Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২

তথ্যবিবরণী ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর:  ৫১৪

 

তিনজন সচিবের দপ্তর বদল

 

ঢাকা, ২৬ মাঘ (৯ ফেব্রুয়ারি) :

 

তিনজন সচিবের দপ্তর বদল করেছে সরকার। আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন নিয়োগ-১ অধিশাখার জারিকৃত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলমকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খানকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. কামাল হোসেনকে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

 

#

 

শিবলী/রাহাত/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২২৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর:  ৫১৩

 

বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে কর্মী প্রেরণ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

 

ঢাকা, ২৬ মাঘ (৯ ফেব্রুয়ারি) :

 

বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে কর্মী প্রেরণ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ সমঝোতা স্মারকের ফলে বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য গ্রিসে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হলো। একই সাথে গ্রিসে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা পর্যায়ক্রমে বৈধভাবে কাজ করার সুযোগ পাবেন।

 

আজ ঢাকার প্রবাসী কল্যাণ ভবনে উভয় দেশের মধ্যে এ সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং গ্রিসের পক্ষে গ্রিসের মিনিস্টার অভ্‌ মাইগ্রেশন এন্ড অ্যাসাইলাম মিঃ প্যানাইয়োটিস মিতারাচি স্বাক্ষর করেন। এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন এবং গ্রিসের সেক্রেটারি জেনারেল অভ্‌ মাইগ্রেশন পলিসি পেট্রোক্লস জর্জিওজিয়াডিস উপস্থিত ছিলেন।

 

এ সমঝোতা স্মারকের আওতায় গ্রিস বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর ৪ হাজার নতুন কর্মীকে সেদেশে কাজ করার সুযোগ দেবে। এ সকল কর্মীদেরকে ৫ বছর মেয়াদী অস্থায়ী ওয়ার্ক পারমিট দেয়া হবে। এ চুক্তির আওতায় কৃষি সেক্টরে সিজনাল ওয়ার্কার নেয়া হবে। পরবর্তীতে উভয় দেশ আলোচনাক্রমে চাহিদার ভিত্তিতে সেক্টরের সংখ্যা বৃদ্ধি করবে। আবেদনের সময় বৈধ ট্রাভেল ডকুমেন্ট, বৈধ ওয়ার্ক কনট্রাক্ট, অসুস্থতাজনিত ইন্স্যুরেন্স এর প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে এবং নির্ধারিত ফি ও ব্যয় বহন করতে হবে।

 

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে গ্রিক মন্ত্রী জানান, এই চুক্তিটি গ্রিসের পার্লামেন্টে অনুমোদনের মাধ্যমে শীঘ্রই বাস্তবায়ন করা হবে। এটি ইউরোপের কোনো দেশের সাথে বাংলাদেশের কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রথম সমঝোতা স্মারক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের কর্মীরা নিরাপদে গ্রিসে গিয়ে বৈধভাবে কাজ করতে পারবে।

 

গ্রিসের মিনিস্টার অভ্‌ মাইগ্রেশন এন্ড অ্যাসাইলাম মিঃ প্যানাইয়োটিস মিতারাচি বলেন, বাংলাদেশি কর্মীরা পরিশ্রমী হলেও মানব পাচারকারীরা তাদের ফাঁদে ফেলে সর্বশান্ত করছে। এ চুক্তির ফলে বাংলাদেশি কর্মীদের স্বার্থ সংরক্ষিত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

 

#

 

রাশেদুজ্জামান/রাহাত/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২২৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর:  ৫১২

 

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ অপরিহার্য

                                                                  -- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৬ মাঘ (৯ ফেব্রুয়ারি) :

 

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ অপরিহার্য। বিদ্যুৎ খাত ক্রমাগতভাবে বড় হচ্ছে। এর ব্যবস্থাপনায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ অনলাইনে ইউএস ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (ইউএসটিডিএ) ও পাওয়ার সেলের মধ্যে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের সংস্কার ও বৈদ্যুতিক গ্রিডে স্মার্ট গ্রিডের অন্তর্ভুক্তিকরণে  প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

ইউএস ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (ইউএসটিডিএ) প্রযুক্তিগত সহায়তা (TA) প্রদানের লক্ষ্যে অনুদান হিসেবে ১৪ লাখ ৯০ হাজার ৮ শত মার্কিন ডলার প্রদান করবে। প্রযুক্তিগত সহায়তাতে থাকবে স্মার্ট গ্রিড বাস্তবায়ন রোডম্যাপ, উচ্চ পর্যায়ের আইনগত, নিয়ন্ত্রণ ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যালোচনা, বিদ্যমান অবকাঠামো, স্থান ও সম্পদ মূল্যায়ন, পরিবেশগত এবং সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন, অংশীজনদের সম্পৃক্তকরণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ঝুঁকি বিশ্লেষণ। এটি প্রযুক্তিগত, আর্থিক ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিয়েও কাজ করবে। এটা বাস্তবায়ন করতে বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপকে নির্বাচন করা হয়েছে।

 

এ সময় নসরুল হামিদ বলেন, স্মার্ট রোড ম্যাপটি স্বল্প, মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের পাওয়ার সেক্টরের চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করবে এবং বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে। যুক্তরাষ্ট্রের জ্ঞান এবং ধারণার আদান-প্রদান নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে আমাদের গ্রিডকে আরো নির্ভরযোগ্য করে তুলবে।

 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্স Helen LaFave, বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের গ্লোবাল চেয়ারম্যান Hans Paul Burkner, বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের সিনিয়র পার্টনার Zarif Munir, ইউএসটিডিএ’র পরিচালক Vinai Thummalapally সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।

 

#

 

আসলাম/রাহাত/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২১২৫ ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর:  ৫১১

 

আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনায় থাকলে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত হয়

                                                             -- ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

 

ইসলামপুর (জামালপুর), ২৬ মাঘ (৯ ফেব্রুয়ারি) :

 

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনায় থাকলে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৩ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন আজ সর্বত্র দৃশ্যমান।  এ সময়ে কৃষি, খাদ্য, যোগাযোগ, শিক্ষা, প্রযুক্তি, জনগণের গড় আয় বৃদ্ধিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে আশাতীত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান গতিতে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের পূর্বেই বাংলাদেশ উন্নত দেশের পর্যায়ে পৌঁছে যাবে।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ ইসলামপুর উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নের আমতলী আফরোজা হক বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সাপধরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এক সময় ভিক্ষা করে বাংলাদেশকে চলতে হতো। এখন বাংলাদেশ অন্য দেশকে খাদ্য ও ঋণ সহায়তা প্রদান করছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। নিজস্ব অর্থায়নে ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। এসবই বাংলাদেশের সক্ষমতার নিদর্শন, যা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বের কারণে।

 

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কল্যাণে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নারী ও শিশুদের কল্যাণকে গুরুত্ব দিয়ে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শিক্ষা ভাতা; উপবৃত্তি; কমিউনিটি ক্লিনিক; গৃহহীনকে বিনামূল্যে ঘর প্রদান; আমার বাড়ি, আমার খামার; ভিজিডি; ভিজিএফ; ১০ টাকা কেজি দরে চালসহ নানাবিধ সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকার প্রতিটি নাগরিককে তার প্রয়োজন পূরণের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তিনি বলেন, সরকার জনদুর্ভোগ দূর করতে এবং ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধের লক্ষ্যে সকল ভাতা এখন অনলাইনে উপকার ভোগীদের নিকট পৌঁছে দিচ্ছে।

 

স্থানীয় উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যমুনার পশ্চিম তীরবর্তী দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে মুজিব শতবর্ষের মধ্যেই যমুনার চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ আনার ব্যবস্থা করেছেন যা এ অঞ্চলের মানুষ কল্পনাও করেনি।

 

সাপধরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মোঃ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ তমছের মণ্ডলের সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট এস এম জামাল আব্দুন নাছের চৌধুরী বাবুল, ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুস ছালাম, সহসভাপতি মুজিবুর রহমান শাহজাহান, সাপধরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

 

সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী চরাঞ্চলের শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।

 

#

 

আনোয়ার/রাহাত/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২১৪৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর:  ৫১০

 

মন্ত্রণালয় পর্যায়ে অনলাইনে প্রাপ্ত আবেদনে জলমহাল ইজারা প্রদান শুরু

 

ঢাকা, ২৬ মাঘ (৯ ফেব্রুয়ারি) :

 

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, জেলা ও উপজেলায় সাধারণ আবেদনে জলমহাল ইজারার আবেদন দাখিলের বিধান প্রবর্তন করা হলে জলমহাল ইজারার ক্ষেত্রে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিসহ সকলেই উপকৃত হবে। তিনি উন্নয়ন প্রকল্পের ন্যায় জেলা-উপজেলায় সাধারণ আবেদনে অনলাইনে জলমহাল ইজারার আবেদন দাখিলের বিধান প্রবর্তনের নির্দেশ প্রদান করেন।

 

আজ সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি জলমহাল ইজারা সংক্রান্ত কমিটির ৬৭তম সভায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এই নির্দেশ প্রদান করেন ভূমিমন্ত্রী। এ সময় ভূমি সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ উপস্থিত ছিলেন।

 

          উল্লেখ্য, ১৪২৯-১৪৩৪ বঙ্গাব্দ মেয়াদে উন্নয়ন প্রকল্পে জলমহাল ইজারার জন্য বিভিন্ন জেলার ৪৬৮টি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি অনলাইনে আবেদন দাখিল করে। আজকের সভায় নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রাপ্ত  প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, গাইবান্ধা, রাজবাড়ী, ঝিনাইদহ এবং কিশোরগঞ্জ জেলার মোট ৫৫টি প্রস্তাব ও বিবিধ ৩টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। যাচাই-বাছাই করে জেলা প্রশাসকের প্রতিবেদন ও অন্যান্য সার্বিক দিক বিবেচনা করে সরকারি জলমহাল ইজারা সংক্রান্ত কমিটি ইজারার অনুমোদন দেয়।

 

অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মোঃ আব্বাছ উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব (সায়রাত) মুহাম্মদ সালেহউদ্দীনসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, ইজারার জন্য প্রস্তাবিত জলমহাল সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকবৃন্দ এবং তাঁদের প্রতিনিধি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিজ-নিজ জেলা থেকে সভায় অংশগ্রহণ করেন।

 

#

 

নাহিয়ান/রাহাত/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২১৪৫ ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ৫০৯

 

বন্ধ হওয়া বিন্নী গার্মেন্টসের শ্রমিকদের বেতন পরিশোধে ২৫ লাখ টাকা সহায়তা দিল কেন্দ্রীয় তহবিল

 

ঢাকা, ২৬ মাঘ (৯ ফেব্রুয়ারি) :

 

বন্ধ হয়ে যাওয়া বিজিএমইএ এর সদস্যভুক্ত বিন্নী গার্মেন্টসের শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতাদি পরিশোধের জন্য  শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কেন্দ্রীয় তহবিল হতে আপদকালীন সহায়তা হিসেবে ২৫ লাখ টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। 

 

আজ রাজধানীর একটি হোটেলে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ-টিসিসি এর ৬৯তম সভার প্রাক্কালে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ’র নেতৃবৃন্দের হাতে আপদকালীন সহায়তার ২৫ লাখ টাকার চেক তুলে দেন।

 

চেক প্রদানকালে জানানো হয় ঢাকার কমলাপুরে অবস্থিত বিন্নী গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের করোনায় মৃত্যুর কারণে গত বছর ১৬ জুন কারখানাটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হয়। কারখানা বন্ধ হওয়ার সময় শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতার পরিমাণ দাঁড়ায় এক কোটি ৪ লাখ টাকা । পরবর্তীতে কারখানার মালিক-শ্রমিক,  কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দের সমঝোতা বৈঠকের মাধ্যমে মেশিন যন্ত্রপাতি বিক্রি করে মালিকপক্ষ ৭৯ লাখ টাকা পরিশোধ করেন।  এ সহায়তা থেকে অবশিষ্ট ২৫ লাখ বকেয়া পাওনা মালিকপক্ষ পরিশোধ করবেন।

 

এ তহবিল চালুর পর থেকে আপদকালীন সহায়তা হিসেবে বন্ধ কলকারখানার শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতাদি পরিশোধ বাবদ বিজিএমইএ’র সদস্যভুক্ত ৯টি বন্ধ প্রতিষ্ঠানকে ১ কোটি ৯০ লাখ ৬৫ হাজার এবং বিকেএমইএ’র সদস্যভুক্ত ১টি বন্ধ প্রতিষ্ঠানকে ৫১ লাখ ৬৫ হাজার টাকাসহ ১০টি বন্ধ কারখানাকে সর্বমোট ২ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ৯৭২ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

 

চেক প্রদান অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য এবং বিকেএমইএ’র সভাপতি সেলিম ওসমান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.এহছানে এলাহী, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দীন আহমেদ, বিজিএমইএ’র পরিচালক এএনএম সাইফুদ্দিন, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নানসহ শ্রম মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

 

#

আকতারুল/নাইচ/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/২০০৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ৫০৮

 

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরার সাথে ইরানের মহিলা ও পরিবার বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্টের ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত

 

ঢাকা, ২৬ মাঘ (৯ ফেব্রুয়ারি) :

 

            মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সাথে ভার্চুয়ালি সভা করেছেন ইরানের মহিলা ও পরিবার বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট Dr. Khazali.

 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ থেকে ইরানের রাজধানী তেহরানে সে দেশের মহিলা ও পরিবার বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. খাজআলীর সাথে  ভার্চুয়াল সভায় নারী ও শিশুর উন্নয়ন এবং দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন।

 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব মোঃ মুহিবুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে গণজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমঅধিকারের নিশ্চিত করেন। এরই ধারবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারী উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ আজ নারী উন্নয়নে বিশ্বে রোল মডেল।

 

 ইন্দিরা বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা রোধ, বাল্যবিয়ে বন্ধ এবং কিশোর-কিশোরীদের উন্নয়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে বিভিন্ন কার্যক্রম। সরকার নারী ও শিশুর সুরক্ষায় যুগোপযোগী বিভিন্ন আইন প্রণয়ণ ও বাস্তবায়ন করেছে।

 

ইরানের মহিলা ও পরিবার বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. খাজআলী দু’দেশের নারী উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও
আর্থসামাজিক উন্নয়নে একসাথে কাজ করে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি দু’দেশের মধ্যে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে একসাথে কাজ করার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

 

#

 

আলমগীর/নাইচ/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২০০০ ঘণ্টা

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ৫০৭

 

মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাঁথা লিখে রাখতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর আহ্বান

 

ঢাকা, ২৬ মাঘ (৯ ফেব্রুয়ারি) :

 

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক  মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, নতুন প্রজন্মকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে  বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা তাদের জানাতে হবে। এজন্য মুক্তিযুদ্ধে নিজেদের বীরত্বগাঁথা লিখে রাখতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

 

আজ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহজাহান কবির, বীরপ্রতীক রচিত 'খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের   বীরত্বগাঁথা' বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

 

 মোজাম্মেল হক বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে  দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রাম আর ত্যাগের ফসল হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশ। স্বাধীনতাকে অর্থপূর্ণ করতে হলে দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের  সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

 

মন্ত্রী আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের  ইতিহাস নতুন প্রজন্ম যত জানবে তত বেশি তারা দেশপ্রেম নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এ সময় তিনি পাকিস্তান আমলে বাঙালিদের প্রতি বিভিন্ন বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরেন।

 

          সাবেক সচিব শাজাহান সিদ্দিকী, বীর বিক্রমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাব সেক্টর কমান্ডার মাহাবুব উদ্দিন আহমেদ, বীর বিক্রম; মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার প্রমুখ।

 

          বইটির প্রথম অংশে প্রথম দিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের সাংগঠনিক কাঠামো, ১১টি সেক্টর কমান্ডারদের নাম ও সেক্টর এলাকাসহ ৩টি ব্রিগেড ফোর্সের বিবরণ, ১১টি সেক্টরের অধীনে সাব-সেক্টর কমান্ডারদের নাম ও এলাকার বিবরণ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। দ্বিতীয় অংশে ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ, তৃতীয় অংশে ৩৪ জন বীরউত্তম, চতুর্থ অংশে ৪৬ জন বীরবিক্রম ও শেষাংশে ২১৪ জন বীরপ্রতীকের দুঃসাহসিক যুদ্ধের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া এই সকল বীরদের বাল্য জীবন থেকে শুরু করে বর্তমান-অবস্থান পর্যন্ত বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।

 

#

 

মারুফ/নাইচ/রফিকুল/সেলিম/২০২২/১৯৪০ ঘণ্টা

Handout                                                                                                                      Number : 506

 

South Sudanese high-level delegation paid tribute to

Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman

 

Dhaka, 9 February:

 

The visiting South Sudanese high-level delegation paid tribute to the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman while visiting the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Memorial Museum at Dhanmondi in Dhaka this morning. Deputy Minister of Foreign Affairs of South Sudan along with the members of the delegation paid homage to Bangabandhu by placing a wreath at Bangabandhu’s portrait in front of the Bangabandhu memorial museum. 

 

The seven-member South Sudanese delegation, led by the Deputy Minister of Foreign Affairs Mr. Deng Dau Deng Malek MP, including the Deputy Minister of Defense and Veterans Affairs General Chol Thon Balok and other high dignitaries, was briefed about the life and glorious role of the Father of the Nation. They were briefed about Bangabandhu's historic role in the path of independence of Bangladesh and his supreme sacrifice for the nation while visiting the corners of the museum. The Deputy Minister of Foreign Affairs of South Sudan signed the visitors’ book at the museum. He commented that the history of the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman should be preserved for the next generation. He acclaimed the supreme sacrifices made by the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman. The officials of the Ministry of Foreign Affairs and Armed Forces were also present during the visit of the delegation to the Memorial Museum. 

 

Earlier, the delegation was received by the Chief Executive Officer of the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Memorial Museum and veteran freedom fighter Bir Prateek Lt Col. Quazi Sajjad Ali Zahir. 

 

The visit takes place at the special moment when the people of Bangladesh are celebrating the Birth Centenary of the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman and the Golden Jubilee of our Independence programmes till end of March, 2022.

 

The South Sudanese high level delegation is due to visit few industrial units in Bangladesh. They have earlier called on Foreign Minister Dr. A. K. Abdul Momen, Agricultural Minister Dr. Abdur Razzak, State Minister for Foreign Affairs Md. Shahriar Alam, Secretary of the Ministry of Commerce and Secretary of the Ministry of Industries of Bangladesh.  They have also visited the National Institute of Advanced Nursing Education and Research (NIANER) in Mugda, Dhaka. 

 

The delegation will depart Dhaka on 12 February after ending their six-day visit programme in Bangladesh.

 

#

 

Mohsin Reza/Nice/Rofiq/Abbas/2022/1944 Hours

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর: ৫০৫

 

মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক প্রাণিসম্পদ খাতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা

                                              ---মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৬ মাঘ (৯ ফেব্রুয়ারি) :

 

মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

আজ রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) এর আওতায় দেশের প্রান্তিক খামারিদের দোরগোড়ায় আধুনিক ও জরুরি প্রাণিচিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

 

মন্ত্রী বলেন, আগে প্রাণীকে নিয়ে যেতে হতো ডাক্তারের কাছে, এখন ডাক্তার চলে যাবে প্রাণীর কাছে। শেখ হাসিনার উপহার, প্রাণীর কাছে ডাক্তার। দেশের ইতিহাসে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতায়।

 

শ ম রেজাউল করিম বলেন, প্রাণীর তাৎক্ষণিক চিকিৎসায় আমরা প্রান্তিক খামারিদের কাছে ভেটেরিনারি ক্লিনিক পৌঁছে দিচ্ছি। প্রথম পর্যায়ে আজ ৬১ টি উপজেলায় ৬১ টি ক্লিনিক বিতরণ করা হচ্ছে। পরবর্তী ধাপে আরো ১৮০টি এবং শেষ ধাপে আরো ১১৯টি ক্লিনিক বিতরণ করা হবে। ৬১টি জেলায় মোট ৩৬০টি মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক বিতরণ করা হবে। পশুপাখির চিকিৎসায় সব আধুনিক মেডিকেল সুবিধা এ ভ্রাম্যমাণ ক্লিনিকে থাকবে।  

 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম। মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিকের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের চিফ টেকনিক্যাল কোঅর্ডিনেটর ড. মোঃ গোলাম রব্বানী। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মো. তৌফিকুল আরিফ ও এস এম ফেরদৌস আলম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের উপপরিচালক শেফাউল করিম, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এসিআই এগ্রোবিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এফ এইচ আনসারী প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

#

ইফতেখার/নাইচ/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/১৯১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                    নম্বর: ৫০৪

 

শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে

শিক্ষক-অভিভাবকদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ

                             --টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৬ মাঘ (৯ ফেব্রুয়ারি) :

 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন. পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জ্ঞানভাণ্ডার হচ্ছে ইন্টারনেট। জ্ঞানের এই জগৎ থেকে শিশুদের দূরে রেখে তাদেরকে আগামী দিনের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা যাবে না। তবে তাদের জন্য ইন্টারনেটকে নিরাপদ করতে হবে। শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। একজন শিক্ষক বা অভিভাবকের ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ে নূন্যতম ধারণা থাকলে তারা শিক্ষার্থী বা সন্তানের জন্য প্যারেন্টাইল গাইডেন্স ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদ ইন্টারন্টে নিশ্চিত করতে পারেন বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

 

মন্ত্রী আজ ঢাকায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র আয়োজিত অন লাইনে শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

মন্ত্রী ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় তথ্যের নিরাপত্তা রক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, ডিজিটাল যুগে তথ্য সম্পর্কে অসচেতনতা কাম্য হতে পারে না। তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে তথ্যযুগে অসহায়ভাবে নিজেকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে শিশুদের শারীরিক মানসিক নিরাপত্তার ন্যায় ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়ে বাবা মাকে অধিকতর যত্নশীল হতে হবে। একইভাবে শিক্ষক শিক্ষিকারা শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের জগৎটাকে যথাযথভাবে গাইড করবেন। তিনি বলেন, যে অবস্থাতে আমরা এখন বসবাস করছি আগামী দশ বছর পর সে অবস্থা বিরাজ করবে না। আগামী দিনের প্রযুক্তি হবে বিস্ময়কর। ৫ম শিল্প যুগের প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের ৭০ ভাগ তরুণ জনগোষ্ঠীকে তৈরি করতে হবে। তিনি নতুন প্রজন্মকে অত্যন্ত মেধাবী উল্লেখ করে বলেন, নতুনদেরকে সঠিকভাবে তৈরি করতে পারলে তারা বিস্ময়করভাবে সফল হবে। তিনি শিশুদের ডিজিটাল যন্ত্র থেকে সুরক্ষায় যে কোন সুপারিশ ও পরামর্শ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখবে বলে আয়োজকদের আশ্বস্ত করেন। মন্ত্রী নিরাপদ ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে ২২ হাজার পর্নো সাইট ও ২ হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করা হয়েছে। ফেসবুক ইউটিউব এবং টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কমিউনিটি স্টেন্ডার্ড অনুসরণ করার জন্য ফলপ্রসূ ভূমিকা আমরা রাখছি। তাদের সাথে নিয়মিত আলোচনা ও বৈঠকের মাধ্যমে ক্ষতিকর কনটেন্ট বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মন্ত্রী প্রতিটি আইনের মতই ডিজিটাল অপরাধ প্রতিরোধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা বর্ণনা করেন। তিনি অত্যন্ত স্পষ্ট করে বলেন, ডিজিটাল অপরাধ প্রতিরোধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন না করে কোনো উপায় ছিলো না।

 

অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে হিংসা বিদ্বেষ ছড়ানো গর্হিত কাজ উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসবের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

 

অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহজাবিন হক, টিআইসি’র অধ্যক্ষ মোঃ গোলাম ফারুক এবং আইএসপিএবি’র সভাপতি ইমদাদুল হক প্রমুখ বক্তৃতা করেন। শিশু প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন খাতের বক্তারা তাদের বক্তব্য পেশ করেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের অনুষ্ঠান সমন্বয়কারী অম্বিকা রায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের কর্মকর্তা গোলাম মনোয়ার কামাল অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

 

 

#

 

শেফায়েত/নাইচ/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/১৮৫২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                        

2022-02-09-17-09-24c2dd73096b60f9fc0124b83ff7f809.doc