Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৩৬৫১

 

প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার সম্পর্কে জানলে জেন্ডার বৈষম্য কমে যাবে

                                                                  -- শিক্ষামন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৩ ভাদ্র (৭ সেপ্টেম্বর) :

 

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের  জন্য অন্যতম বড় বিষয় হচ্ছে যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার সম্পর্কে জানা। যখনই যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনভাবে মানুষ জানবে তখনই একে অপরের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবে না। পারস্পরিক সৌহার্দ্যের মাধ্যমে শ্রদ্ধাবোধের মাধ্যমে একসঙ্গে মিলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। তাহলে জেন্ডার বৈষম্য কমে যাবে এবং  সুস্থ ও উন্নত সমাজ গঠন করা সম্ভব হবে।

 

মন্ত্রী আজ ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জেনারেশন ব্রেক থ্রু  প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) নিয়ে জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সঠিক তথ্য সঠিকভাবে কিশোর-কিশোরীদের কাছে যদি পৌঁছানো যায় তাহলে অনেক সমস্যা থেকে তাদের দূরে রাখা যায়। রবি ঠাকুর বলে গিয়েছেন, বিশেষত তের-চৌদ্দ বছরের মতো বালাই আর নেই। এই সময়টায় কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক, মানসিক পরিবর্তন আসে। অথচ এই পরিবর্তনগুলো জানা নেই। বাবা-মায়েরা বলতো না, বয়ঃসন্ধিকালীন চেপ্টার শিক্ষকরা পড়াতেন না, বলতেন পড়ে নিও।

 

মন্ত্রী বলেন, এই বয়সে একটা রূপান্তর ঘটে।  নানা রকম বোধ হতে থাকে কখনও খারাপ লাগে কখনও ভালো লাগে। এই সময়টি নিয়ে মানুষ এখনও সচেতন না।  সময়টা অনুসন্ধিৎসু সময়। কিন্তু তথ্য পাচ্ছে না। তখন নিজেদের মধ্যে অনেক রকম ভুল-ভ্রান্তি এসে জমা হয়। শারীরকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, মানসিকভাবে তো বটেই।  কিশোর-কিশোরীরা জীবনের ভুলভ্রান্তিগুলো পরবর্তী জীবনেও নিয়ে যায়।  যার ফলে  জেন্ডার বৈষম্যের সৃষ্টি হয়, নানা নির্যাতনের  ঘটনাও ঘটে। আমরা অনেক সময় মনে করি যৌন নির্যাতন শুধু নারীর ওপরই ঘটে তা শুধু নয় পুরুষের ওপরও ঘটে। বিশেষ করে কিশোরদের ওপর নির্যাতন ঘটে। যদি না জানা থাকে তাহলেই কেবল কিশোর- কিশোরীর নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। কারণ সে জানে না সে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে কি না? নির্যাতন কি না সেটা যেমন সে জানে না, নির্যাতনের শিকার হলে কী করতে হবে তাও সে জানে না।

 

দীপু মনি বলেন, জেনারেশন ব্রেক থ্রু প্রজেক্টে যুক্ত ছিলো শুধু তারাই এই শিক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তারা জেনে অন্যদের শেয়ার করছে। অন্যদেরও জানাতে পারছে তাদের দক্ষতাগুলো। মাদ্রাসাগুলোতেও যদি আমরা তথ্যগুলো সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে পারি তাহলে তারাও এ বিষয়গুলো ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারে।

 

#

 

খায়ের/সঞ্জীব/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২১২৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৩৬৫০

 

শেখ হাসিনার বিকল্প একমাত্র শেখ হাসিনা

                                -- পরিবেশমন্ত্রী

 

চট্টগ্রাম, ২৩ ভাদ্র (৭ সেপ্টেম্বর) :

 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প একমাত্র শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা থাকলে বাংলাদেশের সব ঠিক থাকবে, উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে। শেখ হাসিনা থাকলে সব বাধা অতিক্রম করে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।

 

আজ বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের কালুরঘাট কমপ্লেক্সের প্রধান ফটক নির্মাণ ও নিরাপত্তা শাখার বর্ধিতকরণসহ উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন কালুরঘাট কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বনশিল্পের মতো রাবার প্রকল্পকেও লাভজনক করতে হবে। সরকারের সকল দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। সরকারের সকল প্রকল্প কর্মসূচি সফল করতে হবে। সকলে মিলে কাজ করেই আমাদের দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করতে হবে।

 

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম। চট্টগ্রাম জোন রাবার বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মোঃ ফারুক হোসেন মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন।

 

এর পূর্বে মন্ত্রী চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে বাংলাদেশ রাবার বোর্ড এর আয়োজনে ১ম প্রাকৃতিক রাবার ও রাবারভিত্তিক শিল্পপণ্য মেলা, ২০২২ এর উদ্বোধন করেন।

 

#

 

দীপংকর/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/আরাফাত/সেলিম/২০২২/১৯৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৩৬৪৯

বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠিত

ঢাকা, ২৩ ভাদ্র (৭ সেপ্টেম্বর) :

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসানকে সভাপতি ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজলকে মহাসচিব করে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের ৪৩ সদস্যের নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠিত হয়েছে।

            পরিষদের অন্য সদস্যদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সাবেক কৃষি সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম, সহসভাপতি তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ মকবুল হোসেন, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের এমডি মজিবুর রহমান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইদুর রহমান, যুগ্মমহাসচিব বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মনজ কুমার হাওলাদার, হর্টেক্স ফাউন্ডেশনের এসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার মিটুল কুমার সাহা, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাহ্‌ জহির রায়হান, কোষাধ্যক্ষ জনতা ব্যাংকের জিএম মোঃ আবুল মুনসুর।

এছাড়া, পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সাংগঠনিক সম্পাদক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর দেবাশিষ রায়, দপ্তর সম্পাদক শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক
ড. রিপন কুমার মন্ডল, সহদপ্তর সম্পাদক শিক্ষিকা মৌমিতা আসাদ, প্রচার সম্পাদক বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সহকারী পরিচালক কামরুল হাসান (তুহিন), সাংস্কৃতিক সম্পাদক নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মেহেজাবিন টুম্পা, আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের  ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আফরোজা চৌধুরী,  গবেষণা সম্পাদক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মনজুর রহমান, প্রকাশনা সম্পাদক জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আফরোজা রহমান, সহ প্রকাশনা সম্পাদক ফ্রেশ ফুডস বিডি এর সিইও ফাইজুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের এসএসও রাশেদুল হক রাজু এবং তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সালাহ উদ্দিন পলাশ।

সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আলিম মাহমুদ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের মোশাররফ হোসেন, জনতা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক জিএম মোঃ আব্দুল আওয়াল, জনতা ব্যাংক লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (পিআরএল) সামিউল হক টুটুল, উদ্যোক্তা তারিক আনাম, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও  পলিসি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জসিম উদ্দিন আহাম্মদ, বিএডিসি’র সাবেক জেনারেল ম্যানেজার ড. এইচএম মনিরুল হক নাকভী, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সাবেক অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল কাফি, স্পেক্ট্রা হেক্সা ফিডস লিমিটেডের পরিচালক ও সিইও মোঃ আহসানুজ্জামান লিন্টু, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার (অবঃ) ড. মোঃ মজিবুল হক চুন্নু, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক শুভংকর সাহা, সাবেক সচিব মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার, পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য আবুল কালাম আজাদ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুর রউফ, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ডিএমডি মোঃ জাকির হোসেন, বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আব্দুল আউয়াল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ কামরুল হাসান এবং  বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মোঃ গোলাম ফারুক।

#

ইয়াকুব/রাহাত/মোশারফ/ রফিকুল/আরাফাত/সেলিম/২০২২/১৯২০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৩৬৪৮

সারের মজুত পর্যাপ্ত

সার নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান কৃষিসচিবের

ঢাকা, ২৩ ভাদ্র (৭ সেপ্টেম্বর) :

            সার নিয়ে কৃষকদের বিভ্রান্ত না হওয়ায় আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিসচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশে পর্যাপ্ত সার মজুত রয়েছে। গুজবে কান দিয়ে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না।

            আজ সচিবালয়ে ভার্চুয়ালি ‘সার্বিক সার ও সেচ পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ সভায় কৃষিসচিব এসব কথা বলেন।

            সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) রবীন্দ্রশী বড়ুয়া, বিএডিসির চেয়ারম্যান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিসিআইসির চেয়ারম্যান, সকল জেলা প্রশাসক, সারা দেশের মাঠ পর্যায়ের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।

            সভায় জেলা প্রশাসক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সারের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তারা জানান, মাঠ পর্যায়ে পর্যাপ্ত সার রয়েছে। সারের কোনো সংকট নেই। তবে সারের দাম বাড়বে বলে গুজব ও কোনো কোনো জায়গায় বিভ্রান্তিকর তথ্যের কারণে সারের বিষয়ে প্রায়শই গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। এছাড়া, কৃষকের মধ্যেও সার মজুতের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

            সভায় সারের কারসাজি রোধে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কতিপয় নির্দেশনা দেয়া হয়। এগুলো হলো : রশিদ ছাড়া যেন সার বিক্রি না হয় তা নিশ্চিত করা। ডিলার ও খুচরা বিক্রেতার দোকানে লালসালুতে বা ডিজিটালি সারের মূল্য তালিকা টাঙিয়ে রাখা নিশ্চিত করা। খুচরা বিক্রেতাদের নিকট সার সরবরাহ নিশ্চিত করা। কৃষককে যেন লাইনে দাঁড়িয়ে স্লিপ দিয়ে সার কিনতে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। ডিলারের গুদাম ভিজিট করে সারের অ্যারাইভাল নিশ্চিত করতে হবে ও ট্রাক চালানের সাথে তা যাচাই করে দেখতে হবে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে কৃষি বিভাগ নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করবে এবং নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। এছাড়া, কৃষি মন্ত্রণালয় হতে সার বরাদ্দের সাথে সাথেই বিসিআইসি হতে সার উত্তোলনের অনুমতি দেয়ার জন্য বিসিআইসি চেয়ারম্যানকে পরামর্শ প্রদান করা হয়।

            সভায় জানান হয়, চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। আজ পর্যন্ত ইউরিয়া সারের মজুত ৬ লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি ৪ লাখ ১৫ হাজার টন, ডিএপি ৯ লাখ ০৪ হাজার টন, এমওপি ২ লাখ ৪৬ হাজার টন। সারের বর্তমান মজুতের বিপরীতে সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত সারের চাহিদা হলো ইউরিয়া ৩ লাখ ৫০ হাজার টন, টিএসপি ৯৬ হাজার টন, ডিএপি ২ লাখ ১৯ হাজার টন, এমওপি ১ লাখ ২১ হাজার টন।

            বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায়ও সারের বর্তমান মজুত বেশি। বিগত বছরে এই সময়ে ইউরিয়া সারের মজুত ছিল ৫ লাখ ৯৯ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি ২ লাখ ১৩ হাজার টন, ডিএপি ৬ লাখ ৭৩ হাজার টন এবং এমওপি ১ লাখ ৮১ হাজার টন।

#

কামরুল/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/২০৪০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৩৬৪৭

মৎস্যজীবীদের তালিকা হালনাগাদের নির্দেশ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর

ঢাকা, ২৩ ভাদ্র (৭ সেপ্টেম্বর) :

            মৎস্যজীবীদের তালিকা হালনাগাদের নির্দেশ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

            আজ সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত মৎস্য উপখাতের প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

            এ সময় মন্ত্রী বলেন, মৎস্যজীবীদের তথ্য সব সময় হালনাগাদ থাকতে হবে। প্রতিবছর এ তথ্য হালনাগাদ করতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী মৎস্যজীবী তালিকায় অন্তর্ভুক্তদের সংযোজন-বিয়োজন করতে হবে। যারা পূর্বে মৎস্যজীবী ছিল কিন্তু এখন এ পেশায় সম্পৃক্ত নেই তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। প্রকৃত মৎস্যজীবীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। একইসাথে তাদের নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। অনেক সময় সঠিক তালিকা না থাকায় প্রকৃত মৎস্যজীবীরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। এজন্য মৎস্যজীবীদের সহায়তা প্রদানের সময় তাদের নামের সাথে রেজিস্ট্রেশন নম্বর যুক্ত করে দিতে হবে।

            মন্ত্রী আরো বলেন, মৎস্যখাতের উৎপাদিত সামগ্রী রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও কর্মসংস্থানের খাত সৃষ্টি করা সম্ভব। এ খাতের সাথে সম্পৃক্তদের কিভাবে কর্মক্ষম করে তোলা যায় সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তাদের আরো আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনীতির যে ধাক্কা তা কাটিয়ে উঠতে এ খাতকে আরো অবদান রাখতে হবে।

            মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, এ বছর জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী পৃথিবীর যে তিনটি দেশ মৎস্য খাতে ভয়াবহ বিপর্যয় শঙ্কার বাইরে ছিল, তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটা অর্জন। সংকট সময়ের এ অর্জন ধরে রাখতে হবে। তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে অপব্যয় রোধ করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় করে অর্থের অপচয় করা হয়। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সেই সাথে প্রকল্পের কাজের গুণগতমান নিশ্চিত করতে হবে।

            মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব মোঃ তৌফিকুল আরিফ ও মোঃ আব্দুল কাইয়ূম, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী আশরাফ উদ্দীন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদসহ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

#

ইফতেখার/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/২০০০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৩৬৪৬

 

নৌপথ আরো আধুনিকায়ন করে জীবনমুখী করা হবে

                                          --- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ ভাদ্র (৭ সেপ্টেম্বর) :

          নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, দখল ও দূষণরোধে  সরকার কাজ করছে। বাংলার মানুষ এখন নদী নিয়ে ভাবছে; এটা আমাদের প্রথম সাফল্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী খননের কথা বলেছেন; নির্বাচনি মেনিফেস্টোতে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননের কথা বলেছেন। তাঁর প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। নৌপথ আরো আধুনিকায়ন করে জীবনমুখী করা হবে।

           নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বিআইডব্লিউটিএ’র উন্নয়ন, আর্থিক ও প্রশাসনিক সংক্রান্ত বৈঠকে এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামালসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক ও বিভাগীয় প্রধানগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

           বৈঠকে জানানো হয়, বিআইডব্লিউটিএ ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত (চলমান) ১২ হাজার ২৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। উদ্ধারকৃত তীরভূমি/জায়গার পরিমাণ ৩৮৯ দশমিক ৬২ একর। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার, নওয়াপাড়া, ঘোড়াশাল ও টঙ্গী নদী বন্দর এলাকায় এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

           বৈঠকে আরো জানানো হয়, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় আগস্ট পর্যন্ত ৬ হাজার ২০২টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। ১০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে দৃশ্যমান হয়েছে এবং  আরো ৪২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। আমিন বাজার, পাগলাবাজার পূর্ব প্রান্ত, পাগলাবাজার পশ্চিম প্রান্ত, মুন্সিখোলা, সিন্নিরটেক ও গাবতলীতে ছয়টি ভারী জেটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে এবং আলীগঞ্জ আফছার উদ্দিন ঘাট, আলীগঞ্জ মাদ্রাসা ঘাট, সুলতানা কামাল ব্রিজ সংলগ্ন, মাছুয়া বাজার ঘাট,  নারায়ণগঞ্জ লেবার ল্যান্ডিং পয়েন্ট, নারায়ণগঞ্জ সাইলো পয়েন্ট, শিমরাইল ২ ও ৩ নম্বর ঘাট এবং সারুলিয়া লেবার হ্যান্ডলিং পয়েন্টে আরো আটটি ভারী জেটির নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। টঙ্গী নদীবন্দর এলাকায় একটি ইকোপার্ক নির্মিত হয়েছে এবং গাবতলীর বড়বাজার ও নারায়ণগঞ্জের হাজীগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় আরো দু’টি ইকোপার্ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর টঙ্গী নদীবন্দর এলাকায় নির্মিত ইকোপার্কের উদ্বোধন করা হবে। একই সাথে টঙ্গী নদীবন্দর হতে ঢাকা বৃত্তাকার নৌপথে স্পিডবোট সার্ভিসের উদ্বোধন করা হবে।

          সভায় চাঁদপুর নদীবন্দরের আধুনিক টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানি আবর্জনা মুক্ত করার লক্ষ্যে ছয়টি রিভার ক্লিনিক ভেসেল সংগ্রহ, কক্সবাজার-মহেশখালী ফেরি সার্ভিস চালু, দু’টি বড় ধরনের উদ্ধারকারী জাহাজ সংগ্রহ, ড্রেজার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করাসহ অন্যান্য প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

#

জাহাঙ্গীর/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৮৪৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৩৬৪৫

 

বিএনপির নির্ভরতা বিদেশি ও বন্দুকে, আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে

                                                                     --- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ২৩ ভাদ্র (৭ সেপ্টেম্বর) :

            তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘বিএনপি বিশ্বাস করে বন্দুকের নলের শক্তি, ষড়যন্ত্র আর বিদেশিদের ওপর ভর করে ক্ষমতায় যাওয়া যায়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সেটি বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতেই বলীয়ান এবং সেটিই বাস্তবতা।’

            আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগ জনসমর্থনহীন’ এর জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতেই বলীয়ান। আমরা জনগণের শক্তিকেই বিশ্বাস করি, অন্য কোনো শক্তিতে আমরা বিশ্বাস করি না। অন্য কোনো শক্তির সমর্থন সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কখনো দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় যায়নি এবং কোনো বিদেশি শক্তির ওপরও আমরা নির্ভরশীল নই। আমরা জনগণের শক্তির ওপরই নির্ভরশীল।’

            অপরদিকে বিএনপিই জনগণের সমর্থনহীন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি দিনের বেলায় নয়াপল্টনে অফিস করে, রাতের বেলায় দূতাবাসে দূতাবাসে ঘুরে বেড়ায়। কারণ তারা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে না। তারা মনে করে দূতাবাসে দূতাবাসে ঘুরে বেড়ালে বিদেশিরা তাদেরকে কোলে করে ক্ষমতায় বসাবে। কিন্তু এদেশের ক্ষমতায় বসানোর মালিক হচ্ছে জনগণ। বিএনপি বিশ্বাস করে বন্দুকের শক্তিতে, যেভাবে জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করেছিল। বন্দুকের নলের ওপর ভর করে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলো, আজকে যারা বড় বড় কথা বলছেন, তাদের প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, সবাই অন্য দল করতো, ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করার জন্যই বিএনপিতে গিয়েছিল।’

            চট্টগ্রামের রামু অঞ্চলের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতর দিয়ে প্রস্তাবিত রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে প্রশ্ন করলে ড. হাছান বলেন, ‘এটি সমীচীন নয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে  কখনই এর পক্ষে নই, এটি সমর্থন করতে পারি না। যেহেতু পরিবেশ বিজ্ঞানের ছাত্র আমি পরিবেশকর্মী ছিলাম, ১০ বছর দলের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তো পরে এসেছি। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করলে ব্যাপক বনভূমি ধ্বংস, দূষণ অনেক কিছু হবে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নেই বলে আমিও পত্রিকায় দেখেছি। যারা এটিকে পত্রিকায় এনেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আমার বিনীত নিবেদন বনভূমির ভেতর দিয়ে রাস্তা হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।’

            এর আগে ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সংকলন ‘বজ্রকণ্ঠ’ গ্রন্থের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে পুনর্মুদ্রণের মোড়ক উন্মোচন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ । এ সময় তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের কালজয়ী ভাষণের মাধ্যমে একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত করেছিলেন। যে ভাষণ কার্যত স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল যদিওবা তিনি এমনভাবে বলেছিলেন, তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বলার কোনো সুযোগ দেননি।’

            পৃথিবীর সেরা ভাষণগুলোর অন্যতম এই ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্যতম দলিল হিসেবে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে, সংরক্ষণ করছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই গ্রন্থটিতে ৭ই মার্চের ভাষণ থেকে শুরু করে ১৯৭২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যে সমস্ত বক্তৃতা করেছেন সবগুলোই গ্রন্থিত আছে, যা বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ১৯৭৩ সালে প্রথম তৎকালীন প্রকাশনা দপ্তর থেকে প্রকাশিত হয়।

            গ্রন্থটির প্রকাশক চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়া অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন। জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কাঞ্চন কুমার দে, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।

#

আকরাম/রাহাত/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৮২৫ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৩৬৪৪

 

গৃহহীনদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে ২ লাখের বেশি ঘরের চাবি

                                                                    --- ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

কক্সবাজার, ২৩ ভাদ্র (৭ সেপ্টেম্বর) :

          তালিকাভুক্ত গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে দিতে কাজ করছে সরকার। কয়েক ধাপে তুলে দেয়া হয়েছে

২ লাখের বেশি ঘরের চাবি, বাকি ৭ লাখ গৃহ নির্মাণের কাজ চলছে। যা দেয়া হবে পর্যায়ক্রমে।

          আজ কক্সবাজারে একটি হোটেলে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য সংগঠন হিউম্যান রিলিফ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘বাংলাদেশ দ্য রোল মডেল ফর ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক অভিজ্ঞতা ও অর্জন বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান এসব কথা বলেন।

          সংস্থাটির এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ডা. এনামুর রহমান বলেন, দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে নেয়া শেখ হাসিনার উদ্যোগগুলোকে বাস্তবায়ন করতে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী হিউম্যান রিলিফ ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে নির্মাণ করা কক্সবাজারের ৮টি উপজেলায় ৩৪৫টি সেমি পাকা ঘরের চাবি দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করেন। সংস্থাটির তথ্য বলছে, জেলার ৮টি উপজেলায় অসহায় ও আবাসনে পিছিয়ে পড়া পরিবারের জন্য তৈরি করা হয় ৩৪৫টি ঘর। এ সকল ঘরে চারপাশের ইটের দেয়াল আর চালে ব্যবহার করা হয়েছে টিন। রাখা হয়েছে ২টি কক্ষ, বাথরুম ও রান্না ঘরের জন্য আলাদা স্থান।

          কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন  বাংলাদেশ সরকারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ শামসুদ দৌজা এবং হিউম্যান রিলিফ ফাউন্ডেশন এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. ওবায়দুর রহমান। এছাড়া হিউম্যান রিলিফ ফাউন্ডেশন এর সহযোগী এনজিও প্রতিষ্ঠান ইসপা, একতা মহিলা উন্নয়ন সংস্থা, গ্লোবাল উন্নয়ন সেবা সংস্থা'র চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী, নির্বাহী পরিচালক ও প্রকল্পের সাথে জড়িত কর্মকর্তা ও কর্মীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

#

 সেলিম/রাহাত/রফিকুল/আরাফাত/জয়নুল/২০২২/১৮০৫ঘণ্টা 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ৩৬৪৩

সরকার রাবার ও রাবারভিত্তিক শিল্পের প্রসারে আন্তরিকভাবে কাজ করছে

                                                                                     --- পরিবেশমন্ত্রী

চট্টগ্রাম, ২৩ ভাদ্র (৭ সেপ্টেম্বর) :

          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার রাবার ও রাবারভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও প্রসারে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, জাতীয় অর্থনীতিতে রাবার শিল্পের অবদান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে উৎপাদিত উন্নতমানের রাবার অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট রাবার ও রাবারভিত্তিক শিল্পের সম্প্রসারণ ও বিকাশের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা কার্যক্রম সফলভাবে সম্পাদন করেছে। এ খাতের উন্নয়ন হলে দরিদ্র জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে, বেকার সমস্যা সমাধানে ভূমিকা পালন করবে।

          আজ চট্টগ্রামে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠে বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের আয়োজনে ১ম প্রাকৃতিক রাবার ও রাবারভিত্তিক শিল্পপণ্য মেলা, ২০২২ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আশরাফ উদ্দিন, বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. রফিকুল হায়দার এবং এফবিসিসিআই পরিচালক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন।

          মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন প্রায় ৪০ হাজার একর জমিতে ১৮টি রাবার বাগান সৃজন করেছে। বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারি ৩৩ হাজার একর জমি রাবার চাষের জন্য লিজ দেয়া হয়েছে। খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটিসহ দেশের ১২টি জেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ১৩ হাজার ২শত একর জমিতে রাবার চাষের উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়<

2022-09-07-15-48-66765c0aa6da4c94c76022a2b11ec77e.docx