তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৩৩
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত
২২ মে পবিত্র শবেবরাত
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে):
আজ (৭ মে) দেশের কোথাও শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামীকাল ৮ মে রজব মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং আগামী ৯ মে সোমবার থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে। প্রেক্ষিতে, আগামী ১৪ শাবান ১৪৩৭ হিজরি, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩ বঙ্গাব্দ এবং ২২ মে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ রোববার দিবাগত রাতে সারাদেশে পবিত্র শবেবরাত পালিত হবে।
আজ সন্ধ্যায় বায়তুল মুকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়য়ের যুগ্মসচিব ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সদস্য মো. আমজাদ আলী।
সভায় অতিরিক্ত প্রধান তথ্য অফিসার মোহাম্মদ ইসতাক হোসেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব
মো. নুরুল ইসলাম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব মো. অহিদুল ইসলাম, ওয়াক্ফ প্রশাসক ফয়েজ আহমেদ ভূঁইয়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব শাফায়াত মাহবুব, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মজিবুর রহমান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক (প্রশাসন) মো. সাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবদুর রহমান, স্পারসোর সিএসও মো. শাহ আলম, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার উপাধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবদুর রশীদ, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ও চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শেখ নাঈম রেজওয়ান উপস্থিত ছিলেন।
#
শায়লা/আফরাজ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৬/২০৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৩২
স্মার্টসিটির সকল বৈশিষ্ট্যই পূর্বাচলে থাকবে
-- গণপূর্ত মন্ত্রী
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ), ২৪ বৈশাখ (৭ মে):
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, একটি স্মার্টসিটির সকল বৈশিষ্ট্যই পূর্বাচলে থাকবে। এ শহরকে পরিবেশবান্ধব ও অত্যাধুনিক দৃষ্টিনন্দন শহর হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানকার সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্টে ১৩০ থেকে ১৪০ তলাবিশিষ্ট আইকন টাওয়ার নির্মাণের জন্য জমি লিজ প্রদানের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। নাগরিক সেবা ও অন্যান্য সুবিধার জন্য ভিন্ন কোনো সংস'ার ওপর নির্ভর না করে এ শহরের জন্য পৃথক ব্যবস'া রাখা হচ্ছে।
মন্ত্রী আজ নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের পূর্বাচলে ইউসুফগঞ্জ হাইস্কুল এন্ড কলেজের নতুন ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মধ্যে পূর্বাচল ১নং সেক্টরে রাজউকের নিজস্ব অর্থে এ স্কুল ও কলেজ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, পূর্বাচলে পানীয়জলের জন্য পৃথক পানি পরিশোধানাগার স'াপন করা হচ্ছে। শীতলড়্গ্যা নদীর পানি পরিশোধন করে এখানকার বাসিন্দাদের জন্য সরবরাহ করা হবে। ঢাকা শহরে স্যুয়ারেজ লাইন নেই। পানি নিষ্কাশন লাইনের সাথে মানববর্জ্য অপসারণ লাইন যোগ করে দেয়া হয়েছে। এসব বর্জ্য নদী ও শহরের লেকে ফেলা হচ্ছে। ফলে বুড়িগঙ্গা নদী ও শহরের লেকগুলো দূষিত হয়ে গেছে। পূর্বাচলের জন্য পৃথক স্যুয়ারেজ লাইন ও স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট পস্ন্যান্ট স'াপন করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রানত্ম মন্ত্রিসভা কমিটি এ ট্রিটমেন্ট পস্ন্যান্ট স'াপনের বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। শীঘ্রই আনত্মর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এ পস্ন্যান্ট স'াপন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, পূর্বাচলের বৈদ্যুতিক সরবরাহ লাইন মাটির নিচে স'াপন করা হচ্ছে। বর্তমানে যে বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে তা সরিয়ে ফেলা হবে। ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপস্নাই অথরিটিকে (ডেসকো) বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন মাটির নিচ দিয়ে স'াপনের জন্য ইতোমধ্যেই বিদ্যুৎ বিভাগ নির্দেশ দিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, একটি প্রকল্প দীর্ঘদিন চলতে পারে না। পূর্বাচল প্রকল্পের মেয়াদ প্রায় ২২ বছর হয়েছে। তাই ২০১৮ সালের মধ্যে এ প্রকল্পের অবকাঠামো উন্নয়নের সকল কাজ শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বিদ্যালয়ের ফলক উন্মোচন করেন এবং বিভিন্ন কড়্গ ঘুরে দেখেন।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপড়্গের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য গোলাম দসত্মগীর গাজী, বীর প্রতীক ও রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা বক্তৃতা করেন।
উলেস্নখ্য, প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪ হাজার ৪৪০ বর্গফুট আয়তনবিশিষ্ট ইউসুফগঞ্জ হাইস্কুল এন্ড কলেজের দোতলা এ ভবন রাজউক নির্মাণ করেছে। ছয়তলা ভবন নির্মাণের জন্য এর ভিত্তি দেয়া হয়েছে। পূর্বাচলে বিভিন্ন স'ানে পাঁচটি বিদ্যালয় স'াপন করা হবে। এজন্য প্রায় ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
#
কিবরিয়া/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৯৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৩১
প্রধানমন্ত্রী জঙ্গিদমনে বদ্ধপরিকর
--তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে):
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, জঙ্গিদমনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছার কোনো ঘাটতি নেই। সভ্যতা ও মানবসমাজ রড়্গায় গুপ্তহত্যাকারী-জঙ্গিসন্ত্রাসী দানবদের ধ্বংস করতেই হবে। এদের পড়্গে কেউ ওকালতি করবেন না, নির্ভয়ে এদের মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হোন।
মন্ত্রী আজ রাজধানীতে বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ড. মো. আনোয়ার হোসেন রচিত ‘অননত্ম আমরা চুপ থাকব না’ বইয়ের পাঠ উন্মোচন ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি, বস্নগার হত্যা ও সমসাময়িক রাজনৈতিক-সামাজিক প্রেড়্গিত নিয়ে লেখা এ বইটির প্রকাশনা সংস'া ‘মত ও পথ’ এর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিড়্গাবিদ অধ্যাপক অজয় রায়। সংসদ সদস্য শিরিন আখতার ও র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সাবেক সচিব ও কথাসাহিত্যিক রণজিৎ কুমার বিশ্বাস, দৈনিক সমকালের সহযোগী সম্পাদক অজয় দাশগুপ্ত, চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম এবং সাংবাদিক ও লেখক ইমতিয়ার শামীম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। বক্তৃতায় গুপ্তহত্যা ও জঙ্গিসন্ত্রাসের সুষ্ঠু তদনত্ম ও যথাযথ বিচারের দাবি জানান তারা।
এসময় গুপ্তহত্যাকারী-জঙ্গিসন্ত্রাসীদের মুক্তচিনত্মা ও দেশজ সংস্কৃতির শত্রম্ন বলে বর্ণনা করে হাসানুল হক ইনু বলেন, একাত্তর, পঁচাত্তর, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, আগুনসন্ত্রাসের ঘাতক জঙ্গিচক্রই গুপ্তহত্যাকারী। এরা দেশ, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মানবতা, দেশজ সংস্কৃতি ও ধর্মবিরোধী নরঘাতকের দল। দেশ স্বাধীন করতে যেমন হানাদার পাকিসত্মানিদের বিদায় করতে হয়েছে, তেমনি আধুনিক দেশ গড়তে গুপ্তহত্যাকারী-জঙ্গিসন্ত্রাসী ও তাদের দোসরদের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন রচিত বইটিতে ২০১২ সালের শেষ থেকে ২০১৫ সালের মাঝামাঝি অবধি লেখা ১৭টি প্রবন্ধ সংকলিত হয়েছে।
বক্তৃতার পাশাপাশি জয়নত্ম চট্টোপাধ্যায়, ড. শাহাদত হোসেন নীপুসহ বিশিষ্ট আবৃত্তিকারদের কবিতাসমৃদ্ধ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডালিয়া আহমেদ।
#
আকরাম/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫৩০
চাল গম সংগ্রহে শুধু কাগজ বেচা কেনা চলবে না
-- ভূমিমন্ত্রী
ঈশ্বরদী (পাবনা), ২৪ বৈশাখ (৭ মে):
ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, বিগত সময়ে চাল, গম প্রকিউরমেন্টে শুধু কাগজ বেচা কেনা হতো। কিন' এখন থেকে শুধু কাগজ বেচা কেনা চলবে না।
মন্ত্রী আজ পাবনার ঈশ্বরদী শেরশাহ রোডে মন্ত্রীর বাসভবনের আঙিনায় সুধী সমাবেশে মতবিনিময়কালে একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কৃষকের কার্ডে গম জমা হবে এবং কৃষকের একাউন্টে সেই গমের মূল্য পৌঁছে যাবে। সিন্ডিকেট বাণিজ্য চিরতরে বন্ধ হবে। চলতি বছরের মে’র ৩১ তারিখ পর্যনত্ম গম প্রকিউরমেন্ট চলবে। তিনি প্রকৃত কৃষকের কাছে গমের মূল্য পরিশোধে সংশিস্নষ্ট সকলকে আনত্মরিক থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দুর্নীতিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা দিয়েছে। দরিদ্রদের জন্য সরকারের দেয়া অনুদান কেউ মেরে খেলে তার বিরম্নদ্ধে কঠোর ব্যবস'া নেয়া হবে। সরকার গমের বর্তমান বাজার দরের চেয়েও বেশি দর দিয়ে সাধারণ কৃষকের কাছ থেকে গম কিনছে।
মন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেট বাণিজ্য চলবে না, চলতে দেয়া হবে না। ঘুষ, দুর্নীতি বন্ধ করতেই সরকার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে গম কিনে নিচ্ছে।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিল মাহমুদ, ঈশ্বরদী উপজেলা চেয়ারম্যান মখলেছুর রহমান মিন্টু, ঈশ্বরদী আওয়ামী লীগের সভাপতি আনিসুন্নবী বিশ্বাস এবং পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক বশীর আহমেদ এসময় উপসি'ত ছিলেন।
#
রেজুয়ান/আফরাজ/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫২৯
এনজিওগুলোকে দেশের জন্য কাজ করতে হবে
-- মহিলা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে):
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে এনজিওর মাধ্যমে যে পরিমাণ অর্থ এ দেশে এসেছে তার সঠিক ব্যবহার হলে বাংলাদেশ অনেক আগেই দারিদ্র্যমুক্ত হতে পারত। আমরা যদি ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে চাই তাহলে সরকারি ও বেসরকারি সংস'াসমূহকে একযোগে কাজ করতে হবে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। বিদেশি দাতাদের খুশি না করে দেশের জনগণের খুশির জন্য কাজ করতে তিনি এনজিওদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে ঢাকা জেলা এনজিও পরিষদের আয়োজনে দু’দিনব্যাপী ঢাকা জেলার এনজিও মেলা উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
ঢাকার জেলা প্রশাসক সালাউদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে তত্তা্ববধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, সাবেক উপদেষ্টা ও গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক ও ঢাকা জেলা এনজিও মেলার আহ্বায়ক আকলিমা খাতুন বক্তৃতা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এনজিও’র মাধ্যমে যেন কোনো জঙ্গিবাদ বিসত্মার না করতে পারে সেদিকে গভীরভাবে লড়্গ্য রাখতে হবে।
সভায় বক্তাগণ বলেন, এমডিজি অর্জনে সরকারের পাশাপাশি এনজিওগুলো যেমন গুরম্নত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে তেমনি এসডিজি অর্জনেও সরকারের পাশে থাকবে এনজিওগুলো। সরকারের একার পড়্গে সবকিছু করা সম্ভব নয়। নাগরিকগণকেও সাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সচেতন নাগরিক গঠনে এনজিওসমূহের ভূমিকা খুবই গুরম্নত্বপূর্ণ।
#
খায়ের/আফরাজ/সেলিম/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫২৮
একান্ত সচিবের মায়ের মৃত্যুতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে):
স্থানীয় সরকার পল্লিউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন তাঁর একান্ত সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহীমের মাতা মাহাবুবা খাতুনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
আজ এক শোকবার্তায় মন্ত্রী শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
পৃথক শোকবার্তায় এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আব্দুল মালেকও মাহাবুবা খাতুনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, মাহাবুবা খাতুন আজ বার্ধক্যজনিত কারণে পুরানো ঢাকার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে মরহুমার দাফন সম্পন্ন হয়।
#
শহিদুল/আফরাজ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৮২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫২৭
জ্ঞানভিত্তিক প্রজন্ম গঠনে একযোগে কাজ করতে হবে
-- স্পিকার
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে):
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী একটি জ্ঞানভিত্তিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন প্রজন্ম বিনির্মাণে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাদেরকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
স্পিকার আজ ঢাকার একটি হোটেলে ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘জড়ষব ড়ভ চৎরাধঃব টহরাবৎংরঃু রহ ঃযব উবাবষড়ঢ়সবহঃ ড়ভ ঐরমযবৎ ঊফঁপধঃরড়হ রহ ইধহমষধফবংয: ঈযধষষবহমবং ধহফ চৎড়ংঢ়বপঃং’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এ আহবান জানান।
স্পিকার বলেন, দেশের সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চ শিক্ষার পথ প্রশস্ত করতে মানবসেবার মহান ব্রত নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষাগ্রহণ অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে অতিমাত্রায় বাণিজ্যিক না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে বাস্তবতার নিরিখে শিক্ষা প্রদানে ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বর্তমান সমাজ ও শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্য রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, দেশের কল্যাণে শিক্ষা ও সমাজ ব্যবস্থা থেকে অবশ্যই এ বৈষম্য দূরীভূত করতে হবে। কারণ যারা বৈষম্যের শিকার তারা আমাদের সমাজের লোক। তিনি আরো বলেন, বিশ্বায়নের এ যুগে পরিবর্তিত অবস্থার সাথে বিচ্ছিন্ন না থেকে সংযুক্ত হয়ে উন্নত দেশ বিনির্মাণে আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করে যেতে হবে।
স্পিকার বলেন, সংখ্যার ভিত্তিতে শিক্ষার সফলতা নিরূপণ করা সঠিক নয়। বরং শিক্ষা গ্রহণের পর তারা সমাজ ও রাষ্ট্র্রবিনির্মাণে কতটুকু অবদান রাখছে সে বিষয়গুলো বিশেষভাবে বিবেচনায় নিতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এদেশে তরুণের সংখ্যা অনেক বেশি। তরুণরা সকল শক্তির আধার। তাই তাদের জন্য যথাযথ সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করতে হবে।
ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আব্দুর রবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান, ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের চৌধুরী, আইটি বিশেষজ্ঞ মোস্তফা জব্বার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য প্রফেসর
ড. আব্দুল হান্নান চৌধুরী সেমিনারে বক্তৃতা করেন।
#
হুদা/আফরাজ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৭৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫২৬
বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস উপলড়্গে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে):
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস উপলড়্গে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
‘‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটি উপলক্ষে আমি রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট এর সাথে সংশিস্নষ্ট সকলকে আনত্মরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট মানবসেবার এক অনন্য হিতৈষী প্রতিষ্ঠান। যুদ্ধে আহতদের সেবার মহানব্রত নিয়ে হেনরি ডুন্যান্ট কর্তৃক ১৮৬৩ সালে গঠিত এ সংগঠনটি আজ সারাবিশ্বে মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। যুদ্ধ, প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট যেকোন দুর্যোগে অসহায় মানুষের দ্রম্নত চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ তাদের বেঁচে থাকার মৌলিক উপকরণ সরবরাহ করে এ সংগঠনটি মানবসেবার যে উজ্জ্বল দৃষ্টানত্ম স'াপন করেছে, তা এক কথায় অসাধারণ। আমাদের মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং পরবর্তীকালে এ সংগঠনটি যুদ্ধাহত মানুষের পাশে থেকে আর্তমানবতার কল্যাণে কাজ করে। হেনরি ডুন্যান্ট এর জন্মদিনে এ দিবসটি উদ্যাপিত হওয়ায় বিশ্ব এ বরেণ্য ব্যক্তির প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে সক্ষম হবে এবং তাদের কার্যক্রম আরো সমপ্রসারিত করতে উদ্যোগী হবে বলে আমার বিশ্বাস।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি দেশে দুর্যোগকালীন অসহায় ও দুঃস' মানুষের কাছে তাদের সেবা পৌঁছে দিয়ে দেশবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে। এ সংগঠনটি দেশের দুর্যোগপ্রবণ এলাকার মানুষদের সক্ষমতা অর্জনে যেসব কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তা দুর্যোগ মোকাবিলায় গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি আশা করি সকল দুর্যোগে ক্ষতিগ্রসত্ম, অসহায় ও বিপন্ন মানুষের সেবায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সেবা কার্যক্রম উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।
আমি বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস-২০১৬ উপলড়্গে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৭০৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫২৫
বিশ্বকবি বরীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে):
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বকবি বরীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ও বাঙালির শৈল্পিক অহঙ্কারের এক বিশ্বব্যাপ্ত নাম। তিনি নিজের সমৃদ্ধ সাহিত্যচর্চার পরিধি দিয়ে বিস্তৃত করেছেন গোটা বাংলা সাহিত্যের পরিসর। তিনি বিশ্বসাহিত্যের উজ্জ¦লতম নক্ষত্র। তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। কালজয়ী এ কবি জীবন ও জগৎকে দেখেছেন অত্যন্ত গভীরভাবে যা তাঁর কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক, গীতিনাট্য, প্রবন্ধ ও ভ্রমণ কাহিনী, সঙ্গীত ও চিত্রকলায় সহ¯্রধারায় উৎসারিত হয়েছে।
সাহিত্য, সঙ্গীত ও শিল্পমাধ্যমের প্রতিটি শাখায় তাঁর অনায়াস বিচরণ সত্যিই বিস্ময়কর। তিনি ছিলেন শান্তির কবি, মানবতার কবি। তিনি ছিলেন প্রকৃতির চিরন্তন সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যের সাধক। ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করে তিনি বাংলা সাহিত্যের বৈশ্বিক অভিযাত্রাকে বেগবান করেছেন।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ২৪ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথের লেখনী আমাদেরকে উজ্জীবিত করেছে। তাঁর জাতীয়তাবোধ বাঙালির অনন্ত প্রেরণার উৎস। কবির প্রতি অন্তহীন ভালবাসায় ১৯৬১ সালে বৈরী পাকিস্তানি শাসকচক্রের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আমরা যেমন রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষ পালন করেছি তেমনি ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গান হয়ে উঠেছিল মুক্তিকামী বাঙালির সাংস্কৃতিক সহায়সূত্র। জীবনের প্রতিটি সমস্যা-সঙ্কট, আনন্দ-বেদনা এবং আশা-নিরাশার সন্ধিক্ষণে রবীন্দ্রসৃষ্টি আমাদের চেতনাকে স্পর্শ করে।
রবীন্দ্রনাথ ছিলেন প্রকৃতিলগ্ন ও জীবনমুখী শিক্ষাদর্শনের পথপ্রদর্শক। তাঁর শিক্ষাভাবনা আমাদের বিজ্ঞানভিত্তিক, আধুনিক শিক্ষায় অগ্রগামী হতে অনুপ্রাণিত করে। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের তিনি একান্ত আপনজন। শিলাইদহ ও পতিসর অঞ্চলেই তিনি রচনা করেছিলেন ‘ছিন্নপত্র’র সিংহভাগ এবং অসামান্য কিছু গান। এই অঞ্চলের গ্রামীণ দরিদ্র ও অন্ত্যজ শ্রেণির মানুষের জন্য তাঁর পল্লিউন্নয়ন প্রচেষ্টা আজও আমাদের কাছে অনুসরণীয় হয়ে আছে।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে কালোত্তীর্ণ এ কবির সৃষ্টিকে প্রেরণা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। কবিগুরুর অমর সৃষ্টি ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’ গানটি জাতির পিতা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করেন যা দেশের মানুষের মনে সঞ্চারিত করেছে দেশপ্রেমের নতুন প্রেরণা।
বিশ্বব্যাপী দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও বৈষম্যের বিলোপ সাধন এবং ধর্ম-বর্ণ-ভাষার বৈচিত্র্য সমুন্নত রাখতে রবীন্দ্রনাথের জীবন ও দর্শন এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের মননে বিশ্বকবির ব্যঞ্জনাময় উপস্থিতি শোষণ, বঞ্চনা, সাম্প্রদায়িকতা, সহিংসতা ও অমানবিকতা প্রতিরোধে বাঙালির অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখবে।
কবিগুরুর ১৫৫তম জন্মবার্ষিকীর সূচনালগ্নে শান্তিময় পৃথিবী গড়াই হোক আমাদের প্রত্যয়।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নূর এলাহি/আফরাজ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৬/১৭১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫২৪
বিশ্বকবি বরীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে):
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিশ্বকবি বরীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমি কবির অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যের একজন দিকপাল, উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর সাহিত্য সম্ভার যেমন বিশাল তেমনি বর্ণাঢ্য। তাঁর কালজয়ী লেখায় একদিকে ঋদ্ধ হয়েছে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, অন্যদিকে তা বিশ্বসাহিত্যের অপরিহার্য উপাদানে পরিণত হয়েছে আপন বৈভব, আঙ্গিক, বহুমাত্রিকতা আর সার্বজনীনতায়। কবির মানসপটে ছিল শিল্পের পরিশীলিত আবহ, প্রকৃতি, প্রেম, আধ্যাত্মিকতা এবং তাতে সম্মিলন ঘটে বিশ্বসভ্যতা, দর্শন ও বিজ্ঞান। রবীন্দ্রনাথ পারিপার্শ্বিক সবকিছুকে আত্মস্থ করেছেন গভীর উপলব্ধিতে এবং এর সার্থক বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন তাঁর কালোত্তীর্ণ সাহিত্যকর্মে। তিনি একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক। রবীন্দ্রনাথ কেবল তাঁর কালের কবি নন, তিনি কালজয়ী। তিনি বাংলা সাহিত্যকে পূর্ণতা দিয়েছেন, দিয়েছেন বিশ্বসমাজে উচ্চ প্রতিষ্ঠা ও মর্যাদা। শিল্প-সাহিত্যে তাঁর বিপুল অবদান আমাদের সাংস্কৃতিক সত্তার এক অপরিহার্য অংশ।
রবীন্দ্রনাথের অন্তর্নিহিত জীবনবোধ ছিল স্থির। বহু পরিবর্তনকে স্বীকার করে নিয়েও আপন আদর্শে তিনি ছিলেন অবিচল। অন্যদিকে তাঁর সৃজনশীল রূপটি ছিল চলিষ্ণু ও পরিবর্তনশীল। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন অনন্ত জীবন, চিরজীবী মানবাত্মা ও প্রকৃতির চিরন্তন সৌন্দর্যের কবি। মৃত্যুকে তিনি দেখেছেন মহাজীবনের যতি হিসেবে। জীবন-মৃত্যু ও জগৎ-সংসার তাঁর নিকট প্রতিভাত হয় এক অখ- রূপে। তাই তাঁর গানে জীবনলীলার সুর বাজে এভাবে:
আছে দুঃখ আছে মৃত্যু বিরহ-দহন লাগে
তবুও শান্তি তবু আনন্দ তবু অনন্ত জাগে।
রবীন্দ্রনাথের বিশালতা এবং তাঁর সৃষ্টির অপূর্ব মাধুর্যকে অন্তরাত্মা দিয়ে উপলব্ধি করতে হলে রবীন্দ্রচর্চার বিকল্প নেই। আমি আশা করব জগৎ-সংসারকে গভীরভাবে জানতে তরুণ প্রজন্ম রবীন্দ্র সাহিত্যে অবগাহন করবে, রবীন্দ্রচর্চায় থাকবে ব্যাপৃত। রবীন্দ্রচেতনার আলোকে সাম্য ও শান্তিময় সমাজ প্রতিষ্ঠা পাবে-মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন আরও দৃঢ় হবে-এটাই কামনা করি।
আমি ১৫৫তম রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানমালার সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
মাহমুদুল/আফরাজ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৬/১৭১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫২৪
বিশ্বকবি বরীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে):
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিশ্বকবি বরীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমি কবির অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যের একজন দিকপাল, উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর সাহিত্য সম্ভার যেমন বিশাল তেমনি বর্ণাঢ্য। তাঁর কালজয়ী লেখায় একদিকে ঋদ্ধ হয়েছে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, অন্যদিকে তা বিশ্বসাহিত্যের অপরিহার্য উপাদানে পরিণত হয়েছে আপন বৈভব, আঙ্গিক, বহুমাত্রিকতা আর সার্বজনীনতায়। কবির মানসপটে ছিল শিল্পের পরিশীলিত আবহ, প্রকৃতি, প্রেম, আধ্যাত্মিকতা এবং তাতে সম্মিলন ঘটে বিশ্বসভ্যতা, দর্শন ও বিজ্ঞান। রবীন্দ্রনাথ পারিপার্শ্বিক সবকিছুকে আত্মস্থ করেছেন গভীর উপলব্ধিতে এবং এর সার্থক বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন তাঁর কালোত্তীর্ণ সাহিত্যকর্মে। তিনি একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক। রবীন্দ্রনাথ কেবল তাঁর কালের কবি নন, তিনি কালজয়ী। তিনি বাংলা সাহিত্যকে পূর্ণতা দিয়েছেন, দিয়েছেন বিশ্বসমাজে উচ্চ প্রতিষ্ঠা ও মর্যাদা। শিল্প-সাহিত্যে তাঁর বিপুল অবদান আমাদের সাংস্কৃতিক সত্তার এক অপরিহার্য অংশ।
রবীন্দ্রনাথের অন্তর্নিহিত জীবনবোধ ছিল স্থির। বহু পরিবর্তনকে স্বীকার করে নিয়েও আপন আদর্শে তিনি ছিলেন অবিচল। অন্যদিকে তাঁর সৃজনশীল রূপটি ছিল চলিষ্ণু ও পরিবর্তনশীল। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন অনন্ত জীবন, চিরজীবী মানবাত্মা ও প্রকৃতির চিরন্তন সৌন্দর্যের কবি। মৃত্যুকে তিনি দেখেছেন মহাজীবনের যতি হিসেবে। জীবন-মৃত্যু ও জগৎ-সংসার তাঁর নিকট প্রতিভাত হয় এক অখ- রূপে। তাই তাঁর গানে জীবনলীলার সুর বাজে এভাবে:
আছে দুঃখ আছে মৃত্যু বিরহ-দহন লাগে
তবুও শান্তি তবু আনন্দ তবু অনন্ত জাগে।
রবীন্দ্রনাথের বিশালতা এবং তাঁর সৃষ্টির অপূর্ব মাধুর্যকে অন্তরাত্মা দিয়ে উপলব্ধি করতে হলে রবীন্দ্রচর্চার বিকল্প নেই। আমি আশা করব জগৎ-সংসারকে গভীরভাবে জানতে তরুণ প্রজন্ম রবীন্দ্র সাহিত্যে অবগাহন করবে, রবীন্দ্রচর্চায় থাকবে ব্যাপৃত। রবীন্দ্রচেতনার আলোকে সাম্য ও শান্তিময় সমাজ প্রতিষ্ঠা পাবে-মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন আরও দৃঢ় হবে-এটাই কামনা করি।
আমি ১৫৫তম রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানমালার সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
মাহমুদুল/আফরাজ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৬/১৭১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৫২৩
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলড়্গে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে):
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলড়্গে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেনঃ-
‘‘বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ৮ মে ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস’ পালন করছে জেনে আমি আনন্দিত।
থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত দুরারোগ্য ব্যাধি। এ রোগ প্রতিরোধে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশে এই রোগের জিন বাহকের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। বাহকে-বাহকে বিয়ে হলে দম্পতির সনত্মান থ্যালাসেমিয়া রোগী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য বিবাহযোগ্য ছেলেমেয়েরা তাদের বিবাহপূর্ব এই রোগের জিন বাহক কিনা তা জেনে নেয়া অত্যনত্ম জরম্নরি।
দুরারোগ্য ব্যাধি থ্যালাসেমিয়া এবং এর বাহকে বাহকে বিয়ে প্রতিরোধের জন্য দেশের বাড়িতে বাড়িতে, মহলস্নায় মহলস্নায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশ