তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫২৪
প্রতিবন্ধিতা ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক
২য় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ঢাকা ঘোষণা প্রকাশ
ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ ম)ে :
৯ দফা কর্মপরিকল্পনাসহ প্রতিবন্ধিতা ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ২য় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ঢাকা ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা প্রকাশ করা হয়। সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে প্রথমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম এর কাছে ঘোষণার কপি হস্তান্তর করা হয়। পরে মন্ত্রী এ ঘোষণার কপি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করেন।
ঘোষণায় প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, গবেষণা, জরিপ, প্রতিবন্ধীবান্ধব সরকার, প্রতিবন্ধীদের জন্য বেসরকারি পর্যায়ে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, পরস্পর তথ্য আদান-প্রদান, প্রতিবন্ধীদের জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি ইত্যাদির উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। ঘোষণায় বলা হয়, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে অন্তত ২০টি দেশ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য উন্নত কর্মপরিবেশ ও জীবনযাপনের পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করবে। সম্মেলনে ২০১৫ সালের ৮-দফা ঢাকা ঘোষণার অগ্রগতি উল্লেখ করা হয়।
স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী এ ঘোষণাকে অত্যন্ত কার্যকর হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আগামী দিনের দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় গাইডলাইন প্রণয়নে এ ঘোষণা পথনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী সমাজের অবহেলিত মানুষ। কিন্তু এরা সমাজ ও পরিবারের বোঝা হয়ে থাকতে চায় না। নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে এরা মর্যাদার সাথে বসবাস করতে চায়। এর জন্য এরা সমাজ ও পরিবারের সহানুভূতি আশা করে। তিনি বলেন, দুর্যোগ সহনশীল জাতি গঠন সরকারের মূল লক্ষ্য। তিনি আশা করেন এ সম্মেলন প্রতিবন্ধী লোকদের নতুন আলোয় উদ্ভাসিত করবে। সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান মন্ত্রী।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ্ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম, পাপুয়া নিউগিনির ইন্টার-গভর্নমেন্ট রিলেশন বিষয়ক মন্ত্রী কেভিন ইসিফু এমপি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ রিয়াজ আহমেদ, প্রোগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক সত্যব্রত সাহা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় প্রতিবন্ধিতা ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আন্তর্জাতিক ফোকাল পয়েন্ট সায়মা হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে মোট ৫টি প্লেনারি সেশন, ১৪টি সাইড সেশনসহ ৪টি বিশেষ সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৭টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। বিভিন্ন সেশনে ১৬ জন মন্ত্রী উপস্থিত থেকে মূল্যবান মতামত প্রদান করেন। এতে ৩৪টি দেশের ১১২ জন বিদেশি অতিথি অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনের কয়েকটি সেশনে প্রতিবন্ধিতা ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আন্তর্জাতিক ফোকাল পয়েন্ট সায়মা হোসেন অংশগ্রহণ করেন।
#
দেওয়ান/মাহমুদ//সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫২৩
ফিল্ম আর্কাইভের ৪০ বছর পূর্তিতে তথ্যমন্ত্রী
সরকারি দপ্তরে জঙ্গি-রাজাকারের অনুচরের স্থান নেই
ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ ম)ে :
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, 'সরকারে যেমন আর কখনো রাজাকার-সন্ত্রাসীদের স্থান দেয়া যাবে না, সরকারি দপ্তরগুলোতেও তেমনি জঙ্গি-রাজাকারের অনুচরদের স্থান হবে না।'
ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের ৪০ বছর পূর্তিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আজ তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন। ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক শচীন্দ্র নাথ হালদারের সভাপতিত্বে তথ্যসচিব আবদুল মালেক এবং চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় বক্তৃতা করেন।
দেশের চলচ্চিত্র জগতের ইতিহাসের দিকে দৃষ্টিপাত করে তথ্যমন্ত্রী জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পথে একদিকে যেমন জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম চালিয়েছেন, আরেকদিকে গড়েছেন শিল্প-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক আন্দোলন। অসাধারণ দূরদৃষ্টিতে তিনি ঢাকায় এফডিসি প্রতিষ্ঠা করে বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাণের দিগন্ত উন্মোচন করেন। ‘সেই জাতির পিতার কন্যাও সংস্কৃতিচর্চায় পরম যতœবান’ উল্লেখ করে ইনু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই আজ দেশের ফিল্ম আর্কাইভ এখন বিশ্বমানের। আর ২০২১ সালের বিশ্ব ফিল্ম আর্কাইভ কংগ্রেস ঢাকায় আয়োজনের সম্মান দেশের একটি বড় অর্জন।
তথ্যসচিব আবদুল মালেক বলেন, ফিল্ম আর্কাইভ ইতিহাস, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সংযোগ। এই সংযোগ কাজে লাগিয়ে সরকার দেশের ঐতিহ্য ও কৃষ্টি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে প্রখ্যাত অভিনেত্রী রোজিনা, চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম, গবেষক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা, দিলারা প্রমুখ সভায় অংশ নেন।
সভাশেষে প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহার, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আবুয়াল হোসেন, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোঃ রফিকুজ্জামান, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইসতাক হোসেনসহ কর্মকর্তাবৃন্দ আর্কাইভের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুপম হায়াতের প্রবন্ধের ওপর সেমিনারে অংশ নেন।
এর আগে ভবন চত্বরে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে ৪০ বছরপূতির্র আয়োজন উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী।
আগারগাঁওয়ের এ নতুন আর্কাইভ ভবনের মিলনায়তনে আজ সকালে ও সন্ধ্যায় ছিল চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।
#
আকরাম/মাহমুদ/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫২০
আগামী অর্থবছর থেকে প্রতিবছর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট
ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ ম)ে :
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে প্রতিবছর শিক্ষার্থীসহ তরুণ-তরুণীদের (অনুর্ধ্ব- ১৭) জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনুর্ধ্ব-১৭) শীর্ষক ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার আজ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ তথ্য প্রকাশ করেন। এসময় যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, যুব ও ক্রীড়া সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মোঃ সালাহউদ্দিন ও সহসভাপতি বাদল রায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান প্রতিবছর টুর্নামেন্টটি আয়োজনের জন্য আনুমানিক সাড়ে চৌদ্দ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। টুর্নামেন্টের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে আনুমানিক ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩০ জন, জেলা পর্যায়ে ১৪ হাজার ৭২০ জন, বিভাগীয় পর্যায়ে ১ হাজার ৮৪০ জন এবং জাতীয় পর্যায়ে ৩৬৮ জন খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার তত্ত্বাবধানে উপজেলা পর্যায়ে নির্মাণাধীন শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামগুলোতে এ টুর্নামেন্টটি প্রতিবছর আয়োজন করা হবে।
উপজেলা পর্যায়ের ‘সেরা ১১’ খেলোয়াড়দের নিয়ে জেলা পর্যায়ের খেলাসমূহ অনুষ্ঠিত হবে। এর পর জেলা পর্যায়ের ‘সেরা ১১’ খেলোয়াড়দের নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ের খেলাসমূহ অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় পর্যায়ের ‘সেরা ১১’ খেলোয়াড়দের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত খেলাসমূহ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলের জন্য ট্রফি, মেডেল ও আর্থিক পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকবে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ টুর্নামেন্টের সফল বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।
#
শফিকুল/মাহমুদ/রফিকুল/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫১৯পবিত্র রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৩ জ্যৈষ্ঠ (১৭ মে) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
"সংযম ও সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান আমাদের মাঝে সমাগত। মাহে রমজান উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ মুসলিম উন্মাহকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।
সংযম, আত্মশুদ্ধি ও ক্ষমা লাভের মাস মাহে রমজান। অশেষ রহমত, বরকত, মাগফেরাত ও নাজাতের এ মাস মহান আল্লাহর নৈকট্য, শান্তি এবং তাকওয়া অর্জনের অপূর্ব সুযোগ এনে দেয়। যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সমগ্র মুসলিম উন্মাহ এ মাসটি পালন করে থাকে। ক্ষমা ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের মানসে মুসল্লিরা ফরজ ইবাদতের পাশাপাশি সেহরি, ইফতার, তারাবিসহ রাত জেগে নফল ইবাদতে মশগুল থাকেন। আত্মশুদ্ধির পাশাপাশি সিয়াম ধনী-গরিব সকলের মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা পালন করে। রমজানের পবিত্রতা সকলের মাঝে উদ্ভাসিত হোক- এ কামনা করি।
আমি আশা করি সবাই রমজানের পবিত্রতা ও তাৎপর্য অনুধাবন করে ব্যক্তি ও সমাজজীবনে এর সঠিক প্রতিফলন ঘটাবেন এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে অবদান রাখবেন। রমজানের সংযম ও আত্মশুদ্ধির মহান শিক্ষা সমাজের সকল স্তরে ও সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক - এই প্রার্থনা করি। পরম করুণাময় মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।"
#
হাসান/অনসূয়া/সুবর্ণা/আসমা/২০১৮/1045 ঘণ্টা