেবা প্রকল্প সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আল মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাঈল হোসেন, জেলা প্রশাসক ড. মো. মোশারফ হোসেন এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনির কামাল বক্তব্য রাখেন।
#
রেজাউল/মাহমুদ/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৯৪০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ১৭৭০

কারিগরি শিড়্গাই বেকারত্ব দূর করার অন্যতম পথ
                                          -- শিড়্গামন্ত্রী
ঢাকা, ২৭ মে (১৩ জ্যৈষ্ঠ): 
শিড়্গামন্ত্রী নুরম্নল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিড়্গাই বেকারত্ব দূর করার অন্যতম পথ। সাধারণ উচ্চ শিড়্গা নিয়ে বছরের পর বছর বেকার থাকার চেয়ে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিড়্গা গ্রহণ করে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা উত্তম।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় আনত্মর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ কারিগরি শিড়্গা বোর্ড আয়োজিত ‘আসন্ন ডিপেস্নামা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পরীড়্গা পরিচালনা বিষয়ে কেন্দ্র সচিবদের করণীয়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। 
দেশের সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসমূহে আগামী ১৬ জুন থেকে শুরম্ন হওয়া ডিপেস্নামা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং পরীড়্গা শেষ হবে ২৫ জুলাই। এ পরীড়্গায় দেশের সরকারি-বেসরকারি ৪৫৬টি প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৯৩ হাজার ৯শ’ ১৮ জন শিড়্গার্থী অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে ১ লাখ ৭২ হাজার ৫শ’ ৮২ জন ছাত্র এবং ২১ হাজার ৩শ’ ৩৬ জন ছাত্রী। 
শিড়্গাসচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কারিগরি শিড়্গা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত সচিব ড. অরম্নণা বিশ্বাস, মো. হেলালউদ্দিন, আনত্মর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. জীনাত ইমতিয়াজ আলী ও বাংলাদেশ কারিগরি শিড়্গা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. মোসত্মাফিজুর রহমান বক্তৃতা করেন। কর্মশালায় দেশের সরকারি-বেসরকারি ২৫৮টি পরীড়্গা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিবগণ উপসি'ত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতীয় ও বিশ্ব চাহিদার প্রেড়্গিতে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিড়্গার ওপর গুরম্নত্ব দেয়ার সময় এসেছে। জাতীয় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করতে হলে এদেশের নতুন প্রজন্মের অধিকাংশকে কারিগরি শিড়্গায় শিড়্গিত করতে হবে। চীন, জাপান, কোরিয়া, সিঙ্গাপুরসহ উন্নত দেশসমূহে কারিগরি শিড়্গায় ভর্তির হার শতকরা ৬০ ভাগের ওপরে উলেস্নখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে আমরা কারিগরি শিড়্গায় ভর্তির হার শতকরা ২০ভাগ, ২০৩০ সালের মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগে উন্নীত করার লড়্গ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। আমাদের চূড়ানত্ম লড়্গ্যমাত্রা শতকরা ৬০ ভাগ। তিনি বলেন, আমরা কারিগরি শিড়্গার অবকাঠামো, জনবল কাঠামো, শিড়্গাক্রম, শিড়্গক প্রশিড়্গণ ব্যবস'াসহ প্রয়োজনীয় সকল ড়্গেত্রই ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি জেলায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, প্রতি উপজেলায় কারিগরি স্কুল, বিশ্বমানের টেকনিক্যাল শিড়্গক প্রশিড়্গণ ইনস্টিটিউট স'াপন, প্রতি বিভাগে মহিলা পলিটেকনিক স'াপন, ৪টি ল্যান্ডসার্ভে কলেজ, ৩টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স'াপনের কাজ চলছে। পলিটেকনিকসমূহে নতুন আরো এক লাখ শিড়্গার্থী ভর্তির লড়্গ্যে বিদ্যমান পলিটেকনিকসমূহের অবকাঠামোগত সংস্কার, নতুন ২৩টি বিশ্বমানের পলিটেকনিক স'াপনসহ নতুন ১২টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে এ খাতে ৫টি প্রকল্প চালু আছে। 
সভাপতির বক্তৃতায় শিড়্গা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, খুব শীঘ্রই এমন সময় আসছে যখন কারিগরিই হবে প্রধান শিড়্গা। তার জন্য আমাদেরকে এখন থেকেই প্রস'ত হতে হবে। 
#
সুবোধ/মাহমুদ/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৯৩০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ১৭৬৯

কৃষকের সাথে যারা দুর্নীতি করে তাদেকে বয়কট করম্নন
                                            -- ভূমিমন্ত্রী

ঈশ্বরদী (পাবনা), ২৭ মে (১৩ জ্যৈষ্ঠ): 
    
    ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, কৃষকের ঘাম ঝরা উৎপাদিত ফসল গম, চাল প্রকিউরমেন্টে যারা দুর্নীতি করবে তাদের কোনো ড়্গমা নেই এবং তাদের সমাজ থেকে বয়কট করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। 

    মন্ত্রী আজ পাবনার ঈশ্বরদীতে শের শাহ রোডস' ভূমিমন্ত্রীর বাসভবনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।    

    মন্ত্রী বলেন, দেশকে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লড়্গ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশে আজ খাদ্যের ঘাটতি নেই। দেশের উন্নয়নের অগ্রগতির জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাড়ানো হয়েছে। কৃষিতে ভরতুকি দিয়ে কৃষককে স্বাবলম্বী করতে ও তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য দিতে কৃষকদের জন্য ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট চালু করে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে গম, চাল ক্রয় করছে সরকার। অথচ খাদ্য বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা, কর্মচারীর যোগসাজশে কৃষকের উৎপাদিত গম ও চাল ক্রয়ে প্রতারণা ও দুর্নীতি করা হচ্ছে। এদের হাত থেকে কৃষকদের বাঁচাতে সরকার কঠোর ব্যবস'া গ্রহণে কোনো কার্পণ্য করবে না। 

    মতবিনিময়কালে অন্যান্যের মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইং পরিচালক এস এম আবু জার, অতিরিক্ত উপপরিচালক এ কে এম. শামীম আলম, পাবনার টেবুনিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক আজাহার আলী, ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম এবং কৃষিতে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক নুরম্নন্নাহার উপসি'ত ছিলেন।

#

রেজুয়ান/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৮৪০ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর :  ১৭৬৮
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে):
    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলড়্গে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
    ‘‘শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
    বরেণ্য চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদিন আমাদের গর্ব। ১৯১৪ সালে ব্রহ্মপুত্র লালিত সবুজ-শ্যামলিমা ময়মনসিংহে এই ক্ষণজন্মা শিল্পী জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামবাংলার নৈসর্গিক সৌন্দর্য, সাধারণ মানুষের সহজ-সরল জীবনযাত্রা, মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ও সংগ্রামই ছিল তাঁর চিত্রকর্মের প্রধান উপজীব্য। ১৯৩৮ সালে সর্বভারতীয় চিত্রকলা প্রদর্শনীতে তাঁর অঙ্কিত জলরঙের ছবির জন্য তিনি স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হন যার বিষয়বস' ছিল তাঁর অশৈশব প্রেরণার উৎস ব্রহ্মপুত্র নদ। জয়নুলের কর্মে কেন্দ্রায়িত হয়েছে সমসত্ম প্রতিকূলতার বিরম্নদ্ধে নর-নারীর শ্রম ও সংগ্রাম এবং সেই সাথে তাদের ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। তিনি ইউরোপীয় স্টাইলে চিত্রাঙ্কনের ওপর লেখাপড়া করলেও প্রাচ্য বা পাশ্চাত্যের অঙ্কনধারা তাঁকে সন'ষ্ট করতে পারেনি। অতিমাত্রায় রীতিনির্ভরতার পরিবর্তে তিনি রিয়ালিজমের প্রতি আকৃষ্ট হন। এ বরেণ্য শিল্পীর কল্পনার রেখা ও তুলিতে ভাস্বর হয়ে উঠেছে ১৯৪৩ সালের ‘দুর্ভিক্ষের রেখাচিত্র’, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে ‘নবান্ন’, ১৯৭০ সালে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে লাখো উপকূলবাসীর মৃত্যুতে ‘মনপুরা’র মতো হৃদয়স্পর্শী চিত্র। শিল্পীর কালজয়ী শিল্পকর্ম দেশের গ-ি পেরিয়ে আনত্মর্জাতিক পরিম-লেও বিপুল প্রশংসা ও স্বীকৃতি লাভ করেছে। অসাধারণ শিল্প-মানসিকতা ও কল্পনাশক্তির জন্য তিনি শিল্পাচার্য উপাধিতে ভূষিত হন।
    শিল্পাচার্য জয়নুলের উদ্যোগে ১৯৪৮ সালে ঢাকা আর্ট কলেজ (বর্তমানে চারম্নকলা ইনস্টিটিউট) প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং শিল্পাচার্য জয়নুলের ঐকানিত্মক প্রচেষ্টায় ১৯৭৫ সালে সোনারগাঁওয়ে লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়। ময়মনসিংহে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা গ্যালারি। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের শিল্পকর্ম আগামী প্রজন্মকে সৃজনশীল কাজে নিরনত্মর অনুপ্রেরণা যোগাবে। বিশ্বখ্যাত এ বরেণ্য শিল্পী ১৯৭৬ সালের ২৮ মে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। শিল্পাঙ্গনে তাঁর অনবদ্য অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। 
    আমি এ বরেণ্য শিল্পীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
    খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/মাহমুদ/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৭০১ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর : ১৭৬৭

নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলড়্গে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) : 

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস-২০১৬’ উপলড়্গে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : 
    ‘‘ প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ২৮ মে দেশব্যাপী ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস-২০১৬’ উদ্‌যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলড়্গে স্বাস'্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশিস্নষ্ট সকলকে জানাই আমার আনত্মরিক শুভেচ্ছা।
    দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সকল প্রসূতির জন্য মানসম্মত সেবা আমাদের অঙ্গীকার’ যা খুবই সময়োপযোগী ও গুরম্নত্বপূর্ণ। মাতৃস্বাস'্য, নিরাপদ প্রসব, পুষ্টি ও স্বাস'্যসেবার গুণগতমান বৃদ্ধি সম্পর্কে মা, পরিবার ও সমাজে সকল সত্মরে সচেতনতা বৃদ্ধি করাই এ দিবসের মূল লড়্গ্য।
    বর্তমান সরকার মাতৃস্বাস'্য ও শিশু স্বাসে'্যর উন্নয়ন এবং মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সরকারের বহুবিধ কার্যকর পদড়্গেপের ফলে বাংলাদেশ নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই সহস্রাব্দের উন্নয়ন লড়্গ্যমাত্রা এমডিজি অর্জন করেছে। এ অভাবনীয় সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ আমরা অর্জন করেছি এমডিজি পুরস্কার। এছাড়া নারী ও শিশু স্বাসে'্যর অগ্রগতির জন্য আমরা পেয়েছি ‘সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড’।
    আমাদের এ সাফল্যকে ধরে রেখে আরও এগিয়ে যেতে হবে। জাতিসংঘ ঘোষিত 'ঝঁংঃধরহধনষব উবাবষড়ঢ়সবহঃ এড়ধষ (ঝউএ)' অর্জন করা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এসডিজি লড়্গ্যমাত্রা অনুসারে ২০৩০ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যু হার প্রতি লড়্গ জীবিত জন্মে ৭০ বা তার নীচে নামিয়ে আনতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস সরকারের গৃহীত বিভিন্ন বাসত্মবমুখী কর্মসূচির সফল বাসত্মবায়নের মাধ্যমে আমরা ঈপ্সিত লড়্গ্যে পৌঁছাতে পারব।
    আমি আশা করি, সরকারি-বেসরকারি ও উন্নয়ন সহযোগী সংস'াগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার ব্যাপকহারে হ্রাস করে এসডিজি অর্জনে সড়্গম হব। রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ বাসত্মবায়নের মাধ্যমে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণ করতে পারব।
    আমি ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস-২০১৬’ উপলড়্গে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
  জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু 
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’

#
মাহমুদ/সেলিম/মোশারফ/আব্‌বাস/২০১৬/১৭০২ ঘণ্টা 


তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর :  ১৭৬৬
নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে):
    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস, ২০১৬ উপলড়্গে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
    ‘‘প্রতি বছরের ন্যায় এবারও যথাযথ গুরম্নত্বের সাথে দেশে ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস, ২০১৬’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটি পালনের মাধ্যমে মাতৃস্বাস'্য সম্পর্কে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে বলে আমি মনে করি।
    সুস' জাতি গড়তে গর্ভবতী মা ও নবজাতকের পরিচর্যা খুবই জরম্নরি। স্বাস'্যখাতে বর্তমান সরকারের যুগানত্মকারী কর্মসূচি বাসত্মবায়নের ফলে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু, নবজাতক ও শিশুমৃত্যু হার উলেস্ন্লখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, যা একটি উজ্জ্বল দৃষ্টানত্ম। বাংলাদেশের এ অগ্রগতি জাতীয় ও আনত্মর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও প্রশংসিত। এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ জাতিসংঘ পুরস্কার লাভ করেছে। মা ও শিশুস্বাসে'্য অসামান্য অবদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল হেলথ ফর ডেভেলপমেন্ট শীর্ষক ‘সাউথ - সাউথ’ পুরস্কার অর্জন করে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস, ২০১৬ এর প্রতিপাদ্য ‘সকল প্রসূতির জন্য মানসম্মত সেবা আমাদের অঙ্গীকার’ যা মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যু হ্রাসে খুবই গুরম্নত্বপূর্র্ণ বলে আমি মনে করি।
    আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত 'ঝঁংঃধরহধনষব উবাবষড়ঢ়সবহঃ এড়ধষ (ঝউএ)' অর্জন। সরকার ইতোমধ্যে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়ন, দক্ষ জনবল নিয়োগ, প্রয়োজনীয় ঔষধ ও যন্ত্রপাতি সরবরাহের মাধ্যমে মা ও শিশু স্বাসে'্যর উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে। এছাড়া মিডওয়াইফারি কোর্স চালু, প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফদের উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে পদায়ন, মহিলা মাঠকর্মীদের ৬ মাসের ধাত্রীবিদ্যা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যু হ্রাসে গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। 
    মায়েদের ও নবজাতকের নিরাপদ ও মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় স্বাস'্যসেবা প্রদানের জন্য সংশ্লিস্নষ্ট সকলের আনত্মরিকতা ও নিষ্ঠা খুবই জরম্নরি। আমি আশা করি সকল পর্যায়ে সমন্বিত ও অর্থবহ উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যুহার হ্রাসে ঝউএ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে।
    আমি নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস, ২০১৬ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।                                                                           
    খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/মাহমুদ/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৭০০ ঘণ্টা  

Todays handout (3).doc