Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ এপ্রিল ২০১৮

তথ্যবিবরণী 18.04.2018

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ১২৪৪
শান্তিচুক্তি পার্বত্য অঞ্চলের শান্তির মাইলফলক
                         -- বীর বাহাদুর উশৈসিং
                                      
বান্দারবান, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল):  
 
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর  পার্বত্য শান্তিচুক্তি করেছিলো বলে আজ পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারছে, পাহাড়ের সবাই শান্তিতে নিজ উৎসবের আনন্দে মুখরিত। এই শান্তিচুক্তিই পার্বত্য অঞ্চলের শান্তির মাইলফলক। 
বান্দরবানের রাজবিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে মারমা সম্প্রদায়ের মহা সাংগ্রাই পোয়েঃও ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও মৈত্রী পানি বর্ষণ (জলকেলি) লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আজ এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এসময় তিনি আরো বলেন, আজ শান্তিচুক্তির ফলে পাহাড়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, কৃষিসহ সবক্ষেত্রে অমূল পরির্বতন এসেছে। বর্তমান সরকারের নানামুখি উন্নয়ন নীতির ফলে পার্বত্য অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নত হচ্ছে।
রাজবিলা সাংগ্রাই উৎসব উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক ক্য অং প্রু মারমা এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ শফিউল আলম, পুলিশ সুপার মোঃ জাকির হোসেন মজুমদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্যা সা প্রু, সিং ইয়ং ম্রো ও তিংতিং ম্যা ও সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি।
পরে প্রতিমন্ত্রী মারমা সম্প্রদায়ের মহা সাংগ্রাই পোয়েঃও  ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
#
 
জুলফিকার/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৮/২১৪৫ ঘণ্টা

Handout                                                                                                                 Number: 1243

Mujibnagar Day observed at Bangladesh Embassy in Washington DC

Washington DC, 18 April:

            The historic Mujibnagar Day was observed at Bangladesh Embassy in Washington DC. Tuesday recalling the establishment of Bangladesh Provisional Government on this day in 1971 that successfully led the nation’s war of independence to its cherished end under the charismatic leadership of the father of the nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman.

 

            The legal and constitutional basis of the Mujibnagar government was provided by the Proclamation of Independence Order of Bangladesh on 10 April 1971 adopted by the elected representatives. The Mujibnagar government took oath at Baidyanathtala mango grove later renamed as Mujibnagar in the then Meherpur subdivision of Kushtia district to command the war of liberation and mobilize international opinion in favor of Bangladesh’s independence.

           

            The day’s program include discussion on the significance of day and read out of messages of President Md. Abdul Hamid, Prime Minister Sheikh Hasina and Liberation War Affairs Minister AKM Mozammel Haque.

 

            Bangladesh Ambassador to the USA Mohammad Ziauddin chaired the discussion held at Bangabandhu Auditorium. It was addressed, among others, by Minister (Press) of the Embassy Shamim Ahmad.

 

            Ambassador Ziauddin paid rich tributes to the father of the nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman for his farsighted and courageous leadership to lead the nation to the much cherished independence.

            Describing the formation of the Mujibnagar government as a milestone of the war of independence, the Ambassador recalled the able leadership of Syed Nazrul Islam, the acting president and Tajuddin Ahmed, the prime minister of the Mujibnagar government, who steered the war towards its successful culmination.

 

            Earlier, Minister (Counselor) Md. Shamsul Alam Chowdhury, Counselor (Political-1) Md. Nural Islam and Counselor (Political-11 & HOC)) Dewan Ashraf readout the messages.

 

#

Shamim/Mahmud/Sanjib/Rezaul/2018/1942  hours

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ১২৪২
শুধু সমালোচনা নয়, উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরাও গণমাধ্যমের দায়িত্ব
                                                            -- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল):  
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, শুধু সমালোচনা নয়, উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরাও গণমাধ্যমের পবিত্র দায়িত্ব। উন্নয়ন সংবাদের পাশাপাশি উন্নয়ন কর্মকা-ের ভুল-ত্রুটি তুলে ধরা ইতিবাচক। কিন্তু সমালোচনার ভিড়ে গণমুখী উন্নয়নের বিশাল কর্মযজ্ঞ যেন আড়াল হয়ে না যায়, সেদিকেও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। 
আজ রাজধানীতে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের সেমিনার হলে প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহারের সভাপতিত্বে ‘উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মোশাররফ হোসেন সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং তথ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান তথ্য অফিসার ফজলে রাব্বী সূচনা বক্তব্য রাখেন। 
নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সঠিক আত্মপরিচয়ে বলীয়ান হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কলম ধরতে হবে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্্েরর বিভিন্ন স্তরে সামরিক-স্বৈরশাসন ও সাম্প্রদায়িকতার জমে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করে দেশকে এগিয়ে নিতে সরকারকে সহায়তা করাও গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ কাজ। গণমাধ্যমকে তুলে ধরতে হবে এদেশের অর্থনীতির মূল তিনটি স্তম্ভ - কৃষক, পোশাক-শ্রমিক ও বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী প্রবাসীদের কথা। সেইসাথে সৎ উদ্যোক্তা ও বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের কথাও তুলে ধরতে হবে, বলেন তিনি।
হাসানুল হক ইনু এসময় মনে করিয়ে দেন, জঙ্গি-সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এবং এদের সঙ্গীদের ক্ষমতা ও রাজনীতির বাইরে রাখলে গণতন্ত্রের কোনো কমতি হয় না বরং প্রাপ্তি ঘটে।
‘শেখ হাসিনার দশ বিশেষ উদ্যোগ’, স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ এবং রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বিষয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রেস ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক মোঃ শাহ আলমগীর, তথ্য অধিদফতরের সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার (প্রেস) ফায়জুল হক প্রমুখ আলোচক হিসেবে অংশ নেন। 
এরপর রাজধানীর দারুস সালামে বাংলাদেশ সিনেমা ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (বিসিটিআই)-এ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে অভিনয় প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানেও প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন তথ্যমন্ত্রী। ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোঃ রফিকুজ্জামান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
#
আকরাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৮/১৯১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১২৪১
 
মতিঝিলে সরকারি আবাসিক ভবনের উদ্বোধন আগামী মাসে  
ঢাকা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল) :
মতিঝিলে সরকারি কর্মচারীদের জন্য নির্মিত বহুতল আবাসিক ভবন আগামী মাসে উদ্বোধন করা হবে। এখানে ৪টি ২০ তলা ভবনে ৫৩২ জন কর্মচারী বসবাসের সুযোগ পাবে। ভবনগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি ভবনে প্রতি তলায় ৮টি এবং একটি ভবনে ৪টি ইউনিট রয়েছে। 
আজ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন নির্মাণাধীন আবাসিক ভবন পরিদর্শনকালে এসব তথ্য জানান।
গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, মতিঝিল এলাকায় ২২ দশমিক ৪ একর জায়গায় ১৬৪ টি ভবনে বর্তমানে দুই হাজার ৯৮০টি পরিবার বসবাস করে। এসব পুরাতন ভবন ভেঙে এ এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে। এ জন্য পুরো এলাকার একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ পরিকল্পনার আওতায় এ এলাকায় প্রায় ১০ হাজার পরিবারের বসবাসের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সরকার বর্তমান মেয়াদে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক সুবিধা ৪০ ভাগে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বর্তমানে শতকরা ৮ ভাগ সরকারি কর্মকর্তার আবাসিক সুবিধা রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আজিমপুরে ৪টি ২০ তলা ভবনের নির্মাণ এর মধ্যেই শেষ করা হয়েছে। টেনামেন্ট হাউসে তিনটি ২০ তলা ভবনে ১১৪ জন সচিবের আবাসিক সুবিধা গড়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়াও মিরপুর, পাইকপাড়ায় নতুন বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সমস্যার অনেকাংশেই সমাধান হবে।
পরে মন্ত্রী ইস্কাটনে টেনামেন্ট হাউসে গ্রেড-১ কর্মকর্তাদের জন্য নির্মাণাধীন বহুতল আবাসিক ভবনের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।
#
 
কিবরিয়া/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৯০০ঘণ্টা 

Handout                                                                                                                 Number: 1240

Bangladesh has won three major elections in the UN

Dhaka, 18 April:

Bangladesh has won three major elections in the United Nations this week.  The elections were held on 16 April 2018 in New York at the Economic and Social Council (ECOSOC) of the UN.

With this victory, Bangladesh will now represent the Asia-Pacific Group to Commission on the Status of Women (CSW) for four years (2019-2023),   Executive Board of UNICEF for three years (2019-2021) and Executive Board of UN WOMEN for three years (2019-2021).  In addition to Bangladesh, Malaysia has been elected as a member of CSW, India, Mongolia, Nepal and Saudi Arabia to the UN WOMEN and Mongolia and Pakistan to the Executive Board of UNICEF.

Bangladesh attaches great importance to the work of ECOSOC and its subsidiary bodies. CSW is the principal global intergovernmental body exclusively dedicated to the promotion of gender equality and the empowerment of women. UN Women promotes women’s empowerment & development, leadership, participation and engagement in peace & security issues. UNICEF work for saving children’s lives, defending their rights, and helping them fulfill their potential. Executive Board of UN Women and Executive Board of UNICEF ensures that their operational activities and strategies are consistent with the overall policy and needs of the Member States and approves their administrative and financial budgets for implementing the programs.

Bangladesh’s presence at these key bodies will help highlight our national priorities, address emerging issues and new approaches affecting us as well as other developing countries at UN.  Our efforts in these key bodies are also expected to contribute to garner international cooperation and partnership for Bangladesh in realizing Sustainable Development Goals.

In the recent past Bangladesh got elected in many international elections, most notable among them are, member to Executive Board of UNESCO (2017-2021), Committee for Program and Coordination (CPC) (2017-2019), Deputy Member of International Labour Organization (ILO) Governing Body (2017-2020) and Member of Executive Board of UN World Food Program (WFP) (2016-2018).

#

Tohidul/Mahmud/Sanjib/Rezaul/2018/1850  hours

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১২৩৯
 
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে ‘ব্লক চেইন’ কার্যকর অবদান রাখতে পারে
                                                     --- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী      
 
বার্লিন (জার্মানি), (১৮ এপ্রিল) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের  বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে আরো গ্রাহকবান্ধব করতে ‘ব্লক চেইন’ (ইষড়পশ ঈযধরহ) পদ্ধতি কার্যকর অবদান রাখতে পারে। সম্পদের নিশ্চিত অবস্থান নির্ণয় (ঊহংঁৎরহম ঈবৎঃধরহঃু), নিরাপত্তা (ঝবপঁৎরঃু), স্বয়ংক্রিয়তা (অঁঃড়সধঃরড়হ) এবং মধ্যসত্ব¡ভোগী বিলোপ (উরংরহঃবৎসবফরধঃরড়হ) ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্লক চেইন বিভিন্ন দেশে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে। ফলে উপকারভোগীরা দ্রুত মানসম্পন্ন সেবা পাচ্ছে; বাংলাদেশেও পাবে। 
প্রতিমন্ত্রী গত মঙ্গলবার জার্মানির বার্নিলের ফেডারেল ফরেন অফিসে ‘ইবৎষরহ ঊহবৎমু ঞৎধহংরঃরড়হ উরধষড়ঁমব’-এ ‘ইড়ষপশ ঈযধরহ ভড়ৎ ঊহবৎমু ঝুংঃবসং’ সেশনে বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সনদ প্রদান, স্মার্ট গ্রিড, স্মার্ট যোগাযোগ, সম্পদ সংগ্রহ, ডিজিটাল পেমেন্ট ইত্যাদি খাতে ‘ব্লক চেইন’ বাংলাদেশে কাজ করতে পারে। প্রতিমন্ত্রী এসময় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে রূপান্তর (ঞৎধহংরঃরড়হ) পর্যালোচনা করে বলেন, এখাতে প্রযুক্তির ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। 
জার্মানির ইউনিভার্সিটি অভ্ এপলাইড্ সায়েন্স-এর প্রফেসর ড. জেন স্ট্রুকার (উৎ. ঔবহং ঝঃৎঁশবৎ)-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জার্মান ব্লক চেইন এসোসিয়েশনের এনার্জি কামিটির প্রধান সেবনেম রুসিটস্চকা (ঝবনহবস জঁংরঃংপযশধ)। এসময় অন্যান্যের মাঝে ইলেকট্রন এর পরিচালক পল মাসারা (চধঁষ গধংংধৎধ) জার্মান উন্নয়ন সংস্থা ডিডাব্লিউএফ (উডঋ) এর এনার্জি গ্রুপের প্রধান ড. কারমেন সুনেইডার (উৎ. ঈধৎসবহ ঝপযহবরফবৎ) এবং গ্রিড সিংগুলারিটি প্রদান পরিচালনা কর্মকর্তা ড. আনা এস ট্রাবোভিচ (উৎ. অহধ ঝ. ঞৎনড়ারপয) বক্তব্য রাখেন।
#
 
আসলাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৮৫০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১২৩৮
 
সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মী নিয়োগের বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত
    
ঢাকা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল) :
বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৯টি ক্যাটেগরিতে কর্মী নিয়োগের বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক আজ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে স¦াক্ষরিত হয়েছে। এসময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনিস্ট্রি অভ্ হিউম্যান রিসোর্সেস এন্ড এমিরেটাইজেশন-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী নাসের আল হামলি উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নমিতা হালদার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনিস্ট্রি অভ্ হিউম্যান রিসোর্সেস এন্ড এমিরেটাইজেশন-এর আন্ডার সেক্রেটারি সাইফ আহমেদ আল সুআইদি নিজ নিজ দেশের পক্ষে স্মারকটি স্বাক্ষর করেন। স্মারকটি স্বাক্ষরের সাথে সাথেই কার্যকর হয়েছে।
স্মারকটিতে বাংলাদেশ থেকে ১৯টি ক্যাটেগরির কর্মী নিয়োগের বিধান, পদ্ধতি, রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি ও উভয় দেশের সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য, কর্মীদের অধিকার, সুযোগসবিধা, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কর্তব্য, নিয়োগ চুক্তির বিধান ও পৃথক একটি বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা ইত্যাদি উল্লেখ রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এ সকল কর্মীগণের স্বার্থ রক্ষার্থে ২০১৭ সালে কার্যকর হওয়া আইনের আলোকে সমঝোতা স্মারকটিতে শ্রমিক, মালিক ও উভয় দেশের সরকারের দায়িত্ব বর্ণিত হয়েছে। নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও দায়িত্বশীল শ্রম অভিবাসনের লক্ষ্য অর্জনের বিষয়সমূহ বিবেচনায় রেখে সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষর করা হয়।
স্মারকটি বাস্তবায়নের জন্য উভয় দেশের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি যৌথ কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। এ কমিটিকে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশী কর্মী প্রেরণ প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু হবে।
#
জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৮৩০ঘণ্টা
  
তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১২৩৭
দেশীয় চিকিৎসা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে
                                      --- স¦াস্থ্যমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল) :
‘বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি আইন’ এবং ‘বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতি আইন’ দ্রুত চূড়ান্ত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে হলে দেশীয় চিকিৎসা ব্যবস্থাকেও শক্তিশালী করতে হবে। এ জন্য আইন দুটো দ্রুত প্রণয়ন করা জরুরি।   
আজ সচিবালয়ে দেশীয় চিকিৎসক সমিতি, বাংলাদেশ ইউনানী আয়ুর্বেদিক বোর্ড এবং বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের সমন্বয়ে এক যৌথ সভায় সভাপতিত্বকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দরিদ্র মানুষের কাছে দেশীয় চিকিৎসা পদ্ধতি এখনো জনপ্রিয়। কম খরচে চিকিৎসা পায় বলে সাধারণ মানুষ এই সেবা নিতে পছন্দ করে। তবে দেশীয় চিকিৎসা পদ্ধতির মান বাড়ানোর লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের আরো তৎপর হওয়ার জন্য তিনি নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, দেশের সর্বত্র হোমিওপ্যাথি, ইউনানী বা আয়ুর্বেদিক কলেজ রয়েছে। সরকারও গুরুত্ব দিয়ে এ ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতির মানোন্নয়নে পদক্ষেপ নিচ্ছে। ইতোমধ্যে সরকারি হাসপাতালে বিকল্প চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে ভারত ও শ্রীলংকার সাথে যৌথভাবে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের উদ্যোগ বাস্তবায়নে হোমিওপ্যাথি, ইউনানী এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ও শিক্ষকদের মান বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদেরকেই উদ্যোগী হতে হবে বলে মন্ত্রী এসময় মন্তব্য করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশীয় চিকিৎসা ব্যবস্থায় প্রায়ই ভুয়া চিকিৎসকদের তৎপরতা দেখা যায়। তারা চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে। সাধারণ মানুষ যেন প্রতারিত না হয় সে লক্ষ্যে মনিটরিং জোরদার করার জন্য হোমিওপ্যাথিক এবং ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক বোর্ডগুলোর কর্তৃপক্ষকে তিনি নির্দেশ দেন। তিনি দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মূলধারায় দেশীয় চিকিৎসা পদ্ধতিকে সম্পৃক্ত করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় দেশীয় চিকিৎসক সমিতির কর্মকর্তাগণ পেশার মানোন্নয়নে কয়েকটি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। প্রস্তাবনাগুলো পরীক্ষানিরীক্ষা করে সুপারিশ প্রতিবেদন তৈরির জন্য স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কমিটিতে চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড, বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ সদস্য হিসেবে কাজ করবেন।
সভায় অন্যান্যের মাঝে রেলপথমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ইউনানী বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ মুজিবুল হক, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ফয়েজ আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায়সহ মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 
#
পরীক্ষিৎ/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৮২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১২৩৬
 
মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন ৩ টি উৎসবভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে
                                                         -মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
 
চুয়াডাঙ্গা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল ) :  
আগামী জুলাই মাস থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নতুন করে আরো ৩ টি উৎসবভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
আজ চুয়াডাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধা নতুন কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন শেষে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধারা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দুটি উৎসবভাতা পেয়ে থাকেন। আগামী বাজেটের পর জুলাই থেকে ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চ ও পহেল বৈশাখের উৎসবভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ লক্ষ্যে কাজ করছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে সংসদসদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দার (সেলুন), পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমানসহ স্থানীয় মুক্তেিযাদ্ধা নেতৃবৃন্দ  অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
 
#
 
মারুফ/অনসূয়া/জসীম/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১৪৩৩ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১২৩৫
 
ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যাওয়ার্ড পেল ১২ শিল্প প্রতিষ্ঠান
ঢাকা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল ) :  
নিজ নিজ শিল্প-কারখানায় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও উৎপাদিত পণ্যে উৎকর্ষতা সাধনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১২টি শিল্প ও সেবা প্রতিষ্ঠানকে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৬ দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু আজ প্রধান অতিথি হিসেবে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে নির্বাচিত শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। 
শিল্পখাতে বিশেষ অবদানের জন্য চতুর্থবারের মতো এ পুরস্কার দেয়া হয়। ২০১৬ সালের জন্য ৫ ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। 
শিল্পমন্ত্রী তার বক্তব্যে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও নবায়নযোগ্য সবুজ জ্বালানি ব্যবহার করে শিল্প কারখানায় সর্বোচ্চ উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শিল্পায়নের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে শিল্পসমৃদ্ধ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করছে। সরকারের শিল্পবান্ধব নীতি ও উদ্যোগের ফলে দেশে শিল্পায়নের ধারা জোরদার হয়েছে। ইতিমধ্যে জাতীয় আয়ের শিল্পখাতের অবদান ৩৩ শতাংশ এবং সেবাখাতের অবদান ৫২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। শিল্পসমৃদ্ধ মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে ২০২১ সালের মধ্যে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে তিনি জানান।
 শিল্পমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় আজ বাংলাদেশে বড় বড় শিল্প উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। তিনি শিল্প কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন ও উৎকর্ষ সাধনের ওপর গুরুত্ব দেন। শিল্প উদ্যোক্তাদের চাহিদামাফিক নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ৩ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট থেকে বাড়িয়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে শিল্প, সেবা, কৃষিসহ সকলখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্প উদ্যোক্তারা উৎপাদনশীলতা বাড়াতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ, সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন ও বন্দর সুবিধা বৃদ্ধির তাগিদ দেন।  
শিল্প সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি কামরান টি. রহমান, এনপিও’র পরিচালক এস.এম. আশরাফুজ্জামানসহ পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 
#
 
জলিল/অনসূয়া/জসীম/শামীম/২০১৮/১৪২৬ ঘণ্টা 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১২৩৪
জাতিসংঘে ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উদযাপন
নিউইয়র্ক, ১৮ এপ্রিল :
যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল এর যৌথ উদ্যোগে ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক ‘মুজিবনগর দিবস’ উদযাপন করা হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদসহ এ সরকারের সকল নেতৃবৃন্দের স্মৃতির উদ্দেশ্যে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অতঃপর দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। 
আলোচনা শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বক্তৃতায় মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য ও ইতিহাস তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্্রকাননে ১৭ই এপ্রিল শপথগ্রহণ করে, আর সেদিন থেকে এই স্থানটি পরিচিতি পায় মুজিবনগর নামে। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতির জন্য এই সরকারের কোন বিকল্প ছিল না মর্মে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত মাসুদ। 
প্রবাসী বাংলাদেশিগণ যাতে বাংলাদেশ ভ্রমণকালে তাদের সন্তানদের মুজিবনগর পরিদর্শনের সুযোগ করে দেন সে বিষয়ে রাষ্ট্রদূত মাসুদ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম মুজিবনগর দিবসের ইতিহাস জানবে, তাৎপর্য অনুধাবন করবে এবং স্থানটি ঐতিহাসিক টুরিস্ট স্পট হিসেবেও আরো গুরুত্ব পাবে। রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। 
আলোচনাশেষে মুজিবনগর সরকারের প্রয়াত সকল সদস্য, জাতীয় চারনেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। 
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান, বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাঙালি, মুক্তিযোদ্ধা, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও কনস্যুলেট জেনারেল এর সকলস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 
#
অনসূয়া/সুবর্ণা/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১১২৯ ঘণ্টা 
 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১২৩৩
বাংলাদেশ কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী  
ঢাকা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল) : 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : 
“বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমি এ সংগঠনের নেতাকর্মী ও কৃষকসমাজসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের কৃষির উন্নয়ন এবং কৃষকের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ সংগঠন কৃষকদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষকদের সংগঠিত করে তাদের দাবি আদায়সহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে কৃষক লীগ গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আসছে।   
আজকের দিনে আমি স্মরণ করছি ১৯৯৫ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের সারসহ কৃষি উপকরণ বিতরণে অব্যবস্থাপনা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিহত ১৮ জন কৃষক ও কৃষক পরিবারের সদস্যদের। 
জাতির পিতা স্বাধীনতার পর পরই কৃষিখাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর সরকার কৃষকদের কল্যাণে পঁচিশ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকদের খাজনা মওকুফ করে দিয়েছিলেন। তিনি উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদ, উন্নত বীজ, সেচ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ করে কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা ও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে কৃষিক্ষেত্রে অবদানের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার’ প্রবর্তন করেন।   
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার কৃষি ও কৃষিবান্ধব সরকার। আমরা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলাম। পরবর্তীকালে বিএনপি-জামাত জোট সরকার বাংলাদেশকে আবারও খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত করে।
আমরা ২০০৯ সাল থেকে কৃষির সার্বিক উন্নয়নে কৃষিবান্ধব নীতি ও সময়োপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। সার, বীজসহ সকল কৃষি উপকরণের মূল্যহ্রাস, কৃষকদের সহজশর্তে ও স্বল্পসুদে ঋণ সুবিধা প্রদান, ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুযোগসহ তাদের নগদ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। আমরা কৃষকদের মধ্যে কৃষি উপকরণ কার্ড বিতরণ করেছি। কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি বন্যা, খরা ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবনসহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ভাসমান চাষ, বৈচিত্র্যময় ফসল উৎপাদন, ট্রান্সজেনিক জাত উদ্ভাবন, পাটের জেনোম সিকুয়েন্স উন্মোচন ও মেধাসত্ব অর্জন করা হয়েছে। আমরা কৃষির যান্ত্রিকীকরণ ও বহুমুখীকরণ, বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করেছি। 
আমরা প্রত্যেক কৃষকের দোরগোড়ায় কৃষিসেবা সহজে পৌঁছে দিতে ‘কৃষি বাতায়ন’ তৈরি করেছি। কৃষি বাতায়নে সারাদেশের কৃষকের ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৬৫ লাখ কৃষকের ডাটা এখানে সন্নিবেশিত হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে ৩ কোটি কৃষককে এর আওতায় আনা হবে। আমাদের এসব কার্যক্রমের ফলে দেশের কৃষিখাতের ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বছরে খাদ্যশস্য উৎপাদন প্রায় ৪ কোটি মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। দেশের কৃষিখাতে সফলতা অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কৃষক লীগের তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রয়েছে। 
আমি আশা করি, বাংলাদেশ কৃষক লীগের নেতা-কর্মীগণ কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের  আর্থসামাজিক উন্নয়নে আরো বেশি আত্মনিয়োগ করে বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবেন। 
আমি বাংলাদেশ কৃষক লীগের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।        
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/সুবর্ণা/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৮/১০০০ ঘণ্টা   
 
Todays handout (9).docx