তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৮৫
সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ-জাপান
টোকিও, ১৩ বৈশাখ (২৬ এপ্রিল) :
২০৪১ সাল নাগাদ একটি জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উদ্ভাবন, গবেষণা, মানব সম্পদ উন্নয়ন, সাইবার সিকিউরিটিসহ তথ্যপ্রযুক্তির নানা ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ ও জাপান।
আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিও (KISHIDA Fumio) এর উপস্থিতিতে জাপানি প্রধানমন্ত্রীর অফিসের লার্জ মিটিং রুমে বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের মধ্যে এ বিষয়ে এক সহযোগিতা স্মারক (এমওসি) স্বাক্ষরিত হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি (IWAMA Kiminori) নিজ নিজ দেশের পক্ষে সহযোগিতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
সহযোগিতা স্মারক চুক্তির আওতায় দীর্ঘমেয়াদি বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে উদ্ভাবন, গবেষণা, মানব সম্পদ উন্নয়ন, ডিজিটাল অর্থনীতি, ডিজিটাল লিটারেসি, সাইবার সিকিউরিটি, তথ্য আদান-প্রদান, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশের সঙ্গে এক সাথে কাজ করবে জাপান। এতে আরো বলা হয়, ক্রমবর্ধমান সাইবার অপরাধের ঘটনা প্রতিরোধ এবং প্রচলিত সাইবার নিরাপত্তা নীতিমালা ও এ ব্যাপারে সর্বোত্তম অনুশীলনের মডেলগুলোর আদান-প্রদান এবং সাইবার নিরাপত্তার চলতি বিষয়ে সংলাপ আয়োজনের পাশাপাশি মানবসম্পদের সক্ষমতা উন্নয়ন ও বিশেষজ্ঞ বিনিময়ে সহযোগিতা করবে দুই দেশ।
টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তথ্যপ্রযুক্তিতে অগ্রগামী দেশ জাপানের সাথে সহযোগিতা স্মারককে যুগান্তকারী অগ্রগতি হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, এই চুক্তি তথ্যপ্রযুক্তিতে জাপানের সহযোগিতাকে আরো সম্প্রসারিত করবে এবং ২০৪১ সাল নাগাদ একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত ও জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের অভিযাত্রাকে বেগবান করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকার) মাধ্যমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: আইসিটি ২০৪১ মাস্টার প্ল্যান’ প্রণয়ন করেছি। সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে এ মাস্টার প্ল্যান অনুসারে প্রকল্প গ্রহণ ও তার বাস্তবায়নে জাপানের সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। পলক বলেন, আগামীতে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহন, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার হবে। এসব প্রযুক্তি ব্যবহারে জাপানের পরামর্শ ও সহযোগিতা একদিকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং অন্যদিকে সম্ভাবনা কাজে লাগানোর পথ সুগম করবে।
সহযোগিতা স্মারক অনুসারে আরো যেসব ক্ষেত্রে উভয় দেশ সহযোগিতা করবে তা হলো বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রী এবং আইটি খাতের কর্মীদের আপস্কিলিং প্রোগ্রাম প্রদানের জন্য জাপানি টেক ইউনিভার্সিটি এবং ইনস্টিটিউটের সাথে সহযোগিতা। এছাড়া, সাইবার স্পেসে আন্তর্জাতিক আইনের প্রযোজ্যতা পুনঃনিশ্চিত করে, রাষ্ট্রীয় আচরণের ক্ষেত্রে ২০১৩, ২০১৫ এবং ২০২১ সালের UNGGE রিপোর্টের বাস্তবায়নে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সহযোগিতায় একসঙ্গে কাজ করবে। সাইবারস্পেস এবং সাইবারস্পেসে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর দায়িত্বশীল আচরণ ও অ-বাধ্যতামূলক নিয়ম মেনে চলা এবং সেইসাথে যথাযথভাবে কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস (CBMs) পরিচালনা করে এবং ক্ষমতা বৃদ্ধি প্রসারিত করতে স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রচেষ্টা চালাবে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
#
শহিদুল/রাহাত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/২১১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৮৪
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৩ বৈশাখ (২৬ এপ্রিল) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল ২৭ এপ্রিল শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“উপমহাদেশের বরেণ্য রাজনীতিবিদ শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি এই মহান নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন উপমহাদেশের এক অনন্যসাধারণ প্রজ্ঞাবান ও বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন অসাধারণ মেধাবী ও বাগ্মী। তিনি একাধারে বাংলা, ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় অনর্গল বক্তৃতা করতে পারতেন। দক্ষ রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক হিসেবে প্রায় অর্ধ-শতাব্দীর অধিককাল তিনি গণমানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য, সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের সভাপতি (১৯১৬-১৯২১), কলকাতার মেয়র (১৯৩৫), অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৩৭-১৯৪৩), পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৫৪) ও পূর্ব বাংলার গভর্নরের (১৯৫৬-১৯৫৮) পদসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন গণমানুষের নেতা। তিনি কৃষক ও শ্রমিকদের স্বার্থে ১৯৩৬ সালে কৃষক প্রজা পার্টি (কেপিপি) এবং ১৯৫৩ সালে শ্রমিক-কৃষক দল প্রতিষ্ঠা করেন। অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শেরে বাংলা এ অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজ সংস্কারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। বাংলার শোষিত ও নির্যাতিত কৃষক সমাজকে ঋণের বেড়াজাল থেকে মুক্তির লক্ষ্যে তাঁর উদ্যোগে গঠিত হয় ‘ঋণ সালিশি বোর্ড’। শেরে বাংলা কর্তৃক প্রণীত বঙ্গীয় চাকুরি নিয়োগবিধি, প্রজাস্বত্ব আইন, মহাজনি আইন, দোকান কর্মচারী আইনের মাধ্যমে এ অঞ্চলের অবহেলিত কৃষক-শ্রমিক উপকৃত হন। এই বরেণ্য রাজনীতিবিদ ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। কৃষক-শ্রমিক তথা মেহনতি মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। এ কে ফজলুল হকের অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা আগামী প্রজন্মের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
আমি এ মহান নেতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরানুল/রাহাত/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/২০২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৮৩
বিএনপি নেতা রিজভীর বক্তব্যই বাকস্বাধীনতার আরেক প্রমাণ
--তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৩ বৈশাখ (২৬ এপ্রিল) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী সাহেব কারাগার থেকে বের হয়েই যে বক্তব্য রেখেছেন, তার মাধ্যমেই এটি আবারও প্রমাণিত হয় যে দেশে বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত আছে।’
আজ সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকরা গতকাল জামিনে মুক্তি পেয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ‘ছোট কারাগার থেকে বড় কারাগারে এসেছি’ বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এ কথা বলেন। একই সাথে তিনি বলেন, ‘রিজভী সাহেব যদি মনে করেন উনি ছোট কারাগার থেকে বড় কারাগারে এসেছেন এবং উনি যদি আবার ছোট কারাগারে যেতে চান তাহলে সরকার সে ব্যবস্থা নিতে পারে।’
ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশে যেভাবে বিরোধী দল সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা এমনকি মাঝে মধ্যে রাতের বেলাতেও সরকারের প্রতি বিষোদগার করছে এবং যেভাবে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে সেটির নজির পার্শ্ববর্তী দেশেও আছে কি না তাকিয়ে দেখুন। বিএনপিকে বা এ নিয়ে যারা কথা বলেন, সমালোচনা করেন, খবরাখবর রাখেন তাদেরকে আমি বেশি দূরে যেতে বলবো না, শুধু অনুরোধ জানাবো পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের দিকে তাকানোর জন্য।’
উদাহরণ দিয়ে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘একটি বক্তব্যের কারণে রাহুল গান্ধীর দুই বছর জেল হয়েছে, সংসদ সদস্যপদ বাতিল হয়েছে। রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে যিনি মামলা করেছেন তিনি বিজেপির একজন সদস্য, এমপি ছিলেন। আমাদের দেশে বিরোধী দলের নেতারা যেভাবে বক্তব্য রাখে এবং প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আমাদের দলের ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে এমনকি আমার বিরুদ্ধে, আমাদের বিরুদ্ধে যেভাবে বক্তব্য রাখা হয়, সে জন্য কি আমরা আদালতে গেছি। এখান থেকেই তো বোঝা যায় যে এখানে গণতান্ত্রিক চর্চা এবং বাকস্বাধীনতা কতো বেশি আছে। অর্থাৎ আমাদের এখানে গণতান্ত্রিক চর্চা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সেটি অনেক দেশের চেয়ে অনেক ভালো, উন্নত। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেয়েও অনেক ক্ষেত্রে আমাদের এখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বেশি।’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীকে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের ধন্যবাদ
সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তরের আগে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ নেতৃবৃন্দ তথ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। পরিষদের আহ্বায়ক খোরশেদ আলম খসরু, শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ, চিত্রগ্রাহক সমিতির সভাপতি আব্দুল লতিফ বাচ্চু, প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, এডিটরস গিল্ডের সভাপতি আবু মুসা দেবু তাদের বক্তব্যে সিনেমা হল নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য এক হাজার কোটি টাকার সহজ ঋণ তহবিল গঠনের সফল উদ্যোগ, সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের অনুরোধে হিন্দি সিনেমা আমদানির অনুমতি প্রদানসহ চলচ্চিত্র শিল্পকে এগিয়ে নিতে আন্তরিক ও কার্যকর ভূমিকার জন্য তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদকে ধন্যবাদ এবং ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ এ সময় সমিতির পক্ষে ১০ দফা প্রস্তাবনা মন্ত্রীকে হস্তান্তর করে।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে চলচ্চিত্র শিল্প ইতিমধ্যেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। গত বছর ৭০টির বেশি ছবি মুক্তি পেয়েছে যা গড়ে প্রতি সপ্তাহে একটির বেশি। ঈদ উপলক্ষ্যে সম্ভবত ৮টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। একটি ছবি ১শ’ সিনেমা হলে একযোগে মুক্তি পেয়েছে। অর্থাৎ চলচ্চিত্র শিল্প ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, হিন্দি সিনেমা আমদানির বিষয়ে প্রদর্শক সমিতি বহুদিন ধরে বলে আসলেও চলচ্চিত্র অঙ্গনের সব সমিতি বিশেষ করে শিল্পী সমিতি একমত না হলে আমি পদক্ষেপ নিতে রাজি হইনি। অবশেষে আপনারা শিল্পী সমিতিকে আপনাদের সাথে সংযুক্ত করতে পেরেছেন, এ জন্য অভিনন্দন। বছরে ১০টি ভারতীয় সিনেমা এ দেশে আমদানি হলে আমাদের সিনেমার কোনো ক্ষতি হবে বলে আমি মনে করি না। বরং মানুষ হলমুখী হবে, অনেক হল খুলবে। তখন আমাদের ছবির জন্য আরো বড় জায়গা তৈরি হবে।
ড. হাছান উদাহরণ দিয়ে বলেন, পাকিস্তানে হলের সংখ্যা কমতে কমতে ৩০-৩৫টিতে নেমে এসেছিল। তখন তারা ভারতীয় হিন্দি ছবি আমদানি করার অনুমতি দিয়েছিল, এরপর হলের সংখ্যা বেড়ে ১২শ’ হয়েছে এবং সাথে সাথে পাকিস্তানের ছবির মানও অনেক উন্নত হয়েছে। আমাদের দেশেও ইতিমধ্যে অনেক ভালো ভালো ছবি হয়েছে, সামাজিক ছবি হচ্ছে।
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি না হলে প্রধানমন্ত্রী ১ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করে দেওয়ার সুবাদে ইতিমধ্যে আরো অনেক সিনেমা হল চালু হতো। তবে সিনেপ্লেক্স বাড়ছে। নতুন নতুন সিনেপ্লেক্স হচ্ছে। স্টার সিনেপ্লেক্স দেশে ৫০টি সিনেপ্লেক্স করার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে। এবং আমি মনে করি আমাদের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে দেশের চলচ্চিত্র শিল্প আরো উপকৃত হবে।
মন্ত্রী পরিচালক সমিতির প্রস্তাবগুলো যাচাই করে দেখার আশ্বাস দেন এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্তদেরকে বিমান বন্দরে অগ্রাধিকারসহ ক্ষেত্র বিশেষে প্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে একমত পোষণ করেন। সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদ সদস্য ছটকু আহমেদ, শাহ আলম কিরণ, সেলিম আজম, নূর মোহাম্মদ মনি, আব্দুর রহিম বাবু, ওয়াজেদ আলী লিটন, শাহাদাৎ হোসেন লিটন, ইফতেখার জাহান, বজলুর রাশেদ চৌধুরী, নিপুণ আকতার, মোহম্মদ হোসেন, কামাল মোহম্মদ কিবরিয়া লিপু, এস ডি রুবেল, কাজী শোয়েব রশীদ, ইউনুস রুবেল, শারফুদ্দিন এলাহী সম্রাট প্রমুখ বৈঠকে অংশ নেন।
#
আকরাম/রাহাত/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৮৩৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৮১
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৩ বৈশাখ (২৬ এপ্রিল) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ২২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪৬ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৫ হাজার ৬২১ জন।
#
সুলতানা/রাহাত/রেজাউল/২০২৩/১৭১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৮০
বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদন
ঢাকা, ১৩ বৈশাখ (২৬ এপ্রিল) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
শপথ গ্রহণের পর স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ সকালে সড়ক পথে পদ্মা সেতু হয়ে প্রথমবারের মতো গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যান রাষ্ট্রপতি।
টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছালে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ স্বাগত জানান।
এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে। রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
পরে তিনি পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এরপর রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানা তাঁর পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
এর আগে, টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার সময় রাষ্ট্রপতি পদ্মা সেতুর উপরে যাত্রা বিরতি করেন এবং কিছুক্ষণ অবস্থান করেন।
#
হাসান/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/সিরাজ/আসমা/২০২৩/১৫৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৫৭৯
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন সেপ্টেম্বরে
পদ্মা সেতুতে ১০ মাসে টোল আদায় ৬৬০ কোটি
ঢাকা, ১৩ বৈশাখ (২৬ এপ্রিল):
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী সেপ্টেম্বর মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল-এর শুভ উদ্বোধন করতে পারেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ।
মন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীতে সেতু বিভাগের সম্মেলন কক্ষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় একথা জানান।
তিনি জানান, উদ্বোধনের পর অর্থাৎ গতবছরের ২৬ জুন থেকে গতকাল পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোট ৬৬০ কোটি ২৪ হাজার ১৫০ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে। এছাড়া, গত ২০ এপ্রিল সকাল ৬টা হতে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত পদ্মা সেতুর উভয় প্রান্ত দিয়ে মোট ৭৭ হাজার ৫২৯টি মোটর সাইকেল পারাপার হয়েছে। যা থেকে ৭৭ লক্ষ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।
এসময় মন্ত্রী আগামী ঈদুল আযহার সময় গরুর হাট, পশুবাহী পরিবহন এবং বৃষ্টির বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে যাত্রী সাধারণের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন-এর সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোঃ ফেরদাউস, বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকসহ সেতু বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
ওয়ালিদ/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/সিরাজ/ইমা/২০২৩/১৪২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৫৭৮
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের সাথে জেট্রো চেয়ারম্যানের বৈঠক
টোকিও (জাপান), ২৬ এপ্রিল :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এর চেয়ারম্যান ও সিইও নরিহিকো ইশিগুরু’র মধ্যে আজ জাপানের রাজধানী টোকিওর আকাসাকা প্যালেসে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ।
বৈঠকে তারা জাপান-বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ও বিকাশে করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সর্বশেষ অগ্রগতি এবং ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের রূপরেখা তুলে ধরেন পলক। তিনি জানান, বর্তমান সরকার বাংলাদেশে কার্যকর স্মার্ট লিডারশিপ প্রতিষ্ঠা করেছি। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের যোগ্য নেতৃত্ব গঠনে নির্মীয়মান ‘স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমি’কে আরো কার্যকর করতে উভয় দেশের যৌথ অংশীদারিত্বের বিষয়টিকে বৈঠকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
এ একাডেমি থেকে সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক, গবেষক, সাংবাদিকসহ সব ধরনের পেশাজীবী ও প্রযুক্তিবিদরা আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাবেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী জেট্রোর চেয়ারম্যানের সাথে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং ও ন্যনোটেক ডিজাইনিং এবং সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও কীভাবে দুদেশের মধ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণে সহযোগিতা বাড়ানো যায় ও বাংলাদেশের হাইটেক পার্ক এবং সাইবার নিরাপত্তায় জাপানি বিনিয়োগের জন্য কিভাবে আকৃষ্ট করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী জাপানি ভাষায় লিখিত বঙ্গবন্ধুর জীবনী, জেট্রো-আইসিটি বিভাগের যৌথ অংশীদারিত্বের একটি স্যুভেনির এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন নিয়ে লিখিত প্রকাশনাসহ পৃথক তিনটি গ্রন্থ জেট্রো চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দেন।
এসময় জেট্রোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে জাপান সফর করছেন। গতকাল ছিল সফরের দ্বিতীয় দিন।
#
শহিদুল/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/সিরাজ/ইমা/২০২৩/১৩৫৫ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৭৭
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এর মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৩ বৈশাখ (২৬ এপ্রিল) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২৭ এপ্রিল শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক- এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং বাংলার কৃষক ও মেহনতী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু শেরে বাংলা এ কে (আবুল কাশেম) ফজলুল হক- এর ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
এ কে ফজলুল হক এদেশের কৃষক সমাজের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে আজীবন কাজ করেছেন। কৃষকদের অধিকার আদায়ে তিনি সব সময় সোচ্চার ছিলেন। তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে দরিদ্র কৃষক এবং প্রজাদের স্বার্থ রক্ষায় কৃষি ঋণ আইন এবং প্রজাস্বত্ব (সংশোধনী) আইনসহ বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেন। জমিদারগণ রায়তদের উপর যে আবওয়াব ও সেলামি ধার্য করতেন, তিনি তা বিলোপ সাধন করেন। তাঁর সাহসী নেতৃত্ব, উদার ও পরোপকারী স্বভাবের জন্য জনগণ তাঁকে ‘শেরে বাংলা’ বা ‘বাংলার বাঘ’ খেতাবে ভূষিত করেছিলেন।
শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক- এর সঙ্গে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শিক ঐক্য ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা ছিল। শোষণ ও বঞ্চনাহীন, প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তিনি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে বাঙালি জাতিকে বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলার সুযোগ করে দিয়েছেন।
বাংলার গরীব-দুঃখী মানুষের জন্য এ কে ফজলুল হক-এর অসীম মমত্ববোধ, ভালবাসা এবং কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে সবসময় অনুপ্রাণিত করবে।
আমি শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক- এর ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি এবং এ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল অনুষ্ঠানের সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
সরওয়ার/মেহেদী/পরীক্ষিৎ/সিরাজ/আসমা/২০২৩/১১৩০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ