Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ মে ২০১৮

তথ্যবিবরণী ১৭ মে ২০১৮

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ১৫২৪
প্রতিবন্ধিতা ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক
২য় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ঢাকা ঘোষণা প্রকাশ
ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ ম)ে : 
৯ দফা কর্মপরিকল্পনাসহ প্রতিবন্ধিতা ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ২য় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ঢাকা ঘোষণা করা হয়েছে। 
আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা প্রকাশ করা হয়। সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে প্রথমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম এর কাছে ঘোষণার কপি হস্তান্তর করা হয়। পরে মন্ত্রী এ ঘোষণার কপি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করেন। 
ঘোষণায় প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, গবেষণা, জরিপ, প্রতিবন্ধীবান্ধব সরকার, প্রতিবন্ধীদের জন্য বেসরকারি পর্যায়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, পরস্পর তথ্য আদান-প্রদান, প্রতিবন্ধীদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি ইত্যাদির উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। ঘোষণায় বলা হয়, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে অন্তত ২০টি দেশ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ ও জীবনযাপনের পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করবে। সম্মেলনে ২০১৫ সালের ৮-দফা ঢাকা ঘোষণার অগ্রগতি উল্লেখ করা হয়।
স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী এ ঘোষণাকে অত্যন্ত কার্যকর হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আগামী দিনের দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় গাইডলাইন প্রণয়নে এ ঘোষণা পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে। 
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী সমাজের অবহেলিত মানুষ। কিন্তু এরা সমাজ ও পরিবারের বোঝা হয়ে থাকতে চায় না। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে এরা মর্যাদার সাথে বসবাস করতে চায়। এর জন্য এরা সমাজ ও পরিবারের সহানুভূতি আশা করে। তিনি বলেন, দুর্যোগ সহনশীল জাতি গঠন সরকারের মূল লক্ষ্য। তিনি আশা করেন এ সম্মেলন প্রতিবন্ধী লোকদের নতুন আলোয় উদ্ভাসিত করবে। সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান মন্ত্রী।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ্ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম, পাপুয়া নিউগিনির ইন্টার-গভর্নমেন্ট রিলেশন বিষয়ক মন্ত্রী কেভিন ইসিফু এমপি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ রিয়াজ আহমেদ, প্রোগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক সত্যব্রত সাহা  প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় প্রতিবন্ধিতা ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আন্তর্জাতিক ফোকাল পয়েন্ট সায়মা হোসেন উপস্থিত ছিলেন।  
সম্মেলনে মোট ৫টি প্লেনারি সেশন, ১৪টি সাইড সেশনসহ ৪টি বিশেষ সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৭টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। বিভিন্ন সেশনে ১৬ জন মন্ত্রী উপস্থিত থেকে মূল্যবান মতামত প্রদান করেন। এতে ৩৪টি দেশের ১১২ জন বিদেশি অতিথি অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনের কয়েকটি সেশনে প্রতিবন্ধিতা ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আন্তর্জাতিক ফোকাল পয়েন্ট সায়মা হোসেন অংশগ্রহণ করেন।   
#
দেওয়ান/মাহমুদ//সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৩০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর :  ১৫২৩

ফিল্ম আর্কাইভের ৪০ বছর পূর্তিতে তথ্যমন্ত্রী
সরকারি দপ্তরে জঙ্গি-রাজাকারের অনুচরের স্থান নেই

ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ ম)ে : 

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, 'সরকারে যেমন আর কখনো রাজাকার-সন্ত্রাসীদের স্থান দেয়া যাবে না, সরকারি দপ্তরগুলোতেও তেমনি জঙ্গি-রাজাকারের অনুচরদের স্থান হবে না।'

ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ  ফিল্ম আর্কাইভের ৪০ বছর পূর্তিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আজ তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন। ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক শচীন্দ্র নাথ হালদারের সভাপতিত্বে তথ্যসচিব আবদুল মালেক এবং চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় বক্তৃতা করেন।

দেশের চলচ্চিত্র জগতের ইতিহাসের দিকে দৃষ্টিপাত করে তথ্যমন্ত্রী জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পথে একদিকে যেমন জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম চালিয়েছেন, আরেকদিকে গড়েছেন শিল্প-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক আন্দোলন। অসাধারণ দূরদৃষ্টিতে তিনি ঢাকায় এফডিসি প্রতিষ্ঠা করে বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাণের দিগন্ত উন্মোচন করেন। ‘সেই জাতির পিতার কন্যাও সংস্কৃতিচর্চায় পরম যতœবান’ উল্লেখ করে ইনু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই আজ দেশের ফিল্ম আর্কাইভ এখন বিশ্বমানের। আর ২০২১ সালের বিশ্ব ফিল্ম আর্কাইভ কংগ্রেস ঢাকায় আয়োজনের সম্মান দেশের একটি বড় অর্জন। 

তথ্যসচিব আবদুল মালেক বলেন, ফিল্ম আর্কাইভ ইতিহাস, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সংযোগ। এই সংযোগ কাজে লাগিয়ে সরকার দেশের ঐতিহ্য ও কৃষ্টি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে প্রখ্যাত অভিনেত্রী রোজিনা, চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম, গবেষক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন,  চিত্রনায়িকা অঞ্জনা, দিলারা প্রমুখ সভায় অংশ নেন।

সভাশেষে প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহার, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আবুয়াল হোসেন, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোঃ রফিকুজ্জামান, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইসতাক হোসেনসহ কর্মকর্তাবৃন্দ আর্কাইভের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুপম হায়াতের প্রবন্ধের ওপর সেমিনারে অংশ নেন।

এর আগে ভবন চত্বরে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে ৪০ বছরপূতির্র আয়োজন উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী।

আগারগাঁওয়ের এ নতুন আর্কাইভ ভবনের মিলনায়তনে আজ সকালে ও সন্ধ্যায় ছিল চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।
#

আকরাম/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯০০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৫২২
 
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর সাথে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক 
প্রাণিসম্পদ খাতে ব্রাজিলের সহযোগিতার প্রস্তাব
 
ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ মে ) :
ব্রাজিল সরকার বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতে কারগরিসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশস্থ ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের কাছে আজ একটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব হস্তান্তর করেছে। মন্ত্রী ব্রাজিলের প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন এবং মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এটি পরীক্ষানিরীক্ষার পর নিজেদের মতামত জানানোর আশ্বাস দেন। তিনি সম্প্রতি বাংলাদেশের মাছ ও মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। 
রাষ্ট্রদূত ব্রাজিলের হালাল মাংস আরব দেশসহ সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে রপ্তানির কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের প্রাণিখাতের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হন। উভয়পক্ষ একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ব্যাপারেও আগ্রহ প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীকে ব্রাজিল সফরের আমন্ত্রণ জানান। 
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব মোঃ রইছউল আলম ম-ল, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ আইনুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, ব্রাজিলের দূতাবাসের মিশনপ্রধান ঔঁষরড় ঈবংধৎ ঝরষাধ, কাউন্সেলর গরষঃড়হ ফব ঋ. ঈড়ঁঃরহযড় এবং বাংলাদেশের ওনৎধঃধং ঞৎধফরহম ঈড়হঢ়ধহু এর পরিচালক গিয়াস উদ্দিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। 
#
 
শাহ আলম/মাহমুদ/রফিকুল/জয়নুল/২০১৮/১৯৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৫২১
 
ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই
                                         --- স¦াস্থ্যমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ মে ) :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, দেশের সার্বিক ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সব সরকারি হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য চিকিৎসক ও নার্স প্রস্তুত আছে এবং পর্যাপ্ত ঔষধ ও স্যালাইন মজুত রয়েছে। তবে ডায়রিয়া প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেন। বিশেষ করে যেসব এলাকায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি সেখানকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
আজ সচিবালয়ে দেশের সার্বিক ডায়রিয়া পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্বকালে মন্ত্রী এই 
নির্দেশ দেন।
সভায় জানানো হয়, এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় দেশে এখনো ডায়রিয়ার প্রকোপ কম। তবে ঢাকা বিভাগে ডায়রিয়া রোগীর হার বেশি। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, নগরায়নের ফলে নদী বা জলাশয়ের পানি দূষিত হচ্ছে। ফলে পানিবাহিত ডায়রিয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। অন্যদিকে উন্মুক্ত স্থানে খাবার গ্রহণও এই রোগের অন্যতম কারণ। এজন্য সাধারণ মানুষকে পানি ফুটিয়ে পান করা এবং খাবার আগে হাত ধোয়াসহ সকল সতর্কতামূলক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তিনি তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীসহ জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদেরকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদারে এগিয়ে আসার নির্দেশ প্রদান করেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, ডায়রিয়া প্রতিরোধে বিভিন্ন সেক্টরের সমন্বিত কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। বিশেষ করে পানি শোধনের জন্য ডায়রিয়াকে আরো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে করে পানিবাহিত ডায়রিয়া প্রতিরোধ করা যায়।   
সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইসিডিডিআরবি, সিটি কর্পোরেশন এবং ওয়াসার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 
#
 
পরীক্ষিৎ/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৮/১৯১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ১৫২০

আগামী অর্থবছর থেকে প্রতিবছর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট

ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ ম)ে : 

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে প্রতিবছর শিক্ষার্থীসহ তরুণ-তরুণীদের (অনুর্ধ্ব- ১৭) জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনুর্ধ্ব-১৭) শীর্ষক ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে। 

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার আজ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য প্রকাশ করেন। এসময় যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, যুব ও ক্রীড়া সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মোঃ সালাহউদ্দিন ও সহসভাপতি বাদল রায় উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী জানান প্রতিবছর টুর্নামেন্টটি আয়োজনের জন্য আনুমানিক সাড়ে চৌদ্দ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। টুর্নামেন্টের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে আনুমানিক ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩০ জন, জেলা পর্যায়ে ১৪ হাজার ৭২০ জন, বিভাগীয় পর্যায়ে ১ হাজার ৮৪০ জন এবং জাতীয় পর্যায়ে ৩৬৮ জন খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার তত্ত্বাবধানে উপজেলা পর্যায়ে নির্মাণাধীন শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামগুলোতে এ টুর্নামেন্টটি প্রতিবছর আয়োজন করা হবে। 

উপজেলা পর্যায়ের ‘সেরা ১১’ খেলোয়াড়দের নিয়ে জেলা পর্যায়ের খেলাসমূহ অনুষ্ঠিত হবে। এর পর জেলা পর্যায়ের ‘সেরা ১১’ খেলোয়াড়দের নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ের খেলাসমূহ অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় পর্যায়ের ‘সেরা ১১’ খেলোয়াড়দের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত খেলাসমূহ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলের জন্য ট্রফি, মেডেল ও আর্থিক পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকবে। 

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ টুর্নামেন্টের সফল বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।

#

শফিকুল/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮০০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ১৫১৯
রেলওয়ের ১০ টি ইঞ্জিন ক্রয়ের চুক্তিস্বাক্ষর                    
ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ ম)ে : 
বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ১০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ ক্রয়ের জন্য আজ রেলভবনে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান এবং নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান কোরিয়ার হুন্দাই রোটেমের পরিচালক  কধিহম-কুঁহ-ণড়ড়হ স্বাক্ষর করেন। 
চুক্তি অনুযায়ী ২৪ মাসের মধ্যে ইঞ্জিনগুলো সরবরাহ করা হবে। বাংলাদেশি টাকায় চুক্তিমূল্য ২ শত ৯৭ কোটি ৬৩ লাখ ৩০ হাজার ৫৬০ টাকা। এডিবির অর্থায়নে ১০ টি ইঞ্জিন সংগ্রহ করা হচ্ছে।
চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ে লোকোমোটিভ সংকটে ভুগছে। বহরের অধিকাংশ ইঞ্জিনের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। কাজেই এ চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মন্ত্রী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে স্বল্পসময়ে একটি চালান সরবরাহের আহ্বান জানান।  
রেলমন্ত্রী বলেন, ৭০ টি ইঞ্জিন একই কোম্পানি সরবরাহ করবে। এছাড়া আরো ৪০ ও ২০ টি ইঞ্জিন সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া চলছে। কোচের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ২ শত ৭০ টি কোচ রেলবহরে চলছে। এছাড়া ২ শত ৫০ টি কোচ নির্মাণাধীন রয়েছে। ১ শত ৫০ টি কোচ কোরিয়ান সরকারের অর্থায়নে কেনার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।  
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন, মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন, নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 
#
শরিফুল/অনসূয়া/সুবর্ণা/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৮/১৫৩০ ঘণ্টা    
তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ১৫১৮ 
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বাংলাদেশের সভাপতিত্বে ওআইসি’র জরুরি সভা
নিউইয়র্ক, ১৭ মে :
গত ১৪ মে জেরুজালেমে ইসরাইল কর্তৃপক্ষ দ্বারা সংঘটিত সহিংসতায় ফিলিস্তিনের সাধারণ নাগরিকদের ওপর ব্যাপক হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ এবং এ বিষয়ে পরবর্তী কর্মপন্থা গ্রহণের জন্য ১৬ মে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অর্গানাইজেশন অভ্ ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) এর রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ওআইসি’র নবনিযুক্ত কাউন্সিল সভাপতি হিসেবে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন সভায় সভাপতিত্ব করেন।  
সভার শুরুতে জেরুজালেমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস স্থানান্তরের পরিপ্রেক্ষিতে ইসরাইলের নিরাপত্তাবাহিনী দ্বারা সংঘটিত সহিংসতায় ব্যাপক হতাহতের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন ও বক্তব্য প্রদান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের স্থায়ী পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রদূত উৎ. জরুধফ ঐ গধহংড়ঁৎ। এছাড়া আগামী ১৮ মে তুরস্কে অনুষ্ঠিতব্য ওআইসি’র বিশেষ জরুরি শীর্ষ সম্মেলনের বিষয়ে সভাকে অবহিত করেন তুরস্কের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত ঋবৎরফঁহ ঐধফর ঝরহরৎষরড়ğষঁ। 
সভায় ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর স্থায়ী প্রতিনিধিগণ ফিলিস্তিনের সাধারণ নাগরিকদের ওপর ইসরাইলের অমানবিক ও অযাচিত সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানান। জরুরি এ সভায় উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় পরবর্তী করণীয় কী হতে পারে সে বিষয়েও আলোকপাত করা হয়। সভায় নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে এই সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার একটি আন্তর্জাতিক স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত অনুষ্ঠানের ওপর জোর দেওয়া হয়। এছাড়া সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে আগামী ১৮ মে অনুষ্ঠিতব্য মানবাধিকার কমিশনের জরুরি সভায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। দূতাবাস স্থানান্তরের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনকে ওআইসি’র পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো এবং অন্য কোন সদস্য রাষ্ট্র যাতে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ না করে সে বিষয়ে কূটনৈতিকভাবে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়েও সভায় আলোচনা হয়। 
#
অনসূয়া/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৮/১০৩০ ঘণ্টা  
 
তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ১৫১৭ 
পবিত্র রমজান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ মে) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র রমজান উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“পবিত্র রমজান উপলক্ষে দেশবাসী ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর প্রতি জানাচ্ছি আমার আন্তরিক মোবারকবাদ।
রমজান আত্মসংযম, অনুকম্পা ও ক্ষমা লাভের মাস। এ মাসে ত্যাগ স্বীকারের শিক্ষার মাধ্যমে আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটে ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর নৈকট্য লাভের সুযোগ হয়।
পবিত্র রমজানের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যাবতীয় ভোগবিলাস, হিংসা-বিদ্বেষ, উচ্ছৃঙ্খলতা ও সংঘাত পরিহার করে ব্যক্তিগত ও সমাজ জীবনে শান্তি, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাই।
আসুন, আমরা সকল প্রকার অকল্যাণ বর্জন করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় পরস্পরকে সহযোগিতা করি। জীবনের সর্বস্তরে ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষা করি।
মহান আল্লাহ আমাদের জাতীয় জীবনে পবিত্র রমজানের শিক্ষা কার্যকর করার তাওফিক দান করুন। আমিন। 
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/সুবর্ণা/আসমা/২০১৮/১০৪৫ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                                নম্বর : 1516

পবিত্র রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১ মে) :  

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : 

"সংযম ও সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান আমাদের মাঝে সমাগত। মাহে রমজান উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ মুসলিম উন্মাহকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।   

সংযম, আত্মশুদ্ধি ও ক্ষমা লাভের মাস মাহে রমজান। অশেষ রহমত, বরকত, মাগফেরাত ও নাজাতের এ মাস মহান আল্লাহর নৈকট্য, শান্তি এবং তাকওয়া অর্জনের অপূর্ব সুযোগ এনে দেয়। যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সমগ্র মুসলিম উন্মাহ এ মাসটি পালন করে থাকে। ক্ষমা ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের মানসে মুসল্লিরা ফরজ ইবাদতের পাশাপাশি সেহরি, ইফতার, তারাবিসহ রাত জেগে নফল ইবাদতে মশগুল থাকেন। আত্মশুদ্ধির পাশাপাশি সিয়াম ধনী-গরিব সকলের মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা পালন করে। রমজানের পবিত্রতা সকলের মাঝে উদ্ভাসিত হোক- এ কামনা করি।

আমি আশা করি সবাই রমজানের পবিত্রতা ও তাৎপর্য অনুধাবন করে ব্যক্তি ও সমাজজীবনে এর সঠিক প্রতিফলন ঘটাবেন এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে অবদান রাখবেন। রমজানের সংযম ও আত্মশুদ্ধির মহান শিক্ষা সমাজের সকল স্তরে ও সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক - এই প্রার্থনা করি। পরম করুণাময় মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। 

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।" 

#

হাসান/অনসূয়া/সুবর্ণা/আসমা/২০১৮/1045 ঘণ্টা

 

Todays handout (7).docx