তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৯৪
দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলোকে সুরক্ষায় আইএলওকে
উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান শ্রম প্রতিমন্ত্রীর
ঢাকা ২৫ আষাঢ় (৯ জুলাই):
করোনা সংকটকালে রপ্তানি বাণিজ্য এগিয়ে নেয়া, ক্রেতাদের ক্রয় আদেশ বহাল রাখা, প্রবাসী শ্রমিকদের চাকুরি এবং দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলোকে সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলওকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাতে আইএলও গ্লোবাল সামিট অন কোভিড -১৯ এন্ড ওয়ার্ল্ড অভ্ ওয়ার্ক - বিল্ডিং এ বেটার ফিউচার অভ্ ওয়ার্ক সম্মেলনে 'কোভিড -১৯: ওয়ার্কিং টুগেদার টু বিল্ড ব্যাক বেটার" সেশনে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে সদস্য দেশগুলোর শ্রমমন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায় এ আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির কারণে ক্রয় আদেশ বাতিল হওয়ার কারণে তৈরি পোশাক রপ্তানি অপ্রত্যাশিতভাবে কমে গেছে। অনেক মালিক কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। অধিকন্তু বাংলাদেশি অনেক প্রবাসী শ্রমিক তাদের চাকুরি হারিয়েছেন।
এ অবস্থায় করোনা সংকট মোকাবিলায় প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় চারটি বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তৈরি পোশাকের ক্রেতারা যাতে তাদের ক্রয় আদেশ বাতিল না করে এবং বিদ্যমান চুক্তি পূরণে দায়িত্বশীল হয় এ বিষয়ে আইএলও'র এগিয়ে আসা উচিত। করোনা মহামারির সময়ে প্রবাসী শ্রমিকদের চাকুরি নিশ্চতে ভূমিকা রাখতে হবে। দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় বাজারে প্রবেশ অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং চলমান চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে আইএলও'র শততম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ঘোষণাপত্র এবং এজেন্ডা ২০৩০ অর্জনে সদস্য দেশগুলোর একসাথে কাজ করা উচিত। একইসাথে করোনা পরবর্তী সময়ে আরো ভাল ভবিষ্যৎ তৈরিতে ত্রিপক্ষীয় সামাজিক সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন।
করোনা মহামারি সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নেওয়া বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি সংকটের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ৩১ দফা নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রী প্রণোদনা হিসেবে অর্থনৈতিক ও সমাজের বিভিন্ন সেক্টরের মানুষকে সহযোগিতা করতে ১২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন পরিশোধে ১ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ-সহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।
প্রতিমন্ত্রী করোনা মোকাবিলায় তাঁর মন্ত্রণালয়ের নেয়া পদক্ষেপগুলোও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শ্রমিকদের জন্য টেলিমেডিসিন সেবা চালু এবং আইএলও এর সহযোগিতায় কোভিড -১৯ প্রতিরোধে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি গাইডলাইন তৈরি করেছে। প্রতিমন্ত্রী করোনা মহামারি নিয়ে এ সম্মেলন আয়োজনের জন্য আইএলও মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানান।
#
আকতারুল/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০২০/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৯৩
অনলাইনে গবাদিপশুর ক্রয়-বিক্রয় বাড়াতে হবে
-- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা ২৫ আষাঢ় (৯ জুলাই):
আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গবাদিপশুর ক্রেতা-বিক্রেতাদেরকে মধ্যস্বত্বলোভীদের হাত থেকে বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ বিকেলে সচিবালয়স্থ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে তাঁর দপ্তর কক্ষে অনলাইনে গবাদিপশু কেনা-বেচা এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের মাধ্যমে পরিবহণ সংক্রান্ত এক অনলাইন সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার-সহ সকল বিভাগীয় কমিশনার এবং বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপপরিচালকগণ সভায় অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন।
মন্ত্রী বলেন, “গবাদিপশুর ক্রয়-বিক্রয় যতটা সম্ভব অনলাইন প্ল্যাটফর্মে করতে হবে। এ বিষয়টি তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে। অনলাইনে গবাদিপশুর মূল্য নির্ধারণে মাঠ পর্যায়ের প্রাণিসম্পদ দপ্তরগুলোকে সহায়তা করবে। ইতোমধ্যে তারা প্রান্তিক খামারিদের উৎসাহিত করছে। ট্রাকের পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে স্বল্প খরচে রেলওয়ের মাধ্যমেও গবাদিপশু পরিবহণ করা যাবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রাণিসম্পদ দপ্তরগুলো ট্রেনের রুট ও সিডিউল ঠিক করে দেবে।”
মন্ত্রী আরো বলেন, “গবাদিপশুর পরিবহণে কোনোভাবেই যেন চাঁদাবাজি না হয়। সিন্ডিকেট করে ট্রাক আটকানো বন্ধ করতে প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। খামারি ও গবাদিপশু বিক্রেতারা যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হয়। যারা হাটের বাইরে পশু বিক্রি করবে তাদের কাছে যেনো কেউ টোল বা হাসিল তুলতে না যায়। এ বিষয়গুলোতে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।”
প্রতিটি জেলা প্রশাসন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে কোরবানির গবাদিপশু কেনা-বেচার উদ্যোগ নিয়েছে বলে স্ব স্ব বিভাগীয় কমিশনারগণ সভায় জানান। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিভাগের অন্তত ৩০ শতাংশ গবাদিপশু কেনা-বেচা করার প্রচেষ্টা থাকবে বলেও কমিশনারগণ সভায় আস্বস্ত করেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালানো প্রয়োজন বলেও তারা সভায় অভিমত দেন।
#
ইফতেখার/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৯২
বন্যা-সহ যে কোনো দুর্যোগে সরকার জনগণের পাশে আছে
-- ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা ২৫ আষাঢ় (৯ জুলাই):
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, বন্যা-সহ যে কোনো দুর্যোগে সরকার জনগণের পাশে আছে। চাহিদা অনুযায়ী সারা দেশে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইন জুমে "সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি" বিষয়ে সাংবাদিকদেরকে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ২৩ টি জেলা বন্যা কবলিত হয়েছে । এ সংখ্যা ভবিষ্যতে আরো বাড়তে পারে। তিনি বলেন, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, নেত্রকোনা, জামালপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ এ ২০টি জেলায় এ পর্যন্ত ৮ হাজার ২১০ মেট্রিক টন চাল, ২ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার নগদ টাকা, ৪০ হাজার শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট, গো খাদ্য ক্রয়ের জন্য ৪০ লাখ টাকা এবং শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ৪০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যেন ত্রাণকার্য চালানো যায় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাতে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করা যায় সেই লক্ষ্যে স্কুল, কলেজসমূহ বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, স্যালাইন ইত্যাদি সামগ্রী সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বন্যা-সহ যে কোনো দুর্যোগে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে অব্যাহত রাখা যায় সেজন্য টেলিযোগাযোগ বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
মন্ত্রণালয় থেকে নগদ টাকা-সহ যেসব সামগ্রী বরাদ্দ দেয়া হয় তা যেন দেশের মানুষ জানতে পারেন সেজন্য জেলা প্রশাসকগণকে তাদের ওয়েবসাইটে বরাদ্দের বিষয়টি প্রকাশ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এর পূর্বে প্রতিমন্ত্রী বন্যার পূর্ব প্রস্তুতি ও করণীয় বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইন জুমে আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের প্রতিনিধি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব ,জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব-সহ কমিটির সকল সদস্য জুম মিটিং আইডি'র মাধ্যমে যুক্ত হয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
#
সেলিম/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০২০/১৯২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৯১
ভার্চুয়াল আদালত বিষয়ে আইনজীবীদের জন্য প্রশিক্ষণ
ঢাকা ২৫ আষাঢ় (৯ জুলাই):
ভার্চুয়াল আদালত ব্যবস্থা নিয়ে আইনজীবীদের কারিগরি ও তথ্যপ্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়াতে অনলাইন প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ। আইন ও বিচার বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জার্মান উন্নয়ন সংস্থা- জিআইজেড এর কারিগরি সহায়তায় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে ।
আগামী ১২ জুলাই থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে সারা দেশের সকল জেলার সরকারি আইন কর্মকর্তা (জিপি- পিপি) ও সাধারণ আইনজীবীদের "ভার্চুয়াল আদালত পদ্ধতি ব্যবহারে দক্ষতা উন্নয়ন" শীর্ষক এ অনলাইন প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
১২ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদী জেলার আইনজীবীদের প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হবে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক ওই দিন দুপুর ১২টায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে গত ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে নিয়মিত আদালত বন্ধ। এ কারণে বিচারপ্রার্থীদের কথা বিবেচনা করে সরকার ভার্চুয়াল আদালত পদ্ধতি চালু করেছে। গত ৯ মে এ বিষয়ে জারি করা অধ্যাদেশ গতকাল ৮ জুলাই বিল আকারে জাতীয় সংসদে পাস করা হয়েছে। অধ্যাদেশ জারির পর ১১ মে থেকে সারা দেশে ভার্চুয়াল আদালত কার্যক্রম শুরু হয় যা অব্যাহত রয়েছে।
অনেক আইনজীবীর ভার্চুয়াল আদালত পদ্ধতি সম্বন্ধে কারিগরি ও তথ্যপ্রযুক্তিগত সঠিক ধারণা না থাকায় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করলো আইন মন্ত্রণালয়।
#
রেজাউল/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/১৭৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৯০
শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল ডিভাইস ও ইন্টারনেট অত্যাবশ্যক
-- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা ২৫ আষাঢ় (৯ জুলাই):
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল ডিভাইস ও ইন্টারনেট অত্যাবশ্যক উপকরণ। এই ক্ষেত্রে এটি ব্যয় নয়, দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির জন্য সঠিক বিনিয়োগ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স, ব্লকচেইন , আইওটি ইত্যাদি ডিজিটাল প্রযুক্তি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে পারলে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া কখনো ব্যাহত হবে না। এই লক্ষ্যে তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ডিজিটাল এডুকেশন ফর বেটার বাংলাদেশ’ বিষয়ক অনলাইন সেমিনার ও ‘নর্দার্ন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন ২০২০’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
দেশে ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার প্রাথমিক শিক্ষাকে ডিজিটালাইজ করতে তিন যুগ ব্যাপী তাঁর ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা এবং অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ডিভাইস এবং কনটেন্ট। গত ৯ বছরে প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত বিজয় ডিজিটাল এর মাধ্যমে কনটেন্টের বিষয়টি সমাধান করতে পেরেছি যা অনলাইনে সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।
সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ বোর্ড অভ্ ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ। সেমিনারে সভাপত্বিত করেন উপাচার্য প্রফেসর
ড. আনোয়ার হোসেন। প্রবন্ধ উপস্হাপক উপ-উপাচার্য (ডি) প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. হুমায়ুন কবির-সহ সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো যুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. হাফিজ হাসান বাবু।
‘নর্দার্ন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন ২০২০’ এর উপলক্ষে সকল শিক্ষার্থী যাতে অনলাইন শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সেজন্য ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে বিনামূল্যে মোবাইল ডাটা প্রদান করা হয়।
#
শেফায়েত/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/১৭৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৮৯
পুরো বিএনপিই এখন হোম আইসোলেশনে
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা ২৫ আষাঢ় (৯ জুলাই):
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘প্রকৃতপক্ষে পুরো বিএনপিই এখন হোম আইসোলেশনে। হঠাৎ হঠাৎ টেলিভিশনে উঁকি দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলা ছাড়া বিএনপির আর কোনো কাজ নেই।’
আজ সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘করোনা মোকাবিলা করা এমন কঠিন কিছু ছিল না’-এ মন্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
সমগ্র পৃথিবী আজ করোনা ভাইরাসের কারণে অসহায় এবং পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের তুলনায় অনেক সমৃদ্ধ হলেও করোনা মোকাবিলায় তাদের অসহায়ত্ব প্রকাশ পেয়েছে, সেখানে মৃত্যুর মিছিল ছিল, বলেন ড. হাছান। তিনি বলেন, ‘সেই তুলনায় বাংলাদেশ সীমিত সামর্থ্যের একটি উন্নয়নশীল দেশ। এখানকার শহরগুলো পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ। এ সত্ত্বেও, এখনও পর্যন্ত সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ের সমস্ত হাসপাতাল ও স্বেচ্ছাসেবী-সহ সম্মিলিতভাবে করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে সরকার অনেক উন্নত দেশের তুলনায় সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়েছে, বিশেষ করে মৃত্যুহার কম রাখার ক্ষেত্রে। আমাদের দেশে মৃত্যুর হার ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও কম এবং ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে অনেক কমতো বটেই।’
বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভী’র মন্তব্য ‘মানুষের মুখ বন্ধ রাখতে সরকার মামলা করছে’ -এর জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘সরকার কারো বিরুদ্ধে মামলা করেনি। সাম্প্রতিক সময়ে যে সমস্ত মামলা হয়েছে, সবগুলোই বিভিন্ন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি করেছেন। বিএনপির নেতারা জনগণ এবং সরকার দু’টিই গুলিয়ে ফেলছেন। জনগণের কেউ যদি সংক্ষুব্ধ হন, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তিনি তার সুরক্ষার জন্য যেকোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়ার অধিকার রাখেন।’
এ সময় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং গণমাধ্যমকে তাদের ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘সরকারই কিন্তু তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এরপর তার ব্যাপারে পত্র-পত্রিকায় যে অনুসন্ধানী রিপোর্টগুলো বেরিয়েছে সেজন্য গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ। এতে প্রমাণিত হয়, সে খুব সুচতুর একজন প্রতারক। এরকম আরো প্রতারক যারা আছে, আমাদের সম্মিলিতভাবে তাদেরকে খুঁজে বের করা প্রয়োজন।’
সাহেদ আওয়ামী লীগের সদস্য কি না এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সে দাবি করছে, সে আওয়ামী লীগের কোনো একটা উপ-কমিটিতে ছিল। কিন্তু আমাদের দলীয় কার্যালয়ে তো আমি প্রতিদিন যাই। সে আওয়ামী লীগের কোনো উপ-কমিটির সদস্য ছিল বলে আমার জানা নেই।’
একইসাথে তার রিজেন্ট হাসপাতালকে কোভিড-১৯ চিকিৎসা দেয়ায় সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরো সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বলেন ড. হাছান মাহ্মুদ।
#
আকরাম/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৮৮
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২৪ আষাঢ় (৯ জুলাই) :
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৬৪ জেলায় ইতোমধ্যে ২ লাখ ১১ হাজার ১৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া শিশু খাদ্য-সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ১২২ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী আজ দেশে নতুন করে আরো ৩ হাজার ৩৬০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৯৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জন-সহ এ পর্যন্ত ২ হাজার ২৩৮ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৬৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৮৪ হাজার ৫৪৪ জন।
এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২৫ লাখ ২৮ হাজার ২৪৫টি পিপিই সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে মোট বিতরণ করা হয়েছে ২৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮৬৪টি এবং মজুত আছে ৯০ হাজার ৩৮১টি।
সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান এবং এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সেবা প্রদান করা যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।
#
তাসমীন/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিম/২০২০/১৭২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৮৬
ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গবাদিপশু সরবরাহ ও বিপণনের ব্যবস্থা করা হবে
- প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ আষাঢ় (৯ জুলাই) :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, আসন্ন ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পর্যাপ্ত গবাদিপশু সরবরাহ ও বিপণনের মাধ্যমে কোরবানির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে, সচেতন হতে হবে, নিজের দায়িত্ববোধ ও নৈতিকতা দিয়ে কাজ করতে হবে। এ ব্যাপারে প্রাণিসম্পদ উৎপাদন ও সরবরাহে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আজ সচিবালয়ে ‘কোরবানির পশুর হাটে সুস্থ-সবল গবাদিপশু সরবরাহ ও বিক্রয় নিশ্চিতকরণ’ সংক্রান্ত এক অনলাইন সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এবার আমরা চাই পশু পরিবহণে কোনরকম চাঁদাবাজি হবে না। যে অঞ্চলে সুযোগ আছে সেখান থেকে ট্রেনে পরিবহণ করা হবে। খামারিদের খামারে পশু বিক্রয় হলে সেখান থেকে ইজারাদার টোল আদায় করতে পারবে না।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আরো বলেন, এবছরও দেশে কোরবানির জন্য গবাদিপশুর পর্যাপ্ত যোগান রয়েছে। এ বছর এক কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০টি গবাদিপশু কোরবানির জন্য মজুদ রয়েছে। যার মধ্যে হৃষ্টপুষ্টকৃত গরু-মহিষের সংখ্যা ৪৫ লাখ ৩৮ হাজার এবং ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ৭৩ লাখ ৫৫ হাজার ও অন্যান্য চার হাজার ৫০০টি। কোরবানির জন্য কোন অবস্থাতেই বিদেশ থেকে গবাদিপশু আনার অনুমতি দেয়া হবে না। করোনার কারণে গবাদিপশু বিপণনে এবছর অনলাইন বাজারের উপর জোর দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গবাদিপশু বিপণন ও পরিবহণ সমস্যা সমাধানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে হটলাইন স্থাপন করা হবে। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক হটলাইনে সম্পৃক্ত হবেন। গবাদিপশুর বাজারগুলোতে প্রায় ১২০০ মেডিকেল টিম কাজ করবে, যাতে রুগ্ন গবাদিপশু বাজারে না আসতে পারে। একইসাথে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মনিটরিং টিম গঠন করা হবে। কোরবানির হাটে স্বাস্থ্যবিধি প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কোরবানির সময়ে খামারিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সহায়তা করার জন্য মাঠ পর্যায়ের সকল প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের এসময় নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদার, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার, বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপপরিচালকগণ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, বিজিবি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস এবং প্রাণিসম্পদ খাতের উদ্যোক্তা ও খামারীদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি অনলাইন সভায় অংশগ্রহণ করেন।
#
ইফতেখার/পরীক্ষিৎ/জুলফিকার/খোরশেদ/২০২০/১২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৮৭
বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের ক্রীড়া ভাতা
গত অর্থবছরের ভাতা পাচ্ছেন ১১৫০ ক্রীড়াবিদ
ঢাকা ২৫ আষাঢ় (৯ জুলাই):
২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে এক হাজার ১৫০ জন অস্বচ্ছল ক্রীড়াবিদকে মাসিক ক্রীড়া ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। প্রত্যেক ক্রীড়াসেবী বা তাদের পরিবারকে মাসিক ভাতা হিসেবে দুই হাজার হারে বছরে ২৪ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল।
সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই অস্বচ্ছল ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠকদের কল্যানার্থে এ ফাউন্ডেশনটি গড়ে তুলেছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতার স্মৃতি বিজড়িত এ ফাউন্ডেশনটি সবসময় ক্রীড়াবিদদের পাশে রয়েছে। আমরা করোনা ভাইরাস মহামারী চলাকালে ৫০ জন অস্বচ্ছল খেলোয়াড় বা ক্রীড়াসেবীকে ১০ হাজার টাকা হারে মোট পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছি। শীঘ্রই এ অর্থ ক্রীড়াবিদদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা ইতিমধ্যে করোনায় ক্ষতিগ্রস্হ এক হাজার ক্রীড়াবিদকে এক কোটি টাকা অনুদান দিয়েছি।
এছাড়াও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় ‘করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের অনুদান’- এই খাতে সরকার তিন কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে।
#
আরিফ/পরীক্ষিৎ/জুলফিকার/মাসুম/২০২০/১৬৪৬ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৮২
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অটো প্রমোশনের সিদ্ধান্ত নেয়নি মন্ত্রণালয়
ঢাকা, ২৫ আষাঢ় (৯ জুলাই) :
বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণীতে পরীক্ষা ছাড়াই অটো প্রমোশন দেয়া হবে মর্মে প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। বিষয়টি ভিত্তিহীন ও গুজব। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত কোন সিদ্ধান্ত এখনো গ্রহণ করেনি।
#
খায়ের/পরীক্ষিৎ/জুলফিকার/খোরশেদ/২০২০/১২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৪৮৩
করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত
ঢাকা ২৫ আষাঢ় (৯ জুলাই) :
করোনা পরিস্থিতিতে সৃষ্ট দুর্যোগে দেশের সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে মানবিক সহায়তা হিসেবে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছে সরকার। এ পর্যন্ত সারা দেশে দেড় কোটির বেশি পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে ।
৬৪ জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গতকাল পর্যন্ত সারাদেশে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে দুই লাখ ১২ হাজার ৯৮৪ মেট্রিক টন এবং বিতরণ করা হয়েছে এক লাখ ৯৮ হাজার ২৩৪ মেট্রিক টন। এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা এক কোটি ৬৮ লাখ ৭৪ হাজার ৮৪২ এবং উপকারভোগী লোকসংখ্যা সাত কোটি