Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫

তথ্যবিবরণী ২৭ এপ্রিল ২০২৫

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ৩৩৮৩

গৃহকর্মীদের সুরক্ষায় অভিযোগ সেন্টার খোলা প্রয়োজন

                            --- শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা

ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল):

          শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশে গৃহকর্মী প্রথা প্রচলন আছে। এটা দীর্ঘদিনের সংস্কৃতি। গৃহকর্মীদের সুরক্ষা ও জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় অভিযোগ সেন্টার খোলা প্রয়োজন।

          আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের প্রত্যাশায় নীতি সংলাপের অংশ হিসেবে গৃহকর্মীদের সুরক্ষা ও জীবনমান উন্নয়ন বিষয়ে আয়োজিত নীতি সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

          সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দেশের আর্থমাজিক উন্নয়নে গৃহকর্মীদের সুরক্ষায় আমরা শ্রমিকদের মর্যাদা এখনো নিশ্চিত করতে পারিনি। পেশা হিসেবে গৃহকর্মীদের তেমন কোনো সামাজিক মর্যাদা নেই। গৃহকর্মীর কাছে তাদের নিয়োগপত্র, নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা; অসুস্থতাজনিত ছুটির সুযোগ-সহ কোনো যুক্তিসংগত বেতন কাঠামো নাই। দুর্ঘটনায় তারা ন্যায্য প্রতিকার পায় না।

          শ্রম উপদেষ্টা আরো বলেন, গৃহকর্মীদের সুরক্ষায় নীতিমালা প্রণয়নই যথেষ্ট নয়। এক্ষেত্রে আইনি কাঠামো না থাকা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে আইন করলেই নির্যাতন বন্ধ হবে, বিষয়টি এমন নয়। ইতিমধ্যে শ্রম সংস্কার কমিশন ও নারী অধিকার সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। সেখানেও গৃহশ্রমিকের প্রসঙ্গটি এসেছে। গুরুত্বের সঙ্গে এ সকল বিষয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে বাজেটের সাথে মিল রেখে সুপারিশ বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নেবে। আমাদের সকলের কর্মপ্রচেষ্টায় গৃহকর্মীদের জীবনমান উন্নয়নে একটি সমন্বিত যৌথ উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

          এ সময় অন্যান্যের মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক, এনএসডিসির সাবেক সিইও, বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি, গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী,  শ্রম ও সংস্কার কমিশন প্রধান, নারী অধিকার সংস্কার কমিশন প্রধান উপস্থিত ছিলেন।

#

মালেক/মেহেদী/রানা/ফেরদৌস/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৫/২১২০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ৩৩৮২

 

ইন্টারনেট ট্রান্সমিশনে মূল্যহ্রাসের ঘোষণা বাহন লিমিটেডের

 

ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল):

ইন্টারনেট ট্রান্সমিশন তথা সঞ্চালন সেবায় মূল্যহ্রাসের ঘোষণা দিয়েছে বেসরকারি খাতের এনটিটিএন অপারেটর বাহন লিমিটেড। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের আহবানে সাড়া দিয়ে এই মূল্য হ্রাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাহনের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশীয় ট্রান্সমিশন সেবায় কমপক্ষে ১০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যহ্রাস করা হয়েছে। ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের পরিধি ভেদে কোনো কোনো স্থানে ১০ শতাংশেরও বেশি মূল্য হ্রাস করা হবে।  

মূল্যহ্রাসের পাশাপাশি এনটিটিএন সেবায় ‘ফ্লোর প্রাইস’ উঠিয়ে দেওয়ারও দাবি জানিয়েছে বাহন। এ বিষয়ে রাশেদ আমিন বলেন, ইন্টারনেটকে ব্যবহারকারীদের কাছে আরও সুলভ করতে, ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে নেওয়া উচিত। ফ্লোর প্রাইস তুলে ফেলতে, বাহন অতীতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) চিঠিও দিয়েছে। বাহন মনে করে যে, ফ্লোর প্রাইস তুলে দিলে অনেক জায়গায় এনটিটিএন এর ট্রান্সমিশন ব্যয় ১০ শতাংশের অধিক কমানো সম্ভব।

প্রসঙ্গত, গত ২১ এপ্রিল একটি এনটিটিএন অপারেটর ইন্টারনেট ট্রান্সমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ে মূল্যহ্রাসের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে অন্যান্য টেলিকম অপারেটর প্রতিও খরচ কমানোর আহবান জানিয়েছেন ফয়েজ তৈয়্যব।

#

জসীম/রানা/ফেরদৌস/সঞ্জীব/শামীম/২০২৫/২০৫০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর: ৩৩৮১

 

সরকার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর

               --- উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল):

            সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, সরকার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। আমরা চাই অপরাধী আইনের আওতায় আসুক এবং শাস্তি হোক।

            আজ সিরডাপ মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন ডিএনএ ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর আয়োজিত বিশ্ব ডিএনএ দিবস ২০২৫ উদ্যাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

            সুশাসন মানুষের মানবিক চাহিদা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, উন্নত সমৃদ্ধ নতুন বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম অংশীদার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ডিএনএ ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর নারীর ন্যায়বিচার প্রাপ্তি ও অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো এবারও বাংলাদেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ডিএনএ দিবস পালিত হচ্ছে। নারীর অধিকার, ন্যায়বিচার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ডিএনএ দিবস ২০২৫ এর প্রতিপাদ্য ‘ডিএনএ প্রযুক্তির ব্যবহার: নারীর ন্যায়বিচার প্রাপ্তি ও নিরাপত্তার নতুন দিগন্ত’, যা বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে সময়পোযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

            উপদেষ্টা বলেন, ডিএনএ পরীক্ষার ফলে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার বিচারককার্য দ্রুত সম্পাদনের মাধ্যমে মামলার ব্যয় ও সময় অনেকাংশে লাঘব করা যাচ্ছে। যে সমস্ত মামলা উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণাদির অভাবে নিষ্পত্তি করা যেত না সেই সমস্ত মামলা ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভবপর হচ্ছে এবং নারীর অধিকার রক্ষায় ডিএনএ পরীক্ষা বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। এছাড়াও ডিএনএ পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব নির্ণয়ে অথবা মৃত ব্যক্তির পরিচয় উদ্ধারেও গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

            শারমীন এস মুরশিদ বলেন, বর্তমান বিশ্বে শিশু  ও নারী পাচার রোধ এবং অবৈধ অভিবাসী প্রতিরোধের জন্যও ডিএনএ পরীক্ষা কার্যকর ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে পিলখানা ট্র্যাজেডিতে নিহত ৭ জন সেনা কর্মকর্তা, ২০১৩ সালে তাজরীন ফ্যাশন ট্র্যাজেডিতে ৫৭জন শ্রমিকের পরিচয় সনাক্তকরণে, ২০১৩ সালে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় নিহত ৩৩২ জন শ্রমিকের পরিচয় সনাক্তকরণে এই ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি সুখ্যাতি অর্জন করেছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বৈষম্যহীন পথে অচিরেই এদেশ বিশ্ব দরবারে অসাধারণ নেতৃত্ব গুণে, অসামান্য সাফল্য গাঁথায় উদ্ভাসিত হবে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

            বিশ্ব ডিএনএ দিবস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মহিলা শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সচিবের রুটিন দায়িত্ব) জাকিয়া খানমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ আবু তাহের এবং নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের কমিশন প্রধান শিরীন পারভীন হক। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিএনএ ল্যাবরেটরি ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান ডিপার্টমেন্টের প্রফেসর এ এইচ এম নুরুন্নবী, ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মমতাজ আরা প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

#

রফিকুল/মেহেদী/রানা/ফেরদৌস/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৫/২০২০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ৩৩৮০

পরিবেশগত বিবেচনায় ১৭টি পাথর কোয়ারির ইজারা প্রদান স্থগিতের সিদ্ধান্ত সরকারের

ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল):

            পরিবেশগত বিবেচনায় দেশের ৫১টি পাথর কোয়ারির মধ্যে ১৭টি পাথর কোয়ারির ইজারা প্রদান স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ও প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষিত কোনো পাথর কোয়ারিতে ইজারা প্রদান করা যাবে না। এছাড়াও, নৈসর্গিক সৌন্দর্য রক্ষার স্বার্থে সিলেট জেলার ভোলাগঞ্জ, উৎমাছড়া, রতনপুর, বিছানাকান্দি ও লোভাছড়া পাথর মহালে ইজারা প্রদান কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।

            আজ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এর সভাপতিত্বে সারা দেশের গেজেটভুক্ত পাথর/সিলিকাবালু/নুরী পাথর/সাদা মাটি কোয়ারিসমূহের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সভায় স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসময় উপস্থিত ছিলেন।

            সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয় যে, অন্যান্য কোয়ারিতে ইজারা প্রদানের পূর্বে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ বাধ্যতামূলক এবং অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনকে পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিকদের নয়, প্রকৃত দায়ী ও দোষীব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ প্রদান করা হয়। এখন থেকে অবৈধভাবে উত্তোলিত কোনো পাথর বিক্রি না করে তা কাস্টমসের মাধ্যমে সরকারের নির্মাণকাজে ব্যবহারের জন্য সরবরাহ করা হবে।

            এ প্রসঙ্গে পরিবেশ উপদেষ্টা জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রনালয়কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন যে, শুধু পাথর মহল নয়, অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালু উত্তোলন রোধেও একই নীতিমালা অনুসরণ করা যেতে পারে। এতে করে পরিবেশ ও  জনস্বার্থ রক্ষিত হবে এবং বালু ও পাথরের মতন প্রাকৃতিক সম্পদগুলো আইন মেনে জনগণের স্বার্থে ব্যবহার করা যাবে। অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত কোন পাথর বিক্রি না করে বরং সেই পাথর কাস্টমস এর মাধ্যমে সরকারের নির্মাণকাজে সরবরাহ করা হলে পাথর ও বালি উত্তোলন কমবে। উপদেষ্টা জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের পূর্ববর্তী বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে এখন থেকে দেশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

            উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালে দেশের সকল পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করে। পরবর্তীতে, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে এ স্থগিতাদেশ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় উদ্বেগ প্রকাশ করে। তার প্রেক্ষিতে আজ সভায় এ সিদ্ধান্তসমূহ গ্রহণ করা।

            সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার এবং সিলেট জেলার জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

#

দীপংকর/মেহেদী/রানা/ফেরদৌস/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৫/২১১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ৩৩৭৯

দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনা তরুণদের সহায়তা করা হবে

                                        - ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল):

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, এখন থেকে আইসিটি বিভাগ দেশের কৃতি সন্তানদের নিয়মিত সংবর্ধনা দেবে। পাশাপাশি যারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন তাদের লজিস্টিক, কারিগরি এবং ট্রেনিং সহায়তা প্রদান করা হবে। আইসিটি বিভাগের পাশাপাশি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগও সহায়তা করবে।

আজ ঢাকায় আগারগাঁওয়ে বিসিসি অডিটোরিয়ামে ২৬তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ দলের বিজয়ীদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ সহকারী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।

ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, আনুষ্ঠানিকতার বাইরে গত এক বছরে দেশের জন্য গৌরব বয়ে আনা তরুণদের রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সম্মাননা এবং তাদের সব ধরনের লজিস্টিক সহায়তাও প্রদান করা হবে। তাদের উদ্ভাবনায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ফান্ডিং করা হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, তরুণদের উদ্ভাবনের পরিবেশ বাস্তবায়ন না করলে জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা বাস্তবায়ন সফল হবে না। এই বিপ্লবের অর্জন তখনই সম্ভব হবে যখন আমরা আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান এবং দেশে একটি সত্যিকার অর্থে স্টার্টআপ ইকো সিস্টেমের পথ তৈরি করে দিতে পারবো। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যেই সৃজনশীলতা তার জন্য একটি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন এবং যেহেতু নতুন স্টার্ট‌আপগুলোর অধিকাংশই প্রযুক্তিনির্ভর সেজন্য এক্ষেত্রে আইসিটি বিভাগের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।

বিশেষ সহকারী জানান, পাঁচটি বিভাগে সামিট করা হয়েছে। আচিরেই দেশের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিভার্সিটি অ্যাক্টিভেশন করা হবে। এরপর বিভিন্ন স্কুল ও কলেজকে গ্রুপে বিভক্ত করে স্টার্টআপ সামিট হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, প্রযুক্তি যতই দ্রুত ছুটুক না কেন আমাদের ক্ষুদে বিজয়ীরা বুঝিয়ে দিয়েছে আমরা পিছিয়ে নেই। আমরা আজ আত্মবিশ্বাসী তাই আগামী আসরে তাদেরকে উদার হস্তে সহযোগিতা করবে আইসিটি বিভাগ।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে শুরু হয়ে ক্রমান্বয়ে আন্তর্জাতিক রোবট অলেম্পিয়াডে ভালো করছে বাংলাদেশ। এ বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৬তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে জিতেছে ১০টি পদক। আগামী ডিসেম্বর ২০২৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে বসবে ২৭তম আসর।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের সঙ্গে তাদের কোচ মিশাল ইসলামকেও শুভেচ্ছা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন পদকজয়ী আরিয়েত্রী ও আবরার আবীর।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

#

জসীম/মেহেদী/রানা/ফেরদৌস/সঞ্জীব/শামীম/২০২৫/২০৩০ঘণ্টা

Handout                                                                                                          Number: 3378
 

Government suspends lease of 17 stone

quarries considering environmental concerns
 

Dhaka, 27 April:

            Considering environmental factors, the government has decided to suspend the leasing process of 17 out of 51 stone quarries in the country. No leases will be granted for quarries that are under court injunctions or located within declared Ecologically Critical Areas (ECA). Additionally, to preserve natural beauty, the leasing activities in the Bhulagonj, Utmachaora, Ratanpur, Bichanakandi, and Lovachora stone quarries of Sylhet district will also remain suspended.

            This decision was taken today at a meeting held at the conference room of the Ministry of Power, Energy and Mineral Resources, chaired by Advisor Muhammad Faozul Kabir Khan. Advisor Lt. Gen. Md. Jahangir Alam Chowdhury (Retd.) from the Ministries of Home Affairs and Agriculture and Advisor Syeda Rizwana Hasan from the Ministry of Environment, Forest and Climate Change, were also present.

            The meeting further decided that before granting leases for other quarries, obtaining an Environmental Clearance Certificate from the Department of Environment will be mandatory. Local administrations have been directed to take legal action against the actual responsible persons involved in illegal stone extraction, rather than targeting the workers. Additionally, illegally extracted stones must not be sold; instead, they will be supplied for government construction works through customs.


            In this regard, the Environment Advisor thanked the Ministry of Power, Energy and Mineral Resources and suggested that a similar policy could be adopted to control unregulated sand extraction as well. She emphasized that such steps would protect the environment and public interest, ensuring the lawful use of natural resources like sand and stones. Supplying illegally extracted stones through customs for government use would also help curb illegal extraction.

            The Advisor also mentioned that, overcoming previous limitations, the Department of Environment is now better prepared to take appropriate measures to protect the environment and ecosystems.

            It is noteworthy that on 18 February 2020, the Energy and Mineral Resources Division of the Ministry of Power, Energy and Mineral Resources had suspended stone extraction from all stone quarries until further notice. Later, on 13 January 2025, a decision was made to lift the suspension, which raised concerns from the Ministry of Environment, Forest and Climate Change. Consequently, today's meeting resulted in these new decisions.

            The meeting was attended by Secretary of the Ministry of Environment, Forest and Climate Change Dr. Farhina Ahmed, Secretary of the Energy and Mineral Resources Division Mohammad Saiful Islam, Divisional Commissioner of Sylhet Division and Deputy Commissioner of Sylhet District, along with representatives of various ministries and organizations.

#

Dipankar/Mehedi/Rana/Sanjib/Joynul/2025/2040 hour

তথ্যবিবরণী                                                                                    নম্বর: ৩৩৭৭

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে জেএসডি’র আলোচনা অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল):
    সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আজ ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের এল ডি হলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি'র আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    আলোচনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ছাড়াও সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
    এ সময় অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, জনগণের দীর্ঘদিনের আকাক্সক্ষা থেকে সংস্কার কমিশনগুলো গঠিত হয়েছে। জনগণের এই আকাক্সক্ষাকে পরিপূর্ণতা দিতে রাষ্ট্র সংস্কার দরকার। তিনি আরো বলেন, গত ৫৩ বছর ধরে আমরা এমন এক শাসনব্যবস্থা দেখেছি, যা ফ্যাসিবাদ তৈরি করতে পারে। এই শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন।
      জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের নেতৃত্বে ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন দলটির সিনিয়র সভাপতি তানিয়া রব, এডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, এডভোকেট কে এম জাবির, মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী এবং ডা. হেলালুজ্জামান আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
    উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লিখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলো ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত ৩৫টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে কমিশন মতামত পেয়েছে।
#

পবন/রানা/ফেরদৌস/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৫/১৯১০ঘণ্টা

 

                                                                              

                                                                                         

 

                                                                                                         সংশোধিত

টিভি স্ক্রল                                                                                              নম্বর: ৫৭

 

টেলিভিশন চ্যানেলে স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য

সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়া

ঢাকা, ১৪ বৈশাখ ( ২৭ এপ্রিল):

 

          সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেলসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিম্নোক্ত বার্তাটি স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য অনুরোধ করা হলো :     

মূলবার্তা:  

‘‘দ্বন্দ্বে কোনো আনন্দ নাই, আপস করো ভাই, লিগ্যাগ এইড আছে পাশে, কোনো চিন্তা নাই -প্রতিপাদ্যে দেশব্যাপী ২৮ এপ্রিল ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৫’ উদ্‌যাপিত হবে। সরকারি আইনগত সহায়তা পেতে অফিস সময়ের মধ্যে লিগ্যাল এইড হেল্পলাইন ১৬৪৩০ নম্বরে (টোল ফ্রি) যোগাযোগ করুন -জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা।’’      

 

ধন্যবাদসহ

 

(মোঃ রুবেল রানা)

সিনিয়র তথ্য অফিসার

           ও

 ডিউটি অফিসার

সংবাদকক্ষ, বিকালের পালা

ফোন: ৯৫৪০০১৯, ৯৫১২২৪৬

 

প্রধান প্রতিবেদক/প্রধান বার্তা সম্পাদক/সংবাদদাতা

ইলেকট্রনিক মিডিয়া/সংবাদসংস্থা

তথ্যবিবরণী                                                                          নম্বর: ৩৩৭৬

রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের তালিকা প্রকাশ করা হবে

ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল):

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৬ জানুয়ারি ২০০৯ থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪
পর্যন্ত দায়েরকৃত রাজনৈতিকভাবে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের জন্য মন্ত্রণালয় পর্যায়ে গঠিত কমিটির সুপারিশকৃত মামলাসমূহের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে।

সচিবালয়ে আজ রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে গঠিত কমিটির ১২তম সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।  

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ১২তম সভায় আরো ৫১৭টি মামলা প্রত্যাহার করার সুপারিশ করা হয়। এ নিয়ে গত চারমাসে মোট ৮ হাজার ৮৩২টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে এই কমিটি। সভায় জানানো হয়, এসব মামলার প্রতিটিতে গড়ে কমপক্ষে ৫০ জন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রায় পাঁচ লক্ষ নেতাকর্মী এসব মামলার আসামী ছিলেন।

বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর অনুবিভাগে (সলিসিটর অনুবিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গন, ঢাকা) বা solicitor.lawjusticediv.gov.bd 
ই-মেইলে সরাসরি আবেদন করেও মামলা প্রত্যাহার করা যাচ্ছে। মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্রের ‘সার্টিফাইড কপি’ সংগ্রহে সমস্যা হলে মামলা প্রত্যাহারের আবেদনের সাথে এজাহার ও অভিযোগপত্রের ‘সার্টিফাইড ফটোকপি’ও দাখিল করা যাবে বলে কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়।

#

রেজাউল/শাহিদা/মেহেদী/মিতু/রমজান/আসমা/২০২৫/১৬০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                   নম্বর: ৩৩৭৫

‘গৃহকর্মীদের সুরক্ষা ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে নীতি সংলাপ’ অনুষ্ঠিত

ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল):

ঢাকায় আজ সিরডাপ মিলনায়তনে গণস্বাক্ষরতা অভিযান আয়োজিত ‘গৃহকর্মীদের সুরক্ষা ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে নীতি সংলাপ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংলাপে মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, আমাদের দেশের  আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে গৃহকর্মীদের অধিকার সুরক্ষিত হচ্ছে না। শিক্ষায় পিছিয়ে থাকার কারণে গৃহকর্মীরা কর্মক্ষেত্রে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হন।

উপদেষ্টা বলেন, গৃহশ্রমিক কল্যাণ নীতি ২০১৫ বাস্তবায়ন না হওয়ায় গৃহশ্রমিকেরা ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তিনি বলেন, প্রান্তিক পর্যায় থেকে গৃহশ্রমিকদের কল্যাণ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর পাশাপাশি নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোকে কাজ করতে হবে। গৃহকর্মীদের সুরক্ষা ও জীবনমান উন্নয়নে নীতি সংলাপের আয়োজনে অক্সফাম ইন বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং এই মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা সংলাপের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

শারমীন এস মুরশিদ আরো বলেন, বিবিএস জরিপ ২০২২ অনুযায়ী বাংলাদেশে গৃহকর্মীর সংখ্যা প্রায় ২৫ লক্ষ। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ নারী যার ৮০ শতাংশই শিশু এবং তাদের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। তাই  প্রতিটি শিশুকে বাধ্যতামূলকভাবে স্কুলে পাঠাতে হবে, ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও দিতে হবে। কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ হয়ে গৃহকর্মীগণ দেশে ও বিদেশে বেশি বেতনে চাকরি করতে পারবে।

গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান ও নারীপক্ষের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরীন পারভিন হক, বিশ্বব্যাংকের পরামর্শক এবিএম খোরশেদ আলম, অক্সফাম ইন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মাহমুদা সুলতানা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী আবুল হোসাইন এবং গণস্বাক্ষরতা অভিযানের উপপরিচালক তপন কুমার দাশ উপস্থিত ছিলেন।

#

রফিকুল/শাহিদা/মেহেদী/মিতু/রমজান/সুবর্ণা/সাঈদা/শফিক/২০২৫/১৩০০ ঘন্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                    নম্বর: ৩৩৭৪

জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ফ্যাসিবাদী সরকারকে পলায়নে বাধ্য করেছে

                                                  -অধ্যাপক আলী রীয়াজ

ঢাকা, ১৪ বৈশাখ (২৭ এপ্রিল) :

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ফ্যাসিবাদী সরকারকে পলায়নে বাধ্য করেছে। এই ঐক্যের মূল চেতনাকে ধারণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এটি শুধু আমাদের অঙ্গীকার নয়, আমাদের দায়। তিনি বলেন, গত ৫৩ বছর ধরে যারা একটি গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিতামূলক এবং সকলের অংশগ্রহণমূলক রাষ্ট্র বিনির্মাণে সংগ্রাম করেছেন তাদের কাছে আমাদের এই দায় রয়েছে।

 আজ ঢাকায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে গণসংহতি আন্দোলনের আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন। এ সময় কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সংস্কার কমিশনগুলোর পক্ষ থেকে যে সমস্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে সেগুলো প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের পুঞ্জীভূত সংকট মোকাবিলার একটা প্রয়াস ৷ তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের বাস্তবায়নই নয়, আমাদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাঠামো তৈরি করতে হবে। সেজন্য গণতান্ত্রিক চর্চা এবং গণতান্ত্রিক শক্তিগুলিকে একত্রিত করা দরকার।

আলোচনায় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী'র নেতৃত্বে ১০ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলে দলটির নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেলসহ দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু, হাসান মারুফ রুমি, মনির উদ্দিন পাপ্পু, বাচ্চু ভুইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, ইমরাদ জুলকারনাইন, তরিকুল সুজন, মুরাদ মোর্শেদ এবং দীপক রায় উপস্থিত ছিলেন।

প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামতের জন্য সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। ইতোমধ্যে সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ৩৫টি দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে। গণসংহতি আন্দোলনসহ এ পর্যন্ত ১৮টি রাজনৈতিক দল কমিশনের সাথে আলোচনায় অংশ নিয়েছে।

#

পবন/শাহিদা/মেহেদী/মিতু/রমজান/সুবর্ণা/সাঈদা/শফিক/২০২৫/১৩০০ ঘন্টা

তথ্যবিবরণী                                                           <

2025-04-27-15-58-1677ececbfffd8dd1e7b516eac72e313.docx