তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৩৩
টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিককে স্পিকারের অভিনন্দন
ঢাকা, ২৫ বৈশাখ (৮ মে) :
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী যুক্তরাজ্যের সাধারণ পরিষদ নির্বাচনে টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়া এবং চিফ হুইপ আস ম ফিরোজও টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিককে অভিনন্দন জানিয়েছেন ।
#
শিবলী/মিজান/নবী/রফিকুল/সেলিম/২০১৫/২২১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৩২
বর্তমান সরকার গণতন্ত্র ও উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাসী
-- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
রাজশাহী, ২৫ বৈশাখ (৮ মে) :
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্র ও উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। সরকার সকল প্রতিবন্ধকতা রোধ করে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার পলাশবাড়ী মোড়ে গ্রাম বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মধুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির এজিএম গোলাম ইখতিয়ারসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তা দেশের স্বাধীনতার পর যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেকগুণ বেশি।
গ্রাম বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতায় চারঘাট উপজেলার পলাশবাড়ী, বিজইরমোড়, মেরামতপুর, গোপালপুর, সিপাহীপাড়া ও চামটা গ্রামে মোট ৪৪৯টি আবাসিক, বাণিজ্যিক, সেচ ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের নতুন সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। এতে এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে পাঁচ দশমিক ৫০ কিলোমিটার বিদ্যুৎ বিতরণলাইন নির্মাণ এবং ১৬টি ট্রান্সফরমার স্থাপন করা হয়েছে।
শাহরিয়ার আলম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনী শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানান।
#
মিজান/মিজান/রফিকুল/সেলিম/২০১৫/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩৩১
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী
-- নারায়ণ চন্দ্র চন্দ
খুলনা, ২৫ বৈশাখ (৮ মে) :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, বিশ্বসাহিত্যের উজ্জ¦ল নক্ষত্র কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। কবির মনন, দর্শন, প্রজ্ঞা ও মানবিকতা বাংলা সাহিত্যকে যেমন সমৃদ্ধ করেছে, তেমনি বিশ্বদরবারে বাংলাভাষার মর্যাদাকে সমুন্নত করেছে ।
প্রতিমন্ত্রী আজ খুলনার ফুলতলায় দক্ষিণডিহি রবীন্দ্র কমপ্লে¬ক্সে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা জেলা প্রশাসন আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘জন্মবার্ষিকী ও লোকমেলা ১৪২২’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালির চেতনা, মেধা ও মননে চিরভাস্বর। শুধু সাহিত্যই নয়, সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে রয়েছে তাঁর পদচারণা। চিত্রশিল্পী, সংগীতকার, নাট্যকার, ছোটগল্পকার, ঔপন্যাসিক, প্রবন্ধকার হিসেবে তিনি সমান দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর সাধনায় বাংলা সাহিত্য আজ বিশ্ব সাহিত্যের মর্যাদা লাভ করেছে। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের অনুপ্রেরণা। মনীষীদের স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো সংরক্ষণসহ এর উন্নয়নে বর্তমান সরকারের আন্তরিকতার কথা উলে¬øখ করে তিনি বলেন, রবীন্দ্র কমপ্লেক্সের উন্নয়নে তাঁর পক্ষ থেকে সবধরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, ভারতের লোকসভায় সীমান্ত বিল পাস হওয়া বর্তমান সরকারের একটি ঐতিহাসিক কূটনৈতিক সফলতা। এ বিল পাসের ফলে দু’দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কুয়েটের ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনির-উজ-জামান, ফুলতলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন এবং পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুর রহমান বক্তৃতা করেন।
প্রতিমন্ত্রী লোকমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
#
জিনাত/মিজান/রফিকুল/সেলিম/২০১৫/২০৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২৯
তরুণরা সবসময় প্রেরণার উৎস
-- প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ বৈশাখ (৮ মে) :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, তরুণরা সবসময় আমাদের প্রেরণার উৎস। পুরোনো প্রকৌশলীদের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং তরুণ প্রকৌশলীদের উদ্দীপনা সমন্বিত করে দেশকে কাক্সিক্ষত উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিতে হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) এর ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘ণড়ঁহম ঊহমরহববৎং ঝঁসসরঃ (ণঊঝ) ২০১৫’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
আইইবি’র সভাপতি অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. শামীম জেড বসুনিয়ার সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে আইইবি’র সাবেক সভাপতি ড. প্রকৌশলী জামিলুর রেজা চৌধুরী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. প্রকৌশলী আইনুন নিশাত, আইইবি’র সহসভাপতি আবদুস সবুর, মেসবাউর রহমান টুটুল ও ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রউফ বক্তৃতা করেন।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বিক অবকাঠামোসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রকৌশলীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার গৃহীত উন্নয়নপ্রকল্প বাস্তবায়নে প্রকৌশলীগণ সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন। তাদের সততা ও দক্ষতার ওপর নির্ভর করে দেশের টেকসই অবকাঠামোগত উন্নয়ন। এ সকল বিষয়ে প্রকৌশলীদের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
মন্ত্রী বলেন, কেউ লিডারশিপ কোয়ালিটি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে না। সঠিকভাবে জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে সুপ্ত লিডারশিপ কোয়ালিটিকে জাগ্রত করতে তিনি তরুণ ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি আহ্বান জানান।
#
শহিদুল/মিজান/রফিকুল/সেলিম/২০১৫/১৯৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২৮
শিক্ষার মানোন্নয়নে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মশালা
ঢাকা, ২৫ বৈশাখ (৮ মে) :
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ে এক কর্মশালা আজ ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় সংসদ সদস্য, শিক্ষাবিদ, কলেজ অধ্যক্ষ, গভর্নিং বডি ও শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারগণ অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষা সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম খান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর নজরুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আবদুল মমিন চৌধুরী, এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি প্রফেসর আমীরুল ইসলাম চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য ও পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য প্রফেসর শরীফ এনামুল কবির, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন-অর-রশিদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহাদাত আলী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর, সাবেক যুগ্মসচিব সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, গাজীপুর জেলা পরিষদ প্রশাসক আক্তারুজ্জামান, সমকাল পত্রিকার কার্যনির্বাহী সম্পাদক অজয় দাশ গুপ্ত এবং সাংবাদিক মুসতাক আহমদ বক্তব্য রাখেন।
বক্তাগণ শিক্ষার মানোন্নয়নে ছাত্রদের শ্রেণিমুখী করা, পাঠ্যপুস্তক যুগোপযোগী করা, তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক শিক্ষা, মানসম্পন্ন শিক্ষক, মেধারভিত্তিতে কেন্দ্রীয়ভাবে কলেজ শিক্ষক নিয়োগ, পর্যাপ্ত অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা, শিক্ষা কার্যক্রমের নিবিড় মনিটরিং এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটি দলীয় রাজনীতিমুক্তকরণ বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
#
ফয়জুল/মিজান/নবী/রফিকুল/সেলিম/২০১৫/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২৭
সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন মেয়াদি প্রকল্প গ্রহণ করেছে
-- এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী
রংপুর, ২৫ বৈশাখ (৮ মে) :
এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার রাজবল্ববে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য বন্যা আশ্রয়ণকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকার গৃহীত কার্যক্রমের পাশাপাশি সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে সহায়ক ভূমিকা রাখতে হবে। এতে করে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব। তিনি জনগণকে যেকোনো দুর্যোগে ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ দেন।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী গংগাচড়া উপজেলা মাঠে গংগাচড়া গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
#
আহসান/মিজান/নবী/রফিকুল/সেলিম/২০১৫/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২৬
স্থল সীমান্ত চুক্তি বিল পাস
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অগ্রগতিতে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ বৈশাখ (৮ মে) :
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার বহুপ্রতীক্ষিত স্থল সীমান্ত চুক্তি সংক্রান্ত বিলের অনুমোদনকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, এটি দু’দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের ঝুলে থাকা বিষয়ের নিষ্পত্তিতে একটি বলিষ্ঠ পদক্ষেপ।
বিলটি ভারতের মন্ত্রিসভা ও রাজ্যসভায় অনুমোদনের পর গতকাল লোকসভায় অনুমোদিত হওয়ায় মন্ত্রী এ প্রতিক্রিয়া জানান।
এ ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ছিটমহল সমস্যা সমাধানের সাথে সাথে দু’দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত অভিন্ন নদ-নদীর পানিবণ্টন, গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা অববাহিকায় পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা বিষয়ে যৌথ ও সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে এগিয়ে যাবার পথ সুগম হবে বলে তথ্যমন্ত্রী আশাপ্রকাশ করেন।
#
আকরাম/মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২৫
পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার (সুধা মিয়া)
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৫ বৈশাখ (৮ মে) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার (সুধা মিয়া) মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার (সুধা মিয়া) ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
বাংলাদেশের অন্যতম কৃতী সন্তান বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের
১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জের ফতেহপুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত মিয়া বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকে প্রখর স্মৃতিশক্তির অধিকারী ড. ওয়াজেদ মিয়া আজীবন আণবিক গবেষণার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে গেছেন। কর্মজীবনে পরমাণুর ওপর গবেষণাসহ আণবিক শক্তি কমিশনে কাজ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৯৯ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে নীরবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন। ষাটের দশকে তিনি ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে তিনি বঙ্গবন্ধু পরিবারের পাশে থেকে তাঁদের সাহস ও শক্তি যুগিয়েছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্য ও আপনজনেরা স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকদের হাতে শহিদ হওয়ার পর চরম বৈরী পরিবেশে ওয়াজেদ মিয়া বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা স্ত্রী শেখ হাসিনা ও অপরজন
শেখ রেহানাকে নিয়ে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত প্রবাসে অবস্থান করে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেন। তিনি ছিলেন নিরহংকারী, নির্লোভ ও প্রচারবিমুখ। তিনি বাংলাদেশ আণবিক শক্তি বিজ্ঞানী সংঘের দু’বার সাধারণ সম্পাদক ও পাঁচবার সভাপতি ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি বাংলাদেশ পদার্থ বিজ্ঞানী সমিতি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতি, বাংলাদেশ বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি তাঁর মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা দিয়ে জনগণের কল্যাণে যে কাজ করে গেছেন জাতি তা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া তাঁর কর্মের জন্য শুধু আমাদের কাছে নন, ভবিষ্যৎ প্রজšে§র কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন। আমি আশা করি, বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে ড. ওয়াজেদ মিয়ার আদর্শ নতুন প্রজন্মের পাথেয় হয়ে থাকবে।
দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ১৯৯৭ সালে ড. ওয়াজেদ মিয়ার পরামর্শ ও পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় সমন্বিত উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর এ ফাউন্ডেশনটি জাতীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আমি এ ফাউন্ডেশনের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করি।
আমি ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/মিজান/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৭০০ ঘণ্টা