Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ এপ্রিল ২০১৮

তথ্যবিবরণী 27.04.2018

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর :  ১৩৪৮

ঢাকায় আবার আন্তর্জাতিক বইমেলা আয়োজনের চেষ্টা করা হবে
                                                  -- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী

ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল ) :

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, গত কয়েক বছরে ঢাকায় কোনো আন্তর্জাতিক বইমেলা আয়োজন করা যায়নি। তাই বলে সরকার ক্ষান্ত দেয়নি। ঢাকায় আবার আন্তর্জাতিক বইমেলা আয়োজনের প্রচেষ্টা নেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির পূর্ণ সহযোগিতা প্রয়োজন।

মন্ত্রী আজ বিকালে রাজধানীর গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের শওকত ওসমান মিলনায়তনে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির অংশগ্রহণে আয়োজিত “ঢাকা বইমেলা ২০১৮” এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা বইমেলার শুভ উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক এ.কে.এম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আশীস কুমার সরকার।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, উন্নত মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি সুস্থ সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে এবং একইসাথে শিক্ষার সমন্বয় ঘটাতে হবে। আর সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম প্রধান উপাদান হচ্ছে জ্ঞানার্জন তথা বই পড়া। তিনি বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। নতুন প্রজন্মের মাঝে রুচি ও মানসিকতা সৃষ্টি করতে পারলে সংস্কৃতিমনা মানুষের যেমন অভাব হবে না, তেমনি  বই পড়ার লোকের অভাব হবে না।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উপপরিচালক সুহিতা সুলতানা।

মন্ত্রী পরে বইমেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। সাত দিনব্যাপী এ বইমেলা আজ ২৭ এপ্রিল শুরু হয়ে আগামী ৩ মে শেষ হবে।

#

ফয়সল/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৫০ ঘণ্টা


তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর :  ১৩৪৭

বিজ্ঞান চর্চায় তরুণদের আগ্রহ বাড়াতে প্রণোদনা অব্যাহত রাখতে হবে
-- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

সিলেট, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল ) :

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিজ্ঞান চর্চায় তরুণদের আগ্রহ বাড়াতে প্রণোদনা অব্যাহত রাখতে হবে। ইন্টার্নশিপ ও গবেষণায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় যে সহযোগিতা করছে তার ব্যাপ্তি আরো বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উচিত গবেষণার ফান্ড বাড়ানো এবং দেশি বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে মেধাবী তরুণদের জন্য বৃত্তির সুব্যবস্থা করা।

প্রতিমন্ত্রী আজ সিলেটে শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান উৎসব-২০১৮ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দ্রুত উন্নয়ন করতে হলে তরুণদের আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে আগ্রহ বাড়াতে হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত দিনে দিনে আকারে বাড়ছে। বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এবং হবে। তাই এ খাত নিয়েও তরুণদের গবেষণা করতে হবে। নিজে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয়ে অন্যকেও সচেতন করতে হবে। 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বক্তব্য রাখেন।

#

আসলাম/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর :  ১৩৪৬

মুক্তিযুদ্ধের অনাবিষ্কৃত ইতিহাস সংগ্রহ ও রচনা করা ইতিহাসবিদদের নৈতিক দায়িত্ব
                                                                 -- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী

ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল ) :

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক ও ক্ষেত্র রয়েছে যা এখনো অনাবিষ্কৃত। মুক্তিযুদ্ধের এসব উপাদান আবিষ্কার ও রচিত না হলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অপূর্ণাঙ্গ থাকবে। এ ইতিহাস সংগ্রহ ও রচনা করা ইতিহাসবিদ ও গবেষকসহ আমাদের সচেতন মহলের নৈতিক দায়িত্ব।

মন্ত্রী আজ রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ আয়োজিত ১২তম দ্বিবার্ষিক (৪৮তম বার্ষিক) আন্তর্জাতিক ইতিহাস সম্মেলন ও সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের শতকরা ৮৫ ভাগ ছিলেন গ্রামের নিরক্ষর দরিদ্র কৃষকের সন্তান। তাঁদের সাহস ও দেশপ্রেমের কথা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থসমূহে তেমন একটা খুঁজে পাওয়া যায় না। গ্রামের গৃহবধুরা কতটা জীবনের ঝুঁকি ও দেশপ্রেম নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নিজ ঘরে আশ্রয় দিয়েছিলেন, ইতিহাসের পাতায় সেটাও খুঁজে পাওয়া ভার। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন এক কোটি শরণার্থীর দুঃখ, কষ্ট ও যন্ত্রণার ইতিহাস এবং ঐ সময়ে প্রতিবেশী ভারতের সাধারণ মানুষের সাহায্য ও ভালোবাসা বিষয়ক কোন গ্রন্থ এখনো প্রকাশিত হয়নি। এসব ইতিহাস সঠিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যথার্থ হবে না।

ইতিহাসবিদ প্রফেসর আবদুল মতিন সরকারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। মূল সম্মেলনের (২৭-২৮ এপ্রিল) সভাপতি বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান উদ্বোধনী অধিবেশনে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা প্রদান করেন বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী।

#

ফয়সল/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর :  ১৩৪৫

বাংলাদেশ ২০২১ সালের ফিয়াফ সম্মেলনের আয়োজক দেশ

ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল ) :

ফেডারেশন অভ্ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম আর্কাইভস (ফিয়াফ) এর ৭৭তম কংগ্রেস ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল (২৬ এপ্রিল) ফিয়াফ এর ৭৪ তম কংগ্রেসের সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশ ২০২১ সালের সম্মেলনের ‘আয়োজক দেশ’ (হোস্ট কান্ট্রি) নির্বাচিত হয়। নির্বাচনে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৬-৩৭ ভোটে বাংলাদেশ জয়লাভ করে। চেক রিপাবলিকের  রাজধানী প্রাগে ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে ২০২১ সালে ফিয়াফ কংগ্রেস (সম্মেলন) ঢাকায় আয়োজনের ব্যাপারে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ গত কয়েক বছর ধরে অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিল। ব্যাপক প্রচারণার ফলে এবার নেদারল্যান্ডের সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বাংলাদেশের বিজয় অর্জিত হয়। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির বছরে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে বিশ্বের ৭৫টি দেশের ৮৯টি পূর্ণ সদস্য এবং ৭৬টি সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করবেন। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ফিয়াফের সদস্য হয়।
 
উল্লেখ্য, প্রাগে চলমান ৭৪তম ফিয়াফ কংগ্রেসে বাংলাদেশের চার-সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। প্রতিনিধিদলে আছেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আবুয়াল হোসেন ও বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক শচীন্দ্রনাথ হালদার।
 
ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক শচীন্দ্র নাথ হালদার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশকে ফিয়াফের ৭৭তম কংগ্রেসের ‘আয়োজক দেশ’ নির্বাচিত করায় সংস্থার সকল সদস্য এবং তথ্য মন্ত্রণালয় ও ফিল্ম আর্কাইভের কর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনের আয়োজক দেশ নির্বাচিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সক্ষমতার স্বীকৃতি মিলেছে। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ঢাকায় বিশ্বের সকল আর্কাইভ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মিলন ঘটাতে চায়। তিনি বলেন, যথাযোগ্য মর্যাদায় ২০২১ সালে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত করবে। 

#

ইয়াকুব/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮১৫ ঘণ্টা

Handout                                                                                                   Number  :  1344

 

Dhaka to host 77th FIAF Congress in 2021

 

Dhaka, April 27 :

 

The 77th Congress of Federation of International Film Archive (FIAF) will be held in Dhaka in 2021. Bangladesh was elected  the host country of the prestigious 77th FIAF Congress by defeating Netherlands in a fiercely competitive election which took place at the General Assembly of 74th FIAF Congress at Prague in Czech Republic yesterday evening (Thursday, 26 April).

 

Bangladesh Film Archive had been relentlessly campaigning during the past few years to host the 77th FIAF Congress in Dhaka in conjunction with the celebration of 50 years of glorious independence of Bangladesh in 2021. As a result of continued persuasion, Bangladesh defeated Netherlands in the voting. Bangladesh secured 46 votes while Netherlands got 37.

 

Representatives from 89 full members of 75 countries as well as 76 associate members are expected to participate in 77th FIAF Congress to be held in Dhaka.

 

Currently, a high level delegation from Ministry of Information comprising among others Additional Secretary Md. Abual Hossain and Director General of Bangladesh Film Archive Sachindra Nath Halder is representing Bangladesh at the 74th FIAF congress at Prague.

 

In a statement, Director General of Film Archive Sachindranth Halder has expressed deep appreciation and sincere thanks to the member countries for electing Bangladesh the host country of 77th FIAF. He also thanked the Ministry of Information and the staff members of Bangladesh Film Archive for their effort in the process.

 

#

 

Yeakub/Mahmud/Parvez/Salimuzzaman/2018/1820 Hours

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর :  ১৩৪৩
 
স্বাক্ষরিত হলো পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঋণ চুক্তি
 
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল ) :
 
স্বাক্ষরিত হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঋণ চুক্তি। আজ চীনের বেইজিংয়ে এক্সিম ব্যাংকের হেড অফিসে বাংলাদেশের পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের  ইআরডির অতিরিক্ত সচিব মোঃ জাহিদুল হক এবং চায়না এক্সিম ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট সুন পিং (ঝঁহ চরহম) ২.৬৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তিতে নিজ নিজ পক্ষে স্বাক্ষর করেন।
 
চুক্তি স্বাক্ষর উপলক্ষে ৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল বর্তমানে চীনে অবস্থান করছে।  স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিআরইসি কর্মকর্তাবৃন্দ এবং চীনে বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকোনোমিক কাউন্সিলর মোঃ জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।
 
#
 
শরিফুল/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮০০ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর :  ১৩৪২
 
এখন মধ্যপন্থা নয় 
     -- তথ্যমন্ত্রী
 
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল ) :
 
তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, এখন মধ্যপন্থার সময় নয়। মধ্যপন্থা পরিহার করে পাকিস্তানপন্থাকে পরাজিত করার চূড়ান্ত লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হবার সময় এখন।
 
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ কার্যালয়ের শহিদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে দু’দিনব্যাপী জাসদ জাতীয় কমিটির সভার উদ্বোধনকালে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি আজ একথা বলেন। 
 
তথ্যমন্ত্রী বলেন, একটি দল পাকিস্তানপন্থার পক্ষে রাজনৈতিক অবস্থান নেওয়ায় পাকিস্তানপন্থা, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা বাংলাদেশের জন্য মহাবিপদ হিসাবে বিরাজ করছে। পাকিস্তানপন্থা ও বাংলাদেশপন্থার রাজনৈতিক বিরোধের অবসান না হলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে না। 
 
এবারই, অর্থাৎ ২০১৮ সালের মধ্যেই পাকিস্তানপন্থাকে রাজনীতি ও নির্বাচনের মাঠে চূড়ান্ত পরাজিত করতে হবে-উল্লেখ করে হাসানুল হক ইনু বলেন, দেশের এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়াকে এক পাল্লায় মাপা এবং তাদের থেকে সমদূরত্বে থাকা, তৃতীয় পথ বা মধ্যপন্থা অনুসরণ দেশের জন্য আত্মঘাতী। এই মধ্যপন্থার রাজনৈতিক কৌশল পরিত্যাগ করে সবাইকে পাকিস্তানপন্থাকে পরাজিত করার চূড়ান্ত রাজনৈতিক লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হবে। 
 
জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে জাতীয় কমিটির সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি, কার্যকরী সভাপতি এডভোকেট রবিউল আলম, স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি মীর হোসাইন আখতার, রেজাউল করিম তানসেন এমপি, সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট শাহ জিকরুল আহমেদ, আব্দুল হাই তালুকদার, এডভোকেট হাবিবুর রহমান শওকত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
 
#
 
আকরাম/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ১৩৪১  
 
কেশবপুরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর মতবিনিময়
 
কেশবপুর (যশোর), ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
আসন্ন বর্ষা শুরুর পূর্বে উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে। প্রকল্পসমূহের উন্নয়ন অগ্রগতি বিষয়ে প্রতিমাসে নিয়মিত রিপোর্ট করতে হবে। 
 
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক আজ যশোরের কেশবপুর উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে কেশবপুরের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ক্লাসে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে শিক্ষকদের এই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে।
 
সভায় জানানো হয়, কেশবপুরে শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আরও জানানো হয়, দেশি প্রজাতির মাছ সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মাছের ঘেরের জন্য পার্শ্ববর্তী রাস্তার যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য ঘের মালিকদের উদ্যোগে ঘেরের পাড় বাঁধাই করা হবে।
 
প্রতিমন্ত্রী এসময় বিএডিসির অধীন খালসমূহের খনন জুনের ভেতর শেষ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
#
 
মাসুম/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/১৮৩২ ঘণ্টা 

Handout                                                                                                    Number : 1340

 

 Prime Minister's Message on the National Legal Services Day

Dhaka, 27 April :

 

            Prime Minister Sheikh Hasina has given the following message on the occasion of the National Legal Services Day on 28th April : 

            ''I am happy to learn that 'National Legal Services Day 2018' is being observed in the country on 28 April like previous years.

            One of the main objectives of our independence struggle was to ensure basic human rights; political, economic and social equality, and freedom of speech and justice for all.

            The greatest Bangalee of all time, Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman took various steps to establish rule of law in the country- The country's Constitution he framed in 1972 ensures the fundamental rights of the citizens and the rights to take shelter of law,

            After the assassination of Bangabandhu Sheikh Mujib in 1975, the rule of law and basic human rights were undermined. Killing, persecution and torture were rampant but access to justice was limited -during post-'75 BNP-Jamaat government. The countrymen were deprived of legal aid and rights.

            Bangladesh Awami League upheld the rule of law whenever in office. We have enacted the 'Legal Aid Service Act 2000' so that none is deprived of justice because of insolvency, social status or financial constraint.

            The Supreme Court, District, Upazila and Union Legal Aid committees were formed under the Legal Aid Service Act and they have been rendering legal aid services to the helpless, poor and destitute people at free of cost.

            Initiatives have been undertaken to dispose cases and disputes through arbitration and mediation by the District Legal Aid offices. It has been playing a vital role to ease the backlog of cases in the judiciary.

            Last month, Bangladesh has been recommended for graduation to developing country from LDCs. Earlier in 2015, the World Bank recognized Bangladesh as a lower middle income country. We want to turn Bangladesh into a developed country by 2041. That's why, we need to establish rule of law in every sphere of the society.

            I hope that alongside the government, bar councils and bar associations, private organizations, civil society and media will play a pro-active role for ensuring good governance in the country by increasing outreach of the legal aid.

            I wish the 'National Legal Service Day 2018" a grand success.

 

Joi Bangla, Joi Bangabandhu

May Bangladesh Live Forever."

Emrul Kayas/Mahmud/Mosharaf/Abbas/2018/1701 Hours

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ১৩৩৯
জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী  
 
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :     
      প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৮ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :   
“প্রতিবছরের মতো এবারও দেশে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৮’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। সকল নাগরিকের জন্য মৌলিক মানবাধিকার; রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য এবং বাকস¦াধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করাই ছিল স¦াধীনতা সংগ্রামের অন্যতম লক্ষ্য। 
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর পরই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭২ সালে জাতিকে মহান সংবিধান উপহার দেন। সংবিধানে মানুষের মৌলিক অধিকার এবং সব নাগরিকের আইনের আশ্রয় পাওয়ার সমানাধিকার নিশ্চিত করেন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করার পর দেশে আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়। ‘৭৫ পরবর্তী বিএনপি-জামাত জোট সরকার হত্যা, দমন, নির্যাতন ও নিপীড়নের রাজত্ব কায়েম করে। সুবিচারের পথ রুদ্ধ হয়। দেশের জনগণ আইনগত সহায়তা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে, তখনই এদেশে আইনের শাসনকে সমুন্নত রেখেছে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়সম্বলহীন ও নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে দেশের কোনো নাগরিক যেন ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে আমরা ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০’ পাস করি।
আইনগত সহায়তা প্রদান আইনের আওতায় ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’ সুপ্রিমকোর্ট, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটির মাধ্যমে অসহায়, দরিদ্র ও নিঃস¦ জনগণকে বিনা খরচে সরকরি আইন সহায়তা ও নিষ্পত্তি করছে। যা আদালতসমূহে মামলাজট হ্রাস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
গতমাসেই বাংলাদেশ স¦ল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে নি¤œ-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স¦ীকৃতি দেয়। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে চাই। এজন্য সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে।
আমি আশা করি, আইনি সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বার কাউন্সিল, বার এসোসিয়েশনসহ বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যম আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে। 
আমি ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৮’ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৭০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                 নম্বর :১৩৩৮   
 
জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
 
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৮ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন : 
 
‘‘আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের অধীন জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার উদ্যোগে ষষ্ঠবারের মতো জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৮ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
একটি সুখী-সমৃদ্ধ, শোষণ-বঞ্চনামুক্ত গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার,  রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য ও সুবিচার নিশ্চিত করাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য। আইনের আশ্রয়লাভ এবং ন্যায়বিচার পাওয়া দেশের প্রতিটি মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। আদালতে মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধাপে ব্যয় বহন করা দরিদ্র জনগণের পক্ষে অনেকাংশে সম্ভব হয় না। আবার আইন সম্পর্কে সার্বিক ধারণা না থাকা ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। এ প্রেক্ষিতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার সংরক্ষণে সরকারি আইনগত সহায়তার ভূমিকা অপরিসীম। ন্যায়বিচারে সকলের অভিগম্যতা নিশ্চিত করতে সকল নাগরিকের আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার আইনগত সহায়তা প্রদান আইন , ২০০০ প্রণয়ন করে। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে দুঃস্থ, অসহায় ও সহায়-সম্বলহীন দরিদ্র জনগণকে বিনা খরচে সরকারি আইনগত সহায়তা ও আইনি পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে, যা আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রম সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাসহ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিপুল অবদান রাখছে। সরকারি এই আইনি সহায়তা কার্যক্রমের সুফল দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দিতে  বিচারক, আইনজীবী, এনজিও কর্মী, মানবাধিকার কর্মী, উন্নয়ন সহযোগী, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন লিগ্যাল এইড কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি বলে আমি মনে করি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল একটি শোষণ-বঞ্চনামুক্ত ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। জাতির পিতার সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকলেই অবদান রাখবেন- এ প্রত্যাশা করি। 
‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০১৮' উদযাপন সফল হোক- এ কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
 
ইমরানুল/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/১৭০০ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর :  ১৩৩৭
জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী  
 
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :     
      প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ এপ্রিল জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০১৮ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :   
“শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০১৮’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। 
শিল্পায়ন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে শ্রমিকদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে। তাই শ্রমিকদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের জীবনমান ও কর্মক্ষেত্রের উন্নয়ন আবশ্যক। এ প্রেক্ষাপটে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সুস্থ শ্রমিক, নিরাপদ জীবন-নিশ্চিত করে টেকসই উন্নয়ন’ অত্যন্ত সময়োগযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। শ্রমিকদের অধিকার এবং কল্যাণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বাধীনতার পর পরই তিনি সকল কলকারখানা জাতীয়করণ করেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে, তখনই এদেশের শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে কাজ করেছে। আমরা ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শ্রমিকদের কল্যাণে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। কর্মক্ষেত্রে শোভন, সুষ্ঠু ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণে এবং শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা ২০১৩’ ও ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে। পেশাগত স¦াস্থ্য ও সেইফটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ, গবেষণাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পেশাগত স¦াস্থ্য ও সেইফটি একাডেমি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।  শ্রমিকদের চিকিৎসা ও সন্তানদের উচ্চশিক্ষার জন্য শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। আমাদের এসব উদ্যোগের ফলে কর্মপরিবেশসহ শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নতি ঘটেছে।
বৈশ্বিক, নৈতিক ও আইনি প্রয়োজনীয়তার আলোকে নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করে শ্রমিকদের সুস্থ ও নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করতে আমি শিল্পকারখানার মালিক, বিনিয়োগকারী, ব্যবস্থাপক ও উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানাই।
আমি আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত-সমৃদ্ধ জাতির পিতার স¦প্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব। 
আমি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০১৮’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৭০৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ১৩৩৬  
 
পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
 
ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২৮ এপ্রিল পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০১৮ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :  
 
‘‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস’ কেবল শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক মুক্তি। শ্রমিকের সুস্থতা ও নিরাপদ কর্মপরিবেশের সঙ্গে উৎপাদনশীলতা নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত। বিশ্ববাণিজ্যের তীব্র প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে শ্রমিক, মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ, সুস্থতা ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ পরিপ্রেক্ষিতে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘সুস্থ শ্রমিক, নিরাপদ জীবন - নিশ্চিত করে টেকসই উন্নয়ন’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী বলে আমি মনে করি।
কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা-বিষয়ক প্রাপ্যতা প্রতিটি শ্রমিকের ন্যায়সঙ্গত অধিকার। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার লক্ষ্যে শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার, স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা একান্ত আবশ্যক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পর ১৯৭২ সালের ২২ জুন বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সদস্যপদ লাভ করে। স্বাধীনতার পর তিনি সকল কলকারখানা জাতীয়করণ করেন এবং বাংলার শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করেন। বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শকে সামনে রেখে বর্তমান সরকার দেশের সকল শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নানাবিধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তবে এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিক, ব্যবস্থাপনা-কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক সংগঠন ও উন্নয়ন অংশীজনকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচষ্টায় আমরা একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গঠনে সক্ষম হবো- এ প্রত্যাশা করি। 
আমি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০১৮’-এর গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
 
ইমরানুল/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/১৭০০ ঘণ্টা 
Todays handout (6).docx