তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭০৮
সৌদিগামী নতুন-পুরাতন সকল প্রবাসী কর্মী সরকারি কোয়ারেন্টিন ভর্তুকি পাবে ২৫ হাজার টাকা
ঢাকা, ২৭ জ্যৈষ্ঠ (১০ জুন) :
বিএমইটির স্মার্ট কার্ডধারী কিংবা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সদস্য হিসেবে নিবন্ধিত সৌদি আরবগামী নতুন-পুরাতন সকল প্রবাসী কর্মীকে হোটেল কোয়ারেন্টিন খরচের সরকারি ভর্তুকি পঁচিশ হাজার টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
প্রসঙ্গত, মহামারি কোভিড-১৯ বিস্তার রোধকল্পে সৌদি আরব সরকার কতৃক জারীকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী গত ২০ মে ২০২১ হতে ৩০ জুন ২০২১ পর্যন্ত যেসব প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী ছুটি শেষে নিজ খরচে সৌদি আরবে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন পালন করেছে বা করবে, তাদেরকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড হতে কর্মী প্রতি ২৫ হাজার টাকা করে ভর্তুকি প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। নতুন কর্মীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই সুবিধায় তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।দ এই ভর্তুকির টাকা সংশ্লিষ্ট কর্মী বা তার মনোনীত প্রতিনিধির ব্যাংক একাউন্টে শীঘ্র প্রেরণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মীগণ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.probashi.gov.bd অথবা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের ওয়েবসাইট www.wewb.gov.bd অথবা জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ওয়েবসাইট www.bmet.gov.bd হতে আবেদনপত্র ডাউনলোড করে কিংবা দেশের ০৩টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবস্থিত প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক হতে সংগ্রহ করে তা পূরণপূর্বক প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ফ্লাইটের দিন বহির্গমনের পূর্বে বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কে জমা প্রদান করার জন্য বলা হয়েছে।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) কর্তৃক প্রদত্ত স্মার্টকার্ড বা ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ডের ফটোকপি; পাসপোর্টের প্রথম চার পৃষ্ঠার ফটোকপি; পাসপোর্টের সাথে সংযুক্ত ভিসার ফটোকপি; টিকেটের ফটোকপি ও হোটেল বুকিংয়ের ডকুমেন্ট এর ফটোকপি।
উল্লেখ্য, সৌদি আরব প্রবাসী যেসব কর্মী ইতোমধ্যে সৌদি আরব চলে গিয়েছে এবং নিজ ব্যয়ে কোয়ারেন্টিন সম্পন্ন করেছে বা করছে তাদেরকে একই নিয়মে সংশ্লিষ্ট আবেদনপত্র পূরণপূর্বক ৩০ জুন ২০২১ তারিখের মধ্যে সৌদি আরবস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, রিয়াদ অথবা বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, জেদ্দায় ডাক মারফত জমা প্রদান করতে হবে।
#
রাশেদুজ্জামান/নাইচ/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২২২১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭০৭
বিশ্বে ডিজিটাল মিডিয়ায় জঙ্গি তৎপরতা রুখতে রাষ্ট্রসমূহের ভূমিকা রাখতে হবে
--মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ২৭ জ্যৈষ্ঠ (১০ জুন) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল মিডিয়ায় জঙ্গিরা যেভাবে সংগঠিতে উপায়ে সারা পৃথিবীতে প্রভাব বিস্তার করছে তার বিপক্ষে রাষ্ট্রসমূহের রাজনৈতিক ভূমিকা সমৃদ্ধ নয়। এসব অপপ্রয়াস রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার বিকল্প হতে পারে না।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জঙ্গিবাদ তৎপরতার বিরুদ্ধে তরুণ সমাজ ও সরকারের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, অনলাইন এক্টিভিস্ট, মারুফ রসুল ও অমি রহমান পিয়াল এবং সাংবাদিক সাব্বির খান বক্তৃতা করেন।
ফেসবুক ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কন্টেন্ট প্রকাশ ও প্রচারের ক্ষেত্রে তাদের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেয়ায় বিশ্বের সরকারসমূহের কাছে একটি বড় ঝুঁকি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্সসহ পৃথিবীর বহু দেশ এ বিষয়ে আইন করেছে। ভারত আইন প্রণয়নের বিষয়টি চিন্তা করছে। তিনি বলেন, অপপ্রচারের মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি অত্যন্ত জঘন্য কাজ। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তথা ব্যক্তির সামাজিক নিরাপত্তার স্বার্থে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিষয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর মন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুক সম্প্রতি সরকারের সাথে কিছুটা সহযোগিতা প্রদান করছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ফেসবুক এখন বাংলাদেশ ডেস্ক রয়েছে, নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি সাথে তারা যোগাযোগ রক্ষা করছে। এটা আমাদের জন্য বড় অগ্রগতি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল আইনের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমের বিষয়ে জোরালো আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তিনি বলেন, জুয়া ও পর্নোসাইটসহ ক্ষতিকর ওয়েবসাইট বন্ধ করতে সরকার সক্ষমতা অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশ ডিজিটাল অপরাধ নিয়ন্ত্রণেও পিছিয়ে থাকবে না বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বক্তারা ডিজিটাল মাধ্যমে জঙ্গি তৎপতার বিরুদ্ধে জনগণকে বিশেষ করে তরুণ সমাজকে সাথে নিয়ে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তারা বলেন, সরকার ও জনগণকে এক সাথে কাজ করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিষয়ে প্রয়োজনে আইন করতে হবে বলে তারা সরকারের কাছে দাবি জানান।
#
শেফায়েত/পাশা/নাইচ/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২১১৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭০৬
রাষ্ট্রপতির সাথে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২৭ জ্যৈষ্ঠ (১০ জুন) :
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে মেয়র আতিকুল ইসলাম ঢাকা উত্তর সিটির উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। এসময় তিনি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও খাল পুনরুদ্ধার কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। এছাড়া মশা নিধন কার্যক্রমসহ নাগরিকদের সেবাদানে গৃহীত বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন ডিএনসিসি মেয়র।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের মূল দায়িত্ব হচ্ছে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, ঢাকা সিটিকে পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সিটি কর্পোরেশনকে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে এবং প্রতিটি পরিকল্পনা সম্বন্ধিতভাবে গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও নগরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। রাষ্ট্রপতি বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার জন্য ডিএনসিসি মেয়রকে পরামর্শ দিন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
ইমরানুল/পাশা/নাইচ/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২০৫৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭০৫
শিশু-কিশোরদের সার্বিক বিকাশে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা সহায়ক ভূমিকা পালন করবে
-- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৭ জ্যৈষ্ঠ (১০ জুন) :
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন বলেছেন, শিশু-কিশোরদের সার্বিক বিকাশে লেখাপড়ার পাশাপাশ খেলাধুলা অনন্য ভূমিকা পালন করে থাকে এবং শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য প্রয়োজন সুস্থ দেহ ও সজীব মন। এছাড়া খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেম, শৃঙ্খলাবোধ, ভ্রাতৃত্ববোধ, উদারতা ও নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে।
প্রতিমন্ত্রী আজ কুড়িগ্রাম জেলা স্টেডিয়াম মাঠে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর প্রেরণাদাত্রী সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি স্বরূপ ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক (অনূর্ধ্ব-১৭) ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭)’এর চূড়ান্ত খেলায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দলের মধ্যে পদক ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
কুড়িগ্রাম জেলা পর্যায়ের এই দু’টি টুর্নামেন্টের বঙ্গমাতা গোল্ডকাপে চ্যাম্পিয়ন দল ভুরুঙ্গামারী উপজেলা ও রানার্সআপ দল চিলমারী উপজেলা। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে চ্যাম্পিয়ন দল ফুলবাড়ি উপজেলা ও রানার্সআপ দল চিলমারী উপজেলা।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত টুর্নামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠানে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন কুড়িগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা ও সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই দু’টি টুর্নামেন্টের মাধ্যমে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার ভালবাসা ও আত্মত্যাগ সম্পর্কে নতুন প্রজন্ম জানবে এবং তাঁদের আদর্শ সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে জয়-পরাজয় মেনে নেয়ার মানসিকতা তৈরি হবে।
পরে প্রতিমন্ত্রী টুর্নামেন্ট দু'টির বিজয়ী ও বিজিত দলের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন।
#
রবীন্দ্র/পাশা/নাইচ/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২০৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭০৪
হাকালুকি হাওরের উন্নয়নে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে
-- পরিবেশমন্ত্রী
বড়লেখা (মৌলভীবাজার), ২৭ জ্যৈষ্ঠ (১০ জুন) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, হাকালুকি হাওরের উন্নয়নে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, মাধবকুণ্ড ইকোপার্কে একটি কেবল কার এবং জুড়ীর লাঠিটিলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে একটি সাফারি পার্ক স্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, এগুলো একসময় আমাদের স্বপ্ন ছিল। দেশ হিসেবে উন্নত হয়েছি বলেই এগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য দেশ বিদেশের লোক এখানে আসবেন।
আজ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সামাজিক বনায়নে উপকারভোগীর মধ্যে লভ্যাংশের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, বৃক্ষহীন পাহাড়কে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে। সরকার এবছর আট কোটি গাছের চারা লাগানোর পরিকল্পনা করেছে। জনগণকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেকে তিনটি করে গাছের চারা লাগালে প্রতিবছর প্রায় পঞ্চাশ কোটি গাছ লাগানো সম্ভব। গাছের চারা লাগালেই হবে না। এগুলির পরিচর্যা করতে হবে। তিন বছর পর্যন্ত পরিচর্যা করলে গাছ নিজে থেকেই বড় হতে পারবে।
মন্ত্রী বলেন, যত বেশি গাছ লাগানো হবে, বাতাস তত বেশি ঠাণ্ডা হবে, পরিবেশ বাসযোগ্য থাকবে। তিনি বলেন, সুন্দরবন আমাদের অনেক বড়ো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে রক্ষা করে। সারাদেশে সুন্দরবনের মতো গাছ লাগাতে পারলে আমরা সবাই সুরক্ষিত থাকতে পারবো। মন্ত্রী এসময় এবারের বৃক্ষরোপণ অভিযানের স্লোগান " মুজিববর্ষে অঙ্গীকার করি, সোনার বাংলা সবুজ করি" অনুসরণ করে সবাইকে অধিক হারে গাছ লাগানোর অনুরোধ করেন।
উল্লেখ্য, আজ অনুষ্ঠানে সামাজিক বনায়নে ১২৯ জন উপকারভোগীর মধ্যে ৫৫% লভ্যাংশ হিসেবে ৪৩ লাখ ২৭ হাজার ৮৭২ টাকার লভ্যাংশ এবং পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৫% হিসেবে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৬০ টাকার লভ্যাংশ মোট ৪৭ লাখ ২৪ হাজার ৯৩২ টাকা বিতরণ করা হয়। এর পূর্বে একই স্থানে মন্ত্রীর ঐচ্ছিক তহবিলের ৬ লাখ ৭২ হাজার টাকার চেক, মসজিদ-মন্দিরে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার অনুদানের চেক এবং উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন তহবিল হতে সেলাই মেশিন এবং মাছের পোনা ও বিতরণ করা হয়।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, ভাইস চেয়ারম্যান তাজ উদ্দীন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম সাজ্জাদ হোসেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ সিরাজ উদ্দিন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. প্রণয় কুমার দে প্রমুখ।
#
দীপংকর/পাশা/নাইচ/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২০৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭০৩
রাষ্ট্রপতির সাথে বিমান বাহনী প্রধানের বিদায়ী সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২৭ জ্যৈষ্ঠ (১০ জুন) :
বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।
বিদায়ী বিমান বাহিনী প্রধান বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর উন্নয়নে তার সময়ে গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। তিনি দায়িত্বপালনকালে সার্বিক সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ সফলভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য বিদায়ী বিমান বাহিনী প্রধানকে ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আওতায় বিমান বাহিনীর আধুনিকায়নে বর্তমান সরকার নানা কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। তিনি আশা করেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আগামীতে একটি আধুনিক ও উন্নত বাহিনীতে পরিণত হবে। করোনা মোকাবিলায় বিমান বাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, দেশ ও জাতির প্রয়োজনে বিমান বাহিনী ভবিষ্যতেও এগিয়ে আসবে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
ইমরানুল/পাশা/নাইচ/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২০২২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭০২
সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
-- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৭ জ্যৈষ্ঠ (১০ জুন) :
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাত হোসেন বলেছেন, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই সংস্কৃতিসেবীরা যাতে কোনো ধরনের দুর্ভোগের শিকার না হন সেদিকে সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত মেহেরপুর জেলায় কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণজনিত কারণে সাময়িকভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া সংস্কৃতিসেবীদের মাঝে চেক বিতরণ এবং মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় মেহেরপুর জেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তৃতাকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন অনেক সংস্কৃতিকর্মীই কর্মহীন হয়ে পড়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মানুষের যেন দুর্ভোগ না হয়, সে বিষয়ে সরকার সব সময় সজাগ দৃষ্টি রাখে। তাই কর্মহীন হয়ে পড়া সংস্কৃতিসেবীদের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ধর্মীয় মূল্যবোধসম্পন্ন অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ধর্মীয় নীতি-নৈতিকতার আলোকে একটি উন্নত সমাজ গঠন এ সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পন্ন অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রঞ্জিত কুমার দাস এবং মেহেরপুরের পুলিশ সুপার এস. এম. মুরাদ আলী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ৯০ জন সংস্কৃতিসেবীকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়া মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় মেহেরপুর জেলার ৫ জন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও ১০ জন শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
#
শিবলী/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২০২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭০১
বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন নির্মাণে বাড়তি ফি : তথ্যমন্ত্রীকে শিল্পীসমাজের কৃতজ্ঞতা
ঢাকা, ২৭ জ্যৈষ্ঠ (১০ জুন) :
বিদেশি শিল্পী দিয়ে চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপন নির্মাণে বাড়তি ফি নির্ধারণ করে নীতিমালা সংস্কার করায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদকে অকুণ্ঠ অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে দেশের শিল্পীসমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ।
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শিল্পীরা তাদের এ অনুভূতি ব্যক্ত করে এবং ফুলেল অভিনন্দন জানায়। তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো: মকবুল হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন। অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, চলচ্চিত্র ও নাট্যনির্মাতা এবং গীতিকার এস এ হক অলীক, অভিনেত্রী ও মডেল তারিন জাহান এসময় বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য শিল্পীদের সুরক্ষা দেয়া, এটি রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আমাদের টেলিভিশনে বিজ্ঞাপনের একটা বিরাট অংশ অন্যদেশের শিল্পীদের দিয়ে বানানো হয় এবং সেই শিল্পীরাও প্রথম শ্রেণির নয়, অন্যদেশের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় গ্রেডের শিল্পী। পক্ষান্তরে, আমাদের মডেলশিল্পীরা দেখতেও সুন্দর, স্মার্ট এবং ভালো অভিনয় করে। বিজ্ঞাপনচিত্রেও অভিনয় করতে হয়। বেশ কিছু বিজ্ঞাপনচিত্রে আমাদের শিল্পীরা এত সুন্দর অভিনয় করেছে, বিষয়কে এমনভাবে ফুটিয়ে তুলেছে এবং এমনভাবে সেগুলো বানানো হয়েছে যা দেখে অভিভূত হতে হয়, মনে গভীরে দাগ কাটে। আমরা মনে করি, আমাদের দেশের শিল্পীদেরই বিদেশে গিয়ে বিজ্ঞাপনচিত্র বানানোর মতো মেধা আছে।’
‘বিদেশি শিল্পী বা বিদেশ থেকে চলচ্চিত্র বা বিজ্ঞাপন বানিয়ে আনা বন্ধ করা সরকারের উদ্দেশ্য নয়, এখন মুক্তবাজার অর্থনীতি, যে কেউ যে কাউকে দিয়ে বানাতে পারে, সরকারের লক্ষ্য দেশের শিল্পীদের সুরক্ষা দেয়া’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘বিদেশি শিল্পী দিয়ে চিত্র নির্মাণে আমরা প্রথমে ৫ লাখ টাকা ফি’র কথা চিন্তা করেছিলাম পরে অনেক শিল্পীর পারিশ্রমিক ৫ লাখ টাকা হয় না, সেই বিবেচনায় আপাতত শিল্পীপ্রতি ভ্যাট এবং আয়কর বাদে ২ লাখ টাকা ফি নির্ধারণ হয়েছে। আর যে টেলিভিশন সেই শিল্পীর বিজ্ঞাপনচিত্র দেখাবে সেই টেলিভিশন সরকারকে এককালীন ২০ হাজার টাকা দিতে হবে। এছাড়া ১৯৯৯ সাল থেকে চালু এ সম্পর্কিত নীতিমালায় অন্যকোন পরিবর্তন নেই।’
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা শিল্পীদের কল্যাণে অনেক কিছু করেছেন। চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট করে দিয়েছেন। সেটি এখন সংসদীয় কমিটিতে আছে। কমিটির সাথে আলোচনাও হয়েছে, খুব সহসা সেটি সংসদের অনুমোদন লাভ করবে।
অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম দেশ, দেশের শিল্প-সংস্কৃতি ও শিল্পী রক্ষায় এই নীতিমালা সংস্কারকে তথ্যমন্ত্রীর একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেন। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি সরকারের শিল্পরক্ষার উদ্যোগের সাথে একাত্ম রয়েছে। আর বিদেশি শিল্পীর জন্য ফি নির্ধারণকে দেশের শিল্পীদের বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সক্রিয় ভাবনার ফসল বলে বর্ণনা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। নাট্যনির্মাতা এবং গীতিকার এস এ হক অলীক বলেন, এ নীতিমালা সংস্কারের পাশাপাশি টিআরপি নির্ধারণ, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, বিদেশি সিরিয়াল প্রিভিউ করার বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন উদ্যোগগুলো আক্ষরিকভাবেই যুগোপযোগী। অভিনেত্রী ও মডেল তারিন জাহান তার বক্তব্যে বিদেশি চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপনে বাংলাদেশের শিল্পীদের কাজের ক্ষেত্র প্রসারের বিষয়ে নজর দেবার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানান।
পাতা-২
সভাশেষে সাংবাদিকরা তথ্যমন্ত্রীর নাম বিকৃত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উচ্চারণের বিষয়ে প্রশ্ন করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘ফখরুল সাহেবকে ভদ্রলোক বলেই জানতাম। তিনি কেন হঠাৎ এভাবে নাম বিকৃত করে বলা শুরু করলেন বুঝতে পারছি না। সম্ভবত তাদের রাজনীতি নিয়ে প্রচণ্ড হতাশা থেকে খেই হারিয়ে ফেলছেন। আমি ফখরুল সাহেব সম্পর্কে বেশি কথা বলতে চাই না। উনাকে অনেকেই ‘মিথ্যা ফখরুল’ বলেন, আমি সেটা বলতে চাই না। আর তিনি বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমাদেরকে ক্ষমতা থেকে সরাবেন। ১২ বছর ধরে এরকম হুমকির মধ্যে থাকতে থাকতে দেখা যাচ্ছে, যারা হুমকি দিচ্ছে তাদের গণ্ডিই ছোট হয়ে আসছে।’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র) খাদিজা বেগম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, অভিনেত্রী ও মডেল তানভীন সুইটি, মিষ্টি জান্নাত, সিমলা, বিপাশা কবির, নিঝুম রুবিনা, অন্তু করিম প্রমুখ সভায় অংশ নেন।
#
আকরাম/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯২৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৭০০
প্রধানমন্ত্রীর করোনা সহায়তা তহবিল ও হাউজ কনস্ট্রাকশন ফান্ড বাই প্রাইভেট ফাইন্যান্স তহবিলে
বিদ্যুৎ বিভাগ ও জ্বালানি বিভাগ হতে অনুদান প্রদান
ঢাকা, ২৭ জ্যৈষ্ঠ (১০ জুন) :
প্রধানমন্ত্রীর করোনা সহায়তা তহবিল ও হাউজ কনস্ট্রাকশন ফান্ড বাই প্রাইভেট ফাইন্যান্স তহবিলে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে আজ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ মোট ২২ দশমিক ২৫ কোটি টাকার চেক প্রদান করেছেন। চেকটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস গ্রহণ করেন। এ সময় গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী সংযুক্ত ছিলেন।
বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন দপ্তর/কোম্পানিসমূহ হতে এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলা ও বিপিসির কোম্পানিসমূহ হতে সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
তহবিল দুটিতে বিদ্যুৎ বিভাগ এর অধীনস্থ দপ্তর/কোম্পানিসমূহ হতে ৫ কোটি টাকা করে দু’টি তহবিলে মোট ১০ কোটি টাকা এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এর অধীনস্থ পেট্রোবাংলা ও বিপিসির কোম্পানিসমূহ হতে হাউজ কনস্ট্রাকশন ফান্ড বাই প্রাইভেট ফাইন্যান্স তহবিলে ৭ কোটি ও করোনা সহায়তা তহবিলে ৫ দশমিক ২৫ মোট ১২ দশমিক ২৫ টাকা অনুদান দিয়েছেন।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ আনিছুর রহমান, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান, বিপিসির চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়েজউল্লাহ ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)-এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
#
আসলাম/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯২২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৯৯
রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে
--গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৭ জ্যৈষ্ঠ (১০ জুন) :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।
আজ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন বিভিন্ন জলাশয়, লেক ও খাল পরিদর্শন শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজধানী ঢাকার ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং ভূমির যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে ভারী বর্ষণে প্রায়ই বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা যায়। এই জলাবদ্ধতার পেছনে প্রাকৃতিক কারণের পাশাপাশি মানবসৃষ্ট কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দায়ী। অনেক ক্ষেত্রে পানিপ্রবাহের স্বাভাবিক পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে। এছাড়া ড্রেনেজ স্যুয়ারেজ লাইনে কঠিন ময়লা-আবর্জনা ফেলার ফলে অনেক সময় পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হয় এবং অল্প বর্ষণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এসব ক্ষেত্রে শুধু সরকারি পদক্ষেপে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় জনগণের মধ্যে প্রয়োজনীয় সচেতনতা এবং সহযোগিতার মনোভাব থাকতে হবে। সরকারি বিভিন্ন সংস্থা এবং স্থানীয় জনগণ মিলে আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করলে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব।
প্রতিমন্ত্রী জলাবদ্ধতা নির