Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১st মে ২০২১

তথ্যবিবরণী ১ মে ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২০৬১

 

সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে সরকারের মানবিক সহায়তা বিতরণ

 

ঢাকা, ১৮ বৈশাখ (১ মে) :

 

          সিলেট বিভাগের চারটি জেলায় করোনা ভাইরাস মহামারীতে দুর্গত ও অসচ্ছল পরিবারের মাঝে সরকার মানবিক সহায়তা প্রদান হিসেবে ৪৭ হাজার ৮৫৬টি পরিবারের মধ্যে ২ কোটি ৪৮ লাখ ২৬ হাজার ৯৫০ টাকা বিতরণ করেছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৪ হাজার ৯৯৮টি দরিদ্র পরিবারকে নগদ ২৩ লাখ ৯৮ হাজার ৯৫০ টাকা, হবিগঞ্জে ২ হাজার ২৫৬টি অসচ্ছল পরিবারকে ১১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, সুনামগঞ্জের ২ হাজার পরিবারকে ২০ লাখ টাকা এবং মৌলভীবাজার জেলার ৩৮ হাজার ৬০০ পরিবারকে ১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়।

 

          একই দিনে ময়নসিংহ বিভাগে করোনাকালীন দুর্যোগে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ১২৮টি অসচ্ছল পরিবারকে ৩১ কোটি ২ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। এছাড়া শিশুখাদ্য ক্রয়ের জন্য ময়মনসিংহ মহানগর এলাকায় নগদ ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। জামালপুর জেলায় করোনা মোকাবিলায় দরিদ্র মানুষদের মাঝে আর্থিক সহায়তা হিসেবে ১৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা এবং ত্রাণ হিসেবে ৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়।

 

#

 

আলমগীর/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১৪০ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২০৬০

চট্টগ্রাম বিভাগে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত

ঢাকা, ১৮ বৈশাখ (১ মে) :

            চট্টগ্রাম বিভাগে করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারের বিভিন্ন ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা ও ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় গরিব, অসহায়, দুস্থ দিনমজুরসহ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

            রাঙ্গামাটি জেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২০ হাজার হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে  যার সুফল ভোগ করেছে ৮০ হাজার জন দুস্থ, কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জেলায় বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪১ লাখ ৭৫ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে এ যাবৎ  ২০ হাজার পরিবারের মাঝে ৯০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

            কক্সবাজার জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার মধ্যে ৯৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তার অংশ হিসেবে বরাদ্দকৃত ৭ কোটি ৮৬ লাখ ২৭ হাজার ১৫০ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত  ১৮ লাখ ৪৬ হাজার ৭৬০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে, যার ফলে উপকৃত হয়েছে মোট ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৮৮টি প্রান্তিক পরিবার। তাছাড়া এ জেলায় ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৩২৮টি পরিবার।

            খাগড়াছড়ি জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা (জিআর ক্যাশ) খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ১৭ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২ হাজার কর্মহীন পরিবারের মাঝে ১০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

            লক্ষ্মীপুর জেলায় করোনার মোকাবেলায় সরকার কর্তৃক মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যার মধ্যে এ যাবৎ বিভিন্ন হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় ভিজিএফ সহায়তা (নগদ) অর্থ খাতে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে দুস্থ, অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

            কুমিল্লা জেলায় জিআর (ক্যাশ) খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকার মধ্যে ৬২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৮ কোটি ৬০ লাখ ১৩ হাজার টাকার মধ্যে ১৮ লাখ ৩৯ হাজার ১৫০ টাকা মোট ১৬ হাজার ৬৩৭টি দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১ হাজার ৭০০ পরিবার।

            চাঁদপুর জেলায় জিআর (ক্যাশ) সহায়তা খাতে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে যার মধ্যে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ৪৭ হাজার ২০০টি হতদরিদ্র পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৪ কোটি ৫৫ লাখ ৫১ হাজার ২৫০ টাকা ১ লাখ ১ হাজার ২২৫টি দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় খাতে ৮ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় খাতে আরো ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

            বান্দরবান জেলায় জিআর (ক্যাশ) সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ইতোমধ্যে ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ৫ হাজার ১৫০টি দুস্থ পরিবারের সদস্যদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণের জন্য জেলাটিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে আরো ২ কোটি ৬৫ লাখ ৮৬ হাজার ৯০০ টাকা।

            ফেনী জেলায় জিআর (ক্যাশ) খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ২৭ লাখ টাকার মধ্যে ৬৪ হাজার টাকা ১০০টি দুস্থ অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে ফেনী জেলায় বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ৬০ হাজার টাকা।

            উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট জেলা তথ্য অফিসারদের মাধ্যমে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

#

ফয়সল/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২২০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২০৫৯

 

করোনা মোকাবেলায় রাজশাহীতে ৮ লাখ ৬০ হাজার ৭৬০ জনকে মানবিক সহায়তা

 

ঢাকা, ১৮ বৈশাখ (১ মে) :

 

          রাজশাহীতে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত  ৮ লাখ ৬০ হাজার ৭৬০ জনকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। রাজশাহীর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

 

          সুবিধাভোগীদের মধ্যে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮০০ জনকে নগদ ২ কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে। ভিজিএফ  আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ৬ লাখ ২৩ হাজার ১৬০ জনের মাঝে ৭ কোটি ১ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া, ৩৬ হাজার ৮০০ জনের মাঝে শুকনা খাবার  বিতরণ করা হয়েছে।

 

          এছাড়া, গবাদি পশুকে বাঁচিয়ে রাখতে রাজশাহী জেলায় গো-খাদ্য বাবদ ৯ লাখ টাকা দরিদ্র খামারিদের মাঝে  বিতরণ করা হয়েছে ।

 

#

 

মারুফ/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১০০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২০৫৮

 

শিক্ষাকে সভ্যতার বিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে

                                                 -- মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা, ১৮ বৈশাখ (১ মে) :

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সারা দুনিয়ায় এগিয়ে যাওয়ার বাহন হচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষার বদৌলতে সভ্যতার বিবর্তন হয়েছে। এখন শিক্ষাকে সভ্যতার বিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। ডিজিটাল সভ্যতা বা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ডিজিটাল শিক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, আজকের ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার জাদুটি হচ্ছে ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ বছরে বাংলাদেশ ডিজিটাইজেসনসহ সকল ক্ষেত্রে পৃথিবীর অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।

          মন্ত্রী আজ ঢাকায় ময়মনসিংহ জেলা প্রতিষ্ঠার ২৩৩তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বৃহ্ত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

          বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী  আশরাফ আলী খান খসরু, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, অধ্যাপক যতীন সরকার, বৃহত্তর ময়মনসিংহ কর্মজীবী সমিতির সভাপতি সাজ্জাদুল হাসান, বস্ত্র ও পাট সচিব মোঃ আবদুল মান্নান, আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়ক আবদুস সামাদ এবং  সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান শেলী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

          বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বৃহত্তর ময়মনসিংহের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং ২৩৩ বছর আগে জেলা প্রতিষ্ঠার ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরে বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ পলিমাটি দিয়ে গড়া, এটি একটি বৃহৎ শস্য ও মৎস্যসহ অন্যান্য সম্পদ সমৃদ্ধ জনপদ। তিনি বৃহ্ত্তর ময়মনসিংহের সব জেলাতে শিক্ষা বিস্তারে বিশেষ করে ডিজিটাল শিক্ষার প্রসারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, আমার গ্রামে স্বাধীনতার পর ৭২ সালে  বিশেষ করে হাওরে প্রাথমিক শিক্ষার পর হাইস্কুলে পড়ারও সুযোগ ছিল না, সেই হাওরের মানুষ এখন সেখানে মাস্টার ডিগ্রি পড়ার  সুযোগ পাচ্ছে।

          তিনি বলেন, হাওরের প্রতিটি গ্রামের পাশ দিয়ে এখন সাবমার্সিবল রাস্তা হয়েছে। ডিজিটাল সুপার হাইওয়ে তৈরি হয়েছে। হাওর এলাকায় আছে টেলিটক নেটওয়ার্ক। গড়ে উঠছে ১২ হাজার ওয়াইফাই জোন। নেত্রকোণায় আইটি ট্রেনিং সেন্টার, বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজ, জামালপুর, ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলে হাইটেক পার্ক ও জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হচ্ছে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম গর্ব করে যে ত্রিশালের জাতীয় কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলো যেখানে এখন সাড়ে সাত হাজার ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করে। মন্ত্রী মেধা ও সৃজনশীলতার দিক থেকে ময়মনসিংহের মানুষদের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য মেধা ও সৃজনশীলতার খুবই প্রয়োজন। মন্ত্রী পরিকল্পিত উপায়ে আড়াই হাজার বর্গমাইলের বিস্তীর্ণ হাওরে দেশি মাছের চাষ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, শস্য সম্পদের মতো হাওরের মৎস্য সম্পদ দেশের মাছের চাহিদা মিটিয়েও রপ্তানিতে ভূমিকা রাখতে পারে।

          অনুষ্ঠানে বক্তারা বৃহত্তর ময়মনসিংহের ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরেন।

#

শেফায়েত/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২০৫৭

 

ক্ষতিগ্রস্ত গণমাধ্যমকর্মীদের  সহায়তায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার

                                                              -- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৮ বৈশাখ (১ মে) :

 

          মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন শ্রমবান্ধব  বর্তমান সরকার করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত গণমাধ্যমকর্মীদের আর্থিক সহায়তায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, তাদের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য সাংবাদিক  কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে । 

 

          মহান মে দিবস উপলক্ষে গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন (জিইউজে) আয়োজিত ‘মহান মে দিবস: গণমাধ্যম কর্মীদের সমস্যা ও করণীয়’ শীর্ষক ভার্চুয়াল  এক  আলোচনা সভায়  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আজ এসব কথা বলেন।

 

          মোজাম্মেল হক আরো বলেন, ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রে রক্ত দিয়েছিল বলে  আজ শ্রমঝীবী মানুষের সুযোগ-সুবিধা, জীবনমানের উন্নতি ঘটেছে। বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্কের নীতি ও আদর্শকে কাজে লাগাতে বর্তমান সরকার কাজ করছে।

 

          তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশের সকল কলকারখানার উৎপাদন ব্যবস্থার উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এছাড়া  কর্মহীন ও শ্রমজীবীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের কার্যক্রম চলছে।

 

          তিনি আরো বলেন, পরিকল্পিত নগরী গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করেছেন। উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং দেশ ও জাতি গঠনে জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি সাংবাদিক ও পেশাজীবীদেরও বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে।

 

          গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে  আলোচনা সভায়  বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির  সদস্য ও মহিলা শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি শামসুন নাহার ভূঁইয়া এমপি, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী খান চৌধুরী মানিক, ঢাকা সাংবাদিক পরিবার বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আল মামুন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি এম এ সালাম শান্ত প্রমুখ।

 

#

মারুফ/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০২০ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২০৫৬

 

রংপুর বিভাগে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

 

ঢাকা, ১৮ বৈশাখ (১ মে) :

 

          কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে আজ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ করা হয়।

 

          বিকালে দিনাজপুর সদরের বন্ধন কমিউনিটি সেন্টারে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী  তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল  থেকে ২২৫ জন মুচি ও মোটরগাড়ি পরিচ্ছন্নতা শ্রমিকের প্রত্যেকের মাঝে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ১ লিটার তেল, ১টি সাবান, ১টি মাস্ক এবং আধা কেজি করে গুড়ো দুধ, চিনি, সেমাই ও হুইল পাউডার বিতরণ করেন।

 

          এদিকে রংপুর নগরীর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় হতে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় পরিবহন শ্রমিকদের ৩০০ পরিবারের প্রত্যেককে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।

 

          কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ১২৫০ পরিবারকে নগদ ৪৫০ টাকা করে  এবং রৌমারী উপজেলায় ৩০০ পরিবারের প্রত্যেককে  ১০ কেজি চালসহ চিনি, ডাল, তেল, চিড়া প্রদান করা হয়। এ ছাড়া কুড়িগ্রাম স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন ৩৪০ পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার হিসেবে ১০ কেজি চালসহ চিড়া, তেল, ডাল, লবণ, নুডুলস ও চিনি বিতরণ করে।

 

          এছাড়া, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ জনকে জনপ্রতি ৮১০ টাকা মূল্যমানের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে।ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে জনপ্রতি ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি ডাল এবং ১ লিটার সয়াবিন তেল।

#

 

রেজাউল/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৯৪৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২০৫৫

 

খুলনা বিভাগে কর্মহীন শ্রমিকদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

 

ঢাকা, ১৮ বৈশাখ (১ মে) :

 

          খুলনা বিভাগের করোনা মহামারি মোকাবিলায় সরকারের ত্রাণ সহায়তা বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।      

          শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান আজ খুলনার শ্রম অধিদপ্তর চত্বরে ৫ শত শ্রমিকের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেন। মহান মে দিবস ‍উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে তিনি এ সময় চাল, ডাল, আলু, তেল, সবজি ও মুরগির মাংস বিতরণ করেন। খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

 

          এর পূর্বে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে মহানগর ও জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের উদ্যোগে মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় সাড়ে ৬ শত বিভিন্ন পেশার কর্মহীন শ্রমিকদের মাঝে চাল, ডাল ও চিনি বিতরণ করেন।

 

          আজ নড়াইল জেলা প্রশাসনের স্থানীয় তহবিল হতে ৪ শত জন শ্রমিককে খাদ্য ও সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করা হয়। সহায়তার মধ্যে ছিল প্রত্যেকের জন্য ১৫ কেজি চাল,  ডাল, তেল, আলু, সাবান ও মাস্ক।  মহান মে দিবস উপলক্ষে কর্মহীন শ্রমিকদের মাঝে এ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। এছাড়াও কোভিড-১৯ মোকাবিলায় এ জেলায় জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকারি তহবিল হতে ১ শত পরিবারের মধ্যে প্যাকেট খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।  ৩৩৩-এ কল করার ফলে ১৭টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

 

          কোভিড-১৯ মোকাবিলায় মাগুরা জেলায় জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকারি তহবিল হতে আজ ৫ শত ৫০  পরিবারের মধ্যে ২ লক্ষ ৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।  এছাড়া ৩৩৩-এ কল করার ফলে ১৫ পরিবারের প্রত্যেককে ৭ কেজি চাল ও ১ কেজি করে ডাল খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

 

          যশোর জেলায় জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকারি তহবিল হতে ১ হাজার ৮৮টি পরিবারের মধ্যে ৫ লক্ষ ৫২ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

 

          মহান মে দিবস উপলক্ষে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের স্থানীয় তহবিল হতে ৩১০ জন শ্রমিককে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। খাদ্য সহায়তার মধ্যে ছিল ডাল, তেল, আলু ও পেঁয়াজ।

 

          বিভাগের অন্যান্য জেলায়ও  মানবিক ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

 

#

 

দীপংকর/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২০৫৪

স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির দিনে জামায়াত-বিএনপি হেফাজতের নামে

বাংলাদেশের জনগণের ওপর আক্রমণ করেছে

                                                     -- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

দিনাজপুর, ১৮ বৈশাখ (১ মে) :

            নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, হেফাজতের নামে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান আর মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতা হয়েছে।

            প্রতিমন্ত্রী আজ  বিকেলে দিনাজপুরে বন্ধন কমিউনিটি সেন্টারে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীনদের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

            প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির দিনে জামায়াত-বিএনপি হেফাজতের নামে বাংলাদেশের জনগণের ওপর আক্রমণ করেছে। ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও চট্টগ্রামে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। সরকারি সম্পদ ভাঙচুর করেছে। সমগ্র পৃথিবীতে আমরা যে সম্মানের জায়গায় গেছি, সেই সম্মানের হানি করার চেষ্টা করা হয়েছে। এ হত্যার নেতৃত্ব দিয়েছে খালেদা, তারেক আর মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, তারা সমগ্র বাংলাদেশকে জানিয়ে দিয়েছে, একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদাররা যেভাবে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট করেছে, মা বোনদের ধর্ষণ করেছে, তারই পুনরাবৃত্তি তারা চালিয়েছে ২৬ মার্চ ২০২১ সালে।

            খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে করোনার প্রথম ঢেউ আমরা সফলভাবে মোকাবিলা করেছি। দ্বিতীয় ঢেউয়ের শুরুতে ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ ঐতিহাসিক ১০ দিন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশে এক ঐতিহাসিক আয়োজন ছিল। তাবৎ দুনিয়ার সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। দেশে যখন এত বড় আয়োজন চলছে, মানুষ যখন করোনা থেকে মুক্তির জন্য হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ছুটছেন, সেই সময় মানবতার পাশে আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ ছিল না। তখন বিএনপি-জামায়াত হেফাজতের নামে হত্যা ও ধ্বংসলীলায় মেতে উঠে।

            প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের রাজনীতি করেনা। আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে মানবতা নিয়ে। ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে মাতৃস্নেহে আশ্রয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি করোনায় কর্মহীন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আর্তমানবতার সেবায় গত ৫০ বছর যাবৎ কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের ওপর অনেক নির্যাতন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। জেলখানায় জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করা হয়েছে।

            অনুষ্ঠানে  উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ত্রাণ পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক আলতাফুজ্জামান মিতা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রফিকুল ইসলাম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক কামরুল হুদা হেলাল, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তৈয়বুদ্দিন চৌধুরী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক সেলিম আক্তার চৌধুরী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. করিম, দিনাজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

            অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিন শতাধিক অসহায় ও কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

            এর আগে সকালে প্রতিমন্ত্রী বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ ও মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। তিনি বিকেলে বিরল উপজেলা মঙ্গলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন ।

#

জাহাঙ্গীর/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৯৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২০৫৩

 

ঢাকা বিভাগে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত

 

ঢাকা, ১৮ বৈশাখ (১ মে) :

 

          করোনা ভাইরাস মহামারির প্রেক্ষিতে মানবিক সহায়তা হিসেবে সরকারের পক্ষ হতে দেশব্যাপী ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

 

          এর ধারাবাহিকতায় গতকাল ৩০ এপ্রিল টাঙ্গাইল জেলায় ৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকা নগদ বিতরণ করা হয়েছে। নরসিংদী জেলায় ৩২ হাজার ৬৩৫টি পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে এবং রাজবাড়ি  জেলার ১১ হাজার ৬৭৮টি পরিবার। ঢাকা জেলায় ৩৯ হাজার ১৬০ টাকা নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ জেলায়  ৫ হাজার ৪০০ পরিবারকে নগদ অর্থ  দেয়া হয়েছে। শরীয়তপুর জেলায় ৫০০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

 

          এছাড়া, নারায়ণগঞ্জ জেলায় ১২ হাজার ৫২০ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে। মানিকগঞ্জ জেলায় ২৪টি পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা  প্রদান করা হয়েছে।

 

          সংশ্লিষ্ট  জেলার  জেলা তথ্য অফিসসমূহ ঢাকা বিভাগীয় তথ্য অফিসের মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে।

 

#

 

আনোয়ার/মাসুম/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০০০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ২০৫২

পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি অন্য বইও পড়তে দেওয়ার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর

ঢাকা, ১৮ বৈশাখ (১ মে) :

            শিক্ষার্থীদের মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্য, বিজ্ঞান ও ইতিহাস-সহ অন্য সকল বই পড়ার সুযোগ করে দিতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। 

            তিনি আজ মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত মুজিব শতবর্ষে মেহেরপুর জেলার শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘শততথ্যে জাতির পিতা’ শীর্ষক প্রকাশনার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।

            দুপুরে ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের সোনার মানুষ হতে হবে। শিক্ষার্থীদের সোনার মানুষ হওয়ার জন্য বই পড়তে হবে। বই পড়া মানে শুধু ক্লাসের বই পড়া নয়। আমাদের সকল পর্যায়ের শিক্ষার্থীকে আহ্বান জানাতে চাই ক্লাসের বই ছাড়াও যত রকমের বই পড়া যায় পড়তে হবে।’

            শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাঠ্যবই ছাড়া অন্য বই  পড়তে গেলে অনেক সময় অনেক বাবা-মা বলেন, পড়া (ক্লাসের পড়া) নষ্ট হচ্ছে।  আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করছি আপনার সন্তান ক্লাসের বই ছাড়াও যত বই পড়তে পারে পড়তে দিন।  সাহিত্য বা জ্ঞান বিজ্ঞান হোক, ভ্রমণ কাহিনী, জীবনী আইসিটির বই পড়তে দিন। পৃথিবীতে যত মানুষ সফল হয়েছে তাদের সবার ডিগ্রি আছে তা কিন্তু নয়। কিন্তু তারা অনেক বই পড়েছেন। পাঠ্যবইয়ের বাইরেও অনেক বই পড়েছেন। তাই প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হলে আমাদের অনেক বই পড়তে হবে, শুধু পাঠ্য বই নয়, নানা বিষয়ের বই।

            শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্যদিয়ে একুশ বছর পর যখন শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতা পান, তখন থেকে একাত্তরে জন্ম হওয়া বাংলাদেশের মূল্যবোধ ধারণ করে এগিয়ে যাওয়া শুরু করি আমরা। তখন থেকেই আমরা শিক্ষা ব্যবস্থাকে সঠিক জায়গায় নেওয়ার চেষ্টা করি। বর্তমানে আমরা কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ওপর জোর দিচ্ছি। একইসঙ্গে চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা দক্ষতা ও যোগ্যতা যেমন অর্জন করবে, তেমনি মানবিক মূল্যবোধ, সততা, আন্তরিকতা, পরমতসহিষ্ণুতা এসব মুল্যবোধ ধারণ করে বড় হবে। সেভাবেই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাবার চেষ্টা করছি। ’

            শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যেমন রাজনৈতিক শিক্ষার কথা বলেছিলেন, সেখানে অর্থনৈতিক মুক্তি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক মুক্তি, ক্ষুধা-দারিদ্র্য থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে মুক্তির কথা বলেছিলেন।  বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে আমরা সেই বাংলাদেশ করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। বঙ্গবন্ধু কন্যা ২০২১ সালের মধ্যে আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। সে বাংলাদেশ আমরা অর্জন করেছি। তিনি আমাদের ২০৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। ২০৩০ সালেও আমাদের একটি লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেটি হচ্ছে, টেকসই উন্নয়ন।  তিনি আমাদের ২১০০ সালের ব-দ্বীপ পরিকল্পনাও দিয়েছেন। আমরা তাঁর নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন করবো।

            মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মোঃ মনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন।

            অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর দু’টি স্বপ্ন ছিল- একটি হচ্ছে এই জাতিকে মুক্তির স্বাদ দেয়া, আর অন্যটি হচ্ছে এ দেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা। এদেশকে দ্রুত সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদেরকে জাতির পিতার আদর্শ বুকে ধারণ করে কাজ করে যেতে হবে। এজন্য তরুণ প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে।

#

খায়ের

2021-05-01-16-11-af8c8720876232d2e4c95de75c2b2df2.docx