Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ এপ্রিল ২০১৭

তথ্যবিবরণী ১৮ এপ্রিল-২০১৭

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১০৭৪

বাণিজ্যিক মামলা নিষ্পত্তির জন্য বিভাগীয় শহরে আরবিট্রেশন কোর্ট স'াপন করা হবে
                                -- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল):

    আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাণিজ্যিক মামলাসমূহ নিষ্পত্তির জন্য বিভাগীয় শহরসমূহে আরবিট্রেশন কোর্ট স'াপন করা হবে।

    তিনি আজ সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাথে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এক দ্বিপাক্ষিক সভায় এ কথা বলেন। বাংলাদেশে দেশীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ গতিশীল করার লক্ষ্যে সরকার ও সরকারি সংস'াসমূহের সাথে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিয়মিত কর্মসূচির আওতায় এ দ্বিপাক্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পক্ষে নেতৃত্ব দেন যথাক্রমে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম।

    সভার শুরম্নতে বিভিন্ন রেটিং পরিমাপক প্রতিষ্ঠানসমূহের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের বর্তমান অবস'ান বিষয়ে আলোচনা হয়। বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে এ অবস'া থেকে উত্তরণের জন্য কি কি সংস্কার করছে তা সবার নজরে আনার ওপর মন্ত্রী গুরম্নত্বারোপ করেন।

    আলোচনা শেষে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গতিশীল করার লক্ষ্যে ভূমি নিবন্ধন সহজীকরণের জন্য ই-নিবন্ধন পদ্ধতি চালু এবং অনলাইন পদ্ধতিতে মিউটেশন কার্যক্রম গ্রহণ করার বিষয়ে সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহকে সংশিস্নষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্দেশনা প্রদানের সিদ্ধানত্ম গ্রহণ করা হয়। বাণিজ্যিক মামলাসমূহ নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী বিভাগে পৃথক আরবিট্রেশন কোর্ট স'াপনের বিষয়ে মন্ত্রী ঐক্যমত পোষণ করেন এবং তা বাসত্মবায়নে নীতিগত সিদ্ধানত্ম গ্রহণ করেন। এছাড়া ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের রক্ষা এবং দেউলিয়াত্ব সমাধানের বিষয়ে সংশিস্নষ্ট কোম্পানি আইন, অর্থ ঋণ আদালত আইন ও দেউলিয়াত্ব আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধানত্ম গ্রহণ করা হয় এবং কোর্ট অটোমেশন এর ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে অগ্রণী দেশসমূহের বিদ্যমান ব্যবস'ার আলোকে বাংলাদেশের কোর্টসমূহ অটোমেশন ও আধুনিকায়ন এর সিদ্ধানত্ম গৃহীত হয়।

    কোম্পানি আইনের দুর্বলতা দূরীকরণ এবং বিনিয়োগকারীদের নিকট সেবাসমূহ সহজীকরণের জন্য বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পক্ষ হতে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট প্রসত্মাবনা উপস'াপন করা হয়। মন্ত্রী প্রতিটি বিষয়ের ওপর গুরম্নত্বারোপ করে বলেন, সংশিস্নষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের প্রধানদেরকে নিয়ে আগামী জুনের মধ্যে বিনিয়োগ সংক্রানত্ম প্রতিবন্ধকতাসমূহ দূর করার লক্ষ্যে আনত্মঃবিভাগীয় সভা আহ্বান করা হবে।
#

ফয়সল/মাহমুদ/আলী/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৯৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১০৭৩
 
পিডিবিএফের চলমান কার্যক্রম বিষয়ে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল) :
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অধীন পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ) দেশের গ্রামীণ দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সচ্ছল, উৎপাদনমুখী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ১৯৯৯ সাল থেকে কাজ করছে। এটি ৫২টি  জেলার ৪০০টি উপজেলায় জনকল্যাণে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০টি জেলার ১০০টি উপজেলায় ১২ লাখ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। জুলাই ২০১২ থেকে জুন ২০১৮ মেয়াদে ৩৩৪ কোটি ২৪ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চলমান প্রকল্পটি ২২ হাজার উপকারভোগীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। 
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর সভাপতিত্বে তাঁর সচিবালয়স্থ কার্যালয়ে পিডিবিএফ’র চলমান কার্যক্রমের ওপর আয়োজিত এক পর্যালোচনা সভায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। এ সভায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব আনন্দ চন্দ্র বিশ্বাসসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পিডিবিএফ এর উপকারভোগীর শতকরা ৯৮ ভাগ নারী, যা বর্তমান সরকারের নারীবান্ধব কার্যক্রমের প্রতিফলন ঘটিয়েছে। তিনি প্রতিষ্ঠানটির কর্মসূচির সুফল আরো সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নির্দেশনা দিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে কোন প্রকার গাফিলতি বা শৈথিল্য বরদাশ্ত করা হবে না। ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সৎ, কর্তব্যনিষ্ঠ ও আন্তরিক হতে হবে। তিনি চলতি অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত ১৭০০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ কার্যক্রমে হয়রানি বা জটিলতা পরিহারের পরামর্শ দেন।
#

আহসান/মাহমুদ/আলী/জয়নুল/২০১৭/১৭২০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১০৭২
 
ধান ও চাল সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হবে
                                   --- খাদ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল) :
খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম বলেছেন, আসন্ন বোরো মৌসুমে ৮ লাখ মেট্রিকটন চাল এবং ৭ লাখ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করা হবে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার ক্ষেত্রে কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে।  
আজ ঢাকায়  ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ অটো মেজর এন্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির বিশেষ সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এবার কৃষকদের মূল্য নিশ্চিত করার জন্য একাউন্ট পে চেকের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করা হবে। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমাতে প্রতিটি গোডাউনে কৃষকদের নামের তালিকা টানিয়ে দেয়া হবে যাতে কৃষকদের হয়রানির শিকার হতে না হয়। মিল মালিকদের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা আমাদের পরিবারেরই সদস্য। ধান-চাল সংগ্রহে আপনাদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই চাল সরবরাহ নিশ্চিত করবেন। তিনি মিল মালিকদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ধান ভাঙ্গিয়ে চাল সরবরাহ করতে ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।  
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হয়েছেন। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আর্জন করেছে। এক সময় দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল। বর্তমানে আমরা তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। তিনি বলেন, দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবার উদ্দেশ্যে এগিয়ে যাচ্ছে।
#

মেহেদী/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৭৪০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১০৭১

কলকাতার উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন

কলকাতা, ১৮ এপ্রিল :  
  
আজ কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলন করেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার জকি আহাদ।
স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা দেশের বাইরে ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল সর্বপ্রথম কলকাতা 
উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে উত্তোলিত হয়েছিল। দিবসটি পালন উপলক্ষে এই পতাকা উত্তোলন করা হয়।
জকি আহাদ বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল সাধারণ জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায়। বঙ্গবন্ধুর দিক নির্দেশনার দেশের মানুষ এক হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশকে স্বাধীন করে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশের নাম স্থান করে নিয়েছে। তিনি বলেন, এখন সেভাবে আমরাও এক হয়ে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।  
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল কলকাতায় পাকিস্তানের উপ-দূতাবাসে কর্মরত ৭০ জন বাঙালি কর্মকর্তা-কর্মচারী বাংলাদেশের আনুগত্য ঘোষণা করে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। এ পতাকা উত্তোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মোহাম্মদ হোসেন আলী। 
#
মোফাকখারুল/অনসূয়া/গিয়াস/জসীম/আসমা/২০১৭/১৫২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১০৭০ 

স্পিকারের সাথে ভারতের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল) :   

স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তারা দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। 
স্পিকার বলেন, বর্তমান সরকারের সঠিক ও সময়োপযোগী নেতৃত্বের কারণে ৭-৮ বছরে বাংলাদেশ আর্থসামাজিক সূচকে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবতা। এবারের আইপিইউ এসেম্বলির সকল ইভেন্টের ডিজিটাল উপস্থাপনা প্রতিনিধিদের চমৎকৃত করেছে এবং এক্ষেত্রে আমাদের সক্ষমতা আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি।
ভারতের হাইকমিশনার ১৩৬তম আইপিইউ সফলভাবে আয়োজনের জন্য স্পিকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের জন্য এধরনের একটি সফল আয়োজন খুবই প্রশংসনীয়। তিনি বলেন, ভারতের স্পিকার, সংসদ সদস্যসহ প্রতিনিধিগণ বাংলাদেশে আইপিইউর সার্বিক সহযোগিতা ও আতিথিয়তার প্রশংসা করেছেন এবং এদেশে তাদের অবস্থানকালীন অভিজ্ঞতা ছিল খুবই চমৎকার।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ আগামী নভেম্বর ২০১৭ এ ৬৩তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশন (সিপিএ) সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আইপিইউ এসেম্বলির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ আরো সফলভাবে সিপিএ সম্মেলন আয়োজন করবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আইপিইউ এসেম্বলির ন্যায় সিপিএ সম্মেলনেও ভারত থেকে একটি বড় প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করবে। 
এসময় তারা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান পারস্পরিক বন্ধুত্ব ভবিষ্যতে আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  
#
তারিক/অনসূয়া/গিয়াস/জসীম/আসমা/২০১৭/১৪৪৫ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১০৬৮

নিউইয়র্কে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত
নিউইয়র্ক, ১৮ এপ্রিল :

নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে ১৭ এপ্রিল যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত হয়।
দিনটি উপলক্ষে ১৭ এপ্রিল  কনস্যুলেট জেনারেলে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মুজিবনগর সরকারের ঐতিহাসিক ভূমিকা তুলে ধরেন। এ উপলক্ষে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। 
কনসাল জেনারেল মো. শামীম আহসান, এনডিসি, তার স্বাগত বক্তৃতায় বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনন্য অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। এসময় তিনি মুজিবনগর সরকার গঠনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। মুজিব নগরে প্রথম সরকার কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জনের জন্যে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কর্মকা-ের সমন্বয়ের কঠিন দায়িত্ব পালনের কথাও তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে কনসাল জেনারেল জাতির পিতার স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান।
অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা সভায় কনস্যুলেট জেনারেলের কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন। 
#

অনসূয়া/গিয়াস/জসীম/আসমা/২০১৭/১১০০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১০৬৭

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদ্যাপন

নিউইয়র্ক, ১৮ এপ্রিল :

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস  উদ্যাপন করা হয়। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদসহ এ সরকারের সকল নেতৃবৃন্দের স্মৃতির উদ্দেশ্যে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে দেয়া রাষ্ট্রপতির ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।  
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমাদের কর্মে ও চিন্তায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য ধারণ করতে হবে। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠনের প্রেক্ষাপট, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালির গৌরবগাঁথা বিদেশি বন্ধুদের জানাতে নিজ নিজ ক্ষেত্রে আরো বেশি ভূমিকা রাখতে হবে। 
তিনি আরো বলেন, এই সরকার গঠনের ফলেই বিদেশি বন্ধুরাষ্ট্রসমূহের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকৃতি দেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি সৃষ্টি হয়েছিল এবং পাকিস্তান ছেড়ে আসা বাংলাদেশের কূটনীতিকদের জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করা সহজ হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মিশনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জাতির পিতা, জাতীয় চারনেতাসহ মুজিবনগর সরকারের যে সকল সদস্য শহিদ হয়েছেন, পরলোকগমণ করেছেন তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে অনুষ্ঠান শেষে দোয়া করা হয়। 
#
অনসূয়া/গিয়াস/জসীম/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১১৪০ ঘণ্টা   

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ১০৬৬

কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ৫ বৈশাখ (১৮ এপ্রিল):    
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আমি সংগঠনের সকল নেতাকর্মীসহ কৃষক সমাজকে  আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। 
বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়ন এবং কৃষকের স্বার্থরক্ষার জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশ কৃষক লীগ দেশের কৃষক সমাজের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষক লীগ কৃষকদের সংগঠিত করে তাদের দাবি আদায়সহ দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আসছে। 
আমি স্মরণ করছি ১৯৯৫ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের সারসহ কৃষি উপকরণ বিতরণে অব্যবস্থাপনা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিহত ১৮ জন কৃষক ও কৃষক পরিবারের সদস্যদের।
জাতির পিতা স্বাধীনতার পরপরই কৃষিখাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর সরকার কৃষকদের কল্যাণে পঁচিশ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকদের খাজনা মওকুফ করে দিয়েছিলেন। তিনি উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদ, উন্নত বীজ, সেচ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ করে কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা ও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। 
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার কৃষক ও কৃষিবান্ধব সরকার। আমরা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলাম। পরবর্তীকালে বিএনপি-জামাত জোট সরকার বাংলাদেশকে আবারও খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত করে।
২০০৯ সাল থেকে গত ৮ বছরে আমরা দেশের কৃষক ও কৃষিখাতের উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছি। আামরা কৃষককে ভরতুকি মূল্যে সার, বীজ, যন্ত্রপাতি দিয়েছি। সেচ মওসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।  স্বল্পসুদে ও সহজ শর্তে কৃষি ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। বর্গাচাষিদের জন্য কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে স্বল্পসুদে বিনা জামানতে কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করেছি। দেশে প্রথমবারের মতো ২ কোটি ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৩৯৭ জন কৃষকের মাঝে কৃষি উপকরণ কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। গত আট বছরে প্রায় ৪০ হাজার ৩০০ কোটি টাকার কৃষি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। কৃষকদের জন্য ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আমরা কৃষির যান্ত্রিকীকরণ ও বহুমুখীকরণ, বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন এবং কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করেছি। পাটের জীবনরহস্য আবিষ্কার এবং জলবায়ু পরিবর্তনে সহনশীল ফসলের জাত, প্রযুক্তি ও কৌশল উদ্ভাবনের ফলে দেশের কৃষি নতুন মাত্রা পেয়েছে। দেশের কৃষিখাতে ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বছরে খাদ্যশস্য উৎপাদন প্রায় ৪ কোটি মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। আমরা এখন বিদেশে চাল রপ্তানি করছি। দেশের কৃষিখাতে সফলতা অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কৃষক লীগের তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রয়েছে। কৃষক লীগ ১৯৮৫ সাল থেকে দেশব্যাপী ১লা আষাঢ় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে আসছে।
আমি আশা করি, বাংলাদেশ কৃষক লীগের নেতা-কর্মীগণ কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে আরো বেশি আত্মনিয়োগ করবেন। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে ভূমিকা রাখবেন।
আমি বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।  
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নজরুল/অনসূয়া/সুবর্ণা/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১০০৫  ঘণ্টা 
 

Todays handout (6).docx