Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২২nd নভেম্বর ২০২৩

তথ্যবিবরণী ২২ নভেম্বর ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ১৭৫৪

দেশের মানুষ এখন নির্বাচনমুখী

          --- এনামুল হক শামীম

শরীয়তপুর, ৭ অগ্রহায়ণ (২২ নভেম্বর) :

          পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, দেশের মানুষ এখন নির্বাচনমুখী। সারা  দেশে নির্বাচনকে ঘিরে বাংলার যে চিরাচরিত আমেজ, উৎসব, সেই আমেজ আবার ফিরে এসেছে। এটা গণমানুষের প্রতীক্ষা আর পছন্দের ভোট উৎসব। এই ভোটে মানুষের স্বাধীন ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে এটাই সারা দেশের মানুষ আশা করে। মানুষ আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। ভোটের আগে তাদের চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে কেউ বাকি নেই। সুতরাং বিএনপি সহ নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া দলগুলোর উচিত এই উৎসবে শামিল হওয়া। তাতে তাদের জনপ্রিয়তাও যাচাই হয়ে যাবে।

          আজ শরীয়তপুরের সখিপুরে বিভিন্ন উন্নয়নম্লূক কর্মকাণ্ড পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          উপমন্ত্রী বিএনপি'র উদ্দেশ্যে বলেন, জনগণ এখন সচেতন, তাই বোমা মেরে ভয় দেখিয়ে তাদের সমর্থন আদায় করা যাবে না। তাই আসুন দেশের সংবিধান সমুন্নত রেখে দেশকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। কারণ, এদেশে ক্ষমতার পরিবর্তন করতে পারে একমাত্র জনগণ। জনগণ যাকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। তারাই সরকার গঠন করবে। দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় বিএনপিকে জনগণ পরিত্যাগ করেছে। তাই সময় থাকতে বিএনপির উচিত বিদেশনির্ভরতা ত্যাগ করে জনগণের ওপর আস্থা রেখে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা।

          এনামুল হক শামীম বলেন, নির্বাচনের জন্য সবাই প্রস্তুত। একে একে অনেক রাজনৈতিক দলই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হচ্ছে। সুতরাং বিএনপির উচিত জনসমর্থনহীন কর্মসূচি পরিহার করে জনগণের কাছে যাওয়া। বিদেশীদের কাছে ধরনা দিয়ে লাভ নেই।

          পরে উপমন্ত্রী তাঁর চাচা শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কার্যকরী সদস্য ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন পাইকের ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চরভাগা পাইক বাড়ি জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়ায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া মরহুমের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, কবর জিয়ারত, দোয়া ও মোনাজাত করেন তিনি।

          এসময় উপমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব, ভেদরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির মোল্যা, ইউএনও আবদুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকার সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

#

গিয়াস/পাশা/সায়েম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৯৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : ১৭৫৩

 

শিশুশ্রম নিরসনে কাজ করছে সরকার

                          -- শ্রমসচিব

ঢাকা, ৭ অগ্রহায়ণ (২২ নভেম্বর) :

 

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন (৪র্থ পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আয়োজনে ‘শিশুশ্রম নিরসনে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও অভিজ্ঞতা বিনিময়’ বিষয়ক সেমিনার আজ ঢাকায় বিয়াম ফাউন্ডেশনে অনুষ্ঠিত হয়। শ্রমসচিব মোঃ এহছানে এলাহী সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন।

 

সভাপতির বক্তৃতায় শ্রমসচিব বলেন, বাংলাদেশের একটি অন্যতম সামাজিক সমস্যা হচ্ছে শিশুশ্রম। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কর্মতৎপরতার পরেও আমাদের দেশে এখনো অনেক শিশু বেঁচে থাকার তাগিদে এ শ্রমে নিযুক্ত হয়। দেশের সরকার ও সরকার প্রধান শিশুশ্রম নিরসনের ব্যাপারে খুবই ইতিবাচক। এ জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নে সকল প্রচেষ্টা  অব্যাহত রেখেছে। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সব খাতে শিশুশ্রম নিরসনে সরকার অবশ্যই সফল হবে। জাতীয় কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী শিশুশ্রম নিরসনে সফল হতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, দপ্তর, অধিদপ্তর, এনজিওসহ অন্যান্য সংস্থাসমূহ আন্তরিকতার সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব  পালন করার কারণে চতুর্থ পর্যায় প্রকল্পের সফল সমাপ্তি হতে চলছে। যেসব এনজিও’র সততা, আন্তরিকতা, অভিজ্ঞতা ও ট্রেক রেকর্ড পরীক্ষিত তাদেরকে ব্যাপকভাবে শিশুশ্রম নিরসনের  কাজে সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি পুরস্কৃত করা হবে। এজন্য পঞ্চম ধাপে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার নতুন একটি প্রকল্প পরিকল্পনার পর্যায়ে রয়েছে।চলমান ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ের অগ্রগতি তুলে ধরে সচিব বলেন, সকল খাতের শিশুশ্রম নিরসনে আগামীতে এই প্রকল্পের আওতা বাড়ানো হবে। ২০২৫ সালের আগেই সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিশুশ্রম মুক্ত বাংলাদেশ গঠন করা হবে। সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী প্রজন্মের জন্য শিশুশ্রমমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চায়।

 

সেমিনারে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত শিশুশ্রমিকদের ডাটাবেইজ তৈরি করে তাদের প্রশিক্ষণ ও তাদের ওপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় নিয়ে আসার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। পাশাপাশি বিদ্যমান আইনের প্রয়োগ করে শিশুশ্রম নিরুৎসাহিত করার আহ্বান জানানো হয়। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা কমছে এবং এ পর্যন্ত ৮টি সেক্টরকে শিশুশ্রম মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে বলে সেমিনারে জানানো হয়।

 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক মোঃ মনোয়ার হোসেন। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ তৌফিকুল আরিফ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী, বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

#

 

ফেরদৌস/পাশা/সায়েম/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/১৮১০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ১৭৫২

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সাথে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

ঢাকা, ৭ অগ্রহায়ণ (২২ নভেম্বর) :

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সাথে আজ সচিবালয়ে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিরু হারতানতু সুবুল (Heru Hartantu Subolo) সাক্ষাৎ করেন। এ সময় পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

 

প্রতিমন্ত্রী ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ভ্রাতৃপ্রতিম এই দেশ বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। আমাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা করার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। অভিজ্ঞতা বা সম্পদ বিনিময় করে উভয় দেশ আরো লাভবান হতে পারে। গ্যাস খাতে উন্নয়নে আমরা একযোগে কাজ করতে পারি। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ হয়েছে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বর্তমান অবস্থা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।

 

রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশে সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। প্রাথমিকভাবে ১০০ মেগাওয়াট হলেও পর্যায়ক্রমে তা ৫০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত করা যেতে পারে। এ সময় সঞ্চালন, সাব- স্টেশন, অবসুর উইন্ড, অনসুর উইন্ড, স্টোরেজ সিস্টেম ইত্যাদি খাতে বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

 

এ সময় অন্যান্যের মাঝে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পারতামিনার হেড অভ্ প্রজেক্ট ডেভেলপমেন্ট জুহান কে. নভরিয়ান (Johan K. Novrian) উপস্থিত ছিলেন।

#

আসলাম/পাশা/সায়েম/রফিকুল/রেজাউল/২০২৩/১৮১৫ ঘণ্টা

 

Handout                                                                                                                     Number : 1751

Bangladesh’s flagship Resolution on Natural

Plant Fibres adopted unanimously at the UN

 Dhaka, 22 November 2023 : 

            In a groundbreaking development, on Tuesday, November 21st the Second Committee of the United Nations General Assembly unanimously adopted Bangladesh’s one of the flagship Resolutions titled ‘Natural Plant Fibres and Sustainable Development.’ This resounding support is a testament to the international community's recognition of Bangladesh's unwavering commitment to environmental protection and sustainable development through the thoughtful and sustainable use of natural fibres like jute, cotton, and sisal.

            The resolution urges member states, to champion sustainable production, consumption, and use of natural plant fibres for sustainable development. It emphasizes political support, resource mobilization, capacity-building, and effective management to drive momentum for the sustainable production, consumption and use of natural plant fibres at the global, regional, national, and local levels. The resolution also recognizes natural fibres as a commendable alternative to synthetic and plastic-based products, highlighting that the production, consumption, and use of natural fibres can contribute to achieving the 2030 Agenda.

            While introducing the resolution on Tuesday, the representative of Bangladesh Mission to the United Nations in New York expressed gratitude to all delegations for their active engagement, flexibility, and contribution to strengthening the resolution and achieving consensus.

            In his statement, the representative stated that the government of Bangladesh, under the capable and visionary leadership of Hon’ble Prime Minister Sheikh Hasina, takes the resolution very seriously. Underscoring the complementary role of natural plant fibres in mitigating climate change and preserving biodiversity, the Bangladesh representative called for international cooperation to ensure the full implementation of the resolution.

            It is noteworthy that Bangladesh first tabled this resolution in 2019 at the 74th United Nations General Assembly and since then this resolution has been adopted by UN members bi-annually.

#

Masum Billah/Pasha/Sayeam/Rafiq/Joynul/2023/1730 hour

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ১৭৫০

রেজিস্ট্রিকৃত বণ্টননামা দলিল করে নামজারি করে রাখলে মামলা মোকদ্দমা অনেক কমে আসবে

                                                                                                                               --- ভূমিমন্ত্রী

ঢাকা, ৭ অগ্রহায়ণ (২২ নভেম্বর) :

          ওয়ারিশ সম্পদ তথা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত পারিবারিক সম্পদ সবাই বণ্টননামা দলিলের মাধ্যমে নিবন্ধন করে নামজারি করে নিলে দেশে ভূমি বিষয়ক মামলা মোকদ্দমা অনেক কমে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

          আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপি’র মাসিক (অক্টোবর’২৩ পর্যন্ত) পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এই কথা বলেন। সভায় ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুস সবুর মন্ডল-সহ ভূমি মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাভুক্ত দপ্তর ও সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

          সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশে ভাই-ভাই কিংবা ভাই-বোন-সহ বেশিরভাগ পারিবারিক মধ্যে বিরোধের অন্যতম কারণ রেজিস্ট্রিকৃত বণ্টননামা দলিল ছাড়া মৌখিকভাবে কিংবা সাধারণ কাগজে লিখে আপসে সম্পত্তি বণ্টন বা ভাগ করা। পরবর্তীতে সম্পদের মূল্যবৃদ্ধি কিংবা নানা স্বার্থসংশ্লিষ্ট কারণে পারিবারিক আপস ভেঙে যায়। জন্ম নেয় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বিরোধ। রেজিস্ট্রিকৃত বণ্টননামার ব্যাপারে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন ভূমিমন্ত্রী। এছাড়া পারিবারিক সম্পদ বণ্টনে বোনের অধিকার রক্ষার বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখার ব্যাপারেও ভূমিমন্ত্রী গুরত্বারোপ করেন।

          প্রসঙ্গত, একাধিক ওয়ারিশ বা একাধিক ক্রেতার যার যার প্রাপ্য অংশ অনুযায়ী জমি নিজ নিজ নামে আলাদা ভাবে সুনির্দিষ্ট করে দলিলে উল্লেখ করে লিখিত দলিল সম্পাদন করলে তাকে বণ্টননামা তথা বাটোয়ারা দলিল বলে। বণ্টননামা বা বাটোয়ারা দলিল রেজিস্ট্রি করে নিয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবে নামজারি করতে হয়। বাটোয়ারা দলিল ওয়ারিশান সম্পত্তি বণ্টনের মৌলিক প্রমাণক। বণ্টননামা দলিলের পর ওয়ারিশান সম্পত্তির নামজারি করাও গুরুত্বপূর্ণ। রেজিস্ট্রিকৃত বণ্টননামা দলিল করে নামজারি করা না থাকলেও ঝামেলায় পড়তে হতে পারে।

          এছাড়া সভায় জানানো হয়, ২০২৫ সালের পর ভূমি সেবা ডিজিটাইজেশন সংক্রান্ত সকল সেবাকার্যক্রমকে প্রকল্প মেয়াদান্তে বুঝে নেওয়া এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে মনিটরিং এবং রক্ষণাবেক্ষণ করার উদ্দেশ্যে Automated Land Administration & Management System (ALAMS) কার্যক্রম গ্রহণ করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে এই কার্যক্রমের অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। এই কার্যক্রম অর্থ মন্ত্রণালয়ের ‘সমন্বিত বাজেট ও হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি’ আইবাস (Integrated Budget Accounting System-IBAS) এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের “সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা” জেমস (Government Employee Management System - GEMS) কার্যক্রমের অনুরূপ।

          অ্যালামস কার্যক্রম পুরোদমে চালু হলে অধিকতর দক্ষতার সাথে ভূমি ব্যবস্থাপনায় তথ্য/উপাত্তভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করা, ডিজিটাল সার্ভিস বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ডিজিটাল পদ্ধতি, আইন, বিধি, নীতি ও ম্যানুয়াল হালনাগাদ করে সময়পোযোগী করা, ডিজিটাল ভূমিসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা এবং স্মার্ট ভূমিসেবা সম্পর্কে নাগরিকের জিজ্ঞাসার উপযুক্ত সমাধান প্রদান করা সম্ভব হবে।

#

নাহিয়ান/পাশা/সায়েম/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/১৭৫৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর : ১৭৪৯

গাড়ি পোড়ালে অর্থ ও দলে প্রমোশন, বিএনপির এ কেমন রাজনীতি - প্রশ্ন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর

ঢাকা, ৭ অগ্রহায়ণ (২২ নভেম্বর) :

          তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও আওয়ামী  লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘বিএনপির এটি কি জঘন্য ন্যাক্কারজনক ঘৃণ্য রাজনীতি যে, গাড়িতে বা কোনো যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিলে ১০ হাজার টাকা “পেমেন্ট” দেওয়া হয়, আবার সেটা নিশ্চিত করার জন্য ভিডিও ধারণ করে লন্ডনে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে এবং এখানের ঊর্ধ্বতন নেতাদের কাছে পাঠাতে হয়। এটি কি কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ! জঙ্গি, সন্ত্রাসী সংগঠনও তো এ রকম কাজ করে না।’

          আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) প্রকাশিত সাংবাদিক স্বপন কুমার কুণ্ডু রচিত ‘সাংবাদিকতার অ আ ক খ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, কর্মকর্তাবৃন্দ এবং গ্রন্থকার মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন। মন্ত্রী গ্রন্থটির লেখক ও প্রকাশককে ধন্যবাদ জানান এবং সাংবাদিক ও আগ্রহীদের জন্য বইটিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিহিত করেন।

          সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘তাদেরকে (বিএনপি) এ দেশে রাজনৈতিক দল বলা হয় এবং তাদের সাথে আলোচনার কথাও কেউ কেউ বলে, এখন অবশ্য বলে না। তবে এই অপরাজনীতি যারা করে তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিত নয়। অগ্নিসন্ত্রাসী যাদেরকে ধরা হয়েছে এবং যারা এই জবানবন্দি দিয়েছে প্রত্যেকেই বিএনপির নেতা, একজন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতিও আছেন সেখানে। অর্থাৎ এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট জবানবন্দিগুলো থেকে যে কারা এগুলো করছে। রিজভী সাহেব অন্তরালে বসে তাদের দলের পক্ষ থেকে এ নির্দেশগুলো দিচ্ছেন।’

          সরকার বিএনপি থেকে বেরিয়ে এসে নির্বাচন করার জন্য কোনো নেতাদের চাপ দিচ্ছে কি না -এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চাপ সৃষ্টি করলে তো বিএনপির আরো অনেক নেতা চলে আসতো। আমরা কাউকে চাপ দিচ্ছি না। বিএনপির অপরাজনীতির সাথে তারা দ্বিমত পোষণ করে, তারা এই ধ্বংসাত্মক রাজনীতি সহযাত্রী হতে চায় না বিধায় বা এই জ্বালাও-পোড়াও বদনামটা তাদের ঘাড়ে যাতে না পড়ে সে জন্য এবং দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্যই বেরিয়ে এসে নতুন জোট করে নির্বাচন করার ঘোষণা দিচ্ছে বলে আমি মনে করি।’

‘কেউ কেউ দেশে বৃষ্টি হলে বিদেশে ছাতা ধরে’

          সাংবাদিকরা এ সময় ‘পোশাক শ্রমিক কল্পনা আখতার হুমকি বোধ করে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে জানিয়েছেন’ এ বিষয়ে বক্তব্য চাইলে হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘কেউ যদি নিরাপত্তাহীনতাবোধ করেন, তিনি প্রথমত পুলিশের দ্বারস্থ হন, অন্তত একটা জিডি করে। কল্পনা আক্তার কোনো জায়গায় জিডি করেছেন বা তিনি নিরাপত্তাহীনতাবোধ করছেন সেটিও মৌখিকভাবে কাউকে বলেছেন বলে আমাদের জানা নেই। এখন কেউ যদি বাংলাদেশে বৃষ্টি হলে ওয়াশিংটনে ছাতা ধরে তাহলে সে নিয়ে আমার বলার কিছু নাই।’

          মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে কিছু মানুষ আছে, দেশে বৃষ্টি হলে হয় মস্কোতে ছাতা ধরে, না হয় ওয়াশিংটনে ছাতা ধরে, আবার কেউ কেউ পিকিংও যায় ছাতা ধরতে। এখন বিষয়টা সে রকম কি না আমি জানি না। তবে এ নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন যে, এটি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে, প্রয়োজনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাছে জানতে চাইবে।’

 

          ‘সরকারের কাছে যদি তিনি রিপোর্ট করেন অবশ্যই সরকার তাকে সর্বোত সহায়তা করবে, নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য যা যা করা প্রয়োজন সেটি করবে’ উল্লেখ করে হাছান বলেন, ‘নিয়মটা হচ্ছে, যিনি বাংলাদেশের নাগরিক, বাংলাদেশে বসবাস করেন, তিনি যদি নিরাপত্তাহীনতাবোধ করেন তাহলে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা নিরাপত্তা বাহিনীকেই বলতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতও যখন নিরাপত্তাহীনতাবোধ করেছেন তখন আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন, পুলিশকে বলেছেন।’ 

‘গাড়ি পোড়ানো-হামলার পরেও সিপিডি, টিআইবি, অ্যামনেস্টি চুপ’

          ‘দেশে বিএনপি-জামায়াতের অবরোধে শতাধিক গাড়ি পোড়ানো-হামলার পরও সিপিডি, টিআইবি, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল চুপ কেন’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ এখন সিপিডি, টিআইবি, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতি খুঁজছে, তারা কোথায়। দেশে এতো কিছু ঘটে যাচ্ছে আগুনসন্ত্রাস হচ্ছে, মানুষ মারা যাচ্ছে, স্কুলে আগুন দিচ্ছে, তখন উনারা কোথায়, তারা এখন নিশ্চুপ কেন!

          তিনি বলেন, ‘ঢাকায় গুলশানের উপনির্বাচনে একজনকে কেউ তাড়া করলো সেটি নিয়ে তারা যেভাবে বিবৃতি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লো আর এখন সারাদেশের মানুষকে যে জিম্মি করার চেষ্টা করা হচ্ছে, প্রতিদিন গাড়ি-ঘোড়া পোড়াচ্ছে, জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারলো এরপরও উনাদের খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি শংকিত তারা কোনো অসুস্থ কি না বা মানসিকভাবে তাদের কোনো সমস্যা হয়েছে কি না, এটি অনেকে প্রশ্ন রেখেছে। তারা এতো জ্ঞানী এবং দেশ সম্পর্কে এতো সচেতন যে, কেউ কাউকে ঘুষি মারলেও বিবৃতি দিতে চায় বা দেয়, তারা এখন কোথায়, এটি জনগণের প্রশ্ন।’

          হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘ফিলিস্তিনের গাজায় যেভাবে হত্যাযজ্ঞ চলছে, বাংলাদেশে এতো কিছু ঘটছে ২০১৩, ১৪, ১৫ সালেও জ্বালাও-পোড়াও হয়েছে অথচ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তখনও কিছু বলে নাই, এখনো নিশ্চুপ। যারা এ ধরনের একপেশে আচরণ করে তাদের বিবৃতি আপনারা ছাপান আর টেলিভিশনেও কেন এগুলো দেখায় সেটিই আমার প্রশ্ন।’

#

আকরাম/পাশা/সায়েম/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/১৮১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ১৭৪৮

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ৭ অগ্রহায়ণ (২২ নভেম্বর) :

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৯২ শতাংশ। এ সময় ৬৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।   

           গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৭ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৭৩৭ জন।

#

সুলতানা/পাশা/সায়েম/রফিকুল/রেজাউল/২০২৩/১৭১৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ১৭৪৭

 দেশের খাদ্য সংকট দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত

                                                                --- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা, ৭ অগ্রহায়ণ (২২ নভেম্বর) :

            মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, দেশের খাদ্য সংকট দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত। খাদ্য ও প্রাণিজ আমিষের যোগান আসে এ খাত থেকে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও ভূমিকা রাখছে এ খাত। বিশ্বের ৫২টি দেশে বাংলাদেশের মাছ রপ্তানি হয়। বাংলাদেশ থেকে মাংস রপ্তানিরও অনেক সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ বিদেশে বাংলাদেশের মাংসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এজন্য রোগ মুক্ত গবাদিপশুর অঞ্চল তৈরি করে মাংস রপ্তানির প্রক্রিয়ায় শুরু করা হয়েছে। এ উন্নয়নের একটি বড় অংশীদার গণমাধ্যমকর্মীরা। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত বিকশিত হওয়ার অনেক পথ ও পন্থা দেখিয়েছে গণমাধ্যম।

            আজ সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরাম (এফএলজেএফ) প্রকাশিত ‘এফএলজেএফ ভয়েস’-এর প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

            মন্ত্রী বলেন, বিগত ১৫ বছরে দেশে মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৮২ শতাংশ। এটি বিস্ময়কর। এক সময় বলা হতো মাছের আকাল, মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ যেগুলো একসময় বিলুপ্তপ্রায় হয়ে গিয়েছিল সেগুলো এখন সবখানে পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, জনসাধারণের জন্য নিরাপদ খাদ্য সরবরাহের লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এ মন্ত্রণালয়ের আওতায় আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাবরেটরি করা হয়েছে। ফলে দেশের মানুষের খাবারের জন্য মাছ সুস্বাদু ও নিরাপদ হবে এবং বিদেশে রপ্তানির মাছও নিরাপদ হবে।

             রেজাউল করিম বলেন, সুনীল অর্থনীতির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সামুদ্রিক মাছের টেকসই আহরণ ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০২০ ও সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ নীতিমালা, ২০২২ প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের সমুদ্রসীমায় মৎস্য নৌযান মনিটরিং, কন্ট্রোল ও সার্ভিল্যান্স জোরদারকরণে ভেসেল মনিটরিং সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জয়েন্ট মনিটরিং সেন্টার। এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৫০০টি আর্টিসনাল মৎস্য নৌযান ও ৫টি বাণিজ্যিক মৎস্য নৌযান প্রযুক্তিভিত্তিক ভেসেল মনিটরিং সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছে। সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে ‘গভীর সমুদ্রে টুনা ও সমজাতীয় পেলাজিক মাছ আহরণে পাইলট প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

            মন্ত্রী বলেন, দুধ উৎপাদনের পরিমাণ পূর্বের তুলনায় অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত ১৫ বছরে দুধ, মাংস ও ডিমের উৎপাদন যথাক্রমে প্রায় ৫ গুণ, ৭ গুণ এবং ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিদের প্রশিক্ষণ প্রদান, উপকরণ সহায়তা ও সহজ শর্তে সরকার ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃত্রিম প্রজনন সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। প্রাণিচিকিৎসা খামারির দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে দেশের ৬১ টি জেলার ৩৬০টি উপজেলায় মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে।

            রেজাউল করিম আরো বলেন, দেশে চিড়িয়িাখানা পরিচালনার জন্য কোনো আইন ছিল না। সম্প্রতি চিড়িয়াখানা আইন সংসদে পাশ হওয়ায় দেশের চিড়িয়াখানার আইনগত ভিত্তি তৈরি হয়েছে। দেশে ডেইরি খাতের জন্য ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড ছিল না। এ বিষয়টি মাথায় রেখে সম্প্রতি ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড গঠনের উদ্দেশ্যে সরকার আইন প্রণয়ন করেছে।

            মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল ও মো. আব্দুল কাইয়ূম, যুগ্মসচিব ও মন্ত্রীর একান্ত সচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোঃ এমদাদুল হক তালুকদার, ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি এম এ জলিল মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম সুমনসহ ফোরামের অন্যান্য সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

#

ইফতেখার/পাশা/সায়েম/রফিকুল/জয়নুল/২০২৩/১৮০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ১৭৪৬

রাষ্ট্রপতির সাথে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের সাক্ষাৎ

ঢাকা, ৭ অগ্রহায়ণ (২২ নভেম্বর) :

ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স ২০২৩ এ অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাগণ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সাথে সাক্ষাৎ করেন।

বন্ধুপ্রতিম ১৭ টি দেশের ২৯ জন সামরিক কর্মকর্তাসহ দেশের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ প্রশিক্ষণে অংশ নেন।

প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়ন, অগ্রগতি ও শান্তিতে বিশ্বাসী। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক এবং তথ্য প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান অগ্রগতির ফলে বর্তমান বিশ্ব অনেক জটিল এবং পরস্পর সংযুক্ত। পরিবর্তনশীল এই বিশ্বে জাতীয় উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের একসাথে কাজ করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি প্রশিক্ষণার্থীদেরকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার অংশ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আপনাদেরকে সুশাসন নিশ্চিতে কাজ করতে হবে। আইনের শাসন ও মানবাধিকার হবে আপনাদের কার্যপরিচালনার পথনির্দেশক। পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদানে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ভূমিকার প্রশংসা করে রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীগণ তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। 

অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডেন্ট এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ কামরুল ইসলাম ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। 

পরে, রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন।

#

রাহাত/জামান/ফাতেমা/সিদ্দিক/রবি/সাজ্জাদ/কামাল/২০২৩/১৪১৪ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ১৭৪৫

জাতিসংঘে বাংলাদেশের  প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তু ও টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক রেজুলেশন গৃহীত

নিউইয়র্ক, ২২ নভেম্বর :

জাতিসংঘে গতকাল বাংলাদেশের অন্যতম ফ্ল্যাগশিপ রেজুলেশন ‘প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তু ও টেকসই উন্নয়ন’ সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এটি পাট, তুলা এবং সিসালের মতো প্রাকৃতিক তন্তুর সুচিন্তিত ও টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জোরালো সমর্থনের স্বীকৃতি বহন করে।

অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে রেজুলেশনটি জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর টেকসই উৎপাদন ও ব্যবহারের জোরালো আহ্বান জানায়। বিশেষ করে এটি জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ তন্তুর টেকসই উৎপাদন ও ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে রাজনৈতিক সমর্থন জোগাতে এবং এ বিষয়ে তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় সম্পদ আহরণে উৎসাহিত করে। বিশ্বের প্রাচীনতম শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে রেজুলেশনটি  প্রাকৃতিক তন্তুকে কৃত্রিম ও প্লাস্টিকভিত্তিক পণ্যগুলোর একটি উত্তম বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানায়। সর্বোপরি, এ র

2023-11-22-14-06-95158d557c915dbec3d3298e9507d9b6.docx