তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭১১
বাজার তদারকি
৪০ প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৭১ হাজার টাকা জরিমানা
ঢাকা, ১৯ ফাল্গুন (২ মার্চ) :
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় আজ ঢাকা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, পঞ্চগড় ও ভোলায় বাজার তদারকি করে। তদারকিকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের দায়ে ৪০টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ৭১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মহানগরীর সূত্রাপুর এলাকায় পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে ক্যাপিটাল কনফেকশনারিকে ১০ হাজার টাকা, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরির অপরাধে শ্রী মা সুইটসকে ১০ হাজার টাকা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরির অপরাধে নিউ সালেহ রেস্তোরাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে ঢাকা মহানগরীর কোতয়ালী এলাকায় পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকার অপরাধে মানিক সুইটমিটকে ১০ হাজার টাকা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরির অপরাধে নিউ ক্যাফে আল সবুর হোটেল এ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি, পণ্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা, ওজনে কারচুপি, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, এবং বাটখারা ও ওজন পরিমাপক যন্ত্রসমূহ বাজেয়াপ্ত করা হয় প্রভৃতি অপরাধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা, কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১৯ হাজার টাকা, পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭ হাজার টাকা, রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ১১ হাজার ৫শ’ টাকা, নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলায় ২টি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা, ভোলার দৌলতখান উপজেলায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার ৫শ’ টাকা এবং ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, মহানগর ও জেলা পুলিশ, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর বাজার কর্মকর্তা ও ক্যাব এসব তদারকি কার্যে সহায়তা করে। তদারকিকালে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট ও প্যাম্পলেট বিতরণ করা হয়।
#
আফরোজা/আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৯৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭১০
শিশু নির্যাতনকারীদের বিষয়ে সরকারের নীতি জিরো টলারেন্স
-- মহিলা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ ফাল্গুন (২ মার্চ) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, শিশু নির্যাতনকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করার বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর। অপরাধী যেই হোক তাকে শাস্তি পেতেই হবে। এই বিষয়ে সরকারের নীতি জিরো টলারেন্স। চাঞ্চল্যকর শিশু হত্যা মামলাগুলোকে মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিক মনিটর করছে বলে তিনি জানান।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে পপুলেশন কাউন্সিল আয়োজিত বাল্যবিবাহ বন্ধে বালিকা (ইঅখওকঅ- ইধহমষধফবংয অংংড়পরধঃরড়হ ভড়ৎ ঝশরষষং, ওহপড়সব ধহফ কহড়ষিবফমব ভড়ৎ অফড়ষবংপবহঃ এরৎষং) প্রকল্পের সফলতার ওপর সম্পাদিত এক সমীক্ষার ওপর আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
আলোচনাসভায় পপুলেশন কাউন্সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. উবায়দুর রব, নেদারল্যান্ড দূতাবাসের ডেপুটি হেড অভ্ মিশন মার্টিন ভন হুগস্ট্রাটেন (গধৎঃরহব ঠধহ ঐড়ড়মংঃৎধঃবহ) এবং পপুলেশন সার্ভিস এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ড. নূর মোহাম্মদ বক্তব্য রাখেন। সমীক্ষা উপস্থাপন করেন পপুলেশন কাউন্সিলের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ড. সাজেদা আমিন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, জাতি আজ নারী ও শিশুদের বিষয়গুলো গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ৭ বছর থেকে ১৫ বছরের শিশুরা জীবনের একটি নতুন অভিজ্ঞতা উপলব্ধি করতে শুরু করে এবং এই অভিজ্ঞতা তাদের কাছে খুবই নতুন। এই সময়টা শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সাধারণত এই সময়টাকে গুরুত্ব দেই না। এই সময়টাকে এডোলেসেন্ট পিরিওড বা বয়ঃসন্ধিকাল বলে। এই বয়সী কিশোরী মেয়েদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান এবং উপার্জনমুখী কর্মে নিয়োজিত করতে পারলে বাল্যবিবাহ অনেক কমে আসবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
#
খায়ের/আফরাজ/মিজান/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৯৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭০৯
ইন্ডিপেন্ডেন্ট কাপ স্কোয়াশ টুর্নামেন্ট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী
স্কোয়াশ ফেডারেশনের জমি দ্রুত ছাড় করার ব্যবস্থা করা হবে
ঢাকা, ১৯ ফাল্গুন (২ মার্চ) :
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ইন্ডিপেন্ডেন্ট কাপ স্কোয়াশ টুর্নামেন্ট আজ থেকে শুরু হয়েছে। নেপালের চারজনসহ প্রায় ৯০ জন খেলোয়াড় এ টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছেন। নৌবাহিনীর সদরদপ্তর স্কোয়াশ কমপ্লেক্স ও গুলশান ক্লাবে এ টুর্নামেন্টের খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে নৌবাহিনী স্কোয়াশ কমপ্লেক্সে আজ এ টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, সরকার প্রতিটি খেলাকেই গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করছে। বাংলাদেশ স্কোয়াশ র্যাকেট ফেডারেশনের নিজস্ব স্কোয়াশ কোর্টের জন্য যে জমি দেয়া হয়েছে, তা দ্রুত ছাড় করার ব্যবস্থা করা হবে। এ খেলার মান বৃদ্ধির জন্য শুধু স্পন্সরই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন সঠিক অনুশীলনের। তাই নিজস্ব কোর্ট থাকা প্রয়োজন। খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যে সাফল্য দেখায়, তাতে দেশের পরিচিতি অনেকগুণ বৃদ্ধি পায়। সাফ গেমেসে স্কোয়াশ প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ পদক বিজয়ী চারজন খেলোয়াড়কে তিনি অভিনন্দন জানান। মন্ত্রী তাঁর যুববয়সে স্কোয়াশ খেলার স্মৃতিচারণ করে এ খেলার প্রসার ঘটাতে সকল প্রকার সহযোগিতা দেয়ার আশ^াস দেন।
বাংলাদেশ স্কোয়াশ র্যাকেট ফেডারেশনের সভাপতি সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী সংসদ সদস্য ফারুক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিস এ খান, গুলশান ক্লাবের প্রেসিডেন্ট সাখাওয়াত আবু খায়ের মোহাম্মদ ও ফেডারেশনের সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর হানিফ বক্তৃতা করেন ।
#
কিবরিয়া/আফরাজ/মোশাররফ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭০৮
বর্তমানে দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি
-- নারায়ণ চন্দ্র চন্দ
ডুমুরিয়া (খুলনা), ১৯ ফাল্গুন (২ মার্চ) :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি। এটি ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের জীবন হচ্ছে সহজ এবং স্বচ্ছন্দময়।
প্রতিমন্ত্রী আজ খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা আইসিটি ট্রেনিং এন্ড রিসোর্স সেন্টার ফর এডুকেশন (টওঞজঈঊ)-এর নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বায়নের যুগে যে কোনো দেশের উন্নয়ন এবং দারিদ্র্যবিমোচনে তথ্যপ্রযুক্তি অন্যতম ভূমিকা পালন করতে পারে। বর্তমান সরকারের সময়ে শিক্ষাখাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার অনেক বেড়েছে। ইতোমধ্যে সারা দেশে প্রায় ৩০ হাজার মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আইসিটির মাধ্যমে শিক্ষা, চিকিৎসা, অর্থনীতি, বিনিয়োগ, ব্যবস্যা-বাণিজ্য এবং পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয়কে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয়েছে। আমাদের দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তিক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের তুলনায় মোটেও পিছিয়ে নেই। তারা বিভিন্ন দেশে অত্যšত দক্ষতা ও সুনামের সাথে কাজ করছে। প্রতিমন্ত্রী ডুমুরিয়া উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে পরিণত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামছুদ্দৌজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. খান আলী মুনসুর এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সেখ ফিরোজ আহমেদ বক্তৃতা করেন।
#
জাকির/আফরাজ/ড. রেজাউল/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭০৬
সড়ক বিভাগ
৩ হাজার ৬শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে দু’টি প্রকল্প
বাস্তবায়নে পরামর্শক নিয়োগে চুক্তি স্বাক্ষরিত
ঢাকা, ১৯ ফাল্গুন (২ মার্চ) :
রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও গোপালগঞ্জ সড়ক জোনে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৬১টি ছোটবড় সেতু নির্মাণ করা হবে। এ লক্ষ্যে পরামর্শক নিয়োগে আজ ঢাকার তেজগাঁওয়ে সড়কভবনে দু’টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সেতুগুলো নির্মাণে জাপান সরকার প্রকল্প সহায়তা দিবে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।
চুক্তিপত্রে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে জাপানের ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক তমোয়ুকি ফুকোসিমা স্বাক্ষর করেন।
পাশাপাশি এসময় কক্সবাজার জেলার চকোরিয়ার একতাবাজার হতে মহেশখালীর মাতারবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক চারলেনে উন্নীত করার লক্ষ্যে পরামর্শক নিয়োগের চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। মাতারবাড়ি কয়লানির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের সংযোগ সড়ক হিসেবে এ চারলেন সড়কটি নির্মিত হবে। প্রায় ৬শত দুই কোটি টাকা ব্যয়ে চারলেন প্রকল্পে জাপানি সহায়তা থাকছে প্রায় ৫শ’ ৫ কোটি টাকা।
এ প্রকল্পের চুক্তিপত্রে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকোশলী ইবনে আলম হাসান এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অস্ট্রেলিয়ার এসএমইসি ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড (ঝগঊঈ ওহঃবৎহধঃরড়হধষ চাঃ. খঃফ.) এর কান্ট্রি ম্যানেজার মো. সামিউল হোসেন স্বাক্ষর করেন।
চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীগণসহ ঢাকায় জাইকা অফিস ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
নাছের/আফরাজ/মিজান/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭০৫
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সাথে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১৯ ফাল্গুন (২ মার্চ) :
বাংলাদেশে রাশিয়া ফেডারেশনের রাষ্ট্রদূত আলেক্সজান্ডার এ নিকোলায়েভ (অষবীধহফবৎ অ ঘরশড়ষধবা) আজ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহ্রিয়ার আলমের সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিদায়ি সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাশিয়া সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সরকার এবং নেতৃবৃন্দের সদিচ্ছার ফলে দু’দেশের সম্পর্কে দৃশ্যমান অগ্রগতি এসেছে। দু’দেশের মধ্যে নিয়মিত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনা এ সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেন। তিনি জানান, ঢাকা ও মস্কোর মধ্যে পুনরায় বিমান যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে রাশিয়ার কয়েকটি বিমান চলাচল কোম্পানি ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। সরাসরি বিমান যোগাযোগ দেশ দু’টির মধ্যে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পর্ক সম্প্রসারণের মাধ্যমে দু’দেশের জনগণের মধ্যে বিরাজমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরো বৃদ্ধি করবে বলে রাষ্ট্রদূত নিকোলোয়েভ মন্তব্য করেন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আরো জানান, রাশিয়ান কোম্পানি গ্যাজপ্রম ও বাংলাদেশের পেট্রোবাংলা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ১০টি স্থানে গ্যাসকূপের অনুসন্ধান কার্যক্রম চালিয়েছে এবং শীঘ্রই আরো ৫টি স্থানে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালাবে।
অত্যন্ত সফলতার সাথে বাংলাদেশে চারবছর দায়িত্ব পালনের জন্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহ্রিয়ার আলম রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার নিকোলায়েভকে অভিনন্দন জানান। তিনি রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে রাশিয়ান সরকারকে সে দেশে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার প্রদানের অনুরোধ জানান। সেই সাথে উন্নয়নশীল দেশসমূহের বর্তমান সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ হতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী উন্নয়নশীল দেশসমূহের জন্যও এ সুবিধা প্রদানের বিষয়টি উত্থাপন করেন।
প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাশিয়া সফরকালে স্বাক্ষরিত ইন্টার গভর্নমেন্টাল এগ্রিমেন্ট’র আওতায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য রাশিয়ার সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
#
খালেদা/আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৮৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭০৪
নির্বাচন কমিশন
ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার সকল ইউপি নির্বাচন বন্ধের নির্দেশ
ঢাকা, ১৯ ফাল্গুন (২ মার্চ) :
দ্বিতীয় পর্যায়ের ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন বন্ধ করতে নির্বাচন কমিশন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেছে।
এছাড়া, ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার চিখিলা, বক্সমাহমুদ ও মির্জানগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় একদিন বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগামীকাল ৩ মার্চ পর্যন্ত এ তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে।
#
আসাদুজ্জামান/আফরাজ/মিজান/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭০২
সংসদ ও গণতন্ত্র বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিপিএ’র রোডশো উদ্বোধন
ঢাকা, ১৯ ফাল্গুন (২ মার্চ) :
কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশন (সিপিএ) কমনওয়েলথভুক্ত তরুণ প্রজন্মের মাঝে সংসদ ও গণতন্ত্র বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রথমবারের মত রোড শো কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সিপিএ ণড়ঁঃয জড়ধফ ঝযড়ি ড়হ চধৎষরধসবহঃধৎু উবসড়পৎধপু কর্মসূচি কমনওয়েলথভুক্ত সকল দেশে পরিচালনা করবে। সিপিএ বাংলাদেশ শাখা কর্তৃক বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে আজ এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সিপিএ চেয়ারপারসন ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, বিএএফ শাহীন কলেজ, শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং শেরে বাংলা নগর বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৫০ জন ছাত্রছাত্রী স্পিকারের আমন্ত্রণে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংসদের হুইপ মো. শহিদুজ্জামান সরকার, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত ও সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াছমিন এবং সংসদ সচিব ড. মো. আবদুর রব হাওলাদার এসময় উপস্থিত ছিলেন।
তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ, নেতৃত্ব প্রদান, গণতন্ত্র ও সংবিধান সম্পর্কে ধারনা প্রদান এ কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য। সিপিএভুক্ত ৯টি আঞ্চলিক পর্যায়ের দেশসমূহের স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। কমনওয়েলথভুক্ত ৫৩টি সদস্যদেশের মোট জনসংখ্যা ২০০ কোটির (২বিলিয়ন) বেশি। এর মধ্যে শতকরা ৬০ জনের বয়স ৩০ বছরের কম। সিপিএ রোড শো’র লক্ষ্য হলো তরুণপ্রজন্মকে সিপিএ-এর কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত করা এবং গণতন্ত্র সম্পর্কে তাদেরকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলা।
এ উপলক্ষে সিপিএ চেয়ারপারসন বলেন, কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আজ এ রোড শো কর্মসূচির উদ্বোধন করতে পেরে আমি আনন্দিত। তিনি বলেন, দেশের তরুনসমাজ হলো কমনওয়েলথের ভবিষ্যৎ। সিপিএ দেশের তরুণ সমাজকে একই মঞ্চে একীভূত করে তাদের সামনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু তুলে ধরতে চায়, যা তাদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, সিপিএ হলো বিশ্বের ১৮০ টি দেশের সংসদের এক অনন্য নেটওয়ার্ক এবং সিপিএ রোড শো তরুণ সমাজকে গণতন্ত্র চর্চায় উদ্বুদ্ধ করবে।
উল্লেখ্য, পার্লামেন্টসমূহ, সংসদ-সদস্যগণ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ সিপিএ কর্মকান্ডের মাধ্যমে এক অপরের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ পাচ্ছেন। এসব কর্মযজ্ঞের মধ্যে রয়েছে: বার্ষিক কমনওয়েলথ সম্মেলন, পার্লামেন্টারি সেমিনার ও ওয়ার্কশপ। এছাড়া, প্রকাশনা- যেমন, দ্য পার্লামেন্টারিয়ান, দ্য জার্নাল অভ্ কমনওয়েলথ পার্লামেন্টস্ এবং বিভিন্ন পার্লামেন্টের তথ্যসংবলিত িি.িপঢ়ধযয়.ড়ৎম ওয়েবসাইটে বিশ্বব্যাপী এর কার্যক্রম সম্পর্কে জানার দ্বার উন্মুক্ত রয়েছে।
#
হুদা/আফরাজ/মোশাররফ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭০১
আন্তঃজেলা সীমানা বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর
ঢাকা, ১৯ ফাল্গুন (২ মার্চ) :
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ সারাদেশের আন্তঃজেলা সীমানা বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসাথে তিনি সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের সরকারি সীমানা নির্ধারণ কাজে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
ভূমিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ ও নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাধীন আন্তঃজেলা সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে আয়োজিত সভায় এ নির্দেশ দেন। মন্ত্রী সভায় সভাপতিত্ব করেন।
ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, ভূমি সচিব মেছবাহ উল আলম, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ আব্দুল আহাদ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আবুয়াল হোসেন ও সিরাজুল ইসলাম এবং নোয়াখালী জেলা প্রশাসক বদরে মুনির ফেরদৌস সভায় উপস্থিত ছিলেন।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, দ্রুত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আন্তঃজেলা সীমানা নির্ধারণে একটি স্বচ্ছ চিত্র দাঁড় করাতে হবে। অবশ্যই মানুষের দুর্ভোগ কমাতে হবে। তিনি বলেন, প্রয়োজনে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের জনবল আবারও সীমানা পিলার বসাতে যাবেন। তিনি এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিকতা ও তাদের একান্ত সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। সরকার ও আইন জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার উড়িরচর এলাকার ১৯৫৪ সালের গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে ৬০টি মৌজার সমন্বয়ে চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ থানার আঞ্চলিক সীমানা ঘোষণা করা হয়। এ ৬০টি মৌজার মাধ্যমে ৩৬ নং চরবালুয়া, ৩৪ নং চর এলাহী ও ৩৫ নং চরলেংটা ও ২৩/২৪ নং চরযাত্রা মৌজা অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এছাড়া নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ১৯৩৬ সালে এবং সর্বশেষ ১৯৫৪ সালের সংশোধিত ম্যাপ অনুযায়ী ৩৬ নং চর বালুয়া, ৩৪ নং চর এলাহী, ৩৫ নং চর লেংটা ও ২৩/২৪ নং চর যাত্রা কোম্পানীগঞ্জ থানার অন্তর্গত। এ গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৪টি মৌজা কোম্পানীগঞ্জ থানার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এভাবেই ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের জুরিসডিকশন লিস্ট সংশোধন করা হয়।
১৯৫৪ সালের সংশোধিত সীমানা মোতাবেক কোম্পানীগঞ্জ ও সন্দ্বীপ থানার সীমানা নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম জেলার সীমানা হিসেবে গণ্য হবে এবং সীমানা নির্ধারণের পর এক জেলার অধিবাসীদের জমি অন্য জেলাভুক্ত হলেও জমির মালিকানা অক্ষুণœ থাকবে, জমির মালিকানায় কোনো হেরফের হবে না মর্মে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
#
রেজুয়ান/আফরাজ/মিজান/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭০০
সাগিয়ার ডেপুটি গভর্নরের সাথে বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী
সৌদি আরবের সাথে দ্বিপাক্ষিক পুঁজি বিনিয়োগ চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে
ঢাকা, ১৯ ফাল্গুন (২ মার্চ) :
বিনিয়োগ সংক্রান্ত পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও শিল্পে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক পুঁজি বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সৌদি আরব সফররত শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। শীঘ্রই এটি স্বাক্ষরিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
শিল্পমন্ত্রী গতকাল সৌদি এরাবিয়ান জেনারেল ইনভেস্টমেন্ট অথরিটির (সাগিয়া) ডেপুটি গভর্নর ও ন্যাশনাল কম্পিটেটিভ সেন্টারের প্রেসিডেন্ট সউদ কে আল-ফয়সাল (ঝধঁফ ক অষ-ঋধরংধষ) এর সাথে বৈঠককালে একথা জানান। রিয়াদে অবস্থিত সাগিয়ার প্রধান কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক মো. ইকরামুল হক, সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মশীসহ বাংলাদেশ দূতাবাস ও সাগিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এসময় শিল্পমন্ত্রী ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের সভায় সৌদি ঋণ সহায়তার আওতায় উত্থাপিত বিনিয়োগ প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে। ভৌগোলিক অবস্থান, অভ্যন্তরীণ বিশাল বাজার এবং তুলনামূলক সস্তা শ্রমশক্তির প্রাচুর্যের কারণে এদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হচ্ছে। সরকার ইতোমধ্যে চীন, জাপান, ভারত, কোরিয়াসহ কয়েকটি দেশের বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। সৌদি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে এগিয়ে আসলে, তাদের জন্যও একই ধরনের সুবিধার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
আমির হোসেন আমু বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে বাংলাদেশ সরকার উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে গ্রহণ করেছে। এ শিল্পখাতে দক্ষ জনবল সৃষ্টি, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং পণ্য বৈচিত্র্যকরণের লক্ষ্যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সৌদি আরব এখাতে দক্ষতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পারে। তিনি বাংলাদেশের লবণ শিল্পের উন্নয়ন এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান জেনারেল ইলেকট্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড (জেমকো), ইস্টার্ন ক্যাবলস্ লিমিটেড (ইসিএল) ও বাংলাদেশ ক্যান কোম্পানি লিমিটেডের সাথে যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে সৌদি ডেপুটি গভর্নরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
পরে মন্ত্রী সৌদি আরবের আইন ও প্রশাসনিক বিষয়ক বিভাগের সহকারী মহাসচিবের সাথে বৈঠক করেন।
#
জলিল/আফরাজ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৬/১৭৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৯৯
বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৯ ফাল্গুন (২ মার্চ) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো ২০১৬ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি যৌথভাবে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ‘বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো ২০১৬’ আয়োজন করছে জেনে আমি আনন্দিত। এ আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে গত ৭ বছরে দেশে তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী বিপ্লব ঘটেছে। আমরা এখাতে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছি। প্রায়োগিক উৎকর্ষ সাধন, ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ ও প্রান্তিক মানুষের কাছে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার ফলে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ আজ আর কোনো স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। তথ্যপ্রযুক্তিতে আজ বাংলাদেশ সামনের সারির একটি দেশ।
বর্তমানে ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি। দেশের ৯৯ ভাগ এলাকা মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। প্রায় ১৩ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। দেশে থ্রি-জি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হয়েছে। ফোর-জি প্রযুক্তিও অচিরেই চালু করা হবে।
শুধুমাত্র ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে প্রতিমাসে প্রায় ৪৫ লাখ মানুষ বিভিন্ন ধরণের তথ্য ও সেবা পাচ্ছেন। ই-গভর্নেন্স কার্যক্রম চালু করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ই-ফাইলিং, ই-ব্যাংকিং, ই-কমার্স সেবা প্রবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মোবাইল এপ্লিকেশনের মাধ্যমে হাতের মুঠোয় সরকারি তথ্য ও সেবা পৌঁছে যাচ্ছে। প্রতিটি সেক্টরে ডিজিটালাইজেশনের ফলে সেবা প্রদানের প্রচলিত ধারায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে। দুর্নীতি ও জনসাধারণের হয়রানি বন্ধ হয়েছে। শহর ও গ্রামের প্রযুক্তি-ব্যবধান দূর হয়েছে। এ সকল কার্যক্রম সরকারের রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছে।
আমরা সফটওয়্যারের পাশাপাশি হার্ডওয়্যার শিল্প সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছি। বিভাগীয় ও বেশ কয়েকটি জেলায় হাইটেক ও সফটওয়্যার পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক ও যশোর সফটওয়্যার পার্কের উন্নয়ন কাজ এগিয়ে চলছে। এসব পার্ক স্থাপিত হলে শুধু হার্ডওয়্যার শিল্পেরই বিকাশ ঘটবে না, ব্যাপক কর্মসংস্থানও হবে।
আমি আশা করি, ‘বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো ২০১৬’ আয়োজনের মাধ্যমে দেশীয় হার্ডওয়্যার পণ্যের সঙ্গে জনগণকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। দেশে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও উন্নয়নে এই এক্সপো বিশেষভাবে অবদান রাখবে।
আমি বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো-২০১৬ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নূর এলাহি/আফরাজ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৯৮
বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৯ ফাল্গুন (২ মার্চ) :
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো-২০১৬ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির উদ্যোগে বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো-২০১৬ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বাংলাদেশে হার্ডওয়্যার শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উৎপাদিত পণ্যকে দেশেবিদেশে পরিচয় করিয়ে দিতে আইসিটি এক্সপো একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ।
বর্তমান বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্যদূরীকরণের হাতিয়ার হিসেবে গণ্য হচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠা করা। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সার্বিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আজকের বাংলাদেশ প্রযুক্তি সমৃদ্ধ নতুন বাংলাদেশ। তথ্যপ্রযুক্তিতে আমাদের অগ্রগতি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। দেশের সকল জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি অফিসসমূহে অনলাইন সংযোগ স্থাপন করার জন্য ২৫ হাজার ওয়েবপোর্টাল তৈরি করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলায় কানেক্টিভিটি প্রতিষ্ঠা, ১৮ হাজার ৫শ’ অফিসের সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক নেটওয়ার্ক স্থাপন, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, উপজেলা কমিউনিটি ই-সেন্টার, ৬৪ জেলায় ই-সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তথ্য ও সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। দেশের জনগণ এর সুফল ভোগ করছে।
আমি জেনে আরো খুশি হয়েছি যে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বিভাগীয় ও জেলা শহরে হাইটেক পার্ক, সফ্টওয়্যার টেকনোলজি পার্ক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক ও যশোর সফ্টওয়্যার টেকনোলজি পার্কের উন্নয়ন কাজ চলছে। এছাড়া জনতা টাওয়ার সফ্টওয়্যার টেকনোলজি পার্কও স্থাপন করা হচ্ছে। গ্রামগঞ্জে উন্নয়নের শক্তি হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি আশা করি এসব কার্যক্রমের ফলে ২০২১ সালের পূর্বেই বাংলাদেশ একটি মধ্যমআয়ের দ