তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬০৯
সেদিন জাতি সঠিক নেতৃত্ব পেলে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা ১৫ সেকেন্ডও টিকতে পারতো না
- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নৃসংসভাবে হত্যা করা হলেও বাঙালি কিন্তু সেদিন বঙ্গবন্ধুকে ভুলে যায়নি। হয়ত তারা সেদিন স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল। সেদিন যদি বাঙালি জাতি সঠিক নেতৃত্ব পেত, তাহলে খুনিরা ১৫ সেকেন্ডও টিকতে পারতো না। তিনি বলেন, সেদিন যাদের নেতৃত্ব দেওয়া উচিত ছিল, যারা নেতৃত্ব দিলে মানুষ রাস্তায় নেমে যেতো, তারা বাঙালি জাতির সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে। এটি অস্বীকার করার কিছু নেই।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা সেদিন খুনি মোশতাকের সঙ্গে গিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছিল, শুধু তারাই যদি সেদিন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে না যেত, তাহলেই খুনিরা টিকতে পারেতো না।
আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। কারণ তিনি বাঙালির বন্ধু ছিলেন। বাঙালিকে তাদের অধিকার ও স্বাধিকার সম্বন্ধে শিখিয়েছেন। তাদের জন্য সারাজীবন আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন এবং স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তাঁর সারা জীবনের চিন্তা-ধারা ও আদর্শ তিনি সংবিধানে সন্নিবেশ করে গেছেন।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার কাজ নিম্ন আদালতে শেষ হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাসী। তাই আইনের শাসনের যে প্রক্রিয়া সেটা অনুসরণ করা হচ্ছে। যতদূর জানি, এখন হাইকোর্ট বিভাগে এই মামলার আপিল শুনানি চলছে। আশা করি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে হাইকোর্টে এই মামলার শুনানির কাজ শেষ হবে। সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। এ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
আলোচনা সভায় আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোঃ মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক উম্মে কুলসুম, আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজ আহমেদ চৌধুরী এবং যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, মো. শাহিনুর ইসলাম, ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন, কাজী আরিফুজ্জামান ও শেখ গোলাম মাহবুব সহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠান শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নৃশংস হত্যাকণ্ডের শিকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
#
রেজাউল/এনায়েত/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/২১২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬০৮
বছরে দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন করতে হবে
--- কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট):
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশে বছরে ৮৫ লাখ বেল তুলার প্রয়োজন হয়, আর উৎপাদন হয় ২ লাখ বেল। চাহিদার কমপক্ষে ২০ শতাংশ বা ১৫ লাখ বেল তুলা দেশে উৎপাদন করার সুযোগ রয়েছে। সেলক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নিয়ে কাজ করতে হবে। হাইব্রিড ও বিটি তুলার চাষ করতে পারলে বছরে দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব হবে।
আজ রাজধানীর ফার্মগেটে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের (সিডিবি) মিলনায়তনে দেশে প্রথমবারের মতো বিটি তুলার ২টি জাতের অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে তুলার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আগামীতে আরো বাড়বে। বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মীসহ সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে, যাতে দেশেই চাহিদার ২০ শতাংশ তুলা উৎপাদন করা যায়।
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়ার সভাপতিত্বে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোঃ বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, সিডিবির অতিরিক্ত পরিচালক শেফালী রানী মজুমদার বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিডিবির নির্বাহী পরিচালক ফখরে আলম ইবনে তাবিব। তিনি জানান, দেশে প্রতিবছর প্রায় ৮৫ লাখ বেল তুলার চাহিদা রয়েছে। দেশে উৎপাদন হয় মাত্র ২ লাখ বেল। ফলে বিপুল পরিমাণ তুলা আমদানিতে বছরে ৩৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। তবে দেশে অভ্যন্তরীণ চাহিদা ১৬ লাখ বেল তুলা।
তিনি জানান, বিটি তুলা চাষ করে বিশ্বের অনেক দেশ আমদানিকারক দেশ হতে রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। বিশ্বে ১৯৯৬ সালে প্রথম বিটি তুলার চাষ করা হয় এবং আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ২০০২ সালে বিটি তুলার চাষ শুরু হয়। বায়োসেফটি গাইডলাইন অনুযায়ী সকল গবেষণা কার্যক্রম সমাপ্তির প্রেক্ষিতে, ২০২৩ সালের ৭ই মে ন্যাশনাল কমিটি অন বায়োসেফটি কর্তৃক ভারতের জে কে এগ্রি-জেনেটিক্স লিমিটেডের উদ্ভাবিত দুটি তুলার জাত জে কে সি এইচ ১৯৪৭ বিটি এবং জে কে সি এইচ ১৯৫০ বিটি মাঠ পর্যায়ে অবমুক্তির জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
প্রবন্ধে জানানো হয়, বিটি তুলার গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৪৫০০ কেজি। বিটি তুলা চাষে বলওয়ার্ম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে উৎপাদন ব্যয় ১২-১৫% কমবে এবং উৎপাদন ১৫-২০% বাড়বে। বিটি তুলা চাষে প্রাকৃতিক দূষণ কম ও কৃষকের স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই।
প্রবন্ধে আরো জানানো হয়, বর্তমানে হাইব্রিড তুলা চাষ লাভজনক। দুই বিঘা তুলা চাষে এক লাখ টাকারও বেশি আয় করতে পারেন যা বর্তমান বাজারে লাভজনক। এছাড়াও, তুলা বীজ বপনের পর প্রথম দেড় মাস স্বল্পকালীন শাক-সবব্জি (যেমন: লাল শাক, ডাটা শাক), মসলা জাতীয় ফসল (যেমন: গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ, ধনেপাতা) এবং ডাল জাতীয় ফসল (যেমন: মুগ, মাসকলাই) আবাদ করে চাষিরা বাড়তি আয় করতে পারেন।
বর্তমানে এক কেজি তুলা উৎপাদনের ফলে তিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হয় এবং প্রতি টন বীজতুলা উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে ৫ জন লোকের কর্মসংস্থান হচ্ছে। তুলা থেকে আঁশ ছাড়াও ভোজ্য তেল, খৈল ও জ্বালানি উপজাত হিসেবে পাওয়া যায়। তুলা বীজ হতে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোজ্য তেল পাওয়া যায়, যা উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ ও পুষ্টিকর। শস্যবিনাসে তুলা চাষের পর একই জমিতে বোরো ধান, আউশ ধান, ভুট্টা, মুগ, তিল বিভিন্ন এলাকায় লাভজনকভাবে আবাদ করা হচ্ছে।
এর আগে কৃষিমন্ত্রী খামার বাড়ি সড়কে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নবনির্মিত ভবন 'তুলা ভবন ' উদ্বোধন করেন।
পেঁয়াজের দামে তেমন প্রভাব পড়বে না- কৃষিমন্ত্রী
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ১৩ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছি, দেশে এসেছে মাত্র তিন লাখ টন। এর অর্থ হলো দেশেও পেঁয়াজ আছে। মাঠ পর্যায়েও খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, দেশের কৃষকদের নিকট এখনো তুলনামূলকভাবে পেঁয়াজের মজুত আছে। কাজেই, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেও দেশে পেঁয়াজের দামে তেমন প্রভাব পড়বে না। শুল্ক আরোপের ঘোষণায় এখন দাম কিছুটা বাড়লেও কয়েক দিন পর কমে আসবে।
তুরস্ক, মিশর ও চায়না থেকে পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা করা হবে বলেও এসময় জানান মন্ত্রী।
#
কামরুল/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৯৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬০৭
উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত করা আবশ্যক
--বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট):
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত করা আবশ্যক। তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ ও যোগ্য করে তুলতে পারলে দ্রুত বাংলাদেশ সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সুনিপুণ কারিগর হিসেবে তাদের গড়ে তুলতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ অনলাইনে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শের ওপর বিশেষ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু অতি অল্প সময়ের মধ্যেই ক্ষুধা-দারিদ্র্য-শোষণমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন । অর্থনৈতিক মুক্তি ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ার প্রক্রিয়া পরিকল্পনামতোই এগুচ্ছিল। কিন্তু সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে সকল উন্নয়ন স্থবির হয়ে যায়। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীদের প্রজন্মরা এখনও বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করছে। তারা বাংলাদেশকে পঙ্গু ও ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশ করতে সক্রিয় রয়েছে। এদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কর্মসূচি দিয়েছেন। তা বাস্তবায়ন করতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে যার যার অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।
মূল আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ নিয়ে আলোকপাত করেন। ১৯৭৫ সালের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের সুবিধাভোগীদের নিয়েও আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, মোঃ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য মাহমুদুল কবীর মুরাদ সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।
#
আসলাম/পাশা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৯০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬০৬
ভারতে সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির জন্য সে দেশের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের কাছে ড. মোমেনের শোক
ঢাকা, ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট):
ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
ড. মোমেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছে পাঠানো আজ এক শোকবার্তায় বলেন, ‘ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা, ভূমিধস এবং একটি মন্দির ভেঙ্গে পড়াসহ মানুষের প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মর্মান্তিক ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত।’
বন্যায় ভারত সরকারের তাৎক্ষণিক উদ্ধার তৎপরতা এবং সহায়তা কার্যক্রমের প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যুবরণকারীদের বিদেহী আত্মার চিরশান্তির জন্য আমরা প্রার্থনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সমবেদনা জানাচ্ছি। এছাড়া মন্দিরে আটকে পড়া ভক্তদের নিরাপদে উদ্ধার এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।’
ভারতের সরকার ও জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশ করে ড. মোমেন বলেন, আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি ভারত শীঘ্রই প্রাকৃতিক দুর্যোগের এই কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠবে।
#
মহসীন/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬০৫
চলচ্চিত্র আমাদের শিল্প-সংস্কৃতিকে বিশ্ব অঙ্গনে এগিয়ে নেবে
- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট):
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে আমাদের দেশে যে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা শুরু, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সেই শিল্প আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই চলচ্চিত্র আমাদের শিল্প-সংস্কৃতিকে বিশ্ব অঙ্গনেও এগিয়ে নেবে।’
আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল উপায়ে রাজধানীর গণভবন থেকে আগারগাঁওয়ে নবনির্মিত বিটিআরসি ভবন ও তথ্য কমিশন ভবন উদ্বোধন এবং তেজগাঁওয়ে বিএফডিসি কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। বিএফডিসি প্রান্ত থেকে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্যদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, চলচ্চিত্র শিল্পী-কলাকুশলী ও কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুধাবন করেছিলেন যে, বাঙালি জাতির কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে যদি সংরক্ষণ করতে হয়, বিকশিত করতে হয় তাহলে এই দেশে চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রয়োজন। সে কারণেই ১৯৫৭ সালের ৩রা এপ্রিল তিনি যখন পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ব বাঙলার শিল্পমন্ত্রী ছিলেন তখন এফডিসি কমপ্লেক্স স্থাপনের জন্য বিল উত্থাপন করেছিলেন। তার হাত দিয়েই এই বিএফডিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এবং সেই এফডিসির মাধ্যমে গত ৬৬ বছরে অনেক কালজয়ী সিনেমা যেমন নির্মিত হয়েছে, অনেক সিনেমা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রেরণা যুগিয়েছে, স্বাধীনতার পরও দেশ গড়তে উৎসাহ দিয়েছে, তেমনি অনেক গুণী শিল্পীর জন্ম হয়েছে। আমাদের কৃষ্টি, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে বিএফডিসি অনন্য অবদান রেখে চলেছে।’
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আজকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এফডিসির নতুন কমপ্লেক্স নির্মিত হতে যাচ্ছে। চলচ্চিত্র শিল্পের কল্যাণে গত ৬৬ বছরে আর কোনো বড় স্থাপনা হয়নি। আজকে যদিওবা এটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হচ্ছে ইতিমধ্যেই তিনটি বেজমেন্ট এবং একতলার কিছু অংশ নির্মাণ হয়েছে। আশা করছি আগামী ২ বছরের মধ্যে এটির নির্মাণ কাজ শেষ করে স্রষ্টার ইচ্ছায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনা আবার এই কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করবেন। এছাড়া আমরা গাজীপুরে একশ’ পাঁচ একর জায়গার ওপর বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি নির্মাণ করছি, প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের কাজের জন্য তিনশ’ আশি কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং একনেকে পাস হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, চলচ্চিত্র শিল্প ইতিমধ্যেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আমাদের সিনেমা এখন দেশের সাথে অন্যান্য দেশে একযোগে মুক্তি পায়। অনেক সিনেমা ১০-১২ টি দেশে মুক্তি পায় কিন্তু একটি সিনেমা ২১ কি ২২ টি দেশেও মুক্তি পেয়েছে। সেখানে শুধু যে বাঙালিরা দেখছে তা না, বিদেশিরাও দেখছে। চীনে, ইতালিতেও মুক্তি পেয়েছে। অনেক সিনেমা আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাচ্ছে।
হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘কলকাতার সিনেমার শিল্পের সাথে যারা যুক্ত তারা আগে মনে করতো আমরা পিছিয়ে আছি, এখন ওখানে আমাদের সিনেমা দেখার জন্য দীর্ঘ লাইন হয়। গত বছর কলকাতায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে একটি সিনেমা দেখার জন্য সেখানে প্রায় এক কিলোমিটারের কাছাকাছি লাইন হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সিনেমা ঘুরে দাঁড়িয়েছে।’
#
আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৮২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬০৪
যারা ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট ঘটায়, মানুষ পোড়ায় তাদের বর্জন ও প্রতিহত করুন
- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট):
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘যারা ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট ঘটায়, মানুষ পোড়ায়, পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ায়, যারা হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে, দেশবাসীর প্রতি আহ্বান, তাদেরকে বর্জন করুন, প্রতিহত করুন।’
তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি হত্যার রাজনীতি করে। হত্যার রাজনীতির মাধ্যমেই বিএনপির উত্থান, পথ চলা, ষড়যন্ত্র এবং তারা হত্যার রাজনীতিতেই বিশ্বাস করে। আজকে তারা লম্বা লম্বা কথা বলে, যাদের এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিত না।’
আজ রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় হত্যাকারী ও পরিকল্পনাকারীদের দ্রুত বিচারের রায় কার্যকর করার দাবিতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ সব কথা বলেন। ২১ আগস্ট আহত-নিহত পরিবারের কেন্দ্রীয় সংগঠন ‘গণতন্ত্র যোদ্ধা ২১ আগস্ট বাংলাদেশ’ এ সভার আয়োজন করে।
‘২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা বিএনপি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ও অর্থায়নে তারেক জিয়ার পরিচালনায় খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারেই পরিচালনা করা হয়েছিল’ উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল মুশতাক এবং জিয়া আর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ঘটিয়েছে তারেক জিয়া এবং খালেদা জিয়া। গ্রেনেড হামলায় তৎকালীন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আহত হয়েছেন, তার দলের ২২ জন নেতা-কর্মী নিহত, পাঁচশ’রও বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। সমগ্র পৃথিবী নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছে। কিন্তু সংসদে একটি শোক প্রস্তাব আনতে বা কোনো আলোচনাও করতে দেওয়া হয়নি। বরং হাস্যরস করা হয়েছে, বলা হয়েছে যে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাই না কি ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গেছে। অর্থাৎ ওদের কথা অনুযায়ী আমরা সবাই আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলাম।’
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘সে দিন বিদেশি সন্ত্রাসীরাও ঢাকায় এসেছিলো, এ হামলা পরিচালনার সাথে তাদেরকেও যুক্ত করা হয়েছিলো। তারা যখন শুনেছে জননেত্রী শেখ হাসিনা মারা যাননি তখন চলে গেছে। হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেড জেলখানার মধ্যে পাওয়া গেছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া সামরিক বাহিনীর গ্রেনেড জেলখানার অপরাধীদের হাতে যাওয়া সম্ভব নয়। কয়েকজন হামলাকারীকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া হলো। এইভাবে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় তারেক জিয়ার নেতৃত্বে খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা ঘটানো হয়।’
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার অন্যতম সাক্ষী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা সেদিন ভাগ্যক্রমে স্রষ্টার কৃপায় বেঁচে গেছেন। বুলেটপ্রুফ গাড়ি যদি না থাকতো, বাঁচার কোনো উপায় ছিলো না। আমার শরীরে চল্লিশ থেকে পঁয়তাল্লিশটা স্প্রিন্টার আছে, অনেকের পাঁচশ’-ছয়শ’ আছে। ফেরদৌসী, কাজল আরো অনেকেই আছেন যারা পাঁচশ’-ছয়শ’ স্প্রিন্টার নিয়ে বেঁচে আছেন, পঙ্গু হয়ে গেছেন। এবং এত ভয়াবহ হামলা ও হত্যাকাণ্ডের বিচার তো হয়ইনি বরং বিচারপতি জয়নুল আবেদীনকে দিয়ে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল যে কমিশন গাঁজাখুরি রিপোর্ট দিলো যে ইসরাইলের ‘মোসাদ’ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বিচারের নামে ‘জজ মিয়া’ নাটক সাজিয়ে তখন জাতিকে বোকা বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হামলার পরে আমাদের নেতাকর্মীরা আহতদের উদ্ধারে, নিহতদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য এলে তাদের ওপর টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়। মামলার আলামত নষ্ট করার জন্য হামলার স্থান পানি দিয়ে ধুয়ে দেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর একজন অফিসার মেজর শামস আলামত হিসেবে একটি গ্রেনেড রেখে দেওয়ায় তাকে সেনাবাহিনী থেকে সাসপেন্ড করা হয়। সে এক সময় ছাত্রলীগ করত, সে এখন রাজউকের বোর্ড মেম্বার। এগুলোই তো প্রমাণ যে খালেদা জিয়া এবং তারেক জিয়া মিলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই দেশের মালিক এই দেশের মানুষ। এই দেশের ক্ষমতার মালিক এই দেশের মানুষ। এখানে কে ক্ষমতায় থাকবে, কে ক্ষমতায় থাকবে না সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এই দেশের মানুষ, অন্য কোনো দেশ নয়, অন্য কেউ নয়। আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। আওয়ামী লীগ এমন একটা দল যে, আঘাত পেলে সংগঠিত হয়, ঘুরে দাঁড়ায়, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পর তারা ভেবেছিল আওয়ামী লীগ আর আগের মতো দাঁড়াতে পারবে না, কিন্তু আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার ধমনী-শিরায় বঙ্গবন্ধুর রক্তস্রোত প্রবাহমান, যে রক্ত আপস জানে না, পরাভব মানে না। আমরা ভেঙে পড়বো কিন্তু কোনদিন মচকাবো না, প্রয়োজনে মৃত্যুকে বরণ করবো। জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে রাজনীতির মাঠে নেমেছি, মৃত্যুকে আলিঙ্গন করবো, পরাজিত হবো না কোনদিন।’
‘গণতন্ত্র যোদ্ধা ২১ আগস্ট বাংলাদেশ’ সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান নাজিমের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মোল্লা আবু কাওসার, অ্যাড. কাজী শাহানারা ইয়াসমিন প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।
#
আকরাম/পাশা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬০৩
মানুষের জীবনধারায় ডিজিটাল সংযুক্তি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে
- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ঢাকা, ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট):
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ফলে মানুষের জীবনধারায় ডিজিটাল সংযুক্তি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। তৃণমূল থেকে শুরু করে জলে - স্থলে -অন্তরীক্ষে ডিজিটাল সংযুক্তি ও ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বিটিআরসি অভাবনীয় ভূমিকা পালন করে চলেছে। গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে ডিজিটাল সংযুক্তির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি ৭০ হাজার ৬৩ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে।
ঢাকায় আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক বিটিআরসির নবনির্মিত দৃষ্টিনন্দন ভবন উদ্বোধন পরবর্তী আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিটিআরসির সাবেক চেয়ারম্যন সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ, ড. শাহজাহান মাহমুদ ও জহুরুল হক, বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ এবং প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ও বর্তমান কমিশনারগণ ও মহাপরিচালকবৃন্দ অনুষ্ঠানে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ডিজিটাল সংযুক্তি ও ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের বিশাল কর্মযজ্ঞ পরিচালনার হাব হিসেবে নবনির্মিত টেলিযোগাযোগ ভবনের উদ্বোধনের এই মাহেন্দ্র ক্ষণটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রার মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে উল্লেখ করে বলেন, বিটিআরসি প্রতিষ্ঠার ২১ বছর পর নিজস্ব আইকনিক ভবনে প্রতিষ্ঠানটি স্থানান্তরিত হলো। ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল ভিত্তি ডিজিটাল সংযুক্তি। ডিজিটাল বাংলাদেশের শক্তিশালী ভিত্তির ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রা শুরু হয়েছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়ন ও আইটিইউ - এর সদস্যপদ অর্জন এবং টিএন্ডটি বোর্ড গঠন করার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠার বীজ বপন করেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর বপন করা বীজটি সযত্নে চারা গাছে রূপান্তর করেন। ২০০৯ সাল থেকে সাড়ে চৌদ্দ বছরে চারাগাছটি বিরাট এক মহিরুহে রূপান্তর লাভ করেছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
২০০৯ সালে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইদথের ব্যবহার ছিল ১০ জিবিপিএস বর্তমানে তা ৪৮৬৫ জিবিপিএস অতিক্রম করেছে। ২০০৮ সালে এক এমবিপিএস ব্যান্ডউইদথের দাম ছিল ২৭০০০/ টাকা, যা একদেশ এক রেটের আওতায় বর্তমানে ৬০ টাকা মাত্র। ২০০৯ সালে টেলিযোগাযোগ খাত থেকে মোট রাজস্ব আয় ছিল ৩৬০৭ কোটি টাকা বর্তমানে তা ৭০ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করেছে। ২০০৯ আন্তর্জাতিক ব্রডব্যান্ড ক্যাপসিটি ছিল পঁয়তাল্লিশ জিবিপিএস বর্তমানে তা ছয় হাজার জিবিপিএস অতিক্রম করেছে। ২০০৯ সালে ফাইভার অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক ছিল ১৪ হাজার ৮৭৬ কিলোমিটার বর্তমানে তা ১ লাখ ৬১ হাজার ৯৬৬ কিলোমিটারে উন্নীত হয়েছে। ২০০৯ সালে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন ছিল শুন্য বর্তমানে চাহিদার শতকরা সাতানব্বই ভাগ দেশে স্থাপিত ১৫টি মোবাইল কারখানা থেকে উৎপাদিত হচ্ছে। দেশে শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকা ফোরজি মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আইকনিক এই ভবনটি ডিজিটাল সংযুক্তি ও ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের মাইলফলক ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
#
শেফায়েত/পাশা/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৮২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬০২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবনির্মিত ‘তথ্য কমিশন ভবন’ এর উদ্বোধন করেন
ঢাকা, ৫ ভাদ্র (২০ আগস্ট):
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সংবলিত ১৩ তলা বিশিষ্ট তথ্য কমিশন ভবন উদ্বোধন করেছেন। ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তথ্য কমিশন প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক, সাবেক তিন প্রধান তথ্য কমিশনার, দুই তথ্য কমিশনার এবং কমিশন সচিব জুবাইদা নাসরীনসহ আমন্ত্রিত অতিথিগণ।
২০০৯ সালে তথ্য কমিশন গঠনের পর অস্থায়ী অফিসেই কমিশনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী তথ্য কমিশনের নিজস্ব ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেন এবং আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকায় শূন্য দশমিক ৩৫ একর জমি বরাদ্দ দেন। ২৪ এপ্রিল, ২০১৯ তারিখে ৭৫ কোটি ৪ লাখ ৫৮ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে তথ্য কমিশন ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ৩০ জুন ৭১ কোটি ৬৭ লাখ ৯ হাজার টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন ভবনটি নির্মাণ করা হয়।
নবনির্মিত তথ্য কমিশন ভবনটিতে রয়েছে ৭ হাজার ৮৬৬ দশমিক ৪০ বর্গমিটার ফ্লোর স্পেস, এজলাস কক্ষ, ৩০০ আসন বিশিষ্ট শীতাতপ অডিটোরিয়াম, ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, প্রশিক্ষণার্থীদের অবস্থানের জন্য ডরমেটরি, বনায়ন স্পেস, আধুনিক ফায়ার প্রটেকশন সুবিধা, ১৩ স্টপ প্যাসেঞ্জার লিফ্ট, ৩ স্টপ কার লিফ্ট, কার পার্কিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ১২৫০ কেভিএ সাব স্টেশন ও ৪০০ কেভিএ জেনারেটর, নিজস্ব পাম্প হাউজ এবং ডিপ টিউবওয়েল, ডিজিটাল লাইব্রেরি, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা এবং সার্বক্ষণিক ওয়াইফাইসহ অন্যান্য প্রযুক্তিগত সুবিধা।
ভবনটি নির্মাণের ফলে জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিতকরণে তথ্য কমিশন সুন্দর ও মনোরম কর্মপরিবেশে জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে পারবে।
#
লিটন/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৭৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী &nbs