তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৯৯
ভৈরবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসানকে নাগরিক সংবর্ধনা
ভৈরব, ২৭ মাঘ (১০ ফেব্রুয়ারি) :
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসানকে নিজ জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। আজ ভৈরব সরকারি কাদির বক্স পাইলট মডেল হাইস্কুল মাঠে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
নাগরিক সংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র ইফতেখার হোসেন বেনুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাজমুল হাসান। এ সময় তাঁকে সর্বস্তরের মানুষসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
মন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য আপনারা একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছেন। এজন্য আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। সকলের চেষ্টা ছিলো যে, যেন সকল ভোটার কেন্দ্রে এসে ভোট দেয় সেই কাজটি আপনারা ভৈরববাসী করেছেন। সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ, প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার রূপরেখা দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী ২০২৬ সালে আমরা উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হবো আর ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করবো । এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা বলেছেন তা সবই বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় সফল হয়েছেন। আবারও আপনাদের সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন সফল হবে বলে আশা করি।
মন্ত্রী আরো বলেন, আগে আমি অনেক কিছুতে যুক্ত ছিলাম। এখন সবকিছু ছেড়ে আপনাদের সাথেই কাজ করছি ভবিষ্যতেও করবো। ভৈরববাসীর পক্ষ থেকে আজ আমার কাছে যেসকল উন্নয়নমূলক কাজের দাবি জানিয়েছেন সে সকল উন্নয়নমুলক কাজ অতিদ্রুত একে একে বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ সায়দুল্লাহ মিয়া, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রীর সহধর্মিণী বেক্সিমকো ফার্মা লিমিটেডের পরিচালক রোকসানা হাসান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি এস এম বাকী বিল্লাহ মানপত্র পাঠ করে ভৈরবকে প্রস্তাবিত ৬৫ তম জেলা বাস্তবায়নসহ ভৈরববাসীর পক্ষ থেকে ভৈরবের উন্নয়নমূলক কাজের দাবি উত্থাপন করেন।
অনুষ্ঠান শেষে ভৈরবে সদ্য নির্মিত একমাত্র পার্ক উদ্বোধন করেন তিনি।
#
আরিফ/সায়েম/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/২২৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৯৮
চট্টগ্রামে হবে বে-টার্মিনাল, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বাড়বে অভাবনীয়
-- পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ২৭ মাঘ (১০ ফেব্রুয়ারি) :
আজ চট্টগ্রামের ডিসি পার্কে জেলা প্রশাসন আয়োজিত মাল্টি কালচারাল ফেস্টিভ্যাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে সেখানে শুরু হওয়া মাসব্যাপী ফুল উৎসবের মাঝে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি তুলে ধরার এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন তিনি।
চট্টগ্রামের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য গত ১৫ বছরে বহু প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ভারতীয় উপমহাদেশের নদীর তলদেশ দিয়ে প্রথম টানেল হয়েছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে। এখানে বে-টার্মিমাল নির্মিত হতে যাচ্ছে। সেটি নির্মিত হলে এটি আরেকটি চট্টগ্রাম বন্দর হবে। এখন চট্টগ্রাম বন্দরের সব মিলিয়ে দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৬ কিলোমিটার। আর বে-টার্মিনাল হবে ১০ কিলোমিটার, এর ড্রাফট হবে ১২ মিটার। সেটির কার্যক্রম সহসা শুরু হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হবে। এরপর এখানে যে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বাড়বে সেটি অভাবনীয়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি গতকাল ভারত সফর থেকে ফিরেছি। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথেও আমার এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের উত্তর-পূর্ব প্রদেশগুলো যাতে আমাদের চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে তাদের মাল আনা নেওয়া করতে পারে, সেটির জন্য তারা উদগ্রীব হয়ে বসে আছে। একইভাবে আমরাও উদগ্রীব হয়ে বসে আছি। আশা করি সেটি খুব সহসা শুরু হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ফৌজদারার থেকে চট্টগ্রাম বন্দর লিঙ্ক রোড ফোর লেন করা হবে। কারণ যানবাহন বেড়ে যাচ্ছে। এই রাস্তার সাথে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরের সংযোগ ঘটানো হবে। যখন টানেল পূর্ণ ব্যবহার হবে, তখন অনেক বেশি যানবাহন থাকবে। যখন বে-টার্মিনাল নির্মিত হবে তখন তা আরো বাড়বে।
চট্টগ্রামের ডেপুটি কমিশনার আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে মাল্টি কালচারাল ফেস্টিভ্যাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত লিও টিটল আউসান জুনিয়র, এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম, ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার ড. রাজীব রঞ্জন।
#
আকরাম/সায়েম/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/২১৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৯৭
মিয়ানমার সরকার ভারতে ঢোকা তাদের লোক ফেরত নিয়ে গেছে,
বাংলাদেশ থেকেও নিয়ে যাবার প্রক্রিয়া চলছে
-- পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ২৭ মাঘ (১০ ফেব্রুয়ারি) :
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শুধু আমাদের দেশে মিয়ানমারের সীমান্ত বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আসার ঘটনা ঘটেছে তা নয়, ভারতেও কয়েকশ’ লোক ঢুকেছে। তাদেরকেও তারা ফেরত নিয়ে গেছে। মিয়ানমার থেকে তাদের সীমান্ত বাহিনী ও সেনাবাহিনীসহ তাদের পরিবারের বেশ কিছু সদস্য আমাদের দেশেও পালিয়ে এসেছে। মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আমাদের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক হয়েছে, মিয়ানমার সম্মত হয়েছে। তাদেরকে ফেরত নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে, আলোচনা চলছে।
আজ চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট-বন্দর সড়ক সংলগ্ন ডিসি পার্কে জেলা প্রশাসন আয়োজিত মাল্টি কালচারাল ফেস্টিভ্যাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংবাদিকদের মিয়ানমার সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য- মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের যে প্রভাব বাংলাদেশে পড়ছে, সরকার সেটি মোকাবেলা করতে পারছে না, এ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আমরা রাখি না। যেটি ঘটছে সেটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ গন্ডগোল। সেখানে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সাথে আরাকান বাহিনীসহ অন্যদের সংঘাত চলছে। এবং সে সংঘাতের কারণে মাঝেমধ্যে দুই একটি গোলা আমাদের দেশে এসে পড়েছে। এবং দুজন মানুষেরও মৃত্যু হয়েছে, এটা সঠিক। এ সবের বিরুদ্ধে সম্প্রতি মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, আপনারা জানেন, ইতোমধ্যে আমি ভারতসহ বিভিন্ন দেশ সফর করেছি। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করেছি। ন্যাম সামিটে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা হয়েছে, সেখানে আমি তাকে বলেছি যে অন্তত প্রত্যাবাসনটা শুরু করার জন্য। তার কথাবার্তায় আমার যেটি মনে হয়েছে, মিয়ানমার প্রত্যাবাসনটা শুরুর ব্যাপারে একমত। কিন্তু তাদের এখনকার আভ্যন্তরীণ যে সংকটগুলো চলছে, সেই কারণে এই মুহূর্তে তারা শুরু করতে পারছে না।
‘মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত যে সমস্ত মানুষ আমাদের দেশে আছে, তাদেরকে সসম্মানে নাগরিক অধিকার দিয়ে ফেরত পাঠানোই একমাত্র সমাধান এবং সেই সমাধানের লক্ষ্যেই কাজ করছি’ পুনর্ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান।
‘বিএনপি’র এখন কোনো রাজনীতি নেই, শুধু জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা’
‘বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী কারাগারে থাকা বিএনপি নেতাদের মৃত্যুর ঘটনা পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন’ এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আসলে বিএনপি’র দুই-তিনজন নেতা টেলিভিশনে কথা বলেন, সেখানেই শুধু তারা আছে, অন্য কোথাও বিএনপির অবস্থান নাই। তারা এই সমস্ত কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করে। কারাগারে মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যু অনেকেরই হয়। কারাগারে থাকা আমাদের দলেরও অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে ইতিপূর্বে। এই সমস্ত কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো সুযোগ নাই।
তিনি বলেন, আসলে বিএনপি’র এখন কোনো রাজনীতি নেই। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তারা যে প্রচন্ড ভুল করেছে, এটি যে তাদের সুসাইডাল ডিসিশান ছিল, এজন্য তাদের নেতারা এখন কর্মীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের কর্মীরা এখন প্রচণ্ডভাবে হতাশ, সেই হতাশা কাটানোর জন্য নানা ধরনের বক্তব্য দিয়ে তারা যে এখনো টিকে আছে সেটিই প্রমাণ করার চেষ্টা করছে এবং নানা ধরনের কর্মসূচির পরিকল্পনা তারা করছে।
#
আকরাম/সায়েম/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/২২২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৯৬
ইরান-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ ও গভীর
-- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ২৭ মাঘ (১০ ফেব্রুয়ারি) :
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ভ্রাতৃপ্রতিম ইরান এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও গভীর। দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ অতীতের মতো বর্তমানেও বজায় রয়েছে। ইরান-বাংলাদেশ মৈত্রী ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক শক্তিশালী ভিত রচিত হয়েছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটরিয়ামে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের ৪৫তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকাস্হ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ঢাকাস্হ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সিলর সাইয়্যেদ রেজা মির মোহাম্মাদীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে ইরানের আল-মোস্তফা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভিসি আলী আব্বাস, বাংলাদেশে অবস্থিত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভূশি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. জিয়া রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান. বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশনের বোর্ড গভর্নরের সদস্য মাওলানা ড. মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন সরকার সালেহী বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, ইরান এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বিজ্ঞান ও গবেষণায় অগ্ৰগামী একটি দেশ। তিনি বলেন, ইরানের ইসলামী বিপ্লব ও বিপ্লবী ইরানি জাতি অর্থনৈতিক খাতসহ কোনো কোনো খাত বাইরের শক্রুর নজিরবিহীন বাধা আর নিষেধাজ্ঞার কারণে বেশ অসুবিধা ও হয়রানির শিকার হলেও এসব কিছুই ইরানের অগ্ৰযাত্রাকে থামাতে পারেনি।
মন্ত্রী আরো বলেন, ইরানের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। আমাদের দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে ইরানের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অনেক মিল রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ আমাদের দেশের অনেক কবি ও সাহিত্যিক তাদের কবিতা ও সাহিত্যে ফার্সি শব্দ ব্যবহার করেছেন।
#
এনায়েত/সায়েম/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৯৫
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের সন্তানদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন
খুলনা, ২৭ মাঘ (১০ ফেব্রুয়ারি) :
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের সন্তানদের অংশগ্রহণে খুলনা বিভাগীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আজ খুলনা বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আমাদের মানসিক বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। খেলাধুলা শুধু শরীর গঠনে সহয়তা করে না, পাশাপাশি আমাদের মেধা বিকাশেও সহয়তা করে। আমরা যারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের সন্তানদের মানসিক বিকাশ, সুস্থ ও সুন্দরভাবে হতে পারে এবং সে যেন নিজেকে জাতীয় পর্যায়ের একজন যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে, এ জন্য এই ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে অ্যাথলেটিক্স অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সরোজ কুমার নাথ ও বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড, খুলনার বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মৃধা মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম। এসময় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণ উপস্থিত ছিলেন। খুলনা বিভাগীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
#
রোকন/সায়েম/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৯৪
ঢাকার নাগরিক সমস্যা সমাধানে ধাপে ধাপে কাজ করতে হবে
---স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ২৭ মাঘ (১০ ফেব্রুয়ারি) :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম পর্যায়ক্রমে ঢাকার নাগরিক সমস্যা সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, ঢাকা পৃথিবীর জনবহুল শহরগুলোর অন্যতম এবং প্রতি বর্গকিলোমিটারে সবচেয়ে বেশি মানুষ বসবাস করে এই শহরে। তাছাড়াও অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে এই শহরে নাগরিক সুযোগ সুবিধা দিন দিন নানা চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ঢাকাকে আধুনিক শহরে পরিণত করতে ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। এরই ফলশ্রুতিতে আজকে আমরা ঢাকায় মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ের মতো দ্রুতগতি সম্পন্ন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। ঢাকার সব সমস্যা রাতারাতি সমাধান সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধীরে ধীরে সব সমস্যা সংশ্লিষ্ট সবার সাথে আলোচনা করে সমাধান করা হবে।
মন্ত্রী আজ সিরডাপ মিলনায়তনে ‘ঢাকার যানজট : মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেসওয়ের প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মোঃ আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান, অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক কাজী মোঃ সাইফুন নেওয়াজ এবং সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন-ডুরার সভাপতি ওবায়দুর মাসুম।
মন্ত্রী দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির কথা উল্লেখ করে বলেন, মানুষের সামর্থ্য বৃদ্ধির সাথে সাথে যানবাহনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি দখলমুক্ত ফুটপাতের উপর জোর দিয়ে বলেন, হাঁটার পরিবেশ পেলে নাগরিকরা স্বল্প দূরত্বে হেঁটে গেলে তা পরিবেশের জন্য এবং নাগরিকদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে সেক্ষেত্রে হকারদের পুনর্বাসন অথবা তাদের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ দেয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে বলেও জানান তিনি।
যানজটের সমস্যা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একই পরিবারের একাধিক গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে আমাদের চিন্তা করার সময় এসেছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও জবাবদিহিতার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে পার্কিং ব্যবস্থায়ও শৃঙ্খলা আনা জরুরি হয়ে পড়েছে।
এদিকে, বিকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত ‘ঢাকা মেয়র কাপ – ২০২৪’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মাদকমুক্ত ও মানবিক সমাজ গড়তে খেলাধুলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
খেলাধুলার ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, খেলাধুলা শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং এ কারণে উন্নত বিশ্বে খেলাধুলার ওপর অনেক গুরুত্বারোপ করা হয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় খেলাধুলা মানুষের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক চেতনা তৈরি করে উল্লেখ করে বলেন, এ বোধ যে মানুষের মধ্যে কাজ করে তারা দেশ ও সমাজকে উন্নত করতে বেশি সক্রিয় থাকে। তাই খেলাধুলার গুরুত্ব আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং জাতীয় জীবনে অপরিহার্য।
খেলাধুলা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তাই নয়, খেলাধুলার ফলে মানুষের মধ্যে সৃজনশীলতার বিকাশ হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
#
হেমায়েত/সায়েম/মোশারফ/আব্বাস/২০২৪/২০৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ২৮৯৩
বরিশালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রাক-বাজেট মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
বরিশাল, ২৭ মাঘ (১০ ফেব্রুয়ারি) :
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম আজ বরিশাল বিভাগের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে একটি মতবিনিময় সভা করেছেন। আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নকে সামনে রেখে বিভাগীয় পর্যায়ে এনবিআরের প্রাক-বাজেট আলোচনার অংশ হিসেবে বরিশাল সার্কিট হাউজের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শওকত আলী।
সভায় এনবিআর চেয়ারম্যানের সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির ‘কাস্টমস নীতি’ ও ‘আইসিটি’-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য মোঃ মাসুদ সাদিক এবং ‘কর নীতি’-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য এ কে এম বদিউল আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘কর’ শব্দটির ব্যাপারে দীর্ঘকাল ধরে জনমনে যে নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে, তা দূর করে দেশের উন্নয়নের গর্বিত অংশীদার হতে হবে। বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে রাজস্ব প্রদানের ক্ষেত্রে সবার দায়িত্বশীলতা ও ইতিবাচক মানসিকতা ধারণ করতে হবে। ‘উন্নয়নের জন্য রাজস্ব’ শীর্ষক উপস্থাপনায় তিনি সামন্ততান্ত্রিক যুগের শাসন ও রাজস্বব্যবস্থার সাথে আধুনিক রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও রাজস্বব্যবস্থার তুলনামূলক চিত্র, এনবিআরের গৃহীত রাজস্বনীতির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব, স্বাধীন বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্থবছরে বাজেটের আকার, খাতভিত্তিক রাজস্ব আদায়ের শতকরা হার, দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে আয়কর, শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর সহায়তা, ‘করনেট’ বা করজাল সম্প্রসারণে সংস্থাটির গৃহীত উদ্যোগ, এ লক্ষ্যে অন্যান্য সংস্থার সাথে সমন্বয় সাধনের নানাদিক, ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ধারণার বাস্তবায়নসহ এনবিআরের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য, পরিকল্পনা, কর্মকৌশল, আয়কর, শুল্ক ও মূসক বিভাগের ডিজিটাইজেশন ও চলমান বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রমের মতো রাজস্ব-সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর তিনি আলোকপাত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শওকত আলী প্রাসঙ্গিক উপাত্তের মাধ্যমে ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যের প্রেক্ষাপটে সরকার ও জনসাধারণের আয় বাড়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বরিশালের বিভাগীয় প্রশাসনের আয়োজিত এ সভার উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তরসহ বিভিন্ন পর্বে দেশের মাটিতে আইটি প্রোডাক্ট, থ্রি-হুইলার ও ফোর-হুইলার যানবাহনের মতো উচ্চ মূল্য-সংযোজনধর্মী পণ্য উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজস্ব আদায়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, করজাল সম্প্রসারণ ও প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, বিক্রেতাদের কাছ থেকে যথানিয়মে ভ্যাট পরিশোধের স্লিপ সংগ্রহ, নানান ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কর রেয়াত, সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কিত বিষয়াদি, প্রগতিশীল করব্যবস্থা এবং অতিধনীদের ওপর প্রত্যক্ষ করের আওতাবৃদ্ধি, শিশুদের শিক্ষাক্রমে যথাযথভাবে কর প্রদান সম্পর্কিত অধ্যায় অন্তর্ভুক্তির মতো নানা বিষয় আলোচনা করা হয়।
#
রাফিদ/সায়েম/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৯৩৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৯২
ডালের উৎপাদন বেড়েছে ৪ গুণ, লক্ষ্য এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া
---কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৭ মাঘ (১০ ফেব্রুয়ারি) :
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুস শহীদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির কল্যাণে এবং দেশের বিজ্ঞানী কর্তৃক কিছু উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ফলে বিগত ১৫ বছরে দেশে ডালের উৎপাদন বেড়েছে ৪ গুণের বেশি। ২০০৮-০৯ সালে যেখানে মাত্র ২ লাখ টনের মতো ডাল উৎপাদন হতো, সেখানে ২০২২-২৩ সালে উৎপাদিত হয়েছে প্রায় ৯ লাখ টনের মতো। কিন্তু তা দেশের চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ। সেজন্য, আমাদের এখন লক্ষ্য ডালে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া।
আজ রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে আন্তর্জাতিক ডাল দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ডালের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন, মানসম্পন্ন বীজের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং আধুনিক উৎপাদন প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। উন্নত প্রযুক্তি যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে গবেষণা এবং কৃষকের মাঠের মধ্যে ফলনের ব্যবধান কমিয়ে ফলন বাড়ানো যেতে পারে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে জলবায়ু সহনশীল জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে লবণাক্ত, খরা ও চরাঞ্চলে ডালের চাষ বাড়াতে হবে। সেলক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার। এছাড়া, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি জিয়াওকুন শি, গেইনের কান্ট্রি ডিরেক্টর রুদাবা খন্দকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান (OCP, OCPF, মরক্কো, ICARDA, ভারত, World Veg, থাইল্যান্ড, কানাডা) থেকে মোট ১৫০ জন অংশগ্রহণকারী অংশগ্রহণ করেন।
বারির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা একেএম মাহবুবুল আলম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, দেশে ডালের চাহিদা প্রায় ২৫ লাখ মেট্রিক টন। এ চাহিদার এক তৃতীয়াংশ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। বাকি চাহিদা মেটাতে ডাল আমদানি করতে হয়। গতবছর প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে ডাল আমদানিতে।
ডাল উৎপাদনে পিছিয়ে থাকার বিষয়ে উপস্থাপনায় জানান হয়, দেশে চাষযোগ্য জমির ৭৬ শতাংশ জমিতে ধান চাষ হয়, অথচ ডালের চাষ হয় মাত্র ২.৪০ শতাংশ জমিতে। অন্য ফসলের সাথে প্রতিযোগিতায় ঠিকতে না পারা, উন্নত জাত ও বীজের অপর্যাপ্ততা, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষিযন্ত্রের অপ্রতুলতা প্রভৃতি কারণে ডালের উৎপাদন কম বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ডালের গুরুত্বকে তুলে ধরার জন্য জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) প্রতি বছর ১০ ফেব্রুয়ারিকে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক ডাল দিবস হিসেবে উৎযাপন করে আসছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য মাটি ও মানুষের পুষ্টির জন্য ডাল। টেকসই খাদ্য উৎপাদন এবং সুস্থ জাতি গঠনে দেশে ও বিশ্বব্যাপী ডালের উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বার্তা ছড়িয়ে দেওয়াই এর লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে ডাল ফসলের গবেষণা ও উৎপাদনে অসাধারণ অবদানের জন্য তিনজন বিজ্ঞানীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
#
কামরুল/সায়েম/মোশারফ/আব্বাস/২০২৪/১৮৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৯১
এরাবিয়ান লিওপার্ডের আন্তর্জাতিক দিবস পালিত
টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বাঘ জাতীয় প্রাণী সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন
---পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ২৭ মাঘ (১০ ফেব্রুয়ারি) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বাঘ জাতীয় প্রাণী সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। এ ধরনের প্রাণী সংরক্ষণে সৌদি আরব এবং অন্যান্য দেশের সাথে সহযোগিতা একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য আমাদের অঙ্গীকারের প্রতীক। একইসাথে, সমন্বিত প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রাকৃতিক বিশ্বের জন্য হুমকিস্বরূপ চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে পারি। পরিবেশের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি বিশ্বজনীন।
আজ ঢাকার মাদানী এভিনিউয়ে আন্তর্জাতিক আরবীয় চিতাবাঘ দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে সৌদি সরকারের ক্যাটমস্ফিয়ার ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের মনে রাখা উচিত যে বিপন্ন সব প্রজাতিকে বাঁচানোর লড়াই, বিশ্ব সম্প্রদায় হিসেবে আমাদের মূল্যবোধের প্রতিফলন। এটি আমাদের গ্রহের সম্মিলিত কল্যাণে কাজ করার জন্য ইচ্ছার পরিমাপক। আসুন আমরা ক্যাটওয়াকের চেতনাকে এগিয়ে নিয়ে যাই মানবতা ও প্রকৃতির মধ্যে সংরক্ষণ এবং সম্প্রীতির জন্য একটি অবিচ্ছিন্ন ও স্থায়ী অঙ্গীকার হিসেবে। সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, সৌদি আরবের "ক্যাটওয়াক" আয়োজনের উদ্যোগ জীবনের উদ্যাপন, কর্মের আহ্বান।
আন্তর্জাতিক আরবীয় চিতাবাঘ দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাস প্রাণীটিকে রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়োজিত বিশেষ হাঁটা প্রোগ্রামের আয়োজন করে। যেখানে কূটনীতিক, মন্ত্রী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা ৭০০ মিটার থেকে ৭ কিলোমিটার হেঁটে যান। পরে পরিবেশমন্ত্রী ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন।
#
দীপংকর/সায়েম/মোশারফ/আব্বাস/২০২৪/১৮১০ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৯০