তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২১
যে কোনো ধরনের ডকুমেন্টেশনই মূল্যবান
--- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, যে কোনো ধরনের ডকুমেন্টেশনই মূল্যবান। এর একটি ঐতিহাসিক মূল্য রয়েছে। ‘শব্দাবলী স্টুডিও থিয়েটার কথা’ নামক গ্রন্থটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকতে পারে। কিন্তু শব্দাবলী স্টুডিও থিয়েটার তাঁদের নাট্যচর্চা নিয়ে যে গ্রন্থটি প্রণয়ন করেছে, তা কোনভাবেই ফেলনা নয়। এ বইটি প্রণয়নে তাঁরা যে শ্রম দিয়েছেন এবং যে সকল মূল্যবান তথ্য সংযোজন করেছেন, ভবিষ্যতে নাটক সংক্রান্ত তথ্য ও গবেষণার উপাদান হিসেবে এটি কাজে লাগবে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনারকক্ষে বরিশাল তথা বাংলাদেশের প্রথম স্টুডিও থিয়েটার শব্দাবলী স্টুডিও থিয়েটার নিয়ে ড. আশিস গোস্বামী রচিত ও সম্পাদিত ‘শব্দাবলী স্টুডিও থিয়েটার কথা’ নামক গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
শব্দাবলী স্টুডিও থিয়েটারের উপদেষ্টা শাহান আরা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, মামুনুর রশীদ, ইসরাফিল শাহীন এবং শব্দাবলী স্টুডিও থিয়েটারের কর্ণধার সৈয়দ দুলাল।
মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের সীমিত বাজেটের মধ্যেও সরকার সাধ্যমতো নাট্যচর্চায় পৃষ্ঠপোষকতা ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে আসছে। নাট্যচর্চা প্রসারের অংশ হিসেবে ধানমন্ডিতে নজরুল ইন্সটিটিউট মিলনায়তন ও আগারগাঁওয়ে অবস্থিত ন্যাশনাল আর্কাইভস মিলনায়তনটি আগামী ৬ মাসের জন্য বিনামূল্যে বা নামমাত্র মূল্যে নাটক মঞ্চায়নের জন্য প্রদান করা হবে।
নিজের সম্পাদিত গ্রন্থ সম্পর্কে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ড. আশিস গোস্বামী। অনুষ্ঠানে শব্দাবলী স্টুডিও থিয়েটারের নাট্যচর্চার ইতিহাস নিয়ে ৯ মিনিটের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
#
ফয়সল/মাহমুদ/সেলিম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/২১১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২০
পানিসম্পদের সৌহার্দ্যপূর্ণ অংশীদারিত্বই সহযোগিতার সোনালি চাবি
-- তথ্যমন্ত্রী
গ্যাংটক (সিকিম), ভারত, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল ) :
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, “পানিসম্পদের সৌহার্দ্যপূর্ণ অংশীদারিত্ব ও সামষ্টিক ব্যবহারই আঞ্চলিক সহযোগিতার সোনালি চাবি। বঙ্গোপসাগরের তীরে ‘দুঃখের পানি’কে ‘আশার পানি’তে পরিণত করার এখনই সময়।”
মন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার ভারতের সিকিম প্রদেশের গ্যাংটকে ‘ইন্টিগ্রেটিং বিমসটেক ২০১৮’ সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে একথা বলেন।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি রাষ্ট্রের আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা বে অভ্ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল এন্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক)-কে আরো সংহত ও কার্যকর করার লক্ষ্যে ভারতের পররাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ইন্ডিয়ান চেম্বার অভ্ কমার্স (আইসিসি) আয়োজিত এ সম্মেলনের উদ্বোধন অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন সিকিমের পর্যটনমন্ত্রী ভীম প্রসাদ ধাঙ্গেল।
এশিয়ার এ অংশের অভিন্ন নদ-নদীর পানির সুষম বণ্টনের ওপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, “বঙ্গোপসাগরের অববাহিকা জুড়ে সহ¯্রাধিক নদ-নদী প্রবাহিত। এসব নদ-নদী আমাদের সম্পদ হলেও প্রায়শই দুঃখের কারণ ঘটায়। আর এখন দু’দশকে পরিণত হয়ে ওঠা ‘বিমসটেক’ সহযোগিতায় সেই ‘দুঃখের পানি’কে ‘আশার পানি’তে পরিণত করার সময় এসেছে।”
তিনি বলেন, ‘জোরালো আঞ্চলিক সহযোগিতাই বিশ্বায়নের যুগে টিকে থাকার হাতিয়ার। আর আমরা জীবনসঙ্গী পাল্টাতে পারলেও প্রতিবেশী পাল্টাতে পারি না। তাই প্রতিবেশীর সাথে শান্তিতে বসবাস করতে শেখাই উত্তম।’
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ বা ‘প্রতিবেশী প্রথম’ ও ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ বা ‘পূর্বে কাজ কর’-এর ওপর দৃষ্টি দিয়ে বিমসটেককে নিছক নীতিচালিত আঞ্চলিক সহযোগিতার সংগঠনে বদলে একে বাজারচালিত ও গণমুখী সংগঠনে পরিণত করা, সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে দ্বিপক্ষীয় সমস্যার সমাধান করা এবং সহযোগিতার খাতিরে জটিল ও স্পর্শকাতর বিষয়াদি দূরে সরিয়ে রাখাসহ ৫ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
প্রস্তাবগুলোর মধ্যে আরো রয়েছে বহুমুখী পরিবহণ করিডোরের মাধ্যমে সহজ ট্রাফিক ব্যবস্থা ও উদার ভিসা পদ্ধতি গড়ে বিমসটেকের ওপর এ অঞ্চলের জনগণের আস্থা সৃষ্টি, সহযোগিতার মাধ্যমে আন্তঃসীমান্ত সফটওয়্যার ও টেরেস্ট্রিয়াল অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক অবকাঠামো নির্মাণ, বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী দেশগুলোর কর্তৃক সামষ্টিকভাবে পানিসম্পদকে কাজে লাগাতে গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা (জিবিএম) মেগা প্রকল্প গ্রহণ, যা সহযোগিতার দ্বার উন্মোচনের সোনালি চাবি।
‘আমরা বর্তমানে এশীয় শতাব্দীতে বাস করছি’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দু এখন এশিয়ার দিকে ধাবিত এবং আমাদের অঞ্চলের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটছে। আর দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যে অনন্য সহযোগিতার সংগঠন বিমসটেক এর সুফল উঠাতে প্রস্তুত।’
উদ্বোধন অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আইসিসি’র অ্যাক্ট ইস্ট কাউন্সিল চেয়ারম্যান রজত নাগ। বিমসটেক সচিবালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম, আইসিসিবি সভাপতি মতলুব আহমাদ, শ্রীলংকার প্রফেসর এমিরেটাস ড. গামিনী কিরাওয়েলা এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব পিযুষ শ্রীবাস্তব এসময় বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে বিমসটেক সচিবালয়ের পরিচালক এস এম নাজমুল হাসান এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের মুহাম্মদ আবদুল্লাহিল কাইয়ুমও একদিনের সম্মেলনে অংশ নেন। ২৬ এপ্রিল তথ্যমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা।
১৯৯৭ সালে গঠিত বিমসটেক’র বর্তমান সদস্যদেশ ৭টি। বিমসটেক সদস্য বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলংকা ও থাইল্যান্ডে প্রায় ১৫০ কোটি মানুষের বাস, যা বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় ২২ শতাংশ। ২০১৪ সালে ঢাকায় বিমসটেকের স্থায়ী সচিবালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
#
আকরাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩১৯
কম্বোডিয়ার সাথে বাংলাদেশের বিপুল বাণিজ্য সম্ভবনা রয়েছে
--- বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :
কম্বোডিয়া সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, কম্বোডিয়ার সাথে বাংলাদেশের বিপুল বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়া বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করলে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে, ফলে উভয়দেশ উপকৃত হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কম্বোডিয়া সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ১টি চুক্তি এবং ৯টি সমঝোতা স¥ারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বর্তমানে উভয় দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
কম্বোডিয়া সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী আজ স্থানীয় নমপেন হোটেলে কম্বোডিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী প্যান সোরাসাক (চধহ ঝড়ৎধংধশ) এর সাথে পূর্বনির্ধারিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এসব কথা বলেন।
কম্বোডিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের কম্বোয়িয়ায় বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, কম্বোডিয়ায় উৎপাদিত কাসাডো থেকে উন্নতমানের ঔষধ (ক্যাপসুল) তৈরি করা সম্ভব। ঔষধশিল্পের কাঁচামাল হিসেবে এগুলো ব্যবহার করে অল্পখরচে উন্নতমানের ঔষধ উৎপাদন করা সম্ভব।
মন্ত্রী এসময় কম্বোডিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রীকে আগামী জুনের শেষে বা জুলাইয়ের প্রথমে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বাইলেটারেল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (বিটিএ) স্বাক্ষরের জন্য বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অভ্ কমার্স বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মোঃ মাহবুবুর রহমান, ভাইস প্রেসিডেন্ট রোকেয়া আফজাল রহমান, আজিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ঢাকা চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানসহ বাংলাদেশ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সদস্যবৃন্দ এবং থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
বকসী/মাহমুদ/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৯১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩১৮
শূন্য অভিবাসন ব্যয়ে জাপানে যাচ্ছেন ১৪ টেকনিক্যাল ইন্টার্ন
ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল ) :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি আজ ঢাকায় ইস্কাটনস্থ প্রবাসী কল্যাণ ভবনের ব্রিফিং সেন্টারে ‘অভিবাসনে পিছিয়ে পড়া জেলাসমূহ হতে বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের জাপানি ভাষা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের ১ম ব্যাচের কোর্স সমাপনী ও ২য় ব্যাচের কোর্স উদ্বোধনী এবং শূন্য অভিবাসন ব্যয়ে আইএম জাপান কর্তৃক নিয়োগকৃত ২য় ব্যাচের ১৪জন টেকনিক্যাল ইন্টার্নদের জাপান গমন সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অপ্রতিরোধ্য ও সমুন্নত রাখতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির কোনো বিকল্প নেই। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করে বিদেশে প্রেরণ করার জন্য এ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিএমইটি’র পরিচালনায় বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রতিনিয়ত সম্প্রসারিত হচ্ছে যা দক্ষ কর্মী প্রেরণ খাতে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের কষ্টার্জিত মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণের আশাব্যঞ্জক হার দেশের অর্থনীতির ভিত্তিকে করেছে সুদৃঢ়। মন্ত্রী জাপানগামী টেকনিক্যাল ইন্টার্নদের উদ্দেশে বলেন, যে সকল প্রশিক্ষণার্থী জাপান গমন করছে তাদেরকে দেশের মান-মর্যাদাকে অক্ষুণœ রেখে নির্দিষ্ট সময় শেষে দেশের জন্য সম্মান নিয়ে ফিরতে হবে।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো’র মহাপরিচালক মোঃ সেলিম রেজার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নমিতা হালদার এনডিসি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিএমইটি’র পরিচালক (প্রশিক্ষণ পরিচালনা) ড. নূরুল ইসলাম। এছাড়া, আইএম জাপান ও ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং ওহঃবৎহধঃরড়হধষ গধহঢ়ড়বিৎ উবাবষড়ঢ়সবহঃ ঙৎমধহরুধঃরড়হ ঔধঢ়ধহ (ওগ ঔধঢ়ধহ) এর মধ্যে উল্লিখিত স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে বিনা অভিবাসন ব্যয়ে জাপানে টেকনিক্যাল ইন্টার্ন প্রেরণ করা হচ্ছে। ১ম পর্যায়ে ২০১৭ সালের আগস্ট-অক্টোবর পর্যন্ত ১৭ জন টেকনিক্যাল ইন্টার্ন জাপানে গমন করেছেন। ২য় পর্যায়ে আগামী ২৬ এপ্রিলে আরো ১৪ জন টেকনিক্যাল ইন্টার্ন জাপানে গমন করবেন।
#
জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩১৭
শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে গ্রামীণফোনের ২৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা প্রদান
ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :
মোবাইল কোম্পানি গ্রামীণফোন লিমিটেড তাদের লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ প্রায় ২৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে প্রদান করেছে।
গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ শাহেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিধিদল আজ সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হকের সাথে সাক্ষাৎ করে ২৩ কোটি ৬৫ লাখ ৯০ হাজার ৬৮৬ টাকার চেক হস্তান্তর করেন। বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গ্রামীণফোনের ২০১৭ সালের মোট লাভের ৫ শতাংশের এক দশমাংশ পরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে প্রদান করে।
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন মেনে যদি প্রতিটি কোম্পানি তাদের লাভের নির্দিষ্ট অংশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে প্রদান করে তবে আর কোন শ্রমিক অসহায় থাকবে না।
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. আনিসুল আওয়াল, গ্রামীণফোন লিমিটেডের পরিচালক সৈয়দ তানভীর হোসেন এবং উপপরিচালক কেএম সাব্বির আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
#
আকতারুল/মাহমুদ/পারভেজ/জয়নুল/২০১৮/১৯১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩১৬
খাদ্য গুদামগুলোকে অনলাইনের আওতায় আনা হবে
--- খাদ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :
খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, সরকারি খাদ্য গুদামগুলোকে শীঘ্রই অনলাইনের আওতায় আনা হবে যাতে ঢাকায় বসে খাদ্য গুদামগুলোতে নজরদারি করা যায়।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অভ্ বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এখন চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আছে। আশা করি এমনটিই থাকবে। যদি কেউ বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপস্থিত মিলাররা কালো তালিকাভুক্ত মিলারদের নাম প্রত্যাহার করার অনুরোধ জানালে মন্ত্রী বলেন, গতবছর অকাল বন্যার কারণে ব্যাপক ফসলহানি ঘটায় বেশিরভাগ মিলার সরকারকে চাল দেয়নি। যার ফলশ্রুতিতে গতবছর চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যায়নি। এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সবার স্বার্থের কথা চিন্তা করে কালো তালিকাভুক্তদের নাম প্রত্যাহার করা হবে। হাসকিং থেকে অটো রাইস মিলে রূপান্তরের জন্য তিনি সকল মিলারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশ প্রতিটি সেক্টরে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই দেশে শুধু অটো রাইস মিল থাকবে। সেই টার্গেট নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে সরকারের এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অক্ষুণœ রাখতে মন্ত্রী সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ ওমর ফারুক, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বদরুল হাসান, খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের মহাপরিচালক বদরুল আরেফিনসহ বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সদস্যবৃন্দ।
#
সুমন/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৯০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩১৫
পাহাড়ের ঢালে বসবাসকারীদের অন্যত্র সরিয়ে নিতে ত্রাণমন্ত্রীর আহ্বান
কক্সবাজার, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেছেন, অবৈধভাবে পাহাড় কেটে পরিবেশ ও মানুষের ক্ষতি করা যাবে না। পাহাড়ের ঢালে বসবাসকারীদের অবিলম্বে অন্যত্র সরিয়ে নিতে তিনি কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে তিনি নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী আজ কক্সবাজার বিয়াম মিলনায়তনে পাহাড়ধস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও আগাম সতর্কতামূলক কার্যক্রম সম্পর্কিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারের সৌন্দর্যের অন্যতম উপাদান পাহাড় ও সমুদসৈকত। দেশ-বিদেশের পর্যটক ও সংবাদকর্মীদের নজর রয়েছে এখানে। তাই এ পর্যটননগরীর যেকোন ক্ষতি বরদাস্ত করা হবেনা। এ সময় তিনি বলেন, যেসব রোহিঙ্গারা পাহাড়ের ঢালে বসবাস করছে তাদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের ঢালে বসবাস না করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোহসীনের সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব মো. শাহ্ কামাল, সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস প্রোগ্রাম (সিপিপি) এর পরিচালক আহমেদুল হক, জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ, সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকগণ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিগণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
এর পূর্বে মন্ত্রী পাহাড়ধস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও আগাম সতর্কতামূলক কার্যক্রম সম্পর্কিত একটি র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
#
ফারুক/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১৫৪৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩১৪
গণপূর্ত অধিদপ্তর ছয় হাজার কোটি টাকার উন্নয়নপ্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে
ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল):
গণপূর্ত অধিদপ্তর চলতি অর্থবছরে ২৯টি মন্ত্রণালয়ের প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। উন্নয়নপ্রকল্প বাস্তবায়নে এ অধিদপ্তর অনেক সক্ষমতাও দেখাতে পেরেছে। রূপপুর পারমাণবিককেন্দ্রে মাত্র ১৩ মাসে তিনটি ২০ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করেছে। এসব ভবনের গুণগত মান যাচাই করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেখানে বিদেশিরাও বসবাস করছে।
আজ গণপূর্ত অধিদপ্তর সম্মেলন কক্ষে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের পর্যালোচনা সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ তথ্য জানান। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার ও প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের সক্ষমতা ও দক্ষতা অনেকগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন কাজের গুণগত মানের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। একইসাথে দরপত্রের শর্তাবলী সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হবে। তাই এ বিষয়ে প্রকৌশলীদের সজাগ থাকতে হবে। ভবন নির্মাণের সাথে সাথে তার রক্ষণাবেক্ষণের প্রতিও গুরুত্ব দিতে হবে। একটি ভবনের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ হলো ঐ ভবনের প্রাণ।
মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এসব ভবন গণপূর্ত অধিদপ্তরই বাস্তবায়ন করছে। ইতিমধ্যে বিচারপতিগণের জন্য এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য ২০ তলা আবাসিক ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে। আজিমপুর ও মতিঝিলেও আটটি ২০ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ শেষ করা হয়েছে। বর্তমানে মতিঝিল ও আজিমপুরে প্রত্যেক এলাকায় প্রায় দুই হাজার পরিবার বসবাস করে। এসব এলাকার জরাজীর্ণ ভবন ভেঙ্গে নতুন বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে। ফলে এ দু’টি এলাকায় প্রায় ২০ হাজার পরিবার বসবাস করতে পারবে। এসব ভবনের জন্য পৃথক এসটিপি স্থাপন করা হয়েছে। এখন থেকে সকল সরকারি ভবনে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মিরপুরের স্বপ্ননগরে পানি পরিশোধনাগার ও এসটিপি স্থাপন করা হচ্ছে।
সারাদেশের নির্বাহী প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীগণ দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন।
#
কিবরিয়া/অনসূয়া/সুবর্ণা/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৮/১৫০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩১৩
দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড
ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :
গত ২৪ এপ্রিল রাত ১১ টায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১০ হাজার ১ শত ৩৭ মেগাওয়াট, যা দেশে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন।
উল্লেখ্য, ১৯ মার্চ ২০১৮ তারিখে এ উৎপাদন ছিল ১০ হাজার ৮৪ মেগাওয়াট।
#
আসলাম/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১৪৩২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩১২
জাতীয় উৎপাদনশীলতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের সরকারি সুবিধা নিশ্চিত করতে নীতিমালা হচ্ছে
ঢাকা, ১২ বৈশাখ (২৫ এপ্রিল) :
জাতীয় উৎপাদনশীলতা পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সরকারি সুযোগসুবিধা নিশ্চিত করতে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করবে শিল্প মন্ত্রণালয়। এ নীতিমালা হবে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি (শিল্প) নীতিমালার অনুরূপ। এর ফলে জাতীয় উৎপাদনশীলতা পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের জন্য সরকার প্রদেয় সুবিধাদি নিশ্চিত হবে।
আজ শিল্প মন্ত্রণালয়ে জাতীয় উৎপাদনশীলতা পরিষদ (এনপিসি)-এর দ্বাদশ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। দেশের শিল্প ও সেবাসহ বিভিন্নখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয়পর্যায়ে কর্ম-কৌশল নির্ধারণের জন্য এ সভার আয়োজন করা হয়। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এতে সভাপতিত্ব করেন।
উল্লেখ্য, ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের মনোনীত প্রতিনিধিরা একটি ট্রফি, সনদপত্র এবং নিজ প্রতিষ্ঠানের পণ্যের অনুকূলে তিন বছরের পাবলিসিটির জন্য অ্যাওয়ার্ডের লোগো ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে থাকেন। সুস্পষ্ট নীতিমালা না থাকায় তারা সিআইপি (শিল্প) হিসেবে নির্বাচিতদের মত অন্যান্য সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত। এ বিবেচনায় নতুন এ নীতিমালা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভায় শিল্প, সেবা ও কৃষিখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এসময় পাট শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাটকলের আধুনিকায়ন ও পণ্য বহুমুখীকরণের চলমান উদ্যোগ এগিয়ে নিতে এনপিওর কার্যক্রম জোরদারের তাগিদ দেয়া হয়।
সভায় তৃণমূলপর্যায়ে উৎপাদনশীলতা বিষয়ক জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী এনপিও’র প্রশিক্ষণকার্যক্রম জোরদারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একই সাথে এনপিও থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিল্প কারখানার উৎপাদনশীলতার উন্নয়ন, মুনাফা বৃদ্ধি, শ্রমিক-কর্মচারিদের আচরণ পরিবর্তনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে প্রশিক্ষণের প্রভাব সম্পর্কে বাস্তবসম্মত গবেষণা পরিচালনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়া সভায় মাধ্যমিক শিক্ষা কারিকুলামে উৎপাদনশীলতা বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান কারিকুলাম পরীক্ষানিরীক্ষা করে একটি বাস্তবসম্মত কনটেন্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্, বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউসসহ শিল্প, বাণিজ্য, পাট ও বস্ত্র, তথ্য, কৃষি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, বিদ্যুৎ ও সড়ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নাসিবের প্রেসিডেন্ট, এফবিসিসিআই, ডিসিসিআই, এমসিসিআই, বিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতি, আইইবি, বাংলাদেশ জুট মিলস্ অ্যাসোসিয়েশন, এপিও সোসাইটি ফর বাংলাদেশ, এনপিও, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের প্রতিনিধিসহ কমিটির সংশ্লিষ্ট সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
জলিল/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৮/১৪৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩১১
বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১২ বৈশাখ ( ২৫ এপ্রিল ) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ এপ্রিল বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ২৬ এপ্রিল বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় মেধার বিকল্প নেই। সৃজনশীলতা ও মেধার বিকাশে নারীর ভূমিকা অগ্রগণ্য। এ প্রেক্ষাপটে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘চড়বিৎরহম পযধহমব: ডড়সবহ রহ রহহড়াধঃরড়হ ধহফ পৎবধঃরারঃু’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ থেকে শুরু করে বাংলাদেশের সকল আর্থসামাজিক উন্নয়নে নারীসমাজ সমান ভূমিকা রেখে চলেছে। নারীরা আজ কর্মক্ষেত্রে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও দেশের নারীসমাজ তাদের মেধা ও শ্রম দিয়ে শক্ত অবস্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমান সরকারের রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নেও নারীরা পিছিয়ে নেই। মেধাসম্পদ সৃষ্টি ও উন্নয়নে বাংলাদেশের নারীসমাজ দৃশ্যমান অবদান রেখে চলেছে। বৈশ্বিক ক্ষমতার পরিবর্তনে নারীর উদ্যোগ ও সৃষ্টি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে মেধাসম্পদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই সরকার পেটেন্ট, ডিজাইন, ট্রেডমার্কস, ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য ও কপিরাইটের উন্নয়ন ও সংরক্ষণের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যা সৃজনশীলতা বিকাশে সহায়তা করবে বলে আমি মনে করি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। আমি উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে মেধাসম্পদ ও সৃজনশীলতার বিকাশে সরকারের পাশাপাশি নারীসমাজসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
আমি বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/সুবর্ণা/রেজ্জাকুল/শামীম/২০১৮/১০৪৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর ঃ ১৩১০
বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১২ বৈশাখ ( ২৫ এপ্রিল) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২৬ এপ্রিল বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর কর্তৃক বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২০১৮ উদ্যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
আদিম সভ্যতা থেকে বর্তমান সভ্যতায় আসতে মানুষের মেধা, দক্ষতা ও সৃজনশীলতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উদ্ভাবন ও আবিষ্কার সভ্যতার বিকাশ এবং মানুষের এগিয়ে যাওয়ার পথকে প্রসারিত করেছে। তার সুফল ভোগ করছে সারা পৃথিবীর মানুষ। আর এই উদ্ভাবনী সৃজনশীলতায় যেমন পুরুষের ভূমিকা আছে, তেমনি আছে নারীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। উভয়ের সম্মিলিত প্রয়াসে বিশ্ব আজ নতুন দিগন্তের সন্ধানে ক্রমাগত এগিয়ে চলেছে। সে বিবেচনায় বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘চড়বিৎরহম পযধহমব: ডড়সবহ রহ রহহড়াধঃরড়হ ধহফ পৎবধঃরারঃু’ অর্থাৎ ‘ক্ষমতা পরিবর্তন : উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতায় নারী’ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। দেশের নারীসমাজ নিত্য নতুন উদ্ভাবন এবং সৃজনশীলতার প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা ও মেধার স্বাক্ষর রেখে একটি উন্নত বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখবেন- এ প্রত্যাশা করি।
মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। জীবনকে আরো সহজ ও সুন্দর করতে তাই প্রতিনিয়ত পরিচালিত হচ্ছে গবেষণা কার্যক্রম। উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাওয়ার পর বাংলাদেশে এখন এর প্রাসঙ্গিকতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত সৃজনশীল। নতুন নতুন আবিষ্কারে ও উদ্ভাবনে তারা কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই। এক্ষেত্রে এদেশের নারীদের সাফল্যও উজ্জ¦ল এবং মহিমান্বিত। আমি আশা করি, আমাদের উদ্ভাবনী শক্তি ও সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অচিরেই বাংলাদেশ আরও সৃজনশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে সগৌরবে মাথা তুলে দাঁড়াতে সক্ষম হবে।
বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২০১৮ সার্থক হোক, সফল হোক-এ প্রত্যাশা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/অনসূয়া/সুবর্ণা/শামীম/২০১৮/১৪২৯ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩০৯
শান্তি বিনির্মাণ ও টেকসই শান্তি বিষয়ক জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের সভা
উন্নয়ন ও শান্তি একে অপরের পরিপূরক -স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিউইয়র্ক, ২৫ এপ্রিল :
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেেেছন, উন্নয়ন ও শান্তি এক অপরের পরিপূরক। উন্নয়ন ব্যতীত শান্তি আসবে না আর শান্তি ব্যতীত কোন উন্নয়