তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৭৫
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, জেলহত্যা এবং ২১
আগস্টের গ্রেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা
-- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা, জেল হত্যা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১বার হত্যা চেষ্টা একই সূত্রে গাঁথা। এইসব প্রচেষ্টার পেছনে ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে ধ্বংস করা, বাংলা ভাষা, বাঙালি জাতি ও সংবিধানের চার মূলনীতি ধ্বংস করে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধু আদর্শের প্রতিটি সৈনিককে এই অশুভ শত্রুদের রুখতে সচেতন থাকতে হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদ টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড শাখা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদ টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড শাখার প্রধান উপদেষ্টা টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও আইইবি প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো: আবদুস সবুর, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো: নুরুজ্জামান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা কেবলমাত্র স্বাধীনতাই দেননি, তিনি যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়েও আইটিইউ-ইউপিইউর সদস্যপদ এবং বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ডিজিটালাইজেশনের বীজ বপন করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৬ বছরের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে সেই বীজ আজ বিশাল মহিরূহে রূপ নিচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ডিজিটাইজেসন ও উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। এই করোনাকালে গ্রামের মানুষটি পর্যন্ত উপলব্ধি করছে ডিজিটাল বাংলাদেশ না থাকলে বৈশ্বিক মহামারির এই ক্রান্তিলগ্নে মানুষের জীবনযাত্রা কতটা বিপন্ন হতো।
মন্ত্রী আরো বলেন, পঁচাত্তর থেকে ৮১সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের এ দেশীয় দোসররা বঙ্গবন্ধু কন্যাকে দেশে আসতে দেয়নি। ৮১ সালে তিনি দেশে প্রত্যাবর্তনের পর জনগণকে সংগঠিত করতে তিনি বঙ্গবন্ধুর পথে হেটেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে প্রযুক্তিবান্ধব উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশে রাজনীতিবিদদের মধ্যে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি নিজের হাতে কম্পিউটার এবং ডায়াল আপ ইন্টারনেট ব্যবহার করেছেন।
আলোচনা শেষে ১৫ আগস্ট-সহ সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
#
শেফায়েত/রাহাত/রফিকুল/সেলিম/২০২০/২২৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৭৪
প্রাণিসম্পদ উৎপাদন উপকরণ ও প্রাণিজাত খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণ
গবেষণাগার উদ্বোধন করলেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
সাভার, ঢাকা, ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) :
সাভারে আন্তর্জাতিক মানের প্রাণিসম্পদ উৎপাদন উপকরণ ও প্রাণিজাত খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার উদ্বোধন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ সাভারে গবেষণাগারের কনফারেন্স হলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আয়োজিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ গবেষণাগার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল।
এ সময় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগারের মাধ্যমে বিশ্ব পরিমণ্ডলের একটি নতুন অধ্যায়ে আমরা প্রবেশ করলাম। প্রাণিসম্পদ উৎপাদন উপকরণ এবং প্রাণিজাত খাদ্য মানসম্মত হচ্ছে কিনা এটা নির্ণয় করার জন্য মানসম্মত ল্যাবরেটরি বা কোনো ব্যবস্থা দেশে ছিল না। এই কারণে ইতোপূর্বে প্রাণিসম্পদ খাত থেকে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে আমরা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছি। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত গবাদিপশুর খাদ্য নিয়েও আমরা প্রতিকূল অবস্থায় পড়েছি।
মন্ত্রী আরো বলেন, প্রাণিসম্পদ রপ্তানি করে বিদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে বড় বাধা, পণ্যের মান পরীক্ষা না করে বিদেশে সেটি প্রেরণ করা। একারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে এই ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রাণিজাত খাদ্যের বিশুদ্ধতা নির্ণয়ে বিশ্বমানের গবেষণাগার এটি। গবেষণাগারের জন্য মানসম্মত যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই গবেষণাগার থেকে প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিদের উৎপাদিত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ করলে মানসম্মত প্রাণিজ পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে অর্থনীতির নতুন দ্বার উন্মুক্ত হবে।
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া সচিব মোঃ আখতার হোসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদার-সহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং অধীনস্ত দপ্তর ও সংস্থাসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
#
ইফতেখার/রাহাত/রফিকুল/সেলিম/২০২০/২১৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৭৩
কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রাণিসম্পদ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে
-- যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
সাভার, ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) :
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে জাতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি, পুষ্টি নিরাপত্তা এবং দারিদ্র্য নিরসনে প্রাণিসম্পদের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ একটি সম্ভাবনাময় ও লাভজনক শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই সাথে উপযুক্ত প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং সম্প্রসারণ প্রাণিসম্পদ খাতকে আজ কর্মসংস্থান ও গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচনের একটি অন্যতম প্রধান হাতিয়ারে পরিণত করেছে। এছাড়া প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি ও নারীর ক্ষমতায়নে প্রাণিসম্পদ খাত বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ সাভারে ‘প্রাণিসম্পদ উৎপাদন, উপকরণ ও প্রাণিজাত খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান।
এ সময় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোট কৃষিজ জিডিপিতে প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান শতকরা ১৪ দশমিক শূন্য ৮ ভাগ। দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ২০ ভাগ সরাসরি এবং শতকরা ৫০ ভাগ পরোক্ষভাবে প্রাণিসম্পদ খাতের ওপর নির্ভরশীল। প্রাণিসম্পদ অধিদফতর দেশে দুধ, মাংস ও ডিম উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় আমিষের চাহিদা পূরণপূর্বক মেধাবী, স্বাস্থ্যবান ও বুদ্ধিদীপ্ত জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি ও কৃষকবান্ধব ছিলেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমৃদ্ধ ও স্বনির্ভর উন্নত বাংলাদেশ এবং সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি কৃষকদের ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করেন। বঙ্গবন্ধু প্রথম বাজেটে কৃষিখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখার ব্যবস্থা করেছিলেন। কৃষির উন্নতির জন্য বঙ্গবন্ধু সমবায় কৃষি ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। সরকারি ইজারাদারি প্রথা বিলুপ্ত করেন। বঙ্গবন্ধুর কৃষিবিপ্লব ও সবুজবিপ্লব কর্মসূচিকে সফলভাবে বাস্তবায়নের ফলেই আজ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
#
আরিফ/রাহাত/রফিকুল/সেলিম/২০২০/২১৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৭২
কৃষি খাতে দেশীয় বিনিয়োগের ওপর জোর পরিকল্পনা মন্ত্রীর
ঢাকা, ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) :
কৃষি খাতে বিদেশি বিনিয়োগের চেয়ে দেশীয় বিনিয়োগের অধিক প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ আয়োজিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের (এসডিজি) মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য অধ্যাপক শামসুল আলম প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।
মন্ত্রী বলেন, Ôব্যবসা সহজীকরণের বিষয়টি আমাদের মাথায় আছে। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টে নারীর উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাল্য বিবাহ একটা অত্যাচারের পর্যায়ে পড়ে। এটি আমাদের উন্নয়ন করতে হবে। মন্ত্রী এ সময় টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের (এসডিজি) মূল্যায়নে পরিসংখ্যানের অপ্রতুলতা যাতে না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্টদের সজাগ থাকতে বলেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, পরিসংখ্যান বিভাগের সচিব মোঃ ইয়ামিন চৌধুরী, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি।
#
শাহেদ/রাহাত/রফিকুল/সেলিম/২০২০/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৭১
মুজিববর্ষ উপলক্ষে নাইজেরিয়ার স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত
ঢাকা, ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য যৌথভাবে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিওফ্রে অনিইয়েমা (Geoffrey Onyeama) । নাইজেরিয়ার ডাকবিভাগের পক্ষ থেকে এ স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করা হয়।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, জাতির পিতার আদর্শ, ত্যাগ ও সংগ্রাম পৃথিবীর সকল মুক্তিকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীকে স্মরণীয় করতে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করায় নাইজেরিয়ার সরকারকে ধন্যবাদ জানান। এ ধরনের উদ্যোগ দু’দেশের বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো গভীর ও দৃঢ় করবে বলে উল্লেখ করেন ড. মোমেন।
এ সময় মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নির্যাতন বন্ধ ও তাদের নিজ ভূমি মিয়ানমারে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘ-সহ অন্যান্য ফোরামে নাইজেরিয়ার জোরালো ভূমিকা অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন ড. মোমেন। এছাড়াও নাইজেরিয়াকে আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কৃষি, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা, দ্বৈত কর পরিহার-সহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে উভয় দেশ কাজ করছে।
নাইজেরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিওফ্রে অনিইয়েমা বলেন, পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশ উপকৃত হবে। দু’দেশের আন্তরিকতার নিদর্শন স্বরূপ এ স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত করা হয়েছে।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর সংক্ষিপ্ত ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংযুক্ত ছিলেন। এছাড়াও নাইজেরিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ শামীম আহসান, নাইজেরিয়া পোস্টাল সার্ভিসের মহাপরিচালক Dr. Ismail Abebaya Adewusi-সহ উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা এবং নাইজেরিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিরা সংযুক্ত ছিলেন।
#
তৌহিদুল/রাহাত/রফিকুল/সেলিম/২০২০/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৭০
১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে জিয়াউর রহমান
-- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রধান ষড়যন্ত্রকারী খন্দকার মোশতাক। আর পর্দার আড়ালে থেকে খুনি মোশতাকের এক নম্বর সহযোগী হয়ে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে জিয়াউর রহমান। কমিশন গঠন করে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সকল নেপথ্য কুশীলবদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। খুনি মোশতাক ও খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচার করে ফাঁসি দিতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ সচিবালয় থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আওয়ামী শিল্পগোষ্ঠী আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশ উল্টো পথে চলতে শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধের গগণবিদারী ‘জয়বাংলা’শ্লোগানকে বাংলাদেশ জিন্দাবাদে পরিণত করা হয়। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সাজাপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামিদের মাফ করে দেয়। যুদ্ধাপরাধী ও কুখ্যাত রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করে। ইনডেমনিটি আইন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার আত্মস্বীকৃত খুনিদের পুরস্কৃত করে বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ দেওয়া হয়। খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের উত্তরাধিকারী উল্লেখ করে এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী খালেদাও ক্ষমতায় এসে রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছিল। এ থেকে বোঝা যায় ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড, জেল হত্যাকাণ্ড ও ২১ আগস্টের খুনিরা একই।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৭১ সালে সংস্কৃতিকর্মীরা গান, নাটক ও কবিতার মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা যুগিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি সংস্কৃতির অন্তপ্রাণ। তিনি ১৯৭৪ সালে শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন।
আওয়ামী শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি সালাউদ্দিন বাদলের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশিকুর রহমান চৌধুরী লাভলু, কাউন্সিলর সারোয়ার হাসান আলো ও স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পী শিবু রায়।
#
আলমগীর/রাহাত/রফিকুল/সেলিম/২০২০/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৬৯
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩৮টি সেবা ডিজিটাইজেশনের উদ্বোধন
ঢাকা, ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) :
সরকারের মাইগভ প্ল্যাটফর্মের আওতায় র্যাপিড ডিজিটাইজেশন কার্যক্রমের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩৮টি সেবা ডিজিটাইজেশনের উদ্বোধন করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আজ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে একত্রে এসব সেবা উদ্বোধন করেন।
এর ফলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সেবাগ্রহীতাগণ নাম গেজেটে অন্তর্ভুক্তকরণ, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা প্রাপ্তি, মুক্তিযোদ্ধা সনদের তথ্য সংশোধন-সহ প্রায় সকল বিষয়ে অত্যন্ত সহজে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবার আবেদন, সেবা সংশ্লিষ্ট পেমেন্ট, সেবার অগ্রগতি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম সেবাগ্রহীতা ৫টি এক্সেস পয়েন্টের মাধ্যমে (মাইগভ ওয়েব, মাইগভ অ্যাপ, ৩৩৩, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে) সম্পাদন করতে পারবেন।
এটি শুধু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নয়, বরং সমগ্র বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রার পথে এক যুগান্তকারী মাইলফলক। রূপান্তিত ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে সেবা গ্রহীতারা একটি কেন্দ্রীয় প্ল্যাটফর্ম থেকে জানতে পারবেন কোথায়/কীভাবে/কখন সংশ্লিষ্ট পরিষেবা পাওয়া যাবে। এর ফলে সেবাগ্রহীতা ও প্রদানকারী উভয়ের সময় ও অর্থের অপচয় কমে আসবে।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, এর ফলে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের সেবার মান বৃদ্ধি পাবে এবং কষ্ট করে আর সেবার জন্য ঘুরতে হবে না। মন্ত্রী এ সফল কার্যক্রমের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে কে ধন্যবাদ জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালভাবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ-সহ অন্যান্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এটুআই-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
মারুফ/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২০/২০২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৬৮
চলতি বছরে সারের চাহিদা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে
ঢাকা, ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) :
নিবিড় ও সম্প্রসারিত চাষাবাদের প্রয়োজনে সম্প্রতি চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরে রাসায়নিক সারের চাহিদা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে অতিরিক্ত ১ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া ও ১ লাখ মেট্রিক টন ডিএপি সার উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জরুরিভিত্তিতে সংগ্রহ করা হবে।
অতিরিক্ত এ ইউরিয়া সার বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) এবং ডিএপি সার কৃষি মন্ত্রণালয় সংগ্রহ করবে। এ সার ফসল উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
এর আগে চলমান ২০২০-২১ অর্থবছরে রাসায়নিক সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছিল ইউরিয়া ২৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন এবং ডিএপি ১৩ লাখ মেট্রিক টন। এখন চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ইউরিয়া ২৫ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন এবং ডিএপি ১৪ লাখ মেট্রিক টন।
#
কামরুল/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২০/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৬৭
যত দ্রুত ভ্যাকসিন ট্রায়াল সম্পন্ন হবে,
তত দ্রুত দেশে ভ্যাকসিন টিকা প্রয়োগ শুরু হবে
--স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন ট্রায়ালে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন ট্রায়ালে ভারত-সহ অন্য কোনো দেশ আগ্রহ দেখালে সরকার তার কার্যকারিতা যাচাই করে অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে আন্তরিক থাকবে। এর আগে চায়না কোম্পানি সায়নোভ্যাক দেশে ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অংশ নিতে আইসিডিডিআর,বি এর মাধ্যমে যে আবেদন করেছিল সেটির কার্যকারিতা নিয়ে সরকারের নানাবিধ বিশ্লেষণ শেষে চায়না কোম্পানিটিকে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়া হলো। যত দ্রুত ভ্যাকসিন ট্রায়াল সম্পন্ন হবে তত দ্রুত দেশ ভ্যাকসিন টিকা প্রাপ্ত হবে।’
আজ সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ভ্যাকসিন ট্রায়াল ও তার অগ্রগতি সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে সংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
অন্য কোনো দেশের ট্রায়াল বাংলাদেশে হবে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বিশে^র ৮টি কোম্পানি ভ্যাকসিন ট্রায়ালের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে ট্রায়ালের আগ্রহ দেখালে বাংলাদেশ তা বিবেচনা করবে। ভ্যাকসিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আগ্রহ কতটুকু এমন প্রশ্নের উত্তরে জাহিদ মালেক বলেন, ‘বাংলাদেশে মাথাপিছু আয়ের অনুপাতে কিছু ভ্যাকসিন ফ্রি পাবে। তবে সরকার কেবল ফ্রি ভ্যাকসিন পেতেই বসে থাকবে না। সরকার ভ্যাকসিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনোভাবেই পিছিয়ে থাকবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ মাহবুবুর রহমান, আইসিডিডিআর,বি এর পরিচালক, ইপিআই-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার, আইসিডিডিআর,বি এর সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফিরদৌসি কাদেরী, ড. খালিকুজ্জামান, ড. তাজুল ইসলাম বারী প্রমুখ।
সভায় অনলাইন ‘জুম’ এর মাধ্যমে অংশ নেন চীনা রাষ্ট্রদূত লি কিমিং।
#
মাইদুল/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২০/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৬৬
স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাইকার প্রধান প্রতিনিধির সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) :
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলামের সাথে জাপান ইন্টান্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি-জাইকা’র বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রধান প্রতিনিধি হায়াকাওয়া ইউহো সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
আজ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর নিজ কক্ষে এসে হায়াকাওয়া ইউহো এবং অন্য সদস্যরা সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে হায়াকাওয়া ইউহো জাইকার সহযোগিতায় স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন বাংলাদেশে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কে মন্ত্রীকে অবহিত করেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে মাথাপিছু আয় দুই হাজার ডলার ছাড়িয়েছে । তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবকাঠামোর উন্নয়ন ও নতুন অবকাঠামো নির্মাণ, পর্যটন-সহ সরকারি-বেসরকারি সকল ক্ষেত্রে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। তাই জাপান সরকার এবং জাপানের বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ-জাপান দীর্ঘদিনের বন্ধন আগামীতে আরো সুদৃঢ় হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন মোঃ তাজুল ইসলাম। বাংলাদেশে জাপান সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এবং দেশের সার্বিক পরিবেশ ইতিবাচক থাকায় বিনিয়োগে তার সরকার আগ্রহী বলেও মন্ত্রীকে জানান জাইকা প্রতিনিধি।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জনসাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন।
#
হায়দার/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২০/১৯১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৬৫
বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর সাথে ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১২ ভাদ্র (২৭ আগস্ট) :
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলীর সাথে আজ সচিবালয়ে তার দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাস সাক্ষাৎ করেছেন। এসময় বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে পর্যটন ও এভিয়েশন খাতের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক বৃদ্ধির ব্যাপারে আলোচনা হয়।
সাক্ষাৎকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন,বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় জনগণের অবদানের কথা বাংলাদেশ সবসময়ই কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক শক্তিশালী ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। দিন দিন এই সম্পর্ক আরো শক্তিশালী হচ্ছে। শক্তিশালী সম্পর্ক দুই দেশের জনগণের কল্যাণে ভূমিকা রাখবে।
মাহবুব আলী বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে এ অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। প্রতিবেশী বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলোর জনগণের পারস্পরিক ভ্রমণের মাধ্যমে এই অঞ্চলের পর্যটন শিল্প কোভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে। পর্যটন ও এভিয়েশন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা উভয়ের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে। এ সময় রিভা গাঙ্গুলি বলেন, বাংলাদেশ পর্যটনের অপার সম্ভাবনার একটি দেশ।