Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৬ জুলাই ২০২৪

তথ্যবিবরণী ১৬ জুলাই ২০২৪

Handout                                                                                                                        Number: 228

 

National air quality management plan to

formulat to improve the air quality of the country

                                        ---Environment Secretary

 

Dhaka, 16 July:

 

Secretary of the Ministry of Environment, Forest and Climate Change Dr. Farhina Ahmed said, Bangladesh National Air Quality Management Plan is being formulated with the aim of improving the country’s air quality and taking necessary steps to effectively prevent and control pollution. By implementing this, the annual number of days of good and moderate air will gradually increase in air quality index across the country including Dhaka by 2030.  This will contribute to achieving the country’s annual average PM 2.5 air pollutant PM 2.5 interim targets of WHO and the country's national standards and the implementation of the South Asia Clean Air Vision 2030.

 

Environment Secretary Dr.  Farhina Ahmed says these things in a meeting to finalize the draft of the national air quality management plan held in the Ministry prepared with the technical cooperation of the World Bank on Tuesday.

 

The Environment Secretary said, effective management of air emitted from moving, specific or unspecified sources and permanent sources including chimneys as a result of this plan; Effective management of indoor air quality; Hazardous Pollutant Control Management; Acknowledgment and dissemination of best practices in air quality management will be facilitated.  She said, clean energy, energy efficient technology, quality of fuel related to gaseous emissions; Air quality monitoring; Collection and storage of data on air quality, research, management, and assessment of its adverse effects, participation and cooperation in the global environment on air quality management will be strengthened.

 

In the meeting, Additional Secretary (Administration) Iqbal Abdullah Harun, Additional Secretary (Development) Md.  Mosharraf Hossain, Additional Secretary (Environmental Pollution Control) Tapan Kumar Biswas along with senior officials of the ministry and officials of various ministries and departments were present. The draft national air quality management plan was presented by Sidhartha Sankar Kundu, the Deputy Secretary (EPC) of the ministry, and Md. Ziaul Haque, the Director (air quality management) of the Environment Department.

 

 

#

Dipankar/Shafi/Rana/Rafiqul/Abbas/2024/2252Hours

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ২২৭

 

দেশের বায়ুমান উন্নয়নে জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে

                                                                           ---পরিবেশ সচিব

 

ঢাকা, ১ শ্রাবণ (১৬ জুলাই) :

 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেছেন, দেশের বায়ুমানের উন্নয়ন এবং কার্যকরভাবে দূষণরোধ ও নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান প্রণয়ন করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকা-সহ সারাদেশের বায়ুর গুণমান সূচকে ধীরে ধীরে ভালো এবং সহনীয় বায়ুর বার্ষিক দিনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এটি দেশের বায়ুদূষক PM ২.৫ বার্ষিক গড় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অন্তবর্তী লক্ষ্যমাত্রা ও দেশের জাতীয় মানমাত্রা অর্জন এবং দক্ষিণ এশিয়া ক্লিন এয়ার ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে।

 

মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা এর খসড়া চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এসব কথা বলেন।

 

পরিবেশ সচিব বলেন, এ পরিকল্পনার ফলে চলমান, নির্দিষ্ট বা অনির্দিষ্ট উৎস এবং চিমনি-সহ স্থায়ী উৎস হতে নিঃসরিত বায়ুর কার্যকর ব্যবস্থাপনা; গৃহাভ্যন্তরীণ বায়ুমানের কার্যকর ব্যবস্থাপনা; ঝুঁকিপূর্ণ দূষক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা; বায়ুমান ব্যবস্থাপনায় সর্বোত্তম চর্চাসমূহের স্বীকৃতি ও প্রচার সহজ হবে। তিনি আরো বলেন, পরিচ্ছন্ন শক্তি, শক্তি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি, গ্যাসীয় নিঃসরণের সহিত সম্পর্কিত জ্বালানির গুণগতমান; বায়ুমান পরিবীক্ষণ; বায়ুমানের বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও সংরক্ষণ, গবেষণা, ব্যবস্থাপনা এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব নিরূপণ, বায়ুমান ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে অংশগ্রহণ এবং সহযোগিতা জোরদার হবে।

 

এ সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, মোঃ মোশাররফ হোসেন ও তপন কুমার বিশ্বাস-সহ মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় খসড়া জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ শাখার উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান ব্যবস্থাপনা শাখার পরিচালক মোঃ জিয়াউল হক।

 

#

দীপংকর/শফি/রানা/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/২২২৫  ঘন্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ২২৬

 

সকলের প্রচেষ্টায় দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে

                                     --মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

 

গাজীপুর, ১ শ্রাবণ (১৬ জুলাই) :

 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) বলেছেন, দুর্নীতি একটি জাতির জন্য অভিশাপ। দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজ কখনোই উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাতে পারে না। সকলের প্রচেষ্টায় দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।

 

আজ গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় দুর্নীতি দমন কমিশন, গাজীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি কাপাসিয়া কর্তৃক আয়োজিত কাপাসিয়া উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সুধীজনের অংশগ্রহণে দুর্নীতি প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামাজিক বয়কট ছাড়া দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব নয়। সমাজে যারা দুর্নীতি করে তাদেরকে সালাম না দেওয়া এবং তাদের বাসায় দাওয়াত না খাওয়ার জন্য আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। আমাদের বঙ্গবন্ধু এবং তাজউদ্দীন আহমেদের জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের শিশুদেরকে শৈশব থেকে শুদ্ধচার শিক্ষা দিতে হবে। আমরা দুর্নীতিকে না বলব, সকলে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করব, জনগণের কল্যাণে সর্বদা নিয়োজিত থাকব। সকলে মিলে একটি সুন্দর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব।

 

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাযাহারুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উদ্দিন সেলিম, গাজীপুর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি সভাপতি মাহমুদ হাসান, গাজীপুর জেলার দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক বায়েজিদুর রহমান খান এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম লুৎফর রহমান উপস্থিত ছিলেন।  

 

একই দিন সকালে প্রতিমন্ত্রী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কাপাসিয়ায় হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সমন্বয় সভা ও বাংলাদেশ স্কাউট কাপাসিয়া নির্বাহী কমিটির সভায় অংশগ্রহণ করেন।

 

 

#

নূর আলম/শফি/রানা/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/২১২৭ ঘন্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর: ২২৫

দক্ষ কর্মী নিতে আগ্রহী জাপান

     --- প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১ শ্রাবণ (১৬ জুলাই):

          জাপান বিভিন্ন খাতে দক্ষ জনবল নিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

          আজ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত সংযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরির সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপানের বিভিন্ন খাত বিশেষ করে কেয়ার গিভিং, কৃষিখাত-সহ অন্যান্য খাতে প্রচুর দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন রয়েছে। এজন্য রাষ্ট্রদূত জাপানি ভাষা শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন। আমরাও আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)তে জাপানি ভাষা ও কারিগরি জ্ঞানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দক্ষ কর্মীদের জাপানে নিয়োগ দিতে প্রস্তুত রয়েছি।

          প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহে যুগোপযোগী ও আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রশিক্ষকদের জাপান ভাষায় দক্ষ করতে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। আধুনিক যন্ত্রপাতির ও ভালো মানের ভাষা প্রশিক্ষকদের সমন্বয় আমরা আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ দ্রুত সময়ে ঢেলে সাজাতে সক্ষম হব।

           বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব মোঃ রুহুল আমিন, বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ খায়রুল আলম-সহ অন্যরা।

#

 সৈকত/শফি/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর: ২২৪

‘একুশ পদক ২০২৫’ এর মনোনয়ন/প্রস্তাবের শেষ তারিখ ২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর

ঢাকা, ১ শ্রাবণ (১৬ জুলাই):

          একুশে পদক প্রদান সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য বছরের ন্যায় ২০২৫ সালে সরকার কর্তৃক ভাষা আন্দোলন, শিল্পকলা (সংগীত, নৃত্য, অভিনয়, চারুকলা-সহ সকল ক্ষেত্র), মুক্তিযুদ্ধ, সাংবাদিকতা, গবেষণা, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, অর্থনীতি, সমাজসেবা, রাজনীতি, ভাষা ও সাহিত্য এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোনো ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় ও গৌরবোজ্জ¦ল অবদানের স¦ীকৃতিস¦রূপ ব্যক্তি (জীবিত/মৃত), গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে একুশে পদক প্রদান করার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে।

          এ লক্ষ্যে সরকারের সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থা, সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, সকল জেলা প্রশাসক এবং স¦াধীনতা পদক/একুশে পদকে ভূষিত সুধীবৃন্দকে আগামী ৩১ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখ বৃহস্পতিবারের মধ্যে মনোনয়ন/প্রস্তাব সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।

          এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাবলি ও একুশে পদক নীতিমালা এবং মনোনয়ন প্রস্তাবের ফরম সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইট www.moca.gov.bd এবং www.moi.gov.bd-তে পাওয়া যাবে।

          সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।

#

 আইরিন/শফি/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২১০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ২২৩

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ১ শ্রাবণ (১৬ জুলাই):

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ সময় ১৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

          গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৯৮ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৮ হাজার ৭৩১ জন।

#

দাউদ/শফি/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৮০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর: ২২২

কোটার বিষয়ে আদালতকে পাশ কাটিয়ে কিছুই করবে না সরকার

                                                                              --- আইনমন্ত্রী

ঢাকা, ১ শ্রাবণ (১৬ জুলাই):

              কোটা সংস্কারের বিষয়ে সরকার সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে কিছুই করবে না বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। প্রশ্ন উঠেছে কোটা আদালতের বিষয় নয়, সরকারের বিষয়- একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আদালতে যখন একটি বিষয় যায়, তখন সরকার অপেক্ষা করে আদালত কি বলে, তারপর সরকারের পদক্ষেপ নেওয়ার সময় হয়। তাই কোটার বিষয়ে সরকার আদালতের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। সরকার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতকে সম্মান করবে। কোটার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দিবে সরকার সেটা বিবেচনা করবে। সেটা প্রতিপালন করার চেষ্টা করবে। সরকার কোটার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতকে পাশ কাটিয়ে কিছুই করবে না।

            আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ‘বিচারহীনতায় বাংলাদেশ: বেআইনি আইন ইনডেমনিটি ও কারারুদ্ধ জননেত্রী’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম।

             সেমিনারে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করেন। এরপর ৭ থেকে ৮ জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে মামলা করেন। আজ যারা কোটা আন্দোলন করছেন, তারা তো হাইকোর্টে যাননি। হঠাৎ একদিন যখন হাইকোর্টের রায়ের কথা পত্রিকায় বের হয়েছে, তখন তারা আন্দোলনে নেমে পড়েছেন। পরে তারা হাইকোর্টে না গিয়ে রাস্তায় আন্দোলনে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

            আনিসুল হক বলেন, স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদকারী ছাত্রছাত্রীরা চাইলে আইনজীবীর মাধ্যমে তাদের বক্তব্য আদালতের সামনে তুলে ধরতে পারেন। আদালত মূল দরখাস্ত বিবেচনা, নিষ্পত্তিকালে তাদের বক্তব্য বিবেচনায় নিবেন। সর্বোচ্চ আদালত তাদের এ আশ্বাস পর্যন্ত দিয়েছেন। তারপরও এ আন্দোলন করার কোনো প্রয়োজনীয়তা আছে? আন্দোলনের যে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে, এর প্রয়োজনীয়তা থাকে?

            আইনমন্ত্রী বলেন, আজকে ইনডেমনিটি আইনের ধারাবাহিকতায় আমরা কিন্তু এখন ছাত্রদের মুখে স্লোগানের কথা শুনছি। যারা আন্দোলন করছেন, তারা যদি- আমি কে, তুমি কে, আমরা বাঙালি, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান- বলতেন তাহলে আমি অবশ্যই বলতাম তারা সঠিক পথে আছেন।

            মন্ত্রী বলেন, যৌক্তিক কথা জননেত্রী শেখ হাসিনা শুনবে। জনগণের জন্য যেটা ভালো হয়, সেটা প্রধানমন্ত্রী করবেন। কিন্তু তাঁর সরকার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হবে না। সেই আদর্শ হলো- বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কেউ নষ্ট করতে পারবে না। বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ অসম্মান করতে পারবে না। আমাদের এই চেতনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। এই চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ এবং একটি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত দেশ হিসেবে পরিচিত করার সংগ্রামে লিপ্ত হতে হবে।

            ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাংলাদেশে বিচারহীনতার জন্ম দিয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট করে দেওয়ার হাতিয়ার হয়েছিল। এই অধ্যাদেশ জন্ম দিয়েছিল বাংলাদেশে রাজাকার, আলবদর এবং নিজামী মুজাহিদরাই থাকবে, মুক্তিযোদ্ধারা থাকবে না। ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাংলাদেশের অনেক ক্ষতি করেছে উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালের ১২ই নভেম্বর এই অর্ডিন্যান্স বাতিল করে প্রমাণ করে দেন যে, বাংলাদেশের জনগণ এই অর্ডিন্যান্স সহ্য করবে না।

            জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য তারানা হালিম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, বঙ্গবন্ধু গবেষক মো. হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক নেতা মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।

#

  রেজাউল/শফি/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৯০০ঘণ্টা  

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ২২১

যারা রাজাকারের পক্ষে স্লোগানে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন

                                                                                                             --- পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা, ১ শ্রাবণ (১৬ জুলাই):

          পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, কোটা আন্দোলনের নামে যারা রাজাকারের পক্ষে স্লোগানে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

          আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ‘১৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস’উপলক্ষ্যে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে মন্ত্রী একথা বলেন।

          ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, সরকারি চাকুরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে কিছু শিক্ষার্থী যখন আন্দোলন শুরু করে, তখন সেখানে বিএনপি-জামাত তাদের ‘প্ল্যান্টেড’ লোক ঢুকিয়ে দিয়েছে এবং কোটাবিরোধী আন্দোলনকে রাষ্ট্রবিরোধী, সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা করছে। সেই কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজাকারের পক্ষে স্লোগান এসেছে। তিনি বলেন, যারা এই আন্দোলন করছে, তারা দেশের সংবিধান মানতে চায় না। দেশের অনগ্রসর গোষ্ঠীকে রাষ্ট্রের কার্যক্রমে যুক্ত করার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি সংবিধানে আছে।

           কোটার বিষয়টি এখন আদালতের এখতিয়ারভুক্ত উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, সরকার শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে কোটাপদ্ধতি বাতিলের যে প্রজ্ঞাপন দিয়েছিল, একজন ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হয়ে মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট সেটি বাতিল করেছিল, সুপ্রিম কোর্ট আবার সেটির ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ এটি আদালতে বিচারাধীন বিষয়। এটি নিয়ে সরকার কিছু করতে গেলে আদালত অবমাননা হবে, সংবিধানবিরোধী হবে।

          ‘এটি বুঝেও বিএনপি-জামাতের প্ল্যান্টেড যারা, তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভুল বোঝাচ্ছে, আবেগ-অনুভূতিকে ব্যবহার করে সরকারের বিরূদ্ধে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছে এমন কি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও অপপ্রচার চালাচ্ছে’ বলেন তিনি।

          জননেত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক চীন সফর থেকে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে কোটা নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জননেত্রী স্পষ্ট বলেছেন, বিষয়টি যখন আদালতে বিচারাধীন, তখন এ বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই। আদালত যেভাবে নির্দেশনা দেবে, সরকার সেই মোতাবেক কাজ করবে।’

          হাছান বলেন, এটি বুঝেও ঔদ্ধত্যপূর্ণ স্লোগান, আন্দোলন এগুলো আদালত অবমাননার শামিল, সংবিধানের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বেদীমূলে চপেটাঘাত। সুতরাং যারা রাজাকারের পক্ষে স্লোগানে নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে, আইন-আদালতের মর্যাদা রক্ষার্থে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

          পাশাপাশি তিনি জানান, আজ নারী শিক্ষার্থীরা রাস্তায় দাঁড়িয়েছে নারী কোটা রক্ষার জন্য, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা দাঁড়িয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য, চাকমা-মারমা-সহ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীও তাদের কোটার জন্য দাঁড়িয়েছে।

          এ সময় আওয়ামী লীগকে দেশ পাহারা দিতে হবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা নির্বাচন ভন্ডুল করতে চেয়েছিল, সেটি না পেরে কখনো কোটা, কখনো তেল-গ্যাসের মধ্যে ঢুকছে। আর আমরা নির্বাচনের আগে রাজপথে থেকেছি, জয়লাভ করেছি বলে ঘরে বসে থাকা নয়, এখন দেশ পাহারা দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, দেশবিরোধী অপশক্তি যখন দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তরুণদেরকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বেদীমূলে আঘাত হানার চেষ্টা করছে, তাদের রুখে দিতে রাজপথে থাকতে হবে, দেশ পাহারা দিতে হবে।

গণতন্ত্রের মুক্তি আন্দোলনে শেখ হাসিনাই একমাত্র প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর

          এর আগে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহ্মুদ বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সরকার দুর্নীতির বিরূদ্ধে স্লোগান দিয়ে ক্ষমতা দখল করার সময় ক্ষমতায় ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু তারা বেগম জিয়াকে প্রথমে গ্রেফতার করেনি। গ্রেফতার করেছে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। কারণ অন্যায়-দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্রের মুক্তি আন্দোলনে শেখ হাসিনাই একমাত্র প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর।

          তিনি বলেন, ২০০৭ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওয়ান-ইলেভেনের সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে ক্ষমতা দখল করলেও যখন দেখা গেল তারা নিজেরাই দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ছে, দেশে অন্যায় হচ্ছে, স্বামীর অপরাধে প্রসূতি স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, পিতার অপরাধে কন্যাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, গণতন্ত্রকে হরণ করা হয়েছে, তখন জননেত্রী শেখ হাসিনা এর প্রতিবাদ করেছিলেন।

          ড. হাছান বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সরকার ছিল বেসামরিক লেবাসে প্রকৃতপক্ষে সামরিক শাসন। আর যারা সেই সরকারের বিভিন্ন পদে আসীন হয়েছিলেন, তারা ছিলেন ভাড়াটিয়া, তারা সেনাসমর্থিত সরকারের ভাড়া খাটতে গিয়েছিলেন। এ ধরনের অনেক লোক আছেন, যারা সুযোগের অপেক্ষায় ওত পেতে বসে থাকেন, কখন ভাড়ায় খাটবেন।

          পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সরকার যেহেতু গণতন্ত্রের পায়ে শেকল পরিয়েছিল, তাই গণতন্ত্রের মুক্তি আন্দোলনের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যাকেই প্রথমে গ্রেফতার করেছিল এবং এমন নির্জন কক্ষে রাখা হয়েছিল যে জননেত্রী শেখ হাসিনা বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন এবং তাঁকে হাসপাতালে বা আদালতে নেওয়ার সময় ছাড়া আমাদের এক নজর দেখার আর সুযোগ ছিল না।

          ড. হাছান মাহ্মুদ স্মরণ করিয়ে দেন, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের পর আমাদের কর্মীরা যেভাবে আন্দোলন করেছে, তাতে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াও মুক্তি পেয়েছিলেন। আর শেখ হাসিনার কারাবন্দি সময়ে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান দলকে ভাঙনের হাত থেকে বাঁচিয়ে ঐক্যবদ্ধ রাখতে বড় ভূমিকা রেখেছেন।

          ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমেদ এমপি’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় সভায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি সম্মানিত অতিথি এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বিশেষ অতিথি ও ঢাকা ১৯ আসনের এমপি মোঃ সাইফুল ইসলাম আমন্ত্রিত বক্তার বক্তব্য রাখেন।

#

আকরাম/শফি/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৯২৫ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ২২০

 

সম্প্রতি পত্রিকান্তরে প্রকাশিত রপ্তানির উপাত্ত সংক্রান্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য

 

ঢাকা, ১ শ্রাবণ (১৬ জুলাই) :

 

সম্প্রতি পত্রিকান্তরে প্রকাশিত রপ্তানির উপাত্ত সংক্রান্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয় নিম্নোক্ত মন্তব্য করেন।

 

‘সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি তথ্যের মধ্যে সমন্বয় সাধন (Reconciliation) এর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা কর্তৃক উপাত্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে বর্তমানে একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। ফলে আশা করা যায় এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর প্রকাশিত রপ্তানি তথ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য থাকবে না।

 

উল্লেখ্য, রপ্তানির বিপরীতে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা প্রকৃতপক্ষে দেশে আসে বাংলাদেশ ব্যাংক শুধু সেই পরিমাণ অর্থ দেশের রপ্তানির পরিমাণ হিসেবে প্রকাশ করে থাকে। জিডিপি'র হিসাব করার সময় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বাংলাদেশ ব্যাংকের এ হিসাবকেই বিবেচনায় নেয়। ফলে সম্প্রতি পত্র-পত্রিকায় রপ্তানি কমে যাওয়া এবং এর ফলে জিডিপি ও মাথাপিছু আয় কমে যাবার যে আশঙ্কা করা হয়েছে তা সঠিক নয়।

 

আরো উল্লেখ্য, ব্যালেন্স অভ্ পেমেন্টের চলতি হিসাব এবং আর্থিক হিসাবের কিছু ক্ষেত্রে উপাত্তের পুনর্বিন্যাস হয়েছে। তবে এর ফলে ব্যালেন্স অভ্ পেমেন্টের সার্বিক ভারসাম্যে কোনো পরিবর্তন আসবে না। ইতোমধ্যে সকলের অবগতির জন্য পুনর্বিন্যস্ত ব্যালেন্স অভ্ পেমেন্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।

 

রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রদত্ত নগদ আর্থিক প্রণোদনার পরিমাণ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রকাশিত প্রকৃত রপ্তানি আয় প্রাপ্তি এবং থার্ড পার্টি অডিটরের মাধ্যমে প্রকৃত ক্যাশ ইনসেন্টিভ নিরূপণের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। সুতরাং, সরকার কর্তৃক রপ্তানির বিপরীতে যে নগদ আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে তা সঠিক রয়েছে।’

 

                                               #

গাজী/শফি/রানা/মোশারফ/রফিকুল/আব্বাস/২০২৪/১৮৩৩ ঘন্টা

তথ্যবিবরণী                                                                               নম্বর : ২১৯

নিউইয়র্কে সাবের হোসেন চৌধুরীর সাথে জাপানের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক

বাংলাদেশের সবুজ ও টেকসই উন্নয়নে জাপানের অব্যাহত সহযোগিতার বিষয়ে পরিবেশমন্ত্রীর কামনা                                                                              

নিউইয়র্ক, ১৬ জুলাই :    

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে সবুজ বিনিয়োগ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে সবুজ, টেকসই ও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে জাপানের অব্যাহত সহায়তা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকিকে সহিষ্ণুতা

এবং সমৃদ্ধিতে রূপান্তরিত করার জন্য জাপানকে মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে বিনিয়োাগের জন্য আমন্ত্রণ জানান।

মন্ত্রী গতকাল নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে জাপানের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী মটোমে তাকিসাওয়ার সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এসব কথা বলেন।   

সাবের হোসেন চৌধুরী আগামী এনডিসি এবং নিঃসারণ কমানোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের মিথেন হ্রাস লক্ষ্য পূরণে জাপানের সহায়তা কামনা করেন। তিনি গবেষণা, জ্ঞান ভাগাভাগি এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা কামনা করেন। তিনি প্রস্তাব করেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের অধীনে সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে জয়েন্ট ক্রেডিটিং মেকানিজমের মাধ্যমে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য।

জাপানের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী মটোমে তাকিসাওয়া এশিয়া প্যাসিফিক ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপ্টেশন ইনফরমেশন প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন প্রযুক্তির কথাও উল্লেখ করেন, যা বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হতে পারে।

উভয় পক্ষই জীববৈচিত্র্য সংক্রান্ত জাতিসংঘ কনভেনশন, ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অব ক্লাইমেট চেঞ্জ এবং জাতিসংঘের কনভেনশন অন কমবেটিং ডেজার্টিফেশনের পাশাপাশি সমসাময়িক বিষয়ে বহুপাক্ষিক আলোচনা করেন। এসময় প্লাস্টিক

2024-07-16-16-54-8a479072191a14cc77870c18f0e94a2e.docx