Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২১

তথ্যবিবরণী ৩০ ডিসেম্বর ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                                                        নম্বর : ৬১৪৬

সরকার কোনো কাজই আইনের বাইরে করতে পারে না

                                                                      -- আইনমন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ পৌষ (৩০ ডিসেম্বর) :

          বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকার কোনো কাজই আইনের বাইরে করতে পারে না। সরকারের কিছু করার থাকলে সেটাকে আইনের ধারায় এনে কাজটি করতে হয়।

          আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ওকাব (ওভারসিজ করেসপনডেন্টস এসোসিয়েশন বাংলাদেশ) আয়োজিত মিট দ্য ওকাব অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। ওকাব-এর আহ্বায়ক কাদির কল্লোল অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

          খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে পরিবারের দরখাস্তের কথা উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, তার আত্মীয়-স্বজন একটা দরখাস্ত করেছিলেন। সেখানে কোনো আইনের ধারার কথা উল্লেখ ছিল না। তারপরও সেই দরখাস্তকে গণ্য করে ফৌজদারি আইনের ৪০১ ধারার বিধান অনুযায়ী সরকার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে শর্তযুক্ত মুক্তি দিয়েছে। শর্ত হলো তিনি বাসায় চিকিৎসা নেবেন, কিন্তু বিদেশ যেতে পারবেন না।

          আনিসুল হক বলেন, ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন না হলেও সেদিন আনন্দ করে তার জন্মদিন পালন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর খুনি লে. কর্নেল আবদুর রশিদকে ১৯৯৬ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচনে বিরোধী দলীয় নেতা বানিয়ে ছিলেন খালেদা জিয়া। তার ছোট ছেলে মারা গেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমবেদনা জানাতে বাসায় গেলে তার (প্রধানমন্ত্রীর) মুখের সামনে গেইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এতকিছুর পরও তাকে শর্তযুক্ত মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারপরও কেন মানবিকতার প্রশ্ন ওঠে, প্রশ্ন রাখেন আইনমন্ত্রী।

          আনিসুল হক বলেন, ১৯৯৬ সালের ভোট আমি ও আপনারা দেখেছেন। হ্যাঁ-না ভোট থেকে শুরু করে অনেক ধরনের ভোট দেখার সুযোগ হয়েছে আমার। ২০১৪ সালে আমি নির্বাচিত হয়েছি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমার নিজের তোলা ছবি আছে, মানুষ ভোট দিতে গেছেন। আমি দেখাতে পারবো। যখন আমি নির্বাচন করেছিলাম জনগণের কাছে আমার বার্তা ছিল, ভোট কেন্দ্রে জান। সেখানে গিয়ে নিজেদের মতামত প্রকাশ করুন। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনেও আমরা চেষ্টা করেছি যাতে মানুষ ভোটকেন্দ্রে আসে।

          তিনি বলেন, নির্বাচনের কেন্দ্রে মানুষ না আসার কালচার কবে থেকে চালু হয়েছে, এটা আমার মনে করিয়ে দেওয়ার দরকার নেই। ১৯৭৫ এর পরে যেসব নির্বাচন হয়েছে তার যে প্রভাব তা এখনও বাংলাদেশের মানুষের মন থেকে দূর হয়নি। এ কালচার থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যা যা করা দরকার এ সরকার করার চেষ্টা করছে। বলেন, সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপে কানেক্টিভিটি নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি পাওয়ায় জনগণ ভোটের বিষয়ে এখন অনেক বেশি সচেতন হয়েছে।

          আইনমন্ত্রী বলেন, কোন দল যদি নির্বাচনে এসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করে, মানুষ কি তাদেরকে ভোট দেওয়ার জন্য বসে থাকবে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি'র কার্যকলাপ আপনারা দেখেছেন। একটি আসন থেকে চারজনকে নমিনেশন দিয়েছিল বিএনপি।

          ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে তিনি আবারও বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে। কিন্তু এও জানি এর কিছু অপব্যবহার ও দুর্ব্যবহার হয়েছে। এটা যাতে বন্ধ হয় সেজন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখন কোনো সাংবাদিককে মামলা হবার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় না। আগে যাচাই-বাছাই হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য করা হয়নি, বলেন তিনি।

          ওকাব টক অনুষ্ঠানে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

#

রেজাউল/এনায়েত/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২২৩৫ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                                         নম্বর : ৬১৪৫

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে

                                                                                              -- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ পৌষ (৩০ ডিসেম্বর) :

           শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

          আজ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি)-এর কাউন্সিল হলে মুজিববর্ষ ও মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

          মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতীয়তা বোধের চেতনা থেকে বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার একটাই পরিচয়, বাঙালি। বাঙালিকে জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধুকে অনেক লড়াই করতে হয়েছে। তিনি দূরদৃষ্টি দিয়ে বুঝেছিলেন বাঙালি জাতীয়তা বোধে উদ্বুদ্ধ করতে না পারলে বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মে আনা সম্ভব নয়। আর  ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মে আনতে না পারলে বাঙালির মুক্তি কোনোদিন সম্ভব নয়। বাঙালি জাতিসত্তা, স্বাধিকার আন্দোলন এবং পরবর্তীতে স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে এনেছিলেন।’

          তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের পরিচয় আমরা বাঙালি। আমাদের আদর্শ বঙ্গবন্ধুর, আর নেতৃত্ব শেখ হাসিনার। আমাদের সৌভাগ্য বঙ্গবন্ধু না থাকলেও তাঁর রক্ত ও আদর্শের উত্তরসূরি শেখ হাসিনা রয়েছেন। বাংলাদেশের উন্নয়নের আর্কিটেক্ট শেখ হাসিনা। তিনি গোটা জাতিকে নিয়ে ক্লান্তহীনভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব শেখ হাসিনা দেখাতে পেরেছেন’।

          প্রধান অতিথি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু, বাঙালি ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য সত্তা। আর সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকে বলা হতো শোষিতের কণ্ঠস্বর। আর এখন শেখ হাসিনাকে বলা হয় বিশ্বের দুর্গতদের কণ্ঠস্বর’।

          তিনি আরো যোগ করেন,  ‘শেখ হাসিনা কারণেই আজ বাংলাদেশের আকাশে বিজয়ের পতাকা সগৌরবে পতপত করে উড়ছে। যুদ্ধাপরাধীদের দম্ভ দেখতে হচ্ছে না। মনে রাখতে হবে স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনও দেশ থেকে নিঃশেষ হয়ে যায়নি। তাদের উত্তর প্রজন্ম এখনও দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। এজন্য সতর্ক থাকতে হবে, বিজয়ের পতাকা যেন শকুনরা আবার ছিনিয়ে নিতে না পারে। অবিরাম লড়াইয়ের ভেতর থেকে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের ঐক্যের ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা সৃষ্টি এখন সময়ের দাবি’।

          বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী  মোঃ আবদুস সবুর। বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ নুরুজ্জামানসহ পরিষদের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ-এর নেতৃবৃন্দ আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন।

#

ইফতেখার/এনায়েত/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২২৪০ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                                          নম্বর : ৬১৪৪

  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে                                                                                                                                                                                              -- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ পৌষ (৩০ ডিসেম্বর) :

          মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ, সাহসী নেতৃত্ব, সঠিক পরিকল্পনা ও অগ্রগতিশীল উন্নয়ন কৌশল সমৃদ্ধ অর্থনীতির ভিত্তি গড়ে বাংলাদেশ সাহায্যনির্ভর দেশ থেকে স্বনির্ভর দেশে পরিণত হয়েছে।

          আজ ঢাকায় বেইলি রোডে জাতীয় মহিলা সংস্থা আয়োজিত বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব অডিটোরিয়ামে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে এদেশের মানুষের মাথা পিছু আয় ছিল মাত্র ৭৫৯ ডলার, ২০২১ সালে এসে  তা হয়েছে ২৫৫৪ ডলার। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ এশিয়ায় সকল দেশের শীর্ষে আছে। তিনি বলেন, নারী শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্যের হার হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, রপ্তানি বৃদ্ধি, বড় অবকাঠামো নির্মাণ ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে বাংলাদেশ আজ সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সূচকে বিশ্বের বিস্ময়। বিশ্বের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদরা বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়নে শ্রেষ্ঠ উদীয়মান দেশ ও এশিয়ার নতুন বাঘ হিসেবে অভিহিত করেছে।

          জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়বের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সাকিউন নাহার। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, মোঃ মুহিবুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ।

#

আলমগীর/এনায়েত/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২২৩০ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                                         নম্বর : ৬১৪৩

নতুন প্রজন্মকে বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতে হবে

                                                   -- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ময়মনসিংহ, ১৫ পৌষ (৩০ ডিসেম্বর) :

          সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ার এ যুগে তরুণ প্রজন্মের অনেকেই ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হয়ে বইবিমুখ হয়ে যাচ্ছে যেটা আশঙ্কার বিষয়। সোশ্যাল মিডিয়া মানুষের অনেক উপকার ও কাজে লাগে যদি এর সদ্ব্যবহার করা যায়। তবে জ্ঞানার্জনের জন্য বইয়ের কোনো বিকল্প নেই। তাই বই পড়ার প্রতি নেশা জন্মাতে হবে। নতুন প্রজন্মকে বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতে হবে।

          প্রতিমন্ত্রী আজ ময়মনসিংহ জিমনেসিয়াম প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে, জেলা প্রশাসন ময়মনসিংহের আয়োজনে, স্থানীয় সরকার বিভাগের সহযোগিতায় ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় 'বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলা' এর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, বই পড়ার মাধ্যমে জ্ঞান-ভিত্তিক আলোকিত সমাজ গড়া; সমাজ থেকে নিরক্ষরতা ও চিন্তার পশ্চাৎপদতা দূরীকরণ, অর্জিত শিক্ষার সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ, একটি সহনশীল, সামাজিক ও গণতান্ত্রিক চেতনাবোধ এবং সর্বোপরি জনসাধারণের মাঝে মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টি করা সম্ভব। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন,  সময়ে সময়ে দেশব্যাপী এরূপ বইমেলা আয়োজন নতুন নতুন পাঠক সৃষ্টিসহ আলোকিত জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবনকর্ম ও আদর্শ এবং স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানতে নতুন প্রজন্মসহ সাধারণ পাঠকদের বইমেলা হতে এ সংক্রান্ত বই কেনার আহ্বান জানান।

          ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাস, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি অব পুলিশ ব্যারিস্টার মোঃ হারুন অর রশিদ বিপিএম, পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান পিপিএম সেবা, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সভাপতি মোঃ এহতেশামুল আলম, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ও ময়মনসিংহ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন।

          উল্লেখ্য, ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বইমেলায় মোট ৪১টি স্টল অংশগ্রহণ করছে এবং দেশব্যাপী চার দিনের এ বইমেলা আজ ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ খ্রি. তারিখ থেকে শুরু হয়ে ২ জানুয়ারি ২০২২ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত চলবে।

#

ফয়সল/এনায়েত/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২২০০ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                                        নম্বর : ৬১৪২

জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী দূরদর্শিতার সাথে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন

                                                                                                                 -- ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ পৌষ (৩০ ডিসেম্বর) :

          ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, জাতির পিতার অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূরদর্শিতার সাথে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। আগামী ২১০০ সালে বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণের কথা চিন্তা করে তিনি ডেল্টা প্ল্যান গ্রহণ করেছেন।

          প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলা একাডেমিতে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বিজয়ের সুবর্ণ জয়ন্তীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের সম¥াননা প্রদান ও আলোচনা সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের  বিস্ময়কর উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বিশ্ব নেতৃত্ব বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে আগামীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিকল্প নেই।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা একটি ধর্ম নিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতার মূলনীতি যুক্ত করেছিলেন। ধর্ম নিরপক্ষেতা দ্বারা তিনি সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অনুসারীগণ নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার ভোগ করার কথা বুঝিয়েছিলেন।

          ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সারা দেশে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের আওতায় অসংখ্য শিশুকে ধর্মীয় ও নৈতিকতা শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে। প্রথমবারের ন্যায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় গীতা শিক্ষা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে গীতা শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে।

          হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ডা. দিলীপ কুমার ঘোষ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র  ভাইস চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি, আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান এনডিসি, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র পাল, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল প্রমুখ।

          অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে সম¥াননা প্রদান করা হয়।

#

আনোয়ার/এনায়েত/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২২২৫ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                        নম্বর : ৬১৪১

রাষ্ট্রপতির সাথে আইসিওয়াইএফ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

ঢাকা, ১৫ পৌষ (৩০ ডিসেম্বর) :

          Islamic Cooperation Youth Forum (ICYF) এর প্রেসিডেন্ট Taha Ayhan এবং মালদ্বীপের Youth, Sports and Community Empowerment Minister Ahmed Mahloof সহ ICYF এর একটি প্রতিনিধিদল আজ রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সাথে বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করেন। এসময় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল উপস্থিত ছিলেন।

          সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধিদল সদ্যসমাপ্ত ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০ অনুষ্ঠানের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। তারা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে এই আয়োজন সম্পন্ন করায় বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তারা বলেন, এ আয়োজনের মাধ্যমে ওআইসি দেশগুলোর যুবসম্প্রদায় উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ডে উদ্বুদ্ধ হবে। তারা যুব সম্প্রদায়ের উন্নয়নে ওঈণঋ গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

          রাষ্ট্রপতি বলেন, যুবকরাই উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। যুব সম্প্রদায়কে সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া গেলে এবং তাদের উদ্ভাবনী শক্তিকে গঠনমূলক কাজে লাগানো গেলে দেশ ও জাতির উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। তিনি ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল হিসেবে ঢাকাকে বেছে নেয়ার জন্য ফোরামকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন এ কর্মসূচির মাধ্যমে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর যুব সম্প্রদায় উৎপাদনশীল কাজে উৎসাহিত হবে। রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে ওআইসির সদস্য হওয়ার পর থেকে সক্রিয়ভাবে মুসলিম উম্মাহর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ওআইসির সদস্যসহ বিশ্বের সকল দেশের সাথে পারস্পরিক ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ মুসলিম বিশ্বের উন্নয়নে গৃহীত দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক যেকোনো উদ্যোগকে সমর্থন করে।

          যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

#

ইমরানুল/এনায়েত/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২১৩৫ঘণ্টা 


তথ্যবিবরণী                                                                                                                        নম্বর : ৬১৪০

নতুন প্রধান বিচারপতি হলেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী

ঢাকা, ১৫ পৌষ (৩০ ডিসেম্বর) :

          গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেছেন।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয় উক্ত নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

আজ এ সম্পর্কিত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

#

রেজাউল/সাহেলা/রাহাত/এনায়েত/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২১/১৯১৫ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                        নম্বর : ৬১৩৯

  নভেম্বর পর্যন্ত শিল্প মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি শতকরা ৪৫ ভাগ

ঢাকা, ১৫ পৌষ (৩০ ডিসেম্বর) :

          শিল্প মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন সংস্থাসমূহের ২০২১-২২ অর্থবছরের বাষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি শতকরা প্রায় ৪৬ ভাগ; যেখানে জাতীয় পর্যায়ে বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রায় ১৯ ভাগ।

          আজ শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে পর্যালোচনায় সভায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন প্রধান অতিথি এবং শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও কর্পোরেশনের প্রধান এবং বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।

          সভায় জানানো হয়, ২০২১-২২ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোট ৩৩টি প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৩০টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ২টি কারিগরি সহায়তা এবং ১টি নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন। সব মিলিয়ে এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ৪ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবিখাতে ১ হাজার ২০৩ কোটি  টাকা, প্রকল্প সাহায্যখাতে ২ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নখাতে ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত প্রকল্পগুলোর বিপরীতে ১ হাজার ৮৫৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। 

          সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত শিল্প মন্ত্রণালয়ের এডিপি বাস্তবায়ন অগ্রগতি সন্তোষজনক; তবে আরো ভাল করতে হবে। তিনি বলেন, চিনি শিল্পের অব্যাহত লোকসান কাটিয়ে উঠতে উচ্চ ফলনশীল আখের জাত উদ্ভাবনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কল-কারখানাগুলোর আধুনিকায়নের কাজ চলছে। একইভাবে অন্যান্য খাতে লোকসান কমিয়ে আনতে আমাদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ব্যাপারে যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নের জন্য সংস্থা ও দপ্তর প্রধানদের তিনি নির্দেশনা প্রদান করেন।

          বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, সার সংরক্ষণ ও বিতরণ সুবিধার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি মন্থর গতিতে চলছে, কৃষকের দোরগোড়ায় সার পৌঁছে দিতে দ্রুত প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। দেশের বিভিন্ন জেলায় সারের মূল্য বৃদ্ধি, ওজনে কম, সারের বস্তায় ওজনে কম দেয়া সিন্ডিকেটকারিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, বিসিকের জায়গা যাতে বেহাত না হয় এবং এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তিনি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সকলের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের সাথে প্রতিপালনের আহ্বান জানান।

#

মাহমুদুল/সাহেলা/রাহাত/এনায়েত/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২১/১৯৩০ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                                       নম্বর : ৬১৩৮

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে

                                                               -- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ পৌষ (৩০ ডিসেম্বর) :

          মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক  বলেছেন,  বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে  বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান  সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা এখন  ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাচ্ছেন। এছাড়া  অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য  ত্রিশ হাজার  বীর নিবাস  নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।

          আজ রাজধানীর বনানীতে মহান স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন   আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

           মোজাম্মেল হক বলেন, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নির্দিষ্ট স্থান মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার হিসেবে সংরক্ষণ করতে চায় সরকার। যেখানে মানুষ গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারবে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব স্থানে যুদ্ধ হয়েছিল, সেসব স্থান সংরক্ষণ করা হচ্ছে। বধ্যভূমিগুলোও সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এমনকি যদি কোনো মুক্তিযোদ্ধা মারা যান তাদের একই রকম ডিজাইনের কবর দেওয়া হবে, যেন ৫০ বছর পরেও একটি কবর দেখে বোঝা যায়, এটি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর।

          বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিনামূল্যে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাবেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে শতভাগ চিকিৎসা সেবা প্রদানের এগ্রিমেন্ট হয়েছে। জেলা, উপজেলাসহ দেশের সব স্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিনামূল্যে শতভাগ চিকিৎসা সেবা পাবেন। সেখানে চিকিৎসা, ওষুধ ও টেস্ট যা প্রয়োজন তার সবই বিনামূল্যে প্রদান করা হবে।

          মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে জাতি ২৩ বছরের মুক্তিসংগ্রাম এবং  ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলো। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন তিনি ৩ বছর দেশকে কিছুই দিতে পারবেন না। অথচ তিনি সবই দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ধস নেমেছিল।

          ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে  অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া,  বীর বিক্রম;  আওয়ামী লীগের  যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল- আলম হানিফ এমপি; মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস এমপি ও  ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা।

#

মারুফ/সাহেলা/রাহাত/এনায়েত/রফিকুল/মাহমুদ/জয়নুল/২০২১/১৯২০ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                                        নম্বর : ৬১৩৭

দেশের হাওড় সংরক্ষণে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে সরকার

                                                                                    -- পরিবেশমন্ত্রী

ঢাকা, ১৫ পৌষ (৩০ ডিসেম্বর) :

          পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি কমিয়ে এনে হাওড়গুলো রক্ষার্থে সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। এলক্ষ্যে হাওড় এলাকার জনগণকে সংগঠিত করে গ্রাম সংরক্ষণ দল গঠন করে দলগুলোর সদস্যদের মাধ্যমে হাওড়ের পরিবেশ-প্রতিবেশ-জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। হাওড় এলাকায় জলজ বন সৃজন করা হয়েছে ও সংরক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিল-খাল পুনঃখননের মাধ্যমে জলাভূমির অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রবল ঢেউয়ের আঘাত থেকে হাওড় এলাকার বসতবাড়ি ও সম্পদ রক্ষার জন্য হাকালুকি হাওড়ে সাবমার্জিবল বাঁধ নির্মাণ ও বাঁধ বরাবর সবুজবেষ্টনী প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত প্রশমনে স্থানীয় কৃষকদের সেচ সুবিধায় সৌর শক্তিচালিত সেচ পাম্প স্থাপন করা হয়ে

2021-12-30-16-52-fafa572eeed93bcd9ba269a812d25244.doc