তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪০৭
মিয়ানমার নাগরিকদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন চলছে
উখিয়া (কক্সবাজার), ২২ মাঘ (৪ ফেব্রুয়ারি) :
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪টি কেন্দ্র্রের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। পাসপোর্ট অধিদপ্তর নিবন্ধন কাজ বাস্তবায়ন করছে।
আজ কুতুপালং ক্যা¤েপ ১ শত ৯৪ জন পুরুষ, ১ শত ৫৩ জন নারী মিলে ৩ শত ৪৭ জন, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ১ শত ৪৮ জন পুরুষ, ১ শত ৪৪ জন নারী মিলে ২ শত ৯৩ জন, থাইংখালী ক্যাম্পে ৯৭ জন পুরুষ, ৯৯ জন নারী মিলে ১ শত ৯৬ জন, বালুখালী ক্যাম্পে ৯০ জন পুরুষ, ৮৫ জন নারী মিলে ১ শত ৭৫ জন এবং পুরোদিনে ৪টি কেন্দ্রে মোট ১ হাজার ১১ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছে।
আজ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোট ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৮ শত ১৮ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে।
সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক আজ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৩ শত ৭৩ জন এতিম শিশু শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৭ হাজার ৩ শত ৯৫ জন ছেলে এবং ১৮ হাজার ৯ শত ৭৮ জন মেয়ে। বাবা-মা কেউ নেই এমন এতিম শিশুর সংখ্যা ৭ হাজার ৭ শত ৭১ জন।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের (আরআরআরসি) রিপোর্ট মোতাবেক ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ৬ লাখ ৮৯ হাজার জন। অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়ছে। ২৫ আগস্ট ২০১৭ এর পূর্বে আগত মিয়ানমার নাগরিকের সংখ্যা ২ লাখ ৪ হাজার ৬০ জন।
#
সাইফুল/সেলিম/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৮/২০২৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪০৬
চলমান এসএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা কমিটির জরুরি সভা
ঢাকা, ২২ মাঘ (৪ ফেব্রুয়ারি) :
চলমান এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচকভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় মনিটরিং এবং আইনশৃঙ্খলা কমিটির এক জরুরি সভা আজ সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কেবিনেট ডিভিশন, বিটিআরসি এবং পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ শিক্ষামন্ত্রী সভাশেষে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। তিনি জানান, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পূর্বের সিদ্ধান্তসমূহ কার্যকর থাকবে। এছাড়া প্রশ্নফাঁস চক্রের সাথে জড়িত প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত বা ধরিয়ে দিতে পারলে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। পরীক্ষা মনিটরিং ও প্রশ্নফাঁস এবং পরীক্ষা যথাযথ হয়েছে কি না এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীরের নেতৃত্বে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধেদের সমন্বয়ে ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে সুপারিশ পেশ করবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, ভিজিল্যান্স টিম আরো জোরদার করা হবে। পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে প্রশ্নের মোড়ক খোলার সময় স্থানীয় প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা, একজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং কেন্দ্র সচিবের যৌথ স্বাক্ষরে খোলা হবে। তিনি বলেন, পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনো মোবাইল বা অন্য কোনো ডিভাইস নিয়ে কোনো শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা বা কর্মচারী প্রবেশ করলে তাঁকে তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করা হবে। সকল শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে অবশ্যই তাদের নিজ নিজ আসনে বসতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা প্রশ্নফাঁস বা ফাঁসের গুজব ছড়াচ্ছে, কার্যক্রম দেখে একথা প্রতীয়মান হয়, তাদের লক্ষ্য সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে হেয়প্রতিপন্ন করা। এজন্যই পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করা হচ্ছে। এর সাথে জড়িত প্রত্যেকে ধরা পড়বে। তাদেরকে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে।
#
আফরাজ/সেলিম/মোশারফ/রেজাউল/২০১৮/১৯০২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪০৫
বে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটি ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পভুক্ত করা হবে
---নৌপরিবহণ মন্ত্রী
ঢাকা, ২২ মাঘ (৪ ফেব্রুয়ারি) :
নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের ‘বে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ’ প্রকল্পটি ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পভুক্ত করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। মন্ত্রী আজ নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের অগ্রগতি সংক্রান্ত এক সভায় একথা বলেন।
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ আবদুস সামাদসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
শাজাহান খান লাইটার জাহাজের জন্য জেটি নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় ক্রেন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহের লক্ষ্যে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া তিনি প্রয়োজনীয়তার নিরিখে প্রকল্প প্রণয়নে উদ্যোগ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবস্থা নিতে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থাসমূহের প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছেন। মন্ত্রী ওয়ার্ক প্ল্যান ও প্রকিউরমেন্ট প্ল্যান অনুযায়ী প্রকল্পের কাজ মনিটরিং করতে প্রকল্প কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি পরিকল্পনা অনুযায়ী ক্রয় পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত সব দরপত্র ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে শেষ করতেও প্রকল্প কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
#
জাহাঙ্গীর/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/১৮৪৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪০৪
প্রধান বিচারপতি নিয়োগে সংবিধানে জ্যেষ্ঠতার বাধ্যবাধকতা নেই
---আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ২২ মাঘ (৪ ফেব্রুয়ারি) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগে সংবিধানে জ্যেষ্ঠতার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই । তিনি বলেন, সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা আছে রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন। সেখানে কোথাও লেখা নেই যে, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিতে হবে। রাষ্ট্রপতি তাঁর বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং সেই সিদ্ধান্তে আমরা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।
আজ রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন আয়োজিত ‘হিউম্যান রাইটস, সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিং এন্ড রেসপন্সিবল বিজনেস কনডাক্ট-হোয়াট ডাজ বিজনেস নিড টু নো’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
বিচারপতি মোঃ আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার পদত্যাগের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি পদত্যাগ করতেই পারেন। এটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এখানে আইনমন্ত্রীর কিছু বলার নেই। এ সময় বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে খুব শিগগিরই বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হবে।
নিম্ন আদালত নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, উনি যে কথা বলেছেন, সেটা অসত্য। আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা সকলেই বাংলাদেশের বিচার বিভাগের এবং বিচারালয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সেটাই সকলের ব্যক্ত করা উচিত।
আইনমন্ত্রী বলেন, আগেও বলেছি এখনও বলছি, বিচার হয়েছে আদালতে, সাক্ষ্যপ্রমাণ হয়েছে এবং সেই সাক্ষ্য প্রমাণাদি বিশ্লেষণ এবং বিবেচনায় নিয়ে বিচারক রায় দেবেন।
বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি কামরান টি রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক এমপ্লয়ার্স সংস্থার মহাসচিব লিন্ডা ক্রোমজং, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ও ডেইলি সান পত্রিকার সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আশরাফ শামীম অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন।
#
রেজাউল/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/১৭৫১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪০৩
বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোৎকৃষ্ট স্থান
--- শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ২২ মাঘ (৪ ফেব্রুয়ারি) :
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোৎকৃষ্ট স্থান। এদেশে বিদেশি বিনিয়োগের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দেয়া হচ্ছে। সরকার অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্ক নির্মাতাদের জন্য ১২ বছর এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের ১০ বছর পর্যন্ত কর অবকাশ সুবিধা দিচ্ছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ বিশাল বাজার, সুবিধাজনক ভৌগোলিক অবস্থান, কম খরচে দক্ষ শ্রমিক, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ এবং সুষম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগের আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী আজ ভারতের আসামে ‘এডভানটেজ আসাম (অফাধহঃধমব অংংধস)’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা (ওহাবংঃসবহঃ ঙঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃু রহ ইধহমষধফবংয)’ শীর্ষক অধিবেশনে সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন।
গৌহাটির সুরুষাই স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সে (ঝধৎঁংধলধর ঝঃধফরঁস ঈড়সঢ়ষবী) এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি উপস্থাপন করেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহসভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। বাংলাদেশ ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তা প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এ সময় আলোচনায় অংশ নেন।
পরে মন্ত্রী ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সাথে আশিয়ান ও বিবিএন এর অর্থনৈতিক সম্পর্ক (ঘড়ৎঃয ঊধংঃ বপড়হড়সরপ ঃরবং রিঃয অঝঊঅঘ ধহফ ইইঘ)’ শীর্ষক প্লেনারি অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের অধিকাংশ স্থলসীমানা থাকায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যসহ ভারত এবং আসিয়ান অঞ্চলে পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কৌশলগত অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল ও ভারতের মধ্যে মোটরযান চুক্তিস্বাক্ষরের ফলে দেশগুলোর মধ্যে ট্রানজিট এবং যাত্রী ও মালামাল পরিবহণের নিরবচ্ছিন্ন সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ উদ্যোগ আগামী দিনে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক একীভূতকরণে (ঊপড়হড়সরপ ওহঃবমৎধঃরড়হ) গেইম চেঞ্জার হিসেবে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আমির হোসেন আমু আরো বলেন, আশিয়ান জোটভুক্ত অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃবাণিজ্যের পরিমাণ শতকরা ২৫ ভাগ হলেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। এ অঞ্চলের দেশগুলোতে আন্তঃবাণিজ্যের পরিমাণ মাত্র শতকরা ৫ ভাগ। বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপাল (বিবিএন) এর মধ্যে শিল্পায়ন ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্য প্রসারের সুযোগ রয়েছে। আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের অমিত সম্ভাবনা কাজে লাগাতে নেপাল ও ভুটানের সাথে বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী বলে তিনি জানান।
#
জলিল/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/১৭৩৯ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪০২
আগামীকাল থেকে ঢাকায় ওআইসির পর্যটন মন্ত্রীদের সম্মেলন
ঢাকা, ২২ মাঘ (৪ ফেব্রুয়ারি) :
আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী ঙওঈ (ঙৎমধহরুধঃরড়হ ড়ভ ওংষধসরপ ঈড়হভবৎবহপব) ভুক্ত দেশসমূহের ওংষধসরপ ঈড়হভবৎবহপব ড়ভ ঞড়ঁৎরংস গরহরংঃবৎং (ওঈঞগ). আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৫টি দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। ৭ ফেব্রুয়ারি টেকনিক্যাল ট্যুরের মধ্যদিয়ে এ সম্মেলন শেষ হবে।
এ উপলক্ষে আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী শাহজাহান কামাল বলেন, সদস্য দেশসমূহের মাঝে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও প্রসারে একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্ম, তথ্য বিনিময়, অভিজ্ঞতা শেয়ারিং ও সহযোগিতার মাধ্যমে পর্যটনের ক্ষেত্রে নতুন ভাবনা ও পদক্ষেপের সুযোগ সৃষ্টি ও পর্যটনের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়নে এ সম্মেলন বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
সম্মেলন থেকে বাংলাদেশে ওআইসির একটি পর্যটন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও ঢাকাকে ট্যুরিজম সিটি হিসেবে ঘোষণার ব্যাপারে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সম্মেলনে ইসলামী হেরিটেজ ও কালচার, রিলিজিয়াস ট্যুরিজম ও হালাল ট্যুরিজ এবং টেকসই উন্নয়নে পর্যটনের ভূমিকা বিষয়ক বিভিন্ন রাউন্ড টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বিমান ও পর্যটন সচিব এস এম গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ ইমরান, এ এইচ এম জিয়াউল হক, মিজানুর রহমান, বিটিবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড. মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
#
তুহিন/সেলিম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/১৭৩১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪০১
প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীরা সরকারের উন্নয়নের অংশীদার
-কর্মসংস্থান মন্ত্রী
ঢাকা, ২২ মাঘ (৪ ফেব্রুয়ারি) :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীরাও সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্যের অংশীদার। তারা বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও রেমিটেন্স প্রেরণসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। তিনি বলেন, শ্রম কল্যাণ উইং-এ দূরদূরান্ত থেকে যে সকল কর্মীরা সেবা নিতে আসে, তারা যেন হাসিমুখে সেবানিয়ে কর্মস্থলে ফিরে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক সম্মেলন কক্ষে ‘শ্রম কল্যাণ সম্মেলন-২০১৮’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, দেশের এক কোটির অধিক অভিবাসী কর্মী এবং তাদের পরিবারের আরো প্রায় পাঁচকোটি মানুষের কল্যাণের স্বার্থে শ্রমকল্যাণ উইং সরাসরি যুক্ত। ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কর্মীদের অধিকার ও সার্বিক সেবা নিশ্চিত করতে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় সৌদি আরব, ওমান, কাতার, বাহরাইন ও মালয়েশিয়ায় ব্যাপক কর্মী পাঠানো সক্ষম হয়েছে। তিনি জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাংলাদেশ মিশনের সকল কর্মকর্তাগণ ও প্রবাসীদের নিয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান ।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নমিতা হালদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ জুলহাস, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজা এবং বোয়েসেল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মরণ কুমার চক্রবর্তী। মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন ।
#
জাহাঙ্গীর/অনসূয়া/শহিদ/রেজ্জাকুল/রফিকুল/শামীম/২০১৮/১৬০১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪০০
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতীয় উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান শিল্পমন্ত্রীর
ঢাকা, ২২ মাঘ (৪ ফেব্রুয়ারি) :
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ ১শ’ টি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার বিশেষ প্রণোদনা ও সুবিধা দিচ্ছে। তিনি ভারতের বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর উদ্যোক্তাদেরকে এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত সুবিধা নিয়ে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী ৩ ফেব্রুয়ারি ভারতের আসামে অনুষ্ঠিত ‘অফাধহঃধমব অংংধস’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এ আহ্বান জানান। আসামের গৌহাটির সুরুষাই স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সে দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
আমির হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতির মহাসড়ক ধরে এগিয়ে চলেছে। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সহ¯্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) অর্জনে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। আর্থসামাজিক অগ্রগতির অনেক সূচকে বাংলাদেশ এশিয়ার অন্য দেশগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের পাশাপাশি ২০২১ সালের মধ্যে শিল্পসমৃদ্ধ মধ্যমআয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী বলেন, বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র ভারতের সাথে সুসম্পর্ককে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে সফর বিনিময়ের ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে। এ সফরের পর উভয়দেশ কানেকটিভিটি জোরদার, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, ট্রানজিট ও পণ্যপরিবহণ সুবিধা বাড়াতে বেশ কিছু দূরদর্শী পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব উদ্যোগ বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনার পরিপূর্ণ সুফল কাজে লাগাতে ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী অন্য দেশের ব্যাবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা খুঁজে দেখার আমন্ত্রণ জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ঞংযবৎরহম ঞড়নমধু, আসামের মুখ্যমন্ত্রী ঝধৎনধহধহফধ ঝড়হড়ধিষ এবং ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ঝঁৎবংয চৎধনযঁ সহ আসাম রাজ্যের মন্ত্রিগণ বক্তব্য রাখেন।
#
জলিল/অনসূয়া/শহিদ/রফিকুল/শামীম/২০১৮/১৩০০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৯৯
জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২২ মাঘ (৪ ফেব্রুয়ারি) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি দিবস উদ্যাপনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
গ্রন্থাগার হলো সভ্যতার দর্পণ। মানবজাতির শিক্ষা, রুচিবোধ ও সংস্কৃতির কালানুক্রমিক পরিবর্তনের সাথে গ্রন্থাগারের নিবিড় সম্পৃক্ততা রয়েছে। সে কারণে গ্রন্থাগার হচ্ছে অতীত ও বর্তমান শিক্ষা সংস্কৃতির সেতুবন্ধ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ালেখা সাধারণত বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস কিংবা গবেষণা নির্ভর হয়ে থাকে কিন্তু গ্রন্থাগারে জ্ঞানান্বেষণের ব্যাপ্তি সীমাহীন। সে বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে ১৯৫৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। তাই এ দিনটিকে ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করায় বর্তমান সরকারকে আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সাহিত্য সংস্কৃতির মূল্যবান উপাদান সংরক্ষণের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারের বিরামহীন উন্নয়ন প্রয়াসে অন্যান্য সেক্টরের ন্যায় গ্রন্থাগারের সেবাদান কার্যক্রমও উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে। গ্রন্থাগারের পড়াশোনা এখন সনাতন ধারা থেকে তথ্য প্রযুক্তির ধারায় শামিল হয়েছে। এ সময়ে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদ্যাপন গ্রন্থাগার ব্যবহারে দেশের মানুষকে আরো উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।
জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০১৮ এর সকল কর্মসূচি সফল হোক এ কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
হাসান/অনসূয়া/শহিদ/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৩১২ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৯৮
জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২২ মাঘ (৪ ফেব্রুয়ারি) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“দেশে প্রথমবারের মতো ৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০১৮’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এই উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
গ্রন্থাগার হল জ্ঞানের ভা-ার। জ্ঞানার্জন, গবেষণা, চেতনা ও মূল্যবোধের বিকাশ, সংস্কৃতিচর্চা ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষকে আলোকিত করে তোলা এবং পাঠাভ্যাস নিশ্চিতকরণে গ্রন্থাগারের ভূমিকা অপরিসীম।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর পরই যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের পাশাপাশি একটি জ্ঞানমনস্ক জাতি ও সমাজ গঠনে কাজ শুরু করেছিলেন। বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্য ও সাহিত্য সংস্কৃতির মূল্যবান উপাদান সংরক্ষণের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে তিনি আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত গ্রন্থের প্রসার এবং গ্রন্থাগার উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে। আমরা চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট মাল্টিপারপাস কালচারাল কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করেছি। ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর পুনঃনির্মাণ প্রকল্পের ডিজাইন বাছাইকরণ সম্পন্ন করা হয়েছে। টুঙ্গিপাড়াস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্মৃতিসৌধ লাইব্রেরির আধুনিকায়নের কর্মসূচি অনুমোদিত হয়েছে। আমরা ডিজিটাল আরকাইভস ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছি। সরকারি গণগ্রন্থগারসমূহে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবাদানের লক্ষ্যে অনলাইন লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি জেলায় সরকারি গণগ্রন্থাগারসমূহের নিজস্ব ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৬টি লাইব্রেরি নির্মাণের কাজ সমাপ্তির পথে। সকল গ্রন্থাগারে আধুনিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আমাদের সরকার বেসরকারি গ্রন্থাগারসমূহে বিনামূল্যে বই সরবরাহ এবং আর্থিক অনুদান প্রদান করে যাচ্ছে।
আমি আশা করি, গ্রন্থাগারের সুষ্ঠু ব্যবহার, উপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আমি এ দিবসটির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/শহিদ/রফিকুল/আসমা/২০১৮/১০৩০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না